বিবিধ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিবিধ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

বাড়ির বিদ্যুতের বিল সহজ উপায়ে কীভাবে কমাবেন ?.


বাড়ির বিদ্যুতের বিল সহজ উপায়ে কীভাবে কমাবেন ?.

  আজকাল প্রায় সব বাড়িতেই এসি, কুলার, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন,কিচেন চিমনি, মাইক্রোওভেন এর মতো ইলেকট্রনিক্স অ্যাপলায়েন্স (Electronics Appliances) ব্যবহার হচ্ছে। আর এই কারণেই ক্রমাগত বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল। কিন্তু এমন কিছু উপায় আছে যা অনুসরণ করলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কমানো যেতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী –

১) এসি কেনার সময় ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং দেখে নিন। উইন্ডো এসির পরিবর্তে ইনভার্টার এসি (AC) ব্যবহার করলে খরচ অনেকটা কমবে, এছাড়াও এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে রাখুন। নিয়মিত এসির ফিল্টার পরিষ্কার না করলে বিল বেশি আসবে৷

২) বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য সব ডিভাইসের সুইচ বন্ধ করুন। কারণ বেশিরভাগ ডিভাইস স্ট্যান্ডবাইতে রাখার কারণে অকারণে বিদ্যুৎ বিল বাড়তে থাকে। তাই সব অ্যাপলায়েন্স সুইচ থেকে বন্ধ করে বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো যেতে পারে।

৩) কোথায় ও কী ভাবে ফ্রিজ লাগানো হয়েছে তা বিদ্যুৎ বিলের (Electric Bill) উপরে প্রভাব ফেলে। ঘরে এমন জায়গায় ফ্রিজ রাখা উচিত যেখানে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল করতে পারে। দেওয়াল থেকে অন্তত ২ ইঞ্চি দূরে রাখা উচিত ফ্রিজ।

৪) ঘরে কেউ না থাকলে অকারণে ফ্যান চালিয়ে রাখবেন না এবং সবসময় রেগুলেটর থেকে বন্ধ না করে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করবেন। আগে সিলিং ফ্যানে 90 ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ হতো। এখন তা কমে ২৫-৩০ ওয়াট হয়েছে। যেহেতু ঘরে বেশিরভাগ সময় ফ্যান চলতে থাকে তাই নতুন প্রযুক্তির ফ্যান ব্যবহারে অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন।

৫) ঘরে আলো বদল করেও অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যেতে পারে। পুরনো টিউব লাইটে প্রায় ৪০ ওয়াট এর বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়, যদিও এলইডি (LED) আলো লাগিয়ে বাড়িত বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কমাতে পারবেন।

৬) ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারে অনেক বেশি বিল আসে৷ তাই খরচ কমাতে চাইলে অল্প জামা কাপড় হাতে কাচতে পারেন এবং ড্রায়ার ব্যবহারের বদলে বারান্দা বা ছাদে কাপড় শুকোতে দিতে পারেন৷

৭) ওয়ার্ক ফ্রোম হমার ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ বেবহার করছেন অনেকেই ৷ তবে যখন উঠছেন অর্থাৎ ব্রেক নিচ্ছেন, তখন কম্পিউটার স্লিপ মোডে রাখলে কিছুটা সাশ্রয় হবে বিলে৷

৮) ইস্ত্রি মেশিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাওয়ার বেশি লাগে৷ তাই একবার মেশিন গরম হলে সেটা বন্ধ করে জামা কাপড় ইস্ত্রি করে আবার ঠান্ডা হলে সুইচ অন করতে হবে৷ এতে কম খরচ হবে বিদ্যুৎ৷

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

পৃথিবীতে কোন দেশের মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সুন্দরী ?.


পৃথিবীতে কোন দেশের মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সুন্দরী ?.

   নারীর সৌন্দর্য নিয়ে কবি, সাহিত্যিকরা কত কবিতা ও গল্পই না লিখেছেন। প্রত্যেক নারীর মধ্যে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য আছে। তবুও কয়েকটি দেশের নারীরা তাদের সৌন্দর্যের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। তেমনই একটি দেশ ইউক্রেন।

  রাশিয়ার পর ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ইউক্রেন। ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর, এটি এখন একটি পৃথক দেশ। এখানে কৃষি থেকে প্রচুর আয় হয়। কৃষি উৎপাদনের দিক থেকে ইউক্রেন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এখানে শিক্ষিতরাও আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন।

  জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ গ্রামে বাস করে। এর পূর্বে রাশিয়া, উত্তরে বেলারুশ, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, পশ্চিমে হাঙ্গেরি, দক্ষিণ-পশ্চিমে রোমানিয়া ও মলদোভা এবং দক্ষিণে কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগর রয়েছে। ইউক্রেনের জীবনযাত্রা বেশ ভালো। সোভিয়েত ইউনিয়নের থেকে আলাদা হওয়ার পরে এটি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল।

  তবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও এর উন্নতি আরো ভালো হয়েছে। ইউক্রেনের শহরগুলো সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন থাকে। কিয়েভ ইউক্রেনের রাজধানী। ইউক্রেন বিমান তৈরির জন্যও বিখ্যাত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানও তৈরি করেছে ইউক্রেন। এখানকার জনসংখ্যার অধিকাংশই খ্রিস্টান, যারা ইউক্রেনীয় ভাষায় কথা বলেন। ক্রিমিয়া নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে এই দেশের বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।

  এখানকার মেয়েদের পৃথিবীর সব থেকে সুন্দরী হিসেবে গণ্য করা হয়। তারা বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভালোবাসার যোগ্য। এখানে ডেটিং বেশি হয়, তবে ইউক্রেনের মেয়েরা খুবই আবেগপ্রবণ এবং মেজাজপূর্ণ। তারা স্মার্ট এবং শান্ত স্বভাবের। এখানে মেয়েরা তাদের নিজস্ব ইচ্ছে অনুযায়ী জীবন কাটানোর স্বাধীনতা পায়।

  ইউক্রেনের আবহাওয়া একেক জায়গায় একেকরকম। ইউক্রেন আয়তনে এত বড় যে এর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে বিভিন্ন ধরনের আবহাওয়া রয়েছে। এখানে উত্তরে গড় তাপমাত্রা ৫.৫ ডিগ্রি থেকে ৭ ডিগ্রি, দক্ষিণে ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি থাকে। গ্রীষ্মকাল খুব গরম হয় না। তাপমাত্রা ১৭ থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। তবে এখানকার শীত রুক্ষ এবং প্রচুর বরফ পড়ে।

  ইউক্রেনের ঐতিহ্যবাহী খাবার খুবই সুস্বাদু। মুরগির মাংস, শুয়োরের মাংস, গরুর মাংস, ডিম, মাছ এবং মাশরুম এখানে বেশ জনপ্রিয়। ইউক্রেনের লোকেরা আলু, শস্য এবং তাজা শাকসবজি এবং ফল পছন্দ করেন।

 এসব খাবার ছাড়াও ওয়াইন এবং বিয়ার খুব পছন্দ করেন। এখানকার খাবারে বৈচিত্র্য বেশি। ইউক্রেন বিভিন্ন ধরণের রুটির জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত। এখানকার মানুষ রুটি খেতে ভালোবাসে। খাবার এবং স্ন্যাকসেও পনির প্রচুর ব্যবহার করা হয়। এখানে প্রতি ১০০ মিটারে একটি ক্যাফে অবশ্যই পাওয়া যায়।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

নতুন এসি কিনবেন, ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার কোনটি ভাল ?.


নতুন এসি কিনবেন, ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার কোনটি ভাল ?.

  ভারতের ইলেক্ট্রনিক্স বাজারে একাধিক এয়ার কন্ডিশনার বা এসি (AC) বিদ্যমান রয়েছে। তবে আমরা এখানে কিন্তু উইন্ডো এসি বা স্প্লিট এসির কথা বলছি না। বরং, ইনভার্টার এসি (Inverter AC) এবং নন-ইনভার্টার এসি (Non-Inverter AC) মডেলের ব্যাপারে বলছি।

  আপনারা অনেকেই একটি এসি কিনতে যাওয়ার সময়, উইন্ডো বা স্প্লিট, কোন ধরণের মডেল চান তা উল্লেখ করে দেন। কিন্তু তাতে ইনভার্টার নামক পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসটি আছে কিনা তা জানতে চান না। এর মূল কারণ, এই প্রযুক্তিটি কি বা এর কার্যকারিতা কিরূপ সেই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই সম্মক ধারণা নেই।

  যদিও নতুন এয়ার কন্ডিশনার কেনার পূর্বে ইনভার্টার-সহ এসি এবং ইনভার্টার-বিহীন এসি মডেলের মধ্যের পার্থক্যগুলি জানা খুবই দরকার। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজ আমরা এই প্রতিবেদনে, উক্ত দু’ধরণের এসি মডেল ব্যবহারের লাভ ও লোকসান সংক্রান্ত পার্থক্য ব্যাখ্যা করবো। চলুন ইনভার্টার এসির থেকে নন-ইনভার্টার এসি কেন আলাদা তা বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

Inverter AC vs Non Inverter AC : বৈদ্যুতিক বিল-

  এসি কেনা বা ব্যবহারের সময়, কত টাকা বৈদ্যুতিক বিল আসতে পারে তা ভেবেই আমাদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে। এক্ষেত্রে বলে দিই যে, নন-ইনভার্টার এসির তুলনায় ইনভার্টার এসি মডেলগুলি অনেক কম বিদ্যুৎ ব্যয় করে। যার দরুন, ইলেক্ট্রিসিটি বা বৈদ্যুতিক বিল খুবই কম আসে এবং টাকাও সাশ্রয় হয়। অতএব, ইনভার্টার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার পাশাপাশি মাসিক বাজেটকে বেহাল হওয়ার থেকেও বাঁচায়।

  নন-ইনভার্টার এসির তুলনায় ইনভার্টার এসি রুমকে দ্রুত ঠান্ডা করে। আপনাদের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, ইনভার্টার নামক সার্কিটরিটি এসি কম্প্রেসারের মোটর স্পিড নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করে। তাই রুম ঠান্ডা হয়ে গেলে, ইনভার্টার কম্প্রেসারকে বন্ধ হতে দেয় না, বরং কম স্পিডেও সেটিকে চলমান রেখে ঘরের তাপমাত্রা বজায় রাখে। অন্যদিকে, নন-ইনভার্টার এসির ক্ষেত্রে এরূপ কোনো সুবিধা পাওয়া যাবে না।

Inverter AC vs Non Inverter AC : দাম -

  ভারতে অনেক কম দামি নন-ইনভার্টার এসি মডেল পেয়ে যাবেন আপনারা। কিন্তু এই মডেলগুলি তুলনায় অনেক বিদ্যুৎ খরচ করে এবং একই সাথে ভারী বৈদ্যুতিক বিলের বোঝাও ব্যবহারকারীদের ঘাড়ে চাপায়। অন্যদিকে, ইনভার্টার এসি মডেলগুলি, দামের নিরিখে নন-ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনারের তুলনায় কিছুটা বেশি ব্যয়বহুল। 

  তবে, কেনার সময়ে বেশি টাকা খরচ করতে হলেও, সারা জীবনের জন্য মোটা অঙ্কের বৈদ্যুতিক বিল শোধ করার ঝামেলা পোহাতে হবে না। সোজা কথায় বললে, ইনভার্টার এসি যেহেতু কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, সেহেতু ইলেকট্রিক বিলের ক্ষেত্রে আপনার টাকা সাশ্রয় করতে সহায়তা করবে। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২

কোন ৬টি কারণে ফুলে যায় মোবাইলের ব্যাটারি এবং ফেটে যায় ফোন ?.


কোন ৬টি কারণে ফুলে যায় মোবাইলের ব্যাটারি এবং ফেটে যায় ফোন ?. 


 বর্তমান স্মার্টফোনের যুগে স্কুল স্টুডেন্ট থেকে সবার হাতে হাতে ঘুরছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ফুলে যাওয়া, ফেটে যাওয়ার মতো ঘটনা। ফোনের ব্যাটারি ফুলে যাওয়া বা ফেটে যাওয়ার এমন ঘটনা প্রায় আমাদের চোখে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষজনের মধ্যে তারপর থেকে ভীতির সঞ্চার ঘটেছে।

 
 চলুন আজ আপনাদের বলবো স্মার্টফোনের ব্যাটারি ফুলে যাওয়া বা ফেটে যাওয়ার কারণ কি কি থাকতে পারে। যেগুলি জানার পর সামান্য সচেতনতা অবলম্বন করলেই এরকম ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। জেনে নিন ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আর সচেতন হোন এই বিষয়ে।

১)  হাত থেকে ফোন বারংবার পড়ে যাওয়া –

  আমাদের হাত থেকে ফোন যদি বারবার পড়ে যায়, তখন ব্যাটারি ফিজিক্যালি কিছু ড্যামেজ হয় এর ফলে শর্ট সার্কিট, ওভার হিটিং ইত্যাদি হতে পারে। যদি মনে হয় ব্যাটারি ঠিকঠাক নেই তখনই বদলে ফেলুন ব্যাটারি।

২) সস্তার চার্জার ব্যবহার –

  আপনার পুরোনো চার্জারটি নষ্ট হয়ে গেছে অমনি আপনি একটা সস্তার চার্জার কিনে নিলেন। আবারও বলছি বাজার চলতি এইসব সস্তার চার্জার থেকে সাবধান। এটি ফোন ব্লাস্টের অন্যতম কারণ।

৩) ব্যাটারির তৈরির সময় কিছু ত্রুটি –

  এই ভুলটিতে ব্যবহারকারীদের কোনো হাত নেই। ফোনটি তৈরি করার সময় যদি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিকে সঠিকভাবে পরীক্ষা না করা হয় তবে ফুলতে পারে, ফাটতে পারে।

৪) অতিরিক্ত চার্জ দেওয়া –

  আমরা অনেকেই সারারাত ফোন চার্জে বসিয়ে দিই। এটির ফলে ফোন ওভার হিটিং করে ও ব্যাটারিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এই কাজ থেকে দূরে থাকুন।

৫) অতিরিক্ত গেম খেলা –

  ফোন গরম হওয়ার জন্য অন্যতম একটি জিনিস হলো প্রসেসর। অতিরিক্ত গেম খেললে প্রসেসরের উপর চাপ পড়ে। এর ফলে ফোন গরম হয়ে ব্যাটারি ফেটে যেতে পারে।

৬) অধিক সময় ফোন রোদে ফেলে রাখা –

  ফোনকে যদি অনেকক্ষণ রোদে ফেলে রাখেন তাহলে ফোন গরম হয়ে যেতে পারে। ফোনের স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলো পড়লে ফোন গরম হয় এটি এক গবেষণায় প্রমাণিত। এজন্য বাইরে যখন যাবেন তখন ফোনকে ব্যবহার যদি না করেন তাহলে হাতে নিয়ে ঘুরবেন না একটা ব্যাগের মধ্যে রাখুন। এতে আপনার ফোন সুরক্ষিত আর আপনিও।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২

বাড়িতে বা ঘরে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত ?.


বাড়িতে বা ঘরে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত ?.

  নগ্ন ছবি থেকে শুরু করে নগ্ন কথাবার্তা সবকিছুই আমরা পছন্দ করি। কিন্তু নগ্নতা এমন একটি প্রসঙ্গ যা মানুষ সকলের সামনে কথা বলতে লজ্জা পায়। নগ্নতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মনে পড়ে যায় ছত্রাক সিনেমা নিয়ে চন্দ্রিল ভট্টাচার্য-এর একটি কথা।

   আমরা যে জিনিস সকলের সামনে দেখতে পারিনা, তাকেই আমরা অসংস্কৃতির আখ্যা দিই। আজ কথা বলব, নগ্নতা নিয়ে কিছু কথা। বিশেষজ্ঞ পল্লবী পাল কে একজন তরুণ চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তার মা একজন ফরাসি এবং বাবা ভারতীয়। 

  প্রথম থেকেই নগ্নতা নিয়ে মায়ের মধ্যে কোন দ্বিধা বোধ কাজ করে না। খুব স্বাভাবিক ভাবেই স্নানের শেষে তিনি নগ্ন হয়ে বেরিয়ে আসেন বাথরুম থেকে। তারপর পোশাক পরেন।

  তবে আমরা ভারতীয়রা এই সমস্ত দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত নই। বিশেষত আমাদের মা কাকিমারা যারা একই সঙ্গে বসবাস করেন, তারা এই রকম দৃশ্য দেখলে নেহাতই রাগ করবেন। ফরাসি মায়েরে বাথরুম থেকে নগ্ন অবস্থায় বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা তরুণ তরুণের অসম্ভব চাপ সৃষ্টি করেছিল। তিনি জানতে চেয়েছিলেন যে, ভারত হোক অথবা অন্য কোন সমাজ, বাড়িতে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো ঠিক কতটুকু যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করছেন মনোবিশেষজ্ঞ পল্লবী। এই প্রসঙ্গে পল্লবী যা যা বলেছেন তা আমরা এক নজরে দেখে নেব।

  সবার প্রথমে বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে, আগে তরুণকে নিজের মনের অস্বস্তি কাটাতে হবে। মাকে নগ্ন দেখা একটি অস্বস্তির কারণ হতে পারে। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখতে হয়, মা শুধুমাত্র একজন নারী নয় তার সঙ্গে একজন মানুষ ও। অতএব তাকে ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রদান করা শিখতে হবে সকলের আগে।

  যদি শুধুমাত্র নগ্নতাই অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে নিজের মন থেকে দ্বিধা কাটিয়ে উঠতে হবে সকলের আগে। আমাদের দেশে প্রাচীনকালে যে সমস্ত ভাস্কর্য তৈরি হতো তার বেশিরভাগ, নগ্ন তাকে কেন্দ্র করেই তৈরি করা হতো। আমাদের প্রাচীন ভাস্কর্য দেখতে যখন আমাদের কোনো দ্বিধা বোধ হয় না, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মনের সংকোচন বিসর্জন দিয়ে দেওয়া ভালো।

  আরেকটি কথা মনোবিশেষজ্ঞ পল্লবী উল্লেখ করেছেন তা হল, শুধু তরুণ কেন, তার মতো অনেকেই আছেন যারা বাড়িতে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করেন না। এরকম যদি হয় তাহলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে নম্র ভাবে কথা বলে নিজের সমস্যা কার সঙ্গে আগে আলোচনা করতে হবে। তরুণ তার মাকে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় তোয়ালে ব্যবহার করার পরামর্শ দিতে পারেন।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২

বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করার সহজ ও কার্যকরী ৬টি কৌশল কী কী ?.


বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করার সহজ ও কার্যকরী ৬টি কৌশল কী কী ?.

  সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ফাংগাস, ব্যাক্টেরিয়া খুব সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। আর সেখান থেকেই ছড়ায় রোগজীবাণু ও ঘটে থাকে আকস্মিক দুর্ঘটনা। পরিবারে যদি ছোটো বাচ্চা এবং বয়স্ক মানুষ থাকে, তখন বাথরুমের টাইলস ক্লিন করার কথা আমাদের অনেক গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও নিয়মিত বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার না করলে, অবাঞ্ছিত কালো দাগ পড়ে বাথরুমের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

  সুতরাং আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করুন। জেনে নিন কীভাবে বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করা যায়।

১। বাথরুমের মেঝে শুকিয়ে ফেলুন:-

  বাথরুম পরিষ্কার করার আগে একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মেঝে, দেয়াল ভাল করে মুছে নিন। এমনভাবে মুছে ফেলুন যাতে বাথরুম একদম শুকিয়ে যায়। এই একটি কাজ বাথরুম ধোয়ার কাজটি আরও সহজ করে দেবে। এতে করে বাথরুমের বাড়তি ময়লা ও তলানি পরিষ্কার করা সহজ হবে।

২। টাইলস ক্লিনার ব্যবহার করুন: -

  সম্পূর্ণ বাথরুমের টাইলসে টাইলস ক্লিনার বা টয়লেট ক্লিনার ছিটিয়ে দিন। এবার এই ক্লিনার দিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। লক্ষ্য রাখবেন ক্লিনার দিয়ে খুব বেশিক্ষণ রাখবেন না। আপনি চাইলে এটি প্রতিদিন করতে পারেন।

৩। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন:-

 টাইলস পরিষ্কার করার জন্য শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন। শক্ত ব্রাশ দিয়ে টাইলসের মেঝে ভাল করে ঘষুন। পুরোতন অব্যহৃত টুথব্রাশ দিয়ে বাথরুমের কোণাগুলো পরিষ্কার করুন। টাইলসের জোড়া লাগানো স্থানের কোনায় কোনায় ময়লা জমে কালচে দাগ পড়ে, সে স্থানগুলোও টুথব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

৪। জল দিয়ে পরিষ্কার করুন: -

 ব্রাশ দিয়ে ঘষার পর ময়লা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেশি পরিমাণে জল ঢালুন যাতে করে বাথরুমের কোনায় কোনায় জমে থাকা ময়লা সব ধুয়ে চলে যায়।

৫। ভিনেগার:-

 সমপরিমাণে ভিনেগার এবং জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার এটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফেলুন। এবার এটি দিয়ে টাইলসের উপর বিশেষ করে ময়লা দাগের উপর স্প্রে করুন। এভাবে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর ঘষুন তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনি বেসিন, টাইলস, কেবিনেট সব পরিষ্কার করতে পারবেন।

৬। বেকিং সোডা: -

 একটি কাপড়ে বা স্পঞ্জে বেকিং সোডা লাগিয়ে টাইলসের ময়লা দাগের উপর লাগিয়ে নিন। এবার এটি কিছুক্ষণ ঘষুন। এছাড়া বেকিং সোডা এবং জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি টাইলসে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ঘষুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগারের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তেল, চর্বিজাতীয় দাগ পড়ে টাইলস যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য যেসব স্থানে দাগ পড়বে সঙ্গে সঙ্গে তা সাবানের জল দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। এতে দাগ স্থায়ী হবে না। বেকিং পাউডার এবং ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে বাথরুমে ব্যবহার করতে পারেন, এটি বাথরুম পরিষ্কার করার পাশাপাশি জীবাণুমক্ত রাখবে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২

সংসারের খরচ কমানোর ১৫ উপায় কি কি ?.


সংসারের খরচ কমানোর ১৫ উপায় কি কি ?.
   দৈনন্দিন জীবনে চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই। কিছুতেই রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না সংসারের খরচের। আয়ের তুলনায় ব্যয়ের মিল নেই। তাই মাস শেষে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই আপনি আপনার প্রতি মাসের খরচ যেমন কমিয়ে আনতে পারেন, তেমনি পারেন সেই টাকা থেকে কিছুটা আপনার ভবিষ্যতের জন্যে সঞ্চয় করতে। কিভাবে সংসারের খরচ কমানো যায় তাই আজ পাঠকদের জন্য তেমনই ১৫টি টিপস নিচে তুলে ধরা হলো।
১) ঋণ শোধ করুনঃ -

 মাসের শুরুতে বেতন পেয়েই সবার আগে আপনার ঋণ শোধ করতে চেষ্টা করুন। পুরোটা না পারলেও যতটা সম্ভব করুন। ঋণ শোধ না করে সঞ্চয়ের পথে পা ভুলেও বাড়াতে যাবেন না।

২) প্রতিদিন কিছু না কিছু জমানঃ -

 প্রতিদিনই চেষ্টা করুন কিছু না কিছু টাকা জমাতে। হতে পারে সেটা ১০-১০০ টাকা। যাই হোক না কেন জমান। এবং সেটার কথা ভুলে যান। ভুলেও সেটায় হাত দেবেন না।

৩) সন্তানকে সঞ্চয় করতে শেখানঃ-

 সন্তানকে ছোট্ট একটা ব্যাঙ্ক কিনে দিন। মাটির বা প্লাস্টিকের। খুব রঙ্গিন বা আকর্ষনীয় পুতুল আকারের ব্যাঙ্ক কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলোর একটা কিনুন ও তাকে টাকা জমাতে সাহায্য করুন।
৪) কিছু কেনার আগে ভাবুনঃ -

আমাদের অনেকেরই অভ্যাস হল রাস্তায় যেতে যেতে কোন দোকানে কিছু পছন্দ হলে হুট করে কিনে ফেলা। এটা করার ফলে বেশীরভাগ সময়েই আমরা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে ঘর বোঝাই করে ফেলি। জিনিস পছন্দ হয়ে গেলেই হুট করে কিনে না ফেলে একটু ভেবে নিন। দরকার হলে ১/২ দিন পরে কিনুন।

৫) শপিং এ যাবার আগে লিস্ট করুনঃ -

 শপিং এ যাবার আগে লিস্ট করুন। জামা কাপড় কেনার আগে দেখে নিন আপনার কি কি আছে এবং কি কি আসলেই কেনা প্রয়োজন।

৬) লক্ষ্য ঠিক করুনঃ -

 ভবিষ্যতে আপনার বিগ বাজেটের কি কি কিনতে হবে সেটার একটা তালিকা করে সময়সীমাও নির্ধারণ করুন। যেমন, ৫ বছর পর ফ্ল্যাট, ১ বছর পর টিভি আর এক মাস পর ওভেন। এভাবে ঠিক করে কত টাকা করে জমালে এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব, সেটি খেয়াল রাখুন ও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।
৭) বাজেট করুনঃ -

 একটি বাজেট করুণ এক বছরের। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসুন। সবার মতামত নিন। এতে পরবর্তীতে জটিলতা তৈরি হবে না। প্রয়োজনীয় চাহিদার পাশাপাশি অবশ্যই রাখবেন সঞ্চয়ের খাত আর সেই সাথে জরুরী প্রয়োজনের জন্যে আলাদা একটা বরাদ্দ রাখুন। বছর শেষে ওই টাকাটা বেঁচে গেলে সেটি পাঠিয়ে দিন সেভিংসে।

8) খরচের হিসেব রাখুনঃ -

 প্রতিদিন কোথায় কত খরচ হল তার হিসেব একটা খাতায় লিখে রাখুন। মাস শেষে সেটি নিয়ে বসুন। এবার দেখুন কোন কোন খাতে খরচ বেশী হয়েছে এবং সেগুলো একটু চেষ্টা করলেই কমানো সম্ভব কিনা!

৯) বাইরে খাওয়ার প্রবণতা কমানঃ -

 শহর জীবনে বাইরে খাওয়ার প্রবণতা আমাদের অনেকের মাঝেই লক্ষ্য করা যায়। এলাকায় নতুন রেস্তোরাঁ চালু হয়েছে বলেই যে সেখানে সবাই মিলে খেতে যেতে হবে এমন প্রবণতা কমিয়ে আনা দরকার। প্রতি সপ্তাহে বাইরে খাবার অভ্যাসটা কমিয়ে মাসে একবারে নিয়ে আসুন। মাস শেষে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন দেখে, কি পরিমান টাকা আপনি বাঁচাতে পেরেছেন!
১০) ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমানঃ-

 ক্রেডিট কার্ডটা যতটা সম্ভব বাসায়ই ভুল করে রেখে শপিং এ যান। ক্যাশ ব্যবহার করুন। এতে চাইলেও আপনি যথেচ্ছ টাকা খরচ করতে পারবেন না। দেখবেন এভাবে আপনার অনেক টাকা বেঁচে গেছে।

১১) ব্র্যান্ডিং প্রবণতা ত্যাগ করুনঃ -

 বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পড়ে অযথা ব্র্যান্ডিং প্রবণতায় ভুগবেন না। আপনাকে ভালো মানায় এমন পোশাক বা এক্সেসরিজ ব্যবহার করুন। এভাবেও কিন্তু আপনি ট্রেন্ডি হয়ে উঠতে পারেন। অযথা দাম দিয়ে ব্র্যান্ড এর পোশাক সব সময় পরার চেয়ে কিছু ব্র্যান্ডেড পোশাক কিনে রাখুন বিশেষ উপলক্ষে পরার জন্যে। এতে আপনার অর্থ ও স্ট্যাটাস দুটোই রক্ষা পাবে।

১২) সেভিংস স্কীম খুলুনঃ-

  ব্যাঙ্কে সেভিংস স্কীম অবশ্যই খুলে ফেলুন। মাসিক হারে যতটুকুই সম্ভব যেটা আপনি কোন রকম চাপ না নিয়ে জমাতে পারবেন এরকম হারে ৩-১০ বছর মেয়াদী সেভিংস একাউন্ট খুলুন। এতে আপনি কয়েক বছর পরে ভালো অংকের একটা টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন।
১৩) ইনস্যুরেন্স করুনঃ -

 একটা ভালো কোম্পানিতে ইনস্যুরেন্স করে রাখুন। এতে কোন অনাকাঙ্কখিত দুর্ঘটনায় আপনার অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করতে পারবেন সহজেই। আর সেই সাথে টাকাটা তো জমলই!

১৪) ছাড়ের সময় পণ্য কিনুনঃ -

 অলংকার বা অন্যান্য পণ্যের দামে বছরের বিশেষ কিছু সময়ে ছাড় দেয়া হয়। চেষ্টা করুন সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে পণ্যটি কেনার। এতে আপনার বেশ কিছু টাকা বেঁচে যাবে।

১৫) ঘরের জল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করুনঃ -

 দরকার না হলে ঘরের জলেরর ট্যাপ, চুলা ও ইলেক্ট্রনিক জিনিসপত্রের লাইন অফ করে রাখুন। বিল কম আসবে। ইলেক্ট্রিসিটি না থাকলে মোমের বদলে চার্জার লাইট ব্যবহার করুন। মোমের গলে যাওয়া অংশগুলো জমিয়ে রাখতে পারেন। গলিয়ে মাঝখানে সুতো দিয়ে আবার মোম বানাতে পারবেন। প্রথমবারের চেষ্টায় খরচ আশানুরূপ কমাতে না পারলে হাল ছেড়ে দেবেন না যেন।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে মানুষ কী কী চিন্তা করে ?.


মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে মানুষ কী চিন্তা করে ?.

 মৃত্যুর আগের কিছু মুহূর্তে একজন মানুষের মস্তিষ্কে কী চলে? অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই এই প্রশ্নের জবাব খুঁজে পেলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। মৃত্যুর আগমুহূর্তে মানুষের মস্তিষ্ক তরঙ্গ রেকর্ড করেছেন গবেষকরা। এই আবিষ্কার নিয়ে কোনো ধরনের আগাম প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা ছিল না। 

  কানাডার ভ্যানকুভার জেনারেল হাসপাতালে একদল বিজ্ঞানী এক রোগীর ইলেক্ট্রোএনকেফ্যালোগ্রাফি টেস্ট চলাকালীন সময়ে অপ্রত্যাশিতভাবে রেকর্ডিং করেন যে, মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে মানুষ কী চিন্তা করে? মৃত্যুর আগে মানুষের মস্তিষ্কের এই কার্যক্রম প্রথমবারের মতো রেকর্ডিং করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা

  বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভ্যানকুভার জেনারেল হাসপাতালে মৃগীরোগে আক্রান্ত ৮৭ বছর বয়সী এক রোগীর মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিমাপ করছিলেন একদল বিজ্ঞানী। মস্তিষ্কের তরঙ্গ রেকর্ডিং চলাকালীন সময়ে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ওই রোগী। আর তার ফলেই মৃত্যুর সময় মস্তিষ্কে ঘটে চলা ঘটনাপ্রবাহ রেকর্ডিং হয়ে যায় ইলেক্ট্রোএনকেফ্যালোগ্রাফি (ইইজি) যন্ত্রে।

  রেকর্ডিং পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, এ সময়ে ধরা পড়া মস্তিষ্কের তরঙ্গ সংকেত অবিকল স্বপ্ন দেখা বা স্মৃতিচারণা করার সময়ে উৎপন্ন হওয়া তরঙ্গ সংকেতের মতো। যার মানে, মৃত্যুর মুহূর্তে অতীতের স্মৃতি ফিরে আসে মানুষের মনে।

 ‘ফ্রন্টিয়ারস ইন এজিং নিউরোসায়েন্স’- এ প্রকাশিত গবেষণায় মস্তিষ্কের এ ধরনের কার্যক্রমকে জীবনের ‘অন্তিম স্মৃতিচারণ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা।

  গবেষণার সহ-লেখক ড. আজমল জেমার বলেন, ‘অপ্রত্যাশিতভাবে পাওয়া এই রেকর্ডিং হলো মৃত্যুকালীন কোনো মানুষের মৃস্তিষ্কের প্রথম রেকর্ডিং। এটা আসলে ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেছি আমরা। এ ধরনের গবেষণা করার বা মস্তিষ্কের এই সিগন্যাল রেকর্ড করার পরিকল্পনা আমাদের ছিল না।’

  তার মানে কি জীবনের শেষ সময়টায় আমরা প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানো, সুন্দর স্মৃতিগুলো এক ঝলক দেখতে পাবো? ড. জেমারের মতে, এখনই তা বলে দেওয়া সম্ভব নয়। হতে পারে মস্তিষ্ক সম্ভবত খারাপ স্মৃতির চাইতে ভালো স্মৃতিই মনে করিয়ে দিতে চাইবে। কিন্তু ব্যক্তিভেদে স্মৃতিচারণের ধরন আলাদা হয়।

 ডা. জেমার আরও জানান, মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে ওই রোগীর হৃদযন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্বপ্ন দেখা বা স্মৃতিচারণের সময় আমাদের মস্তিষ্ক যে প্যাটার্নে কাজ করে, ওই মুহূর্তে ওই রোগীর মস্তিষ্কের তরঙ্গও সেই একই প্যাটার্ন অনুসরণ করেছে। রোগীর হৃদস্পন্দন বন্ধ হবার পরেও ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত এই অবস্থা চলমান ছিল।

 এদিকে নতুন এই গবেষণা নতুন একটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, তা হলো- মানুষের মৃত্যু আসলে কখন হয়? যখন হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় তখন? নাকি যখন মস্তিষ্কের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়?

 ডা. জেমারের মতে, মাত্র একটি গবেষণা থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব না। তাছাড়া ওই রোগী ছিলেন মৃগীরোগী; তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল যা বিষয়গুলোকে আরও জটিল করে তোলে।

  গবেষক দলটির প্রত্যাশা, তাদের প্রকাশিত গবেষণার হাত ধরে মানুষের জীবনের অন্তিম মুহূর্ত সম্পর্কে নতুন এক জ্ঞানের দ্বার উন্মোচিত হবে। ড. জেমার বলেন, ‘আমার মনে হয় মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ের যে অভিজ্ঞতা খুব রহস্যময় এবং আধ্যাত্মিক। আর এরকম চমকপ্রদ কিছু আবিষ্কার করাটা এমন একটা মুহূর্ত- যার জন্যই বিজ্ঞানীরা বেঁচে থাকেন।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আপনার পুরনো হয়ে যাওয়া ফোনের আয়ু কিভাবে বাড়াবেন ?.


আপনার পুরনো হয়ে যাওয়া ফোনের আয়ু কিভাবে বাড়াবেন ?.
 প্রতিবছরই নতুন মডেলের স্মার্টফোন বাজারজাত করেছে শীর্ষ প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তার মানে এই নয় যে নির্মাতাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতি বছর স্মার্টফোন পাল্টাতে হবে ব্যবহারকারীকে। একটু যত্নের সঙ্গে ব্যবহার করেই দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য ডিভাইসটির আয়ু বাড়ানো যেতে পারে। পুরনো ডিভাইসের কার্য ক্ষমতা ধরে রেখে আয়ু বাড়ানোর সহজ কয়েকটি কৌশল বাতলে দিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট সিনেট। নিজের ডিভাইসটি পরিষ্কার করে রাখা বা ভালো কভার ব্যবহারের মত সহজ কাজগুলো দিয়েই এর আয়ু বাড়ানো যেতে পারে।

১) এড়ানো যাবে না সফটওয়্যার আপডেট -

ফোনের গতি ধরে রাখার এবং সফটওয়্যার জটিলতা এড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য অ্যাপ নিয়মিত আপডেট রাখা। এই আপডেটগুলোর পেছনে যেমন বেশি সময় খরচ হয় না, তেমনি সফটওয়্যার বাগ ও নিরাপত্তা ত্রুটির মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো এড়ানো যায় সহজে। পাশাপাশি ডিভাইসে যোগ হয় নতুন ফিচার, ডিভাইসের পারফর্মেন্সও বজায় থাকে।

  স্বয়ংক্রিয় অ্যাপ আপডেট মেলে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মে। উভয় প্ল্যাটফর্মেই সাধারণত এটি ডিফল্ট ফিচার হিসাবে চালু থাকে। তারপরও নিশ্চিত হতে চাইলে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে প্রথমে যেতে হবে ‘সেটিংস’-এ। ‘অটো-আপডেট’ ফিচার বন্ধ থাকলে চালু করে নিতে হবে ‘সেটিংস’ থেকেই। আইফোনের বেলাতেও পদক্ষেপগুলো প্রায় একই। প্রথমে যেতে হবে ফোনের ‘সেটিংস’-এ, তারপর অ্যাপ স্টোরে। ‘অ্যাপ আপডেট’ অপশনটি ‘অন’ না থাকলে চালু করে নিতে হবে সেটি।

  আর সিস্টেম আপডেটের বেলায় অ্যান্ড্রয়েডের নিয়মিত নোটিফিকেশনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন ব্যবহারকারী। কোনো কারণে নোটিফিকেশন চোখ এড়িয়ে গেলে ফোনের ‘সেটিংস’ অ্যাপে খুঁজে নিতে হবে ‘সফটওয়্যার আপডেট’ অপশনটি। এই অপশনটি ব্যবহার করে আপডেট করে নিতে হবে ফোনের অপারেটিং সিস্টেম।

  আইওএস প্ল্যাটফর্মেও সিস্টেম আপডেট করা যায় দুই ভাবে। ‘অটোমেটিক আপডেট’ চালু করে রাখতে পারেন ব্যবহারকারী। এক্ষেত্রে অ্যাপল সফটওয়্যার আপডেট উন্মুক্ত করার দু-এক দিন পর আইফোন সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড করে রাখবে এবং ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে না এমন সময়ে আপডেট ইনস্টল করবে। অথবা আইফোনের ‘সেটিংস’ অ্যাপ থেকে ‘জেনারেল’ অপশনে গিয়ে ‘সফটওয়্যার আপডেট’-এ ট্যাপ করতে হবে। ইনস্টল করা হয়নি এমন কোনো সিস্টেম অ্যাপডেট থাকলে ধাপে ধাপে ইনস্টল করার প্রক্রিয়া বাতলে দেবে ফোন। 

২) অ্যাপ ডিলিট করে বাড়ানো যায় গতি -

খেয়াল রাখতে হবে যে, স্মার্টফোন একটি আধুনিক ডিভাইস হলেও এর স্টোরেজ ও মেমোরির সীমা আছে। অব্যবহৃত অ্যাপগুলো নিয়মিত মুছে দিলে ফোনের স্টোরেজ বাঁচবে। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এমন অ্যাপ কমে এলে গতি বাড়বে ফোনের, দীর্ঘায়ু হবে ফোনের ব্যাটারি। আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড উভয় প্ল্যাটফর্মেই অব্যবহৃত অ্যাপ মুছে দেওয়া একেবারেই সহজ কাজ। উভয় প্ল্যাটফর্মেই অ্যাপের আইকনে ট্যাপ করে ধরে রাখলেই ড্রপ ডাউন বা পপ-আপ হিসেবে স্ক্রিনে চলে আসবে ‘রিমুভ অ্যাপ’ বা ‘আনইনস্টল’ অপশনটি।

৩) ভালো কেইস ব্যবহার করুন - 

স্মার্টফোনের সঙ্গে আলাদা কেইস ব্যবহারের পক্ষে নন ব্যবহারকারীদের একটি অংশ। তবে, হাত থেকে পড়ে ফোনের ক্ষতি হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে হরহামেশাই। তাই গাঁটের পয়সা খরচ করে কেনা ডিভাইসটির জন্য ভালো মানের একটি কেইস ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে বিলাসবহুল দামের কেইস ব্যবহার করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ডিভাইসটিকে আঘাত বা আকস্মিক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারবে এমন মানসম্মত কেইস ব্যবহার করলেই চলবে।

৪) স্ক্রিন ও পোর্ট পরিষ্কার রাখুন -

কেইস ব্যবহার করলেও দৈনন্দিন ব্যবহারে ধুলা-বালি জমে স্মার্টফোনের স্ক্রিন ও পোর্টে। বিশেষ করে চার্জিং পোর্ট, মাইক্রোফোন, স্পিকার গ্রিল আর হেডফোন জ্যাকের মতো জায়গাগুলোতে ধুলা জমে সবচেয়ে বেশি। ডিভাইসের এই জায়গাগুলো পরিষ্কার করতে টুথপিক ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। স্ক্রিন পরিষ্কারের সেরা উপাকরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় মাইক্রোফাইবার কাপড়। এ ছাড়াও, ব্যবহার করা যেতে পারে অ্যালকোহল ওয়াইপ। তবে, এক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে যে স্ক্রিন পরিষ্কারে ব্যবহৃত বস্তুটি যেন বেশি ভেজা না হয়।

৫) গরম হয়ে গেলে ফোন ব্যবহার নয় -

ফোনের ব্যাটারি বেশি হরম হয়ে যায় এমন পরিস্থিতি এড়াতে পারলে আয়ু বাড়বে ডিভাইসের। প্রচণ্ড গরমের কোনো দিনে স্মার্টফোন সরাসরি রোদে ফেলে রাখা যাবে না। কোনো কাজ করার সময় বা গেইম খেলার সময় ডিভাইস বেশি গরম গেলে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে ওই পরিস্থিতিগুলো। ডিভাইস বেশি গরম হলে ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে এতে বিরূপ প্রভাব পড়ে ব্যাটারির ওপর। ব্যাটারির স্বাস্থ্য মাথায় রেখে ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে দিন শেষে দীর্ঘায়ু হবে ডিভাইস, উপকৃত হবেন ব্যবহারকারী নিজেই।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।