কোন কোন খাবার খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য?.
কোন কোন খাবার খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য?.
কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। যদিও এটি অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা বলে মনে করা হয়। মলত্যাগ নিয়মিত না হওয়ার ফলে দেখা দেয় এই সমস্যা। এটি কেবল যন্ত্রণাদায়কই নয়, অস্বস্তিকরও। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, প্রতি সপ্তাহে তিনদিনেরও কম মলত্যাগ হলে তা হতে পারে কোনো সমস্যার সংকেত। আপনি যদি জোর করে মলত্যাগ করেন বা খুব বেশি চাপ দেন, তাহলে এটি অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার জন্ম দিতে পারে, যা মোকাবেলা করা আরো কঠিন হতে পারে।কোষ্ঠকাঠিন্য এমন কিছু নয় যা নিরাময় করা যায় না। সঠিক খাবারের মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক এমনকিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো নিয়মিত খেলে আপনার মলত্যাগে আর কোনো সমস্যা হবে না এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে-সকালের নাস্তায় ওটমিল-
আপনার দিন শুরু করার সর্বোত্তম উপায় হলো সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটমিল খাওয়া। এটি দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবার সমৃদ্ধ। উপরের অংশ সহজে পানিতে দ্রবীভূত হয় এবং জেলের মতো আকার ধারণ করে, ভেতরের অংশ মলের পরিমাণ বাড়ায়, যা পেট এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে সহজে যেতে পারে। এতে মলত্যাগ করার জন্য কোনো চাপের প্রয়োজন হয় না এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
সবুজ শাক-সবজি খান-স্বাস্থ্যকর সবুজ শাক-সবজি অনেক অসুখ দূরে রাখে। তার মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য অন্যতম। পালং শাক, ব্রাসেল স্প্রাউট এবং ব্রকোলির মতো সবুজ শাক-সবজি একাধিক পুষ্টিতে সমৃদ্ধই। এগুলোতে থাকা ফাইবার অন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ভালো। এটি মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়া অনেক সহজ করে তোলে।
খেতে হবে ফল-
কিউই, কমলা, নাশপাতি এবং আপেলের মতো ফল হজমের জন্য দারুণ। কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত যে কেউ এই ফল খেতে পারেন, এগুলো ফাইবারে পরিপূর্ণ। এছাড়াও এই ফলগুলোতে প্রচুর পানি, সরবিটল এবং ফ্রুকটোজ রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য উপকারী।
তিল অত্যন্ত উপকারী-ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার তিল অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি সহজেই আপনার খাবারে যোগ করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, তিল একসঙ্গে খুব বেশি খাবেন না। অতিরিক্ত খেলে তা আপনার শরীর হজম করতে পারবে না এবং আপনি প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবেন।
মটরশুঁটি খাবেন নিয়মিত-
অনেক ধরণের মটরশুটি রয়েছে এবং সেগুলো বেশিরভাগেই ফাইবার রয়েছে। এতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার রয়েছে, যা তাদের নিজস্ব উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রতিরোধী স্টার্চও রয়েছে যা হালকা রেচক হিসেবে কাজ করে পরিপাকতন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
জল বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে-
স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র অর্জনের চাবিকাঠি হলো হাইড্রেটেড থাকা। শরীরে তরলের অভাব কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাথমিক কারণ। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করলে তা আপনাকে কেবল শক্তিশালীই রাখে না, আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন