শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২

কি কি উপকার মিলবে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাসে ?


কি কি  উপকার মিলবে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাসে ?

যেসব উপকার মিলবে হাঁটাহাঁটির অভ্যাসে,মাত্র ২০ মিনিটের হাঁটার অভ্যাস কমাতে পারে মানসিক চাপ, দিতে পারে ভালো ঘুম ও দীর্ঘায়ু। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহ্যাটন’য়ে অবস্থিত ‘বডি স্পেস ফিটনেস’য়ের প্রশিক্ষক ক্রিস্টিন টর্ড বলেন -‘হাঁটাহাঁটির শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা অপরিসীম। 

এতে কোনো পয়সা খরচ হয়না, বিশেষ কোনো কৌশল রপ্ত করতে হয় না এবং এর জন্য সময় বের করতেও বেগ পেতে হয়না। শুধু ইচ্ছাটা থাকতে হবে'। এই প্রশিক্ষকের পরামর্শে হাঁটাহাঁটির বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে ‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হল বিস্তারিত।

" হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে ক্যালরি কমবে, পেশির ঘনত্ব বাড়বে”, বলেন টর্ড। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই অভ্যাস। তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটি’তে প্রকাশিত গবেষণা বলে, ‘প্রতিদিন ১৫ হাজার বা তারও বেশি কদম যারা হাঁটেন তাদের কোমরের বেড় এব্ং ‘বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই)’য়ের মাত্রা অলস ভাবে দিন কাটানো মানুষদের তুলনায় কম। একজন সাধারণ মানুষের এই ১৫ হাজার কদম হাঁটতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। 

  সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে একে ভাগ করে নিতে হবে। ১৫ হাজার কদম হাঁটার সময় যদি না থাকে তবে সেটারও বিকল্প আছে। যে পথে চড়াই আছে সেটাকে বেছে নিতে পারেন। আবার হাঁটার মাধখানে হালকা ‘জগিং’ করতে পারেন বিরতি দিয়ে। শরীরের ওজন ব্যবহার করে এমন ব্যায়ামগুলো মাঝে করে নিতে পারেন। যেমন উঠবস, বুকডন, ‘লাঞ্জেস’ ইত্যাদি।’

  উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ইত্যাদির ঝুঁকিতে যারা আছেন তাদের জন্য হাঁটাহাঁটি নিত্যদিনের অভ্যাস হওয়া আবশ্যক। ‘ন্যাশনাল ওয়াকার’স হেলথ স্টাডি’ অনুযায়ী, “প্রতিদিন হাঁটার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ৭.৭%, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের ঝুঁকি ৭%, এবং ডায়াবেটিস’য়ের ঝুঁকি কমবে ১২.৩%। টর্ড বলেন, ‘যারা ইতোমধ্যেই দূরারোগ্য ব্যধিতে ভুগছেন তাদের জন্যও হাঁটাহাঁটি অত্যন্ত উপকারী হবে।’

  ‘দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ)’ প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেয়। আর সপ্তাহের সবদিন কিংবা অন্তত পাঁচদিন হাঁটতে হবে। তবেই রক্তচাপ আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যারা হিমশিম খাচ্ছেন তাদেরকেও একই ধরনের পরামর্শ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)’

  সারাদিন কাজ করে বাড়ি ফিরে মন চাইবে মোবাইল নিয়ে বসে থাকতে কিংবা টিভি দেখতে। তবে সেই আলসেমির হাতছানিকে উপেক্ষা করে যদি জুতা পরে হাঁটতে বের হতে পারেন তবেই জীবনটা সুস্থ শরীর নিয়ে কাটাতে পারবেন। টর্ড বলেন, ‘হাঁটাহাঁটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, মন ভালো করে’।

  আর তা মাত্র ১০ মিনিটেই সম্ভব বলে দাবি করে ‘ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি’র গবেষণা। প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটতে গেলে উপকার মিলবে বেশি। হাঁটতে গিয়ে কারও সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে, সামাজিক যোগাযোগ ঘটতে পারে। মন মানসিকতার ওপর এই বিষয়গুলোর দারুণ প্রভাব থাকে।

  বর্তমান সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে সবাই চিন্তিত। আর তাকেই জোরদার করে হাঁটাহাঁটির নিয়মিত অভ্যাস। টর্ড বলেন, ‘এক গবেষণায় জানা গেছে, আধা ঘণ্টা হাঁটলেই শ্বেত রক্তকণিকার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জোর বাড়ে, তবে তা হয় ক্ষণস্থায়ী’।

  ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন ১০০০ অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ‘ফ্লু’ মৌসুমে গবেষণা চালায়। দেখা যায়, যারা দৈনিক ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটেন তাদের অসুস্থ হওয়ার মাত্রা অলস অংশ গ্রহণকারীদের তুলনায় ৪৩ শতাংশ কম। আর অসুস্থ হলেও তাদের অস্বস্তি থাকে কম।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

0 Post a Comment:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন