সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১

ব্রা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ভুল ধারণা ও সঠিক তথ্য গুলি কী কী ?.


ব্রা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ভুল ধারণা ও সঠিক তথ্য গুলি কী কী ?.

  ব্রা বা ব্রেসিয়ার অনেক দিন ধরেই নারীদের ক্ষেত্রে একটি প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবে প্রচলিত। বহুকাল ধরে ব্রা’র ব্যবহার নিয়ে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত হয়ে আসছে। এটি পরা বা না পরা নিয়ে পাশ্চাত্যের ফেমিনিস্টরা নানা প্রচারও চালাচ্ছেন। এর সাথে অনেকের মনের মধ্যে রয়েছে মনগড়া কিছু ভুল ধারণা।

 এই ধারণার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক বা চিকিৎসা শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা নেই। তথাপিও ধারণার বশবর্তী হয়ে ব্রেসিয়ার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা নিয়ম পালন করতে দেখা নারীদের। আশ্চর্যের বিষয় হলো ভুল ধারণার কারনে ব্রেসিয়ার ব্যবহারে নারীরা স্বাস্থ্য বিষয়ক ক্ষতির সম্মুখীনও হয়ে থাকেন নিজের অজান্তে। বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রা বিষয়ক প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো জেনে নিন:

১..ব্রেসিয়ারটি কতটা ভালো তা হয়তো ব্রান্ডের ওপর নির্ভর করতে পারে, তবে সাইজ আপনার জন্যে দেখে নিতে হবে। বক্ষযুগল সঠিকভাবে ধরে রাখার ক্ষেত্রে ভালো মানের সঠিক আকারের ব্রেসিয়ারই দরকার হবে, অন্য কিছু নয়।

২..ওয়াশিং মেশিনে ব্রেসিয়ার ধুতে পারেন। মেশিনে ওয়াশের সময় এর কাপড়ের নমনীয়তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এবড়োখেবড়ো কাপড় স্তনের নমনীয় ত্বকের জন্যে ক্ষতিকর হতে পারে। তবে, ব্রা হাতে সাবধানে নিয়মিত ধোয়াই ভালো এবং প্রতিদিন পরিচ্ছন্ন ব্রা ব্যবহার করা উচিত।

৩..মোটা ফোমের ব্রা পরে বিছানায় শুয়ে থাকলে স্তন ক্যান্সার হয় বলে একটা আতংক বিরাজ করে অনেকের মধ্যে। বহুদিন ধরে এ নিয়ে নানা আশংকায়ও ভুগেছেন নারীরা অজ্ঞানতার কারনে। আসলেই এটি পুরোপুরি ভুল ধারণা। সাধারণত শোয়ার সময় যেমন ঢিলেঢালা পোশাক পরার কথা, তেমনি ভালো ঘুমের জন্য আটোসাঁটো ব্রা পরে না ঘুমানোই উত্তম।

৪..পৃথিবীজুড়ে সব ব্রেসিয়ারের আকার একরকম নয়। একেক ব্রান্ডের সাইজের ক্ষেত্রে ভিন্নতা চোখে পড়ে। আবার প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ব্রেসিয়ারের আকার বদলে পরা যায়। আমেরিকা বা ইউরোপে ব্রা’র স্ট্যান্ডার্ড সাইজ প্রাচ্য দেশের সাইজের সাথে এক নাও হতে পারে। আপনার নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রায়ালরুমে গিয়ে নিজের সঠিক মাপে আপনার ব্রা টি বেছে নিন।

৫..ব্যায়াম বা দৈহিক প্রশিক্ষণের সময় বিশেষ ধরণের ব্যা পরেন নারীরা। অনেকে বলেন, এই ব্রা না পরলে স্তনের আকার বড় হয়। অন্যগুলোর মতো এটিও ভুল ধারণা। এ ছাড়া ব্রেসিয়ারের ব্রান্ড বা ধরনের ওপর বক্ষের আকার গড়ে ওঠেনা।

৬..অনেকের ধারণা ব্রা ছাড়া পাশ ফিরে ঘুমালে স্তনের আকারে পার্থক্য হয়ে যায় বলে তারা রাতে শোয়ার সময় ব্রা পরে ঘুমান। এর পেছনে কোনো যুক্তি নেই। কিন্তু এমন কোনো প্রমান আজ অব্ধি পাননি বিশেষজ্ঞরা।

৭..অনেকের ধারণা হালকা রংএর ব্রেসিয়ার পোশাকের ওপর দিয়ে স্পষ্ট হয়ে থাকেনা। এ জন্যে সাদা রঙ এর ব্রেসিয়ার পড়তে বেশি আগ্রহ দেখা যায় নারীদের মধ্যে। কিন্তু কালো পাতলা পোশাকের উপর দিয়েও সাদা ব্রেসিয়ার দেখা যেতে পারে। তাই ত্বকের রং এর ব্রা সবচেয়ে মানানসই বলে মনে করা হয়। তবে সিনথেটিক কাপড়ের চেয়ে সূতি কাপড়ের ব্রা বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।

৮..অনেকেই মনে করেন, ব্রেসিয়ার পরে ঘুমালে স্তনের আকার আকর্ষণীয় হয়। এটি সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর একটি। সারাদিন ব্রা পরে থাকলেও তা স্তনের আকারে কোনো প্রভাব ফেলে না।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

কর্মব্যস্ত আধুনিক নারীদের জন্য সহজ ৭টি বিউটি টিপস কি কি?.


কর্মব্যস্ত আধুনিক নারীদের জন্য সহজ ৭টি বিউটি টিপস কি কি?.
   ঘর আর অফিসের কাজ সামলে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়ই মেলে না অনেকের। ফলে ত্বক হয়ে পড়ে নির্জীব। তারা কিছু সহজ পরামর্শ অনুসরণ করতে পারেন। এতে ত্বক চুল থাকবে সুন্দর ও উজ্জ্বল। এখন এমন কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যা আপনার রূপচর্চায় কার্যকর হতে পারে। আসুন দেখে নেই…

১. সিটিএম অনুসরণ করা: আপনি যদি প্রতিদিন ক্লিনজ, টোন ও ময়েশ্চারাইজার এই তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পাবেন। কিন্তু আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রসাধন কিনছেন কি না।

২. কনসিলার ব্যবহার করুন: ডার্ক সার্কেল লুকাতে কনসিলার ব্যবহার করুন। অফিসের জুম মিটিং, মধ্যরাতে হুট করে বাচ্চার কান্না, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ইত্যাদি নানা কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। তাই চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল ও লালচে ভাব দূর করতে আপনি কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন।
 ৩. ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন: অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত চুল ধোয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। কিন্তু আপনাকে বাইরে যেতেই হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সেরা অপশন হলো ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করা। ড্রাই শ্যাম্পু কেনার আগে যাচাই করে নিন, সেটি আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী উপযোগী কি না।

৪. হাতে লেবু রাখুন: লেবুর রস ত্বককে উজ্জ্বল করে, ব্রণ দূর করে, কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। সময় বের করে আপনি লেবু ত্বকে ঘষতে পারেন অথবা লেবুর রস লাগাতে পারেন। লেবু ছাড়াও আপনি অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন, বিশেষ করে গরমের সময়।
 ৫. ব্রাইট লিপস্টিক: লিপস্টিকের ব্রাইট শেড আপনার লুক দ্রুত বদলে দেবে। একসঙ্গে বাড়াবে আপনার আত্মবিশ্বাস। যখন কোন অফিশিয়াল মিটিং-এ যাবেন অথবা পার্টিতে যাবেন, ব্রাইট লিপস্টিক দিন।

৬. নারকেল তেল: আপনি নিশ্চয়ই জানেন নারকেল তেলের গুণ সম্পর্কে। নারিকেল তেল ত্বককে শুধু আর্দ্রই করে না, স্বাস্থ্যকরও করে। ত্বক ও ঠোঁটের জন্য নারকেল তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। রাতে ঘুমানোর আগে আপনি ব্যবহার করতে পারেন, জাদুর মতো কাজ করবে।
 ৭. হেয়ারকাট: আপনার চুল যদি লম্বা হয়ে থাকে এবং যত্ন করার সময় না পান, তবে এমন হেয়ারকাট বেছে নিন, যার যত্ন নিতে আপনার সময় বাঁচবে। একসঙ্গে স্টাইলও হবে। আপনি ছোট ও স্টাইলিশ হেয়ার কাট দিতে পারেন।
 
(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

ভাত রান্না ছাড়াও আরও ৮ ভাবে চালকে কি কাজে ব্যবহার করতে পারেন ?.


ভাত রান্না ছাড়াও আরও ৮ ভাবে চালকে কি কাজে ব্যবহার করতে পারেন ?.
  চাল দিয়ে নানা পদের রান্না কে না জানেন৷ কিন্তু হেঁশেলের বাইরেও চাল ব্যবহার করা যায় একাধিক কাজে৷ বাড়িতে সব থেকে সহজলভ্য উপাদানগুলির মধ্যে চাল অন্যতম৷ তাই চালের নানারকম উপকারিতা জেনে রাখা দরকার আপনারও৷ অনেক মুশকিল আসানে চাল হতে পারে আপনার সহায়ক৷ এখানে চাল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য দেওয়া হল৷
১. গ্যাজেটের জল শুষে নিতে- ফোন বা ক্যামেরা হাত থেকে জলে পড়ে গেলে আপনার মাথায় হাত৷ জল ঢুকলে এইসব শখের জিনিসের বারোটা বেজে যেতে পারে৷ ব্যাটারি খারাপ হতে পারে৷ তার ফলে ফোন বা ক্যামেরা অচলও হতে পারে৷
এক্ষেত্রে চাল হতে পারে আপনার ফোন বা ক্যামেরাকে পুনরুজ্জীবিত করার চাবিকাঠি৷ ফোন বা ক্যামেরা খুলে একটি চাল ভরতি ড্রামে ঢুকিয়ে রাখুন৷ এর ফলে আপনার গ্যাজেটের ভিতরের জল শুষে নেবে চাল৷ তাতে আপনার গ্যাজেটটির স’মস্যার সমাধান হতে পারে৷

২. ঠাণ্ডা বা উষ্ণ সেক- ব্যাথার উপশমে গরম বা ঠাণ্ডা সেক খুবই উপকারী৷ সেক্ষেত্রে আপনি হট বা কোল্ড ব্যাগের বদলে ব্যবহার করতে পারেন একটি কাপড়ে একমুঠো চাল ভরে৷ একটি কাপড়ের টুকরোর মধ্যে একমুঠো চাল নিয়ে তা ফ্রিজে ঠাণ্ডা করুন কোল্ড সেকের জন্য৷ আর উ’ষ্ণ সেকের জন্য ব্যবহার করুন একটি গরম তাওয়ায় ওই চালের পুটলিকে৷ শুধু কাপড় দিয়ে সেক দিলে তা বেশিক্ষন ঠাণ্ডা বা গরম থাকে না৷ সেক্ষেত্রে চাল অনেক বেশি সময়ে ঠাণ্ডা বা গরম ধ’রে রাখতে পারে৷
৩. লবণকে গলে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে- বর্ষার সময় লবণের বয়ামের লবণ গলে যায় এবং দলা পাকিয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্যও ব্যবহার করতে পারেন চাল৷ লবণের বয়ামে খানিকটা চাল রেখে দিন। চাল লবণের বয়ামের বাড়তি আর্দ্রতা শুষে নেবে। লবণ গলবেও না এবং দলাও পাকাবে না।

৪. তেলের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে- রান্নার সময় তেল সঠিক পরিমাণে গরম না হতেই খাবার তেলে দিয়ে দিলে তেল ভিতরে ঢুকে খাবারটাই নষ্ট হয়ে যায়। কাঁচা তেলের একটি গন্ধও হয়৷ যা অনেকেই পছন্দ করেন না৷ তাই তেলে খাবার ছাড়ার আগে দু’টি বা তিনটি চাল তেলে দিয়ে দিন। যদি চাল তেলে ভেসে ওঠে তাহলে বুঝবেন তেল সঠিক গরম হয়েছে৷
৫. ব্লেন্ডারের ব্লেড ধারালো করতে- ব্লেন্ডার দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে এর ব্লেডের ধার কমে যেতে পারে। ব্লেডগু’লিকে পুনরায় ধা’রালো করতে এক কাপ চাল ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করুন। এতে আগের মতোই ধাঁর হয়ে যাবে ব্লেন্ডারের ব্লেডের।

৬. সরু বোতল জাতীয় জিনিস পরিষ্কার করতে- কিছু বোতল থাকে যার তলানি পর্যন্ত হাত ঢোকে না৷ ফলে তা ভালো করে প’রিষ্কার করাও সম্ভব হয় না। এই ক্ষেত্রে, কিছুটা চাল ও জল ওই বোতলে দিয়ে ভালো করে ঝাঁকান। এতে বোতলের নিচের অংশ প’রিষ্কার হয়ে যাবে।
৭. দ্রুত ফল পাকাতে- দ্রুত কোনও ফল পাকাতে চান? বিশেষ করে আম, কলা ধরণের ফলগু’লি চাল ভরতি পাত্রে ঢেকে রাখুন। এতে বেশ দ্রুত ফল পেকে যাবে।

৮. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃ’দ্ধি করতে- ভাত রান্নার সময় মাড় তৈরি হয়৷ এই ভাতের মাড় উষ্ণ গরম থাকতে মুখের ত্বকে মেসেজ করে নিন৷ এরপর একটি পাতলা নরম কাপড় ভিজিয়ে ত্বক মুছে ফেলুন। আপনি ভাতের মাড়টি তিন দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রেখেও সংরক্ষণ ক’রতে পারেন।
(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১

ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায় কি ?.


ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায় কি ?.

  সম্পর্ক একটি ক্ষুদ্র শব্দ হলেও এর মাহাত্ম্য এতটাই মধুর যা একে অপরকে এক অবিচ্ছেদ্য অদৃশ্য বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে। বিশাল এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের প্রত্যেকটিই প্রত্যেক (বলা হয় ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে একটি বলয় থেকে বিশ্ব তারই অংশ, এই ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গে বিশ্ব একটি সম্পর্ক বন্ধনে আবদ্ধ) টির সঙ্গে সম্পর্কে র বন্ধনে যুক্ত হয়ে আছে। 

  আমাদের মানব জগতেও আমরা একে অন্যের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক কখনো বা কারোর সঙ্গে বা মন্দবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে আছি। আমরা কখনোই চাই না কারোর সঙ্গে মন্দবাসার সম্পর্ক হোক। আমরা সব সময় চাই, যেকোন সম্পর্কই হোক ভালোবাসার সম্পর্ক । এবং এই ভালো বাসার সম্পর্ক আরো সুমধুর হয়ে উঠুক। ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায়-ই আজ আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয়বস্তু।

  চলুন আজ তাহলে দেখে নেওয়া যাক ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায় ও আপনাকে যদি কর্মসূত্রে দূরে যেতে হয় অথবা আপনার রিলেশনশিপ যদি লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ হয়ে থাকে তাহলে চলুন জেনেনি দূরে থেকে কী ভাবে একটা সম্পর্ক ঠিক রাখা যায়।

সম্পর্কে সততা বজায় রাখুন:

যেকোন সম্পর্ক গড়ে ওঠে মূলত সততার ওপর নির্ভর করে।ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায় এ সততা খুবই প্রয়োজনীয়।সম্পর্কে স্বচ্ছতা সব সময়েই সম্পর্ককে ভাল ও মজবুত রাখতে সহায়তা করে। দূরে থাকলে সেই স্বচ্ছতা বজায় রাখার দায়িত্বটা আরও দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যায়।দূরে থেকে কী ভাবে একটা সম্পর্ক ঠিক রাখা যায় এব্যাপারে সবসময় মাথার রাখতে হবে দূরত্ব বাড়লেও যেন গুরুত্ব না কমে যায়।

  অনুভূতির প্রকাশ করা:

ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায় হিসেবে হাতিয়ার করুন আপনার হৃদানুভূতির প্রকাশ। আমরা ভেবে থাকি আমাদের প্রিয় জন আমাদের সকল অনুভূতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু না অনেক সময় দেখা যায় অপনার প্রিয়জন আপনার অনুভূতি সম্পর্কে জ্ঞাত নন। তাই আমাদের উচিত আমাদের ভেতরের অনুভূতিগুলিকে প্রকাশ করা । প্রিয়জন কে বলা প্রয়োজন তাদের জন্য আমাদের হৃদয়ের অনুভূতি কী।আমাদের হৃদয়ে তাঁদের স্থান কোথায়, তাদের জন্য আমরা চিন্তা করি, তাদের কতটা স্নেহ ও সন্মান করি। কারন এই অনুভূতি ই পারে সম্পর্ক কে সুন্দর করে তুলতে। অনুভূতি প্রকাশে মাধ্যমই আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায় ও দূরে থেকে কী ভাবে একটা সম্পর্ক ঠিক রাখা যায় তার ই প্রমাণ। তাই আমাদের জীবনে সুন্দর অনুভূতিগুলোর কথা প্রিয়জনে কাছে রোজ স্বীকার কর উচিত।

  সুন্দর মূহুর্ত কাটানোই হতে পারে ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায়:

আজ কালের ব্যাস্ত জীবনে সময়ে খুবই অভাব। এই সময়ের অভাবেই ভেঙে যায় বহু সম্পর্ক।তাই বলছি প্রিয় জনকে সময় দিন ও সুন্দর মুহুর্ত কাটানো টা খুবই প্রয়োজন। এতে সম্পর্ক আরো মজবুত ও হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে।যাঁরা দূরে থাকেন চাইলেও প্রিয়জনের সঙ্গে সুন্দর মুহুর্ত কাটাতে অক্ষম তাঁরা নিশ্চয়ই ভাবছেন,দূরে থেকে কী ভাবে একটা সম্পর্ক ঠিক রাখা যায়। চিন্তার কোন কারণ নেই প্রিয়জন কে ফোন করুন, ভিডিও কলে কথা বলুন আসতে পারছেন না তো কি হয়েছে ভিডিও কলিং এ ডেট করুন দেখবেন প্রিয় মানুষের ভালোলাগবে।

  বিশ্বাস ও ভরসা রাখুন দেখবেন দূরে থেকে কী ভাবে একটা সম্পর্ক ঠিক রাখা যায়:

একটা সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার মূলে থাকে বিশ্বাস ও ভরসার অভাব। তাই আমাদের উচিত যেকোনো সম্পর্কে বিশ্বাস ও ভরসা রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্বাস ও ভরসা কথা দুটি ক্ষুদ্র হলেও এর ক্ষমতা কিন্তু অসীম। বিশ্বাস ও ভরসাই যেমন পারে সম্পর্কে মধুর করে তুলতে তেমনই পারে সম্পর্কে তিক্ত রস ঢেলে দিতে। তাই ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার উপায় হিসেবে আপনাকে সন্দেহ, অবিশ্বাস দূর করতেই হবে।বিশ্বাস ও ভরসার রাখতে পারলেই আপনি দেখতে পাবেন দূরে থেকে কী ভাবে একটা সম্পর্ক ঠিক রাখা যায়।

একে অন্যের প্রতি যত্নবান হন:

  ভালোবাসার অর্থ হল একে অন্যের প্রতি যত্নশীল ও দায়িত্ববান হওয়া। আমাদের ডেইলি লাইফে ব্যস্ত সিডিউলের মধ্যে বা দূরে থাকলে ও আমরা যদি একটু প্রেমিক বা প্রেমিকার জন্য একটু সময় বেড় করে প্রিয় মানুষের খোঁজ-খবর নিই তাহলে আমাদের তাদের প্রতি যত্নশীলতার দিকটি যেমন প্রকাশ পায় তেমনই সম্পর্কের বন্ধন ও অটুট হয়। আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে প্রিয় খোঁজ না রাখেন বা আপনার পরিস্থিতি সম্পর্কে না জানান তাহলে আপনার সম্পর্কে যেমন ভাটা পড়বে তেমনি দেখবে আস্তে আপনার প্রিয় মানুষ টিও আপনার সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পড়বে। তাই চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব একে অপরের প্রতি যত্নবান হতে।

  সবশেষে একটাই কথা বলি সম্পর্ক ভাঙতে সময় লাগে না, সম্পর্ক গড়ে উঠতেই কিন্তু সময় লাগে। তাই প্রিয় জনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। আবারও বলছি, দূরে থেকেও কিন্তু সম্পর্কে থাকা যায় অনেক টা বিশ্বাস আর একটু যত্ন দিয়ে। তাই প্রিয় জনের খেয়াল রাখুন, দূরে থেকেও কাছে থাকার চেষ্টা করুন।


(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)


হঠাৎ কারো খিঁচুনি হলে কী করবেন?


হঠাৎ কারো খিঁচুনি হলে কী করবেন?

  খিঁচুনি একটি স্নায়বিক রোগ। এ জন্য মস্তিষ্কের অতিসংবেদনশীলতা দায়ী। শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, যেকোনো বয়সেই এটি হতে পারে। এসময় চেতনা হারাতে পারে, শরীর অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁপতে পারে/ঝাঁকি দিতে পারে এবং ঠোঁট ঘনঘন বন্ধ হওয়া ও খুলতে পারে।

 এছাড়া অন্য উপসর্গও প্রকাশ পেতে পারে। উপসর্গ প্রধানত নির্ভর করে মস্তিষ্কের কোন অংশ প্রভাবিত হয় তার ওপর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,  প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের জীবনকালে অন্তত একবার খিঁচুনি হতে পারে। সাধারণত খিঁচুনির স্থায়িত্ব ৩০ সেকেন্ড থেকে দুই মিনিট। তবে পাঁচ মিনিটেও খিঁচুনি বন্ধ না হলে মেডিক্যালের সেবা লাগবে, অন্যথায় মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি বা মৃত্যু হতে পারে।

 সকল খিঁচুনিই একই ধরনের নয়। খিঁচুনির প্রকারভেদে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশ বা সকল অংশ প্রভাবিত হতে পারে। ফলত স্থায়িত্ব ও উপসর্গও ভিন্ন হতে পারে। এখানে ৬ ধরনের খিঁচুনি সম্পর্কে বলা হলো। কারো সমস্যাটি হলে কী করণীয় তাও উল্লেখ করা হলো।

* ফোকাল খিঁচুনি-

  যুক্তরাষ্ট্রের এডভেন্ট হেলথে কর্মরত খিঁচুনি ও ঘুম বিশেষজ্ঞ হলি স্কিনার বলেন, ‘খিঁচুনিতে মস্তিষ্কের কেবল একটি অংশ প্রভাবিত হলে তাকে ফোকাল খিঁচুনি বলে।’ ফোকাল সিজারের দুটি সাবটাইপ রয়েছে- ফোকাল ইম্পেয়ারড অ্যাওয়ারনেস খিঁচুনি ও ফোকাল অ্যাওয়ার খিঁচুনি। প্রথম সাবটাইপের ক্ষেত্রে চারপাশ সম্পর্কে চেতনা হারিয়ে যায়। অন্যদিকে ফোকাল অ্যাওয়ার খিঁচুনির ক্ষেত্রে চারপাশ সম্পর্কে চেতনা থাকে এবং রোগী পরবর্তীতে খিঁচুনির সময় কি ঘটেছে তা মনে করতে পারে।

* ফিব্রাইল খিঁচুনি-

  ৩ মাস থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের জ্বর ফিব্রাইল খিঁচুনি ঘটিয়ে থাকে। বয়স ৫ হওয়ার পূর্বেই ২ থেকে ৫ শতাংশ শিশুর এই খিঁচুনি হয়ে থাকে। এই খিঁচুনিতে মস্তিষ্কের সকল অংশ প্রভাবিত হয়। উল্লেখযোগ্য উপসর্গ হলো- উভয় হাত ও পায়ে অনিয়ন্ত্রিত কাঁপুনি, হাত ও পা অনমনীয় হয়ে যাওয়া, চোখ ওপরের দিকে ওঠে যাওয়া এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। সাধারণত ১৫ মিনিটের কম সময়ে এসব উপসর্গ সৃষ্টি হয়।শিশুদের খিঁচুনির স্থায়িত্ব ৩০ মিনিটের বেশি হলে মৃগীরোগের ঝুঁকি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়ে। খিঁচুনির স্থায়িত্ব পাঁচ মিনিটের বেশি হলে তাকে স্ট্যাটাস এপিলেপ্টিকাস বলে। দীর্ঘস্থায়ী খিঁচুনি বা স্ট্যাটাস এপিলেপ্টিকাস পুনরাবৃত্তিমূলক খিঁচুনির ঝুঁকিও বাড়ায়।

* টনিক খিঁচুনি ও অ্যাটনিক খিঁচুনি-

  টনিক খিঁচুনি ও অ্যাটনিক খিঁচুনিও মস্তিষ্কের সমস্ত অংশকে প্রভাবিত করে। উভয় খিঁচুনি মাংসপেশিতে প্রভাব ফেলে, তবে ভিন্নভাবে।কোনো প্রান্তীয় অঙ্গ অথবা পুরো শরীর তৎক্ষণাৎ অনমনীয় হয়ে গেলে তাকে টনিক খিঁচুনি বলে। অন্যদিকে অ্যাটনিক খিঁচুনির ক্ষেত্রে শরীরের নির্দিষ্ট অংশ বা পুরো শরীরের মাংসপেশি হঠাৎ করে শিথিল হয়ে পড়ে, জানান দ্য ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি ওয়েক্সনার মেডিক্যাল সেন্টারের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সারিটা মাচুরু। উভয় ধরনের খিঁচুনিতে রোগী জ্ঞান/চেতনা হারাতে পারে এবং পড়ে গিয়ে আহত হতে পারে। এসবের স্থায়িত্ব সাধারণত ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড বা আরো কম।

* ক্লোনিক খিঁচুনি-

  ক্লোনিক খিঁচুনির স্থায়িত্ব কিছু সেকেন্ড থেকে এক মিনিট। এই খিঁচুনিতে ঘাড়, মুখমণ্ডল, হাত-পা অথবা পুরো শরীরে পুনরাবৃত্তিমূলক ও ছন্দময় ঝাঁকুনি হয়। মস্তিষ্ক কতটুকু প্রভাবিত হয়েছে তার ভিত্তিতে শরীরের একপাশে অথবা উভয় পাশে ঝাঁকুনি হয়ে থাকে। সমস্ত মস্তিষ্ক প্রভাবিত হলে রোগী চেতনা হারাতে পারে। এই রকম খিঁচুনি শিশুদের বেশি হয়ে থাকে, তবে যেকোনো বয়সের লোকেরও হতে পারে।

* টনিক-ক্লোনিক খিঁচুনি -

  এই খিঁচুনিকে গ্র্যান্ড ম্যাল খিঁচুনিও বলা হয়। এই খিঁচুনিতে টনিক খিঁচুনি ও ক্লোনিক খিঁচুনি উভয় খিঁচুনির উপসর্গ অন্তর্ভুক্ত। প্রথমে পেশী অনমনীয় হয়ে যায় এবং হঠাৎ করে সচেতনতা কমে যায় বা চেতনা হারায়, টনিক খিঁচুনির মতো। তারপর প্রান্তীয় অঙ্গগুলো দ্রুত ছন্দোবদ্ধভাবে ঝাঁকুনি দিতে থাকে, ক্লোনিক খিঁচুনির অনুরূপ। ডা. স্কিনারের মতে, ‘টনিক-ক্লোনিক খিঁচুনির কিছু কারণ হলো- জিনগত প্রভাব, স্ট্রোক, মস্তিষ্কে আঘাত, টিউমার, মস্তিষ্কে সংক্রমণ ও অন্যকোনো প্রদাহজনিত সমস্যা। এই খিঁচুনি বিরল এবং যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।’

* অ্যাবসেন্স খিঁচুনি-

  এ ধরনের খিঁচুনি হলে অল্প সময়ের জন্য সচেতনতা লোপ পায়। সাধারণত পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ড। মস্তিষ্কের উভয় পাশে অল্প সময়ের অস্বাভাবিক কার্যাবলির জন্য এই খিঁচুনি হয়ে থাকে। অ্যাবসেন্স খিঁচুনির উল্লেখযোগ্য উপসর্গ হলো- শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, চোখের পাতা নাচা, চোখ ওপরের দিকে ওঠা অথবা ঠোঁট বন্ধ হওয়া ও খুলতে থাকা। এই খিঁচুনি বেশি লক্ষ্য করা গেছে চার থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে।তাদের ৭০ শতাংশেরই বয়স ১৮ বছর হলে এই সমস্যা আর হয় না। অবশিষ্ট ৩০ শতাংশের জন্য দীর্ঘমেয়াদে খিঁচুনির ওষুধ লাগতে পারে।

*কারো খিঁচুনি হলে যা করবেন -

* মাথার নিচে নরম কিছু দিন, যেমন- বালিশ বা ভাঁজ করা জ্যাকেট।

* শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করার জন্য একপাশে কাত করে দিন।

* ক্ষতি করতে পারে এমন বস্তু সরিয়ে ফেলুন, যেমন- শক্ত বা সূচালো কিছু।

* ঘাড় বা গলায় কিছু (যেমন- টাই) থাকলে শিথিল করে দিন, যেন শ্বাসপ্রশ্বাস সহজে হয়।

* খিঁচুনির উপসর্গ ও সময় খেয়াল করুন, যেন ওই ব্যক্তিকে বিস্তারিত জানানো যায়।

*কারো খিঁচুনি হলে যা করবেন না

* শারীরিক নড়াচড়া বা ঝাঁকুনি থামানোর চেষ্টা করবেন না।

* মেডিক্যালের সাহায্য না আসা পর্যন্ত ছেড়ে যাবেন না।

* মুখের ভেতর কিছু দেবেন না, এতে শ্বাসরোধে মারা যেতে পারে অথবা অন্যকোনো ক্ষতি হতে পারে।

* মুখে মুখ লাগিয়ে বাতাস দেবেন না।

* পূর্ণ সচেতনতা বা চেতনা না আসা পর্যন্ত কোনো খাবার বা পানীয় খেতে দেবেন না।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১

তিল ও তিলের তেলের অজানা সব উপকারিতা গুলি কী কী ?.


তিল ও তিলের তেলের অজানা সব উপকারিতা গুলি কী কী ?.

 আমাদের দেশে তিল দ্বিতীয় প্রধান তেলবীজ ফসল হিসেবে খ্যাত। আর খাদ্য হিসেবে তিল ও তিলের তেল খুবই জনপ্রিয় একটি খাদ্য উপাদান। এটি দেহের পুষ্টির সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সুস্থ থাকার জন্য তিল ও তিলের তেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই সম্পর্কে আমাদের সকলের জেনে রাখা প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেই তিলের তেলের উপকারিতা সম্পর্কে।

তিলের তেলের উপকারিতাসমূহ :

(১) তিলের তেলের অনেক গুন যদি সকালবেলা এক মুঠো তিল চিবিয়ে খাওয়া হয় তাহলে বল ও পুষ্টি পাওয়া যায়। সেইসাথে দাঁত এতো মজবুত হয়ে যায় যে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত নড়ে না, ব্যথা করে না এবং পড়েও যায় না।

(২) এইভাবে তিল খেলে অর্শের সমস্যা একদমই কমে যায়।

(৩) শিশুদের জন্যও তিল অনেক উপকার। বলা হয়ে থাকে তিলে চুনের মাত্রা বেশি আছে সেই জন্যে বাচ্চাদের জন্যে উপকারী। প্রতিদিন বাচ্চাদের তিলের নাড়– বা তিল পাপড়ি খাওয়ালে বাচ্চারা হৃষ্টপুষ্ট হয়।

(৪) যে সব শিশুরা রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে তাদের কালো তিল এবং তার সাথে এক টুকরো মুলো খাওয়ালে ওই বদ-অভ্যাস দূর হয়ে যায়।

(৫) শরীরের পুড়ে যাওয়া জায়গায় তিল পিষে, তার সাথে পানিতে ধোওয়া ঘি ও কর্পূর মিশিয়ে প্রলেপ দিলে খুব দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। তিলের তেল গরম করে লাগালেও  আশ্চর্য ভাল ফল পাওয়া যায়।

(৬) যদি শরীরের কোনো অংশ খুব জ্বালা করতে থাকে তাহলে তিল দুধ দিয়ে পিষে প্রলেপ লাগালে দাহ বা জ্বালা দূর হয়ে যাবে।

(৭) যদি টাটকা ক্ষত বা ঘা না সারে তাহলে তিল পিষে নিয়ে মধু আর ঘি মিশিয়ে লাগালে অনেক ওষুধ বা মলমের চেয়ে বেশি কাজ দেবে।

(৮) শূল ব্যথায় শুঁঠ ও হিং মেশানো তিলের তেল মালিশ করলে তাড়াতাড়ি আরাম পাওয়া যায়।

(৯) শীতকালে ফাটা হাত-পা এমনকি গাল বা ঠোঁটেও তিলের তেল লাগালে উপকার হয়।

(১০) রসুন দিয়ে গরম করা তিল তেলের ফোঁটা কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়।

(১১) তিল তেলের আর  একটি বিশেষ গুণ এই তেল বাতের ব্যথা অর্থাৎ বাত সারিয়ে দেয়।

(১২)  তিলের তেল সারা শরীরে তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে এবং তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।

(১৩) অলিভ অয়েলের চেয়ে তিলের তেলের উপকারিতা বা পুষ্টিগুণ কিছু কম নয়। স্বাদের দিক থেকে বরং অলিভ অয়েলের চেয়ে তিলের তেলই বেশি ভাল।

(১৪) তিল তেল মলকে বদ্ধ করে এবং পুরোনো জমে থাকা মল বাইরে বের করে দেয়। এইভাবে এই তেলের মলরোধ পরস্পর-বিরোধী গুণ রয়েছে।

(১৫) যদি মেয়েদের ঋতুস্রাব ঠিক মতো না হয় এবং খুব ব্যথা-বেদনা হয় তাহলে তিলের তেল খাওয়া উচিত। দু চা চামচ তিল পিষে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। এক চতুর্থাংশ পানি থেকে গেলে সেই পানিটুকু পান করলে মাসিক ঠিক মতো হবে।

(১৬) তিল, যব, চিনি চূর্ণ করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যাঁদের বাচ্চা হবে অর্থাৎ সগর্ভা এবং যাঁদের বাচ্চা হয়েছে অর্থাৎ প্রসূতা বা প্রসূতির রক্তস্রাব বন্ধ হয়।

(১৭) পিষানো কালো তিল এক ভাগ, চিনি দু ভাগ, এবং ছাগলের দুধ চার ভাগ একসাথে মিশিয়ে খেলে রক্ত-আমাশা সারে।

(১৮) অল্প তিল আর চিনি একসাথে পিষে বা কুটে নিয়ে মধু মিশিয়ে চাটালে বাচ্চাদের মল থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

(১৯)  তিল, নাগকেসর [কবিরাজি দোকানে পাওয়া যায়] আর চিনির চূর্ণ একসাথে মিশিয়ে খেলে অর্শে উপকার পাওয়া যায়।

(২০) তিল পিষে নিয়ে মাখনের সাথে মিশিয়ে খেলে অর্শে রক্তপড়া ও অর্শের কষ্ট কমে যায়।

(২১) কালো তিল চিবিয়ে খেয়ে তার পরে একটু পানি খেলে দাঁত মজবুত হয়, শরীর হৃষ্টপুষ্ট এবং রক্তস্রাব করা অর্শে আরাম পাওয়া যায়।

(২২) তিলের তেল মুখে দশ পনেরো মিনিট রেখে কুলকুচো করে ফেলে দিলে নড়ে যাওয়া দাঁত মজবুত হয়ে যায় এবং পাইয়োরিয়া [দাঁতের অসুখ] সেরে যায়।

(২৩) দাঁত ব্যথা করলে হিং বা কালোজিরে পিষে নিয়ে তিলের তেল মিশিয়ে তেল গরম করে কুলকুচো করলে আরাম পাওয়া যায়। এই তেল তুলোয় লাগিয়ে মুখে রাখাও যেতে পারে।

(২৪)  হিং, কালো নুন মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল পেটে মালিশ করলে বা সেঁক দিলে পেটের ব্যথা সারে এবং গ্যাস কমে যায়।

(২৫) পিষানো গোলমরিচ বা পিষানো যোয়ান মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল নাকে দিলে, গুঁকলে বা মালিশ করলে বন্ধ নাক খুলে যায়।

(২৬) মোম আর নুন মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল লাগালে ফাটা গোড়ালিতে উপকার পাওয়া যায়।

(২৭) রাই, যোয়ান, শুঁঠ, রসুন বা হিং দিয়ে গরম করা তেল মালিশ করলে এবং তার সাথে গরম সেঁক দিলে জোড়ের [গাঁটের] ব্যথা কমে যায়। রিউমেটিজিম ছাড়া অন্য সন্ধি বাতে অনেক উপকার পাওয়া যায়। 

(২৮) তিল তেল একটু গরম করে রোজ মালিশ করলে এক মাসের মধ্যেই নিপ্রভ বা জৌলুষহীন ত্বকে উজ্জ্বলতা এসে যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, চুলকুনি সেরে যায়।

(২৯) হিং আর শুঁঠের গুঁড়ো মিশিয়ে গরম করা তিল তেল মালিশ করলে কোমরের ব্যথা, জোড়ের ব্যথা, কোনো অঙ্গ আড়ষ্ঠ হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি রোগের প্রশমন হয়।

(৩০)  তিলের তেলে রসুনের কোয়া দিয়ে গরম করে কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়।

(৩১) চুনের পানি থিতিয়ে নিয়ে তিলের তেল মিশিয়ে লাগালে আগুনে পোড়া ঘা সেরে যায়।

(৩২) পুড়ে যাওয়া অংশে শুধু গরম করা তিলের তেল মিশিয়ে লাগালেও চমৎকার ফল পাওয়া যায়।

 তিলের তেলের অসাধারন প্রয়োগ :

 নিয়মিত তিলের তেল প্রয়োগ করলে অনেক ক্ষেত্রে দেহের সুস্থতা লাভ হয়। তিল প্রয়োগের পদ্ধতি হল প্রতিদিন ভোরবেলা এক টেবিল চামচ কালো তিল অল্প অল্প করে মুখে দিয়ে মিহি করে চিবিয়ে যখন একেবারে রসের মতো হয়ে যাবে তখন গিলে ফেলতে হবে। এই ভাবে সব তিল চিবিয়ে খাওয়া হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি খেতে হবে। এই তিল খাওয়ার পর তিন ঘন্টা পর্যন্ত আর কিছু খাবেন না। এই ভাবে তিল খাওয়ার সাথে সাথে যদি তেলের মালিশও করা যায় তাহলে যিনি খুব রোগা তিনি মোটা হয়ে যাবেন আর যিনি খুব বেশি মোটা তাঁর অত্যধিক মেদ কমে গিয়ে সঠিক আকার হবে। 

 বায়ু ও কফের কারণে যাঁর শরীরের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে তাঁরও তিল প্রয়োগের দ্বারা শারীরিক বৃদ্ধি আবার শুরু হয়ে যায়। খিদে পায়, দাঁত যদি দুর্বল হয় তাহলে মজবুত হয়ে যায়। যাঁর অকালে চুল পেঁকে গেছে তিনিও তিল প্রয়োগের দ্বারা লাভবান হবেন। শরীর কান্তিমান ও তেজস্বী হয় সব ইন্দ্রিয়ের শক্তি বেড়ে যায়। যে সব মেয়েদের চুল উঠে যাচ্ছে তাঁদের চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল ঘন কালো হয়। ঋতুস্রাব পরিষ্কার হয়। যদি এক টেবিল চামচ পরিমাণ বেশি মনে হয় তাহলে অর্ধ টেবিল চামচ করে সকালে ও সন্ধেবেলা যে রকম সহ্য হয় সেই রকম ভাবে ‘তিল প্রয়োগ’ করে দেখুন। বলা হয়ে থাকে যাঁরা এক বছর ধরে প্রতিদিন নিয়মিত ‘তিল প্রয়োগ’ করছেন তাঁদের যৌবন স্থির হয়ে যায়, বৃদ্ধেরাও যেন নব যৌবন ফিরে পান এবং মৃত্যু পর্যন্ত সক্ষম এবং সুন্দর থাকেন। 

 তিলের মতো তিলের তেলও উপকারী। তিলের তেল ভারী, বলপ্রদ, শরীরের রং উজ্জ্বল করে, মল নিষ্কষণ করে, মৈথুন শক্তিবৃদ্ধি করে, স্বচ্ছ, রস তথা পাকে মধুর, সূক্ষ্ম, কটু, বায়ু ও কফ দূর করে, উষ্ণবীর্য, স্পর্শে শীতল, পুষ্টিদায়ক, শরীরের দোষ দূর করে, মল ও মূত্র নিয়ন্ত্রণ করে, গর্ভাশয় পরিষ্কার করে, খিদে বাড়ায়, বুদ্ধিবৃদ্ধি করে, পবিত্রভাব, পুরো শরীরে তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে, ব্রণ, ডায়বেটিস সরিয়ে দেয়, কানের ব্যথা, মস্তিষ্ক বেদনা, যোনির ব্যাথা দূর করে, শরীরে মাখলে শরীর হালকা হয়, ত্বক, চুল এবং  চোখের পক্ষে হিতকর। নানা রকমের, ক্ষত, আঘাত, পুড়ে যাওয়া, মাড়িয়ে যাওয়া, ভেঙ্গে যাওয়া ইত্যাদিতে তিলের তেল অত্যন্ত উপকারী। এই তেল নাকেও দেওয়া যায়, ভাল করে মেখে স্নানও করা যায় এমনকি কাজল তৈরি করে চোখে পরাও যায়-সবেতেই তিলের তেল সমান উপকারী।

 চরকের মতো তিলের তেল বল বৃদ্ধি করে, ত্বকের পক্ষে ভাল, গরম, স্থিরতা প্রদান করে এবং যোনি শোধ। এক কথায় বলা যায় তিলের তেল দেহের বিভিন্ন উপকার সাধন করে থাকে। তাই আমাদের নিয়মিত তিল খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১

খালি পেটে কোন ৬ টি খাবার খেলে সুস্থ রাখবে আপনার শরীর ?


খালি পেটে কোন ৬ টি খাবার খেলে সুস্থ রাখবে আপনার শরীর ?

 ক্রমেই এগিয়ে আসছে শীত। শীতকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই অল্পতেই শরীর খারাপ করে। তাই এই শীতেও শরীর ভালো রাখতে এবং সুস্থ থাকতে খাবারের দিকে দিতে হবে বাড়তি মনোযোগ। আর সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে সকালের খাবারের।

  রাতের খাবারের আর সকালের খবরেরর মধ্যে দীর্ঘ একটা সময়ের বিরতি থাকে। আর এই সময়ে ঠিকঠাক খাবার খাওয়া খুব জরুরি। কারণ খালি পেটে সঠিক খাবারই আমাদের সারাদিনের হজম ক্রিয়া ঠিক রাখে। বলা যায় শরীর সুস্থ রাখার এটাই হলো চাবিকাঠি। 

 দেখে নিন, সকালে উঠে কোন খাবার দিয়ে দিন শুরু করবেন -

১) গরম জল মধু -

 প্রতিদিন সকালে উঠে হলকা গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম বা অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। সেই সঙ্গে মধুতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

২) পেঁপে-

 পেঁপে সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, কে, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও প্রোটিন। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ ফাইবারও রয়েছে। আর পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। খালি পেটে পেঁপের খাওয়ার উপকারিতা অনেক। খেতে মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগিরা এটি খেতে পারেন। তাছাড়া হজমেও সাহায্য করে ফলটি।

৩) পোরিজ-

 আপনি যদি কম ক্যালোরি এবং উচ্চ পুষ্টিকর প্রাতঃরাশ করতে চান তবে পোরিজ একটি দুর্দান্ত বিকল্প। বিশেষত ওটমিল থেকে তৈরি পোরিজ ব্রেকফাস্টের জন্য সুপারফুড। এটি খেতেও সুস্বাদু, শরীরের জন্যও স্বাস্থ্যকর। খালি পেটে খাওয়া শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়, পাশপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্যও সুস্থ রাখে। ওটমিল খাওয়া আপনার পেটকে দীর্ঘ সময় ধরে রাখে যাতে আপনি অতিরিক্ত খাবারও এড়াতে পারেন।

৪) তরমুজ-

 আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে তরমুজ রাখতে পারেন। ৯০% জল দিয়ে গঠিত এই ফলটি শরীরের জলের চাহিদার একটি বিশাল অংশ পূরণ করে। মিষ্টি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা হ্রাস করতে ফলটি বেশ কার্যকর। এটি খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরিও গ্রহণ করা হয় না। তরমুজ ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ এবং এ ছাড়াও উচ্চ পরিমাণে যৌগিক লাইকোপিন রয়েছে যা হৃদয় এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৫) বাদাম-

 সকালের ব্রেকফাস্টে একমুঠো বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এটি অন্ত্রের কার্যক্রম পরিচালনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি শুধু হজমের উন্নতিই ঘটায় না, পেটের পিএইচ স্তরকেও স্বাভাবিক করে তোলে। আপনি আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে কিসমিস, বাদাম এবং পেস্তা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তবে এগুলো পরিমিত পরিমাণেই খাওয়া উচিত, অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে।

৬) ভেজানো বাদাম -

খালি পেটে বাদাম খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য যেমন অনেক উপকার। তেমন বাদাম ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে এর বেশি উপকার পাওয়া যায়।

( আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১

পুষ্টিহীনতার ৭টি লক্ষণ কি এবং এর প্রতিকার কি ?.



পুষ্টিহীনতার ৭টি লক্ষণ কি এবং এর প্রতিকার কি ?.

  যখন আমাদের শরীর খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না তখনই দেখা দেয় পুষ্টিহীনতা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা বেশী হয়। এই পুষ্টিহীনতার কারণে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। হজমের সমস্যা, ত্বকের রোগ, হাড়ের বৃদ্ধি রোধ, এমনকি স্মৃতি ভ্রষ্টতাও হতে পারে। আপনি যদি বুঝতে পারেন যে পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন তাহলে তার প্রতিকার করাও সহজ হয়ে যায়।  

  প্রতিদিন সুষম খাবার খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। তবে ভাল খাবার খেলেও কিছু রোগ বা হজমের সমস্যার কারণে শরীরে পুষ্টি ঠিকমত পূরণ নাও হতে পারে। গভীরভাবে খেয়াল না করলে শরীরে পুষ্টিহীনতা সহজে বুঝাও যায় না। তাই পুষ্টিহীনতার লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

  এখানে আমি পুষ্টীহীনতার ৭টি লক্ষণ এবং কোন কোন খাদ্য খেলে এই সমস্যা দূর হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করব।

১। রাতে কম দেখা বা রাতকানা -

ভিটামিন এ ভাল দৃষ্টিশক্তির জন্য এমনকি সামগ্রিক চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ প্রয়োজনীয়। এর ঘাটতি হলে রাতে দেখতে অসুবিধা হয়, সকালে চোখের পাতায় খসখসে ভাব থাকে, ও ফটোফোবিয়া (Photophobia) বা সূর্যের আলোতে তাকাতে অসুবিধা হয়। এতে চোখ শুকিয়ে যায়, ঘোলাটে দেখা যায় এমনকি চোখের রেটিনাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

যেসব খাবারে ভিটামিন এ আছেঃ

গরুর কলিজা

মিষ্টি আলু

গাজর

কড লিভার অয়েল

টুনা মাছ

পালং শাক

২। ভঙ্গুর, দাগযুক্ত বা ঢেউ খেলানো নখ

শরীরে জিঙ্ক (zinc) এর ঘাটতি দেখা দিলে এই সমস্যা দেখা যায়। নখ দেখে বোঝা সম্ভব যে আপনি পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন কিনা। 

যেসব খাবারে জিঙ্ক আছেঃ

গো মাংস

মুসুরের ডাল

চিংড়ি মাছ

মিষ্টি কুমড়ার বিচি

বাদাম

দই

ওটমিল

৩। মাংসপেশীর খিঁচুনি ও হাড়ের ব্যথা (muscle fatigue)

যদি আপনার হাড়ে ব্যথা লক্ষণ করেন তাহলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন মাংসপেশীর খিঁচুনি ও হাড়ের ব্যথা বোধ করলে এবং এ ব্যথা বাড়তে থাকলে বুঝবেন আপনার পুষ্টিহীনতা আছে। ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভাল উৎস হচ্ছে সূর্যালোক। প্রতিদিন দুপুরের সূর্যে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় কাটালে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাবেন।

এছাড়া যেসব খাবারে ভিটামিন ডি আছেঃ

তৈলাক্ত মাছ যেমন, ইলিশ, পাঙ্গাস,

বিদেশী মাছ - স্যামন, সার্ডিন, ক্যানের টুনা মাছ ইত্যাদি।

গো মাংস

কড লিভার অয়েল

ডিমের কুসুম

৪। অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা হার্টবিট (Arrhythmia)

ক্যালসিয়াম আমাদের হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। যদি অনিয়মিত হার্টবিট এবং বুকে ব্যথা অনুভব করেন তবে বুঝতে হবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়েছে। 

যেসব খাবারে ক্যালসিয়াম আছেঃ

দুধ

পনির

দই

মুসুরের ডাল

পালং শাক

লাল শাক

আলমন্ড বা কাঠ বাদাম

ক্যানের সার্ডিন মাছ

৫। পায়ের পাতা ও জিভে জ্বালাপোড়া ভাব

এ ধরনের সমস্যা হয় সাধারণত ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে। যদি আপনার ত্বক শুকনো মনে হয়, ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, আপনার চিন্তায়, ব্যবহারে ও স্মৃতিশক্তির কোন পরিবর্তন দেখেন তবে বুঝতে হবে ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতে থাকতে পারে। 

যেসব খাবারে ভিটামিন বি-১২ আছেঃ

গরুর কলিজা

গো মাংস

মাছ

ক্যানের টুনা ও সার্ডিন মাছ

দুধ

পনির

ডিম

৬। ক্ষত শুকাতে সময় লাগা

ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরে কলাজেন (collagen) উৎপাদন কমে যায় যার ফলে ক্ষত শুকাতে সময় লাগে। এছাড়া ত্বকের সমস্যা, ত্বকে ছোট ছোট লাল ফোটা দেখা দিলে, হাড় এবং জয়েন্টে ব্যথা, দাঁত ব্রাশ করার সময় রক্ত পড়লে, অকারণেই ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি আছে। 

যেসব খাবারে ভিটামিন সি আছেঃ

আনারস

কমলা, কমলার জুস

লেবু

পেয়ারা

লিচু

ব্রকলি

পালং শাক

কাচা মরিচ 

৭। চুল পড়া

প্রতিদিন ১০০টা চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি গোছা গোছা চুল পড়ে তবে তা খারাপ লক্ষণ। শরীরে আয়রন বা লোহার ঘাটতি দেখা দিলে এই সমস্যা হয়। এর ফলে শক্তি কমে যায়। এছাড়া হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে মাথা ব্যথা, মাংসপেশীর দুর্বলতা, জয়েন্টে ব্যথা, হঠাৎ শীত অনুভূত হওয়া, অবসাদগ্রস্ততা, শুকনো ও ফ্যাকাসে ত্বকের সমস্যা হয়। এ ধরণের যে কোন লক্ষণ দেখলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। এছাড়া খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। 

যেসব খাবারে আয়রন আছেঃ

গো মাংস

মাছ

পালং শাক

গরুর কলিজা

মুসুরের ডাল

শিম

বরবটি

মিষ্টি কুমড়ার বিচি

ব্রকলি

ডার্ক চকোলেট

( আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)