বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১

তিল ও তিলের তেলের অজানা সব উপকারিতা গুলি কী কী ?.


তিল ও তিলের তেলের অজানা সব উপকারিতা গুলি কী কী ?.

 আমাদের দেশে তিল দ্বিতীয় প্রধান তেলবীজ ফসল হিসেবে খ্যাত। আর খাদ্য হিসেবে তিল ও তিলের তেল খুবই জনপ্রিয় একটি খাদ্য উপাদান। এটি দেহের পুষ্টির সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সুস্থ থাকার জন্য তিল ও তিলের তেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই সম্পর্কে আমাদের সকলের জেনে রাখা প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেই তিলের তেলের উপকারিতা সম্পর্কে।

তিলের তেলের উপকারিতাসমূহ :

(১) তিলের তেলের অনেক গুন যদি সকালবেলা এক মুঠো তিল চিবিয়ে খাওয়া হয় তাহলে বল ও পুষ্টি পাওয়া যায়। সেইসাথে দাঁত এতো মজবুত হয়ে যায় যে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত নড়ে না, ব্যথা করে না এবং পড়েও যায় না।

(২) এইভাবে তিল খেলে অর্শের সমস্যা একদমই কমে যায়।

(৩) শিশুদের জন্যও তিল অনেক উপকার। বলা হয়ে থাকে তিলে চুনের মাত্রা বেশি আছে সেই জন্যে বাচ্চাদের জন্যে উপকারী। প্রতিদিন বাচ্চাদের তিলের নাড়– বা তিল পাপড়ি খাওয়ালে বাচ্চারা হৃষ্টপুষ্ট হয়।

(৪) যে সব শিশুরা রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে তাদের কালো তিল এবং তার সাথে এক টুকরো মুলো খাওয়ালে ওই বদ-অভ্যাস দূর হয়ে যায়।

(৫) শরীরের পুড়ে যাওয়া জায়গায় তিল পিষে, তার সাথে পানিতে ধোওয়া ঘি ও কর্পূর মিশিয়ে প্রলেপ দিলে খুব দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। তিলের তেল গরম করে লাগালেও  আশ্চর্য ভাল ফল পাওয়া যায়।

(৬) যদি শরীরের কোনো অংশ খুব জ্বালা করতে থাকে তাহলে তিল দুধ দিয়ে পিষে প্রলেপ লাগালে দাহ বা জ্বালা দূর হয়ে যাবে।

(৭) যদি টাটকা ক্ষত বা ঘা না সারে তাহলে তিল পিষে নিয়ে মধু আর ঘি মিশিয়ে লাগালে অনেক ওষুধ বা মলমের চেয়ে বেশি কাজ দেবে।

(৮) শূল ব্যথায় শুঁঠ ও হিং মেশানো তিলের তেল মালিশ করলে তাড়াতাড়ি আরাম পাওয়া যায়।

(৯) শীতকালে ফাটা হাত-পা এমনকি গাল বা ঠোঁটেও তিলের তেল লাগালে উপকার হয়।

(১০) রসুন দিয়ে গরম করা তিল তেলের ফোঁটা কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়।

(১১) তিল তেলের আর  একটি বিশেষ গুণ এই তেল বাতের ব্যথা অর্থাৎ বাত সারিয়ে দেয়।

(১২)  তিলের তেল সারা শরীরে তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে এবং তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।

(১৩) অলিভ অয়েলের চেয়ে তিলের তেলের উপকারিতা বা পুষ্টিগুণ কিছু কম নয়। স্বাদের দিক থেকে বরং অলিভ অয়েলের চেয়ে তিলের তেলই বেশি ভাল।

(১৪) তিল তেল মলকে বদ্ধ করে এবং পুরোনো জমে থাকা মল বাইরে বের করে দেয়। এইভাবে এই তেলের মলরোধ পরস্পর-বিরোধী গুণ রয়েছে।

(১৫) যদি মেয়েদের ঋতুস্রাব ঠিক মতো না হয় এবং খুব ব্যথা-বেদনা হয় তাহলে তিলের তেল খাওয়া উচিত। দু চা চামচ তিল পিষে নিয়ে এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। এক চতুর্থাংশ পানি থেকে গেলে সেই পানিটুকু পান করলে মাসিক ঠিক মতো হবে।

(১৬) তিল, যব, চিনি চূর্ণ করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যাঁদের বাচ্চা হবে অর্থাৎ সগর্ভা এবং যাঁদের বাচ্চা হয়েছে অর্থাৎ প্রসূতা বা প্রসূতির রক্তস্রাব বন্ধ হয়।

(১৭) পিষানো কালো তিল এক ভাগ, চিনি দু ভাগ, এবং ছাগলের দুধ চার ভাগ একসাথে মিশিয়ে খেলে রক্ত-আমাশা সারে।

(১৮) অল্প তিল আর চিনি একসাথে পিষে বা কুটে নিয়ে মধু মিশিয়ে চাটালে বাচ্চাদের মল থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

(১৯)  তিল, নাগকেসর [কবিরাজি দোকানে পাওয়া যায়] আর চিনির চূর্ণ একসাথে মিশিয়ে খেলে অর্শে উপকার পাওয়া যায়।

(২০) তিল পিষে নিয়ে মাখনের সাথে মিশিয়ে খেলে অর্শে রক্তপড়া ও অর্শের কষ্ট কমে যায়।

(২১) কালো তিল চিবিয়ে খেয়ে তার পরে একটু পানি খেলে দাঁত মজবুত হয়, শরীর হৃষ্টপুষ্ট এবং রক্তস্রাব করা অর্শে আরাম পাওয়া যায়।

(২২) তিলের তেল মুখে দশ পনেরো মিনিট রেখে কুলকুচো করে ফেলে দিলে নড়ে যাওয়া দাঁত মজবুত হয়ে যায় এবং পাইয়োরিয়া [দাঁতের অসুখ] সেরে যায়।

(২৩) দাঁত ব্যথা করলে হিং বা কালোজিরে পিষে নিয়ে তিলের তেল মিশিয়ে তেল গরম করে কুলকুচো করলে আরাম পাওয়া যায়। এই তেল তুলোয় লাগিয়ে মুখে রাখাও যেতে পারে।

(২৪)  হিং, কালো নুন মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল পেটে মালিশ করলে বা সেঁক দিলে পেটের ব্যথা সারে এবং গ্যাস কমে যায়।

(২৫) পিষানো গোলমরিচ বা পিষানো যোয়ান মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল নাকে দিলে, গুঁকলে বা মালিশ করলে বন্ধ নাক খুলে যায়।

(২৬) মোম আর নুন মিশিয়ে গরম করা তিলের তেল লাগালে ফাটা গোড়ালিতে উপকার পাওয়া যায়।

(২৭) রাই, যোয়ান, শুঁঠ, রসুন বা হিং দিয়ে গরম করা তেল মালিশ করলে এবং তার সাথে গরম সেঁক দিলে জোড়ের [গাঁটের] ব্যথা কমে যায়। রিউমেটিজিম ছাড়া অন্য সন্ধি বাতে অনেক উপকার পাওয়া যায়। 

(২৮) তিল তেল একটু গরম করে রোজ মালিশ করলে এক মাসের মধ্যেই নিপ্রভ বা জৌলুষহীন ত্বকে উজ্জ্বলতা এসে যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, চুলকুনি সেরে যায়।

(২৯) হিং আর শুঁঠের গুঁড়ো মিশিয়ে গরম করা তিল তেল মালিশ করলে কোমরের ব্যথা, জোড়ের ব্যথা, কোনো অঙ্গ আড়ষ্ঠ হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি রোগের প্রশমন হয়।

(৩০)  তিলের তেলে রসুনের কোয়া দিয়ে গরম করে কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়।

(৩১) চুনের পানি থিতিয়ে নিয়ে তিলের তেল মিশিয়ে লাগালে আগুনে পোড়া ঘা সেরে যায়।

(৩২) পুড়ে যাওয়া অংশে শুধু গরম করা তিলের তেল মিশিয়ে লাগালেও চমৎকার ফল পাওয়া যায়।

 তিলের তেলের অসাধারন প্রয়োগ :

 নিয়মিত তিলের তেল প্রয়োগ করলে অনেক ক্ষেত্রে দেহের সুস্থতা লাভ হয়। তিল প্রয়োগের পদ্ধতি হল প্রতিদিন ভোরবেলা এক টেবিল চামচ কালো তিল অল্প অল্প করে মুখে দিয়ে মিহি করে চিবিয়ে যখন একেবারে রসের মতো হয়ে যাবে তখন গিলে ফেলতে হবে। এই ভাবে সব তিল চিবিয়ে খাওয়া হয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি খেতে হবে। এই তিল খাওয়ার পর তিন ঘন্টা পর্যন্ত আর কিছু খাবেন না। এই ভাবে তিল খাওয়ার সাথে সাথে যদি তেলের মালিশও করা যায় তাহলে যিনি খুব রোগা তিনি মোটা হয়ে যাবেন আর যিনি খুব বেশি মোটা তাঁর অত্যধিক মেদ কমে গিয়ে সঠিক আকার হবে। 

 বায়ু ও কফের কারণে যাঁর শরীরের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে তাঁরও তিল প্রয়োগের দ্বারা শারীরিক বৃদ্ধি আবার শুরু হয়ে যায়। খিদে পায়, দাঁত যদি দুর্বল হয় তাহলে মজবুত হয়ে যায়। যাঁর অকালে চুল পেঁকে গেছে তিনিও তিল প্রয়োগের দ্বারা লাভবান হবেন। শরীর কান্তিমান ও তেজস্বী হয় সব ইন্দ্রিয়ের শক্তি বেড়ে যায়। যে সব মেয়েদের চুল উঠে যাচ্ছে তাঁদের চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল ঘন কালো হয়। ঋতুস্রাব পরিষ্কার হয়। যদি এক টেবিল চামচ পরিমাণ বেশি মনে হয় তাহলে অর্ধ টেবিল চামচ করে সকালে ও সন্ধেবেলা যে রকম সহ্য হয় সেই রকম ভাবে ‘তিল প্রয়োগ’ করে দেখুন। বলা হয়ে থাকে যাঁরা এক বছর ধরে প্রতিদিন নিয়মিত ‘তিল প্রয়োগ’ করছেন তাঁদের যৌবন স্থির হয়ে যায়, বৃদ্ধেরাও যেন নব যৌবন ফিরে পান এবং মৃত্যু পর্যন্ত সক্ষম এবং সুন্দর থাকেন। 

 তিলের মতো তিলের তেলও উপকারী। তিলের তেল ভারী, বলপ্রদ, শরীরের রং উজ্জ্বল করে, মল নিষ্কষণ করে, মৈথুন শক্তিবৃদ্ধি করে, স্বচ্ছ, রস তথা পাকে মধুর, সূক্ষ্ম, কটু, বায়ু ও কফ দূর করে, উষ্ণবীর্য, স্পর্শে শীতল, পুষ্টিদায়ক, শরীরের দোষ দূর করে, মল ও মূত্র নিয়ন্ত্রণ করে, গর্ভাশয় পরিষ্কার করে, খিদে বাড়ায়, বুদ্ধিবৃদ্ধি করে, পবিত্রভাব, পুরো শরীরে তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে, ব্রণ, ডায়বেটিস সরিয়ে দেয়, কানের ব্যথা, মস্তিষ্ক বেদনা, যোনির ব্যাথা দূর করে, শরীরে মাখলে শরীর হালকা হয়, ত্বক, চুল এবং  চোখের পক্ষে হিতকর। নানা রকমের, ক্ষত, আঘাত, পুড়ে যাওয়া, মাড়িয়ে যাওয়া, ভেঙ্গে যাওয়া ইত্যাদিতে তিলের তেল অত্যন্ত উপকারী। এই তেল নাকেও দেওয়া যায়, ভাল করে মেখে স্নানও করা যায় এমনকি কাজল তৈরি করে চোখে পরাও যায়-সবেতেই তিলের তেল সমান উপকারী।

 চরকের মতো তিলের তেল বল বৃদ্ধি করে, ত্বকের পক্ষে ভাল, গরম, স্থিরতা প্রদান করে এবং যোনি শোধ। এক কথায় বলা যায় তিলের তেল দেহের বিভিন্ন উপকার সাধন করে থাকে। তাই আমাদের নিয়মিত তিল খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১

খালি পেটে কোন ৬ টি খাবার খেলে সুস্থ রাখবে আপনার শরীর ?


খালি পেটে কোন ৬ টি খাবার খেলে সুস্থ রাখবে আপনার শরীর ?

 ক্রমেই এগিয়ে আসছে শীত। শীতকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই অল্পতেই শরীর খারাপ করে। তাই এই শীতেও শরীর ভালো রাখতে এবং সুস্থ থাকতে খাবারের দিকে দিতে হবে বাড়তি মনোযোগ। আর সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে সকালের খাবারের।

  রাতের খাবারের আর সকালের খবরেরর মধ্যে দীর্ঘ একটা সময়ের বিরতি থাকে। আর এই সময়ে ঠিকঠাক খাবার খাওয়া খুব জরুরি। কারণ খালি পেটে সঠিক খাবারই আমাদের সারাদিনের হজম ক্রিয়া ঠিক রাখে। বলা যায় শরীর সুস্থ রাখার এটাই হলো চাবিকাঠি। 

 দেখে নিন, সকালে উঠে কোন খাবার দিয়ে দিন শুরু করবেন -

১) গরম জল মধু -

 প্রতিদিন সকালে উঠে হলকা গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম বা অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। সেই সঙ্গে মধুতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

২) পেঁপে-

 পেঁপে সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, কে, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও প্রোটিন। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ ফাইবারও রয়েছে। আর পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম। খালি পেটে পেঁপের খাওয়ার উপকারিতা অনেক। খেতে মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগিরা এটি খেতে পারেন। তাছাড়া হজমেও সাহায্য করে ফলটি।

৩) পোরিজ-

 আপনি যদি কম ক্যালোরি এবং উচ্চ পুষ্টিকর প্রাতঃরাশ করতে চান তবে পোরিজ একটি দুর্দান্ত বিকল্প। বিশেষত ওটমিল থেকে তৈরি পোরিজ ব্রেকফাস্টের জন্য সুপারফুড। এটি খেতেও সুস্বাদু, শরীরের জন্যও স্বাস্থ্যকর। খালি পেটে খাওয়া শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়, পাশপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্যও সুস্থ রাখে। ওটমিল খাওয়া আপনার পেটকে দীর্ঘ সময় ধরে রাখে যাতে আপনি অতিরিক্ত খাবারও এড়াতে পারেন।

৪) তরমুজ-

 আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে তরমুজ রাখতে পারেন। ৯০% জল দিয়ে গঠিত এই ফলটি শরীরের জলের চাহিদার একটি বিশাল অংশ পূরণ করে। মিষ্টি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা হ্রাস করতে ফলটি বেশ কার্যকর। এটি খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরিও গ্রহণ করা হয় না। তরমুজ ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ এবং এ ছাড়াও উচ্চ পরিমাণে যৌগিক লাইকোপিন রয়েছে যা হৃদয় এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৫) বাদাম-

 সকালের ব্রেকফাস্টে একমুঠো বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এটি অন্ত্রের কার্যক্রম পরিচালনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি শুধু হজমের উন্নতিই ঘটায় না, পেটের পিএইচ স্তরকেও স্বাভাবিক করে তোলে। আপনি আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে কিসমিস, বাদাম এবং পেস্তা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তবে এগুলো পরিমিত পরিমাণেই খাওয়া উচিত, অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে।

৬) ভেজানো বাদাম -

খালি পেটে বাদাম খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য যেমন অনেক উপকার। তেমন বাদাম ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে এর বেশি উপকার পাওয়া যায়।

( আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১

পুষ্টিহীনতার ৭টি লক্ষণ কি এবং এর প্রতিকার কি ?.



পুষ্টিহীনতার ৭টি লক্ষণ কি এবং এর প্রতিকার কি ?.

  যখন আমাদের শরীর খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না তখনই দেখা দেয় পুষ্টিহীনতা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা বেশী হয়। এই পুষ্টিহীনতার কারণে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। হজমের সমস্যা, ত্বকের রোগ, হাড়ের বৃদ্ধি রোধ, এমনকি স্মৃতি ভ্রষ্টতাও হতে পারে। আপনি যদি বুঝতে পারেন যে পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন তাহলে তার প্রতিকার করাও সহজ হয়ে যায়।  

  প্রতিদিন সুষম খাবার খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। তবে ভাল খাবার খেলেও কিছু রোগ বা হজমের সমস্যার কারণে শরীরে পুষ্টি ঠিকমত পূরণ নাও হতে পারে। গভীরভাবে খেয়াল না করলে শরীরে পুষ্টিহীনতা সহজে বুঝাও যায় না। তাই পুষ্টিহীনতার লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

  এখানে আমি পুষ্টীহীনতার ৭টি লক্ষণ এবং কোন কোন খাদ্য খেলে এই সমস্যা দূর হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করব।

১। রাতে কম দেখা বা রাতকানা -

ভিটামিন এ ভাল দৃষ্টিশক্তির জন্য এমনকি সামগ্রিক চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ প্রয়োজনীয়। এর ঘাটতি হলে রাতে দেখতে অসুবিধা হয়, সকালে চোখের পাতায় খসখসে ভাব থাকে, ও ফটোফোবিয়া (Photophobia) বা সূর্যের আলোতে তাকাতে অসুবিধা হয়। এতে চোখ শুকিয়ে যায়, ঘোলাটে দেখা যায় এমনকি চোখের রেটিনাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

যেসব খাবারে ভিটামিন এ আছেঃ

গরুর কলিজা

মিষ্টি আলু

গাজর

কড লিভার অয়েল

টুনা মাছ

পালং শাক

২। ভঙ্গুর, দাগযুক্ত বা ঢেউ খেলানো নখ

শরীরে জিঙ্ক (zinc) এর ঘাটতি দেখা দিলে এই সমস্যা দেখা যায়। নখ দেখে বোঝা সম্ভব যে আপনি পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন কিনা। 

যেসব খাবারে জিঙ্ক আছেঃ

গো মাংস

মুসুরের ডাল

চিংড়ি মাছ

মিষ্টি কুমড়ার বিচি

বাদাম

দই

ওটমিল

৩। মাংসপেশীর খিঁচুনি ও হাড়ের ব্যথা (muscle fatigue)

যদি আপনার হাড়ে ব্যথা লক্ষণ করেন তাহলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন মাংসপেশীর খিঁচুনি ও হাড়ের ব্যথা বোধ করলে এবং এ ব্যথা বাড়তে থাকলে বুঝবেন আপনার পুষ্টিহীনতা আছে। ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভাল উৎস হচ্ছে সূর্যালোক। প্রতিদিন দুপুরের সূর্যে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় কাটালে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাবেন।

এছাড়া যেসব খাবারে ভিটামিন ডি আছেঃ

তৈলাক্ত মাছ যেমন, ইলিশ, পাঙ্গাস,

বিদেশী মাছ - স্যামন, সার্ডিন, ক্যানের টুনা মাছ ইত্যাদি।

গো মাংস

কড লিভার অয়েল

ডিমের কুসুম

৪। অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা হার্টবিট (Arrhythmia)

ক্যালসিয়াম আমাদের হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। যদি অনিয়মিত হার্টবিট এবং বুকে ব্যথা অনুভব করেন তবে বুঝতে হবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়েছে। 

যেসব খাবারে ক্যালসিয়াম আছেঃ

দুধ

পনির

দই

মুসুরের ডাল

পালং শাক

লাল শাক

আলমন্ড বা কাঠ বাদাম

ক্যানের সার্ডিন মাছ

৫। পায়ের পাতা ও জিভে জ্বালাপোড়া ভাব

এ ধরনের সমস্যা হয় সাধারণত ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে। যদি আপনার ত্বক শুকনো মনে হয়, ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, আপনার চিন্তায়, ব্যবহারে ও স্মৃতিশক্তির কোন পরিবর্তন দেখেন তবে বুঝতে হবে ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতে থাকতে পারে। 

যেসব খাবারে ভিটামিন বি-১২ আছেঃ

গরুর কলিজা

গো মাংস

মাছ

ক্যানের টুনা ও সার্ডিন মাছ

দুধ

পনির

ডিম

৬। ক্ষত শুকাতে সময় লাগা

ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরে কলাজেন (collagen) উৎপাদন কমে যায় যার ফলে ক্ষত শুকাতে সময় লাগে। এছাড়া ত্বকের সমস্যা, ত্বকে ছোট ছোট লাল ফোটা দেখা দিলে, হাড় এবং জয়েন্টে ব্যথা, দাঁত ব্রাশ করার সময় রক্ত পড়লে, অকারণেই ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি আছে। 

যেসব খাবারে ভিটামিন সি আছেঃ

আনারস

কমলা, কমলার জুস

লেবু

পেয়ারা

লিচু

ব্রকলি

পালং শাক

কাচা মরিচ 

৭। চুল পড়া

প্রতিদিন ১০০টা চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি গোছা গোছা চুল পড়ে তবে তা খারাপ লক্ষণ। শরীরে আয়রন বা লোহার ঘাটতি দেখা দিলে এই সমস্যা হয়। এর ফলে শক্তি কমে যায়। এছাড়া হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে মাথা ব্যথা, মাংসপেশীর দুর্বলতা, জয়েন্টে ব্যথা, হঠাৎ শীত অনুভূত হওয়া, অবসাদগ্রস্ততা, শুকনো ও ফ্যাকাসে ত্বকের সমস্যা হয়। এ ধরণের যে কোন লক্ষণ দেখলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। এছাড়া খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন। 

যেসব খাবারে আয়রন আছেঃ

গো মাংস

মাছ

পালং শাক

গরুর কলিজা

মুসুরের ডাল

শিম

বরবটি

মিষ্টি কুমড়ার বিচি

ব্রকলি

ডার্ক চকোলেট

( আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)


শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় কোন ১০ উপায়ে ?.


সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় কোন ১০ উপায়ে ?.

এই ১০ উপায়ে সন্তান বু’দ্ধিমান ও মেধাবী হবে- ঘরের পরিবেশ আপনার সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে সাহায্য করে। মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে সন্তানকে গড়ে তোলায় বাড়ির পড়ার স্থান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি আরও কিছু বিষয় আছে যা সন্তানের মেধা ‘বিকাশে বিশেষ প্রভাব ফেলে। রিডার্স ডাইজেস্ট’ অবলম্বনে জানানো হলো ১২ টি উপায়, যা আপনার সন্তানকে মেধাবী করতে সহায়তা করবে।

১। রুটিন মেনে চলতে শেখান:-

আপনার সন্তানকে পরিকল্পনা করতে শেখান। সময়ের কাজ সময়ে করতে রুটিন তৈরি করুন ও তা মেনে চলতে শেখান। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করানোটা খুবই গু’রুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয় নির্দিষ্ট স্থানে তাকে জিনিসপত্র রাখতে শেখান। যেমন- স্কুল থেকে এসে ব্যাকপ্যাক রাখার জায়গা ঠিক করে দিন যেন সকালে খোঁজাখুজি করতে না হয়।

২। প্রতিদিন পড়ার আগে একটু বিনোদন:-

স্কুল থেকে এসেই পড়ার টেবিলে বসানো নয়, বরং তাকে পোশাক ছাড়তে বলুন। হালকা নাশতা খেতে দিন। পড়ার টেবিলে বসার আগে অবশ্যই তার বিনোদনের ব্যবস্থা রাখুন। ‘হতে পারে তা টেলিভিশন দেখা অথবা বাইরে একটু খেলতে যাওয়া।

৩। কাজের তালিকা তৈরি:-

বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানগুলো মনে রাখার জন্য সন্তানের ঘরের পড়ার টেবিলের সামনে রাখুন হোয়াইট বোর্ড। অথবা আর্ট পেপারে রং করেও বানিয়ে নিতে পারেন ছোট ক্যালেন্ডার। সেখানে তার খেলার দিন, বন্ধুদের জন্ম’দিন সবকিছু উল্লেখ থাকবে। সে বুঝতে শিখবে আপনি তাকে কতটা গু’রুত্ব দিচ্ছেন।

৪। পড়ার টেবিল থাকুক গোছানো ও শান্ত:-

বিশেষজ্ঞরা জানান, পড়ার আলাদা টেবিল ছাড়াও ডাইনিং টেবিল, কিচেন কাউন্টার এবং ঘরে যদি আপনার ছোট্ট কাজের জায়গা থাকে তবে সেখানেও সন্তানরা পড়তে পারবে। এর জন্য আপনাকে অবশ্যেই খেয়াল রাখতে হবে সন্তানদের পড়ার জন্য যা প্রয়োজন তা যেন হাতের কাছে থাকে, শান্ত পরিবেশ ও গোছানো থাকে। এতে তার পড়া থেকে মনোযোগ সরবে না।

৫। মাঝে মাঝে দিন ব্রেক:-

সবসময় পড়ার কথা বলবেন না সন্তানদের। হালকা বিশ্রামের জন্য তাদের বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দিন। গেম খেলুক সে। তবে দেখবেন বিছানায় শুয়ে শুয়ে যেন সে স্মা’র্টফোন না ঘাটে।

৬। মাঝে মাঝে বদলে যাক পড়ার স্থান:-

সন্তানের পড়ার ঘরে থাকুক পর্যা’প্ত আলো-বাতাস। ঘরের দেয়ালের রং যেন গাঢ় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে শিশুর সৃজনশীলতা নষ্ট হয়। সবসময় পড়ার ঘরের দেয়াল রাখুন হালকা শেডের।

৭। দূরে থাকুক অপ্রয়োজনীয় জিনিস:-

পড়ার টেবিলে কখনোই অ’প্রয়োজনীয় জিনিস রাখবেন না। যদি কোনো কিছু অশোভন দেখায়, ‘হতে পারে তা বইয়ের স্তুপ তবে বড় ফটো ফ্রেম দিয়ে ঢেকে রাখুন। সন্তানকে ফাইল অর্গানাইজার কিনে দিন। দিতে পারেন কনটেইনার। কনটেইনারে অবশ্যই কাগজ দিয়ে ট্যাগ দিয়ে নেবেন। কাগজে লেখা থেকেই শিশু জেনে নিতে পারবে কী আছে সেখানে।

৮। পর্যাপ্ত আলো রাখুন ঘরে:-

স্কুলের বাড়ির কাজে শিশুদের অনেক সময় ব্যবহার করতে হয় গ্রাফ পেপার। রেখাচিত্র আঁকাসহ অনেক সূক্ষ কাজ করতে দেওয়া হয় তাদের। এ কাজে প্রয়োজন উজ্জ্বল আলো। সন্তানের ঘরে তাই অকৃপণভাবে রাখুন পর্যা’প্ত আলো।

৯। পড়ার ঘর হোক আরামদায়ক ও বুক শেলফ রাখুনঃ-

পড়ার ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ খালি স্থান রাখুন। সেখানে যেন থাকে সন্তানের পছন্দের খেলনা। ছোট্ট নরম টেডি বিয়ার, বিভিন্ন আকৃতির বালিশ ঘরের মধ্যে তাদের আরাম এনে দিবে। শুধু কি পড়ার বই পড়বে আপনার সন্তান? একঘেয়েমির কারণে শিশুরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারে না। তাই ঘরে রাখুন বইয়ের শেলফ। সেখানে রাখুন মজাদার ও রঙিন গল্পের বই।

১০। বাবা-মা হিসেবে নিজের দায়িত্ব বুঝুন:-

সন্তানের ঘরের জন্য কোন কোন নতুন পরিবর্তন আনা যায় তা ভেবে বের করুন। সন্তান স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারছে কিনা, তার বাড়ির কাজে সহায়ক হবে এমন ওয়েবসাইটের খবর রাখা, কোন সফটওয়্যার দরকার এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শিশু পিছিয়ে আছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।

( আপনার দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১

১ দিনে কফির ফেসপ্যাক দিয়ে দুধের মত সাদা ফর্সা উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার উপায় ?.



১ দিনে কফির ফেসপ্যাক দিয়ে দুধের মত সাদা ফর্সা উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার উপায় ?.

আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি আরও একটি অসাধারণ সহজ রেমিডি।এই রেমেড়িটি নিয়ম মেনে নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি আপনার ত্বক হতে সব ধরণের কালো দাগ, ব্রণ, ব্রণের দাগ ,রোদেপুড়া কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি বয়সের ছাপকেও দূর করতে পারবেন।

এর ব্যবহারে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা, উজ্জ্বল আর গ্লোয়িং হয়ে উঠবে এবং আগের চেয়ে অনেক বেশি ইয়াং হবে । এর পাশাপাশি এই ফেইসপ্যাকটি ত্বক থেকে কালোভাব দূর করে ত্বককে দুধের মতো ফর্সা উজ্জ্বল করে দিবে এবং ত্বককে করে তুলবে নরম ,কোমল,মসৃণ ও দীপ্তময়।

বন্ধুরা, যদি আপনি দুধের মত ফর্সা, উজ্জ্বল ,দাগহীন, গ্লোয়িং ও ক্লিন ত্বক পেতে চান তাহলেএই ফেইসপ্যাকটিকে একবার হলেও ব্যবহার করে দেখবেন। তো বন্ধুরা দেখে নেওয়া যাক এই সহজ ও অসাধারণ কার্যকরী দুর্দান্ত ফেসপ্যাকটি তৈরি করার উপায়।

এই প্যাকটি তৈরি করার জন্য একটি বাটিতে৩ চামচ দুধ নিন। দুধের মধ্যে ল্যাকটিক এসিড আছে যা আমাদের ত্বক থেকে ভিবিন্ন ধরণের ডার্ক স্পট,ব্রণের দাগ ,রোদেপুড়া দাগকে দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সাহায্য করে।

এবার এর সাথে এড করুণ ১ চামচ চালের গুড়া চালের গুড়ার মধ্যে Natural skin লাইটেনিং property থাকায় এটি আমাদের ত্বক থেকে বলিরেখা বয়সের ছাপ ,ব্রণের দাগ , ত্বক কোঁচকে যাওয়া ও ব্লিমিসেশের এর মত চিহ্নগুলো দূর করে ত্বককে এতটাই ফর্সা ও clean করে তুলবে যার ফলে আমাদের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর কম দেখাবে, এবং আপনার ত্বক হয়ে উঠবে আগের চেয়ে অনেক বেশি ইয়াং।

২ চামচ কফি কফির মধ্যে আছে কেফেইন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক হতে ডেড স্কিন টিস্যু রিমুভ করে ত্বককে ফ্রেস ও ইয়াং করে তুলবে। ১ টি ভিটামিন ই নিয়ে এদের কে ভাল করে মিশিয়ে নিন ।উপাদানগুলো মিশে নরম পেষ্ট তৈরি হয়ে গেছে।

একটি ব্রাশের সাহায্যে এটি চেহারায় এইভাবে apply করুণ। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুণ।২০ মিনিট পর ত্বক পরিস্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দাগ ছোপকে দূর করে দিয়ে ত্বককে খুব দ্রুত ফর্সা করার জন্য এটি দূর্দান্ত কার্যকর একটি ফেইসপ্যাক।তো বন্ধুরা আশা করছি এটি আপনাদের ভাল লেগেছে ।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১

পালংশাকে রয়েছে কি কি উপকার ?.


পালংশাকে রয়েছে কি কি উপকার ?.

  শাকের মধ্যে পালংশাক খেতে খুবই সুস্বাদু। পুষ্টির দিক থেকেও শাকটি সেরা। এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টির সমাহার। এতে নানারকম পুষ্টি রয়েছে বলে স্বাস্থ্যেরও বহুবিধ উপকার হয়। এখানে পালংশাকের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়া হলো।

 ১)  রক্তের শর্করা কমায়: পালংশাককে ডায়াবেটিক সুপারফুড বলার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে। মাত্র এক বাটি পালংশাক খেয়েই শরীরে একজন মানুষের জন্য দৈনিক সুপারিশকৃত ম্যাগনেসিয়ামের ৪০ শতাংশ সরবরাহ করা সম্ভব, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অরিগন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, পালংশাকে আলফা-লিপোইক অ্যাসিড নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তের শর্করা কমায় ও ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়। এই শাকের লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্ত শর্করার বিপজ্জনক বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে ডায়াবেটিস রোগীকে নিরাপদ রাখে।

২)  ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ক্যানসার প্রতিরোধের একটি সহজ উপায় হলো, ডায়েটে বেশি করে পালংশাক অন্তর্ভুক্ত করা। পালংশাকে ক্যারোটিনয়েডস নামে যে রঞ্জক রয়েছে তা হলো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে বিপজ্জনক ফ্রি র‌্যাডিকেলস দূর করে। আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের মতে, ক্যারোটিনয়েডস সমৃদ্ধ খাবার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

৩)  রক্তচাপ কমায়: প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তচাপ কমাতে বেশি করে পালংশাক খেতে পারেন। এই শাককে কোনো দ্বিধা ছাড়াই ড্যাশ ডায়েটে স্থান দিতে পারেন। ড্যাশ ডায়েট হলো রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার খাদ্যতালিকা। পালংশাকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফোলেট রয়েছে। এসব পুষ্টি রক্তনালীকে শিথিল করে রক্তচাপ কমিয়ে থাকে।

৪)  হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়: প্রথমে একটা হতাশার গল্প শোনা যাক: ‘পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি অক্সালেটসও রয়েছে। অক্সালেটস হলো অক্সালিক অ্যাসিডের সল্ট। এই লবণ শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণকে কঠিন করে তোলে।’ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশনের মতে, পালংশাকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন কে-ও থাকে। গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে যে ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে পারে এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি কমাতে পারে।

৫)  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: বাথরুমের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি হলো ফাইবার। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অথবা প্রতিরোধে ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। পালংশাকে সলিউবল ফাইবার ও ইনসলিউবল ফাইবার উভয়ই রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যকে তাড়াতে সাহায্য করে। এক বাটি রান্নাকৃত পালংশাকে ৪.৩ গ্রাম ফাইবার পেতে পারেন, যা একজন মানুষের জন্য দৈনিক সুপারিশকৃত ফাইবারের ১৭ শতাংশ।

৬)  রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমায়: হিমোগ্লোবিন বা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে আয়রনের দরকার হয়। শরীর পর্যাপ্ত আয়রন না পেলে রক্তশূন্যতায় ভুগতে পারে। আপনার জন্য সুখবর হলো, ডায়েটে পালংশাক সংযোজন করে শরীরের অন্যান্য উপকারসাধনের পাশাপাশি রক্তশূন্যতাও এড়াতে পারেন। মাত্র এক বাটি রান্নাকৃত পালংশাক থেকে ৬ মিলিগ্রামেরও বেশি আয়রন পাবেন, যা দৈনিক সুপারিশকৃত মাত্রার ৩৬ শতাংশ। রক্তশূন্যতার একটি পরিণতি হলো, হার্টবিট অস্বাভাবিক হয়ে যায়।

৭)  নখ ও চুলকে সুস্থ রাখে: পালংশাকে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিলের মতে, উভয় পুষ্টিই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ত্বক ও চুলকে মসৃণ করে। ভিটামিন সি কোলাজেন নামক প্রোটিনের সহায়তায় চুলকে মজবুত করে তোলে। ভিটামিন সি ও কোলাজেনের যৌথ উদ্যোগে নখও মজবুত হয়ে ওঠে এবং বিরক্তিকর হ্যাং নেইল প্রতিরোধ হয়।

৮)  হার্টবিটের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে: গবেষণায় দেখা গেছে, পটাশিয়ামের অভাবে হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এছাড়া পটাশিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যোন্নয়ন, স্বাভাবিক হজমক্রিয়া ও পেশি কার্যক্রমেও সহায়তা করে। মিনারেলটি অস্টিওপোরোসিস ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। শরীরে পটাশিয়াম যোগাতে নিয়মিত পালংশাক খেতে পারেন। পালংশাকে পটাশিয়ামের পরিমাণ কলার চেয়েও বেশি। ১০০ গ্রাম পালংশাক ও ১০০ গ্রাম কলা তুলনা করলে দেখা যাবে পালংশাকে ২০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম বেশি আছে।

৯)  দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে: যারা নিয়মিত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন পড়েন তাদের এটা অজানা নয় যে চোখের সুরক্ষায় গাজর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই বলে কি শুধু গাজরই খাবেন? দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করতে পারে এমন অন্যান্য খাবারও রয়েছে, যেমন- পালংশাক। পালংশাকে দৃষ্টি সুরক্ষার পুষ্টি লুটেইন থাকে। আমেরিকান অপ্টোমেট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পালংশাকে লুটেইন নামে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা চোখের ছানি ও ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমাতে পারে।

১০)  ইনজুরি সারিয়ে তোলে: পালংশাক হলো ভিটামিন কে এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। আধ বাটি রান্নাকৃত পালংশাকে ৪৪৪ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে পাওয়া যায়। ভিটামিন কে রক্তকে জমাট বাধাতে সাহায্য করে। এ প্রক্রিয়ায় আঘাত জনিত রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়। কেবল তা নয়, এরপর ইনজুরিকে দ্রুত সারিয়ে তুলতেও ভিটামিন কে কাজ করে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরও দুর্ঘটনাবশত আঘাত পেয়ে রক্ত ঝরতে পারে। তাই ভবিষ্যতের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত পালংশাক খাওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

আলুর খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন ?.


আলুর খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন ?.

আমাদের এ অঞ্চলে আলু রান্নার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। রান্নাঘরে আর কোনো সবজি না থাকলেও, আলু থাকবে না, তা কখনো ভাবাই যায় না। তাই হয়তো, আলুকে সবজির রাজাও বলা হয়। তাছাড়া ভাত, ডাল, মাছ, মাংস কিংবা তরকারি, যেকোনো রান্নায় আলুর যুগলবন্দী, সবকিছুকেই হার মানিয়ে যায়।

আমরা সকলেই জানি যে, পুষ্টিকর সবজিগুলির মধ্যে অন্যতম হল আলু। তবে কেবল আলু নয়, আলুর খোসাও কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারি! আলুর খোসা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ফাইবারের উৎস। তাই, আলুর খোসা বাদ দিয়ে ফেলে দেওয়ার আগে এর স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি সম্পর্কে একবার অবশ্যই চিন্তা করে দেখবেন। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, আলুর খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

১) হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভাল:

আলুর খোসায় প্রভাবশালী ফেনোলিক যৌগ তথা ক্লোরোজেনিক এবং গ্যালিক অ্যাসিড উপস্থিত। এগুলি শক্তিশালী রেডিকাল স্ক্যাভেঞ্জিং বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ন্যায় কাজ করে। তাই, এই যৌগগুলি ফ্রি রেডিকেলের কারণে হওয়া, হার্টের ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়তা করে।

২) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক: 

আলুর খোসা, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও অত্যন্ত সহায়ক। আলুর খোসা পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এই খনিজগুলিই মূলত, শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

৩) অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান:

আলুর খোসায় শক্তিশালী অ্যান্টি- মাইক্রোবিয়াল যৌগ, তথা টারপেনস এবং ফ্ল্যাভোনয়েড বর্তমান। যা, বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক সংক্রমণ, প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়া, আলুর খোসা ব্যাকটেরিওস্ট্যাটিক প্রকৃতির হওয়ায়, এটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও নিরাপদ বলে ব্যবহার করা হয়।এমনকি এটি প্রাকৃতিক সংরক্ষক হিসেবেও কাজ করে। জগদ্ধাত্রী পুজোয় অবশ্যই করুন এই কাজগুলি, জীবনের সব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে!

৪) অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান:

অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য ছাড়াও, আলুর খোসায় অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। যা মূলত আন্ত্রিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, সহায়তা করে। আলুর খোসায় থাকা ক্লোরোজেনিক এবং ক্যাফেইক অ্যাসিড, প্রধান ফেনোলিক যৌগ হিসেবে কাজ করে। যা এই অ্যান্টি-ভাইরাল কার্যকলাপের জন্য দায়ী।

৫) হাড়ের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভাল:

আলুর খোসা আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, কপার এবং জিঙ্কের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। যা হাড়কে শক্তিশালী করে তুলতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া শরীরের প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম, হাড়েই উপস্থিত। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, আলুর খোসার নিয়মিত সেবন, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে এবং মহিলাদের মেনোপজের পরে অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে, সহায়তা করে।

৬) অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে সহায়ক: 

আলুর খোসা, আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটি অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে। তাছাড়া এতে, লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন এবং সরবরাহকে বজায় রাখতে সহায়ক, গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলিও উপস্থিত। তাই আলুর খোসার নিয়মিত সেবন, রক্তাল্পতা সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

৭) অ্যান্টি-অ্যালার্জি এবং অনাক্রম্যতার বৈশিষ্ট্য বর্তমান:

আলুর খোসা মূলত ফ্ল্যাভোনয়েডের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এটি এক ধরনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী রূপে কাজ করে। এটি সংক্রমণ এবং অ্যালার্জির মতো বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে।

৮) ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক:

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, আলুর খোসা ক্ষত নিরাময় করতেও অত্যন্ত সহায়ক। তাছাড়া, আলুর খোসায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে, এটি ব্যাকটেরিয়ার অতিরিক্ত বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে।

৯) ওজন কমাতে সহায়ক: 

আলুর খোসা মূলত অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি ভিটামিন বি, সি, পটাসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, তবে এতে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তাই এর নিয়মিত সেবন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি, দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি রাখতে এবং ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করতেও, সহায়তা করে।


অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।
  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১

মাত্র ১০ মিনিটে কালো ঠোঁট গোলাপি ও বাচ্চাদের ঠোঁটের মত আকর্ষণীয় করবেন কীভাবে ?.


মাত্র ১০ মিনিটে কালো ঠোঁট গোলাপি ও বাচ্চাদের ঠোঁটের মত আকর্ষণীয় করার ঘরোয়া উপায় ।

আমরা সকলেই চাই নিজের সৌন্দর্যের দ্বারা অন্যদেরকে আকর্ষিত করতে। আর নিজের সৌন্দর্য তো নিজের কাছে একটি শক্তি। তার সাথে সাথে সৌন্দর্য কিন্তু আমাদের ব্যক্তিত্বকে বাড়িয়ে দেয়। অনেকে এ কথার সাথে একমত হয় না কিন্তু এটাই হলো বাস্তবতা। কোন লোককে প্রথমে দেখলে তার ভিতরের গুনাগুন নিয়ে আপনি তাকে বা তার ব্যক্তিত্বকে জাজ করতে পারবেন না। কারণ সেটা সময় সাপেক্ষ।প্রথম দৃষ্টিতে তার সৌন্দর্য আপনার চোখে পড়বে। এর মাধ্যমে আপনারা তার ব্যক্তিত্বকে তুলনা করেন, এটি কটু সত্য হলেও এটাই বাস্তবতা।

তাই বন্ধুরা আমরা সবাই চাই নিজেদের সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে। আর নিজেদের চেহারার সৌন্দর্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আমাদের ঠোঁট। যদি আমাদের ঠোঁট গোলাপি ও কচি হয় তাহলে সেটি আমাদের সৌন্দর্যকে আরো অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়। কুচকুচে কালো রঙের ঠোঁট কিন্তু আমাদের সৌন্দর্যের ধারক হতে পারে না। তাই আমরা যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমাদের কালো ঠোঁটকে গোলাপি রঙের করতে চায়। তাই ঘরোয়া ভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপকরণ এর সমন্বয়ে প্যাক তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহারে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই আপনার কালো ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন হয়ে গোলাপী হয়ে যাবে।

১। কালো ঠোঁট মাত্র ১০ মিনিটে গোলাপি করার টিপসঃ

কালো ঠোঁট গোলাপি ও বাচ্ছাদের মত করতে প্রথমে যে টিপসটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এই টিপসটি ব্যবহার করতে যে সকল উপকরণ লাগবে।

 ১ টি সাদা রঙের টুথপেস্ট,যে ভাবে এই প্যাকটি ব্যবহার করবেনঃ

 প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ভাবে আমরা যখন দাঁত ব্রাশ করি দাঁত ব্রাশ করার সময় কিছু পরিমাণ টুথপেস্ট দুই ঠোঁটে লাগাতে হবে। ৫ মিনিট সময় পর্যন্ত এই প্যাক টি থাকার পর দাত ব্রাশ করার ব্রাশ দিয়ে আলতো আলতো ভাবে সার্কুলার মোশনে ঠোঁটদুটো ব্রাশ করতে হবে। ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার কালো ঠোঁটের রং সম্পূর্ণভাবে গোলাপি হয়ে যাবে।  

২। লবণ ও চিনির মিশ্রণে কালো ঠোঁট গোলাপি করবেন যেভাবেঃ

কালো ঠোঁট গোলাপি করতে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি এই টিপসটি। যা ফলো করতে যে সকল উপকরণ লাগবে ।

 অল্প পরিমাণে চিনি, সামান্য পরিমাণে লবণ,

যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ  

 বন্ধুরা, লবণ এবং চিনির মিশ্রণ ভালো মত করে মিশিয়ে নিতে হবে। কোন ধরনের পানি এই মিশ্রণে লাগানো যাবেনা। লেবু দিয়ে এই মিশ্রণ থেকে আমাদের ঠোঁটদুটো স্ক্রাপ করতে হবে সারকুলার মোশনে।

 ৫ মিনিট ধরে যদি আমরা লেবুর সাহায্যে স্ক্রাপটি করতে পারি আমাদের ঠোঁট কিন্তু খুব বেশি সুন্দর হয়ে যাবে। কালো রং পাল্টে একেবারে গোলাপি হয়ে যাবে।    

৩। কালো ঠোঁট গোলাপি করতে কফি পাওডারের সাথে চিনির মিশ্রণঃ

যে টিপসটি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, এই টিপসটির জন্য যে সকল উপকরণ লাগবে।  

 ২ চা চামচ কফি পাউডার,

 ১টেবিল চামচ চিনি,

যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ

 কফি পাউডার এর সাথে চিনি মিক্স করে দারুন একটি প্যাক তৈরি হয়ে যাবে। এবং তার সাথে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস যোগ করে আমরা সে মিশ্রণটি আমাদের দুই ঠোঁটে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর যদি ধুয়ে ফেলুন।  দেখবেন আপনার কালো ঠোঁটের রং কতটা পাল্টে গেছে। ১০ মিনিটেই আপনি পেয়ে যাবেন গোলাপি ঠোঁট।

৪। মাত্র ১০ মিনিটে কালো ঠোঁট গোলাপি করতে টমেটোর সাথে লেবুর ব্যবহারঃ

এখন যে টিপসটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি এই টিপসটি ব্যবহার করতে যে সকল উপকরণ লাগবে ।    

 ১ টি পাকা টমেটোর পেস্ট, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস,যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ

 টোমেটো ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি তুলার সাহায্যে এই মিশ্রণের কিছু অংশ যদি নিয়ে আমরা দুই ঠোঁটে ম্যাসাজ করি, তাহলে আমাদের কালো ঠোঁট কিন্তু অনেক গোলাপি রঙের হয়ে যাবে।    

বন্ধুরা, উপরে যে সকল টিপস গুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, প্রত্যেকটি টিপস কিন্তু দারুণ ভাবে কাজ করে আমাদের কালো ঠোঁটকে গোলাপি রঙের করে দিতে। ঠোটের কালো দাগ নিয়ে আর হতাশ না হয়ে আমাদের দেওয়া এই টিপসগুলো যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করুন।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)


মাথায় নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন ?


মাথায় নতুন চুল (hair) গজাতে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন ?

মানবসভ্যতার ইতিহাসের আদিযুগ থেকেই পিঁয়াজের(Onion) ব্যবহার শুরু হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব খানের সমাজেই বিভিন্ন রান্নায় পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে কাচা , জমানো, আচার , চূর্ণ, কুঁচি, ভাজা, এবং শুকনো করা পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। শুধু পিঁয়াজ (Onion)সাধারণত সরাসরি খাওয়া হয়না, বরং পিঁয়াজ কুঁচি বা ফালি করে কাচা অবস্থায় সালাদএ , অথবা রান্নাতে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পিঁয়াজ বিভিন্ন রকমের হতে পারে – ঝাঁঝালো, মিষ্টি , তিতা।  

 লাল পিঁয়াজ (Onion)

পিঁয়াজকে (Onion)ভিনেগার বা সিরকাতে ডুবিয়ে আচার বানানো হয়। দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্যে পিঁয়াজ (Onion)একটি মৌলিক উপকরণ, এবং প্রায় সব রান্নাতেই পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। পিঁয়াজের(Onion) কোষের আকার বেশ বড় বলে বিজ্ঞান শিক্ষায় মাইক্রোস্কোপের ব্যবহার ও কোষের গড়ন শেখাতে পিঁয়াজের কোষ ব্যবহার করা হয়।

আমরা সবাই জানি, পেঁয়াজের রস (onion juice) নতুন চুল (hair) গজাতে সাহায্য করে, চুল (hair) পড়া কমায় এবং চুলের(hair) গোড়া শক্ত করে। কিন্তু অনেকেই জানি না কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস (onion juice) ব্যবহার করবেন। এই রসের সঙ্গে অন্য প্রাকৃতিক উপাদান মেশালে এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস (onion juice) ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে কয়েকটি উপায়ের কথা বলা হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার পরখ করতে পারেন। 

১. পেঁয়াজ কেটে ভালো করে ব্লেন্ড (blend) করে নিন। এবার এর রস বের করে নিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল(hair) ধুয়ে ফেলুন।  

২. পেঁয়জের রসের সঙ্গে হালকা গরম জল মিশিয়ে নিন। গোসলের পর এই water দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন। একদিন পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে মাথা থেকে পেঁয়াজের গন্ধ আসতে পারে। তবে চুলের (hair) জন্য এই পানি বেশ উপকারী।

৩. পেঁয়াজের রসের (onion juice) সঙ্গে নারকেল তেল ও কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।    

৪. দুই চা চামচ পেঁয়াজের রসের (onion juice) সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার shampoo করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই প্যাক মাথায় লাগান।

৫. পেঁয়াজ বেটে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)