গরম জল পানের ৭টি উপকারিতা কি কি ?.
গরম জল পানের ৭টি উপকারিতা কি কি ?.
প্রতিদিন একটি উষ্ণ জলের স্নান যেমন শরীরকে ঝরঝরে করে তোলে ঠিক তেমনি প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস উষ্ণ বা গরম জল পান শরীরকে আভ্যন্তরীন ভাবে অনেকটাই সুস্থ করে তোলে। করোনা মহামারির কারণে অনেকেই এখন গরম পানি পানের অভ্যাস করছেন। কিন্তু গরম জল শুধু করোনা কালে নয়, যে কোন সময় পান করলেই এটা স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারি।প্রাচীন চীন ও ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ১ গ্লাস গরম জল পানের মাধ্যমে দিন শুরু করলে তা পাচকতন্ত্রের সুস্থতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আরো অনেক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়। চীন দেশের মানুষরা আজও তাদের খাবারের সময় কেতলি ভর্তি গরম গ্রীন টি রাখে এবং তা খাওয়ার মাঝেই অল্প অল্প করে পান করতে থাকে। আসুন তাহলে জেনে নিই উষ্ণ জল পানের উপকারিতা।
১। ওজন কমানো -
বিশেষজ্ঞদের মতে সকালে ১ গ্লাস গরম জল ওজন কমাতে বিশেষ সহায়ক। এটা মেটাবলিযমকে উজ্জিবীত করে ক্যালরি বার্ন করে। গরম জল অন্ত্রকে পরিষ্কার করে ও পেট ফাপা বন্ধ করে। এছাড়া গরম জল শরীরের আভ্যন্তরীন তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যা মেটাবলিযমের কার্যকারিতা বৃদ্ধিত করে।
২। গরম জল সাইনাস দূর করে -
উষ্ণ জল পান করলে শ্বাসনালীতে জমে থাকা শ্লেষ্মা অনেকটাই নরম হয় আসে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া আরামদায়ক হয়। পান করার ৩০ মিনিটের মধ্যেই গরম জলের কার্যকারিতা বোঝা যাবে।
৩। দাঁতের আরাম -
অনেক সময় দাঁতের সংবেদনশীলতা বা দাঁতে থাকা সাদা ফিলিং ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে আসলে খুব সমস্যা করে। তাই উষ্ণ জল ব্যবহারে আপনি আরাম পাবেন।
৪। হজমে সহায়ক -
খালি পেটে সকালে ১ গ্লাস গরম জল পানে তা পাকস্থলীতে থাকা ধমনীগুলোকে প্রসারিত করে যা পাচকতন্ত্রেকে ভালভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। খাবার খাওয়ার পর গরম জল পান করলে তা চর্বিকে তরলজাত করে এবং বিছানায় যাওয়ার আগে গরম জল পান করলে তা শরীরকে জলয়োজিত রাখে।
৫। মাংসপেশীর স্বাস্থ্য -
গরম জল পানে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় যা মাংসপেশীকে আরাম দেয়। এটা যে কোন পেশীর ব্যথা, মাসিকের সময় পেটের পেশীতে যে ক্র্যাম্প হয় তা দূর করে এবং ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে।
৬। গরম জল মেজাজ ভাল রাখে -
গবেষণায় প্রমাণিত যে গরম জল পান মানুষের মুড ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৭। এন্ডোক্রাইন সিস্টেম -
উষ্ণ জল আমাদের শরীরের অন্তঃস্রাব সিস্টেম (Endocrine System) উজ্জিবীত করে ফলে শরীরে ঘাম হয় এবং ত্বকের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়।
পরিশেষে -
গরম জল বা উষ্ণ জল পান করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে জল যেন খুব বেশী গরম না হয় যা মুখ এবং শরীরের অভ্যন্তরের ক্ষতি করবে। যতটা গরম সহ্য করা যায় ঠিক ততখানি গরমই পান করুন এবং চাইলে সাথে লেবুর রস এবং মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন