শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২

দুধ ফুটিয়ে পান করা কতটা জরুরি ?.


দুধ ফুটিয়ে পান করা কতটা জরুরি ?.

 আমরা সাধারণত দুধ ফুটিয়েই পান করি। কিন্তু দুধ ফুটিয়ে পান করা জরুরি কিনা- এ বিষয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে। অনেকে দুধ কাঁচাও পান করে থাকেন। সেক্ষেত্রে এর কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে কিনা- এ বিষয়েও জানা প্রয়োজন। 

  পুষ্টিবিদদের মতে, এটি অত্যন্ত জরুরি সুষম আহার। আমরা হয়ত অনেকেই শুনে থাকব, দুধ ফুটিয়ে নিলে তার পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই কাঁচা অবস্থায় দুধ খেলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক দুধ ফুটিয়ে পান করা উচিৎ নাকি কাঁচা পান করা ভালো।

  সরাসরি গোয়াল থেকে আসা কাঁচা দুধ না ফুটিয়ে খেতে কঠোর ভাবেই নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি। ফলে এই দুধ অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা দুধে অনেকরকম রোগজীবাণু বাসা বাধে। সরাসরি ডেয়ারি থেকে আনা দুধ খেলে সেই জীবাণু শরীরের নানা ক্ষতি করতে পারে। দুধ ফোটালে উচ্চ তাপমাত্রায় সেই সব জীবাণু মরে যায়।

  বর্তমানে বেশির ভাগ স্থানেই যে প্যাকেটজাত দুধ পাওয়া যায়, সেগুলো 'পাস্তুরাইজড'। অর্থাত্‍, জীবাণুমুক্ত এবং সংরক্ষণের উপযুক্ত। কিন্তু নিউ ইয়র্কের কর্ণেল বিশ্ববদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স বিভাগের গবেষকদের মতে, পাস্তুরাইজ করার পরও দুধ ১০০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করা যায় না। কারণ দুধে সালমোনেল্লা, সিউডোমোনাস, ব্যাসিলাস, এনটারোব্যাকটর, ই-কোলাই-এর মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

  পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা দুধে যেসব ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, সামান্য আগুনে ফোটালে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলো মরে যায়। পাস্তরাইজ করা প্যাকেটজাত দুধ উচ্চ তাপমাত্রায় না ফোটালেও সামান্য গরম করে খেতে পারলে দুধের পুষ্টিগুণ বজায় রেখে তা ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করা সম্ভব হবে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


0 Post a Comment:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন