রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২

প্রেমে পড়লে ছেলেদের কি কি পরিবর্তন হয় ?.


প্রেমে পড়লে ছেলেদের কি কি পরিবর্তন হয় ?

 প্রেম মানেই পরিবর্তন। প্রেমে পড়বেন আর আপনার মধ্যে পরিবর্তন আসবে না, তাই কি হয়! এমনও হতে পারে যে আপনার হাব-ভাব দেখেই আশেপাশের মানুষেরা বুঝে ফেলেন যে আপনি প্রেমে পড়েছে! অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে ছেলেরা তো একটু কৃপণতা করেই।

 তারা মন খুলে কাউকে বলতেও পারে না। মজার ব্যাপার হলো, প্রেমে পড়লে মেয়েদের মতো ছেলেদেরও কিছু পরিবর্তন আসে। ঠিকভাবে খেয়াল করলেই তা বুঝতে পারবেন। মিলিয়ে নিন তো, আপনার পরিচিত কোনো ছেলে এভাবে পরিবর্তিত হয়েছে কি না-

সচেতন -

প্রেমে পড়লে ছেলেরা একটু বেশিই সচেতন হয়ে যায়। এই সচেতনতা কিন্তু নিজেদের সাজ, পোশাক নিয়ে। কোন পোশাকটি পরলে বেশি মানাবে, কোন হেয়ারকাটে আরেকটু সুন্দর লাগে এসব বিষয়ে চিন্তা করে। শুধু সাজ-পোশাকই নয়, আচার-আচারণে আসে পরিবর্তন। মেয়েদের সঙ্গে আগের থেকেও সচেতন হয়ে কথা বলে।

সম্পর্ক সুন্দর রাখার চেষ্টা -

প্রেম মানুষকে সমৃদ্ধ করে এ কথাটি মিথ্যা নয়। প্রেমে পড়লে ইতিবাচক পরিবর্তনই বেশি আসে। এসময় ছেলেরা একটু বেশিই সমঝদার হয়ে যায়। তারা সম্পর্কটি সুন্দর রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। কী করলে প্রেয়সীর মন জয় করা যাবে, সেই চেষ্টাই থাকে তাদের।

অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া - 

এমনিতে একরোখা স্বভাবের হলেও প্রেমে পড়লে ছেলেদের মন পাল্টে যায়। তখন নিজের পাশাপাশি তারা অন্যদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে শেখেন। এসময় তাদের মন অনেকটা কোমল হয়ে যায়। তখন ভিন্নমতকেও অসহ্য মনে হয় না। এসময় তারা অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। 

অযথা আঘাত না করা -

প্রেমে পড়লে ছেলেরা ধৈর্যশীল হয়ে যায়। এসময় তারা সহজে কাউকে আঘাত করতে চায় না বা কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলে না। বিশষে করে পছন্দের মেয়েটিকে তো একেবারেই নয়। এসময় তারা সম্পর্কের প্রতি আরও যত্নশীল হয়ে ওঠে। প্রেমে পড়লেই ছেলেরা সুন্দরভাবে সবার খেয়াল রাখতে শিখে যায়। 

গুরুত্ব -

শুধু প্রেমিকাকেই নয়, প্রেমে পড়লে ছেলেরা সবাইকে গুরুত্ব দিতে শেখে। কারণ প্রতিটি মানুষ এবং প্রতিটি সম্পর্কের আলাদা গুরুত্ব ও সৌন্দর্য আছে। প্রেমে পড়লে এই বোধ ছেলেদের মাঝে আরও বেশি জাগ্রত হয়। এটি আসলে সবার জন্যই দরকারি। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কাউকে ভালো লাগলে আমাদের কী করা উচিত ?.


কাউকে ভালো লাগলে আমাদের কী করা উচিত?

 বর্তমানে ভালোবাসা, ভালো লাগা ব্যাপার গুলো কেমন জানি।  হঠাৎ করে আপনার কাউকে পছন্দ হয়ে গেল। মনে কি যেন একটা হয়ে যায়। ভালো লেগে গেল। কিন্তু নিজেকে বুঝতে পারছেন না, তখন আপনার কী করতে হবে। মনের ভিতরে অনেক ভয় কাজ করে  থাকে।

 আমাদের কখন কাকে ভাল লেগে যায় আমরা নিজেরাও জানি না। কিন্তু যখন আমরা কাউকে পছন্দ করতে শুরু করি তখন আমরা ভেবে পাই না আমরা কি করব। এমন মুহূর্তে কী করা উচিত, সমাধান জানা যাবে নিচের অংশটুকু পড়লে।

আগে তাকে ভালো লাগার বিষয়টি ঠিক করুনঃ- 

 ভালো লাগার অনেক বিষয় থাকতে পারে। সেটা ভালবাসা বা অন্য দিক। তো আগে আপনাকে ভেবে নিতে হবে আপনার তাকে কোন দিক থেকে ভালো লাগে। আপনি তাকে ভালবাসেন বা ভালবাসতে চান কিনা এটা আগে ভেবে দেখুন। ভালবাসা আর অন্য ব্যাপার গুলো আলাদা। সাথে এটাও ভাববেন এমনটা নয়তো যে, আপনি তাকে ভালবাসেন না বা ভালবাসবেন না। 

 শুধু ভালো লাগাটা কোন ব্যাপার নয়। অন্য কারণ তবে সেটা ভালবাসা নয়। তাই আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে কোন ব্যাপারে বা কোন দিক থেকে আপনি তাকে পছন্দ করেন। সেটা জানা গেলেই আপনি ঠিক করতে পারবেন আপনার তাকে পছন্দ হলে আপনার কি কি করা উচিত।  

ভালবাসতে চাইলে কি করা উচিতঃ-

 আপনার যদি মনে হয় আপনি তাকে ভালবাসেন বা ভালবাসতে চান। তাহলে আপনার তো অনেক কিছুই করা উচিত হবে। প্রথমত তার কাছে থাকার চেষ্টা করুন। আপনার ইচ্ছে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করুন। ফাইনালি তাকে প্রপোজ করুন।

ভালবাসা ছাড়া অন্য কারণ থাকলে কি করা উচিতঃ-

ভালবাসা ছাড়া অন্য কারণ থাকলে আপনার কাজ হাসিলের জন্য তাকে অফার করতে পারেন। নিজে না পারলে অন্যকে দিয়ে অফার করুন। তাকে বুঝানোর চেষ্টা করুন। 

এমনিতেই ভাল লাগলে যা করবেনঃ -

এমনিতেই ভাল লাগলে কি আর করবেন। ভাল যখন লাগছে তো লাগতে দিন। সমস্যা থাকলে বাদ দিন।  তবে আপনি আপনার ভাবনাতে আরো কিছু যোগ দিতে পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত বেশি কিছু করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত ঘটতে পারে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২

বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান ৭টি কারণ কি কি ?.


বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান ৭ টি কারণ কি কি ?.। 

 সবার জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে নারী পুরুষ একত্রে বৈধভাবে মিলিত হয়। স্বপ্ন দেখে সুখী নীড় গড়ে তোলার। সবাই চায় তার বিবাহিত জীবন সুখী হোক। তবে দুর্ভাগ্যবশত বিয়ের পর নারী-পুরুষ যেমন সংসার শুরু করে, তেমনই শুরুর পর পরও অনেক সময় দেখা দেয় বিচ্ছেদের ঘণ্টাধ্বনি। কেন বিবাহবিচ্ছেদ, কেনই বা সংসার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিবাহবিচ্ছেদের শীর্ষ ৭ কারণ-

১) দম্পতিদের মধ্যে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়া কিংবা মনোমালিন্য খুবই সাধারণ বিষয়। তাই বলে বারবার সঙ্গীকে অসংলগ্ন কথা বলা কিংবা সঙ্গীকে অসম্মান করা বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। এর ফলে অপরজনের মধ্যে ধারণা জন্মায়, সঙ্গীর কাছে বোধ হয় তার কোনো সম্মান নেই!

২) বেশিরভাগ মারামারি, তর্ক ও বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ হলো ভুল বোঝাবুঝি। অনুমান ও অবিশ্বাস্যের কারণে ঘটতে পারে বিবাহবিচ্ছেদ।

৩) বিশ্বাসঘাতকতা করার কারণেও অনেকেরই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক দাম্পত্য জীবন ধ্বংস করে দেয়। মুহূর্তেই ভেঙে দেয় সাজানো গোছানো সংসার।

৪) অ্যালকোহল, ড্রাগে আসক্ত ব্যক্তিরাও সম্পর্ক ও সঙ্গীকে ধরে রাখতে পারেন না। কারণ মেজাজের পরিবর্তন, আচরণ, ঘুমের ধরণ, ক্ষুধা, পারিবারিক দায়িত্ব, বন্ধু ও সংযোগ, অর্থের অপচয় ও ভুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার কারণে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে এমন মানুষদের মধ্যে।

৫) অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্খা কিংবা লোভী নারী-পুরুষ অর্থ, ক্ষমতা, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির লোভে তার চেয়ে তিনগুণ বয়সী নারী-পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। একসময় মোহ চলে যায় বা অক্ষম পুরুষ-নারী কিংবা অর্থ চাহিদাপূর্ণ হলে সে আবার নতুনের সন্ধানে বের হয়। এমন সম্পর্ক শেষ হয় বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে।

৬) পারিবারিক নির্যাতনের কারণেও একটি সংসার ভেঙে যায়। বিশেষ করে অনেক নারী তার সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। শুধু নারীরাই নন, পুরুষদের ক্ষেত্রেও অনেক সময় এটি দেখা যায়।

৭) কারও দাম্পত্য জীবনে যদি পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের মতামত কিংবা অভিযোগ যুক্ত হয়, সেক্ষেত্রে বিরোধ বাঁধতে পারে দম্পতির মধ্যে। যেমন- শ্বশুরবাড়ির কোনো সদস্যদের বিরূপ মন্তব্য কিংবা কটাক্ষতার শিকার হয়েও অনেকে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটায়।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

গরম জল পানের ৭টি উপকারিতা কি কি ?.


গরম জল পানের ৭টি উপকারিতা কি কি ?.

প্রতিদিন একটি উষ্ণ জলের স্নান যেমন শরীরকে ঝরঝরে করে তোলে ঠিক তেমনি প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস উষ্ণ বা গরম জল পান শরীরকে আভ্যন্তরীন ভাবে অনেকটাই সুস্থ করে তোলে। করোনা মহামারির কারণে অনেকেই এখন গরম পানি পানের অভ্যাস করছেন। কিন্তু গরম জল শুধু করোনা কালে নয়, যে কোন সময় পান করলেই এটা স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারি।

প্রাচীন চীন ও ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ১ গ্লাস গরম জল পানের মাধ্যমে দিন শুরু করলে তা পাচকতন্ত্রের সুস্থতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আরো অনেক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়। চীন দেশের মানুষরা আজও তাদের খাবারের সময় কেতলি ভর্তি গরম গ্রীন টি রাখে এবং তা খাওয়ার মাঝেই অল্প অল্প করে পান করতে থাকে। আসুন তাহলে জেনে নিই উষ্ণ জল পানের উপকারিতা।

১। ওজন কমানো -

বিশেষজ্ঞদের মতে সকালে ১ গ্লাস গরম জল ওজন কমাতে বিশেষ সহায়ক। এটা মেটাবলিযমকে উজ্জিবীত করে ক্যালরি বার্ন করে। গরম জল অন্ত্রকে পরিষ্কার করে ও পেট ফাপা বন্ধ করে। এছাড়া গরম জল শরীরের আভ্যন্তরীন তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যা মেটাবলিযমের কার্যকারিতা বৃদ্ধিত করে।

২। গরম জল সাইনাস দূর করে -

উষ্ণ জল পান করলে শ্বাসনালীতে জমে থাকা শ্লেষ্মা অনেকটাই নরম হয় আসে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া আরামদায়ক হয়। পান করার ৩০ মিনিটের মধ্যেই গরম জলের কার্যকারিতা বোঝা যাবে।

৩। দাঁতের আরাম -

অনেক সময় দাঁতের সংবেদনশীলতা বা দাঁতে থাকা সাদা ফিলিং ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে আসলে খুব সমস্যা করে। তাই উষ্ণ জল ব্যবহারে আপনি আরাম পাবেন।

৪। হজমে সহায়ক -

খালি পেটে সকালে ১ গ্লাস গরম জল পানে তা পাকস্থলীতে থাকা ধমনীগুলোকে প্রসারিত করে যা পাচকতন্ত্রেকে ভালভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। খাবার খাওয়ার পর গরম জল পান করলে তা চর্বিকে তরলজাত করে এবং বিছানায় যাওয়ার আগে গরম জল পান করলে তা শরীরকে জলয়োজিত রাখে। 

৫। মাংসপেশীর স্বাস্থ্য -

গরম জল পানে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় যা মাংসপেশীকে আরাম দেয়। এটা যে কোন পেশীর ব্যথা, মাসিকের সময় পেটের পেশীতে যে ক্র্যাম্প হয় তা দূর করে এবং ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। 

৬। গরম জল মেজাজ ভাল রাখে -

গবেষণায় প্রমাণিত যে গরম জল পান মানুষের মুড ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৭। এন্ডোক্রাইন সিস্টেম -

উষ্ণ জল আমাদের শরীরের অন্তঃস্রাব সিস্টেম (Endocrine System) উজ্জিবীত করে ফলে শরীরে ঘাম হয় এবং ত্বকের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়।

পরিশেষে -

গরম জল বা উষ্ণ জল পান করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে জল যেন খুব বেশী গরম না হয় যা মুখ এবং শরীরের অভ্যন্তরের ক্ষতি করবে। যতটা গরম সহ্য করা যায় ঠিক ততখানি গরমই পান করুন এবং চাইলে সাথে লেবুর রস এবং মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২২

সঙ্গীর রাগ মোকাবিলা করে সম্পর্ক গভীর করবেন কিভাবে ?.


সঙ্গীর রাগ মোকাবিলা করে সম্পর্ক গভীর করবেন কিভাবে ?.

সঙ্গীর সঙ্গে পথ চলায় বিভিন্ন বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়ে থাকে। কখনো কখনো বেশ তীব্র আকার ধারণ করে এই সমস্যা। সেটা হোক পারিবারিক আয়োজনের বিয়ে, লাভ ম্যারিজ বা প্রেমিক-প্রেমিকার ক্ষেত্রে। এমন সম্পর্কে সঙ্গী যদি কোনো কারণে বা কারণ ছাড়াই রেগে যায় তাহলে সম্পর্কে নানা ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তাই সম্পর্কে পরিবর্তন আনা জরুরি।

বিবাদ থেকে বেরিয়ে আসা: -
সঙ্গী রেগে গেলে তার সঙ্গে পাল্টা রাগারাগির প্রস্তুতি নেয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখুন। সঙ্গী যেভাবেই কটূক্তি করুক না কেন তা পাত্তা দিবেন না। যদি আপনিও তার সঙ্গে রাগ করেন তাহলে বিপরীতের মানুষটি আরও বেশি আক্রমণাত্মক কথা বলবে। তাই নিজেকে শান্ত রাখা উত্তম উপায়।

সম্পর্কের বাইরে কাউকে না বলা:-
 সঙ্গীর খারাপ ব্যবহারে মনে কষ্ট পেলে অনেকে তা বন্ধু-বান্ধব ও বাইরের অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ থেকে বাইরের মানুষের কাছে নিজেদের আরও ছোট করা হয়। এছাড়া অনেকে হয়তো জানেনই না বা বিশ্বাসই করবে না আপনার সঙ্গীর অনেক রাগ। এতে বরং সম্পর্কে আরও ফাটল ধরবে। আর নিজেদের জীবনে সেই প্রভাব পড়বে। এক্ষেত্রে নিজেরাই বিষয়টি সমাধান করুন। আর দুই পরিবারের বাইরে কারও সঙ্গে নিজেদের বিষয়ে আলোচনা করবেন না।
নিজ সম্পর্কে পর্যালোচনা করুন:-
 সঙ্গী বারবার আপনাকে দোষারোপ করে, কিন্তু আপনি নিজেকে সঠিক হিসেবেই উপস্থাপন করেন। এমনটা হলে একা একা একবার নিজেকে নিয়ে ভাবুন। আপনার সঙ্গী আপনার যেসব বিষয়ে ভুলের কথা বলছে তা নিয়ে ভাবুন। জানার চেষ্টা করুন, আপনি সঠিক না আপনার সঙ্গী সঠিক।

ভুল স্বীকার করতে শিখুন: -
কখনো কোনো কারণে কথা কাটাকাটির পর বা রাগারাগির পর যদি মনে করেন আপনারই ভুল ছিল, তাহলে ভুল স্বীকার করবেন। ভুল স্বীকার করা খারাপ কিছু না। এতে ব্যক্তিত্বও ছোট হয় না। বরং এতে নিজের চিন্তা-শক্তির প্রখরতা ফুটে উঠে। আর নিজের আপন মানুষ সঙ্গীর সঙ্গে যদি ভুল করে থাকেন সেখানে ভুল স্বীকার করায় লজ্জার কিছু নেই। বিশ্বাস না হলে সঙ্গীর কাছে একবার নিজের ভুল স্বীকার করে দেখুন। দেখবেন সম্পর্ক আরও গভীর হবে। 
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২

শীতকালে বেড়ে যায় হার্ট এ্যাটাক, কিভাবে সুস্থ থাকবেন ?.


শীতকালে বেড়ে যায় হার্ট এ্যাটাক, কিভাবে সুস্থ থাকবেন ?.

সারা বিশ্বে অসুখ বিসুখের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মানুষ মারা যায় হৃদরোগে। আরও উদ্বেগজনক ব্যাপার হচ্ছে, ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী অনেক তরুণ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন কারণে হ্রদরোগ ও হার্ট অ্যাটাক অন্যতম, এবং হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হচ্ছে ঋতুর পরিবর্তন।

শীতকালে শুধু সর্দি-কাশি আর ফুসফুসের সমস্যাই নয়, হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। আকস্মিক হার্ট এ্যাটাক থেকে বাঁচতে হলে সতর্ক থাকতে হবে এবং শীতকালে এই সতর্কতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

১। শীতকালে হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন?

যদিও এর কারণ সঠিকভাবে কেউ জানেন না, বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটা আমাদের দেহতত্ব কিংবা অতিরিক্ত ঠান্ডা হৃদপিন্ডের উপর প্রভাব ফেলার কারণে এটা হতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে শীতকালে স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিউর এবং এরিদমিয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

ঠান্ডা পড়লে আমাদের শরীরের সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমের সক্রিয়করণ বেড়ে যায়, ফলে রক্তের ধমনী সরু হয়ে যায়, যাকে বলা হয় ভাস্কোকন্সট্রিকশন (Vascoconstriction)। যখন এটা হয়, তখন ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায় এবং হৃদপিন্ডকে রক্ত পাম্প করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে বেগ পেতে হয়।

২। আর কি কি ফ্যাক্টর শীতকালে হার্টের উপর প্রভাব ফেলে?

বাইরে বেশী ঠান্ডা থাকলে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না, ফলে ব্যায়াম হয় না। এটা হার্টের জন্য দুঃসংবাদ। শীতকালে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আসে। এই সময় উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার বেশী খাওয়া হয়, যা রক্তের ধমনীর উপর প্রভাব ফেলে। 

৩। শীতকালে হার্ট এ্যাটাক থেকে কিভাবে নিরাপদ থাকবেন?

হার্ট এ্যাটাক একটি বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং আপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এর থেকে নিরাপদ থাকতে আপনাকে হার্টের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। এখানে দেয়া হলে শীতকালে হার্ট সুস্থ রাখতে 

বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শঃ-

শীতের ঠান্ডা আপনাকে খুব দ্রুত অসুস্থ করে ফেলতে পারে। আপনার যদি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে তাহলে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পড়ুন এবং মাথা ও বুক গরম কাপড় দিয়ে ভালভাবে ঢেকে রাখুন।

ঠান্ডার কারণে যদি বাইরে বের হতে না চান, তাহলে ঘরেই ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার ইমিউনিটি শক্তিশালী করবে এবং ফিট থাকতে সাহায্য করবে। বাসায় হার্ট বান্ধব ব্যায়াম করুন অথবা যোগ ব্যায়াম বা মেডিটেশন শুরু করুন।

আপনার যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ এবং অন্যান্য ভাস্কুলার রোগ থাকে তাহলে এসব নিয়মিত নিয়ন্ত্রণে রাখুন। খাদ্যের দিকে নজর রাখুন। শীতে মিষ্টি ও চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায়। তাই এসব খাবার পরিহার করুন ও ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যের চেক আপ করুন। সময়মত ডাক্তারের সাহায্য নিন। হার্ট এটাক থেকে বাঁচতে সচেতন থাকতে হবে। বুকে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, মাথা ঘোরানো বা বমি ভাব হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কোন ৮ টি লক্ষণে বুঝবেন ফুসফুসে ক্যান্সার ?.


কোন ৮ টি লক্ষণে বুঝবেন ফুসফুসে ক্যান্সার ?.

আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস। আর শ্বাস নিতে কাজ করে এমন গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির সবচেয়ে ভয়াবহ সংক্রমণ হচ্ছে ক্যান্সার। বর্তমান বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি মারাত্মক হয়ে উঠেছে বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ফুসফুসে ক্যান্সারের লক্ষণগুলো না বুঝেই অবহেলা করেন। আবার ফুসফুসের ক্যান্সার উপসর্গ সবসময় প্রাথমিক পর্যায়ে দেখা নাও দিতে পারে। কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সার যত তাড়াতাড়ি আপনি বুঝতে পারবেন, এটির চিকিৎসাও তত তাড়াতাড়ি করা সহজ হবে। তাই আজ জেনে নিন যে ৮ লক্ষণে বুঝবেন ফুসফুসে ক্যান্সার—

১. বেশিরভাগ সময় কাশি হওয়া  -

অনেকেই কাশির সমস্যাকে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এটিও হতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ। আপনার যদি বেশিরভাগ সময়ে কাশি হয়ে থাকে তবে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

২. কাশির শব্দে পরিবর্তন বা কাশির সময় বুকে ব্যথা-

অনেকদিন কাশি হওয়ার পরে কাশির শব্দে পরিবর্তন আসতে পারে এবং কাশির সময় বুকে ব্যথা হতে পারে। এমনটা হলে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এটিও হতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ।

৩. কোনো কাজ করতে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া-

আপনি আগে যেসব কাজগুলো কোনো সমস্যা ছাড়াই করতেন, সেগুলো করতে গিয়ে এমন মনে হতে পরে যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরকম সমস্যা দেখা দিলে তা হতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ।

৪. কফে রক্ত আসা-

অনেক সময় কাশির সঙ্গে কফ উঠে তাতে রক্ত আসতে দেখা দিতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকলে।

৫. বুকে বা কাঁধে ব্যাথা-

ফুসফুসে ক্যান্সারের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে বুকে বা কাঁধে ব্যাথা দেখা দেওয়া।

৬. বুকের সংক্রমণ-

কিছুদিন পরপরেই বুকে সংক্রমণ দেখা দেওয়া বা একবার বুকের সংক্রমণ হলে তা অনেক দিনেও ভালো না হওয়া ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হতে পারে।

৭. ক্ষুধা কমে যাওয়া ও ওজন কমে যাওয়া-

ফুসফুসে ক্যান্সারের কারণে ক্ষুধা অনেক কমে যেতে পারে এবং ওজন কমে যেতে পারে।

৮. ক্লান্তিবোধ-

ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকলে তার একটি লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে ক্লান্তিবোধ। এতে সবসময় আপনার ক্লান্তিবোধ দেখা দিতে পারে।এসব লক্ষণ দেখা আপনার শরীরে দেখা দিয়ে থাকলে অবহেলা না করে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কোন কোন খাবার খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য?.


কোন কোন খাবার খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য?.

 কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। যদিও এটি অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা বলে মনে করা হয়। মলত্যাগ নিয়মিত না হওয়ার ফলে দেখা দেয় এই সমস্যা। এটি কেবল যন্ত্রণাদায়কই নয়, অস্বস্তিকরও। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, প্রতি সপ্তাহে তিনদিনেরও কম মলত্যাগ হলে তা হতে পারে কোনো সমস্যার সংকেত। আপনি যদি জোর করে মলত্যাগ করেন বা খুব বেশি চাপ দেন, তাহলে এটি অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার জন্ম দিতে পারে, যা মোকাবেলা করা আরো কঠিন হতে পারে।কোষ্ঠকাঠিন্য এমন কিছু নয় যা নিরাময় করা যায় না। সঠিক খাবারের মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক এমনকিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো নিয়মিত খেলে আপনার মলত্যাগে আর কোনো সমস্যা হবে না এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে-

সকালের নাস্তায় ওটমিল-

আপনার দিন শুরু করার সর্বোত্তম উপায় হলো সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটমিল খাওয়া। এটি দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবার সমৃদ্ধ। উপরের অংশ সহজে পানিতে দ্রবীভূত হয় এবং জেলের মতো আকার ধারণ করে, ভেতরের অংশ মলের পরিমাণ বাড়ায়, যা পেট এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে সহজে যেতে পারে। এতে মলত্যাগ করার জন্য কোনো চাপের প্রয়োজন হয় না এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

 সবুজ শাক-সবজি খান-

স্বাস্থ্যকর সবুজ শাক-সবজি অনেক অসুখ দূরে রাখে। তার মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য অন্যতম। পালং শাক, ব্রাসেল স্প্রাউট এবং ব্রকোলির মতো সবুজ শাক-সবজি একাধিক পুষ্টিতে সমৃদ্ধই। এগুলোতে থাকা ফাইবার অন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ভালো। এটি মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়া অনেক সহজ করে তোলে।

খেতে হবে ফল-

কিউই, কমলা, নাশপাতি এবং আপেলের মতো ফল হজমের জন্য দারুণ। কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত যে কেউ এই ফল খেতে পারেন, এগুলো ফাইবারে পরিপূর্ণ। এছাড়াও এই ফলগুলোতে প্রচুর পানি, সরবিটল এবং ফ্রুকটোজ রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য উপকারী।

তিল অত্যন্ত উপকারী-

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার তিল অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি সহজেই আপনার খাবারে যোগ করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, তিল একসঙ্গে খুব বেশি খাবেন না। অতিরিক্ত খেলে তা আপনার শরীর হজম করতে পারবে না এবং আপনি প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবেন।

মটরশুঁটি খাবেন নিয়মিত-

অনেক ধরণের মটরশুটি রয়েছে এবং সেগুলো বেশিরভাগেই ফাইবার রয়েছে। এতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার রয়েছে, যা তাদের নিজস্ব উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রতিরোধী স্টার্চও রয়েছে যা হালকা রেচক হিসেবে কাজ করে পরিপাকতন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

জল বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে-

স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র অর্জনের চাবিকাঠি হলো হাইড্রেটেড থাকা। শরীরে তরলের অভাব কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাথমিক কারণ। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করলে তা আপনাকে কেবল শক্তিশালীই রাখে না, আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২২

মাত্র দুই দিনেই ফুসফুসের সব ময়লা পরিষ্কার কীভাবে করবেন ?.


মাত্র দুই দিনেই ফুসফুসের সব ময়লা পরিষ্কার কীভাবে করবেন ?.

মাত্র দুই দিনেই ফুসফুসের সব ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন, যেভাবে করবেন- দিন দিন মাত্রা অতিরিক্ত দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুসফুসের নানা অসুখ। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করা বিষাক্ত ধোঁয়া, ধূলিকণায় ফুসফুসে ক্যান্সার বেড়ে চলেছে সমান তালে। কিন্তু এই দূষণকে উপেক্ষা করা অসম্ভব। আবার দূষণের ভয়ে কী করবেন?

এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি চাইলে মাত্র দু-দিনেই ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থকে ঝেড়ে পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন। এর জন্য অনেক উপায় রয়েছে। তারা বলেন, ফুসফুসকে সতেজ রাখার তেমনই ১০টি মুশকিল আসান আপনার জন্য। এর মধ্য থেকে সুবিধা মতো যে কোনও দুটো পদ্ধতি বেছে নিন। ভালো থাকবে ফুসফুস।

উপায় ১০টি হলো:-

১. দুই-তিন দিনের জন্য দুগ্ধজাতীয় সব খাবার বাদ দিন। এমনকি কফিও ছোঁবেন না।

২. রাতে শুতে যাওয়ার আগে গরম গরম এক কাপ ‘গ্রিন টি’ খান।

৩. সকালে ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ জলে লেবু মিশিয়ে পান করুন। লেবুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুস পরিষ্কার করে।

৪. সকালে প্রাতঃরাশে যদি সম্ভব হয় আনারসের জুস খান।

৫. এখন বারো মাসই গাজর পাওয়া যায়। প্রাতঃরাশে নিয়মিত গাজরের জুসও খেতে পারেন। এর ফলে রক্ত অ্যালকালাইজড হবে।

৬. দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের পর কলা খান। কলায় পটাশিয়াম থাকে, যা ফুসফুস পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।

৭. রাতে ক্র্যানবেরির জুস পান করুন। ফুসফুসে আশ্রয় নেওয়া ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।

৮. ব্যায়াম করলে, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসের সঞ্চালন দ্রুত হয়। ফুসফুসকে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।

৯. বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সকালে স্টিম বাথ নিন। ঘামের সঙ্গে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে।

১০. মুখ ঢেকে গরম জলের ভাপ নিন। পারলে জলে দু-ফোটা ইউক্যালিপটাসের তেল ফেলে দিন। এই পদ্ধতিতেও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বাসক পাতার নানাবিধ গুনাবলী কি কি ?.


বাসক পাতার নানাবিধ গুনাবলী কি কি ?.

গ্রামের দিকে বাড়ির আশেপাশের বেড়া দিতে ও ধান ক্ষেতে ধারে, ঝোপে ঝাড়ে এলোমেলো ভাবে অনাদরে এই গাছ গুলি জন্মে থাকে। তবে এই গাছটির ঔষধিগুণ অপরিসীম। বাসক পাতার উপকারিতা জেনে বিভিন্ন কোম্পানি ওষুধ তৈরি করতে এই পাতা গুলিই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। তাই বাসক পাতা বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবেও চাষ করা হচ্ছে। বাসক পাতার সাধারণত সর্দি ও কাশি কমাতে ব্যবহার করা হয়। বুকে বহুদিনের জমা কফ তরল করার জন্যও বাসক পাতার রস খাওয়ানোর প্রচলন অনেকদিন ধরেই রয়েছে। বাসক পাতায় ভ্যাসিসিন নামে একটি প্রাকৃতিক উপাদান এবং কিছু জরুরী এসেনশিয়াল অয়েলও থাকে যা বুকে জমে থাকা কফ গলিয়ে দেয়। এবং ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। আজ তবে দেখে নেওয়া যাক বাসক পাতার বিভিন্ন গুনাগুন:-

১) জ্বর সর্দি-কাশি কমাতে বাসক পাতার উপকারিতা:-

জ্বরের প্রভাবে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, সেই তাপমাত্রা কমাতে বাসক পাতা যথেষ্ট সাহায্য করে। অনেকসময়েই জ্বরের সঙ্গে সর্দি ও কাশির সমস্যা থাকে। সেক্ষেত্রে বাসক পাতার রসের সঙ্গে তুলসী পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। সাধারণ কাশি তে বাসক পাতা,গোল মরিচ , মিছরি একসঙ্গে এক লিটার জলে সেদ্ধ করে খেলে কাশি দূর হয়। এর সঙ্গে কেউ কেউ মধুও খেতে পারেন। পুরানো সর্দি- কাশির ক্ষেত্রেও এ টোটকা সমান ভাবে কার্যকরী। ঠান্ডা গরমে গলা ব্যথা হলেই যদি একটু বাসক পাতার রস খেয়ে নেন তাহলেই গলা ব্যথা দূর হয়ে যাবে। বাসক পাতা আমাদের শ্বাসনালীকে প্রশস্ত করতে সাহায্য করে যার ফলে শ্বাসকষ্ট কমে এবং ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানি উপশম ঘটে। বাসক পাতায় অ্যান্টি-মাইক্রোব্যাল উপাদান আছে যা টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মা, হুপিং কাশির মতো ক্রণিক রোগের ক্ষেত্রেও সমান ভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

২) বাতের ব্যাথা উপশমে বাসক পাতার গুন:-

সর্দি-কাশি নিরাময়ের পাশাপাশি বাতের ব্যাথা উপশমেও বাসক পাতা সমান ভাবে কার্যকরী। বাসক পাতায় অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যা আরথ্রারাইটিস, বাতের ব্যথা, গেঁটে বাত ইত্যাদি নিরাময় করতে সাহায্য করে। অনেক সময় ভারি ব্যায়াম করতে গিয়ে অথবা অন্য কোনো কারনে মার্সেল পেন শুরু হয়। তখন যদি চুন হলুদ গরম করে তার সঙ্গে বাসক পাতা বেটে মিশিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণ টি বেশ কিছুক্ষন ধরে ব্যাথার স্থানে মালিশ করা যায়,তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যেই উপকার পাওয়া যাবে।

৩) রক্ত পরিশোধনকারী রূপে বাসক পাতা:-

রক্ত বিশুদ্ধিকরণে বাসক পাতার উপকারিতা অনস্বীকার্য। অনেকেরই মুখে ব্রণ হয় বা পেটে সমস্যা হয় অথবা নানারকম অ্যালারজির সমস্যা থাকে। এই সমস্যাগুলো বেশিরভাগই হয় যখন রক্ত পরিষ্কার থাকে না। বাসক পাতার নিয়মিত সেবনে আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয়। শুধু তাই নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতেও সাহায্য করে।

৪) লিভারের সমস্যায় ও কৃমিনাশক হিসেবে বাসক পাতার উপকারিতা:-

লিভার কে সুস্থ, স্বাভাবিক ও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে বাসক পাতা। বাসক পাতার সহিত মধু মিশিয়ে খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় লিভার ভালো থাকে মজবুত হয় এবং জন্ডিস থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এটি খুব তিক্ত হওয়ায় এটি কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় শিশুরা কৃমির কারণে পেটে ব্যথায় কাঁদে এবং পায়খানার রঙ বদলে যায়। তখন বাসক পাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়ালে দারুণ কাজ দেয়। কৃমিনাশক হিসেবে কালমেঘ পাতার ন্যায় বাসক পাতাও খুব ভালো কাজ দেয়।

৫) চর্মরোগের ক্ষেত্রে বাসক পাতার উপকারিতা:-

বাসক পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল চর্মরোগ প্রতিহত করতে সহায়তা করে। আমাদের অনেকের নানা রকমের চর্মরোগ হয়ে থাকে। দাদ, হাজা, চুলকানি তার মধ্যে অন্যতম। দশ-বারোটি কচি বাসক পাতা ও এক টুকরো কাঁচা হলুদ এক সঙ্গে বেটে দাদ, হাজা বা চুলকানি উপরে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও আমবাত ও এলার্জির ক্ষেত্রে বাসক পাতা বেটে প্রলেপ লাগিয়ে রাখলে ফোলা ও ব্যাথা দুই ই কমে যায়। আবার গ্রীষ্মকালে ঘামের দূর্গন্ধ ছাড়াও অনেকের গা থেকে এমনিই খুব দুর্গন্ধ নির্গত হয়, তাঁরা প্রতিদিন বাসক পাতা জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করলে গায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়।

৬) মুত্রথলির সংক্রমন রোধে বাসক পাতার উপকারিতা:-

অনেক সময় জল কম খাওয়া ও যত্রতত্র প্রস্রব করার পরিনতি তে মুত্রথলিতে সংক্রমন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বাসক পাতা ও ফুল বেটে মিছরি সহযোগে খেলে মুত্রথলিতে সংক্রমনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রত্যহ বাসক পাতা যুক্ত ভেষজ চা পান করলে কিডনিতে স্টোনের আশঙ্কা ও কমে যায়।

৭) মুখের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের বাসকের গুন:-

বাসক পাতায় উপস্থিত অ্যন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন মুখের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের সক্ষম। মাড়ির যে কোন সমস্যা, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, পায়েরিয়া, মুখে দূর্গন্ধ দূর করতে বাসক পাতার গুন অনবদ্য। বাসক পাতা কে গরম জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলি করলে পায়েরিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও দাঁতের ব্যথা নিরাময়ে বাসক পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যেতে পারে। বাসক পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংগাল পদার্থ আছে যার ফলে এতে ছত্রাক জন্মায় না এবং পোকামাকড় ধরে না বলে ফল প্যাকিং এবং সংরক্ষণ করার কাজে বাসক পাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি আমাদের রোগ প্রতিরোধের বেড়া রূপে বাসক পাতা রোগ প্রতিরোধ করে চলেছে। তাই এই ভেষজ উদ্ভিদ টিকে অনাদরে না রেখে যত্নে রাখুন। বাসক পাতা সেবন করুন। ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।