নগ্ন অবস্থায় ঘুমানোর উপকারিতা কি ?.
নগ্ন অবস্থায় ঘুমানোর উপকারিতা কি ?.
আমারা সবাই জানি শরীরেকে সুস্থ রাখতে আমাদের ঘুমানো(Sleep) দরকার। সারা পৃথিবী জুড়েই ঘুমানোর কিছু গাইড লাইন আছে যা মেনে চলা অত্যন্ত দরকারী। বেশি ঘুমোনো যেমন শরীরের জন্য ভালো নয় আবার কম ঘুমোনো তো একেবারেই ভালো নয়। দিনে অত্যন্ত ৬-৮ ঘন্টা গাঢ় ঘুম(Sleep) দরকার। কিন্তু অনেকেই এমন আছেন যাদের রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যা। পরীক্ষা করে দেখা গেছে বারবার ঘুম ভাঙার প্রধান কারণ হলো আমাদের পরনের পোশাক আশাক। মোটামুটি সব বিশেষজ্ঞরাই বলেন রাতে নগ্ন(Naked) হয়ে ঘুমোনো দরকার। আজকে তাই দেখবো নগ্ন হয়ে ঘুমোনোর উপকারিতা ।
নগ্ন অবস্থায় ঘুমানোর উপকারিতা কি?
খুবই আরামদায়ক :
আপনি যদি নেকেড স্লিপার না হন‚ তাহলে নগ্ন(Naked) হয়ে শোয়ার আইডিয়া আপনার কাছে স্বস্তিদায়ক হবে না। কিন্তু একবার অভ্যাস হয়ে গেলে দেখবেন এর থেকে আরামদায়ক আর কিছুই হতে পারে না। তাছাড়াও যেহেতু আপনি নগ্ন হয়ে ঘুমোবেন‚ আপনাকে জামাকাপড়ও কম কাচতে হবে । এবং রাতের পোশাক(Dress) কেনার টাকাও বেঁচে যবে। এছাড়াও টাইট আন্ডার ওয়্যার এবং ব্রা-এর হাত থেকেও রক্ষা পাবেন‚ ফলে ঘুম অনেক ভালো এবং আরামদায়ক হব।
ভালো ঘুম হবে :
বেশির ভাগ ব্যক্তি যারা পোশাক(Dress) পরে ঘুমোন‚ তাদের মাঝে মাঝেই ঘুমোনোর সময় জামা কাপড় জড়িয়ে যায় বা কিছুর সঙ্গে আটকে যায়। ফলে ঘুম ভেঙে যায় । এছাড়াও অনেকেই রাতে টি-শার্ট পরে ঘুমোতে পছন্দ করেন। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে গেঞ্জি শরীরের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে যায় যে ঘুম ভাঙতে বাধ্য। কিন্তু যখন নগ্ন(Naked) হয়ে ঘুমোবেন এইসব সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। এর ফলে আরো ভালো এবং গভীর ঘুম হয়।
স্কিন কোয়ালিটির উন্নতি ঘটে :
সারা দিনে যদি একবারও সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ঘুমোন তহলে আপনার শরীরে ফ্রেস হাওয়া লাগবে। শুধু ত্বক(Skin) নয় আপনার প্রাইভেট পার্টেও হাওয়া লাগবে। যা খুবই ভালো। কারণ প্রায় সারাদিনই আমাদের প্রাইভেট পার্ট‚ বগল এবং পায়ের পাতা ঢাকা থাকে। এর ফলে এই জায়গাগুলোতে ঘাম জমতে থাকে। তাই শরীরের এই অঙ্গগুলিতে একবার অন্তত হাওয়া লাগনো উচিত। এর ফলে স্কিন(Skin) ডিজিজের সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যায়।
কর্টিসল নিয়ন্ত্রণে রাখে :
আপনি যখন নগ্ন হয়ে ঘুমোন তখন আপনার শরীরের টেম্পারেচার ওপটিমাল রেঞ্জে থাকে‚ এর ফলে আপনার শরীর সঠিক মাত্রায় কর্টিসল তৈরি করে। অন্য দিকে জামাকাপড় পরে শুলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। এর ফলে বেশি মাত্রায় কর্টিসল উৎপাদন হয়‚ এর ফলে উদ্বেগ‚ শরীরের ক্ষতি করে এমন খাবার খাওয়ার ইচ্ছা‚ ওয়েট গেইন হতে পার। তাই কর্টিসল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নগ্ন (Naked) হয়ে ঘুমোনো ভাল।
মেলাটোনিন এবং গ্রোথ হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখে :
নগ্ন হয়ে ঘুমোনোর ফলে আপনার স্লিপিং এনভায়রমেন্ট ৭০ ডিগ্রীর নীচে থাকে। এর ফলে আপনার শরীরী মেলাটোনিন এবং গ্রোথ হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে আপনার শরীরে বার্ধক্যের চিহ্ন আসতে দেরী হবে।
(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন