স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২

জল কম খেলে হতে পারে কোন কোন রোগ ?.


জল কম খেলে হতে পারে কোন কোন রোগ ?.

  সুস্থ শরীরের জন্য সঠিক পরিমাণে জল পান করা অপরিহার্য। জল না খেলে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়ে।  আমাদের শরীরের মাত্র 60 শতাংশ জল গঠিত।  শরীরের সমস্ত অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য, সঠিক পরিমাণে জল পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  একজন মানুষকে দিনে অন্তত দুই লিটার জল পান করতে হবে।  সঠিক পরিমাণে জল পান করা আমাদের শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। জল কম খেলে শরীরে নানা সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।  আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে জলের অভাব নানা রোগের জন্ম দিতে পারে।

স্থূলতা সমস্যা –

 স্থূলতার সমস্যা অনেক রোগের সাথে নিয়ে আসে।  এই পরিস্থিতিতে, কম জল পান করা স্থূলতা প্রচারের মতো হতে পারে।  অনেক সময় আমরা সঠিক পরিমাণে খাই, কিন্তু জল পান করি না, যার কারণে আমরা সারাক্ষণ ক্ষুধার্ত অনুভব করি।  এই কারণে অনেক সময় আমরা অতিরিক্ত খাওয়া এবং মোটা হয়ে যাই।  শরীরে অপর্যাপ্ত পরিমাণে জলের কারণে স্থূলতা বাড়ে।

পেটের সমস্যা –

  জল কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং পেটে গোলমালের মতো সমস্যা হয়।  আমরা যখন ঠিকমতো জল পান করি না, তখন কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ অনেক বেড়ে যায়, কারণ জল মলকে নরম করতেও কাজ করে।  সেই সঙ্গে জলের অভাবে অ্যাসিড তৈরির গতি বেড়ে যায়, ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে থাকে।  এছাড়া জল কম পান করার কারণেও বুকজ্বালার সমস্যা হতে পারে।

ইউটিআই এর ঝুঁকি –

  শরীরে জলের অভাব ইউটিআই এর ঝুঁকি বাড়ায়, কারণ জল কম পান করলে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এবং শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিন শরীর থেকে বের হতে পারে না।  কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।  ডিহাইড্রেটেড হওয়ার কারণে যৌনাঙ্গে হলুদ প্রস্রাব বা চুলকানি হতে পারে।

হ্যালিটোসিস –

  জলের অভাবে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যা অনেক বেড়ে যায়।  কম জল পান করলে মুখ শুষ্ক হয়ে যায়, যার কারণে মুখে ব্যাকটেরিয়া জন্মে।  ফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ আসতে থাকে।  নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এড়াতে পর্যাপ্ত জল পান করুন।  পানীয় জলের মধ্যে বেশি ফাঁক রাখবেন না।

 মুখের সমস্যা –

  নিশ্ছিদ্র এবং উজ্জ্বল মুখ সবাই পছন্দ করে।  কিন্তু জল কম পান করার কারণে মুখের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জলশূন্যতার কারণে মুখে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়।  মুখের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সঠিক পরিমাণে জল পান করা প্রয়োজন।জল কম পান করলেও মুখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। জল ত্বককে হাইড্রেট করে, যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে।  অতএব, আপনি যদি সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক চান, তবে অবশ্যই দিনে 2-3 লিটার জল পান করুন।

  মনে রাখবেন, আপনার শরীরে কী পরিমাণ জল প্রয়োজন তা নির্ভর করে আপনি কোথায় থাকেন তার উপর। গরম এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের বেশি করে জল পান করতে হবে। সঠিক পরিমাণে জল পান করে আমরা অনেক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারি। তৃষ্ণা পেলে প্রচুর জল পান করুন। এতে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং শরীর সুস্থ থাকবে। 


  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা Flipkart এর বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২

দুধ চা পান করার ৬ টি ক্ষতিকর দিক কি কি ?.


দুধ চা পান করার ৬ টি ক্ষতিকর দিক কি কি ?.

  আমরা যারা বিভিন্ন কাজ কর্মের সাথে জড়িত হোক সেটা কায়িক, মানসিক। একটানা কিছুক্ষন কাজ করার পর শরীর ক্লান্ত হয়ে পরে, গা ঝিম ঝিম করে কাজে মন বসেনা। ঠিক সে সময় মন কে চাঙ্গা করতে আমরা জলের পরিবর্তা যা খাই তা হলো চা। আর চা টা যদি দুধ চা হয় তাহলে তো আর কথায় নেই। চা পান করলে যেন শরীর আর মনেট তৃষ্ণা মেটে। 

  তবে এই দুধ চায়ের ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চায়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও অন্যান্য যৌগ। তবে যখন চায়ে দুধ মেশানো হয় তখন এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তবে শুধু চা পান করলে দাঁতে ক্ষয়, রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে বাধা পায়। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। চা অনেক ধরণের হয় যেমনঃ ব্ল্যাক চা, দুধ চা, আদা চা, মশলা চা, লেবু চা, দুধ বেশি চিনি ছাড়া চা, মালাই চা ইত্যাদি। প্রত্যেকটি চা কে আলাদা আলাদা ভাবে পরিবেশন করা হয় এবং প্রত্যেকটির চায়ের রয়েছে আলাদা আলাদা গুণ।

  তবে এবার আমরা জেনে নিন বহুল প্রচলিত দুধ চায়ের কিছু অপকারিতা দিক।

১। চা পানীয় হিসেবে স্বাস্থ্যকর। তবে আমরা এই চা তে যখন দুধ আর চিনি মেশাই তখন এর গুণাগুণ মান পরিবর্তন হয়ে যায়। এটি পাশাপাশি চা কে আরো এসিডিক করে তোলে। আর অতিরিক্ত দুধ চা পানে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২। চা খেলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। যেমন কি শুধু চা অর্থাৎ ব্ল্যাক চাতে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য যৌগ থাকে। এতে যখন আমরা দুধ চিনি দিই তখন এতে পুষ্টিগুণ তো থাকেইনা বরং এতে প্রোটিনের আরো ঘাটতি দেখা দেয়।

৩। আমরা মনে করি চা খেলে স্ট্রেয করে। তাই অনেকেই প্রত্যেকদিন কয়েক বার করে দুধ চা খায়। এতে তাদের রাতে ঘুম কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ঘুম কম হলে অনিদ্রার সমস্যা হয়। আর যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অনিদ্রা থাকা মোটেও উচিত না। অনিদ্রা থেকে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। আর অনিদ্রা হলে দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেস বেড়ে যায়।

৪। যারা দিনে একদম হিসেব ছাড়া চা খায় তাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্টকাঠিন্যের কারণে পেট ফেঁপে যায়, ভালোভাবে পায়খানা হয় না আর এতে গ্যাস এর সমস্যা বেড়ে যায়। এত করে শরীরে এক প্রকার অস্বস্তি দেখা দেয়। যার ফলে কোনো কাজে মন বসেনা।

৫। দুধ চায়ে রক্তচাপ উঠানামা করে। আর যারা ব্লাড সুগারের রোগী তাদের তো মোটেও দুধ চা খাওয়ার দরকার নেই। এতে সুগারের মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অর্থাৎ যারা ডায়াবেটিস এর রোগী তাদের মোটেও উচিত না চা খাওয়ার এতে সুগার বেড়ে গিয়ে আরো রোগের বাসা বাঁধতে পারে।

৬। অনেকেই বলে থাকেন চা খেলে গায়ের রং কালো হয়ে যায়। অর্থাৎ আমাদের ত্বকে একটা কালসিটে ভাব চলে আসে। আমরা যে ব্ল্যাক লিকারের পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ চা তে দুধ দি তখন এতে থাকা গুণাগুণ অক্ষুন্ন হয়ে যায়। এবং এতে ত্বকের ক্ষতি হয়ে যায়।

 উপরোক্ত তথ্য থেকে জানা যায়, দুধ চায়ের উপকারিতা থেকে অপকারিতার দিক বেশি। এতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যারা নিয়মমাফিক দিনে কয়েকবার করে চা খান তাদের উচিত চা পরিহার করার।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা Flipkart এর বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২

সরিষার তেলের ১৩টি অজানা উপকারিতা কি কি ?.


সরিষার তেলের ১৩টি অজানা উপকারিতা কি কি ?.

 
 বাজারে সয়াবিন তেলের আবির্ভাবের পর আমরা অনেকেই সরিষার তেলের উপকারিতার কথা ভুলে গেছি। অথচ এক সময় সরিষার তেলই ছিল আমাদের রান্নার প্রধান উপকরণ। এখনও সরিষা বা সরিষার তেল প্রতিটি বাড়ির রান্না ঘরেই রয়েছে যা – রান্নায়, ভর্তা বানাতে এমনকি মালিশের কাজেও ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে এই তেলের ব্যবহার অতি প্রাচীন। ৩০০০ খৃষ্টপূর্ব আগে থেকে ভারতে চিকিৎসা শাস্ত্রে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সরিষা দানা পিষে সরিষার তেল তৈরি করা হয়। এর রঙ ঘন লালচে হলুদ এবং এর গন্ধ ঝাঁঝালো। খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল স্বাস্থ্য উপকারি। 

সরিষার তেলে কি আছে ?.

  সরিষার তেল মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (Monounsaturated fat) এবং প্রদাহ বিরোধী (anti-inflammatory) উপাদানে সমৃদ্ধ। এছাড়াও সরিষার তেল মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (Monounsaturated fat) ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড, এন্টি অক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থে ভরপুর। এতে খুব অল্প পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি রয়েছে।

সরিষার তেল ২ উপায়ে তৈরি হয় –

১। কাচ্চি ঘানি (Cold pressed)

  এই প্রক্রিয়ায় সরিষার দানা সরাসরি পিষে এ থেকে তেল বের করা হয় এই তেল হয় খুব ঘন এবং ঝাঁঝযুক্ত। এই তেল সবচেয়ে বেশী স্বাস্থ্য উপকারী। এটা হজম শক্তি বাড়ায়, হৃদপিন্ড ভাল রাখে, চুল গজানোয় সাহায্য করে এবং শরীরের মাংশ শক্ত হয়ে যাওয়া (muscle stiffness) রোধ করে। 

২। এসেনশিয়াল অয়েল (Mustard Essential oil) 

এই পদ্ধতিতে পেষা সরিষার দানার সাথে পানি, ভিনেগার অথবা অন্য কোন তরল মিশিয়ে বানানো হয়। এই তেল হয় অনেক পাতলা। সরিষার দানায় মাইরোসিনেইস (Myrosinase) এবং সিনিগ্রিন (Sinigrin) নামে দ’টি উপাদান আছে। পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে এই দু’টি উপাদান বিষাক্ত কম্পাউন্ড সৃষ্টি করে। তাই এই ধরণের তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

সরিষার তেলের উপকারিতা –

১। হজম প্রক্রিয়া – সরিষার তেল হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে। 

২। ব্যথা কমায় – সরিষার তেলে থাকা প্রদাহ বিরোধী (Anti-inflammatory) উপাদান ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথা, অন্যান্য জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস (বাত) এবং রিউম্যাটিক এর ব্যথাও দূর করে।

৩। ক্যান্সার রোধক – এই তেলে থাকা গ্লুকোসিনোলেট (Glucosinolate) নামক উপাদান মলাশয় ক্যান্সার এবং অন্ত্রের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।

৪। ফুসফুস পরিষ্কার – সরিষার তেল এক ধরণের ডিকঞ্জেস্টেন্ট বা শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কারক। এই তেলের সাথে রসুন মিশিয়ে বুকে ও পিঠে লাগালে কফজনিত সমস্যার সমাধান হয়।

৫। হৃদিপিন্ড সুস্থ রাখে সরিষার তেল – সরিষার তেলে থাকা মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে হৃদরোগের ঝুঁকি ৭০% কমিয়ে আনতে পারে।

৬। এজমা রোগে সরিষার তেল – এজমা এটাক (Asthma Attack) হলে সরিষার তেল বুকে ঘষলে শ্বাস নেয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়। সবসময় এর ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

৭। ত্বক ও চুলের যত্নে সরিষার তেল – শীতের সময় এই তেল ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং শরীর গরম থাকে। এই তেলের ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাঙ্গাস বিরোধী গুণাগুণ ত্বক ও চুলকে উজ্জ্বল করে তুলে। এই তেল ব্যবহার করলে ত্বক কখনই কালো হয় না বরং ত্বকের টোনের উন্নতি হয়।

৮। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে – রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাভিতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল দিলে সুফল পাওয়া যায়।

৯। স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও চেতনার উন্নয়নে – সরিষার তেল স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও চেতনার উন্নয়নে সহায়তা করে।

১০। মাসিকের ব্যথা – মেয়েদের মাসিকের ব্যথা এবং গ্যাস ও বদহজম জনিত পেটের ব্যথায় সরিষার তেল পেটে মালিশ করলে সুফল পাওয়া যায়।

১১। পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানো – পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানোর জন্য ঔষধ হিসাবে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়। এর গন্ধে পোকামাকড় কাছে ঘেঁষে না।

১২। ওজন কমাতে সরিষার তেল – রিবোফ্ল্যাভিন (Riboflavin) ও নায়াসিন (Niacin) সমৃদ্ধ সরিষার তেল শরীরে মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

১৩। দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় – সুস্থ দাঁত ও জিঞ্জাভাইটিস ও পেরিওডন্টাইটিস রোগ প্রতিরোধে সরিষার তেল সহায়ক।  ১/২ চা চামচ সরিষার তেল + ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া + ১/২ চা চামচ লবন মিশিয়ে দাঁত ও মাড়িতে হালকা করে দুবেলা ঘষুন।  সতর্কতা – সরিষার তেলে থাকা ইরিউসিক এসিড (Erucic Acid) -এর কারনে রান্নার কাজে এই তেল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপে ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে এটা বাহ্যিক ব্যবহার যেমন মালিশের জন্য এসব দেশে নিষিদ্ধ নয়।

  সতর্কতা – সরিষার তেলে থাকা ইরিউসিক এসিড (Erucic Acid) -এর কারনে রান্নার কাজে এই তেল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপে ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে এটা বাহ্যিক ব্যবহার যেমন মালিশের জন্য এসব দেশে নিষিদ্ধ নয়।

  শেষ কথা – বাজারে পাওয়া সব তেলের মধ্যে সরিষার তেল সব থেকে বেশী স্বাস্থ্যকর। তবে এটা হতে হবে খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল বা কোল্ড প্রেসড (Cold Pressed) । যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেশগুলিতে নিষিদ্ধ হলেও সরিষার তেল অন্যান্য দেশ বিশেষ করে এশিয়ার সর্বত্র রান্নার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশএর ব্যতিক্রম নয়। ইদানিং অনেকেই সয়াবিন তেলের পরিবর্তে খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল ব্যবহার করা শুরু করেছেন।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

শারীরিক মিলনের পূর্বে কী কী খাবার খাওয়া উচিত ?.


শারীরিক মিলনের পূর্বে কী কী খাবার খাওয়া উচিত?.

  খাবার হলো সকল জীবেন শক্তির উৎস। সেক্সুয়াল জীবন প্রতিটি মানুষই একটা সময় অতিবাহিত করে থাকেন। এজন্যই প্রতিটি মানুষের কিছু সেক্সুয়াল টিপস জেনে রাখা প্রয়োজন। আর এই সেক্সুয়াল লাইফ অতিবাহিত হয় পুষ্টিকর খাবার দাবারের মাধ্যমে।

শারীরিক মিলনের পূর্বে যে ধরণের খাবার খেতে হয় –

  সবাই চান যে শারীরিক মিলনের মুহূর্তটি কতটা আবেগঘন করা যায়, কতটা রোমান্টিক করা যায়। আর এই চাওয়ার পরিপূর্ণতা দিতেই বিছানার সময়টুকুতে কিছু সেক্সুয়াল কৌশলের আশ্রয়ে রোমান্টিক আর বিস্ময়পূর্ণ করার লক্ষ্য সকলেরই থাকা উচিত। এটা ঠিক যে শারীরিক মিলনের সময়ে একেকটি মানুষের পারফরমেন্স একেক রকম হয়ে থাকে। কিন্তু এই ভিন্ন পারফরমেন্সের ভেতরে অবলম্বন করা কৌশল যদি একই রকমও হয়ে থাকে তাতে শারীরিক মিলনের মুহূর্তটি হতে পারে স্বর্গারোহনের সমতুল্য।

  এবারের আয়োজনে আপনাদের জানানো হবে এমন কিছু খাবারের নাম যেগুলো শারীরিক মিলনের পূর্বে আহার করলে আপনি অনেক বেশি উত্তেজিত হবেন এবং শারীরিক মিলনের স্বর্গসুখ অনুভব করবেন। শারীরিক মিলনৈর মুহূর্তটিকে আনন্দঘন করতে আপনি চাইলে খেতে পারেন কিছু সেক্সি ফুড। 

আম –

  আম মিষ্টি জাতীয় একটি ফল। এটি আপনাকে শারীরিকভাবে উত্তেজিত করতে সহায়ক। শারীরিক মিলনের পূর্ব মুহূর্তে অর্থাৎ বিছানায় যাওয়ার আগে কয়েক ফালি আম ফল খান এবং কিছুটা সময় শারীরিকভাবে উত্তেজিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।

ক্যান্ডি –

 অনেকেই মনে করেন ক্যান্ডি শুধুমাত্র বাচ্চাদের খাবার হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু এটি ঠিক না। এই মিষ্টি ক্যান্ডিও আপনার সেক্সুয়াল মুহূর্তের সঙ্গী হতে পারে। ডিলিশাস ক্যান্ডি একজনের প্রতি আরেকজনের আকৃষ্টতা তৈরি করতে পারে।

পুদিনা পাতা –

  এটি শুধু ঔষধি হিসেবে কাজ করে তা নয়। এটি খেলে হালকা উন্মাদনাও তৈরি হয়। তাই শারীরিক মিলনের পূর্ব মুহূর্তটিতে পুদিনা পাতা খেতে পারেন যথেষ্ট উত্তেজিত হয়ে প্রিয়জনকে শারীরিক মিলনের উৎসাহ দিতে পারেন।

তরমুজ -

  অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই তরমুজ ফল আপনাকে এক মুহূর্তের জন্য উত্তেজিত করে তুলতে পারে। তরমুজ পানীয় জাতীয় একটি ফল যা আপনাকে এক ধরনের ভেজা অনুভূতি দিতে পারে।

শসা –

 শসা আপনার শরীরকে শীতল অনুভূতি যোগাতে সক্ষম আর প্রিয়জনকে আকৃষ্ট করতে এই শীতল অনুভূতির আবেদন অনেক বেশি প্রয়োজন।

সুশি –

  জাপানের একটি বিখ্যাত খাবার হল এই সুশি। এই খাবারটি আপনাকে এত উত্তেজিক করবে যে ফ্লোর প্লে এর সময়ে আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে হয়ে উঠবেন সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট আর আবর্ষণীয়। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



মেদ ঝরানোর বিস্ময়কর ১৭টি খাবার কি কি ?


মেদ ঝরানোর বিস্ময়কর ১৭টি খাবার কি কি ?.

  শুনতে আশ্চর্য হলেও এটা সত্য যে কিছু খাবার আছে যা খেলে শরীরের মেদ প্রাকৃতিক উপায়েই কমানো যায়। অতএব আপনি যদি শরীরের মেদ গলানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপাতত সব ভুলে এই ১৭টি খাবার খেয়ে দেখুন। 

১। গ্রীন টি –

  আপনি যদি দিনে ৪ থেকে ৫ কাপ গ্রীন টি পান করেন, তা আপনাকে শুধু এনার্জিই দেবে না বরং মেটাবলিযম বৃদ্ধি করবে এবং আপনার মেদ কমাবে, এমনকি আপনার পেটের চর্বিও। গ্রীন টি’তে থাকা এপিগ্যালোক্যাটেচিন-৩ গ্যালেট (Epigallocatechin-3-gallate EGCG) নামক পলিফেনল (Polyphenol) -এর জন্য দায়ী। এছাড়া গ্রীন টিতে আছে থিয়ানিন (Theanine) নামের এমিনো এসিড যা আপনাকে মানসিকভাবে সজাগ এবং শান্ত থাকতে সাহায্য করে, তাই খাবার সময় আপনি স্বাস্থ্যকরে খাবার বেছে খাবেন। মানসিক চাপে থাকলে মানুষ সাধারণতঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকে। 

২। শুকনো আলু বোখারা –

  শুকনো আলু বোখারা বা ড্রাইড প্লাম আজকাল সুপার শপগুলিতে সবসময় দেখা যায়, বিশেষ করে সাকুরা ব্র্যান্ডের ড্রাইড প্লাম খুবই জনপ্রিয়। ড্রাইড প্লাম শুধু খেতেই মজাদার নয়, এটা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করার একটি খুব ভাল খাদ্য। ড্রাইড প্লামে আছে প্রচুর ফাইবার যা পেট ভরা রাখে এবং কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমায়। 

৩। আপেল –

  প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর জন্য একটি আদর্শ খাদ্য হচ্ছে আপেল। গবেষণায় দেখা গেছে আপেলের ফাইবার পেটের চর্বি কমায়।  

৪। সবুজ পাতাবিশিষ্ট শাক –

  পালং শাক, কলমি শাক, ইত্যাদিতে আছে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট। এসব শাকে আছে সালফোকিনোভোয Sulfoquinovose (SQ) নামক উপাদান যা আপনার কোমরের চর্বি কমাবে। নেচার কেমিক্যাল বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা মতে SQ অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হতে সাহায্য করে যার ফলে অন্ত্রের প্রদাহ কমে এবং পেটের মেদ কমে।

৫। মিষ্টি কুমড়া –

  প্রতি আধা কাপ মিষ্টি কুমড়ায় আছে শুধু ৪০ ক্যালরি এবং ৫ গ্র্যাম ফাইবার, তাই এটা আপনার পেট রাখবে চর্বিহীন। 

৬। লেবু –

  লেবু জল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এটা আপনি পান করতে পারেন ঠান্ডা অথবা গরম। লেবুর ভাইটামিন সি পেট ফাঁপা কমায় এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে। আর গ্রীন টি’র সাথে লেবু জল আরো উপকারি।

৭। ডার্ক চকোলেট –

  ডার্ক চকোলেটের পলিফেনল আপনাকে সাহায্য করবে ক্ষতিকারক ফ্রী র‍্যাডিক্যাল এবং চর্বির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। লুইযিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের অন্ত্রের মাইক্রোব চকোলেটকে বিউটিরেইটে (Butyrate) রূপান্তরিত করে, যা আপনার শরীরকে অনুপ্রাণিত করে জ্বালানি হিসেবে চর্বি খরচ করতে।

৮। টমেটো –

  টমেটোর জল ও পটাশিয়ামের সমন্বয়তা খুব দ্রুত আপনার কোমর চিকন করবে এবং পেট ফাপা কমাবে। এছাড়া টমেটোয় আছে প্রচুর ফাইবার যা আপনার কোষ্টকাঠিন্য দূর করবে। টমেটোতে ক্যালরি খুবই কম তাই প্রচুর টমেটো খেলেও ওজন বাড়বে না।

৯। লাল মরিচ –

  লাল মরিচ বা লাল মরিচের গুড়ো শুধু আপনার খাবারে শুধু ঝাঁঝই দেয় না এটা আপনার মেটাবলিযম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন লাল মরিচ খেলে এর উপাদান ক্যাপসেইসিন (Capsaicin) খাদ্যকে খুব দ্রুত শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে, ফলে পেটের মেদ কমে। 

১০। ডিম –

  নিউট্রিশান রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় ২১ জন পুরুষকে ২ ভাগে ভাগ করে এক ভাগকে দেয়া হয় ডিম ছাড়া সকালের নাশ্তা এবং অন্য ভাগকে দেয়া হয় ডিমসহ নাশ্তা। দেখা যায় ডিম খাওয়া দলের অংশ গ্রহনকারীরা ৩ ঘন্টা পর কম ক্ষুধার্ত হয়। এছাড়া এই দলের পুরুষরা নাশ্তার পর সারাদিন অন্যান্যদের তুলনায় কম ক্যালরি গ্রহন করে।

১১। আভোকাডো –

  আভোকাডোয় আছে ফ্যাট, কিন্তু এটা মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা আপনার ক্ষুধা কমায় এবং পেটে মেদ জমা বন্ধ করে। ইউরোপে ৯০,০০০ মানুষের উপর করা এক গবেষণায় এই তথ্য জানা যায়।

১২। বীট –

  বীটের উপকারিতা অসংখ্য। আজকাল বীট বাজারে সবসময় পাওয়া যায়। বীটে আছে বিটেইন (Betaine) নামক এমিনো এসিড, যা মেটাবলিযম বাড়ায়, ইন্সুলিন রেযিস্ট্যান্স কমায়, মুড ভাল রাখে, ফ্যাট জীনগুলি বন্ধ করে দেয়, এবং পেটের মেদের কারণে উৎপন্ন প্রদাহজনিত মার্কারকে আক্রমণ করে। নিউট্রিয়েন্টস (Nutrients) নামক জার্নালের এক গবেষনায় এটা জানা যায়।

১৩। নারকেল তেল –

  লিপিডস (Lipids) নামের জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায় যেসব অংশগ্রহনকারী খাবারে নারকেল তেল ব্যবহার করেছেন তাঁদের পেটের মেদ অনেকাংশে কমেছে যারা খাবারে সয়াবীন তেল ব্যবহার করেছিলেন তাঁদের তুলনায়।

১৪। হলুদ –

  অঙ্কজীন (Oncogene) জার্নালের এক গবেষণায় বলা হয় হলুদের প্রধান উপাদান এন্টি অক্সিডেন্ট কারকিউমিন (Curcumin) প্রদাহ বিরোধী খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। যেহেতু পেটের চর্বির কারণে প্রদাহ হয় এবং পেটের চর্বি কমানো কঠিন হয়ে পড়ে, তাই আপনি প্রতিদিন হলুদ দুধ পান করে দেখতে পারেন, বলেন বিশেষজ্ঞরা।

১৫। কলা –

  যখন আপনি কম ঘুমান তখন আপনার শরীর ঘ্রেলিন (Ghrelin) নামক ক্ষুধার হর্মোন বেশী পরিমাণে উৎপাদন করে এবং আপনাকে বেশী খেতে অনুপ্রাণিত করে। সবসময় কলা খেলে এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম আপনার মাংশপেশীকে রেল্যাক্স করে শুধু আপনার ঘুম ভাল করবে না, কলা আপনাকে পাতলা থাকতে সাহায্য করবে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মহিলা প্রতিদিন দু’বার খাবারের সাথে কলা খেয়েছেন তাঁদের পেটের মেদ ৫০% কমেছে।

১৬। দারুচিনি –

  আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশানে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে এই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণকারী মশলাটি শরীরে ইন্সুলিন নির্গমন কমায় এবং চিনিকে চর্বিতে রূপান্তর হওয়া রোধ করে। 

১৭। গোল মরিচ –

  গোল মরিচের উপাদান পিপারিন (Piperine) চর্বি গলিয়ে আপনার কোমরকে পাতলা করে এবং কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া গোল মরিচের গুণাবলী অনেক এবং এটা ডিম, সালাদ বা সূপের সাথেও খাওয়া যায়। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


যৌন মিলনের সময় কোন ৫ টি ভুল করেন পুরুষরা ?.


যৌন মিলনের সময় কোন ৫ টি ভুল করেন পুরুষরা ?.

  সুখী দাম্পত্যের অন্যতম চাবিকাঠি সুখী যৌনজীবন। আর সুখী যৌনজীবনের জন্য অবশ্যই দরকার ঠিক শিক্ষা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষরা মিলনের সময়ে করে বসেন এমন কিছু ভুল, যাতে ভাটা পড়ে যৌনতার আনন্দে। জেনে নিন সুখী যৌনজীবন পেতে হলে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

১) যৌনতা মানে শুধুই যৌন মিলন নয়। ব্যক্তিগত কথোপকথন, স্নেহ-চুম্বন সবই ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষকরা বলছেন, কয়েক সেকেন্ডের আলিঙ্গনও অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে, এই হরমোনের প্রভাবেই বাড়ে যৌন উত্তোজনা। সঙ্গমের আগে স্নেহ-স্পর্শগুলি বেশ উপভোগ করেন মহিলারা। তাই মহিলাদের চাহিদার কথাও মাথায় রাখতে হবে। উত্তেজনার বশে তাড়াহুড়ো করে ফেলা যৌন মিলনের আনন্দে অনেকটাই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

২) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যৌনতার একটি পূর্ববর্তী ধারণা মাথায় গেঁথে নেন পুরুষরা। মিলনের সময়ে এক বার যে কাজগুলি সঙ্গী আনন্দ দিয়েছিল, পরের বার সেই পন্থা কাজে না-ও আসতে পারে। যৌনতার সময়ে কথা বলুন সঙ্গীর অনুভূতি সম্পর্কে। জানতে চান তিনি আদতেও উপভোগ করছেন কি না গোটা বিষয়টি। সঙ্গী বেশি উত্তেজিতবোধ করলে আপনার যৌনসুখ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

৩) যৌনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। তবে এটি একটি নিয়মিত অভ্যাস। কেবল যৌন মিলনের আগে ও পরে যৌনাঙ্গ সাফ করলেই এই পরিচ্ছন্নতা প্রকাশ পায় না। শুধু যৌন মিলনই নয়, যৌন স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও নিয়মিত যৌনাঙ্গ সাফ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে দূরে থাকে যৌন রোগ। অপরিষ্কার যৌনাঙ্গের কারণে সঙ্গী মিলনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

৪) পুরুষরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীর যৌনতাবোধ ও যৌন চাহিদার সন্তুষ্টি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন বোধ করেন না। অথচ যৌনতার চরম সুখ উপভোগ করার জন্য পুরুষ ও নারীর মেহন সমান গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই যৌন জীবনকে সুখী করতে শুধু নিজের সন্তোষের কথা ভাবলেই চলবে না।

৫) বিশেযজ্ঞদের মতে, অনেক পুরুষ চরম পরিণতিতে পৌঁছানোর তাড়ায় সঙ্গীর বহু ইচ্ছা উপেক্ষা করে বসেন। ফলে সঙ্গী হয়তো সাধারণ আদর, আহ্লাদ চান, তা উপেক্ষা করে বসেন।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২

কোন বয়সে পুরুষদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা সবথেকে বেশি থাকে ?.


কোন বয়সে পুরুষদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা সবথেকে বেশি থাকে ?.

  পুরুষ যেকোন বয়সেই সন্তান জন্ম দিতে পারে- এমন একটা ধারণা অনেকের মনেই রয়েছে। তাদের ধারণা সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স কোন বিষয়ই নয়। কিন্তু বাস্তবে এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে যেমন মেয়েদের বয়স গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি পুরুষেরও। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমতে থাকে। 

  বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়স হল পিতা হওয়ার আদর্শ সময়। তবে এ কথাও ঠিক যে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।  

  গিনেস বুক রেকর্ডসের মতে, ৯২ বছর বয়সী এক পুরুষ সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৪০ বছরের পর পুরুষদের ক্ষেত্রেও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।

  মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুবন্ধের পরে সন্তানধারণের কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। কিন্তু ছেলেদের শরীরে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া কখনও বন্ধ হয় না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের মহিলাদের মতো ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ নেই।

  পুরুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের শুক্রাণুগুলো জেনেটিক মিউটেশনের মধ্য দিয়ে যায়। ফলে শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পুরুষের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা প্রভাবিত হয়। শুধু তা-ই নয়, সেই বয়সে যদি তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েও ফেলেন, তা হলে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

  ‘জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথ’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ২৫ বছর বয়সের আগে বাবা হওয়া তাদের স্বাস্থ্যের গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে, এমনকি মধ্যবয়সে অকালমৃত্যুও হতে পারে।

  বাড়তি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে জীবনধারায় অনিয়ম পুরুষদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক চাপ, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, স্থূলতা— পুরুষের বন্ধ্যত্বের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় কোন ৭টি সহজলভ্য খাবার ?.


পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় কোন ৭টি সহজলভ্য খাবার ?.

  যৌন ক্ষমতা সবার সমান না, আর সমানও হওয়ার কথা না। যৌন দুর্বলতা হচ্ছে এমন একটি বিষয়, যা পুরুষের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক এবং অপমানজনকও বটে। যৌন দুর্বলতার জন্য আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন কোন কোন পুরুষ, এমন ঘটনার নজিরও কম নেই। বর্তমান যুগে স্ট্রেসে ভরা জীবনযাপন পদ্ধতি, ভেজাল খাদ্য সহ নানান ধরণের রোগের কারণে শারীরিক অক্ষমতায় ভোগা পুরুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। 

  যদিও এই দুর্বলতা কাটিয়ে যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে উপযুক্ত ‍পুরুষ প্রমাণ করতে ও ভয়ভীতি থেকে মুক্তি দিতে পারে সঠিক খাদ্য, সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি। যৌনতার ক্ষেত্রে পুরুষের দুর্বলতা দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে কিছু প্রাকৃতিক খাবার। না, বিদেশী কোন বহুমূল্য খাদ্য নয়। বরং আপনার হাতের কাছেই মিলবে এমন ৭টি খাবার । চিনে নিন আজ, যা যৌন দুর্বলতা দূর করে শারীরিক সক্ষমতা ফেরাতে সক্ষম।

১) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে খুবই সহজলভ্য একটি খাবার হচ্ছে এই চীনাবাদাম। পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। এই বাদাম খুব ভালো প্রাকৃতিক উৎস Amino Acid ও L-arginine এর, যা পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয়। Dr. Nicholas Perricone এর মতে, L-arginine পুরুষাঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে যা যৌন মিলনের সময় পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন এক মুঠো চীনাবাদাম হতে পারে পুরুষের পরম বন্ধু।

২) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে রসুন। রসুনে আছে Allicin, যা যৌনাঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। সঠিক রক্ত চলাচল পুরুষাঙ্গের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে দ্রুত বীর্যপতন প্রতিরোধ করে। রান্নায় তো বটেই, নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস হার্টের অসুখের পাশাপাশি যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

৩) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ডুমুর। এই ফলটিকে পরম অবহেলার চোখে দেখা হলেও ডুমুরের গুণের শেষ নেই। ডুমুরে আছে উচ্চ মাত্রায় Amino Acids যা সকল হরমোনের ভিত্তি রূপে কাজ করে। দেহে Amino Acids এর অভাব হলে যৌন দুর্বলতা ও যৌনতায় অনাগ্রহ দেখা দিতে পারে।

৪) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কলা। কলা অত্যন্ত সহজলভ্য ফল। এই কলা অসংখ্য গুণের আধার। হ্যাঁ, পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অত্যন্ত সহায়ক। কলা দেহে প্রচুর এনার্জি যোগায়। এতে আছে একটি বিশেষ এনজাইম Bromelain, যা পুরুষের যৌন দুর্বলতা রোধ করতে সহায়ক। এছাড়া আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা যৌনতার সময় ভরপুর এনার্জি যোগায়।

৫) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে চিনি ছাড়া চকলেট। যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চকলেট সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে, কারণ এতে আছে Phenylethylamine ও Alkaloid । Phenylethylamine যৌন মিলনের সময় সুখানুভূতি যোগায়, অন্যদিকে Alkaloid এনার্জি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে যা সঠিক ও আনন্দময় যৌন মিলনের জন্য জরুরী। তবে চিনি সহ মিল্ক চকলেট নয়, ডার্ক চকলেট হতে হবে। আর আজকাল ডার্ক চকলেট বেশ সস্তা। ক্যাডবেরী কোম্পানির স্বল্প চিনির ডার্ক চকলেট কিনতে পারবেন বেশ অল্প দামেই।

৬) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে শাকসবজি ও ফলমূল। শাকসবজি-ফলমূল উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এ কথা আমরা সবাই জানি। দেহের রক্ত সচালল বৃদ্ধি করতে, এনার্জি ধরে রাখতে ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী থাকতে প্রয়োজনীয় সকল উপাদান আছে সাধারণ শাকসবজি ও ফলমূলে।। নানান রঙের শাকসবজি প্রতিদিন রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। কাঁচা সবজির সালাদ সবচাইতে বেশি উপকারী। নানান রকমের সবুজ শাক থেকে শুরু করে টমেটো, কুমড়া সহ নানান রকমের মৌসুমি ফল ও সবজি খাবেন প্রতিদিন।

৭) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কুমড়ার বীজ। ছেলেবেলায় কুমড়ার বীজ ভাজা খেয়েছেন কখনো? এই অবহেলিত খাবারটি কিন্তু পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। কুমড়ার বীজে আছে উচ্চমাত্রায় জিঙ্ক, Antioxidants Selenium ও ভিটামিন ই। এই উপাদানগুলো দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ও যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বুধবার, ১ জুন, ২০২২

এই গরমে কি কি কারনে বেশী বেশী তরমুজ খাবেন ?.



এই গরমে কি কি কারনে বেশী বেশী তরমুজ খাবেন ?.
 
 গরমে তরমুজ খেতে যেমন ভাল লাগে, তেমনই তা শরীরের নানাবিধ উপকার করে। কিডনি, হৃদপিন্ড সুস্থ রাখতে, হিট স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমাতেও তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে তরমুজ বেশি খেলে বা ভুল সময় খেলে কিন্তু হিতে বিপরীত ফলও হতে পারে। শরীর ঠান্ডা রাখবে বিষয়টি ভেবে অনেকে রাতের বেলা তরমুজ খেয়ে থাকেন যা বিপদ ডেকে আনতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই গরমে তরমুজ খাওয়ায় উপকারিতা।

১। লাইকোপিনে ভরপুর –

  তরমুজে আছে লাইকোপিন (lycopene) নামক এক ধরণের এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এই লাইকোপিন অন্যান্য শাক-সব্জির তুলনায়, এমনকি টমেটোর তুলনায় তরমুজে অনেক বেশী পরিমাণে থাকে। লাইকোপিন পেতে লাল টকটকে তরমুজের টুকরো খাবেন, হলুদ বা কমলা রঙের নয়। এছাড়া বিচি ছাড়া তরমুজে লাইকোপিন বেশী থাকে।

২। সূর্য রশ্মি থেকে রক্ষা করে তরমুজ –

  তরমুজের লাইকোপিন এই ফলটিকে যেমন সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে তেমনি এটা খেলেও লাইকোপিন আপনার ত্বককে এই ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে। 

৩। হার্টের সুস্থতা –

  তরমুজের সিট্রালিন নামক এমিনো এসিড শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এবং ব্লাড প্রেশার কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে লাইকোপিন হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়। তবে হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমাতে চাইলে খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি জীবনধারারও পরিবর্তন আনতে হবে যেমন, ধূমপান ত্যাগ, ব্যায়াম, চর্বি কম খাওয়া, ইত্যাদি।

৪। হাড়ের জয়েন্টের সুরক্ষা –

  তরমুজের প্রাকৃতিক উপাদান বেটা-ক্রিপটোয্যান্থিন (Beta-cryptoxanthin) হাড়ের জয়েন্টকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে এই উপাদানটি রুমাটয়েড আর্থাইট্রিসের ঝুঁকিও কমায়।

৫। দৃষ্টিশক্তি –

  শুধু এক স্লাইস তরমুজে আপনি পাবেন আপনার প্রতিদিনের চাহিদার ৯-১১% ভিটামিন এ। এই ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

৬। জলযোজন –

  তরমুজ খুব সহজ ভাবেই আপনাকে জলযোজিত রাখবে কারণ এর ৯২%-ই জল। আপনার শরীরের প্রতিটি কোষেরই জলের দরকার। সামান্য জলের অভাব আপনাকে ক্লান্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে পারে।

৭। ত্বকের কোমলতা –

  তরমুজে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, এবং ভিটামিন সি আপনার ত্বককে নরম, মসৃণ ও কোমল রাখে। এতে অনেক জল থাকায় এটা ফেস মাস্ক হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। ১ টেবিল চামচ তরমুজের রসের সাথে ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে মুখমন্ডলে মাখুন। ১০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে এবং ত্বককে রাখবে নরম।

৮। মিষ্টির পরিবর্তে তরমুজ খান –

  অনেক সময়ই আমাদের মিষ্টি বা আইস ক্রিম খাবার অভিলাষ জাগে। এই ক্রেভিং দূর করতে তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজ অনেক মিষ্টি কিন্তু এ্ক কাপ তরমুজে আছে মাত্র ৪৫ ক্যালরি, আর সম পরিমাণ আইস ক্রিমে আছে ৩০০ ক্যালরি। এছাড়া এতে তরমুজ ফ্যাট ফ্রি, কোলেস্টেরল অনেক কম, এবং এতে কোন সোডিয়াম নেই।

৯। ব্যায়ামে শক্তি যোগায় তরমুজ –

  তরমুজে এন্টিঅক্সিডেন্ট, এমিনো এসিড এবং অনেক জল থাকায় এটা ব্যায়ামের জন্য ভাল একটি খাবার। এছাড়া এতে আছে অনেক পটাশিয়াম যা ব্যায়ামের সময় মাংসপেশীর খেঁচুনি বা ক্র্যাম্প কমায়। ব্যায়ামের পর এক গ্লাস তরমুজের রস আপনাকে দেবে শক্তি এবং দূর করবে পেশীর ব্যথা।

১০। ব্লাড সুগার বাড়ায় না –

  ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন? নিশ্চিন্তে তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স হচ্ছে ৮০, কিন্তু এতে আছে খুব কম শর্করা। তার মানে গ্লাইসেমিক লোড হচ্ছে মাত্র ৫। তাই ব্লাড সুগারের চিন্তা থাকলে তরমুজ খেতে ভয় পাবেন না।

১১। সহজে হজম হয় –

  আপনার বদহজমের সমস্যা থাকলে তরমুজ খেতে পারেন। এটা সুস্বাদু, নরম এবং মাংসাশী একটি ফল যা আপনার অন্ত্রকে খাদ্য হজম করতে সহায়তা করবে।

তরমুজ সংরক্ষণ –

  তরমুজ কাটার আগে ভাল করে বাইরের অংশ ধুয়ে নিন। তরমুজ সবচেয়ে সুস্বাদু হয় কাটার ঠিক পরপর খেলে। আর সংরক্ষণ করতে চাইলে ফ্রিজে ৫দিন পর্যন্ত রাখতে পারবেন। 

তরমুজ কখন খাবেন –

  বিশেষজ্ঞদের মতে, সকাল বা বিকেলের দিকেই তরমুজ খাওয়ার আদর্শ সময়। সেই সঙ্গেই অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এর ফলে তরমুজ থেকে শরীর খারাপ হওয়ার ঝুঁকি কমে। জল থেকে তুলে তরমুজ টাটকা খাওয়াই ভাল।

পাকা তরমুজ কিভাবে চিনবেন –

  তরমুজ হাতে নিয়ে দেখুন। যদি দেখেন ভারী তাহলে বুঝবেন এই তরমুজ পাকা ও রসালো। পাকা তরমুজে রস থাকে। দেখুন তরমুজের গায়ে হলুদ ঘোলাটে দাগ তৈরি হয়েছে কিনা। সূর্যের আলোয় তরমুজের গায়ে এমন দাগ তৈরি হয়। দাগ থাকলে এটা পাকা তরমুজ। তরমুজের গায়ে টোকা বা চড় মেরে দেখুন। যদি ফাঁপা শব্দ হয় তাহলে বুঝবেন এতে অনেক জল আছে, তার মানে পাকা। পাকা তরমুজের গা সমান, মসৃণ ও সব দিক থেকে একই রকম দেখতে হবে। কোনও দাগ থাকবে না। পাকা তরমুজের রং গাঢ় সবুজ ও কালচে হবে। যদি হালকা সবুজ, চকচকে রঙের হয় তাহলে বুঝবেন তরমুজ এখনও পাকেনি।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।