নারীর সতীত্ব ঠিক আছে কিনা বুঝবেন যে সহজ ৩টি উপায়ে
না’রীর স’তী’ত্ব ঠিক আছে কিনা বুঝবেন যে সহজ ৩টি উপায়ে -
শারীরিক সস্পর্কে লিপ্ত হওয়া কোনো নারীকে বাহ্যিকভাবে চেনার তেমন কোনো উপায় নেই। তবে আমরা প্রায় সবাই জানি যে প্রথম মিলনে নারীদের হাইমেন বা সতীচ্ছেদ হয়ে থাকে।
এই সতীচ্ছেদেরে বিষয়টি পরীক্ষা করেই বোঝা সম্ভব যে নারীটি পূর্বে কোনো শা’রীরিক সস্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন কিনা। তবে অনেক সময় এটি প্রাকৃতিকভাবেই মাঝে মাঝে ছিঁ’ড়ে যায়।
ফলে কোনো নারীর পূর্বে থেকেই সতীচ্ছেদ থাকা মানেই এই না যে তিনি অবশ্যই শারীরিক সস্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। উল্লেখ্য কোনো নারী একাধিক পুরুষের সাথে শারীরিক সস্পর্কে লিপ্ত হয়েছে কি না এর কোনো নির্দিষ্ট ডাক্তারি পরীক্ষা নেই যদিনা ঘটনার মুহূর্তেই ডিএনএ পরীক্ষা না করা হয়ে থাকে।
হাইমেন শব্দটি গ্রীক ভাষা থেকে এসেছে। যার বাংলা অর্থ স্বতীচ্ছদ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হাইমেন বা স্বতীচ্ছদ অর্ধচন্দ্রাকার একপ্রকার শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী যা স্ত্রী যো’নিমূখ ঘিরে থাকে।
এটি শরীরের অতি জরুরী অঙ্গের একটি। বয়স যত বাড়তে থাকে স্বতীচ্ছদের মুখ/ছি’দ্র ক্রমশঃ বড় হতে থাকে। এটি যোনীমুখের একদম সামনের দিকে অবস্থিত।
দুই পা সম্পুর্ণ ছড়িয়ে দিয়ে ছোট একটি আয়না সামনে রেখে আপনি এ পর্দাটি নিজেই দেখতে পারেন । যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞান বলেছে এটি নিছক একটি আংশিক আবরণকারী পর্দা এমনকি অনেক নারী এ পর্দা ছাড়াও জন্ম গ্রহন করেন অথবা সাঁতার, খেলাধুলা সহ দৈনন্দিন কাজ কর্মের ফলে এটি ছিরে যায়, তারপরও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ অঙ্গ এখনো নারীর স্বতীত্বের প্রতিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় – যা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। ভারত এবং জাপান সহ বিশ্বের অনেক দেশে স্বতীচ্ছদ পুনঃস্থাপন অ’স্ত্রপ্র’চার (প্লাষ্টিক সা’র্জারী) খুব জনপ্রিয়।
স্ব’তীচ্ছদের কাজঃ – বাচ্চা বয়সে মেয়েদের যৌনাঙ্গকে সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করা। মাসিক ঋজঃচক্র শুরু হবার পর রক্তের স্বাভাবিক বহিঃর্গমন নিশ্চিত করা ।
স্বতীচ্ছদের প্রকারভেদ : -
ছিদ্রহীন স্বতীচ্ছদ: সাধারণত এই প্রকার স্বতীচ্ছদ সম্পুর্ন যৌননালীকে ঢেকে রাখে। এতে কোন প্রকার ছিদ্র থাকেনা, তাই ঋজঃচক্রের রক্ত বাহিরে আসেতে পারেনা। ছিদ্রহীন স্বতীচ্ছদ হবার কারণ: ছিদ্রহীন স্বতীচ্ছদ এটি সাধারনত কিশোরী বয়েসে পরিলক্ষিত হয়।
যাইহোক, নতুন জন্মনেয়া মেয়ে শিশুর শাররীক পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে এই রোগ নির্নয় করা যায়। এটা স্পষ্ট যে কিশোরীদের ছিদ্রহীন স্ব’তীচ্ছদ একটি জন্মগত রোগ, এবং ইপিথিলিয়াল কোষের (খাদ্যযন্ত্র/খাদ্যনালী তথা মুখগহ্বর থেকে পায়ু পথ পর্যন্ত রাস্তার বাহিরের ঝিল্লী) কার্যকারীতা নষ্ট হবার কারনেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন