যোনি কি, মেয়েদের যোনিতে কি থাকে?
যোনি কি, মেয়েদের যোনিতে কি থাকে?
ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘ভ্যাজিনা’ । এটি হল নারীর প্রধান যৌনাঙ্গ। জন্মের পর থেকে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে নারীর যোনির আকার কিছুটা বৃদ্ধি পেতে থাকে। যোনির দু’পাশে পুরু মাংসের দেয়াল বা সমৃণ ঝিল্লি থাকে এবং যোনির ভেতরে ইংরেজি ‘জি’ অক্ষরের মত আরেকটি অংশ থাকে তাকে জি স্পট বলে। আর এই জি স্পট একটি অত্যন্ত যৌন সপর্শকাতর স্থান।
যোনিতে পুরুষের লিঙ্গ প্রবেশের দ্বারা নারী যৌনমিলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। পুরুষের লিঙ্গের অনবরত সঞ্চালনকালে যোনির প্রাচীরের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে নারীর কামোত্তেজনা চরমে ওঠে যায় এবং মিলনের সময় সুখের আনন্দে পুলকিত হয়ে নারী রাগ মোচন বা অর্গাজমের চরম সুখের পথে এগিয়ে যায়।
যোনি পথের বাইরের আবরণ মাংসপেশি দিয়ে গঠিত। আর একটি কথা হল, যোনি পথ কিন্তু একেবারে সোজা থাকে না। এটি কিছুটা বাঁকা অবস্থায় থাকে। যোনি পথের অগ্রভাগ থাকে সরু। তবে জরায়ুর মুখের কাছে এটি বেশ চওড়া থাকে অর্থাৎ যোনি মুখ থেকে এই পথ যতই জরায়ুর কাছে অগ্রসর হয় ততই চওড়া হতে থাকে। যোনি পথ লম্বায় প্রায় ৩-৪ ইঞ্চির মত হয়। আর যোনি পথের মাত্র ১ ইঞ্চি গভীরেই রয়েছে বেশি মাত্রায় যোন সপর্শকাতরতা। যোনির উপরেই থাকে মূত্রনালীর মুখ।
যোনি পথের ভেতরটি বেশ কোমল এবং এর গঠনে ইলাস্টিক বা স্থিতিস্থাপক রবার্টের মত টিসু থাকায় এটি অতিশয় সম্প্রসারণশীল। সমগ্র যোনি পথে লম্বা লম্বা অনেকগুলো খাঁজ বা ভাঁজ থাকে। যোনিপথে বহু খাঁজ বা ভাঁজ থাকার ফলে এটি অতিশয় সম্প্রসারণশীল হওয়ার জন্য প্রয়োজনে যোনিপথ ফাঁক হয়ে অনেকটা প্রসারিত হয়ে লম্বায় ও চওড়ায় বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এটিকে ইলাস্টিক ক্যানেলও বলা যেতে পারে। আর এই ইলাস্টিক ক্যানেলের ফলে সন্তান প্রসব বা যৌনমিলন বা লিঙ্গ প্রবেশ সহজতর ও আরামদায়ক হয়।
নারীর যোনিপথ সর্বদা এক প্রকার তরল রস দ্বারা ভেজা থাকে আর এই রসটি হচ্ছে অ্যাসিডিক। যোনি মধ্যকার এই বিশেষ রস বা এসিড বিদ্যমান থাকায় তা যোনি পথকে ছোট খাট ইনফেকশন বা জীবাণুর সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। যোনি মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কিছু নিরীহ জীবাণু থাকে। এই জীবাণুর সাথে যোনি গাত্র গ্লাইকোজেনের ক্রিয়ার ফলে সেখানে ল্যাকটিক এসিডের সৃষ্টি হয়।
0 Post a Comment:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন