মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২

শীতকালে বেড়ে যায় হার্ট এ্যাটাক, কিভাবে সুস্থ থাকবেন ?.


শীতকালে বেড়ে যায় হার্ট এ্যাটাক, কিভাবে সুস্থ থাকবেন ?.

সারা বিশ্বে অসুখ বিসুখের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মানুষ মারা যায় হৃদরোগে। আরও উদ্বেগজনক ব্যাপার হচ্ছে, ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী অনেক তরুণ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন কারণে হ্রদরোগ ও হার্ট অ্যাটাক অন্যতম, এবং হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হচ্ছে ঋতুর পরিবর্তন।

শীতকালে শুধু সর্দি-কাশি আর ফুসফুসের সমস্যাই নয়, হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। আকস্মিক হার্ট এ্যাটাক থেকে বাঁচতে হলে সতর্ক থাকতে হবে এবং শীতকালে এই সতর্কতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

১। শীতকালে হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন?

যদিও এর কারণ সঠিকভাবে কেউ জানেন না, বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটা আমাদের দেহতত্ব কিংবা অতিরিক্ত ঠান্ডা হৃদপিন্ডের উপর প্রভাব ফেলার কারণে এটা হতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে শীতকালে স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিউর এবং এরিদমিয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

ঠান্ডা পড়লে আমাদের শরীরের সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমের সক্রিয়করণ বেড়ে যায়, ফলে রক্তের ধমনী সরু হয়ে যায়, যাকে বলা হয় ভাস্কোকন্সট্রিকশন (Vascoconstriction)। যখন এটা হয়, তখন ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায় এবং হৃদপিন্ডকে রক্ত পাম্প করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে বেগ পেতে হয়।

২। আর কি কি ফ্যাক্টর শীতকালে হার্টের উপর প্রভাব ফেলে?

বাইরে বেশী ঠান্ডা থাকলে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না, ফলে ব্যায়াম হয় না। এটা হার্টের জন্য দুঃসংবাদ। শীতকালে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আসে। এই সময় উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার বেশী খাওয়া হয়, যা রক্তের ধমনীর উপর প্রভাব ফেলে। 

৩। শীতকালে হার্ট এ্যাটাক থেকে কিভাবে নিরাপদ থাকবেন?

হার্ট এ্যাটাক একটি বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং আপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এর থেকে নিরাপদ থাকতে আপনাকে হার্টের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। এখানে দেয়া হলে শীতকালে হার্ট সুস্থ রাখতে 

বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শঃ-

শীতের ঠান্ডা আপনাকে খুব দ্রুত অসুস্থ করে ফেলতে পারে। আপনার যদি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে তাহলে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পড়ুন এবং মাথা ও বুক গরম কাপড় দিয়ে ভালভাবে ঢেকে রাখুন।

ঠান্ডার কারণে যদি বাইরে বের হতে না চান, তাহলে ঘরেই ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার ইমিউনিটি শক্তিশালী করবে এবং ফিট থাকতে সাহায্য করবে। বাসায় হার্ট বান্ধব ব্যায়াম করুন অথবা যোগ ব্যায়াম বা মেডিটেশন শুরু করুন।

আপনার যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ এবং অন্যান্য ভাস্কুলার রোগ থাকে তাহলে এসব নিয়মিত নিয়ন্ত্রণে রাখুন। খাদ্যের দিকে নজর রাখুন। শীতে মিষ্টি ও চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায়। তাই এসব খাবার পরিহার করুন ও ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যের চেক আপ করুন। সময়মত ডাক্তারের সাহায্য নিন। হার্ট এটাক থেকে বাঁচতে সচেতন থাকতে হবে। বুকে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, মাথা ঘোরানো বা বমি ভাব হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

0 Post a Comment:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন