সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২

যেসব কারণে নারী ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব হয় ?.


যেসব কারণে নারী ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব হয় ?.

 ধারণে অক্ষম। ভারত ও বাংলাদেশে কত শতাংশ দম্পতি এ সমস্যায় ভুগছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। এই সমস্যার কারণে নারীদের দোষারোপ করে থাকে অনেকেই। কিন্তু এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। কারণ বন্ধ্যাত্ব নারী ও পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, সন্তান ধারণে অক্ষম নারী ও পুরুষের সংখ্যা একই রকম।

  যদিও পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে ভারত ও বাংলাদেশে নারীদেরই এজন্য নিগ্রহের শিকার হতে হয় বেশি। বন্ধ্যাত্বের এখন নানা চিকিৎসা ভারত ও বাংলাদেশে রয়েছে। তবে তা দীর্ঘমেয়াদি, ব্যয়বহুল এবং কষ্টকর।

যেসব কারণে নারীদের বন্ধ্যাত্ব হয় - 

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সন্তান ধারণের চেষ্টা করার পর টানা এক বছর সময়কাল যদি কেউ সফল না হন তাহলে তাকে ইনফার্টাইল বা সন্তান ধারণে অক্ষম হিসেবে গণ্য করা হয়।

 স্ত্রী রোগের পাশাপাশি নারীদের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন ডা. সেলিনা আক্তার। তিনি বলছিলেন, তার কাছে যে দম্পতিরা আসেন তাদের মধ্যে সন্তান ধারণে অক্ষমতায় নারী ও পুরুষের সংখ্যা একই রকম।

 দেখা যায় দম্পতিদের মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ত্রী এবং একই সংখ্যক স্বামীদের শারীরিক সমস্যা থাকে। বাকি ১০ ভাগ ক্ষেত্রে দুজনেরই সমস্যা থাকে। কিন্তু ১০ ভাগ ক্ষেত্রে সমস্যা অজানা থেকে যায়। নারীরা প্রধানত কি কারণে সন্তান ধারণে অক্ষম হয়ে থাকেন সে সম্পর্কে ধারণা দিলেন ডা. সেলিনা আক্তার।

১. প্রেগন্যান্সির জন্য জরুরি পলিসিস্টিক ওভারি, যার মাধ্যমে একটা করে ওভাম আসার কথা, সেটা আসে না।

২. জরায়ুর কিছু সমস্যা থাকে, যা জন্মগত হতে পারে আবার অসুখের কারণে হতে পারে।

৩. জন্মগত সমস্যার কারণে হয়ত ডিম আসছে না, তার টিউব ব্লক, জরায়ু যেটা আছে সেটা বাচ্চাদের মতো।

৪. আরও কিছু অসুখ আছে, যেমন: ওভারিয়ান চকলেট সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে হতে পারে।

৫. হরমোনের কারণেও হতে পারে। যেমন থাইরয়েডের সমস্যার কারণে হতে পারে।

৬. আর যৌনবাহিত রোগের কারণে মেয়েদের প্রজনন অঙ্গগুলোর ক্ষতি করে। সেজন্য বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

পুরুষের যেসব কারণে বন্ধ্যাত্ব - 

 জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ফজল নাসের বলছেন, তাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে পুরুষরা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা নিয়ে অনেক দেরিতে চিকিৎসকের কাছে যান। কেননা সন্তান না হলে শুরুতেই স্ত্রীকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। পুরুষদের বন্ধ্যত্বের মূল কারণগুলো কী জানালেন তিনি।

১. একটা কারণ এজোস্পার্মিয়া, অর্থাৎ বীর্যের মধ্যে শুক্রাণু নেই। তার নালির কোথাও বাধা সৃষ্টি হয়েছে তাই শুক্রাণু মিলতে পারছে না। শুক্রাণু তৈরি হওয়ার যে স্থান অণ্ডকোষ, কোনো কারণে সেটি তৈরিই হয়নি।

২. অনেক সময় শুক্রাণু থাকে কিন্তু পরিমাণে কম থাকে।

৩. আবার শুক্রাণুর পরিমাণ ঠিক আছে কিন্তু মান ঠিক নেই। যার ফলে সে ডিম ফার্টিলাইজ করতে পারে না।

৪. এছাড়া টেস্টোস্টেরন হরমোনও ‘সিক্রেশন’ হতে হবে।

৫. প্রজনন অঙ্গে কোনো ধরনের আঘাত।

৬. অস্ত্রোপচারের কারণে সৃষ্ট বাধা।

৭. প্রজনন অঙ্গে যক্ষ্মা।

৮. ডায়াবেটিস।

৯. ছোটবেলায় মাম্পস।

১০. এমনকি মাথায় চুল গজানোর ওষুধও পুরুষদের সন্তান ধারণের অক্ষমতার উৎস।

যে ধরনের চিকিৎসা রয়েছে - 

ভারত ও বাংলাদেশে এখন বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার নানা ব্যবস্থা রয়েছে। সে সম্পর্কে ডা. সেলিনা আক্তার বলছিলেন, ‘যখনই কোনো কাপলের এক বছর বাচ্চা হচ্ছে না, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে। বয়স যদি ত্রিশের বেশি হয়, সেক্ষেত্রে আমরা এক বছর অপেক্ষা করতে মানা করি। তাদের তার আগেই ডাক্তারের কাছে চলে আসতে হবে। 

 ছয় মাসের মধ্যে যদি না হয়। আর বয়স যদি ত্রিশের নিচে হয় তাদের বলি এক বছরের কথা। এছাড়া আজকাল অনেকেই পেশাগত কারণে সন্তান ধারণে সময় নেন, সেটি এক এসময় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

মানুষের জীবনযাত্রায় যে পরিবর্তন এসেছে সেটি স্বাস্থ্যসম্মত করা পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

১. মেয়েদের খাদ্যাভ্যাস ঠিক করতে হবে।

২. ক্যালরি খাওয়া কমাতে হবে।

৩. ঘরে রান্না খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

৪. ব্যায়াম করতে হবে।

৫. শরীরের স্বাভাবিক ওজন রক্ষা করতে হবে।

৬. জীবনাচারণ পরিবর্তন করতে হবে।

৭. দিনে ঘুমানো, রাতে জেগে থাকার মত অভ্যাস বদলাতে হবে।

৮. বয়স থাকতে বাচ্চা নিতে হবে।

ডা. সেলিনা আক্তার বলেছেন, নারীদের ডিম্বাণু বৃদ্ধির জন্য ওষুধ, হরমোন ইনজেকশন দেন তারা। ডিম্বাশয়, এর নালী ও জরায়ুর সমস্যা দেখতে ল্যাপারস্কপি রয়েছে। কিছুদিন আগে স্বল্প পরিসরে চালু হয়েছে স্টেম সেল থেরাপি। সন্তান জন্মদানে অক্ষম দম্পতির দেহ থেকে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু সংগ্রহ করে কৃত্রিম পরিবেশে তা নিষিক্ত করে পুনরায় স্ত্রীর জরায়ুতে স্থাপন করা বা টেস্টটিউব বেবির ব্যবস্থা শুরু হয়েছে প্রায় কুড়ি বছর আগে। তবে ভারত ও বাংলাদেশে সন্তানহীনতার চিকিৎসা যতটুকু রয়েছে তার বেশিরভাগেই নারীদের জন্য এবং তা মূলত বিভাগীয় শহরভিত্তিক।

পুরুষদের জন্য কিছু চিকিৎসার কথা বলছিলেন চিকিৎসক ফজল নাসের: - 

ওষুধ দিয়ে শুক্রাণু বাড়ানো যেতে পারে। স্বাভাবিক হচ্ছে প্রতি মিলিতে চল্লিশ থেকে ১২০ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকার কথা। যদি সংখ্যাটা ১০ মিলিয়নের নিচে নেমে যায়, তাহলে কৃত্রিম গর্ভধারণে যেতে হবে। যদি পুরোপুরি অবস্ট্রাকশন হয়ে থাকে যে, শুক্রাণু আসছে না, তাহলে দেখতে হবে অণ্ডকোষটা সক্রিয় আছে কি না। অণ্ডকোষ সক্রিয় থাকলে সেখান থেকে সুঁই দিয়ে শুক্রাণু নিয়ে এসে টেস্টটিউব পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেয়া যায়। ‘পৃথিবীর ভালো কেন্দ্র গুলোতেও অবস্ট্রাকশনের সার্জারি সফল হওয়ার হার মোটে ২৫ শতাংশ এবং এটি খুবই ব্যয়বহুল’, বলেন নাসের।

ধৈর্য, ব্যয় ও শারীরিক কষ্ট -

 বিশ্বব্যাপী পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় সাফল্যের হার কম। নারী পুরুষ দুজনের জন্যই বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। এক সপ্তাহের ডোজেই এটি সেরে যায় না। তাই এক্ষেত্রে ধৈর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রায়ই ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। বিশেষ করে টেস্টটিউব পর্যন্ত যদি বিষয়টি গড়ায়।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কোন কোন খাবার ?.


স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কোন কোন খাবার ?.

বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সবকিছু ঠিক থাকার পরও কখনও মনে হয় মাথাটা যেন কিছুতেই কাজ করছে না। এটা যেমন একটা সাময়িক ব্যাপার হতে পারে তেমনি আবার এর পেছনে আপনার খাদ্যাভ্যাসও দায়ি হতে পারে। কিছু খাবার বৈজ্ঞানিকভাবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। 

  যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিস অ্যান্ড নিউট্রিশন’য়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং পুষ্টিবিদ শিনা জারামিলো, এমএস বলেন, ‘মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতা বাড়ানোর খাবার গুলোতে থাকে ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’, ‘মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড’ ও ভিটামিন ডি। নারিকেল তেল এবং ‘পাম অয়েল’ থেকে মেলে ‘মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড’। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে মস্তিষ্ক প্রখর রাখার কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানান হল।

স্যামন - 

মাউন্ট সিনাই স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের ‘নিউরোসাইন্টিস্ট’ নিকোল এম. অ্যাভেনা, পিএইচডি বলেন, “ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎকৃষ্ট উৎস হল চর্বিওয়ালা মাছ। মাছের এই চর্বি স্বাস্থ্যকর কারণ এতে ‘বেটা-অ্যামিলয়েড প্রোটিন’য়ের মাত্রা কম থাকে। ‘আলৎঝাইমার’স রোগে আক্রান্ত রোগীদের মস্তিষ্কে ‘প্লাক’ তৈরি করে এই প্রোটিন। সপ্তাহে দুবার মাছ খাওয়া উচিত, তবে এমন মাছ বেছে নিতে হবে যাতে ‘মার্কারি’ বা পারদের মাত্রা কম। এক্ষেত্রে স্যামন হল আদর্শ। কারণ এতে পারদ নেই এবং ‘ওমেগা থ্রি’ বেশি। সামুদ্রিক মাছে সমস্যা থাকলে শৈবালভিত্তিক ‘ওমেগা থ্রি সাপ্লিমেন্ট’ গ্রহণ করতে পারেন”, বলেন আরেক পুষ্টিবিদ ড্যানিয়েলা স্কোয়াব, এমএসপিএইচ, আরডি।

জামজাতীয় ফল- 

ড.স্কোয়াব বলেন, ‘মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতা বাড়াতে এবং বয়সজনীত ক্ষয় কমাতে জাম-জাতীয় ফলগুলো বিশেষ উপকারী। এতে প্রচুর ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ থাকে, যা মস্তিষ্কের ‘ফ্রি র‌্যাডিকেল’ বা মুক্ত মৌলকে নিষ্ক্রিয় করে। আর এজন্যই জামজাতীয় ফলকে বলা হয় ‘নিউরোপ্রোটেক্টর’ফার্মেন্টেড খাবার ।

স্কোয়াব বলেন, ‘মস্তিষ্ক আর অন্ত্র বেশ গভীরভাবে জড়িত। আনন্দের অনুভূতি দেওয়া হরমোন ‘সেরোটনিন’ তৈরি করে অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়া। তাই সংক্রমণ কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে অন্ত্রের ‘মাইক্রোবায়োম’য়ের ভারসাম্য নষ্ট হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে মস্তিষ্কে। ‘আলৎঝাইমারস’, ‘ডিমেনশিয়া’ ও অন্যান্য ‘কগনিটিভ’ রোগগুলোর ঝুঁকি বাড়ে এভাবেই। ‘ফার্মেন্টেড’ খাবার মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যে ভূমিকা রাখে কারণ তা সরাসরি ‘নিউরোট্রান্সমিটার’কে প্রভাবিত করতে সক্ষম। ‘ফার্মেন্টেড’ বা ‘প্রোবায়োটিক’ খাবারের মধ্যে আছে ‘কমবুচা’, দই, টকদই, খিমচি ইত্যাদি। ভোজ্য আঁশ থাকে প্রচুর, এমন খাবার যেমন- ফল, সবজি, পত্রল খাবার ও শষ্যজাতীয় খাবারও অন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

কফি - 

সকালে কফি পান না করলে অনেকেরই মাথা কাজ করে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘কফি শুধু মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করে তাই নয়, নতুন কোনো ঘটনাকে স্থায়ীভাবে মনে রাখাতেও এর সহায়ক ভূমিকা রয়েছে।’ কফি ‘সাইকোস্টিমুলেন্ট’ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ নতুন তথ্য সামাল দেওয়ার গতি বাড়ায়। আর এই প্রভাব কফি পান করা শেষ হওয়ার পরও বজায় থাকে। এছাড়াও মস্তিষ্কে তৈরি হওয়া বিষাক্ত উপাদান অপসারণে ‘ক্যাফেইন’য়ের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

 বাদাম ও বীজ - 

ম্যাগনেসিয়াম এমন একটি খনিজ যা প্রাকৃতিকভাবেই প্রকৃতি এবং মানবদেহে তৈরি হয়। প্রতিটি কোষে এর অস্তিত্ব আছে এবং শরীরের অসংখ্য দৈনিক কার্যাবলী সম্পাদনে এটি জরুরি এক উপাদান, এমনকি মস্তিষ্কের জন্যও। মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা উন্নয়নের পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম কাজ করে ‘ভ্যাসোডাইলেটর’ হিসেবে। রক্তনালী প্রসারিত করার মাধ্যমে এটি মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। ‘টফু’, বাদাম, অ্যাভোকাডো, কুমড়ার বীজ ইত্যাদি মাগনেসিয়ামের উল্লেখযোগ্য উৎস। কুমড়ার বীজে আরও থাকে ‘আনস্যাচুরেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড’, ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’, দস্তা, কপার ও লৌহ যার সবগুলোই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ডার্ক চকলেট -

এতে থাকে ‘ফ্লাভানয়েড’ যা একটি শক্তিশালী ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ ও প্রদাহরোধী উপাদান। কোনো কিছু শেখা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বাড়ানো, নিউরন’কে সুরক্ষিত সবকিছুর পেছনেই ডার্ক চকলেটের উপকারী ভূমিকা আছে। ৭০ শতাংশ কোকো আছে এমন ডার্ক চকলেট বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ মেগান ওয়াং, আরডি।

জল -

মস্তিষ্কের ৭৫ শতাংশই পানি। তাই শরীরে পানির অভাব থাকলে তা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমাবে সেটাই স্বাভাবিক। পানির অভাবে মনযোগ কমে, সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হয় এবং স্বল্প সময়ের জন্য স্মৃতিশক্তির কমার লক্ষণ দেখা দেয়।

ডিম - 

‘কোলিন’ নামক উপাদান থাকে ডিমে যা স্নায়ুকোষের ‘ট্রান্সমিশন’য়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও এই উপাদান স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের গঠন বজায় রাখতে কাজ করে। মনযোগ বাড়াতেও এর ভূমিকা আছে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

খাওয়ার পর কোন কোন কাজ করবেন না ?.


খাওয়ার পর কোন কোন  কাজ করবেন না ?.

খাবার ছাড়া আমাদের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না। তাই আমরা প্রতিদিন কিছু না কিছু খায়। কিন্তু খাওয়ার পর আমরা অনেক সময় অনেক কিছু করে থাকি, যা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এমন অনেক কাজ রয়েছে, যেগুলো অন্য সময়ে করলে উপকার হয় অথচ খাওয়ার পর পর করলেই তা ক্ষতি করে।

সঠিক নিয়ম মেনে সঠিক খাবার খেলে যেমন স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তেমনই নিয়ম না মেনে ভুল খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করব খাওয়ার পরে যে কাজ কখনোই করা উচিত নয়, তা নিয়ে-

১) খাবার পরেই অনেকে ধূমপান করেন। কিন্তু জানেন কি, ভরা পেটে ধূমপান করলে তা শরীরের বেশি ক্ষতি করে। তবে ভরা পেট বা খালি পেট নয়, ধূমপান পরিহার করাই সর্বাপেক্ষা শ্রেয়।

২) ভরা পেটে কখনোই ফল খাবেন না। খালি পেটে ফল খেলে তবেই তার খাদ্যগুণ আমাদের শরীরে শোষিত হয়। তাই খাওয়ার বেশ কিছুটা সময় পরে ফল খান। খাবার খেয়েই ফল খেলে হজমের সমস্যাও দেখা দেয়।

৩) খাওয়ার পরেই আমাদের অনেকেরই ঘুম পায়। তাই খেয়ে উঠেই বিছানায় যেতে আমরা বেশ পছন্দ করি। কিন্তু এটা অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস। খেয়ে উঠেই শুয়ে পড়লে ওজন তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে হজমের সমস্যাও দেখা দেবে। তাই খেয়ে উঠে অন্তত এক ঘণ্টা পরে বিছানায় যান।

৪) জল খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু খেয়ে উঠেই জল পান করবেন না। খাবার খেয়েই জল খেলে তা হজমে সহায়ক গ্যাসট্রিক রসকে হালকা করে দেয়। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হতে চায় না। সেই রকমই খেয়ে উঠেই চা বা কফি খাওয়া ঠিক নয়।

৫) পেটভর্তি করে খেয়ে অনেকেই কোমরের বেল্ট একটু হালকা করে নেন। এটিও কিন্তু খারাপ অভ্যাস। প্রথম কথা কখনোই পেট এতটা ভর্তি করে খাওয়া উচিত নয়, যাতে কোমরের বেল্ট হালকা করতে হয়।

৬) খাওয়ার পর সাথে সাথে হাঁটা ঠিক নয়। তবে খাবার গ্রহণের আধা ঘণ্টা পর ১০ মিনিট হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অপরদিকে হাঁটা ঘুমের জন্য ভালো। তেমনি খাওয়ার পর পর ব্যায়াম করা ঠিক নয়।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২

শীতকালে কমলালেবু কেন খাবেন ?.


শীতকালে কমলালেবু কেন খাবেন ?. 

  শীত জেঁকে বসেছে সারাদেশে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঋতুতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ কমে যায়। যার ফলে জ্বর, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা এবং আরও অনেক শারীরিক সমস্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এ কারণে শীতকালে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে পুষ্টিকর খাবারের ওপর গুরুত্বারোপ জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

  খাবারের তালিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার একটি সহজ উপায় হলো, প্রতিদিনের খাবারে আরও বেশি করে মৌসুমি ফল এবং শাকসবজি রাখা। প্রতিটি ঋতু নিজস্ব ফল ও সবজি নিয়ে আসে- যার প্রতিটিতে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারী পুষ্টি থাকে। এমনই একটি আশ্চর্যজনক শীতকালীন ফল হলো কমলা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কমলাকে শীতকালীন ‘সুপারফুড’ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।

   মিষ্টি ও রসালো এ ফল ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ভাইরাল গুণের ভাণ্ডার। এছাড়াও এটি শরীরে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজ ও ভিটামিন যোগায়, যা কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে না তাই নয়, পাশাপাশি ফ্লু এবং জ্বর সহ আরো কিছু মৌসুমী রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

কমলার স্বাস্থ্য উপকারিতা-

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: - কমলা হলো ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে ও ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ক্ষতি প্রতিরোধ করে। এছাড়াও কমলা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, শীতকালীন ঠান্ডা-সর্দি ও নানা ধরনের অসুস্থতা প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

* ত্বকের উজ্বলতা বাড়ায়:- শীত প্রায়ই ত্বকে শুষ্কতার ছাপ ফেলে এবং ত্বককে ফ্যাকাশে ও নিস্তেজ করে তোলে। কমলাতে বিদ্যমান ভিটামিন সি ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে এবং ভেতর থেকে উজ্বল করে তোলে।

* ওজন কমাতে সহায়ক: - কমলায় ক্যালোরির পরিমাণ অবিশ্বাস্য রকম কম এবং এতে কোনো চর্বি নেই। তাই যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে আগ্রহী, তাদের জন্য এ ফল আদর্শ।

  ভারতের খ্যাতনামা পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শীতকালীন খাবার তালিকায় কমলা রাখার আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা শেয়ার করেছেন। তার মতে, ‘কমলা হলো পুষ্টির শক্তিঘর, যা এ ঋতুতে সহজলভ্য। কমলা খাওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকে নানা উপায়ে উপকৃত করা যায় সহজেই।

পুষ্টিবিদ অনুমোদিত আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা- 

* ক্যানসার প্রতিরোধী খাবার: - কমলার অন্যতম প্রধান উপাদান হলো লিমোনিন। এটি মুখ, ত্বক, ফুসফুস, স্তন, পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

* কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক: - কমলার খোসায় পলিমেথক্সিলেটেড ফ্ল্যাভোনস নামক এক ধরনের যৌগ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষমতা রাখে।

* মা এবং শিশুর জন্য ফোলেট: - শরীরে প্রাকৃতিভাবে ফোলেট যোগানোর একটি বড় উৎস হলো কমলা। এটি শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সহায়তা করে। গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বি ভিটামিন হলো ফোলেট। তাই সামগ্রিক স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কমলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

প্রেমে পড়লে ছেলেদের কি কি পরিবর্তন হয় ?.


প্রেমে পড়লে ছেলেদের কি কি পরিবর্তন হয় ?

 প্রেম মানেই পরিবর্তন। প্রেমে পড়বেন আর আপনার মধ্যে পরিবর্তন আসবে না, তাই কি হয়! এমনও হতে পারে যে আপনার হাব-ভাব দেখেই আশেপাশের মানুষেরা বুঝে ফেলেন যে আপনি প্রেমে পড়েছে! অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে ছেলেরা তো একটু কৃপণতা করেই।

 তারা মন খুলে কাউকে বলতেও পারে না। মজার ব্যাপার হলো, প্রেমে পড়লে মেয়েদের মতো ছেলেদেরও কিছু পরিবর্তন আসে। ঠিকভাবে খেয়াল করলেই তা বুঝতে পারবেন। মিলিয়ে নিন তো, আপনার পরিচিত কোনো ছেলে এভাবে পরিবর্তিত হয়েছে কি না-

সচেতন -

প্রেমে পড়লে ছেলেরা একটু বেশিই সচেতন হয়ে যায়। এই সচেতনতা কিন্তু নিজেদের সাজ, পোশাক নিয়ে। কোন পোশাকটি পরলে বেশি মানাবে, কোন হেয়ারকাটে আরেকটু সুন্দর লাগে এসব বিষয়ে চিন্তা করে। শুধু সাজ-পোশাকই নয়, আচার-আচারণে আসে পরিবর্তন। মেয়েদের সঙ্গে আগের থেকেও সচেতন হয়ে কথা বলে।

সম্পর্ক সুন্দর রাখার চেষ্টা -

প্রেম মানুষকে সমৃদ্ধ করে এ কথাটি মিথ্যা নয়। প্রেমে পড়লে ইতিবাচক পরিবর্তনই বেশি আসে। এসময় ছেলেরা একটু বেশিই সমঝদার হয়ে যায়। তারা সম্পর্কটি সুন্দর রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। কী করলে প্রেয়সীর মন জয় করা যাবে, সেই চেষ্টাই থাকে তাদের।

অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া - 

এমনিতে একরোখা স্বভাবের হলেও প্রেমে পড়লে ছেলেদের মন পাল্টে যায়। তখন নিজের পাশাপাশি তারা অন্যদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে শেখেন। এসময় তাদের মন অনেকটা কোমল হয়ে যায়। তখন ভিন্নমতকেও অসহ্য মনে হয় না। এসময় তারা অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। 

অযথা আঘাত না করা -

প্রেমে পড়লে ছেলেরা ধৈর্যশীল হয়ে যায়। এসময় তারা সহজে কাউকে আঘাত করতে চায় না বা কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলে না। বিশষে করে পছন্দের মেয়েটিকে তো একেবারেই নয়। এসময় তারা সম্পর্কের প্রতি আরও যত্নশীল হয়ে ওঠে। প্রেমে পড়লেই ছেলেরা সুন্দরভাবে সবার খেয়াল রাখতে শিখে যায়। 

গুরুত্ব -

শুধু প্রেমিকাকেই নয়, প্রেমে পড়লে ছেলেরা সবাইকে গুরুত্ব দিতে শেখে। কারণ প্রতিটি মানুষ এবং প্রতিটি সম্পর্কের আলাদা গুরুত্ব ও সৌন্দর্য আছে। প্রেমে পড়লে এই বোধ ছেলেদের মাঝে আরও বেশি জাগ্রত হয়। এটি আসলে সবার জন্যই দরকারি। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কাউকে ভালো লাগলে আমাদের কী করা উচিত ?.


কাউকে ভালো লাগলে আমাদের কী করা উচিত?

 বর্তমানে ভালোবাসা, ভালো লাগা ব্যাপার গুলো কেমন জানি।  হঠাৎ করে আপনার কাউকে পছন্দ হয়ে গেল। মনে কি যেন একটা হয়ে যায়। ভালো লেগে গেল। কিন্তু নিজেকে বুঝতে পারছেন না, তখন আপনার কী করতে হবে। মনের ভিতরে অনেক ভয় কাজ করে  থাকে।

 আমাদের কখন কাকে ভাল লেগে যায় আমরা নিজেরাও জানি না। কিন্তু যখন আমরা কাউকে পছন্দ করতে শুরু করি তখন আমরা ভেবে পাই না আমরা কি করব। এমন মুহূর্তে কী করা উচিত, সমাধান জানা যাবে নিচের অংশটুকু পড়লে।

আগে তাকে ভালো লাগার বিষয়টি ঠিক করুনঃ- 

 ভালো লাগার অনেক বিষয় থাকতে পারে। সেটা ভালবাসা বা অন্য দিক। তো আগে আপনাকে ভেবে নিতে হবে আপনার তাকে কোন দিক থেকে ভালো লাগে। আপনি তাকে ভালবাসেন বা ভালবাসতে চান কিনা এটা আগে ভেবে দেখুন। ভালবাসা আর অন্য ব্যাপার গুলো আলাদা। সাথে এটাও ভাববেন এমনটা নয়তো যে, আপনি তাকে ভালবাসেন না বা ভালবাসবেন না। 

 শুধু ভালো লাগাটা কোন ব্যাপার নয়। অন্য কারণ তবে সেটা ভালবাসা নয়। তাই আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে কোন ব্যাপারে বা কোন দিক থেকে আপনি তাকে পছন্দ করেন। সেটা জানা গেলেই আপনি ঠিক করতে পারবেন আপনার তাকে পছন্দ হলে আপনার কি কি করা উচিত।  

ভালবাসতে চাইলে কি করা উচিতঃ-

 আপনার যদি মনে হয় আপনি তাকে ভালবাসেন বা ভালবাসতে চান। তাহলে আপনার তো অনেক কিছুই করা উচিত হবে। প্রথমত তার কাছে থাকার চেষ্টা করুন। আপনার ইচ্ছে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করুন। ফাইনালি তাকে প্রপোজ করুন।

ভালবাসা ছাড়া অন্য কারণ থাকলে কি করা উচিতঃ-

ভালবাসা ছাড়া অন্য কারণ থাকলে আপনার কাজ হাসিলের জন্য তাকে অফার করতে পারেন। নিজে না পারলে অন্যকে দিয়ে অফার করুন। তাকে বুঝানোর চেষ্টা করুন। 

এমনিতেই ভাল লাগলে যা করবেনঃ -

এমনিতেই ভাল লাগলে কি আর করবেন। ভাল যখন লাগছে তো লাগতে দিন। সমস্যা থাকলে বাদ দিন।  তবে আপনি আপনার ভাবনাতে আরো কিছু যোগ দিতে পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত বেশি কিছু করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত ঘটতে পারে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২

বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান ৭টি কারণ কি কি ?.


বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান ৭ টি কারণ কি কি ?.। 

 সবার জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে নারী পুরুষ একত্রে বৈধভাবে মিলিত হয়। স্বপ্ন দেখে সুখী নীড় গড়ে তোলার। সবাই চায় তার বিবাহিত জীবন সুখী হোক। তবে দুর্ভাগ্যবশত বিয়ের পর নারী-পুরুষ যেমন সংসার শুরু করে, তেমনই শুরুর পর পরও অনেক সময় দেখা দেয় বিচ্ছেদের ঘণ্টাধ্বনি। কেন বিবাহবিচ্ছেদ, কেনই বা সংসার করা সম্ভব হয়ে ওঠে না? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিবাহবিচ্ছেদের শীর্ষ ৭ কারণ-

১) দম্পতিদের মধ্যে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়া কিংবা মনোমালিন্য খুবই সাধারণ বিষয়। তাই বলে বারবার সঙ্গীকে অসংলগ্ন কথা বলা কিংবা সঙ্গীকে অসম্মান করা বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। এর ফলে অপরজনের মধ্যে ধারণা জন্মায়, সঙ্গীর কাছে বোধ হয় তার কোনো সম্মান নেই!

২) বেশিরভাগ মারামারি, তর্ক ও বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ হলো ভুল বোঝাবুঝি। অনুমান ও অবিশ্বাস্যের কারণে ঘটতে পারে বিবাহবিচ্ছেদ।

৩) বিশ্বাসঘাতকতা করার কারণেও অনেকেরই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক দাম্পত্য জীবন ধ্বংস করে দেয়। মুহূর্তেই ভেঙে দেয় সাজানো গোছানো সংসার।

৪) অ্যালকোহল, ড্রাগে আসক্ত ব্যক্তিরাও সম্পর্ক ও সঙ্গীকে ধরে রাখতে পারেন না। কারণ মেজাজের পরিবর্তন, আচরণ, ঘুমের ধরণ, ক্ষুধা, পারিবারিক দায়িত্ব, বন্ধু ও সংযোগ, অর্থের অপচয় ও ভুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার কারণে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে এমন মানুষদের মধ্যে।

৫) অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্খা কিংবা লোভী নারী-পুরুষ অর্থ, ক্ষমতা, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির লোভে তার চেয়ে তিনগুণ বয়সী নারী-পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। একসময় মোহ চলে যায় বা অক্ষম পুরুষ-নারী কিংবা অর্থ চাহিদাপূর্ণ হলে সে আবার নতুনের সন্ধানে বের হয়। এমন সম্পর্ক শেষ হয় বিবাহবিচ্ছেদের মাধ্যমে।

৬) পারিবারিক নির্যাতনের কারণেও একটি সংসার ভেঙে যায়। বিশেষ করে অনেক নারী তার সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। শুধু নারীরাই নন, পুরুষদের ক্ষেত্রেও অনেক সময় এটি দেখা যায়।

৭) কারও দাম্পত্য জীবনে যদি পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের মতামত কিংবা অভিযোগ যুক্ত হয়, সেক্ষেত্রে বিরোধ বাঁধতে পারে দম্পতির মধ্যে। যেমন- শ্বশুরবাড়ির কোনো সদস্যদের বিরূপ মন্তব্য কিংবা কটাক্ষতার শিকার হয়েও অনেকে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটায়।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

গরম জল পানের ৭টি উপকারিতা কি কি ?.


গরম জল পানের ৭টি উপকারিতা কি কি ?.

প্রতিদিন একটি উষ্ণ জলের স্নান যেমন শরীরকে ঝরঝরে করে তোলে ঠিক তেমনি প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস উষ্ণ বা গরম জল পান শরীরকে আভ্যন্তরীন ভাবে অনেকটাই সুস্থ করে তোলে। করোনা মহামারির কারণে অনেকেই এখন গরম পানি পানের অভ্যাস করছেন। কিন্তু গরম জল শুধু করোনা কালে নয়, যে কোন সময় পান করলেই এটা স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারি।

প্রাচীন চীন ও ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ১ গ্লাস গরম জল পানের মাধ্যমে দিন শুরু করলে তা পাচকতন্ত্রের সুস্থতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আরো অনেক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়। চীন দেশের মানুষরা আজও তাদের খাবারের সময় কেতলি ভর্তি গরম গ্রীন টি রাখে এবং তা খাওয়ার মাঝেই অল্প অল্প করে পান করতে থাকে। আসুন তাহলে জেনে নিই উষ্ণ জল পানের উপকারিতা।

১। ওজন কমানো -

বিশেষজ্ঞদের মতে সকালে ১ গ্লাস গরম জল ওজন কমাতে বিশেষ সহায়ক। এটা মেটাবলিযমকে উজ্জিবীত করে ক্যালরি বার্ন করে। গরম জল অন্ত্রকে পরিষ্কার করে ও পেট ফাপা বন্ধ করে। এছাড়া গরম জল শরীরের আভ্যন্তরীন তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে যা মেটাবলিযমের কার্যকারিতা বৃদ্ধিত করে।

২। গরম জল সাইনাস দূর করে -

উষ্ণ জল পান করলে শ্বাসনালীতে জমে থাকা শ্লেষ্মা অনেকটাই নরম হয় আসে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া আরামদায়ক হয়। পান করার ৩০ মিনিটের মধ্যেই গরম জলের কার্যকারিতা বোঝা যাবে।

৩। দাঁতের আরাম -

অনেক সময় দাঁতের সংবেদনশীলতা বা দাঁতে থাকা সাদা ফিলিং ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে আসলে খুব সমস্যা করে। তাই উষ্ণ জল ব্যবহারে আপনি আরাম পাবেন।

৪। হজমে সহায়ক -

খালি পেটে সকালে ১ গ্লাস গরম জল পানে তা পাকস্থলীতে থাকা ধমনীগুলোকে প্রসারিত করে যা পাচকতন্ত্রেকে ভালভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। খাবার খাওয়ার পর গরম জল পান করলে তা চর্বিকে তরলজাত করে এবং বিছানায় যাওয়ার আগে গরম জল পান করলে তা শরীরকে জলয়োজিত রাখে। 

৫। মাংসপেশীর স্বাস্থ্য -

গরম জল পানে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় যা মাংসপেশীকে আরাম দেয়। এটা যে কোন পেশীর ব্যথা, মাসিকের সময় পেটের পেশীতে যে ক্র্যাম্প হয় তা দূর করে এবং ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। 

৬। গরম জল মেজাজ ভাল রাখে -

গবেষণায় প্রমাণিত যে গরম জল পান মানুষের মুড ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৭। এন্ডোক্রাইন সিস্টেম -

উষ্ণ জল আমাদের শরীরের অন্তঃস্রাব সিস্টেম (Endocrine System) উজ্জিবীত করে ফলে শরীরে ঘাম হয় এবং ত্বকের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়।

পরিশেষে -

গরম জল বা উষ্ণ জল পান করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে জল যেন খুব বেশী গরম না হয় যা মুখ এবং শরীরের অভ্যন্তরের ক্ষতি করবে। যতটা গরম সহ্য করা যায় ঠিক ততখানি গরমই পান করুন এবং চাইলে সাথে লেবুর রস এবং মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২২

সঙ্গীর রাগ মোকাবিলা করে সম্পর্ক গভীর করবেন কিভাবে ?.


সঙ্গীর রাগ মোকাবিলা করে সম্পর্ক গভীর করবেন কিভাবে ?.

সঙ্গীর সঙ্গে পথ চলায় বিভিন্ন বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়ে থাকে। কখনো কখনো বেশ তীব্র আকার ধারণ করে এই সমস্যা। সেটা হোক পারিবারিক আয়োজনের বিয়ে, লাভ ম্যারিজ বা প্রেমিক-প্রেমিকার ক্ষেত্রে। এমন সম্পর্কে সঙ্গী যদি কোনো কারণে বা কারণ ছাড়াই রেগে যায় তাহলে সম্পর্কে নানা ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তাই সম্পর্কে পরিবর্তন আনা জরুরি।

বিবাদ থেকে বেরিয়ে আসা: -
সঙ্গী রেগে গেলে তার সঙ্গে পাল্টা রাগারাগির প্রস্তুতি নেয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখুন। সঙ্গী যেভাবেই কটূক্তি করুক না কেন তা পাত্তা দিবেন না। যদি আপনিও তার সঙ্গে রাগ করেন তাহলে বিপরীতের মানুষটি আরও বেশি আক্রমণাত্মক কথা বলবে। তাই নিজেকে শান্ত রাখা উত্তম উপায়।

সম্পর্কের বাইরে কাউকে না বলা:-
 সঙ্গীর খারাপ ব্যবহারে মনে কষ্ট পেলে অনেকে তা বন্ধু-বান্ধব ও বাইরের অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ থেকে বাইরের মানুষের কাছে নিজেদের আরও ছোট করা হয়। এছাড়া অনেকে হয়তো জানেনই না বা বিশ্বাসই করবে না আপনার সঙ্গীর অনেক রাগ। এতে বরং সম্পর্কে আরও ফাটল ধরবে। আর নিজেদের জীবনে সেই প্রভাব পড়বে। এক্ষেত্রে নিজেরাই বিষয়টি সমাধান করুন। আর দুই পরিবারের বাইরে কারও সঙ্গে নিজেদের বিষয়ে আলোচনা করবেন না।
নিজ সম্পর্কে পর্যালোচনা করুন:-
 সঙ্গী বারবার আপনাকে দোষারোপ করে, কিন্তু আপনি নিজেকে সঠিক হিসেবেই উপস্থাপন করেন। এমনটা হলে একা একা একবার নিজেকে নিয়ে ভাবুন। আপনার সঙ্গী আপনার যেসব বিষয়ে ভুলের কথা বলছে তা নিয়ে ভাবুন। জানার চেষ্টা করুন, আপনি সঠিক না আপনার সঙ্গী সঠিক।

ভুল স্বীকার করতে শিখুন: -
কখনো কোনো কারণে কথা কাটাকাটির পর বা রাগারাগির পর যদি মনে করেন আপনারই ভুল ছিল, তাহলে ভুল স্বীকার করবেন। ভুল স্বীকার করা খারাপ কিছু না। এতে ব্যক্তিত্বও ছোট হয় না। বরং এতে নিজের চিন্তা-শক্তির প্রখরতা ফুটে উঠে। আর নিজের আপন মানুষ সঙ্গীর সঙ্গে যদি ভুল করে থাকেন সেখানে ভুল স্বীকার করায় লজ্জার কিছু নেই। বিশ্বাস না হলে সঙ্গীর কাছে একবার নিজের ভুল স্বীকার করে দেখুন। দেখবেন সম্পর্ক আরও গভীর হবে। 
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২

শীতকালে বেড়ে যায় হার্ট এ্যাটাক, কিভাবে সুস্থ থাকবেন ?.


শীতকালে বেড়ে যায় হার্ট এ্যাটাক, কিভাবে সুস্থ থাকবেন ?.

সারা বিশ্বে অসুখ বিসুখের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মানুষ মারা যায় হৃদরোগে। আরও উদ্বেগজনক ব্যাপার হচ্ছে, ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী অনেক তরুণ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিভিন্ন কারণে হ্রদরোগ ও হার্ট অ্যাটাক অন্যতম, এবং হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হচ্ছে ঋতুর পরিবর্তন।

শীতকালে শুধু সর্দি-কাশি আর ফুসফুসের সমস্যাই নয়, হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক বেড়ে যায়। আকস্মিক হার্ট এ্যাটাক থেকে বাঁচতে হলে সতর্ক থাকতে হবে এবং শীতকালে এই সতর্কতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

১। শীতকালে হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কেন?

যদিও এর কারণ সঠিকভাবে কেউ জানেন না, বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটা আমাদের দেহতত্ব কিংবা অতিরিক্ত ঠান্ডা হৃদপিন্ডের উপর প্রভাব ফেলার কারণে এটা হতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে শীতকালে স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিউর এবং এরিদমিয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

ঠান্ডা পড়লে আমাদের শরীরের সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমের সক্রিয়করণ বেড়ে যায়, ফলে রক্তের ধমনী সরু হয়ে যায়, যাকে বলা হয় ভাস্কোকন্সট্রিকশন (Vascoconstriction)। যখন এটা হয়, তখন ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায় এবং হৃদপিন্ডকে রক্ত পাম্প করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে বেগ পেতে হয়।

২। আর কি কি ফ্যাক্টর শীতকালে হার্টের উপর প্রভাব ফেলে?

বাইরে বেশী ঠান্ডা থাকলে মানুষ ঘর থেকে বের হতে চায় না, ফলে ব্যায়াম হয় না। এটা হার্টের জন্য দুঃসংবাদ। শীতকালে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আসে। এই সময় উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার বেশী খাওয়া হয়, যা রক্তের ধমনীর উপর প্রভাব ফেলে। 

৩। শীতকালে হার্ট এ্যাটাক থেকে কিভাবে নিরাপদ থাকবেন?

হার্ট এ্যাটাক একটি বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং আপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এর থেকে নিরাপদ থাকতে আপনাকে হার্টের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। এখানে দেয়া হলে শীতকালে হার্ট সুস্থ রাখতে 

বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শঃ-

শীতের ঠান্ডা আপনাকে খুব দ্রুত অসুস্থ করে ফেলতে পারে। আপনার যদি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে তাহলে পর্যাপ্ত গরম কাপড় পড়ুন এবং মাথা ও বুক গরম কাপড় দিয়ে ভালভাবে ঢেকে রাখুন।

ঠান্ডার কারণে যদি বাইরে বের হতে না চান, তাহলে ঘরেই ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার ইমিউনিটি শক্তিশালী করবে এবং ফিট থাকতে সাহায্য করবে। বাসায় হার্ট বান্ধব ব্যায়াম করুন অথবা যোগ ব্যায়াম বা মেডিটেশন শুরু করুন।

আপনার যদি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ এবং অন্যান্য ভাস্কুলার রোগ থাকে তাহলে এসব নিয়মিত নিয়ন্ত্রণে রাখুন। খাদ্যের দিকে নজর রাখুন। শীতে মিষ্টি ও চর্বিযুক্ত খাবারের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায়। তাই এসব খাবার পরিহার করুন ও ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যের চেক আপ করুন। সময়মত ডাক্তারের সাহায্য নিন। হার্ট এটাক থেকে বাঁচতে সচেতন থাকতে হবে। বুকে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, মাথা ঘোরানো বা বমি ভাব হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।