শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০২২

দুধ ফুটিয়ে পান করা কতটা জরুরি ?.


দুধ ফুটিয়ে পান করা কতটা জরুরি ?.

 আমরা সাধারণত দুধ ফুটিয়েই পান করি। কিন্তু দুধ ফুটিয়ে পান করা জরুরি কিনা- এ বিষয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে। অনেকে দুধ কাঁচাও পান করে থাকেন। সেক্ষেত্রে এর কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে কিনা- এ বিষয়েও জানা প্রয়োজন। 

  পুষ্টিবিদদের মতে, এটি অত্যন্ত জরুরি সুষম আহার। আমরা হয়ত অনেকেই শুনে থাকব, দুধ ফুটিয়ে নিলে তার পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। তাই কাঁচা অবস্থায় দুধ খেলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক দুধ ফুটিয়ে পান করা উচিৎ নাকি কাঁচা পান করা ভালো।

  সরাসরি গোয়াল থেকে আসা কাঁচা দুধ না ফুটিয়ে খেতে কঠোর ভাবেই নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি। ফলে এই দুধ অবশ্যই ফুটিয়ে খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা দুধে অনেকরকম রোগজীবাণু বাসা বাধে। সরাসরি ডেয়ারি থেকে আনা দুধ খেলে সেই জীবাণু শরীরের নানা ক্ষতি করতে পারে। দুধ ফোটালে উচ্চ তাপমাত্রায় সেই সব জীবাণু মরে যায়।

  বর্তমানে বেশির ভাগ স্থানেই যে প্যাকেটজাত দুধ পাওয়া যায়, সেগুলো 'পাস্তুরাইজড'। অর্থাত্‍, জীবাণুমুক্ত এবং সংরক্ষণের উপযুক্ত। কিন্তু নিউ ইয়র্কের কর্ণেল বিশ্ববদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স বিভাগের গবেষকদের মতে, পাস্তুরাইজ করার পরও দুধ ১০০ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করা যায় না। কারণ দুধে সালমোনেল্লা, সিউডোমোনাস, ব্যাসিলাস, এনটারোব্যাকটর, ই-কোলাই-এর মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

  পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা দুধে যেসব ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, সামান্য আগুনে ফোটালে ওই ব্যাকটেরিয়াগুলো মরে যায়। পাস্তরাইজ করা প্যাকেটজাত দুধ উচ্চ তাপমাত্রায় না ফোটালেও সামান্য গরম করে খেতে পারলে দুধের পুষ্টিগুণ বজায় রেখে তা ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করা সম্ভব হবে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১

৪ থেকে ৮ বছরের সন্তানের অভিভাবকদের যা যা করণীয় ?.


৪ থেকে ৮ বছরের সন্তানের অভিভাবকদের যা যা করণীয় ?.

আজকের এই লিখাটি পারিপার্শ্বিক অভিজ্ঞতার আলোকে লেখার চেষ্টা করেছি। আশা করি যাদের ঘরে এই বয়সের সন্তান আছে এবং এই বয়সে পা দিতে যাচ্ছে তাদের জন্য হেল্পফুল হবে। শিশুরা নিষ্পাপ, কোমল হৃদয়ের, কাঁচা মাটির মতো আপনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই শেপ দিতে পারবেন।

  কাজেই আমারা যারা অবিভাবক তাদের দায়িত্ব অনেক বেশী। যখন বাচ্চারা কোন নিয়মের খেলাপ করে তখন বাবা মায়ের উচিত খুব সহজভাবে এবং সংক্ষেপে বোঝানো। কেননা বাচ্চারা খুব জটিল কথা বুঝতে পারে না এবং খুব তাড়াতাড়ি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

  তাই প্রথমে বলুন সে কি ভুল করেছে? আর ভুলটির শাস্তি অবশ্যই লজিকাল এবং মিনিংফুল হতে হবে। যেমন সাইকেল চালানোর সময় হেল্মেট না পরলে সে ১/২ দিন সাইকেল খেলতে পারবে না। অথবা সে যদি কার সাথে খেলনা শেয়ার করতে না চায় তবে সেই খেলনা দিয়ে সে আর খেলতে পারবে না । 

  এই বয়স থেকেই বাচ্চাদের জন্য রুটিন তৈরি এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করুন। যেমন সকালে নিজে নিজে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়া, ব্রেকফাস্ট করা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফ্রেশ হয়ে, দাঁত মেজে সুন্দর কোন গল্পের বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়া। এর মাঝের সময়টুকু অন্যান্য টিভি, ভিডিও গেম, ফিজিক্যাল খেলাধুলার জন্য বরাদ্দ রাখুন।

  নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, আমরা বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখতে অনেক সময় কম্পিউটারে বা মোবাইলে গেমস খেলতে দেই এবং খেয়াল রাখি না । আসলে বাচ্চাটি কত ঘন্টা যাবত কম্পিউটারের সামনে বসে আছে। যেসব বাচ্চারা কম্পিউটারের সামনে অতিরিক্ত সময় ধরে বসে থাকে সেসব বাচ্চাদের ঘুমের পরিমান কমে যায়। কাজেই দিনে দুঘণ্টার বেশী সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকা উচিত নয়।

  বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়। এটা অজানা কিছু নয়। কিন্তু আমরা অনেক সময় বাচ্চাদের সামনে এমন আচরণ করে বসি যা তারা খুব সহজেই রপ্ত করে ফেলে। এ কারণে মাঝে মাঝে তাদের কিউট বলে চালিয়ে দিলেও বেশির ভাগ সময় লজ্জায়ও পড়তে হয়। যেমন অনেক সময়েই বাচ্চাদের উপস্থিতিতেই বড়রা সমালোচনা, পরচর্চা করি। যা খুব সূক্ষ্মভাবে বাচ্চাদের মনে গেঁথে যায়। তারা এমন ভেবেই বেড়ে ওঠে যেন এমনটাই স্বাভাবিক।

  আমাদের দেশের কথা বিবেচনা করলে ৪ থেকে ৫ বছর বয়সের বাচ্চারা স্কুলে যাওয়া শুরু করে। আর এই সময়টাতেই আমরা (মা-বাবা) অবুঝের মতো কান্ড করতে থাকি। বাচ্চাদের যেই সময়টা আনন্দ করে পড়ার এবং জানার কথা সেই সময় আমরা অভিভাবকরা প্রতিযোগিতার মনোভাব ঢুকিয়ে দেই।

  প্রতিযোগিতার মনোভাব থাকাটা জরুরি কিন্তু না খেয়ে-দেয়ে কেবল নাক ডুবিয়ে ক্লাসের ফার্স্টবয়/গার্ল হওয়ার মানসিকতা আসলে অসুস্থতা ছাড়া কিছু নয়। এই সময়টাতে বাচ্চাদের মনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে হবে।

 এমনও অনেক মা আছেন যারা রাতে বাচ্চাদের পড়াতে বসান এই ভেবে যে, উনিও তো রাত জেগে পড়তেন কৈ তার তো কোন সমস্যা হয়নি । তবে বাচ্চাকেও তাই করতে হবে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন এই বাড়ন্ত বয়সে আদৌ কি আমাদের বাবা-মারা আমাদের রাত জাগিয়ে পড়াতেন! আসলে সব মিলিয়ে যা হয় সারাদিন শেষে রাতে বাচ্চার পড়ার ধৈর্য থাকে না সে কোনরকম করে পড়া শেষ করে যথারীতি মা যান ক্ষেপে। অনেকসময় তো মারতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। শেষমেশ দুজনেই মন খারাপ করে ঘুমতে যান যা একেবারেই মন ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না।

 এই বয়স থেকেই আপনার সন্তানকে নিজের ছোটোখাটো কাজগুলো করা শিখিয়ে নিন। এক্ষেত্রে বাবা মা দুজনকেই নিজের কাজগুলো নিজেই করতে দেখলে বাচ্চারাও তাই শিখবে। অনেক বাবাই আছেন ভাবেন সারাদিন তো অফিসে কাজ করেই আসলাম এখন জুতো খুলে যে ঘরে ঢুকেছি এটাই তো অনেক। এলোমেলো করে রেখেই চলে যান। তবে অভ্যাসটি পরিবর্তন করার সময় চলে এসেছে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


সম্পর্কে যেসব লক্ষণ দেখা দিলে ব্রেকআপ করা জরুরি ?.


সম্পর্কে যেসব লক্ষণ দেখা দিলে ব্রেকআপ করা জরুরি ?.

  ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বেশ কষ্টের। এজন্য নারী-পুরুষ উভয়েরই অবদান ও আত্মত্যাগ জরুরি। ছোট ছোট বিষয়ে একে অন্যকে ছাড় না দেওয়া, অবিশ্বাস করা কিংবা ক্ষণে ক্ষণে ঝগড়া, এসব কারণে সম্পর্কে ফাটল ধরে। এর ফলে ওই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলেও তাতে প্রাণ থাকে না।

  এমন সম্পর্কে দুজনের একজনও সুখী হতে পারে না। তাই কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো দিনের পর দিন দেখা দিলেই ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জেনে নিন কোন কোন লক্ষণ ব্রেকআপের ইঙ্গিত দেয়-

জীবনে নেতিবাচক প্রভাব-

নতুন সম্পর্কে জড়ালে জীবনে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াও বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে সম্পর্কে থাকা দুটি মানুষের জীবনেই ঘটে সেই পরিবর্তন।

তবে অনেক সময় দেখা যায়, নতুন সম্পর্কের কারণে পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমন সমস্যা লেগে থাকলে আপনি মানসিকভাবে দিশেহারা হয়ে পড়তে পারেন।

 তাই আপনাকে বুঝতে হবে, কোথাও একটা সমস্যা আছে। সেই সমস্যার দ্রুত সমাধান করুন। যদি এমন হয় যে, সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার তাহলে তা ই করুন।

প্রতিদিন ঝগড়া-

সব দাম্পত্য সম্পর্কেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকতে পারে। এ কারণে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে একটানা যদি ঝগড়া লেগেই থাকে, কিংবা দুজন একে অন্যকে মূল্যায়ন না করা হয় তখন বুঝতে হবে আর কিছু করার নেই। এবার সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় চলে এসেছে।

বিশ্বাস না থাকা-

একটি সম্পর্ক টিকেই থাকে বিশ্বাসের উপর। তবে অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস চলে যায়। তখন একে অপরের প্রতি জন্মায় সন্দেহ। একবার সম্পর্কে সন্দেহ ঢুকলে তা বের করা বেশ মুশকিল। নিত্যদিন এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে পড়ুন।

আকর্ষণে ভাটা পড়া-

একটি সম্পর্ক ততদিনই ভালো থাকে যতদিন প্রিয় মানুষটির প্রতি আকর্ষণ থাকে। তবে উপরোক্ত বিভিন্ন সমস্যার দরুন প্রেমের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সেক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে সমস্যা। তখন বেরিয়ে আসতে হবে সম্পর্ক থেকে। এক্ষেত্রে সম্পর্কে থাকার অর্থই হলো নতুন করে সমস্যার জন্ম দেওয়া।

অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।

Flipkart

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

দীর্ঘজীবী হওয়ার ১৩টি বিজ্ঞানসম্মত উপায় কি কি ?.


দীর্ঘজীবী হওয়ার ১৩টি বিজ্ঞানসম্মত উপায় কি কি ?.

  বেশীরভাগ মানুষেরই ধারণা আয়ু নির্ভর করে জিন (gene) এর উপর। যাদের পূর্বপুরুষরা বেশীদিন বেঁচেছেন তাদেরও বেশীদিন বাঁচার সম্ভাবণা আছে। কিংবা যাদের পূর্ব পুরুষরা অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরও অকাল মৃত্যুর সম্ভাবণা বেশী। কিন্তু পুরাতন এই বিশ্বাস সত্যি নয়। আধুনিক বিজ্ঞানের মতে জিন মানুষের আয়ুর উপর খুব কমই প্রভাব ফেলে। বিজ্ঞানীদের মতে দীর্ঘায়ু লাভের চাবিকাঠি হচ্ছে স্বাস্থকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা।

দীর্ঘজীবী হওয়ার ১৩টি বিজ্ঞানসম্মত উপায়-

১। অতিরিক্ত পানাহার বর্জন করুন-

গবেষণায় দেখা গেছে সাধারণ ক্যালরি গ্রহণ ১০-১৫% কমালে দীর্ঘায়ু লাভ করা যাবে। দীর্ঘজীবী মানুষের উপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে তারা সবাই কম ক্যালরির খাদ্য গ্রহণ করতেন, যার ফলে তারা দীর্ঘায়ু লাভ করে এবং রোগ বালাই এর ঝুঁকি কমে। 

২। বেশী বেশী বাদাম খান-

বাদামে আছে প্রচুর পরিপোষক। প্রোটিন, ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্ট, এবং দরকারি উদ্ভিজ্জ উপাদানে ভরপুর বাদাম। এছাড়া বাদামে আছে কপার, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট, নায়াসিন, এবং ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন এ।  

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বাদাম হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ, ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিন্ড্রোম, পেটের চর্বি, এবং কয়েক ধরণের ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা সপ্তাহে অন্ততঃ ৩ দিন বাদাম খান তাদের অকাল মৃত্যুর হার ৩৯% কম।

৩। হলুদ-

বয়োবৃদ্ধি রোধে হলুদের চেয়ে ভাল ঔষধ আর নেই। হলুদের উপাদান কারকিউমিন একটি বায়োএক্টিভ কম্পাউন্ড। গবেষণায় দেখা গেছে কারকিউমিন আয়ু দীর্ঘায়িত করতে পারে। 

৪। উদ্ভিজ্জ খাবার-

খাবার তালিকায় বেশী বেশী ফলমূল, শাকসব্জি, বাদাম ডাল, হোল গ্রেন, এবং বিন রাখলে তা রোগের ঝুঁকি কমায় এবং দীর্ঘজীবী হতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে শাকসব্জি জাতীয় খাবার বেশী খেলে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবণা ১২-১৫% এবং ক্যান্সার বা হৃদরোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি ২৯-৫২% কমতে পারে। 

৫। শারীরিক ক্রিয়াকলাপ-

এটা সবারই জানা যে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা সপ্তাহে অন্ততঃ দেড় ঘন্টা হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করেন তাদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ২৮% কম এবং যারা এর বেশী ব্যায়াম করেন তাদের ঝুঁকি ৩৫% কম। 

৬। ধূমপান বর্জন-

ধূমপান অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে ধূমপান ত্যাগ করেছেন তাদের আয়ু বেড়েছে ৮.৫ বছর এবং যারা ৬০ বছর বয়সের পর ধূমপান ছেড়েছেন তাদের আয়ু ৩.৭ বছর বেড়েছে।

৭। মদ্যপান-

মদ্যপান লিভারের ক্ষতি করে এবং সিরোসিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। মদ্যাপানের অভ্যাস থাকলে তা কমাতে হবে এবং সবচেয়ে ভাল হয় এটা পরিহার করলে। 

৮। সুখী থাকার চেষ্টা করুন-

সুখী মানুষ বেশীদিন বাঁচে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা ২২ বছর বয়সে নিজেক অত্যন্ত সুখী মনে করেন তাদের আগামী ৬০ বছর বাঁচার সম্ভাবণা অন্যান্যদের তুলনায় আড়াই গুণ বেশী। 

৯। মানসিক চাপ দূর করুন-

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ আয়ু হ্রাস করে। গবেষণায় দেখা গেছে হতাশাবাদী মানুষদের অকাল মৃত্যুর সম্ভাবণা আশাবাদী মানুষদের তুলনায় ৪২% বেশী।

১০। সামাজিকতা বজায় রাখুন-

বিজ্ঞানীরা বলেন, নিয়মিত সামাজিকতা বজায় রাখলে দীর্ঘজীবী হওয়ার সম্ভাবণা ৫০% বেশী। গবেষণা মতে শুধু ৩টি সামাজিক বন্ধনই আপনার অকাল মৃত্যুর সম্ভাবণা ২০০% কমাতে পারে।

১১। বিবেকবান হোন-

গবেষণায় দেখা গেছে যারা ছোটবেলা থেকেই গোছানো এবং শৃঙ্খলা পূর্ণ জীবন যাপন করে তারা অন্যান্যদের তুলনায় ১১% বেশী সময় বাঁচে। 

১২। নিয়মিত কফি বা চা পান-

চা ও কফি উভয়ই ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমায়। গ্রিন টি’তে থাকা ক্যাটেচিন নামক পলিফেনল ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে কফি পান টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যয়ান্সার, এবং আলযহাইমার্স ও পার্কিনসন্স রোগের ঝুঁকি কমায়।

১৩। স্বাস্থ্যসম্মত ঘুমানোর অভ্যাস-

গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘায়ুর সাথে ভাল ঘুমের একটি যোগসূত্র আছে। সময়মত ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে সব সময় জেগে উঠার অভ্যাস স্বাস্থ রক্ষায় অপরিহার্য। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে রাতে ৫-৭ ঘন্টার কম ঘুমালে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবণা ১২% বৃদ্ধি পায়, এবং একই সাথে ৮-৯ ঘন্টার বেশী ঘুমালে আয়ু ৩৮% কমতে পারে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১

কোন 11 টি কারণে সন্তান হয় না সারা জীবন ?.


কোন 11 টি কারণে সন্তান হয় না সারা জীবন ?.

নারীদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে সন্তান ধারণ ক্ষমতা প্রাকৃতিকভাবেই অনেকটা কমে আসে। জীবনযাপনের আরো কিছু বিষয় সন্তান ধারণ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয় সবার অজান্তে। সন্তান ধারণক্ষমতা কেন কমে যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন:

১. রুগ্ন শরীর -

অতিরিক্ত ওজন যেমন সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস করে, তেমনি খুব বেশি পাতলা হওয়াও ক্ষতিকর। বেশি চিকন হলে নারীর দেহে ল্যাপটিন হরমোনের অভাব হয়। এই হরমোন ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে এই হরমোনের ঘাটতি হলে ঋতুচক্রের সমস্যা হয়। তাই গবেষকদের মতে, উচ্চতা এবং ওজনের সামঞ্জস্য বজায় রাখুন। সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন ঠিক রাখুন। এটি নারীর বন্ধ্যত্ব দূর করতে সাহায্য করে।

২. অতিরিক্ত ওজন -

অতিরিক্ত ওজন সন্তান না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এটি শরীরের হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে এবং নারীর সন্তান ধারণ ক্ষমতাকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। এর ফলে নারীর জরায়ুর কার্যক্ষমতাও হ্রাস পায়। ২০০৯ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, ১৮ বছর বয়সের যেসব নারী ওজনাধিক্যের সমস্যায় রয়েছেন, তাঁরা জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হন এবং তাঁদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যায়।

৩. বয়স বেশি হওয়া-

যখন নারীর ঋতুচক্র স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তখন সে নারী আর সন্তান ধারণ করতে পারে না। ঋতুচক্র একবারে বন্ধ হয়ে যাওয়াকে মেনোপজ বলে। তবে যদি মেনোপজের ঠিক আগের পর্যায়ে শরীরে ইসট্রোজেন বা প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায় বা একদমই নিঃসৃত না হয়, তখন তাকে পেরিমেনোপজ বলা হয়। মেনোপজ হয় সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ৪৫ বছরের আগেই পেরিমেনোপজ হতে পারে। তাই অধিকাংশ চিকিৎসকের মতে, ৩৫ বছরের আগে সন্তান নেওয়া উচিত। এর পরে সন্তান ধারণক্ষমতা কঠিন হয়ে পড়ে।

৪. বংশগত কারণ-

যদি আপনার মায়ের মেনোপজ আগে হয়, তবে আপনারও আগে থেকেই মেনোপোজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। নারীরা জন্মায় কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে এবং এই জিনিসটি বেশি হওয়া বা কম হওয়ার পেছনে জিনগত কারণও কাজ করে। এ রকম অনেক কিছুই নির্ভর করে বংশগত কারণে। গবেষকদের মতে, যদি পরিবারে দেরিতে সন্তান ধারণের ইতিহাস থাকে, তবে আপনারও দেরিতে সন্তান হতে পারে।

৫. মানসিক চাপ-

গবেষণায় বলা হয়, যেসব নারী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন, তাঁদের সন্তান ধারণ ক্ষমতা অনেক কমে যায়। কারণ, চাপ শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। তবে চাপই এর একমাত্র কারণ নয়। গবেষকদের পরামর্শ, যেসব নারী সন্তান নিতে চাইছেন, তাঁদের চাপ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি শেখা খুব জরুরি।

৬. মদ্যপান-

মদ্যপানে অভ্যস্ত নারীদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি থাকে অনেক। ২০০৪ সালে সুইডিশ বিজ্ঞানীরা ১৮ বছর ধরে মদ্যপান করেন—এমন সাত হাজার নারীর ওপর গবেষণা করে দেখেন, তাঁদের সন্তান ধারণক্ষমতা অনেক কমে গেছে। তাই গবেষকদের পরামর্শ, যদি আপনি সন্তান নিতে চান, তবে অবশ্যই মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।

৭. বেশি ব্যায়াম-

ব্যায়াম করা আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শক্তি দেয়। যখন আপনি সন্তান নিতে চাইবেন, এটি খুব জরুরি। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন, এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম করেন, তাঁদের এ আশঙ্কা থাকে।

৮. থাইরয়েড সমস্যা-

থাইরয়েড সমস্যা গর্ভধারণকে ব্যাহত করে। থাইরয়েড হলো এমন একটি গ্রন্থি, যা ঘাড়ের সামনের দিকে নিচের অংশে থাকে। এই থাইরয়েড থেকে অনেক হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরয়েডজনিত কোনো সমস্যা হলেও সন্তান ধারণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

৯. ক্যাফেইন-

আপনি যদি প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেইন জাতীয় জিনিস খান, এটি আপনার গর্ভধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা দিনে পাঁচ কাপের বেশি কফি পান করেন, তাঁদের এ সমস্যা হয়। তাই সন্তান নিতে চাইলে কফিপান কমিয়ে দেওয়ার পক্ষেই মতামত গবেষকদের।

১০. যৌন সমস্যা-

যৌন বাহিত রোগের কারণেও সন্তান ধারণ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যেমন : সিফিলিস, গনোরিয়া, প্রদাহ ইত্যাদি।

১১. স্বাস্থ্যগত সমস্যা-

বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার ফলে বন্ধ্যত্ব হতে পারে। পলিসাইটিক ওভারি সিনড্রোম, সিস্ট, এনডোমিটট্রিওসিস—এসব বিষয় অনেক সময় নারীর বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী। এ ছাড়া রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিস অনেক সময় এর কারণ হয়। তাই এসব সমস্যা হলে আগে থেকে চিকিৎসা করাতে হবে, নয়তো সন্তান ধারণ করতে সমস্যা হতে পারে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

সকাল বেলা স্বামী-স্ত্রী কমপক্ষে ৫ মিনিট জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকার উপকারিতা ?.


সকাল বেলা স্বামী-স্ত্রী কমপক্ষে ৫ মিনিট জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকার উপকারিতা ?.

স্ত্রী শব্দটা ছোট হলেও অতিশয় দুর্বোধ্য, এই কথাটি নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন আপনারা। আমাদের সমাজে স্ত্রী হলো একটা পুরুষের বহু আকাঙ্খিত মানুষ। অনেক চেষ্টা করে আজকাল সিঙ্গেল ছেলেরা একটা গার্লফ্রেন্ড জোগাড় করে থাকে তাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে।

 ভবিষ্যতে সে তার স্ত্রী হতে পারে আবার না হতে পারে সেটা ভাগ্যের ব্যাপার। একজন স্ত্রী একজন পুরুষের কাছে বহু আশাপ্রদ জিনিস । প্রত্যেক পুরুষই চায় তার স্ত্রীকে খুব ভালো করে রাখবে যত্নে রাখবে। স্ত্রী সম্পর্কে আমাদের কিছু মহাপুরুষ আছেন যারা কিছু কথা লিখেছেন সেগুলো নিচে দেয়া হল।

১. যে স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট জড়িয়ে ধরে রাখে তাঁর কর্মক্ষেত্রে বিপদের আশংকা থাকে কম। — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

২.বৌয়েরা ঘরের লক্ষ্মী হয়। এদেরকে যত বেশি ভালোবাসা দেওয়া হয়, তত বেশি সংসারে শান্তি আসে।— হুমায়ুন আহমেদ।

৩. স্ত্রীকে যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিন, নাহলে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্বাস করুন। সংসার আর যুদ্ধক্ষেত্র মনে হবে না। — সুনীল গঙ্গপাধ্যায়।

৪. সেই পুরুষই কাপুরুষ যে স্ত্রীর কাছে প্রেমিক হতে পারেনি।— কাজী নজরুল ইসলাম।

৫.প্রতিদিন একবার স্ত্রীকে ” আমি তোমাকে ভালোবাসি ” বললে মাথার সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়।— সত্যজিৎ রায়।

৬. স্ত্রীকে সপ্তাহে একদিন ফুচকা খাওয়াতে এবং মাসে একদিন ঘুরতে নিয়ে গেলে স্বামীর শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।— সমরেশ মজুমদার।

৭. অন্য নারীর সাথে পরকীয়া করার চেয়ে স্ত্রীকে একবেলা পেটানো ভালো। তবে পেটানোর পরে তিনগুণ বেশি ভালোবাসা আবশ্যক। — জহির রায়হান।

৮. মন ভালো রাখতে বৌকে ফেসবুক, ফোনবুক, নোটবুক সহ সব ধরণের একাউন্টের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন। — মার্ক জুকারবার্গ।

৯. মেয়েদের মনে ভালোবাসা এবং অভিমান দুটোই থাকে বেশি। তাই অভিমানটাকে ভালোবাসার চেয়ে বড় করে দেখা যাবে না। তাই স্বামীদের উচিৎ স্ত্রীর সব অভিমান ভালোবেসে ভাঙানো! — ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

১০. একটা শিশুকে দুনিয়ার মুখ দেখাতে মা যে কষ্ট সহ্য করে তা বাবা সারাজীবন ভালোবেসেও শোধ করতে পারে না। তাই প্রত্যেকটা স্বামীর উচিৎ তাঁর সন্তানের মাকে কোনোরকম কষ্ট না দেয়া। — জীবনানন্দ দাশ।

১১. যুদ্ধে বিজয়ী হলেই বিপ্লবী হওয়া যায় না৷ প্রকৃত বিপ্লবী তো সেই যে স্ত্রীর মনের একমাত্র বীরপুরুষ। — চে গুয়েভারা।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

ছেলেদের দেখে মেয়েরা বারবার ওড়না ঠিক করে কেন ?.


ছেলেদের দেখে মেয়েরা বারবার ওড়না ঠিক করে কেন ?.

মেয়েরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে নিজেদের ওড়না ঠিক করে। বেশিরভাগ সময়ই কোন ভিড় রাস্তায় বা লোক ভর্তি জায়গায় দেখা যায় মেয়েরা ওড়না ঠিক করছে। কিন্তু কেন এই প্রতিনিয়ত চেষ্টা ওড়না ঠিক করার? কি জন্য তারা ঠিক করেন ওড়না? কি চলে তাদের মাথার মধ্যে? কি নিয়ে তারা বেশি ভাবিত হন সেই সময়? সেটা অনেকেই জানে না।

  বিশেষত ছেলেদের মধ্যে এই নিয়ে দেখা যায় অনেক কৌতূহল, যার জন্য তারা বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করে যে মেয়েরা এইরকম কেন করে। অনেক সময়ে তা নিজের বান্ধবীকে বা প্রেমিকাকে জিজ্ঞাসা করে।

  আলাদা আলাদা করে জেনে নিতে চায় আসল তথ্যটা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের হতাশ হতে হয়, তাই জানার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। এই জানার আগ্রহ তাহলে কিভাবে কমবে? কোন ভাবে কমার উপায় আছে কি? আসুন চেষ্টা করি জানার।

১) মাথায় ওড়না টানা – অনেক সময় দেখা যায় সামনে কোন ছেলে বা বৃদ্ধ কেউ এলে মেয়েরা মাথায় ওড়না টেনে নেয়। এর পিছনের কারণ হল মেয়েদের নিজের বাড়ি থেকে শেখা মূল্যবোধ। তাই কেউ বয়সে বড় সামনে এলে সম্মান বশত তারা মাথায় ওড়না টেনে নেয়। একটি মূল্যবোধযুক্ত পরিবারে বেড়ে ওঠার জন্য তারা এইরকম ব্যবহার করে থাকে। এটা আসলে তাদের ভদ্রতার পরিচায়ক।

২) বুকের ওড়না ঠিক করা – মেয়েদের শরীরে খুব সহজ দৃশ্যমান অংশ তাদের বুক। অনেক সময়েই তারা লোকেদের কুদৃষ্টি থেকে বাঁচতে বা যাতে অন্য কেউ দেহের ওই অংশে নজর দিতে না পারে, সেইজন্য নিজেদের ওড়না টেনে নিয়ে কুদৃষ্টি থেকে বাঁচতে চেষ্টা করে। এটি একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।

৩) অস্বস্তিতে থাকার সময় – অস্বস্তিতে থাকলে মেয়েরা অনেক সময় ওড়না নিয়ে খেলা করে। সেই সময় তারা নানা রকম ভাবে ওড়না নিয়ে নাড়াচাড়া করে।

  তারা কিভাবে কি করে বা কিজন্য করে সেটা বোঝা খুব মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। আসলে চঞ্চল মানসিকতার পরিচয় দেখা যায় তাদের এই ব্যবহারে।

কিন্তু অনেকেই বলেন যে মেয়েদের এই ব্যবহারের কোন মানেই অনেক সময় খুঁজে পাওয়া যায় না বা খুঁজে পাওয়া গেলেও সেই কারণ নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন মানে থাকে না।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

৩০ বছর বয়সে মেয়েদের মনে জাগে কোন ইচ্ছে গুলো, যা কাউকে বলতে পারে না ?.


৩০ বছর বয়সে মেয়েদের মনে জাগে কোন ইচ্ছে গুলো, যা কাউকে বলতে পারে না ?.

 এই দুনিয়ায় মানুষকে দুটি রুপ দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। একটি হল পুরুষ আরেকটি হল মহিলা। সৃষ্টিকর্তার তৈরি করা দুটি চেহারা সবার থেকে সুন্দর হয়ে থাকে।

 কিন্তু মহিলাদের সুন্দরতায় সব থেকে বেশি মহত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু মেয়েদের মন কে বোঝা দুনিয়ার সব থেকে কঠিন কাজ। কারন তারা রেগে থাকলেও মনের দিক থেকে সব সময় কমল হয়ে থাকে। আর ১৮ থেকে ২০ বছরের মেয়েরা একটি লাজুক হয়ে থাকে।

  একটি সমীক্ষায় জানা গেছে ২০ বছর একটি মেয়ের সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ বয়স। কিন্তু একটি মেয়ের ২০ থেকে ৩০ বছর বয়স বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কারন ২০ বছরের তারা সব কিছু ভালো ভাবে বুঝতে পারেনা কিন্তু ২০ পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অনেক কিছু বুঝতে থাকে ৩০ বছরে তা পূর্ণ হয়ে থাকে।

 এই বয়সে সবার খেয়াল রাখতে তারা ভালো পারে। আর এটা জেনে নিন মেয়েদের ৩০ বছর বয়স একটি গুরুত্ব পূর্ণ বয়স। আর ৩০ বছর বয়সের এই সব তথ্য গুলি আপনাকে চমকে দিতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি ।

  আর এর পেছনে অনেক অবাক করা কারন আছে আজ আমরা আপনাদের সেই সব কারন গুলি বলব। আসলে ৩০ বছর বয়সে মেয়েদের মধ্যে তাদের ছোটো বেলা ফুটে উঠে।

 আর তার আগের সময় মেয়েদেরা বেশীর ভাগ সিদ্ধান্ত ভেবে ভালো ভাবে নিতে পারেনা। কিন্তু এই ৩০ বছর পর তারা সব কিছু ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আর এই বয়সে তারা সব কিছু সামলে নিতে পারে কোন জিনিসের তাদের আর অসুবিধা হয় না। এই বয়সে মেয়েদের আত্মবিশ্বাস সব থেকে বেশী বেড়ে যায়।

  আর এই বয়সে তারা অনেক ছোটো ছোটো জিনিস নিয়ে ঝগড়া করে ছেড়ে দিয়ে থাকে যেগুলি তারা আগে করত। আর এই বয়স তারা তাদের ভুল গুলো বুঝে সেগুলিকে ঠিক করার কথা ভাবে।

  আসলে ৩০ নীচে তারা নিজের সব ভুল লুকিয়ে থাকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু ৩০ বছর বয়স তাদের সব কিছু বদলে যায়। আর এই বয়সে তাদের পোশাক অনেক পরিবর্তন আসে তারা সব কিছু একদম সঠিক ভাবে বুঝতে থাকে।

  যে বিষয় গুলো মেনে চললে নারীদের বয়স দশ বছর কম দেখাবে দীর্ঘ দিন তারুণ্য ধরে রাখতে কে না চায়। কিন্তু কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে আমাদের দেখতে আসল বয়সের থেকেও অনেক বেশি বয়স্ক মনে হয়। তবে খুব সাধারণ কিছু বিষয় মেনে চললে আসল বয়সের চেয়ে দশ বছর কম দেখাবে নারীদের। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয় গুলো- 

১. ঘুমানোর সময় উপুড় হয়ে না শুয়ে সোজা থাকুন। উপুড় হয়ে ঘুমালে ত্বক ঝুলে যায়, রক্ত চলাচল বাধা পায়। 

২. সকালের মিষ্টি রোদ থেকে যেমন আমরা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাই। তেমনি প্রখর রোদে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক বেশি কোমল হয়। ফলে ক্ষতিটাও দ্রুত হয়, বয়সের ছাপ পড়ে, ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়। এজন্য রোদে অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

৩. চিপস বা চিকেন ফ্রাই খেতে যতই পছন্দ করেন, স্বাস্থ্য আর সৌন্দর্যের কথা মাথায় রাখুন। প্রচুর ফল-সবজি, মাছ আর লাল-চাল, আটার তৈরি খাবার খান।

৪. দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলেও আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সব থেকে ভালো হয় এসিতে কম থাকলে। আর যদি থাকতেই হয়, তবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন নিয়মিত।

৫. সারাদিন যারা স্মার্টফোনে থাকেন, তখন হাতটা কোনো টেবিলে রাখুন। অথবা কথা বলার সময় ফোনটি হাত দিয়ে কানে ধরে রাখুন। নয়তো ত্বকে ভাঁজ পড়ে, ডাবল চিন হয়, চেহারা বুড়িয়ে যায়।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


হোটেলের বিছানার চাদর-বালিশ সাদা হয় কেন?.


হোটেলের বিছানার চাদর-বালিশ সাদা হয় কেন?.

  ঘুরতে গেলে হোটেলে তো থেকেছেন নিশ্চয়ই। সব হোটেলের বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার সাদা । কখনো খেয়াল করেছেন? মনে হতেই পারে হোটেলের বিছানার চাদর-বালিশ সাদা হয় কেন?

  নব্বয়ের দশকের শুরুতে ওয়েস্টিন হোটেল গ্রুপ তাদের হোটেলের ঘর গুলোতে সাদা বালিশ, চাদর, তোয়ালের ব্যাপক ব্যবহার শুরু করে। সে সময় ইউরোপ এবং আমেরিকার কয়েকটি নামী হোটেলে সাদা চাদর, বালিশ ব্যবহারের চলন ছিল। তবে ১৯৯০ এর দিকে ওয়েস্টিন এবং শেরাটন হোটেলের ডিজাইন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিন হুভা’র-ই ওয়েস্টিন হোটেল গ্রুপের ঘরগুলোতে সাদা চাদর, বালিশ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। 

  এ ক্ষেত্রে কয়েকটি যুক্তিও দিয়েছিলেন হুভা’র। এরিন হুভা’র এর যুক্তি ছিল, সাদা চাদর, বালিশ হোটেলের অতিথিদের মনে পরিচ্ছন্নতার অনুভূতি তৈরি করে। এনে দেয় মানসিক তৃপ্তি। এরিন হুভা’রের যুক্তি মেনে এই পদ্ধতির ব্যবহারের ফলে ওয়েস্টিনের হোটেলগুলোর ব্যবসা অনেকটাই বেড়েও যায়।

  অতিথিদের পছন্দের হোটেলের তালিকার জায়গা করে নেয় ওয়েস্টিনের হোটেলগুলো। পরবর্তীকালে প্রায় সকলেই এই পন্থা অনুসরণ করতে শুরু করেন।

  সাদা রং অনেক বেশি আলোর প্রতিফলন ঘটায়। তাই সাদা চাদর, বালিশ, পর্দা ব্যবহারের ফলে হোটলের ঘরগুলো আরও উজ্জ্বল বলে মনে হয়।

  তাছাড়া সাদা চাদর, বালিশ, পর্দা ময়লা হলে সবকটি এক সঙ্গেই ধুয়ে নেওয়া যায়। অন্যান্য যে কোনও রঙের ক্ষেত্রে এক রঙের কাপড়ের থেকে আরেকটায় রং লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

এছাড়া সাদা রঙ যে দেখতেও ভাল লাগে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এরিন হুভা’রের এমন যুক্তিও গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে সকলের কাছে।

হোটলের ঘরগুলোর দেওয়ালের রং ঘন ঘন পাল্টানো সম্ভব নয়। ঘরের দেওয়ালের রঙের সঙ্গে বিছানার চাদর, বালিশ বা পর্দার রং না মিললে দেখতেও ভাল লাগে না।

  তাছাড়া ঘন ঘন মানানসই রঙের চাদর, বালিশ আর পর্দা পাওয়া মুসকিল। তাই সাদা রঙের চাদর, বালিশ বা পর্দার ব্যবহারে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হতে পারে অনায়াসে।

‘ব্যতিক্রমী কিছু সৃষ্টি করতে চাইলে, খুঁটিনাটি বিষয়েও নিখুঁত পর্যবেক্ষণ জরুরি’ – এই মতাদর্শকেই সামনে রেখে এরিন হুভা’রের এই পদক্ষেপ হোটেল ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন এনে দেয়।

 সামান্য চাদর, বালিশের রং হোটেল ব্যবসার ক্ষেত্রে বা হোটেলের অতিথিদের ভাবনা চিন্তায় কতটা প্রভাবিত করতে পারে তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন হুভা’র।

  বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শতাধিক নামী হোটেলে এমনই আরও নানা খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে ব্যবহার করা হয় সাদা রঙের চাদর, বালিশ। তবে এরিন হুভা’রের যু’ক্তি বা ব্যাখ্যাগুলোই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য।


আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।