ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুখী দম্পতিরা কোন ১০টি কাজ করেন ?.
ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুখী দম্পতিরা কোন ১০টি কাজ করেন ?.
ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার সঙ্গীর সাথে কিছু সময় কাটানো জরুরি। হোক সে কয়েক ঘণ্টা অথবা কয়েক মিনিট। দাম্পত্য জীবনে আনন্দ আনার জন্য একে অপরের সাথে মজা করা, কথা বলা এবং ভালোবাসা প্রকাশই যথেষ্ট। আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখময় করার জন্য সাইকোলজিস্টরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যা এই আর্টিকেল থেকে জানবেন।
১. ফোন দূরে রাখুন –
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটালে আবেগ এবং বন্ধনের জন্য জরুরি হরমোন অক্সিটোসিনের নিঃসরণ কমে যায়। সাইকোথেরাপিস্ট কোরল কেরির পরামর্শ হলো - রাত ৯টার পরই আপনার ফোন বন্ধ করে দিন বা হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।
২. কাজের চিন্তা ভুলে যান –
কাজের চিন্তা মাথা থেকে দূরে সরিয়ে দিন এবং বিছানয় শুয়ে ইন্টারনেট চেক করার অভ্যাস বাদ দিন। এর চেয়ে ভালো হয় নিজেদের মধ্যে কিছু সময় ব্যয় করুন, যার ইতিবাচক ফলাফল পরের দিনই টের পাবেন। বিছানায় শুয়ে শুয়ে কথা বললে দম্পতিদের বন্ধন বেড়ে যায় এবং দৈনন্দিন সমস্যার কথা মাথা থেকে বেরিয়ে হয়। ফলে আপনি মানসিক ভাবে আরাম বোধ করবেন। এ সময় কাজের কথা, অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বা অন্য যেকোনো বিষয় যা আপনার সঙ্গীকে ভয় পাইয়ে দেয় এমন কিছু কথা বলবেন না।
৩. আপনার সঙ্গীর সাথে একই সময় বিছানায় যাবেন –
অনেক দম্পতি ব্যস্ততার কারণে সারা দিন একে অপরের দিকে তাকানোরও সময় পান না এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘুমাতে যান। সাইকোলজিস্ট কার্ট স্মিথের মতে, সুখী দম্পতিরা রাতে খাওয়ার পর এক সাথে দাঁত ব্রাশ করেন এবং একই সময়ে ঘুমতে যান। এই বিষয়টি তাদের দাম্পত্য জীবনের বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।
৪. একটি রুটিন মেনে চলুন –
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস আপনার ঘুমের অসুবিধা দূর করবে। যখন সব সময় একই রুটিন মেনে চলবেন তখন, আপনার মস্তিষ্ক ঘুমানোর নির্দেশ পাবে এবং শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করবে। যদি আপনার সঙ্গীর সাথে এই একই রুটিন মেনে চলেন তাহলে আপনাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে।
৫) হৃদয়ে-হৃদয়ে কথা বলুন –
একে অন্যের অনুভূতির প্রতি মনোযোগী হোন। আপনাকে উপদেশ দিতে হবে না বা সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হবে না। সাইকোলজিস্ট রেয়ান হাউইস পরামর্শ দেন, ঘুমনোর আগে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। এতে পরের সারা দিন সুখী সুখী ভাব বিরাজ করবে আপনার মধ্যে। ফলে আপনার জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সারাদিন কি হয়েছে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন, এবং আপনার সকল সমস্যা এবং ভাবনা শোয়ার ঘরের দরজার বাইরে রেখে আসুন। যখন আপনি হৃদয় দিয়ে কথা বলবেন তখন তা খুব গুরুত্বের সাথে এবং মনোযোগ দিয়ে বলা জরুরি।
৬. তর্ক এবং বাজে আচরণ থেকে বিরত থাকুন –
কার্ট স্মিথ মনে করিয়ে দেন যে, বিছানায় যাওয়ার আগে অবশ্যই ঝগড়া করা যাবে না। ঝগড়া কখনো সমাধানের পথ দেখায় না। তার উপর রাগ নিয়ে যখন ঘুমাতে যাবেন তখন আপনার চোখে ঘুম আসবে না এবং পরের দিন খুব বাজে কাটবে।
৭. শিশুদের আলাদা ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা করুন –
সাইকোলজিস্ট মাইকেল ভিনর-ডেভিস এর মতে, আপনার শিশু যদি একা ঘুমাতে ভয় পায়, দুঃস্বপ্ন দেখে তাহলেই কেবল সাথে নিয়ে ঘুমন। আর অন্য সময় শোয়ার ঘরকে নিজেদের করে রাখুন। নিজেদের ভালোবাসা এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এটুকু ছাড় আমাদের দিতে হবে।
৮. পোষা প্রাণিদের বিছানায় নেবেন না –
কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিছানায় পোষা প্রাণি নিয়ে শুতে যান তাদের ৬৩% ভালোভাবে ঘুমতে পারেন না। পোষা প্রাণিরা সারা রাত এক নাগারে ঘুমতে পারে না এবং আপনার ঘুম ভাঙ্গিয়ে বিরক্ত করে। আর তাছাড়া শোয়ার ঘরে পোষা প্রাণির উপস্থিতি একদম ঠিক না
৯. শোয়ার ঘরে ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন –
অনেক দম্পতি শোয়ার ঘরে ধূমপান ও মদ্যপান করে থাকেন। বিশেষ করে পুরুষ সঙ্গী। এতে ঘরের পরিবেশ দূষিত হয়, এবং মুখে বাজে গন্ধ তৈরি করে। ফলে নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগ্রহ কমে যায়। এরা অনিদ্রার জন্যও দায়ী। তাই শোয়ার ঘরে কখনো ধূমপান বা মদ্যপান করবেন না।
১০. একে অপরকে ম্যাসাজ করে দিন –
ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অব স্লিপ নিশ্চিত করেছে যে, ঘুমানোর আগে সামান্য ম্যাসাজ আপনার ঘুমের মান উন্নত করবে। পাশাপাশি ভয়, জড়তা দূর করে দম্পতিদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন