মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২২

কোন ৮ টি লক্ষণে বুঝবেন ফুসফুসে ক্যান্সার ?.


কোন ৮ টি লক্ষণে বুঝবেন ফুসফুসে ক্যান্সার ?.

আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস। আর শ্বাস নিতে কাজ করে এমন গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির সবচেয়ে ভয়াবহ সংক্রমণ হচ্ছে ক্যান্সার। বর্তমান বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি মারাত্মক হয়ে উঠেছে বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ফুসফুসে ক্যান্সারের লক্ষণগুলো না বুঝেই অবহেলা করেন। আবার ফুসফুসের ক্যান্সার উপসর্গ সবসময় প্রাথমিক পর্যায়ে দেখা নাও দিতে পারে। কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সার যত তাড়াতাড়ি আপনি বুঝতে পারবেন, এটির চিকিৎসাও তত তাড়াতাড়ি করা সহজ হবে। তাই আজ জেনে নিন যে ৮ লক্ষণে বুঝবেন ফুসফুসে ক্যান্সার—

১. বেশিরভাগ সময় কাশি হওয়া  -

অনেকেই কাশির সমস্যাকে অবহেলা করে থাকেন। কিন্তু এটিও হতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ। আপনার যদি বেশিরভাগ সময়ে কাশি হয়ে থাকে তবে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

২. কাশির শব্দে পরিবর্তন বা কাশির সময় বুকে ব্যথা-

অনেকদিন কাশি হওয়ার পরে কাশির শব্দে পরিবর্তন আসতে পারে এবং কাশির সময় বুকে ব্যথা হতে পারে। এমনটা হলে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এটিও হতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ।

৩. কোনো কাজ করতে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া-

আপনি আগে যেসব কাজগুলো কোনো সমস্যা ছাড়াই করতেন, সেগুলো করতে গিয়ে এমন মনে হতে পরে যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরকম সমস্যা দেখা দিলে তা হতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ।

৪. কফে রক্ত আসা-

অনেক সময় কাশির সঙ্গে কফ উঠে তাতে রক্ত আসতে দেখা দিতে পারে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকলে।

৫. বুকে বা কাঁধে ব্যাথা-

ফুসফুসে ক্যান্সারের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে বুকে বা কাঁধে ব্যাথা দেখা দেওয়া।

৬. বুকের সংক্রমণ-

কিছুদিন পরপরেই বুকে সংক্রমণ দেখা দেওয়া বা একবার বুকের সংক্রমণ হলে তা অনেক দিনেও ভালো না হওয়া ফুসফুসে ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হতে পারে।

৭. ক্ষুধা কমে যাওয়া ও ওজন কমে যাওয়া-

ফুসফুসে ক্যান্সারের কারণে ক্ষুধা অনেক কমে যেতে পারে এবং ওজন কমে যেতে পারে।

৮. ক্লান্তিবোধ-

ফুসফুসে ক্যান্সার হয়ে থাকলে তার একটি লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে ক্লান্তিবোধ। এতে সবসময় আপনার ক্লান্তিবোধ দেখা দিতে পারে।এসব লক্ষণ দেখা আপনার শরীরে দেখা দিয়ে থাকলে অবহেলা না করে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কোন কোন খাবার খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য?.


কোন কোন খাবার খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য?.

 কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। যদিও এটি অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা বলে মনে করা হয়। মলত্যাগ নিয়মিত না হওয়ার ফলে দেখা দেয় এই সমস্যা। এটি কেবল যন্ত্রণাদায়কই নয়, অস্বস্তিকরও। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, প্রতি সপ্তাহে তিনদিনেরও কম মলত্যাগ হলে তা হতে পারে কোনো সমস্যার সংকেত। আপনি যদি জোর করে মলত্যাগ করেন বা খুব বেশি চাপ দেন, তাহলে এটি অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার জন্ম দিতে পারে, যা মোকাবেলা করা আরো কঠিন হতে পারে।কোষ্ঠকাঠিন্য এমন কিছু নয় যা নিরাময় করা যায় না। সঠিক খাবারের মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক এমনকিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো নিয়মিত খেলে আপনার মলত্যাগে আর কোনো সমস্যা হবে না এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে-

সকালের নাস্তায় ওটমিল-

আপনার দিন শুরু করার সর্বোত্তম উপায় হলো সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটমিল খাওয়া। এটি দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবার সমৃদ্ধ। উপরের অংশ সহজে পানিতে দ্রবীভূত হয় এবং জেলের মতো আকার ধারণ করে, ভেতরের অংশ মলের পরিমাণ বাড়ায়, যা পেট এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে সহজে যেতে পারে। এতে মলত্যাগ করার জন্য কোনো চাপের প্রয়োজন হয় না এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

 সবুজ শাক-সবজি খান-

স্বাস্থ্যকর সবুজ শাক-সবজি অনেক অসুখ দূরে রাখে। তার মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য অন্যতম। পালং শাক, ব্রাসেল স্প্রাউট এবং ব্রকোলির মতো সবুজ শাক-সবজি একাধিক পুষ্টিতে সমৃদ্ধই। এগুলোতে থাকা ফাইবার অন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ভালো। এটি মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়া অনেক সহজ করে তোলে।

খেতে হবে ফল-

কিউই, কমলা, নাশপাতি এবং আপেলের মতো ফল হজমের জন্য দারুণ। কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত যে কেউ এই ফল খেতে পারেন, এগুলো ফাইবারে পরিপূর্ণ। এছাড়াও এই ফলগুলোতে প্রচুর পানি, সরবিটল এবং ফ্রুকটোজ রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য উপকারী।

তিল অত্যন্ত উপকারী-

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার তিল অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি সহজেই আপনার খাবারে যোগ করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, তিল একসঙ্গে খুব বেশি খাবেন না। অতিরিক্ত খেলে তা আপনার শরীর হজম করতে পারবে না এবং আপনি প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবেন।

মটরশুঁটি খাবেন নিয়মিত-

অনেক ধরণের মটরশুটি রয়েছে এবং সেগুলো বেশিরভাগেই ফাইবার রয়েছে। এতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবার রয়েছে, যা তাদের নিজস্ব উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রতিরোধী স্টার্চও রয়েছে যা হালকা রেচক হিসেবে কাজ করে পরিপাকতন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

জল বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে-

স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র অর্জনের চাবিকাঠি হলো হাইড্রেটেড থাকা। শরীরে তরলের অভাব কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাথমিক কারণ। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করলে তা আপনাকে কেবল শক্তিশালীই রাখে না, আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২২

মাত্র দুই দিনেই ফুসফুসের সব ময়লা পরিষ্কার কীভাবে করবেন ?.


মাত্র দুই দিনেই ফুসফুসের সব ময়লা পরিষ্কার কীভাবে করবেন ?.

মাত্র দুই দিনেই ফুসফুসের সব ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন, যেভাবে করবেন- দিন দিন মাত্রা অতিরিক্ত দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুসফুসের নানা অসুখ। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করা বিষাক্ত ধোঁয়া, ধূলিকণায় ফুসফুসে ক্যান্সার বেড়ে চলেছে সমান তালে। কিন্তু এই দূষণকে উপেক্ষা করা অসম্ভব। আবার দূষণের ভয়ে কী করবেন?

এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি চাইলে মাত্র দু-দিনেই ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থকে ঝেড়ে পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন। এর জন্য অনেক উপায় রয়েছে। তারা বলেন, ফুসফুসকে সতেজ রাখার তেমনই ১০টি মুশকিল আসান আপনার জন্য। এর মধ্য থেকে সুবিধা মতো যে কোনও দুটো পদ্ধতি বেছে নিন। ভালো থাকবে ফুসফুস।

উপায় ১০টি হলো:-

১. দুই-তিন দিনের জন্য দুগ্ধজাতীয় সব খাবার বাদ দিন। এমনকি কফিও ছোঁবেন না।

২. রাতে শুতে যাওয়ার আগে গরম গরম এক কাপ ‘গ্রিন টি’ খান।

৩. সকালে ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ জলে লেবু মিশিয়ে পান করুন। লেবুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুস পরিষ্কার করে।

৪. সকালে প্রাতঃরাশে যদি সম্ভব হয় আনারসের জুস খান।

৫. এখন বারো মাসই গাজর পাওয়া যায়। প্রাতঃরাশে নিয়মিত গাজরের জুসও খেতে পারেন। এর ফলে রক্ত অ্যালকালাইজড হবে।

৬. দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের পর কলা খান। কলায় পটাশিয়াম থাকে, যা ফুসফুস পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।

৭. রাতে ক্র্যানবেরির জুস পান করুন। ফুসফুসে আশ্রয় নেওয়া ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।

৮. ব্যায়াম করলে, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসের সঞ্চালন দ্রুত হয়। ফুসফুসকে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।

৯. বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সকালে স্টিম বাথ নিন। ঘামের সঙ্গে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে।

১০. মুখ ঢেকে গরম জলের ভাপ নিন। পারলে জলে দু-ফোটা ইউক্যালিপটাসের তেল ফেলে দিন। এই পদ্ধতিতেও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বাসক পাতার নানাবিধ গুনাবলী কি কি ?.


বাসক পাতার নানাবিধ গুনাবলী কি কি ?.

গ্রামের দিকে বাড়ির আশেপাশের বেড়া দিতে ও ধান ক্ষেতে ধারে, ঝোপে ঝাড়ে এলোমেলো ভাবে অনাদরে এই গাছ গুলি জন্মে থাকে। তবে এই গাছটির ঔষধিগুণ অপরিসীম। বাসক পাতার উপকারিতা জেনে বিভিন্ন কোম্পানি ওষুধ তৈরি করতে এই পাতা গুলিই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকে। তাই বাসক পাতা বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবেও চাষ করা হচ্ছে। বাসক পাতার সাধারণত সর্দি ও কাশি কমাতে ব্যবহার করা হয়। বুকে বহুদিনের জমা কফ তরল করার জন্যও বাসক পাতার রস খাওয়ানোর প্রচলন অনেকদিন ধরেই রয়েছে। বাসক পাতায় ভ্যাসিসিন নামে একটি প্রাকৃতিক উপাদান এবং কিছু জরুরী এসেনশিয়াল অয়েলও থাকে যা বুকে জমে থাকা কফ গলিয়ে দেয়। এবং ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। আজ তবে দেখে নেওয়া যাক বাসক পাতার বিভিন্ন গুনাগুন:-

১) জ্বর সর্দি-কাশি কমাতে বাসক পাতার উপকারিতা:-

জ্বরের প্রভাবে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, সেই তাপমাত্রা কমাতে বাসক পাতা যথেষ্ট সাহায্য করে। অনেকসময়েই জ্বরের সঙ্গে সর্দি ও কাশির সমস্যা থাকে। সেক্ষেত্রে বাসক পাতার রসের সঙ্গে তুলসী পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। সাধারণ কাশি তে বাসক পাতা,গোল মরিচ , মিছরি একসঙ্গে এক লিটার জলে সেদ্ধ করে খেলে কাশি দূর হয়। এর সঙ্গে কেউ কেউ মধুও খেতে পারেন। পুরানো সর্দি- কাশির ক্ষেত্রেও এ টোটকা সমান ভাবে কার্যকরী। ঠান্ডা গরমে গলা ব্যথা হলেই যদি একটু বাসক পাতার রস খেয়ে নেন তাহলেই গলা ব্যথা দূর হয়ে যাবে। বাসক পাতা আমাদের শ্বাসনালীকে প্রশস্ত করতে সাহায্য করে যার ফলে শ্বাসকষ্ট কমে এবং ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানি উপশম ঘটে। বাসক পাতায় অ্যান্টি-মাইক্রোব্যাল উপাদান আছে যা টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মা, হুপিং কাশির মতো ক্রণিক রোগের ক্ষেত্রেও সমান ভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

২) বাতের ব্যাথা উপশমে বাসক পাতার গুন:-

সর্দি-কাশি নিরাময়ের পাশাপাশি বাতের ব্যাথা উপশমেও বাসক পাতা সমান ভাবে কার্যকরী। বাসক পাতায় অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে যা আরথ্রারাইটিস, বাতের ব্যথা, গেঁটে বাত ইত্যাদি নিরাময় করতে সাহায্য করে। অনেক সময় ভারি ব্যায়াম করতে গিয়ে অথবা অন্য কোনো কারনে মার্সেল পেন শুরু হয়। তখন যদি চুন হলুদ গরম করে তার সঙ্গে বাসক পাতা বেটে মিশিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণ টি বেশ কিছুক্ষন ধরে ব্যাথার স্থানে মালিশ করা যায়,তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যেই উপকার পাওয়া যাবে।

৩) রক্ত পরিশোধনকারী রূপে বাসক পাতা:-

রক্ত বিশুদ্ধিকরণে বাসক পাতার উপকারিতা অনস্বীকার্য। অনেকেরই মুখে ব্রণ হয় বা পেটে সমস্যা হয় অথবা নানারকম অ্যালারজির সমস্যা থাকে। এই সমস্যাগুলো বেশিরভাগই হয় যখন রক্ত পরিষ্কার থাকে না। বাসক পাতার নিয়মিত সেবনে আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয়। শুধু তাই নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতেও সাহায্য করে।

৪) লিভারের সমস্যায় ও কৃমিনাশক হিসেবে বাসক পাতার উপকারিতা:-

লিভার কে সুস্থ, স্বাভাবিক ও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে বাসক পাতা। বাসক পাতার সহিত মধু মিশিয়ে খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় লিভার ভালো থাকে মজবুত হয় এবং জন্ডিস থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এটি খুব তিক্ত হওয়ায় এটি কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় শিশুরা কৃমির কারণে পেটে ব্যথায় কাঁদে এবং পায়খানার রঙ বদলে যায়। তখন বাসক পাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়ালে দারুণ কাজ দেয়। কৃমিনাশক হিসেবে কালমেঘ পাতার ন্যায় বাসক পাতাও খুব ভালো কাজ দেয়।

৫) চর্মরোগের ক্ষেত্রে বাসক পাতার উপকারিতা:-

বাসক পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল চর্মরোগ প্রতিহত করতে সহায়তা করে। আমাদের অনেকের নানা রকমের চর্মরোগ হয়ে থাকে। দাদ, হাজা, চুলকানি তার মধ্যে অন্যতম। দশ-বারোটি কচি বাসক পাতা ও এক টুকরো কাঁচা হলুদ এক সঙ্গে বেটে দাদ, হাজা বা চুলকানি উপরে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও আমবাত ও এলার্জির ক্ষেত্রে বাসক পাতা বেটে প্রলেপ লাগিয়ে রাখলে ফোলা ও ব্যাথা দুই ই কমে যায়। আবার গ্রীষ্মকালে ঘামের দূর্গন্ধ ছাড়াও অনেকের গা থেকে এমনিই খুব দুর্গন্ধ নির্গত হয়, তাঁরা প্রতিদিন বাসক পাতা জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল দিয়ে স্নান করলে গায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়।

৬) মুত্রথলির সংক্রমন রোধে বাসক পাতার উপকারিতা:-

অনেক সময় জল কম খাওয়া ও যত্রতত্র প্রস্রব করার পরিনতি তে মুত্রথলিতে সংক্রমন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে বাসক পাতা ও ফুল বেটে মিছরি সহযোগে খেলে মুত্রথলিতে সংক্রমনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রত্যহ বাসক পাতা যুক্ত ভেষজ চা পান করলে কিডনিতে স্টোনের আশঙ্কা ও কমে যায়।

৭) মুখের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের বাসকের গুন:-

বাসক পাতায় উপস্থিত অ্যন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন মুখের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের সক্ষম। মাড়ির যে কোন সমস্যা, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, পায়েরিয়া, মুখে দূর্গন্ধ দূর করতে বাসক পাতার গুন অনবদ্য। বাসক পাতা কে গরম জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলি করলে পায়েরিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও দাঁতের ব্যথা নিরাময়ে বাসক পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যেতে পারে। বাসক পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংগাল পদার্থ আছে যার ফলে এতে ছত্রাক জন্মায় না এবং পোকামাকড় ধরে না বলে ফল প্যাকিং এবং সংরক্ষণ করার কাজে বাসক পাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি আমাদের রোগ প্রতিরোধের বেড়া রূপে বাসক পাতা রোগ প্রতিরোধ করে চলেছে। তাই এই ভেষজ উদ্ভিদ টিকে অনাদরে না রেখে যত্নে রাখুন। বাসক পাতা সেবন করুন। ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

ওজন কমানোর ৫টি ম্যাজিক উপায় কি কি ?.


ওজন কমানোর ৫টি ম্যাজিক  উপায় কি কি ?.

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি সুস্থ থাকার জন্য। অনেকেই অল্প সময়ের মাঝে অনেক বেশি ওজন একসাথে কমাতে চান, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এতে করে বড় ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। নিয়ম মেনে ও নিরাপদভাবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওজন কমাতে চাইলে প্রধান যে নিয়মগুলো মানতেই হবে সেগুলো জানানো হয়েছে আজকের ফিচারে।

১) পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি খেতে হবে-

বাড়তি ওজনকে কমিয়ে আনতে চাইলে সবচেয়ে প্রথমেই খাদ্যাভ্যাসে সবজিকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রতি বেলার খাবারে ৫০ শতাংশ রাখতে হবে বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যকর সবজি। এই নিয়মে ওজন কমার পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটবে। এছাড়া সবজির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ও সাইট্রাস ঘরানার ফলকেও প্রাধান্য দিতে হবে। টক ফল ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বড় ধরণের সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

২) সকালের নাশতা হতে হবে স্বাস্থ্যকর-

সারাদিনের যেকোন বেলার খাবারের চাইতে সকালের নাশতার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। বিশেষত যারা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য বিশেষ জরুরি সকালের খাবারে মনযোগী হওয়া। সকালে খেতে ইচ্ছা না করলেও, পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সকালের নাশতা খাওয়া চাই ভরপেট। পুষ্টি সম্পন্ন খাবারের বিষয়টি মাথায় রেখে ডিম, ওটস, সবজি, ফল, বাদাম, লিন মিট (মুরগীর মাংস) এবং অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি দিয়ে সাজাতে হবে সকালের খাবারের মেন্যু। সাথে কার্বের ব্রাউন রাইস অথবা হোল গ্রেইন ব্রাউন পাউরুটি রাখা যেতে পারে।

৩) লবণ গ্রহণে প্রয়োজন সতর্কতা-

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে লবণ। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত বিভিন্ন খাবারে উপস্থিত উচ্চ মাত্রার লবণ আরও বেশি ক্ষতিকর। যত বেশি লবণ গ্রহণ করা হবে, সোডিয়াম গ্রহণের মাত্রা ততই বৃদ্ধি পাবে। যা হৃদযন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ এক উপাদান। তাই কোন ধরণের খাবার খাওয়া হচ্ছে এবং কি পরিমাণ লবণ গ্রহণ করা হচ্ছে, এই বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

৪) ঝাল খাওয়ার অভ্যাস করুন-

যারা বেশ ভালো ঝাল খাবার খেতে পারেন তাদের জন্য সুসংবাদই বটে। কথিত কোন বিষয় নয়, বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ঝাল খাবার গ্রহণ ওজন কমাতে অবদান রাখে। কাঁচামরিচের থাকা ক্যাপসাইসিন (Capsaicin) নামক উপাদান সামান্য পরিমাণে হলেও অ্যাড্রেনালাইন (Adrenaline) নামক স্ট্রেস হরমোনকে নিঃসরণ করে, যা ওজন ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করে। এছাড়া ঝাল খাবার, খাবার খাওয়ার গতিকে কমিয়ে আনে। যা পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সহায়ক। এছাড়া যারা ভাবেন ঝাল খাবার অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে, জেনে রাখুন কাঁচামরিচ গ্রহণে এমন কোন আশঙ্কা নেই। এক্ষেত্রে শুকনা মরিচ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫) হাঁটার অভ্যাস বজায় রাখুন-

খাদ্যাভ্যাসে নিয়ম মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গী হিসেবে নিয়মিত হাঁটার চর্চাকেও পাশে রাখা চাই। শুধুমাত্র নিয়ম মেনে খাওয়া ওজন কমার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারবে না যদি না তার সঙ্গে শারীরিক চর্চাও থাকে। সহজ ও সবার জন্য উপযুক্ত ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজের মাঝে দ্রুত হাঁটা অন্যতম। হাঁটার জন্য বাইরে যেতেই হবে এমন কোন কথা নেই। ঘরের ভেতর, বারান্দা কিংবা ছাদেও হাঁটা যাবে সময় মেনে। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের হাঁটা মেটাবলিজম বৃদ্ধি করবে এবং ওজন দ্রুত কমিয়ে আনবে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বয়স ৫০ পেরোলে খাদ্যাভ্যাসে কোন কোন পরিবর্তন আনতে হবে ?.


বয়স ৫০ পেরোলে খাদ্যাভ্যাসে কোন কোন পরিবর্তন আনতে হবে ?.

 বয়সের সাথে সাথে আমাদের শরীরে যেমন পরিবর্তন আসে, তেমনি আমাদের খাবার প্লেটেও পরিবর্তন আনা উচিৎ। হয়তো আপনি ২০-৩০ বছর বয়সে সবসময় নিশ্চিন্তে রসগোল্লা বা আইস ক্রিম খেতেন, কিন্তু এখন আপনাকে এদিকে মনোযোগ দিতে হবে। অতিরিক্ত চিনি আপনার ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াবে। আপনার যদি এমন কোন স্বাস্থ্য সমস্যা ধরা পড়ে যাতে আপনার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন তাহলে সেটা আপনাকে অবশ্যই পালন করতে হবে। না হলে এই সমস্যা আরও ভয়াবহ হতে পারে।

আপনার ডাক্তার যদি আপনাকে আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ব্যাপারে কিছু না বলে থাকে তবুও আপনার উচিৎ হবে নিজে থেকেই কিছু পরিবর্তন আনা। এখানে আমি আপনাকে বলছি বয়স পঞ্চাশ পেরোলে আপনার খাদ্যাভ্যাসে কি কি পরিবর্তন আনতে হবে।

১। বেশী বেশী জটিল শর্করা খেতে হবে-

জটিল শর্করা খাবার পর তা ভেঙ্গে ধীর গতিতে শরীরে মিশে। ফলে ব্লাড সুগার হঠাৎ বেড়ে যায় না। জটিল শর্করা বা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যেসব খাবারে আছেঃ বাদামি চাল, ওট, কিনোয়া, ডাল, ব্ল্যাক বিন, কিডনি বিন, মিষ্টি আলু, ব্রকলি, গাজর, আপেল, কমলা, কিউই, ইত্যাদি। গোটা শস্যের খাবার হার্ট ভাল রাখে, এবং শরীর ও মস্তিষ্কে শক্তি দেয়। এসব খাবারে ফাইবার থাকার ফলে এগুলি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং কোষ্ঠাকাঠিন্য দূর হয়।

২। নিয়মিত মাছ খান-

বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, আলযহাইমার্স রোগ ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার খেলে শরীরের প্রদাহ কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে। ওমেগা-৩ প্রচুর পরিমাণে পাবেন তৈলাক্ত মাছে (ইলিশ, পাঙ্গাস, পাবদা) ও সামুদ্রিক মাছে (টুনা, স্যামন, সার্ডিন)। সপ্তাহে ২-৩ দিন মাছ খাওয়ার অভ্যাস করুন। ওমেগা-৩ আরও পাবেন আখরোট, চিয়া সিড, এবং তিসির বীজে।

৩। লবণ খাওয়া কমান-

অতিরিক্ত লবণ হৃদরোগ ও হাই ব্লাড প্রেশারের ঝুঁকি বাড়ায়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ দিনে ২,৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খেতে পারেন, কিন্তু বয়স পঞ্চাশ পেরোলে তা হয়ে যায় দিনে ১,৫০০ মিলিগ্রাম। লবণের পরিবর্তে রান্নায় বিভিন্ন ভেষজ ব্যবহার করুন এবং টেবিলের লবণ দানি সরিয়ে ফেলুন।

৪। উচ্চ মাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার খান-

প্রোটিন সব বয়সের মানুষের জন্যি অপরিহার্য, তবে ৬০ বছর বা তার বেশী যাদের বয়স তাদের উচিৎ আরও বেশী বেশী প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া। বয়স বেড়ে গেলে পেশীর শক্তির জন্য প্রয়োজন হয় প্রোটিনের এবং শরীর আগের মত প্রোটিনের সাহায্যে পেশী বৃদ্ধি করতে পারে না। তবে খেতে হবে চর্বিহীন প্রোটিন যেমন স্টেক, মাছ, মুরগীর সিনা, এবং টার্কি। এছাড়া ডাল, কিনোয়া, ইত্যদিতেও পাবেন উদ্ভিজ্জ প্রোটিন।

 ৫। বাসায় খাবার খান -

চেষ্টা করবেন বাইরের খাবার কম খেতে এবং বেশী সময় বাসায় রান্না করা খাবার খেতে। এতে আপনি আপনার খাবারের লবণ, চিনি, ইত্যাদির দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। অন্যদিকে রেস্টুরেন্টের খাবার সব সময়ই অস্বাস্থ্যকর। এমনকি দামি রেস্টুরেন্টের খাবারও বাড়িতে তৈরি খাবারের মত মানসম্মত ও স্বাস্থ্যকর নয়। 

৬। উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খান-

বয়সের সাথে সাথে হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পেতে থাকে, তাই আপনার প্রয়োজন ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া। এসব খাবার আপনার হাড় শক্ত ও মজবুত রাখবে, অস্টিওপরোসিস রোগ থেকে দূরে রাখবে এবং সহজেই হাড় ফেটে যাওয়া রোধ করবে। যেসব খাবারে বেশী ক্যালসিয়াম পাবেন – দুধ, পনির, দই, বিন, ডাল, কাঠবাদাম।

৭। কোমল পানীয় বর্জন করুন -

কোমল পানীয়কে না বলুন। কোক, পেপসি, স্প্রাইট, ইত্যাদির পরিবর্তে জল এবং চিনি ছাড়া চা বা গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। হাতের কাছে সব সময় জলের বোতল রাখুন এবং বেশী বেশী জল পান করার অভ্যাস করুন।

৮। রঙ্গিন খাবার-

প্লেট ভর্তি করুন বিভিন্ন রঙের খাবার দিয়ে। এই বয়সে আপনার দরকার বেশী বেশী শাক সবজি, ফল মূল খাওয়া। প্লেটে রাখুন সবুজ, কমলা, লাল, বেগুনি, ইত্যাদি রঙের খাবার। মিষ্টি আলু, সবুজ শাক, ব্রকলি, বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম, তরমুজ, বাঙ্গি, বেগুন, বিট, ইত্যাদি খাবারে আছে অকাল বার্ধক্য রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট।

৯। ক্ষুধা লাগলেই খাবার খাবেন-

যদিও আপনার উচিৎ হবে না সারাদিন ভর খাওয়া দাওয়া করা, তবুও আপনার ক্ষুধার দিকে মনোযোগ দিতে হবে এবং ক্ষুধা লাগলে খেতে হবে। এর ফলে শুধু আপনার ক্ষুধাই মিটবে না, আপনার মেটাবলিজমও বৃদ্ধি পাবে। বয়সের সাথে সাথে শরীরের ক্যালরি খরচ কমে যায়। 

১০। প্রক্রিয়াজাত খাবারকে না বলুন

প্রক্রিয়াজাত খাবার হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বার্গার, সসেজ, স্যান্ডুইচের মাংস, ইত্যাদি খেতে সুস্বাদু হলেও এসব প্রক্রিয়াজাত মাংসে প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় এবং এতে আছে অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও ক্যালরি। খাদ্য তালিকায় রাখুন ফল মূল, শাক সবজি, চর্বিহীন মাংস, মাছ এবং গোটা শস্য। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২

নিম পাতার ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ গুন গুলি কি কি ?.


নিম পাতার ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ গুন গুলি কি কি ?. 

চারক সংহিতার মতে নিম হল সর্বরোগ নিরাময়ী। হাজার হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নিম হল এক অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। প্রাকৃতিক এই উপাদানে পাতা, ফুল, ফল,বীজ, ছাল কোনো কিছুই ফ্যালনা নয়। শরীরের হাজার ও ব্যাধি নিরাময়কারী নিম ও নিম পাতার উপকারিতা বহু প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে যুক্ত। প্রাচীন কালে বলা হত পরিবেশ বিশুদ্ধ এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রত্যেক বাড়িতে নিম গাছ লাগানোর কথা। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে।

এবার সবিস্তারে এই উপকারিতা গুলি দেখে নেওয়ার পালা:

১) নিমের অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল গুনাবলী:-

গবেষণায় দেখা গেছে নিমের মধ্যে অ্যান্টি -ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল,অ্যান্টি ভাইরাল পদার্থ উপস্থিত। ফলে যেকোনো জীবাণু মুক্ত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় লক্ষ্য করা গিয়েছে, নিম পাতার নির্যাস গুলিতে এস মেটানেস, ই ফ্যাক্যালিস এবং এস্অরিয়াসের মতো উপাদানগুলি রয়েছে। যা যে কোন ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও নিমের হাওয়া পরিবেশ কে দূষণ মুক্ত করতে ও জীবাণু মুক্ত করতে সহায়ক। নিমের মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় নিমের নির্যাস বিভিন্ন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সামগ্রীর মুখ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

২) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল ও মধুমেহ জব্দ করতে নিম পাতার উপকারিতা:-

নিম রক্ত পরিশোধ করতে সহায়তা করে। নিম পাতা শরীরের ভেতরের জার্ম পরিষ্কার করে। ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল করে। নিম পাতার রস প্রত্যেক দিন সেবন করলে কলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকে। মধুমেহ বা ডাইবেটিসের ক্ষেত্রে নিম পাতা প্রাকৃতিক ইনসুলিন এর কাজ করে। ডাইবেটিসে অক্রান্তরা যদি রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিম পাতা খেলে তাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এছাড়াও নিম পাতা ডায়াবেটিস জনিত অক্সিডেটিভ চাপ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম।

৩) ত্বকের যত্নে ও চুলের সমস্যার সমাধানের নিম:-

নিম পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান উপস্থিত থাকায় নিম পাতা আমাদের ত্বকের ও চুলের হাজার সমস্যার মোক্ষম জবাব। নিম ডি অক্সিফাইং তাই রূপ চর্চার আয়ুর্বেদ সামগ্রী তে অপরিহার্য উপাদান। নিম পাতা বাটা ফেসমাস্ক এর সঙ্গে ব্যবহার করলে তা, ত্বকের অশুদ্ধতা দূর করার সঙ্গে সঙ্গে লোমকূপের ছিদ্রমুখ সংকুচিত করতেও সহায়তা করে। ব্রন,র‍্যাস আক্রান্ত ত্বকের ব্যাকটের নির্মূল করতে নিম পাতার উপকারীতা সত্যই অনস্বীকার্য। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ নিম পাতা পরিবেশ দূষণ ও ক্ষতির হাত থেকেও ত্বকে কে রক্ষা করে। নিম পাতা মাথার ত্বকের চুলকানি ও শুষ্কতা উপশমকারী। এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত করতে এবং চুলের বৃদ্ধির সহায়ক। নিম পাতা খুশকি উপশমকরী। নিম পাতা উকুন নির্মূল করতে ও সক্ষম। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক হেয়ার কন্ডিশনিং ক্ষমতা।

৪) পেটের সমস্যায় নিম পাতার উপকারিতা:-

যে কোন ধরনের পেটের সমস্যা আলসার কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় নিমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিমপাতা ব্যবহার করার ফলে নিম পাতায় উপস্থিত ইনফ্লেমেটরি উপাদান গুলো আলসার, গ্যাসট্রিকের মতো সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়েছে।গ্যাস,অম্বল,বদহজম এই সমস্যা তো আমাদের নিত্য দিনের সমস্যা। এই সমস্যা নিধনের নিম ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। নিমের মধ্যে উপস্থিত হজমে সহায়ক এমন কিছু উপাদান আছে, যা হজমের সমস্যাকে কমাতে এবং খাদ্য হজম করাতে সাহায্য করে। নিম পাতার রস বা নিম পাতা গুঁড়ো সেবন করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে এবং পেটে ফাঁপা ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা গুলো দূরে চলে যায়। লিভারের যেকোনো ধরনের সমস্যা কিংবা জন্ডিসের সমস্যায় নিমপাতার ব্যবহারে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি ঘটবে।

৫) মুখের সমস্যা নিমপাতার গুন:-

দাঁত ও দাঁতের মাড়ির বিভিন্ন সমস্যার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল নিম পাতা। দাঁত ও মাড়ির যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারে বলে নিমের দাঁতন বহু প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। বর্তমানে বিভিন্ন নামি দামী টুথপেস্ট ও মাউথ ওয়াশে নিম এর নির্যাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেননা নিমপাতা মাঁড়ি ও দাঁতের সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহারে সুফল মেলে। নিম পাতার নির্যাস দাঁতের যেকোনো ধরনের সমস্যা, মাড়ির সমস্যা, দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও নিম পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি মুখের মাঁড়ি এবং দাঁতের টিস্যু গুলোর মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে, মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

৬) সর্দি-কফ-জ্বর নিরাময়ে নিম:-

শরীরে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করলে শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ওঠে, যার ফলে শরীরের নিজেস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। ফলে জ্বর-সর্দি মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে নিম পাতার নির্যাসে মধ্যে রয়েছে এক প্রকার অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল গুন, যা শরীরের ম্যালেরিয়ার জার্ম বহনকারী ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এছাড়াও অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। তাহলে একটা কাজ করুন কিছু নিম পাতা বেটে নিয়ে সেই রস ঈষদুষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে দিয়ে দিনে তিন-চারেক খেলে সর্দি নির্মূল হয়ে বুকের ব্যথা কমে যাবে।

৭) হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিমের কার্যকারিতা:-

যারা হরমোন জনিত সমস্যায় কষ্ট পান তারা নিয়মিত ৩-৪টি নিম পাতা মধু সহযোগে খেয়ে দেখুন উপকার পাবেন। দেখলেন তো নিমের কত গুন, কত নিমপাতার উপকারিতা। শরীরের যেকোন সমস্যার সমাধান পাবেন এর কাছে পাবেন। তাই নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বিয়ের আগে নারীদের যে বিষয়গুলো জানা জরুরি? .


বিয়ের আগে নারীদের যে বিষয়গুলো জানা জরুরি? 


  বিয়ে মানে শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটি দুটি মানুষকেই শুধু পরস্পরের কাছাকাছি আনে না, দুটি পারিবারকেও সম্পর্কের বন্ধনে জড়ায়। বিয়ের মাধ্যমে দুটি পরিবার এক হয়। সুখে, দুঃখে, বিপদে আপদে সবসময় একে অপরের পাশে থাকার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এই দুটি পরিবারের মানুষ। জীবনের চলার পথ যাতে সুন্দর ও সুখময় হয় তাই বিয়ের আগে একে অপরের সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া জরুরি।

  বিয়ের মাধ্যমে একজন নারীকে তার পরিবার ছেড়ে নতুন একটি পরিবারকে আপন করে নিতে হয়। তাই সেই পরিবার সম্পর্কে আগে থেকেই কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা জরুরি। যাতে ওই পরিবারের সঙ্গে তার মানিয়ে নিতে সুবিধা হয়। 

  এমনকি যে পুরুষের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তার সম্পর্কেও অনেক বিষয় জানা জরুরি। কারণ বিয়ে একটি বন্ধন ও সারা জীবনের হিসাব-নিকাশ। এক্ষেত্রে একটু ভুল, সারা জীবনের জন্য কান্না হয়ে যেতে পারে। তাই বিয়ের আগে একজন নারীর উচিত কিছু বিষয় খোলামেলা আলোচনা করা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বিয়ের আগে নারীদের কোন বিষয়গুলো জানা জরুরি-

মূল্যবোধ-

হবু বর কি মূল্যবোধ জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু টাকার পেছনে ছোটে? পাত্র সত্‍ কি না, মূল্যবোধের চর্চা করে কি না একটু খোঁজ নেবেন।

বরের স্বভাব-চরিত্র-

বিয়ে যেহেতু সারাজীবনের হিসাব-নিকাশ, তাই বরের স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে অবশ্যই আপনাতে জানতে হবে। বরের সম্পর্কে না জানলে পরে আপনি পড়তে পারেন বড় বিপাকে।

বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য-

যে পরিবারে আপনাকে সারাজীবন কাটাতে হবে। সেই পরিবারের বাবা-মা থেকে শুরু বরের ভাইবোন সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কারণ সংসারের শুরুতে আপনি অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন।

পরিবার কি কর্তৃত্বপরায়ণ-

প্রতিটি পরিবারে একজন মানুষের একেকভাবে গড়ে ওঠে। তাই নতুন পরিবারে হঠাত্‍ করে খাপ-খাওয়াতে সমস্যা হতেই পারে। তাই তাদের পরিবার কি বেশি কর্তৃত্ব খাটায় কি না, সে বিষয়ে জেনে নিন।

আত্মীয়স্বজন-

একটি নতুন পরিবারের আপনি সবার সঙ্গে হঠাৎ করে খাপ-খাইয়ে চলতে পারবেন না। এটা খুবই স্বাভাবিক। বরের অনেক আত্মীয়স্বজন থাকবে যারা হয়তো আপনাকে নানা ভাবে বিরক্ত করতে পারেন, নানা কথা শোনাতে পারেন। সেসব আত্মীয়র কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ভালো।

বদলে যাবেন না-

কারো সংসারে গিয়ে নিজেকে একেবারে বিলীন করে দেবেন না। নিজের সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। যদি মনে হয়, বিয়ের আগেই আপনাকে পরিবর্তন করার চেষ্টা চলছে, তাহলে দেরি না করে সেখান থেকে সরে আসুন।


  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কি কি উপকার মিলবে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাসে ?


কি কি  উপকার মিলবে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাসে ?

যেসব উপকার মিলবে হাঁটাহাঁটির অভ্যাসে,মাত্র ২০ মিনিটের হাঁটার অভ্যাস কমাতে পারে মানসিক চাপ, দিতে পারে ভালো ঘুম ও দীর্ঘায়ু। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহ্যাটন’য়ে অবস্থিত ‘বডি স্পেস ফিটনেস’য়ের প্রশিক্ষক ক্রিস্টিন টর্ড বলেন -‘হাঁটাহাঁটির শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা অপরিসীম। 

এতে কোনো পয়সা খরচ হয়না, বিশেষ কোনো কৌশল রপ্ত করতে হয় না এবং এর জন্য সময় বের করতেও বেগ পেতে হয়না। শুধু ইচ্ছাটা থাকতে হবে'। এই প্রশিক্ষকের পরামর্শে হাঁটাহাঁটির বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে ‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হল বিস্তারিত।

" হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে ক্যালরি কমবে, পেশির ঘনত্ব বাড়বে”, বলেন টর্ড। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই অভ্যাস। তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটি’তে প্রকাশিত গবেষণা বলে, ‘প্রতিদিন ১৫ হাজার বা তারও বেশি কদম যারা হাঁটেন তাদের কোমরের বেড় এব্ং ‘বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই)’য়ের মাত্রা অলস ভাবে দিন কাটানো মানুষদের তুলনায় কম। একজন সাধারণ মানুষের এই ১৫ হাজার কদম হাঁটতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। 

  সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে একে ভাগ করে নিতে হবে। ১৫ হাজার কদম হাঁটার সময় যদি না থাকে তবে সেটারও বিকল্প আছে। যে পথে চড়াই আছে সেটাকে বেছে নিতে পারেন। আবার হাঁটার মাধখানে হালকা ‘জগিং’ করতে পারেন বিরতি দিয়ে। শরীরের ওজন ব্যবহার করে এমন ব্যায়ামগুলো মাঝে করে নিতে পারেন। যেমন উঠবস, বুকডন, ‘লাঞ্জেস’ ইত্যাদি।’

  উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ইত্যাদির ঝুঁকিতে যারা আছেন তাদের জন্য হাঁটাহাঁটি নিত্যদিনের অভ্যাস হওয়া আবশ্যক। ‘ন্যাশনাল ওয়াকার’স হেলথ স্টাডি’ অনুযায়ী, “প্রতিদিন হাঁটার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ৭.৭%, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের ঝুঁকি ৭%, এবং ডায়াবেটিস’য়ের ঝুঁকি কমবে ১২.৩%। টর্ড বলেন, ‘যারা ইতোমধ্যেই দূরারোগ্য ব্যধিতে ভুগছেন তাদের জন্যও হাঁটাহাঁটি অত্যন্ত উপকারী হবে।’

  ‘দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ)’ প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেয়। আর সপ্তাহের সবদিন কিংবা অন্তত পাঁচদিন হাঁটতে হবে। তবেই রক্তচাপ আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যারা হিমশিম খাচ্ছেন তাদেরকেও একই ধরনের পরামর্শ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)’

  সারাদিন কাজ করে বাড়ি ফিরে মন চাইবে মোবাইল নিয়ে বসে থাকতে কিংবা টিভি দেখতে। তবে সেই আলসেমির হাতছানিকে উপেক্ষা করে যদি জুতা পরে হাঁটতে বের হতে পারেন তবেই জীবনটা সুস্থ শরীর নিয়ে কাটাতে পারবেন। টর্ড বলেন, ‘হাঁটাহাঁটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, মন ভালো করে’।

  আর তা মাত্র ১০ মিনিটেই সম্ভব বলে দাবি করে ‘ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি’র গবেষণা। প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটতে গেলে উপকার মিলবে বেশি। হাঁটতে গিয়ে কারও সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে, সামাজিক যোগাযোগ ঘটতে পারে। মন মানসিকতার ওপর এই বিষয়গুলোর দারুণ প্রভাব থাকে।

  বর্তমান সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে সবাই চিন্তিত। আর তাকেই জোরদার করে হাঁটাহাঁটির নিয়মিত অভ্যাস। টর্ড বলেন, ‘এক গবেষণায় জানা গেছে, আধা ঘণ্টা হাঁটলেই শ্বেত রক্তকণিকার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জোর বাড়ে, তবে তা হয় ক্ষণস্থায়ী’।

  ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন ১০০০ অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ‘ফ্লু’ মৌসুমে গবেষণা চালায়। দেখা যায়, যারা দৈনিক ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটেন তাদের অসুস্থ হওয়ার মাত্রা অলস অংশ গ্রহণকারীদের তুলনায় ৪৩ শতাংশ কম। আর অসুস্থ হলেও তাদের অস্বস্তি থাকে কম।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।