বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নরমাল ডেলিভারি পেতে গর্ভাবস্থায় মেনে চলবেন কি কি নিয়ম ?.


নরমাল ডেলিভারি পেতে গর্ভাবস্থায় মেনে চলবেন কি কি নিয়ম ?.

এখনকার দিনে বেশিরভাগ সন্তানই সিজারিয়ান পদ্ধতিতে জন্ম নেয়। কিন্তু নরমাল ডেলিভারিই বাচ্চা ও মায়ের জন্য সবথেকে ভালো বলে বারবার জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গর্ভাবস্থায় কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সন্তান নরমাল ডেলিভারিতে ভূমিষ্ঠ হবে।

এককালে নরমাল ডেলিভারি বা প্রাকৃতিক প্রসবের মাধ্যমেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হত। তবে বর্তমানে প্রাকৃতিক প্রসব ধীরে ধীরে একটি ধারণায় পরিণত হচ্ছে। পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা এখনও নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমেই সন্তান প্রসবের পক্ষপাতী। কিন্তু নানান কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তার মধ্যে অন্যতম হল জীবনযাপন প্রণালীতে আমূল পরিবর্তন। এখানে এমন কিছু টিপস দেওয়া রইল, যা নরমাল ডেলিভারিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

প্রেগনেন্সির সময় ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে পেলভিক মাসল সন্তান প্রসবের উপযুক্ত হতে পারে। প্রাকৃতিক প্রসবের জন্য এই মাংসপেশীর নমনীয়তা বজায় রাখা জরুরি। স্কোয়েটিং, ডাক ওয়াক, পেঙ্গুইন ওয়াকের মতো পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম করে সুফল পেতে পারেন প্রেগনেন্ট নারীরা।

প্রেগনেন্সির সময়ের ব্যথার জন্য ব্যায়াম - পিঠে ব্যথা হলে শরীরের ঊর্ধ্বাংশ ও নিম্নাংশের ব্যায়াম করতে পারেন। শরীরের বিভিন্ন অংশের স্ট্রেচিং করতে পারেন। গর্ভবতী নারীদের যোগা বিশেষজ্ঞের সাহায্যে এই ব্যায়ামগুলি করা উচিত।

যোগাসন সাহায্য করবে -গর্ভধারণের প্রথম ত্রৈমাসিকে যোগাসন শিখতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম হল প্রাণায়াম। চিকিৎসক বা যোগাসন বিশেষজ্ঞরা আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী আপনাকে যোগ মুদ্রা শেখাবেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে যোগাসন করতে পারেন।

প্রসব যন্ত্রণার সময় কী ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালাবেন -প্রসব যন্ত্রণার সময়কার ব্রিদিং টেকনিকও আপনার নরমাল ডেলিভারিতে সাহায্য করতে পারে। প্রসবের সময় বাচ্চার শরীরে অক্সিজেন পৌঁছন জরুরি। প্রেগনেন্সির সময় ব্রিদিং এক্সারসাইজ শেখা উচিত। সন্তান প্রসবের সময় এর উপকার পাবেন প্রতিটি গর্ভবতী মহিলা।

লামাজ ক্লাস -প্রেগনেন্সির সময় শরীর ও হরমোনে নানান পরিবর্তন দেখা দেয়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আবেগপ্রবণ সহায়তা লাভ জরুরি হয়ে পড়ে। এর জন্য ফ্যামিলি কাউন্সিলিংয়ে অংশগ্রহণ করা উচিত। এই সেশানকে লামাজ ক্লাস বলা হয়। গর্ভাবস্থা ও প্রসবের আগে ও পরে পরিবারের সদস্য যেমন স্বামী, শ্বাশুড়ি, বোন ও অন্যান্য সদস্যদের কী ভূমিকা থাকা উচিত, সে বিষয় স্পষ্ট ধারণা লাভ করা যায়। মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রজনন ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।

নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রসব যন্ত্রণা উঠলে কী করবেন জেনে নিন—

১. প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে খুব বেশি ক্ষণ শুয়ে থাকবেন না। এর সময় যত বেশি সম্ভব হাঁটাচলা করুন। এর ফলে বাচ্চা নীচে নামতে শুরু করবে এবং কম সময়ের মধ্যে প্রসব হবে।

২. ব্যথা হলে কাউকে পিঠে ম্যাসাজ করতে বলুন। এর ফলে প্রসব যন্ত্রণা কমবে।

৩. এ সময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা পোষণ করা খুবই জরুরি।

৪. সুষ্ঠু শ্বাস-প্রশ্বাস বজায় রাখুন। প্রসবের সময় বাচ্চার শরীরের যাতে অক্সিজেন পৌঁছয়, তার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


0 Post a Comment:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন