সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২২

ওজন কমানোর ৫টি ম্যাজিক উপায় কি কি ?.


ওজন কমানোর ৫টি ম্যাজিক  উপায় কি কি ?.

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি সুস্থ থাকার জন্য। অনেকেই অল্প সময়ের মাঝে অনেক বেশি ওজন একসাথে কমাতে চান, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এতে করে বড় ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। নিয়ম মেনে ও নিরাপদভাবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওজন কমাতে চাইলে প্রধান যে নিয়মগুলো মানতেই হবে সেগুলো জানানো হয়েছে আজকের ফিচারে।

১) পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি খেতে হবে-

বাড়তি ওজনকে কমিয়ে আনতে চাইলে সবচেয়ে প্রথমেই খাদ্যাভ্যাসে সবজিকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রতি বেলার খাবারে ৫০ শতাংশ রাখতে হবে বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যকর সবজি। এই নিয়মে ওজন কমার পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটবে। এছাড়া সবজির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ও সাইট্রাস ঘরানার ফলকেও প্রাধান্য দিতে হবে। টক ফল ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বড় ধরণের সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

২) সকালের নাশতা হতে হবে স্বাস্থ্যকর-

সারাদিনের যেকোন বেলার খাবারের চাইতে সকালের নাশতার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। বিশেষত যারা ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য বিশেষ জরুরি সকালের খাবারে মনযোগী হওয়া। সকালে খেতে ইচ্ছা না করলেও, পুষ্টিবিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সকালের নাশতা খাওয়া চাই ভরপেট। পুষ্টি সম্পন্ন খাবারের বিষয়টি মাথায় রেখে ডিম, ওটস, সবজি, ফল, বাদাম, লিন মিট (মুরগীর মাংস) এবং অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি দিয়ে সাজাতে হবে সকালের খাবারের মেন্যু। সাথে কার্বের ব্রাউন রাইস অথবা হোল গ্রেইন ব্রাউন পাউরুটি রাখা যেতে পারে।

৩) লবণ গ্রহণে প্রয়োজন সতর্কতা-

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে লবণ। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত বিভিন্ন খাবারে উপস্থিত উচ্চ মাত্রার লবণ আরও বেশি ক্ষতিকর। যত বেশি লবণ গ্রহণ করা হবে, সোডিয়াম গ্রহণের মাত্রা ততই বৃদ্ধি পাবে। যা হৃদযন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ এক উপাদান। তাই কোন ধরণের খাবার খাওয়া হচ্ছে এবং কি পরিমাণ লবণ গ্রহণ করা হচ্ছে, এই বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

৪) ঝাল খাওয়ার অভ্যাস করুন-

যারা বেশ ভালো ঝাল খাবার খেতে পারেন তাদের জন্য সুসংবাদই বটে। কথিত কোন বিষয় নয়, বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ঝাল খাবার গ্রহণ ওজন কমাতে অবদান রাখে। কাঁচামরিচের থাকা ক্যাপসাইসিন (Capsaicin) নামক উপাদান সামান্য পরিমাণে হলেও অ্যাড্রেনালাইন (Adrenaline) নামক স্ট্রেস হরমোনকে নিঃসরণ করে, যা ওজন ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করে। এছাড়া ঝাল খাবার, খাবার খাওয়ার গতিকে কমিয়ে আনে। যা পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সহায়ক। এছাড়া যারা ভাবেন ঝাল খাবার অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে, জেনে রাখুন কাঁচামরিচ গ্রহণে এমন কোন আশঙ্কা নেই। এক্ষেত্রে শুকনা মরিচ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫) হাঁটার অভ্যাস বজায় রাখুন-

খাদ্যাভ্যাসে নিয়ম মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গী হিসেবে নিয়মিত হাঁটার চর্চাকেও পাশে রাখা চাই। শুধুমাত্র নিয়ম মেনে খাওয়া ওজন কমার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারবে না যদি না তার সঙ্গে শারীরিক চর্চাও থাকে। সহজ ও সবার জন্য উপযুক্ত ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজের মাঝে দ্রুত হাঁটা অন্যতম। হাঁটার জন্য বাইরে যেতেই হবে এমন কোন কথা নেই। ঘরের ভেতর, বারান্দা কিংবা ছাদেও হাঁটা যাবে সময় মেনে। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের হাঁটা মেটাবলিজম বৃদ্ধি করবে এবং ওজন দ্রুত কমিয়ে আনবে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বয়স ৫০ পেরোলে খাদ্যাভ্যাসে কোন কোন পরিবর্তন আনতে হবে ?.


বয়স ৫০ পেরোলে খাদ্যাভ্যাসে কোন কোন পরিবর্তন আনতে হবে ?.

 বয়সের সাথে সাথে আমাদের শরীরে যেমন পরিবর্তন আসে, তেমনি আমাদের খাবার প্লেটেও পরিবর্তন আনা উচিৎ। হয়তো আপনি ২০-৩০ বছর বয়সে সবসময় নিশ্চিন্তে রসগোল্লা বা আইস ক্রিম খেতেন, কিন্তু এখন আপনাকে এদিকে মনোযোগ দিতে হবে। অতিরিক্ত চিনি আপনার ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াবে। আপনার যদি এমন কোন স্বাস্থ্য সমস্যা ধরা পড়ে যাতে আপনার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন তাহলে সেটা আপনাকে অবশ্যই পালন করতে হবে। না হলে এই সমস্যা আরও ভয়াবহ হতে পারে।

আপনার ডাক্তার যদি আপনাকে আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ব্যাপারে কিছু না বলে থাকে তবুও আপনার উচিৎ হবে নিজে থেকেই কিছু পরিবর্তন আনা। এখানে আমি আপনাকে বলছি বয়স পঞ্চাশ পেরোলে আপনার খাদ্যাভ্যাসে কি কি পরিবর্তন আনতে হবে।

১। বেশী বেশী জটিল শর্করা খেতে হবে-

জটিল শর্করা খাবার পর তা ভেঙ্গে ধীর গতিতে শরীরে মিশে। ফলে ব্লাড সুগার হঠাৎ বেড়ে যায় না। জটিল শর্করা বা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যেসব খাবারে আছেঃ বাদামি চাল, ওট, কিনোয়া, ডাল, ব্ল্যাক বিন, কিডনি বিন, মিষ্টি আলু, ব্রকলি, গাজর, আপেল, কমলা, কিউই, ইত্যাদি। গোটা শস্যের খাবার হার্ট ভাল রাখে, এবং শরীর ও মস্তিষ্কে শক্তি দেয়। এসব খাবারে ফাইবার থাকার ফলে এগুলি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং কোষ্ঠাকাঠিন্য দূর হয়।

২। নিয়মিত মাছ খান-

বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, আলযহাইমার্স রোগ ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার খেলে শরীরের প্রদাহ কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে। ওমেগা-৩ প্রচুর পরিমাণে পাবেন তৈলাক্ত মাছে (ইলিশ, পাঙ্গাস, পাবদা) ও সামুদ্রিক মাছে (টুনা, স্যামন, সার্ডিন)। সপ্তাহে ২-৩ দিন মাছ খাওয়ার অভ্যাস করুন। ওমেগা-৩ আরও পাবেন আখরোট, চিয়া সিড, এবং তিসির বীজে।

৩। লবণ খাওয়া কমান-

অতিরিক্ত লবণ হৃদরোগ ও হাই ব্লাড প্রেশারের ঝুঁকি বাড়ায়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ দিনে ২,৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম খেতে পারেন, কিন্তু বয়স পঞ্চাশ পেরোলে তা হয়ে যায় দিনে ১,৫০০ মিলিগ্রাম। লবণের পরিবর্তে রান্নায় বিভিন্ন ভেষজ ব্যবহার করুন এবং টেবিলের লবণ দানি সরিয়ে ফেলুন।

৪। উচ্চ মাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার খান-

প্রোটিন সব বয়সের মানুষের জন্যি অপরিহার্য, তবে ৬০ বছর বা তার বেশী যাদের বয়স তাদের উচিৎ আরও বেশী বেশী প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া। বয়স বেড়ে গেলে পেশীর শক্তির জন্য প্রয়োজন হয় প্রোটিনের এবং শরীর আগের মত প্রোটিনের সাহায্যে পেশী বৃদ্ধি করতে পারে না। তবে খেতে হবে চর্বিহীন প্রোটিন যেমন স্টেক, মাছ, মুরগীর সিনা, এবং টার্কি। এছাড়া ডাল, কিনোয়া, ইত্যদিতেও পাবেন উদ্ভিজ্জ প্রোটিন।

 ৫। বাসায় খাবার খান -

চেষ্টা করবেন বাইরের খাবার কম খেতে এবং বেশী সময় বাসায় রান্না করা খাবার খেতে। এতে আপনি আপনার খাবারের লবণ, চিনি, ইত্যাদির দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। অন্যদিকে রেস্টুরেন্টের খাবার সব সময়ই অস্বাস্থ্যকর। এমনকি দামি রেস্টুরেন্টের খাবারও বাড়িতে তৈরি খাবারের মত মানসম্মত ও স্বাস্থ্যকর নয়। 

৬। উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খান-

বয়সের সাথে সাথে হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পেতে থাকে, তাই আপনার প্রয়োজন ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া। এসব খাবার আপনার হাড় শক্ত ও মজবুত রাখবে, অস্টিওপরোসিস রোগ থেকে দূরে রাখবে এবং সহজেই হাড় ফেটে যাওয়া রোধ করবে। যেসব খাবারে বেশী ক্যালসিয়াম পাবেন – দুধ, পনির, দই, বিন, ডাল, কাঠবাদাম।

৭। কোমল পানীয় বর্জন করুন -

কোমল পানীয়কে না বলুন। কোক, পেপসি, স্প্রাইট, ইত্যাদির পরিবর্তে জল এবং চিনি ছাড়া চা বা গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। হাতের কাছে সব সময় জলের বোতল রাখুন এবং বেশী বেশী জল পান করার অভ্যাস করুন।

৮। রঙ্গিন খাবার-

প্লেট ভর্তি করুন বিভিন্ন রঙের খাবার দিয়ে। এই বয়সে আপনার দরকার বেশী বেশী শাক সবজি, ফল মূল খাওয়া। প্লেটে রাখুন সবুজ, কমলা, লাল, বেগুনি, ইত্যাদি রঙের খাবার। মিষ্টি আলু, সবুজ শাক, ব্রকলি, বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম, তরমুজ, বাঙ্গি, বেগুন, বিট, ইত্যাদি খাবারে আছে অকাল বার্ধক্য রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট।

৯। ক্ষুধা লাগলেই খাবার খাবেন-

যদিও আপনার উচিৎ হবে না সারাদিন ভর খাওয়া দাওয়া করা, তবুও আপনার ক্ষুধার দিকে মনোযোগ দিতে হবে এবং ক্ষুধা লাগলে খেতে হবে। এর ফলে শুধু আপনার ক্ষুধাই মিটবে না, আপনার মেটাবলিজমও বৃদ্ধি পাবে। বয়সের সাথে সাথে শরীরের ক্যালরি খরচ কমে যায়। 

১০। প্রক্রিয়াজাত খাবারকে না বলুন

প্রক্রিয়াজাত খাবার হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বার্গার, সসেজ, স্যান্ডুইচের মাংস, ইত্যাদি খেতে সুস্বাদু হলেও এসব প্রক্রিয়াজাত মাংসে প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় এবং এতে আছে অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও ক্যালরি। খাদ্য তালিকায় রাখুন ফল মূল, শাক সবজি, চর্বিহীন মাংস, মাছ এবং গোটা শস্য। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২

নিম পাতার ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ গুন গুলি কি কি ?.


নিম পাতার ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ গুন গুলি কি কি ?. 

চারক সংহিতার মতে নিম হল সর্বরোগ নিরাময়ী। হাজার হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নিম হল এক অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। প্রাকৃতিক এই উপাদানে পাতা, ফুল, ফল,বীজ, ছাল কোনো কিছুই ফ্যালনা নয়। শরীরের হাজার ও ব্যাধি নিরাময়কারী নিম ও নিম পাতার উপকারিতা বহু প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে যুক্ত। প্রাচীন কালে বলা হত পরিবেশ বিশুদ্ধ এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রত্যেক বাড়িতে নিম গাছ লাগানোর কথা। ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে।

এবার সবিস্তারে এই উপকারিতা গুলি দেখে নেওয়ার পালা:

১) নিমের অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল গুনাবলী:-

গবেষণায় দেখা গেছে নিমের মধ্যে অ্যান্টি -ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল,অ্যান্টি ভাইরাল পদার্থ উপস্থিত। ফলে যেকোনো জীবাণু মুক্ত করতে সহায়তা করে। এছাড়াও বিভিন্ন গবেষণায় লক্ষ্য করা গিয়েছে, নিম পাতার নির্যাস গুলিতে এস মেটানেস, ই ফ্যাক্যালিস এবং এস্অরিয়াসের মতো উপাদানগুলি রয়েছে। যা যে কোন ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও নিমের হাওয়া পরিবেশ কে দূষণ মুক্ত করতে ও জীবাণু মুক্ত করতে সহায়ক। নিমের মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় নিমের নির্যাস বিভিন্ন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সামগ্রীর মুখ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

২) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল ও মধুমেহ জব্দ করতে নিম পাতার উপকারিতা:-

নিম রক্ত পরিশোধ করতে সহায়তা করে। নিম পাতা শরীরের ভেতরের জার্ম পরিষ্কার করে। ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল করে। নিম পাতার রস প্রত্যেক দিন সেবন করলে কলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকে। মধুমেহ বা ডাইবেটিসের ক্ষেত্রে নিম পাতা প্রাকৃতিক ইনসুলিন এর কাজ করে। ডাইবেটিসে অক্রান্তরা যদি রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিম পাতা খেলে তাদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এছাড়াও নিম পাতা ডায়াবেটিস জনিত অক্সিডেটিভ চাপ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম।

৩) ত্বকের যত্নে ও চুলের সমস্যার সমাধানের নিম:-

নিম পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান উপস্থিত থাকায় নিম পাতা আমাদের ত্বকের ও চুলের হাজার সমস্যার মোক্ষম জবাব। নিম ডি অক্সিফাইং তাই রূপ চর্চার আয়ুর্বেদ সামগ্রী তে অপরিহার্য উপাদান। নিম পাতা বাটা ফেসমাস্ক এর সঙ্গে ব্যবহার করলে তা, ত্বকের অশুদ্ধতা দূর করার সঙ্গে সঙ্গে লোমকূপের ছিদ্রমুখ সংকুচিত করতেও সহায়তা করে। ব্রন,র‍্যাস আক্রান্ত ত্বকের ব্যাকটের নির্মূল করতে নিম পাতার উপকারীতা সত্যই অনস্বীকার্য। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ নিম পাতা পরিবেশ দূষণ ও ক্ষতির হাত থেকেও ত্বকে কে রক্ষা করে। নিম পাতা মাথার ত্বকের চুলকানি ও শুষ্কতা উপশমকারী। এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত করতে এবং চুলের বৃদ্ধির সহায়ক। নিম পাতা খুশকি উপশমকরী। নিম পাতা উকুন নির্মূল করতে ও সক্ষম। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক হেয়ার কন্ডিশনিং ক্ষমতা।

৪) পেটের সমস্যায় নিম পাতার উপকারিতা:-

যে কোন ধরনের পেটের সমস্যা আলসার কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় নিমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিমপাতা ব্যবহার করার ফলে নিম পাতায় উপস্থিত ইনফ্লেমেটরি উপাদান গুলো আলসার, গ্যাসট্রিকের মতো সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়েছে।গ্যাস,অম্বল,বদহজম এই সমস্যা তো আমাদের নিত্য দিনের সমস্যা। এই সমস্যা নিধনের নিম ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। নিমের মধ্যে উপস্থিত হজমে সহায়ক এমন কিছু উপাদান আছে, যা হজমের সমস্যাকে কমাতে এবং খাদ্য হজম করাতে সাহায্য করে। নিম পাতার রস বা নিম পাতা গুঁড়ো সেবন করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে এবং পেটে ফাঁপা ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা গুলো দূরে চলে যায়। লিভারের যেকোনো ধরনের সমস্যা কিংবা জন্ডিসের সমস্যায় নিমপাতার ব্যবহারে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি ঘটবে।

৫) মুখের সমস্যা নিমপাতার গুন:-

দাঁত ও দাঁতের মাড়ির বিভিন্ন সমস্যার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল নিম পাতা। দাঁত ও মাড়ির যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারে বলে নিমের দাঁতন বহু প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। বর্তমানে বিভিন্ন নামি দামী টুথপেস্ট ও মাউথ ওয়াশে নিম এর নির্যাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেননা নিমপাতা মাঁড়ি ও দাঁতের সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহারে সুফল মেলে। নিম পাতার নির্যাস দাঁতের যেকোনো ধরনের সমস্যা, মাড়ির সমস্যা, দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও নিম পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি মুখের মাঁড়ি এবং দাঁতের টিস্যু গুলোর মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে, মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

৬) সর্দি-কফ-জ্বর নিরাময়ে নিম:-

শরীরে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করলে শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ওঠে, যার ফলে শরীরের নিজেস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। ফলে জ্বর-সর্দি মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে নিম পাতার নির্যাসে মধ্যে রয়েছে এক প্রকার অ্যান্টি ম্যালেরিয়াল গুন, যা শরীরের ম্যালেরিয়ার জার্ম বহনকারী ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এছাড়াও অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। তাহলে একটা কাজ করুন কিছু নিম পাতা বেটে নিয়ে সেই রস ঈষদুষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে দিয়ে দিনে তিন-চারেক খেলে সর্দি নির্মূল হয়ে বুকের ব্যথা কমে যাবে।

৭) হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিমের কার্যকারিতা:-

যারা হরমোন জনিত সমস্যায় কষ্ট পান তারা নিয়মিত ৩-৪টি নিম পাতা মধু সহযোগে খেয়ে দেখুন উপকার পাবেন। দেখলেন তো নিমের কত গুন, কত নিমপাতার উপকারিতা। শরীরের যেকোন সমস্যার সমাধান পাবেন এর কাছে পাবেন। তাই নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বিয়ের আগে নারীদের যে বিষয়গুলো জানা জরুরি? .


বিয়ের আগে নারীদের যে বিষয়গুলো জানা জরুরি? 


  বিয়ে মানে শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়। এটি দুটি মানুষকেই শুধু পরস্পরের কাছাকাছি আনে না, দুটি পারিবারকেও সম্পর্কের বন্ধনে জড়ায়। বিয়ের মাধ্যমে দুটি পরিবার এক হয়। সুখে, দুঃখে, বিপদে আপদে সবসময় একে অপরের পাশে থাকার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এই দুটি পরিবারের মানুষ। জীবনের চলার পথ যাতে সুন্দর ও সুখময় হয় তাই বিয়ের আগে একে অপরের সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া জরুরি।

  বিয়ের মাধ্যমে একজন নারীকে তার পরিবার ছেড়ে নতুন একটি পরিবারকে আপন করে নিতে হয়। তাই সেই পরিবার সম্পর্কে আগে থেকেই কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা জরুরি। যাতে ওই পরিবারের সঙ্গে তার মানিয়ে নিতে সুবিধা হয়। 

  এমনকি যে পুরুষের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তার সম্পর্কেও অনেক বিষয় জানা জরুরি। কারণ বিয়ে একটি বন্ধন ও সারা জীবনের হিসাব-নিকাশ। এক্ষেত্রে একটু ভুল, সারা জীবনের জন্য কান্না হয়ে যেতে পারে। তাই বিয়ের আগে একজন নারীর উচিত কিছু বিষয় খোলামেলা আলোচনা করা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বিয়ের আগে নারীদের কোন বিষয়গুলো জানা জরুরি-

মূল্যবোধ-

হবু বর কি মূল্যবোধ জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু টাকার পেছনে ছোটে? পাত্র সত্‍ কি না, মূল্যবোধের চর্চা করে কি না একটু খোঁজ নেবেন।

বরের স্বভাব-চরিত্র-

বিয়ে যেহেতু সারাজীবনের হিসাব-নিকাশ, তাই বরের স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে অবশ্যই আপনাতে জানতে হবে। বরের সম্পর্কে না জানলে পরে আপনি পড়তে পারেন বড় বিপাকে।

বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য-

যে পরিবারে আপনাকে সারাজীবন কাটাতে হবে। সেই পরিবারের বাবা-মা থেকে শুরু বরের ভাইবোন সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কারণ সংসারের শুরুতে আপনি অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন।

পরিবার কি কর্তৃত্বপরায়ণ-

প্রতিটি পরিবারে একজন মানুষের একেকভাবে গড়ে ওঠে। তাই নতুন পরিবারে হঠাত্‍ করে খাপ-খাওয়াতে সমস্যা হতেই পারে। তাই তাদের পরিবার কি বেশি কর্তৃত্ব খাটায় কি না, সে বিষয়ে জেনে নিন।

আত্মীয়স্বজন-

একটি নতুন পরিবারের আপনি সবার সঙ্গে হঠাৎ করে খাপ-খাইয়ে চলতে পারবেন না। এটা খুবই স্বাভাবিক। বরের অনেক আত্মীয়স্বজন থাকবে যারা হয়তো আপনাকে নানা ভাবে বিরক্ত করতে পারেন, নানা কথা শোনাতে পারেন। সেসব আত্মীয়র কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ভালো।

বদলে যাবেন না-

কারো সংসারে গিয়ে নিজেকে একেবারে বিলীন করে দেবেন না। নিজের সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। যদি মনে হয়, বিয়ের আগেই আপনাকে পরিবর্তন করার চেষ্টা চলছে, তাহলে দেরি না করে সেখান থেকে সরে আসুন।


  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কি কি উপকার মিলবে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাসে ?


কি কি  উপকার মিলবে নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাসে ?

যেসব উপকার মিলবে হাঁটাহাঁটির অভ্যাসে,মাত্র ২০ মিনিটের হাঁটার অভ্যাস কমাতে পারে মানসিক চাপ, দিতে পারে ভালো ঘুম ও দীর্ঘায়ু। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহ্যাটন’য়ে অবস্থিত ‘বডি স্পেস ফিটনেস’য়ের প্রশিক্ষক ক্রিস্টিন টর্ড বলেন -‘হাঁটাহাঁটির শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা অপরিসীম। 

এতে কোনো পয়সা খরচ হয়না, বিশেষ কোনো কৌশল রপ্ত করতে হয় না এবং এর জন্য সময় বের করতেও বেগ পেতে হয়না। শুধু ইচ্ছাটা থাকতে হবে'। এই প্রশিক্ষকের পরামর্শে হাঁটাহাঁটির বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে ‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হল বিস্তারিত।

" হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে ক্যালরি কমবে, পেশির ঘনত্ব বাড়বে”, বলেন টর্ড। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই অভ্যাস। তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটি’তে প্রকাশিত গবেষণা বলে, ‘প্রতিদিন ১৫ হাজার বা তারও বেশি কদম যারা হাঁটেন তাদের কোমরের বেড় এব্ং ‘বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই)’য়ের মাত্রা অলস ভাবে দিন কাটানো মানুষদের তুলনায় কম। একজন সাধারণ মানুষের এই ১৫ হাজার কদম হাঁটতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। 

  সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে একে ভাগ করে নিতে হবে। ১৫ হাজার কদম হাঁটার সময় যদি না থাকে তবে সেটারও বিকল্প আছে। যে পথে চড়াই আছে সেটাকে বেছে নিতে পারেন। আবার হাঁটার মাধখানে হালকা ‘জগিং’ করতে পারেন বিরতি দিয়ে। শরীরের ওজন ব্যবহার করে এমন ব্যায়ামগুলো মাঝে করে নিতে পারেন। যেমন উঠবস, বুকডন, ‘লাঞ্জেস’ ইত্যাদি।’

  উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ইত্যাদির ঝুঁকিতে যারা আছেন তাদের জন্য হাঁটাহাঁটি নিত্যদিনের অভ্যাস হওয়া আবশ্যক। ‘ন্যাশনাল ওয়াকার’স হেলথ স্টাডি’ অনুযায়ী, “প্রতিদিন হাঁটার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি ৭.৭%, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের ঝুঁকি ৭%, এবং ডায়াবেটিস’য়ের ঝুঁকি কমবে ১২.৩%। টর্ড বলেন, ‘যারা ইতোমধ্যেই দূরারোগ্য ব্যধিতে ভুগছেন তাদের জন্যও হাঁটাহাঁটি অত্যন্ত উপকারী হবে।’

  ‘দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ)’ প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেয়। আর সপ্তাহের সবদিন কিংবা অন্তত পাঁচদিন হাঁটতে হবে। তবেই রক্তচাপ আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যারা হিমশিম খাচ্ছেন তাদেরকেও একই ধরনের পরামর্শ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)’

  সারাদিন কাজ করে বাড়ি ফিরে মন চাইবে মোবাইল নিয়ে বসে থাকতে কিংবা টিভি দেখতে। তবে সেই আলসেমির হাতছানিকে উপেক্ষা করে যদি জুতা পরে হাঁটতে বের হতে পারেন তবেই জীবনটা সুস্থ শরীর নিয়ে কাটাতে পারবেন। টর্ড বলেন, ‘হাঁটাহাঁটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, মন ভালো করে’।

  আর তা মাত্র ১০ মিনিটেই সম্ভব বলে দাবি করে ‘ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি’র গবেষণা। প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটতে গেলে উপকার মিলবে বেশি। হাঁটতে গিয়ে কারও সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে, সামাজিক যোগাযোগ ঘটতে পারে। মন মানসিকতার ওপর এই বিষয়গুলোর দারুণ প্রভাব থাকে।

  বর্তমান সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে সবাই চিন্তিত। আর তাকেই জোরদার করে হাঁটাহাঁটির নিয়মিত অভ্যাস। টর্ড বলেন, ‘এক গবেষণায় জানা গেছে, আধা ঘণ্টা হাঁটলেই শ্বেত রক্তকণিকার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জোর বাড়ে, তবে তা হয় ক্ষণস্থায়ী’।

  ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন ১০০০ অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ‘ফ্লু’ মৌসুমে গবেষণা চালায়। দেখা যায়, যারা দৈনিক ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটেন তাদের অসুস্থ হওয়ার মাত্রা অলস অংশ গ্রহণকারীদের তুলনায় ৪৩ শতাংশ কম। আর অসুস্থ হলেও তাদের অস্বস্তি থাকে কম।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

দুধ ফুটিয়ে পান করা কতটা জরুরি ?.


দুধ ফুটিয়ে পান করা কতটা জরুরি ?.

 আমরা সাধারণত দুধ ফুটিয়েই পান করি। কিন্তু দুধ ফুটিয়ে পান করা জরুরি কিনা- এ বিষয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে। অনেকে দুধ কাঁচাও পান করে থাকেন। সেক্ষেত্রে এর কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে কিনা- এ বিষয়েও জানা প্রয়োজন। 

  পুষ্টিবিদদের মতে, এটি অত্যন্ত জরুরি সুষম আহার। আমরা হয়ত অনেকেই শুনে থাকব, দুধ ফুটিয়ে নিলে তার পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই কাঁচা অবস্থায় দুধ খেলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক দুধ ফুটিয়ে পান করা উচিৎ নাকি কাঁচা পান করা ভালো।

  সরাসরি গোয়াল থেকে আসা কাঁচা দুধ না ফুটিয়ে খেতে কঠোর ভাবেই নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি। ফলে এই দুধ অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা দুধে অনেকরকম রোগজীবাণু বাসা বাধে। সরাসরি ডেয়ারি থেকে আনা দুধ খেলে সেই জীবাণু শরীরের নানা ক্ষতি করতে পারে। দুধ ফোটালে উচ্চ তাপমাত্রায় সেই সব জীবাণু মরে যায়।

  বর্তমানে বেশির ভাগ স্থানেই যে প্যাকেটজাত দুধ পাওয়া যায়, সেগুলো 'পাস্তুরাইজড'। অর্থাত্‍, জীবাণুমুক্ত এবং সংরক্ষণের উপযুক্ত। কিন্তু নিউ ইয়র্কের কর্ণেল বিশ্ববদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স বিভাগের গবেষকদের মতে, পাস্তুরাইজ করার পরও দুধ ১০০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করা যায় না। কারণ দুধে সালমোনেল্লা, সিউডোমোনাস, ব্যাসিলাস, এনটারোব্যাকটর, ই-কোলাই-এর মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

  পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা দুধে যেসব ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, সামান্য আগুনে ফোটালে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলো মরে যায়। পাস্তরাইজ করা প্যাকেটজাত দুধ উচ্চ তাপমাত্রায় না ফোটালেও সামান্য গরম করে খেতে পারলে দুধের পুষ্টিগুণ বজায় রেখে তা ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করা সম্ভব হবে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১

৪ থেকে ৮ বছরের সন্তানের অভিভাবকদের যা যা করণীয় ?.


৪ থেকে ৮ বছরের সন্তানের অভিভাবকদের যা যা করণীয় ?.

আজকের এই লিখাটি পারিপার্শ্বিক অভিজ্ঞতার আলোকে লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করি যাদের ঘরে এই বয়সের সন্তান আছে এবং এই বয়সে পা দিতে যাচ্ছে তাদের জন্য হেল্পফুল হবে। শিশুরা নিষ্পাপ, কোমল হৃদয়ের, কাঁচা মাটির মতো আপনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই শেপ দিতে পারবেন।

  কাজেই আমারা যারা অবিভাবক তাদের দায়িত্ব অনেক বেশী। যখন বাচ্চারা কোন নিয়মের খেলাপ করে তখন বাবা মায়ের উচিত খুব সহজভাবে এবং সংক্ষেপে বোঝানো। কেননা বাচ্চারা খুব জটিল কথা বুঝতে পারে না এবং খুব তাড়াতাড়ি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

  তাই প্রথমে বলুন সে কি ভুল করেছে? আর ভুলটির শাস্তি অবশ্যই লজিকাল এবং মিনিংফুল হতে হবে। যেমন সাইকেল চালানোর সময় হেল্মেট না পরলে সে ১/২ দিন সাইকেল খেলতে পারবে না। অথবা সে যদি কার সাথে খেলনা শেয়ার করতে না চায় তবে সেই খেলনা দিয়ে সে আর খেলতে পারবে না । 

  এই বয়স থেকেই বাচ্চাদের জন্য রুটিন তৈরি এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করুন। যেমন সকালে নিজে নিজে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়া, ব্রেকফাস্ট করা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফ্রেশ হয়ে, দাঁত মেজে সুন্দর কোন গল্পের বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়া। এর মাঝের সময়টুকু অন্যান্য টিভি, ভিডিও গেম, ফিজিক্যাল খেলাধুলার জন্য বরাদ্দ রাখুন।

  নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, আমরা বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখতে অনেক সময় কম্পিউটারে বা মোবাইলে গেমস খেলতে দেই এবং খেয়াল রাখি না । আসলে বাচ্চাটি কত ঘন্টা যাবত কম্পিউটারের সামনে বসে আছে। যেসব বাচ্চারা কম্পিউটারের সামনে অতিরিক্ত সময় ধরে বসে থাকে সেসব বাচ্চাদের ঘুমের পরিমান কমে যায়। কাজেই দিনে দুঘণ্টার বেশী সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা উচিত নয়।

  বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়। এটা অজানা কিছু নয়। কিন্তু আমরা অনেক সময় বাচ্চাদের সামনে এমন আচরণ করে বসি যা তারা খুব সহজেই রপ্ত করে ফেলে। এ কারণে মাঝে মাঝে তাদের কিউট বলে চালিয়ে দিলেও বেশির ভাগ সময় লজ্জায়ও পড়তে হয়। যেমন অনেক সময়েই বাচ্চাদের উপস্থিতিতেই বড়রা সমালোচনা, পরচর্চা করি। যা খুব সূক্ষ্মভাবে বাচ্চাদের মনে গেঁথে যায়। তারা এমন ভেবেই বেড়ে ওঠে যেন এমনটাই স্বাভাবিক।

  আমাদের দেশের কথা বিবেচনা করলে ৪ থেকে ৫ বছর বয়সের বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া শুরু করে। আর এই সময়টাতেই আমরা (মা-বাবা) অবুঝের মতো কান্ড করতে থাকি। বাচ্চাদের যেই সময়টা আনন্দ করে পড়ার এবং জানার কথা সেই সময় আমরা অভিভাবকরা প্রতিযোগিতার মনোভাব ঢুকিয়ে দেই।

  প্রতিযোগিতার মনোভাব থাকাটা জরুরি কিন্তু না খেয়ে-দেয়ে কেবল নাক ডুবিয়ে ক্লাসের ফার্স্টবয়/গার্ল হওয়ার মানসিকতা আসলে অসুস্থতা ছাড়া কিছু নয়। এই সময়টাতে বাচ্চাদের মনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে হবে।

 এমনও অনেক মা আছেন যারা রাতে বাচ্চাদের পড়াতে বসান এই ভেবে যে, উনিও তো রাত জেগে পড়তেন কৈ তার তো কোন সমস্যা হয়নি । তবে বাচ্চাকেও তাই করতে হবে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন এই বাড়ন্ত বয়সে আদৌ কি আমাদের বাবা-মারা আমাদের রাত জাগিয়ে পড়াতেন! আসলে সব মিলিয়ে যা হয় সারাদিন শেষে রাতে বাচ্চার পড়ার ধৈর্য থাকে না সে কোনরকম করে পড়া শেষ করে যথারীতি মা যান ক্ষেপে। অনেকসময় তো মারতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। শেষমেশ দুজনেই মন খারাপ করে ঘুমতে যান যা একেবারেই মন ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।

 এই বয়স থেকেই আপনার সন্তানকে নিজের ছোটোখাটো কাজগুলো করা শিখিয়ে নিন। এক্ষেত্রে বাবা মা দুজনকেই নিজের কাজগুলো নিজেই করতে দেখলে বাচ্চারাও তাই শিখবে। অনেক বাবাই আছেন ভাবেন সারাদিন তো অফিসে কাজ করেই আসলাম এখন জুতো খুলে যে ঘরে ঢুকেছি এটাই তো অনেক। এলোমেলো করে রেখেই চলে যান। তবে অভ্যাসটি পরিবর্তন করার সময় চলে এসেছে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


সম্পর্কে যেসব লক্ষণ দেখা দিলে ব্রেকআপ করা জরুরি ?.


সম্পর্কে যেসব লক্ষণ দেখা দিলে ব্রেকআপ করা জরুরি ?.

  ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বেশ কষ্টের। এজন্য নারী-পুরুষ উভয়েরই অবদান ও আত্মত্যাগ জরুরি। ছোট ছোট বিষয়ে একে অন্যকে ছাড় না দেওয়া, অবিশ্বাস করা কিংবা ক্ষণে ক্ষণে ঝগড়া, এসব কারণে সম্পর্কে ফাটল ধরে। এর ফলে ওই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলেও তাতে প্রাণ থাকে না।

  এমন সম্পর্কে দুজনের একজনও সুখী হতে পারে না। তাই কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো দিনের পর দিন দেখা দিলেই ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জেনে নিন কোন কোন লক্ষণ ব্রেকআপের ইঙ্গিত দেয়-

জীবনে নেতিবাচক প্রভাব-

নতুন সম্পর্কে জড়ালে জীবনে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াও বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে সম্পর্কে থাকা দুটি মানুষের জীবনেই ঘটে সেই পরিবর্তন।

তবে অনেক সময় দেখা যায়, নতুন সম্পর্কের কারণে পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমন সমস্যা লেগে থাকলে আপনি মানসিকভাবে দিশেহারা হয়ে পড়তে পারেন।

 তাই আপনাকে বুঝতে হবে, কোথাও একটা সমস্যা আছে। সেই সমস্যার দ্রুত সমাধান করুন। যদি এমন হয় যে, সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার তাহলে তা ই করুন।

প্রতিদিন ঝগড়া-

সব দাম্পত্য সম্পর্কেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকতে পারে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে একটানা যদি ঝগড়া লেগেই থাকে, কিংবা দুজন একে অন্যকে মূল্যায়ন না করা হয় তখন বুঝতে হবে আর কিছু করার নেই। এবার সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় চলে এসেছে।

বিশ্বাস না থাকা-

একটি সম্পর্ক টিকেই থাকে বিশ্বাসের উপর। তবে অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস চলে যায়। তখন একে অপরের প্রতি জন্মায় সন্দেহ। একবার সম্পর্কে সন্দেহ ঢুকলে তা বের করা বেশ মুশকিল। নিত্যদিন এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে পড়ুন।

আকর্ষণে ভাটা পড়া-

একটি সম্পর্ক ততদিনই ভালো থাকে যতদিন প্রিয় মানুষটির প্রতি আকর্ষণ থাকে। তবে উপরোক্ত বিভিন্ন সমস্যার দরুন প্রেমের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সেক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে সমস্যা। তখন বেরিয়ে আসতে হবে সম্পর্ক থেকে। এক্ষেত্রে সম্পর্কে থাকার অর্থই হলো নতুন করে সমস্যার জন্ম দেওয়া।

অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।

Flipkart

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

দীর্ঘজীবী হওয়ার ১৩টি বিজ্ঞানসম্মত উপায় কি কি ?.


দীর্ঘজীবী হওয়ার ১৩টি বিজ্ঞানসম্মত উপায় কি কি ?.

  বেশীরভাগ মানুষেরই ধারণা আয়ু নির্ভর করে জিন (gene) এর উপর। যাদের পূর্বপুরুষরা বেশীদিন বেঁচেছেন তাদেরও বেশীদিন বাঁচার সম্ভাবণা আছে। কিংবা যাদের পূর্ব পুরুষরা অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরও অকাল মৃত্যুর সম্ভাবণা বেশী। কিন্তু পুরাতন এই বিশ্বাস সত্যি নয়। আধুনিক বিজ্ঞানের মতে জিন মানুষের আয়ুর উপর খুব কমই প্রভাব ফেলে। বিজ্ঞানীদের মতে দীর্ঘায়ু লাভের চাবিকাঠি হচ্ছে স্বাস্থকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা।

দীর্ঘজীবী হওয়ার ১৩টি বিজ্ঞানসম্মত উপায়-

১। অতিরিক্ত পানাহার বর্জন করুন-

গবেষণায় দেখা গেছে সাধারণ ক্যালরি গ্রহণ ১০-১৫% কমালে দীর্ঘায়ু লাভ করা যাবে। দীর্ঘজীবী মানুষের উপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে তারা সবাই কম ক্যালরির খাদ্য গ্রহণ করতেন, যার ফলে তারা দীর্ঘায়ু লাভ করে এবং রোগ বালাই এর ঝুঁকি কমে। 

২। বেশী বেশী বাদাম খান-

বাদামে আছে প্রচুর পরিপোষক। প্রোটিন, ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্ট, এবং দরকারি উদ্ভিজ্জ উপাদানে ভরপুর বাদাম। এছাড়া বাদামে আছে কপার, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট, নায়াসিন, এবং ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন এ।  

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বাদাম হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ, ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিন্ড্রোম, পেটের চর্বি, এবং কয়েক ধরণের ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা সপ্তাহে অন্ততঃ ৩ দিন বাদাম খান তাদের অকাল মৃত্যুর হার ৩৯% কম।

৩। হলুদ-

বয়োবৃদ্ধি রোধে হলুদের চেয়ে ভাল ঔষধ আর নেই। হলুদের উপাদান কারকিউমিন একটি বায়োএক্টিভ কম্পাউন্ড। গবেষণায় দেখা গেছে কারকিউমিন আয়ু দীর্ঘায়িত করতে পারে। 

৪। উদ্ভিজ্জ খাবার-

খাবার তালিকায় বেশী বেশী ফলমূল, শাকসব্জি, বাদাম ডাল, হোল গ্রেন, এবং বিন রাখলে তা রোগের ঝুঁকি কমায় এবং দীর্ঘজীবী হতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে শাকসব্জি জাতীয় খাবার বেশী খেলে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবণা ১২-১৫% এবং ক্যান্সার বা হৃদরোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৯-৫২% কমতে পারে। 

৫। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ-

এটা সবারই জানা যে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা সপ্তাহে অন্ততঃ দেড় ঘন্টা হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করেন তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ২৮% কম এবং যারা এর বেশী ব্যায়াম করেন তাদের ঝুঁকি ৩৫% কম। 

৬। ধূমপান বর্জন-

ধূমপান অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে ধূমপান ত্যাগ করেছেন তাদের আয়ু বেড়েছে ৮.৫ বছর এবং যারা ৬০ বছর বয়সের পর ধূমপান ছেড়েছেন তাদের আয়ু ৩.৭ বছর বেড়েছে।

৭। মদ্যপান-

মদ্যপান লিভারের ক্ষতি করে এবং সিরোসিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। মদ্যাপানের অভ্যাস থাকলে তা কমাতে হবে এবং সবচেয়ে ভাল হয় এটা পরিহার করলে। 

৮। সুখী থাকার চেষ্টা করুন-

সুখী মানুষ বেশীদিন বাঁচে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা ২২ বছর বয়সে নিজেক অত্যন্ত সুখী মনে করেন তাদের আগামী ৬০ বছর বাঁচার সম্ভাবণা অন্যান্যদের তুলনায় আড়াই গুণ বেশী। 

৯। মানসিক চাপ দূর করুন-

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ আয়ু হ্রাস করে। গবেষণায় দেখা গেছে হতাশাবাদী মানুষদের অকাল মৃত্যুর সম্ভাবণা আশাবাদী মানুষদের তুলনায় ৪২% বেশী।

১০। সামাজিকতা বজায় রাখুন-

বিজ্ঞানীরা বলেন, নিয়মিত সামাজিকতা বজায় রাখলে দীর্ঘজীবী হওয়ার সম্ভাবণা ৫০% বেশী। গবেষণা মতে শুধু ৩টি সামাজিক বন্ধনই আপনার অকাল মৃত্যুর সম্ভাবণা ২০০% কমাতে পারে।

১১। বিবেকবান হোন-

গবেষণায় দেখা গেছে যারা ছোটবেলা থেকেই গোছানো এবং শৃঙ্খলা পূর্ণ জীবন যাপন করে তারা অন্যান্যদের তুলনায় ১১% বেশী সময় বাঁচে। 

১২। নিয়মিত কফি বা চা পান-

চা ও কফি উভয়ই ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়। গ্রিন টি’তে থাকা ক্যাটেচিন নামক পলিফেনল ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে কফি পান টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যয়ান্সার, এবং আলযহাইমার্স ও পার্কিনসন্স রোগের ঝুঁকি কমায়।

১৩। স্বাস্থ্যসম্মত ঘুমানোর অভ্যাস-

গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘায়ুর সাথে ভাল ঘুমের একটি যোগসূত্র আছে। সময়মত ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে সব সময় জেগে উঠার অভ্যাস স্বাস্থ রক্ষায় অপরিহার্য। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে রাতে ৫-৭ ঘন্টার কম ঘুমালে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবণা ১২% বৃদ্ধি পায়, এবং একই সাথে ৮-৯ ঘন্টার বেশী ঘুমালে আয়ু ৩৮% কমতে পারে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।