সম্পর্ক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সম্পর্ক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২

নারীরা সমস্যায় পড়লে কেন আত্মহত্যা করে ?.


নারীরা সমস্যায় পড়লে কেন আত্মহত্যা করে ?.


  বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন কারণে হতাশাগ্রস্ত! নারী-পুরুষ কেউই বাদ পড়ে না এই মহাব্যাধি থেকে! যার ফলস্বরূপ সহজ সমাধান হিসেবে আত্মহত্যাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে কেউ কেউ। তারা ভুরে যাচ্ছে, জীবন ফুলশয্যা নয়! দুঃখ-কষ্ট,পাওয়া-না পাওয়া নিয়েই জীবন। 

  তবে আমাদের মানসিকতায় না পাওয়াটারই হিসাব হয়! ফলে ‘কী পেলাম, কী পেলাম না’ ভাবতে ভাবতে হতাশা-বিষাদে তলিয়ে যাচ্ছি আমরা। এক্ষেত্রে নারীরা বেশি হতাশায় পড়ে। আর তাদের আত্মহত্যার খবর আজকাল বেশি পাওয়া যাচ্ছে! এখন প্রশ্ন উঠছে, নারীরা কেন হতাশায় পড়লেই আত্মহত্যাকে বেছে নিচ্ছে?

   সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ হয়েছে যান্ত্রিক। ফলে মানব জীবন প্রতিনিয়ত হয়ে উঠছে জটিল-দ্বন্দ্বমুখর! মানুষের মাঝে না পাওয়ার বেদনায় তাকে জটিল করে তুলছে। সেখানে যুক্ত হচ্ছে পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র। দ্বন্দ্ব-সংকট থেকেই সৃষ্টি হতাশার! আর সেই আগুনে ঘি ঢালতে ব্যস্ত সামাজিক বিধিনিষেধ – নিয়মকানুন। ফলে মানুষের মাঝে জটিলতা আরও গাঢ় হচ্ছে! নারীদের ক্ষেত্রে বর্তমানে আত্মহত্যা প্রবণতা কম নয়! নারীরাও হতাশা-বিষাদে পড়ে আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠছে। কিন্তু সমাধান খুঁজছে না!

  সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে। কিন্তু অনেক নারী সমস্যায় পড়লেই নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে! পৃথিবী থেকে মুক্তি পেতে চায়। নারীর ক্ষেত্রে পরিবার-সমাজ কোনোটাই সুস্থভাবে সমর্থন করে না তাকে। বরং প্রতিপদে কীভাবে নিচে টেনে নামানো যায় তা নিয়ে ব্যস্ত থাকা সবাই৷ নারীর জীবন কখনো ফুলশয্যা ছিল না। এখনো নেই। তাহলে কি এতদিন নারীরা বাঁচেনি, পৃথিবীর বুকে সদর্পে বিরাজ করেনি? তবে আজ কেন নারীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে?

  বর্তমান সমাজটাই যান্ত্রিক জটিলতায় জটিল। ফলে সমস্যা-সংঘাতও কম নয়। সেখানে নারীকে বুদ্ধি দিয়ে পথ চলতে হবে। নিজের মঙ্গল কোনোটাতে খুঁজে বের করতে হবে! প্রাণের মূল্য অনেক। ফলে জীবনে যত সমস্যা-দ্বন্দ্ব-সংঘাত আসুক না কেন, ঘুরে দাঁড়ানোর শতভাগ চেষ্টা করতেই হবে।

   পরিবারও অনেক সময় নারীর স্বাধীনতা, জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর সমাজ তো আছেই! তবে, এত কথায় গুরুত্ব না দিয়ে নিজের আত্মিক উন্নয়নের পাশাপাশি সঠিক সিদ্ধান্ত নারীকে নিতে হবে। তার জন্য কারও সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। বরং নিজেকে মানসিক বলে বলীয়ান হতে হবে।

  পরিবার-সমাজে নারীকে বিভিন্নভাবে ছোট করা হয়, তার প্রাপ্যটা তাকে দেওয়া হয় না৷ ফলে নারীরা হতাশায় মুষড়ে পড়তে থাকে। বেছে নেন বিনাশের পথ। কিন্তু নারীকে মনে রাখতেই হবে, রবীন্দ্রনাথ বহু আগেই বলে গেছেন, ‘একলা চলো রে’। ফলে এই নীতিই যেন নারীর শক্তি হয়। 

  পড়াশোনার দ্বারা, কাজের দ্বারা নিজের যোগ্যতার দ্বারা অন্যকে পরাস্ত করার ব্রতই হোক নারীর শক্তি। কেন অন্যকে পাশে থাকতেই হবে! আর কেনই বা পরিবেশ সবসময় অনুকূলেই থাকবে! প্রকৃতিতেও তো ঝড় আসে! কিন্তু একটি সময় ঝড় থামে। শান্ত হয় চারপাশ! তেমনি জীবনের জটিলতা যতই বেশি কঠিন হয়ে পড়ুক, একদিন সেই কঠিন সময় পার হবে।

  সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। সময়কে বয়ে যেতে দিলে সব শান্ত হয়, ঠাণ্ডা হয়। পালে আবারও হাওয়া লাগে। তাই পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র যতভাবেই কষ্ট দিক না কেন, সময় আসবেই। নিজের কাজটা করতে হবে। আত্মিক উন্নতি ঘটাতে হবে। হতাশ হওয়া চলবে না। আর আত্মহত্যা তো নয়ই। কেন আত্মহত্যা করবে নারীরা! কেন! জীবন একটাই তাই পূর্ণ উপভোগ না করে কখনোই জীবননাট্যের মঞ্চ কোনো মানুষই ছাড়বে না। 

  সমস্যা সংকুল পৃথিবী, আর তা থাকবেই। নারীর জন্য আরও বেশি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বুদ্ধি দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই প্রকৃত জ্ঞানীর কাজ। নারীকেও তাই মন-মননকে প্রাধান্য দিতে হবে। জীবনে পড়ে গেলে ওঠা যায়, সেটা নিজেকেই করতে হবে। কেউ করে দেয় না। নারীকে হতাশ হওয়া চলবে না। বুদ্ধি দিয়ে প্রজ্ঞা দিয়ে সামনে এগুতে হবে। আত্মহত্যাকে বিদায় জানতে হবে। ‘ভালোর পথে আলোর পথে’ চলাই হোক নারীর ব্রত। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা Flipkart এর বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২

মেয়েদের মনের কোন গোপন ইচ্ছার কথা কেউ জানে না- সেগুলি লেখা চাণক্য নীতিতে ।


মেয়েদের মনের কোন গোপন ইচ্ছার কথা কেউ জানে না- সেগুলি লেখা চাণক্য নীতিতে ।

  আচার্য চাণক্যও তার নীতি বইয়ে নারীদের সম্পর্কে সেই বিশেষ কথাগুলো বলেছেন, যা নারীরা সর্বদা তাদের বিবেকে লুকিয়ে রাখে। সে এসব কথা কাউকে বলে না। চাণক্য তার নীতিতে নারীদের সাথে তুলনা করতে গিয়ে পুরুষদের অনুভূতির কথা বলেছেন।

  চাণক্য নীতি মূলত সংস্কৃত ভাষায় রচিত, পরে এটি ইংরেজি এবং অন্যান্য অনেক ভাষায় এবং হিন্দিতেও অনুবাদ করা হয়েছিল। এমনকি আধুনিক বিশ্বেও, লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন তাদের নিজস্ব ভাষায় কৌটিল্য নীতি পাঠ করে এবং এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, অনেক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এখনও চাণক্যের উক্তিগুলিকে আধুনিক জীবনে দরকারী বলে মনে করেন। আচার্য চাণক্যের জ্ঞান রাজনীতি, ব্যবসা এবং অর্থ সম্পর্কে জ্ঞান এটি এতই সঠিক। যে এটি আজকের যুগেও দরকারী।

  আচার্য চাণক্যের এই জ্ঞান নীতিশাস্ত্র নামে পরিচিত। চাণক্য নীতি আপনাকে আপনার জীবনে যেকোনো কিছু অর্জন করতে সাহায্য করে, আপনি যে ক্ষেত্রেই থাকুন না কেন। আপনি যদি চাণক্য নীতি সম্পূর্ণভাবে পড়েন এবং অনুসরণ করেন, তাহলে কেউ আপনাকে সফল হতে বাধা দিতে পারবে না।

  আচার্য চাণক্যও তার নীতি বইয়ে নারীদের সম্পর্কে সেই বিশেষ কথাগুলো বলেছেন, যা নারীরা সর্বদা তাদের বিবেকে লুকিয়ে রাখে। সে এসব কথা কাউকে বলে না। চাণক্য তার নীতিতে নারীদের সাথে তুলনা করতে গিয়ে পুরুষদের অনুভূতির কথা বলেছেন। আচার্য চাণক্য এই নীতিতে নারীর ক্ষিধে, লজ্জা, সাহস ও লালসার কথা বলেছেন। আসুন জেনে নিই কোন কোন বিষয়গুলো নারীরা শেয়ার করেন না।

  আচার্য চাণক্য তাঁর চাণক্য নীতিতে একটি শ্লোকের মাধ্যমে নারীর কামনা-বাসনা বর্ণনা করেছেন। শ্লোকটি নিম্নরূপ-

 নারী দুই-বন্দুক খাবার, লজ্জা, চতুর্গুণ।

সহসাম্ ষদগুণম্ চৈব কামাশষ্টগুণঃ স্মৃতিঃ।

  এই শ্লোক অনুসারে নারীদের ক্ষিধে দ্বিগুণ, লজ্জা চারগুণ, সাহস ছয়গুণ এবং লালসা আটগুণ।

  মহিলাদের দ্বিগুণ খিদে – আচার্য চাণক্যের উপরোক্ত শ্লোক অনুসারে নারীর শক্তি বর্ণনা করা হয়েছে। আচার্য চাণক্যের মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দ্বিগুণ ক্ষিধে থাকে। আজকের লাইফস্টাইলে কাজের কারণে নারীদের খাবারের অবনতি ঘটলেও তারা তাদের ক্ষিধে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

  নারীর চার গুণ লজ্জা – আচার্য চাণক্যের চাণক্য নীতি অনুসারে নারীদের লজ্জা পুরুষের তুলনায় চারগুণ বেশি। নারীদের মধ্যে এত লজ্জা যে তারা যে কোনো কথা বলতে অনেকবার চিন্তা করে।

  চাণক্য নীতি অনুসারে, মহিলারা শুরু থেকেই সাহসী। একই সময়ে, নারীদেরও পুরুষদের তুলনায় ছয় গুণ সাহস রয়েছে। তাই নারীকে শক্তির মূর্ত প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

  পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে যৌনতার ইচ্ছা বেশি – আচার্য চাণক্যের মতে, মহিলাদের মধ্যে যৌনতার ইচ্ছাও পুরুষদের তুলনায় আট গুণ বেশি, কিন্তু তাদের লজ্জা এবং সহনশীলতা অনেক বেশি, যার কারণে তারা এটি প্রকাশ করে না এবং তাদের আচার-অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে যত্ন নেয়। সম্পূর্ণ মর্যাদার সাথে পরিবার রক্ষা করে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২

কোন ৫ বিষয় মেয়েরা স্বামীর কাছে গোপন করে ?.


কোন ৫ বিষয় মেয়েরা স্বামীর কাছে গোপন করে ?.

 
 স্বামী – স্ত্রী মানেই অনেক কিছু ভাগাভাগি করে নেওয়া। তবু কিছু বিষয় থাকে যা মেয়েরা স্বামীর কাছে বলতে চায় না বা গোপন করে। ঠিক সবার ক্ষেত্রে এক নাও হতে পারে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা স্বামীর কাছে কিছু বিষয় প্রকাশ করতে চায় না। মেয়েরা বিয়ের পরে অনেকটাই পরিবর্তিত হয়, কারণ তাকে নতুন এক পরিবেশে গিয়ে সংসার শুরু করতে হয়।

   আসুন জেনে নেওয়া যাক সাধারণত কোন কথাগুলো মেয়েরা স্বামীর কাছে গোপন করে-

       অতীত সম্পর্কের কথা –

  অতীত সম্পর্ক থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। সেই সম্পর্ক যার কারণেই ভাঙুক, সেটি মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বামীর ক্ষেত্রে গোপন করে থাকে। এর বড় কারণ হলো, স্বামীকে পূর্বের সম্পর্কের কথা জানালে সে পরবর্তীতে সন্দেহ পরায়ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই অতীত সম্পর্ক নিয়ে মেয়েরা কখন স্বামীর কাছে সহজ হতে পারে না।

     শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের ব্যবহার –

  বিয়ের পরপরই সব মেয়ের জন্য শ্বশুরবাড়ির অভিজ্ঞতা সমান সুখকর হয় না। অনেক মেয়েকে বিয়ের পরপর শ্বশুরবাড়িতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। স্বামীর দিকের কোনো আত্মীয়র ব্যবহারে আঘাত পেতে পারে। কিন্তু এসব বিষয় মেয়েরা স্বামীর কাছে গোপন করে।

    শারীরিক ছোটখাটো সমস্যা –

  নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা প্রায় সবারই থাকে। কিন্তু বিয়ের পর সেটি নিয়ে বেশিরভাগ মেয়ে সহজ হতে পারে না। নিজের যেকোনো অসুস্থতা নিয়ে তারা অস্বস্তিতে ভোগে। স্বামীর কাছে ছোটখাটো অসুখের কথা লুকিয়ে রাখে। এর ফলে পরবর্তীতে তা বড় অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

       বাবার বাড়ির সমস্যা –

  বাবার বাড়ির বিভিন্ন সমস্যা বা আর্থিক টানাপড়েনের কথা মেয়েরা সহজে স্বামীকে বলে না। দুই পরিবারের মধ্যে এক ধরনের আড়াল রেখে চলতে পছন্দ করে তারা। বাবার বাড়ির কোনো সমস্যার কথা জানতে পারলে স্বামীর কাছে গুরুত্ব কমে যেতে পারে, এমনটা ভেবেই তারা এগুলো স্বামীর কাছে গোপন করে।

       যৌনজীবনের কিছু বিষয় –

  যৌনজীবনের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ, চাহিদা, সমস্যার কথা মেয়েরা স্বামীর কাছে বলতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা এসব বিষয় গোপন করে। দাম্পত্য পুরোনো হলে অনেক কথা খুলে বলতে পারে হয়তো, তবে নতুন অবস্থায় এসব বিষয় গোপন রাখতেই পছন্দ করে। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

নারীদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের আগ্রহ এত বেশি কেনো ?


নারীদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের আগ্রহ এত বেশি কেনো ? 

  যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্তি, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক, দ্বিতীয় বিয়ে, পারিবারিক কলহ, অভাব-অনটন, বনিবনা না হওয়াসহ নানা কারণে এ বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশেও বিবাহ বিচ্ছেদের হার বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি। সেখানকার প্রায় ৪৩-৪৬ শতাংশ বিচ্ছেদ ঘটে। যার দুই-তৃতীয়াংশই নারীদের ইচ্ছায় হয় বিচ্ছেদ।

   পুরুষের চেয়ে বিবাহ বিচ্ছেদে নাকি নারীদের আগ্রহ বেশি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর কারণ গুলো –

 আগে পুরুষরাই শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করতেন। নারীরা সংসার সামলাতেন ও সন্তান লালন পালন করতেন। তবে নারীদের এই চিত্র এখন অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখন সব নারীই নিজ পায়ে দাঁড়াতে চান। তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, সফল ও তারা নিজেই আয় করতে চান। এমনকি বিয়ের পরও যেন তিনি স্বাধীনভাবে চলতে পারেন, সে স্বপ্নও দেখেন। যখন বিয়ের পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিবার তার ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন ভঙ্গ করেন বা সাপোর্ট না করেন তখনই দেখা দেয় দাম্পত্য কলহ। যা এক সময় বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।

  গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর চেয়ে পুরুষরাই বিয়ের পর বেশি সুবিধা ভোগ করেন। সে হিসেবে নারীরা অনেকটাই অবাঞ্ছিত হয়ে পড়েন সংসারে। সন্তান, পরিবার, কাজ, অফিস সব মিলিয়ে একজন নারী বেশ ব্যস্ত সময় পার করেন। তবুও যখন স্বামী ও পরিবারের কটূ কথা শুনতে হয় তাকে, তখন প্রতিবাদ করতে গেলেই অশান্তির সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে পারে।

 
 নারীরা মানসিক চাপে বেশি ভোগেন, যখন সঙ্গী তাকে বিভিন্ন বিষয়ে অসমর্থন করেন। একজন নারী সবসময় তার সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক সমর্থন আশা করেন। স্বামীর মনমতো না চলার কারণে অনেক নারীই সংসারে বিদ্রুপ ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হন। এ কারণে নারীরা বেশি একাকিত্বে ভোগেন। অনেক সময় নারীরা তার মনের কষ্ট অন্যের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারেন না। ফলে তার মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে। যা বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।

  বর্তমানে বেশির ভাগ নারীই আর্থিকভাবে পুরুষের উপর নির্ভরশীল নন। এ কারণে স্বামীর অগ্রাহ্য, প্রতারণা কিংবা অবহেলা সহ্য করে এখন আর কোনো নারীই সংসার করতে চান না। বিশ্বাসঘাতকতা, মানসিক নির্যাতন বা কোনো ধরনের ক্ষতিকর আচরণের সম্মুখীন হলে নারীরা নিজ থেকেই বিবাহ বিচ্ছেদ চান স্বামীর কাছে।

  বিয়ের পরের জীবন নিয়ে পুরুষের চেয়ে নারীর মধ্যে আশা ও বাসনা বেশি থাকে। বিশেষ করে বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন চলচ্চিত্রে বিবাহ ও এর পরের জীবনকে যেভাবে তুলে ধরা হয়, বাস্তবে কী আদৌ তা ঘটে!কারও কারও ক্ষেত্রে ঘটলেও সবার জন্য তা প্রযোজ্য হয় না। অনেকেই বিয়ে নিয়ে অত্যধিক আশা করেন! তবে বিয়ের পরে মনের ইচ্ছে পূরণ না হলে বাস্তবতায় আঘাত লাগে। ফলে সংসারে তুমুল অশান্তি শুরু হয়।

  নারীরা এখন শুধু একটি পরিবার তৈরি করতে চান না, বরং তারা মানসিক ঘনিষ্ঠতা, যোগাযোগ, ব্যক্তিগত বৃদ্ধি ও সব কিছু ভাগ করার দায়িত্বও চান। যখন তিনি বুঝতে পারেন যে এই মানদণ্ডগুলো পূরণ করা হয়নি বা হচ্ছে না, তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ নিতে চান।

  যদি কোনো নারী তার স্বামীর মাধ্যমে মানসিক বা শারীরিকভাবে দুর্ব্যবহার বা নির্যাতনের সম্মুখীন হন তাহলে অবশ্যই বিবাহ বিচ্ছেদই তার মুক্তির একমাত্র উপায়। নারীরা তাদের অধিকারের জন্য বছরের পর বছর ধরে লড়াই করে আসছে, তাই এটা বলাই ন্যায্য যে তারা ভয়ের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব শক্তি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।

  অনেক পুরুষ বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলেও তা দিতে ভয় পান। এর কারণ হলো তারা যদি প্রথমে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চান তাহলে স্ত্রীকে তার পাওনা নগদ অর্থ কিংবা সম্পত্তি দিতে হতে পারে। এমনকি তারা ধারণা করেন, আদালতে নাকি পুরুষদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রায় ন্যায্য হয় না। তাই অনেকেই স্ত্রীর উপর চাপ দিতে পারেন, যাতে তিনি নিজ থেকেই ডিভোর্স দেন। সে ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ আরও ঝামেলাহীনভাবে সম্পন্ন হয়। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বুধবার, ২২ জুন, ২০২২

ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুখী দম্পতিরা কোন ১০টি কাজ করেন ?.


ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুখী দম্পতিরা কোন ১০টি কাজ করেন ?.

 ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার সঙ্গীর সাথে কিছু সময় কাটানো জরুরি। হোক সে কয়েক ঘণ্টা অথবা কয়েক মিনিট। দাম্পত্য জীবনে আনন্দ আনার জন্য একে অপরের সাথে মজা করা, কথা বলা এবং ভালোবাসা প্রকাশই যথেষ্ট। আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখময় করার জন্য সাইকোলজিস্টরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যা এই আর্টিকেল থেকে জানবেন। 

১. ফোন দূরে রাখুন –

  সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটালে আবেগ এবং বন্ধনের জন্য জরুরি হরমোন অক্সিটোসিনের নিঃসরণ কমে যায়। সাইকোথেরাপিস্ট কোরল কেরির পরামর্শ হলো - রাত ৯টার পরই আপনার ফোন বন্ধ করে দিন বা হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।

২. কাজের চিন্তা ভুলে যান –

  কাজের চিন্তা মাথা থেকে দূরে সরিয়ে দিন এবং বিছানয় শুয়ে ইন্টারনেট চেক করার অভ্যাস বাদ দিন। এর চেয়ে ভালো হয় নিজেদের মধ্যে কিছু সময় ব্যয় করুন, যার ইতিবাচক ফলাফল পরের দিনই টের পাবেন। বিছানায় শুয়ে শুয়ে কথা বললে দম্পতিদের বন্ধন বেড়ে যায় এবং দৈনন্দিন সমস্যার কথা মাথা থেকে বেরিয়ে হয়। ফলে আপনি মানসিক ভাবে আরাম বোধ করবেন। এ সময় কাজের কথা, অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বা অন্য যেকোনো বিষয় যা আপনার সঙ্গীকে ভয় পাইয়ে দেয় এমন কিছু কথা বলবেন না। 

৩. আপনার সঙ্গীর সাথে একই সময় বিছানায় যাবেন –

  অনেক দম্পতি ব্যস্ততার কারণে সারা দিন একে অপরের দিকে তাকানোরও সময় পান না এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘুমাতে যান। সাইকোলজিস্ট কার্ট স্মিথের মতে, সুখী দম্পতিরা রাতে খাওয়ার পর এক সাথে দাঁত ব্রাশ করেন এবং একই সময়ে ঘুমতে যান। এই বিষয়টি তাদের দাম্পত্য জীবনের বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।

৪. একটি রুটিন মেনে চলুন –

   প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস আপনার ঘুমের অসুবিধা দূর করবে। যখন সব সময় একই রুটিন মেনে চলবেন তখন, আপনার মস্তিষ্ক ঘুমানোর নির্দেশ পাবে এবং শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করবে। যদি আপনার সঙ্গীর সাথে এই একই রুটিন মেনে চলেন তাহলে আপনাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে।

৫) হৃদয়ে-হৃদয়ে কথা বলুন –

  একে অন্যের অনুভূতির প্রতি মনোযোগী হোন। আপনাকে উপদেশ দিতে হবে না বা সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হবে না। সাইকোলজিস্ট রেয়ান হাউইস পরামর্শ দেন, ঘুমনোর আগে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। এতে পরের সারা দিন সুখী সুখী ভাব বিরাজ করবে আপনার মধ্যে। ফলে আপনার জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সারাদিন কি হয়েছে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন, এবং আপনার সকল সমস্যা এবং ভাবনা শোয়ার ঘরের দরজার বাইরে রেখে আসুন। যখন আপনি হৃদয় দিয়ে কথা বলবেন তখন তা খুব গুরুত্বের সাথে এবং মনোযোগ দিয়ে বলা জরুরি।

৬. তর্ক এবং বাজে আচরণ থেকে বিরত থাকুন –

  কার্ট স্মিথ মনে করিয়ে দেন যে, বিছানায় যাওয়ার আগে অবশ্যই ঝগড়া করা যাবে না। ঝগড়া কখনো সমাধানের পথ দেখায় না। তার উপর রাগ নিয়ে যখন ঘুমাতে যাবেন তখন আপনার চোখে ঘুম আসবে না এবং পরের দিন খুব বাজে কাটবে।

৭. শিশুদের আলাদা ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা করুন –

   সাইকোলজিস্ট মাইকেল ভিনর-ডেভিস এর মতে, আপনার শিশু যদি একা ঘুমাতে ভয় পায়, দুঃস্বপ্ন দেখে তাহলেই কেবল সাথে নিয়ে ঘুমন। আর অন্য সময় শোয়ার ঘরকে নিজেদের করে রাখুন। নিজেদের ভালোবাসা এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এটুকু ছাড় আমাদের দিতে হবে।

৮. পোষা প্রাণিদের বিছানায় নেবেন না –

  কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিছানায় পোষা প্রাণি নিয়ে শুতে যান তাদের ৬৩% ভালোভাবে ঘুমতে পারেন না। পোষা প্রাণিরা সারা রাত এক নাগারে ঘুমতে পারে না এবং আপনার ঘুম ভাঙ্গিয়ে বিরক্ত করে। আর তাছাড়া শোয়ার ঘরে পোষা প্রাণির উপস্থিতি একদম ঠিক না 

৯. শোয়ার ঘরে ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন –

  অনেক দম্পতি শোয়ার ঘরে ধূমপান ও মদ্যপান করে থাকেন। বিশেষ করে পুরুষ সঙ্গী। এতে ঘরের পরিবেশ দূষিত হয়, এবং মুখে বাজে গন্ধ তৈরি করে। ফলে নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগ্রহ কমে যায়। এরা অনিদ্রার জন্যও দায়ী। তাই শোয়ার ঘরে কখনো ধূমপান বা মদ্যপান করবেন না।

১০. একে অপরকে ম্যাসাজ করে দিন –

  ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অব স্লিপ নিশ্চিত করেছে যে, ঘুমানোর আগে সামান্য ম্যাসাজ আপনার ঘুমের মান উন্নত করবে। পাশাপাশি ভয়, জড়তা দূর করে দম্পতিদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ করে দেয়। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২

পরকীয়া লুকাতে কারা বেশি এগিয়ে, নারী নাকি পুরুষ ?.


পরকীয়া লুকাতে কারা বেশি এগিয়ে, নারী নাকি পুরুষ ?.

  বেশি প্রতারণা করে, নারী নাকি পুরুষ? এই প্রশ্ন একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করেন অনেকেই! এর উত্তরে কেউ কেউ আবার জানান, পুরুষদের প্রতারণার প্রবণতা নারীদের চেয়ে বেশি।

২০১৮ সালের এক সামাজিক জরিপ দ্বারা সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, প্রায় ২০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও ১৩ শতাংশ বিবাহিত নারী সঙ্গীকে ছেড়ে অন্য কারও সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। এই সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, পরকীয়ায় জড়ানো পুরুষের সংখ্যা নারীর চেয়ে বেশি হলেও বিষয়টি লুকাতে কারা বেশি পারদর্শী তা কি জানেন?

  রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালের এক নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, পুরুষের চেয়ে পরকীয়া লুকাতে নারীরা বেশি পারদর্শী। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১০১ ককেশীয় পুরুষ ও ৪৪ জন নারীর ছবি সংগ্রহ করেছেন।

  যারা গবেষকদের কাছে প্রকাশ করেছেন যে, অতীতে তারা সঙ্গীর সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ও পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। তবে প্রতারণা করেছেন এমন পুরুষ সঙ্গীর কাছে ধরা পড়লেও নারীদের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টোটি। তারা কোনো না কোনাভাবে ঠিকই পরকীয়ার বিষয়টি লুকিয়ে গিয়েছেন।

  গবেষকরা প্রতিটি ছবিকে বিশ্লেষণ করতে ১৫০০ শ্বেতাঙ্গ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর আরও এক সমীক্ষা চালান। যেখানে পরকিয়ায় লিপ্ত ওইসব নারী-পুরুষের ছবি দেখিয়ে তাদের সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করতে বলেন।

  বিশেষজ্ঞরা দেখেন, যে পুরুষ ও নারী উভয়ই একজন পুরুষের চরিত্র কতটা ভালো বা খারাপ কিংবা তিনি পরকীয়ায় লিপ্ত কি না তা মুখ দেখে অনুমান করা গেলেও কেউই একজন নারীর পরকিয়া ধরতে পারেননি।

  ম্যানহাটন-ভিত্তিক মনোচিকিৎসক ডা. কেনেথ রোজেনবার্গ এ বিষয়ে জানান, ২০ শতাংশ পুরুষই প্রতারণা করেন। তবে এই সংখ্যা গত ২০ বা তার বেশি বছর ধরে স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে এটি ১৫ শতাংশ হলেও এই সংখ্যা গত ২০ বছরে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তিনি আরও সতর্ক করেছেন যে, ৩৫ বছরের কম বয়সী নারীদের মধ্যে সম্পর্কে লুকোচুরির প্রবণতা বেশি।

  এ ধরনের গবেষণার উপর ভিত্তি করে বাস্তব খুঁজে বের করা বা কাউকে দায়ী করা মোটেও ঠিক নয়। কারণ এসব গবেষণা সব সময় যে সমাজের সব স্তরের উপর নির্ভর করবে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

ফুলশয্যার রাতে কোন ১০ টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ?.


ফুলশয্যার রাতে কোন ১০ টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ?.

  ফুলশয্যার রাতে কি হবে সেই নিয়ে আশা আকাঙ্খা, ভয়, দুশ্চিন্তা, কামনা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার অনুভুতি হবু বর-বৌয়ের মনে বিয়ে ঠিক হবার পর থেকেই আসতে থাকে, বিশেষত Arranged বিয়ের ক্ষেত্রে। হবু বরেরা চিন্তিত থাকে সেই রাতে স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে সুখি করতে পারবে কি না সে সম্মন্ধে। অপর পক্ষে হবু বৌদের ভয় আরও মারাত্মক। ফুলশয্যার রাতেই সহবাস করতে হবে কি না, সহবাস করলে ব্যাথা হবে কি না, রক্ত না বের হলে স্বামী সন্দেহ করবে কি না, স্বামী ওরাল সেক্স করতে চাইবে কি না ইত্যাদি। 

  এইসব ভয় ও দুশ্চিন্তা দূর করার সঠিক উপায় হল বিয়ের আগেই এইসব বিষয় নিয়ে হবু বর-বৌয়ের কিছুটা আলোচনা করে নেওয়া। তাহলে বিয়ের রাতে আড়ষ্টতা অনেকটাই কম থাকবে। এছাড়াও নিম্নলিখিত ১০ টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখলে প্রথম রাতের অনুভুতি মধুর হতে পারে। ফুলশয্যার রাতের মধুর স্মৃতি নব বর-বধূর দাম্পত্য সম্পর্ক দৃঢ় করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। অপরপক্ষে ফুলশয্যার রাতে যদি স্বামী স্ত্রীকে জোর করে, বা উল্টোটা হয় বা একে অপরের ইচ্ছাকে সম্মান না করা হয় তবে দাম্পত্য সম্পর্কে চিরদিনের মত চিড় ধরতে পারে। তাই ফুলশয্যার রাতে নিচে লেখা দশটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

  ফুলশয্যার রাতে প্রথম সহবাসের সময় যে ১০ টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন –

১. ধীরে এগোন –

   ফুলশয্যার রাতে প্রথম সহবাসের সময় যেটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন তা হল একদম তাড়াহুড়ো না করা। ধীরে সুস্থে অগ্রসর হওয়াই ফুলশয্যার রাতে প্রথম সেক্স করার সবথেকে ভাল ফর্মূলা। প্রথম রাতেই বৌয়ের উপর সেক্সের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লে বা সেক্সের জন্য জোর করলে বিবাহিত জীবনে চিরকালের জন্য দাগ লেগে যেতে পারে। তাই নতুন বৌয়ের সাথে প্রথমেই সেক্স বিষয়ক আলোচনা বা ক্রিয়া-কলাপ শুরু করবেন না। ধীরে ধীরে রোমান্টিক কথাবার্তা বা গল্পগুজব করতে করতে অগ্রসর হোন।

২. ঘরের পরিবেশ- 

  লক্ষ্য রাখবেন ফুলশয্যার রাতে ঘরের পরিবেশ যেন রোমান্টিক থাকে। হালকা মিউজিক চালাতে পারেন। ঘর সুগন্ধি ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখুন। তীব্র আলো না জ্বালিয়ে হালকা আলো জ্বালান।

৩. স্ত্রী বা স্বামীর ইচ্ছের সম্মান – 

  যদি কোন কারণে নববধূর বা বরের ওই রাতে সম্পর্ক স্থাপনে অনীহা থাকে তবে তার সেই ইচ্ছেকেও সম্মান করুন। অনেক সময়ই বিয়ের রীতিনীতি পালনে মেয়েরা এতটাই শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে যায় যে তাদের তখন সেক্সের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। এমতাবস্থায় পরের রাতের জন্য বা দু-তিন দিন অপেক্ষা করাই শ্রেয়। খেয়াল রাখবেন আপনার আচরণে যেন স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ পায়। মেয়েরা সাধারণত ছেলেদের থেকে একটু বেশি সংবেদনশীল। তাদের কাছে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের আগে ভালবাসা থাকাটা জরুরি।

৪. পারফিউম – 

  আর হ্যাঁ, পরষ্পরের সান্নিধ্যে আসার সময় শরীর থেকে যেন দূর্গন্ধ বের না হয়। তাই পারফিউম ব্যবহার করুন।

৫. ফোর-প্লে – 

  প্রথম সহবাসের সময় মূল কার্য করার আগে ভাল করে ফোর-প্লে (fore-play) করা বাঞ্ছনীয়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের শরীরই যৌনসঙ্গমের জন্য তৈরি হয়। নারীরা মোটামুটি তাদের শরীরের সকল অংশ থেকেই যৌন আনন্দ লাভ করতে সক্ষম। তাই শুরুতেই জামা-কাপড় না খুলে স্ত্রীর কাছে যাবার চেষ্টা করুন। স্ত্রীকে আলিঙ্গণ করুন। তার কানে ফিস ফিস করে কথা বলতে বলতে কানে, গলায়, ঘাড়ে আলতো করে চুম্বন করতে পারেন। অতঃপর ধীরে ধীরে ঠোট, চোখে ইত্যাদিতে চুম্বন করুন। ক্রমে ক্রমে দেখবেন আপনার স্ত্রীও উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন।

৬. ভালবাসার স্পর্শ- 

  এরপরের স্টেজে জামা-কাপড় ধীরে ধীরে খুলতে পারেন। স্তন, পেট, পিঠ, পা, নিতম্ব, ভগাঙ্কুর ইত্যাদি যেখানে যেখানে স্পর্শ করলে স্ত্রীর ভাল লাগছে বলে আপনার মনে হবে সেখানেই আদর করুন। এই সময় খেয়াল রাখবেন আপনার আচরণ যেন ধর্ষকের মত না হয়। স্পর্শে ভালবাসার প্রকাশ থাকে যেন। এইভাবে কিছুক্ষণ করার পর আপনাদের দুজনের যৌনাঙ্গ থেকেই পিচ্ছিল কামরস বের হতে থাকবে। ওই রস বের হবার অর্থ দুজনের শরীরই মিলনের জন্য প্রস্তুত।

৭. সঙ্গম – 

  এবারে পুরুষাঙ্গ স্ত্রীর যোনিতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের প্রথম সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে ব্যাথা করতে পারে। তবে সকলেরই যে ব্যাথা করবে তার কোন মানে নেই। ধীরে ধীরে লিঙ্গ প্রবেশ করাবেন। পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানোয় অসুবিধা হলে প্রথমে একটি আঙুল ঢুকিয়ে দেখতে পারেন। আপনার স্ত্রীর যন্ত্রণা হলে একটু অপেক্ষা করুন। তারপর আবার চেষ্টা করুন। স্ত্রী সঠিক মাত্রায় উত্তেজিত হলে তার যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো অনেকটাই সহজ হবে। 

  অপরপক্ষে যদি আপনার স্ত্রী সঙ্গম নিয়ে মনে মনে ভয় পান বা আড়ষ্ট থাকেন তবে তার যোনির লুব্রিকেশন ঠিকমত হবেনা এবং সঙ্গম কষ্টদায়ক হবে। তাই এটা নিশ্চিত করুন যে প্রথম সহবাসের সময় আপনার স্ত্রী পুরোপুরি রিলাক্সড এবং খুশি মনেই রয়েছেন। ফুলশয্যার রাতে স্ত্রী রিলাক্সড হতে না পারলে সেদিন সহবাস না করাই ভাল। পরের দিনের জন্য বা তারও পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করুন। মনে রাখবেন যে সবুরেই মেওয়া ফলে। প্রথম সহবাসের দিনই এনাল করতে যাবেন না। স্ত্রীর পছন্দ না থাকলে ওই দিন ওরালও না করা ভাল।

৮. লুব্রিকেন্ট – 

  স্বাভাবিক লুব্রিকেশন ঠিকমত না হলে কৃত্রিম লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। আশা করা যায় যেকোন ওষুধের দোকানেই পেয়ে যাবেন। নাহলে অনলাইনেও কিনতে পারেন।

৯. রক্তপাত – 

  প্রথম সহবাসের সময় স্ত্রীর সতীচ্ছদ ছিন্ন হলে সামান্য রক্তপাত হতে পারে। ওটা নিয়ে ঘাবড়ে যাবেন না। আর যদি রক্তপাত না হয় তাহলেও স্ত্রীকে সন্দেহ করবেন না। অনেক কুমারী মেয়েরই প্রথম সহবাসে রক্তপাত হয়না। আর এখনকার যুগে বিয়ের আগে কুমারী বা কুমার থাকাটা আবশ্যক নয়। তাই নিজের মান্ধাতার আমলের ধ্যান-ধারণা পরিত্যাগ করুন।

১০. নিরোধ – 

  প্রথম সহবাসের সময় অতি অবশ্যই কনডম ব্যবহার করবেন। কনডমের গায়েও লুব্রিকেন্ট লাগানো থাকে। তাই আমাদের মতে প্রথম সহবাসের জন্যেও কনডম ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ। অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে আপনার স্ত্রী বিয়ের পনের দিন আগে থেকেই গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়া চালু করতে পারেন বা গর্ভনিরোধক ইনজেকশনও নিতে পারেন। আপনার একটি সুন্দর ফুলশয্যার রাতের জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইল।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব। 



বুধবার, ১ জুন, ২০২২

বিবাহ বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেয় কোন ৫ টি লক্ষণ ?.


বিবাহ বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেয় কোন ৫ টি লক্ষণ ?.

   বিবাহবিচ্ছেদ হঠাৎ করে হয় না। দাম্পত্যে প্রচুর ভুল বোঝাবুঝি, মারামারি ও অসঙ্গতি বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। সম্পর্কে নানা টানা-
পোড়েনের মুখোমুখি হয়ে মানুষ বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। তবে কিছু বিষয় আছে যা বিবাহ বিচ্ছেদের আগাম পূর্বাভাস দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিষয়গুলো-


১) টিনেজ বা কিশোর বয়সে বিয়ে করলে তা বিচ্ছেদের দিকে গড়াতে পারে, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। গবেষণা অনুসারে, বেশিরভাগ মানুষ যারা তাদের কিশোর বয়সে বিয়ে করেন পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। কিশোর বয়সের অপরিপক্কতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে ঝোঁকের বশে অনেকেই বিয়ে করেন। পরবর্তী জীবনে যখন তারা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে তখন বুঝতে পারে যে তারা ঠিক করেনি। বিভিন্ন কারণে পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে পারে।

২) যদি কোনো দম্পতি বেকার অবস্থায় ঘরে বসে শুয়ে দিন কাটায় তাহলে তাদের মধ্যে তুমুল অশান্তি হতে পারে। বিশেষ করে পুরুষ সঙ্গী যদি বেকার থাকেন তাহলে ওই সংসারে নানা টানাপোড়েন দেখা দেয়। একে তো আর্থিক সমস্যা তার উপরে দাম্পত্যে অশান্তির জেরে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। এক সময় এ সম্পর্ক বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়।


৩) বিয়ের আগে যে দম্পতিদের মধ্যে তীব্র আবেগ ও ভালোবাসা কাজ করে বিয়ের পরে ওই সম্পর্ক নাকি দ্রুত নষ্ট হয়! তাই যেসব দম্পতিরা মধ্যে বিয়ের আগেই অতিরিক্ত ভালোবাসা ও টান অনুভব করেন তারা সাবধান থাকবেন যাতে বিয়ের পরও যেন তা ধরে রাখতে পারেন! অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিয়ের পরে ভালোবাসা ও বোঝাপোড়া কমে যায়!

৪) দাম্পত্য কলহ সমাধানে দুজনেরই অবদান রাখা জরুরি। একজন শুধু রাগের মাথায় যা তা বলেই গেলেন আর অন্যজন মুখ বুজে সহ্য করলেন এমনটি ঠিক নয়। যদি আপনার সঙ্গীও যদি বিষয়টি এড়িয়ে যান তাহলে সাবধান থাকুন। হয়তো তিনি আর আপনার সঙ্গে থাকতেই চাচ্ছেন না! কারণ নিরব থাকা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। 


৫) একটি বিবাহ হল দুটি মানুষের মধ্যে একটি পবিত্র বন্ধন। বিবাহিত জীবনে সবারই কমবেশি সমস্যা থাকে। তবে আপনাদের দুজনের মধ্যে যদি তৃতীয় বা চতুর্থ জন নাক গলানোর চেষ্টা করেন তাহলেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। 

  এমন ক্ষেত্রে দেখা যায় বন্ধু বা পরিবারের কাছের মানুষের প্রভাবেও অনেকে সামান্য বিষয়ে ঝগড়া হলেও সঙ্গীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। তাই অন্যের পরামর্শ ও মতামতের উপর ভিত্তি করে জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

রবিবার, ২৯ মে, ২০২২

কোন স্বভাবের পুরুষদের মহিলারা ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় ?.


কোন স্বভাবের পুরুষদের মহিলারা ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় ?.

  পুরুষ মানুষের জীবনে ভালোবাসার কমতি সহজেই লক্ষ করা হয়। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ মহিলাদের মন জয় করার রাস্তাটা সম্পর্কে আপনি এই লেখা থেকেই জানতে পারবেন। এবার সেই মতো এগিয়ে চলুন।

  সম্পর্ক কোনও তরল বিষয় নয়। একটি মানুষের থেকে ভালোবাসা আদায় কিন্তু বেশ কঠিন এক কাজ। তবুও মানুষ ভালোবাসার সাগরে তরি ভাসাতে চান। সেই সাগরে ডুব দিয়েই যেন মিলবে মুক্তির স্বাদ। তাই চারিদিকে প্রেমের জোয়ারে ভেসে চলেছেন মানুষ।

  ভালোবাসার জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে গেলে কিছু ভালো কাজ করতে হয়। তবেই মানুষ নিজেকে সেই ভালোবাসার (Love) মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন। আসলে মানুষের কিছু অভ্যাস থাকে যার মধ্যমে অন্য ব্যক্তিটি সম্পর্কে আকর্ষিত হয়। তবেই এগিয়ে যায় প্রেমের গাড়ি।

  এদিকে মহিলাদের ভালোবাসার পথে হাঁটতে তেমন কেসারত করতে হয় না। তবে সমস্যা হয় পুরুষের। কারণ পুরুষ মাত্রই ভালোবাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে দেওয়াল। যেন কোনও শক্ত পাহাড় টপকিয়ে ভালোবাসার অন্দরমহলে প্রবেশ করতে হবে। তাই দেখবেন, পুরুষদের মধ্যেই সিঙ্গল থাকার প্রবণতা অনেকটাই বেশি।

  আবার বিশেষজ্ঞদের কথায়, পুরুষ মানুষের নিজের ভুলের কারণেই এই সমস্যা হয়ে থাকে। তাই প্রতিটি পুরুষ মানুষকে অবশ্যই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। তবেই আপনি সম্পর্কের দুনিয়ায় অনায়াসে চলতে পারবেন।

আসুন জেনে নেওয়া যাক পুরুষের কোন চালচলনে মন দেয় মহিলারা।

  ​উপেক্ষা করা –  অনেক পুরুষের মধ্যেই এই স্বভাব থাকে। তাঁরা সামনে থাকা সুন্দরীদের দেখেও উপেক্ষা করতে পারেন। হয়তো মনে লাড্ডু ফুটছে। কিন্ত তাঁদের ব্যবহারে তা প্রকাশ পাওয়া খুবই কঠিন। এবার এই উপেক্ষা করার বিষয়টি মহিলারা খুবই পছন্দ করেন। তাঁদের মনে এই বিষয়টি অত্যন্ত সহজেই প্রবেশ করে যায়। তাই পুরুষরা এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখুন।

  ​নজর - চোখে চোখেই অনেক কথা হয়ে যায়। এবার কিছু পুরুষের নজর এমন হয়, যা মহিলাদের আকর্ষণ করে। এই মানুষগুলির চাহনিকে বলা হয় কিলার লুক । এই চাহনিতেই মন দিয়ে ফেলেন মহিলারা। তাই এবার থেকে নিজের চাহনি ঠিক করার বিষয়ে জোর দিন। তবেই নতুন সম্পর্কে অনায়াসে চলে যেতে পারবেন। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।

  ​ড্রেসিং সেন্স - প্রথমে দর্শনধারী, পরে না গুণ বিচার হবে। এই কথাটা কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে একেবারেই সত্যি। আসলে আপনার ড্রেসিং সেন্স ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কথাই বলে দেয়। তাই সেই বিষয়টার দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে আপনি যদি এই বিষয়টার দিকে খেয়াল রাখতে পারেন, তবে অনায়াসে মহিলার মন পেতে পারেন।

  ​হাসতে শিখুন - হাসিখুশি মানুষ সকলেই পছন্দ করেন। বিশেষত, যাঁদের সেন্স অব হিউমর ভালো, এমন মানুষকে অনেকেই পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে ধরুন কোনও গুরু গম্ভীর পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে কোনও কথা ধরে এই মানুষগুলি এমন কিছু বলে দিতে পারেন, যা সত্যিই মানুষকে হাসিয়ে দেয়। এবার সব জায়গাতেই এই ধরনের মানুষের কদর একটু বেশি। তাই প্রতিটি পুরুষ মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে তৈরি থাকতে হবে।

​কথা - কথা বলতে হবে ঠিক করে। কারণ আপনার কথা বলার স্টাইলই বুঝিয়ে দেয় যে আপনি কী ভাবে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে এমনভাবে কথা বলুন যাতে অপরদিকের মানুষটিকে ইমপ্রেস করা যায়। অপরদিকের মানুষটির মন প্রসন্ন করতে পারলেই কেল্লাফতে করা সম্ভব। তাই এবার থেকে নিজেকে ঠিকমতো তৈরি করে নিন।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।