শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

বাড়ির বিদ্যুতের বিল সহজ উপায়ে কীভাবে কমাবেন ?.


বাড়ির বিদ্যুতের বিল সহজ উপায়ে কীভাবে কমাবেন ?.

  আজকাল প্রায় সব বাড়িতেই এসি, কুলার, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন,কিচেন চিমনি, মাইক্রোওভেন এর মতো ইলেকট্রনিক্স অ্যাপলায়েন্স (Electronics Appliances) ব্যবহার হচ্ছে। আর এই কারণেই ক্রমাগত বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল। কিন্তু এমন কিছু উপায় আছে যা অনুসরণ করলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কমানো যেতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী –

১) এসি কেনার সময় ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং দেখে নিন। উইন্ডো এসির পরিবর্তে ইনভার্টার এসি (AC) ব্যবহার করলে খরচ অনেকটা কমবে, এছাড়াও এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে রাখুন। নিয়মিত এসির ফিল্টার পরিষ্কার না করলে বিল বেশি আসবে৷

২) বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য সব ডিভাইসের সুইচ বন্ধ করুন। কারণ বেশিরভাগ ডিভাইস স্ট্যান্ডবাইতে রাখার কারণে অকারণে বিদ্যুৎ বিল বাড়তে থাকে। তাই সব অ্যাপলায়েন্স সুইচ থেকে বন্ধ করে বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো যেতে পারে।

৩) কোথায় ও কী ভাবে ফ্রিজ লাগানো হয়েছে তা বিদ্যুৎ বিলের (Electric Bill) উপরে প্রভাব ফেলে। ঘরে এমন জায়গায় ফ্রিজ রাখা উচিত যেখানে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল করতে পারে। দেওয়াল থেকে অন্তত ২ ইঞ্চি দূরে রাখা উচিত ফ্রিজ।

৪) ঘরে কেউ না থাকলে অকারণে ফ্যান চালিয়ে রাখবেন না এবং সবসময় রেগুলেটর থেকে বন্ধ না করে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করবেন। আগে সিলিং ফ্যানে 90 ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ হতো। এখন তা কমে ২৫-৩০ ওয়াট হয়েছে। যেহেতু ঘরে বেশিরভাগ সময় ফ্যান চলতে থাকে তাই নতুন প্রযুক্তির ফ্যান ব্যবহারে অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন।

৫) ঘরে আলো বদল করেও অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যেতে পারে। পুরনো টিউব লাইটে প্রায় ৪০ ওয়াট এর বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়, যদিও এলইডি (LED) আলো লাগিয়ে বাড়িত বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কমাতে পারবেন।

৬) ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারে অনেক বেশি বিল আসে৷ তাই খরচ কমাতে চাইলে অল্প জামা কাপড় হাতে কাচতে পারেন এবং ড্রায়ার ব্যবহারের বদলে বারান্দা বা ছাদে কাপড় শুকোতে দিতে পারেন৷

৭) ওয়ার্ক ফ্রোম হমার ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ বেবহার করছেন অনেকেই ৷ তবে যখন উঠছেন অর্থাৎ ব্রেক নিচ্ছেন, তখন কম্পিউটার স্লিপ মোডে রাখলে কিছুটা সাশ্রয় হবে বিলে৷

৮) ইস্ত্রি মেশিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাওয়ার বেশি লাগে৷ তাই একবার মেশিন গরম হলে সেটা বন্ধ করে জামা কাপড় ইস্ত্রি করে আবার ঠান্ডা হলে সুইচ অন করতে হবে৷ এতে কম খরচ হবে বিদ্যুৎ৷

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২

সরিষার তেলের ১৩টি অজানা উপকারিতা কি কি ?.


সরিষার তেলের ১৩টি অজানা উপকারিতা কি কি ?.

 
 বাজারে সয়াবিন তেলের আবির্ভাবের পর আমরা অনেকেই সরিষার তেলের উপকারিতার কথা ভুলে গেছি। অথচ এক সময় সরিষার তেলই ছিল আমাদের রান্নার প্রধান উপকরণ। এখনও সরিষা বা সরিষার তেল প্রতিটি বাড়ির রান্না ঘরেই রয়েছে যা – রান্নায়, ভর্তা বানাতে এমনকি মালিশের কাজেও ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে এই তেলের ব্যবহার অতি প্রাচীন। ৩০০০ খৃষ্টপূর্ব আগে থেকে ভারতে চিকিৎসা শাস্ত্রে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সরিষা দানা পিষে সরিষার তেল তৈরি করা হয়। এর রঙ ঘন লালচে হলুদ এবং এর গন্ধ ঝাঁঝালো। খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল স্বাস্থ্য উপকারি। 

সরিষার তেলে কি আছে ?.

  সরিষার তেল মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (Monounsaturated fat) এবং প্রদাহ বিরোধী (anti-inflammatory) উপাদানে সমৃদ্ধ। এছাড়াও সরিষার তেল মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (Monounsaturated fat) ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড, এন্টি অক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থে ভরপুর। এতে খুব অল্প পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি রয়েছে।

সরিষার তেল ২ উপায়ে তৈরি হয় –

১। কাচ্চি ঘানি (Cold pressed)

  এই প্রক্রিয়ায় সরিষার দানা সরাসরি পিষে এ থেকে তেল বের করা হয় এই তেল হয় খুব ঘন এবং ঝাঁঝযুক্ত। এই তেল সবচেয়ে বেশী স্বাস্থ্য উপকারী। এটা হজম শক্তি বাড়ায়, হৃদপিন্ড ভাল রাখে, চুল গজানোয় সাহায্য করে এবং শরীরের মাংশ শক্ত হয়ে যাওয়া (muscle stiffness) রোধ করে। 

২। এসেনশিয়াল অয়েল (Mustard Essential oil) 

এই পদ্ধতিতে পেষা সরিষার দানার সাথে পানি, ভিনেগার অথবা অন্য কোন তরল মিশিয়ে বানানো হয়। এই তেল হয় অনেক পাতলা। সরিষার দানায় মাইরোসিনেইস (Myrosinase) এবং সিনিগ্রিন (Sinigrin) নামে দ’টি উপাদান আছে। পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে এই দু’টি উপাদান বিষাক্ত কম্পাউন্ড সৃষ্টি করে। তাই এই ধরণের তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

সরিষার তেলের উপকারিতা –

১। হজম প্রক্রিয়া – সরিষার তেল হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে। 

২। ব্যথা কমায় – সরিষার তেলে থাকা প্রদাহ বিরোধী (Anti-inflammatory) উপাদান ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথা, অন্যান্য জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস (বাত) এবং রিউম্যাটিক এর ব্যথাও দূর করে।

৩। ক্যান্সার রোধক – এই তেলে থাকা গ্লুকোসিনোলেট (Glucosinolate) নামক উপাদান মলাশয় ক্যান্সার এবং অন্ত্রের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।

৪। ফুসফুস পরিষ্কার – সরিষার তেল এক ধরণের ডিকঞ্জেস্টেন্ট বা শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কারক। এই তেলের সাথে রসুন মিশিয়ে বুকে ও পিঠে লাগালে কফজনিত সমস্যার সমাধান হয়।

৫। হৃদিপিন্ড সুস্থ রাখে সরিষার তেল – সরিষার তেলে থাকা মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে হৃদরোগের ঝুঁকি ৭০% কমিয়ে আনতে পারে।

৬। এজমা রোগে সরিষার তেল – এজমা এটাক (Asthma Attack) হলে সরিষার তেল বুকে ঘষলে শ্বাস নেয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়। সবসময় এর ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

৭। ত্বক ও চুলের যত্নে সরিষার তেল – শীতের সময় এই তেল ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং শরীর গরম থাকে। এই তেলের ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাঙ্গাস বিরোধী গুণাগুণ ত্বক ও চুলকে উজ্জ্বল করে তুলে। এই তেল ব্যবহার করলে ত্বক কখনই কালো হয় না বরং ত্বকের টোনের উন্নতি হয়।

৮। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে – রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাভিতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল দিলে সুফল পাওয়া যায়।

৯। স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও চেতনার উন্নয়নে – সরিষার তেল স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও চেতনার উন্নয়নে সহায়তা করে।

১০। মাসিকের ব্যথা – মেয়েদের মাসিকের ব্যথা এবং গ্যাস ও বদহজম জনিত পেটের ব্যথায় সরিষার তেল পেটে মালিশ করলে সুফল পাওয়া যায়।

১১। পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানো – পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানোর জন্য ঔষধ হিসাবে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়। এর গন্ধে পোকামাকড় কাছে ঘেঁষে না।

১২। ওজন কমাতে সরিষার তেল – রিবোফ্ল্যাভিন (Riboflavin) ও নায়াসিন (Niacin) সমৃদ্ধ সরিষার তেল শরীরে মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

১৩। দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় – সুস্থ দাঁত ও জিঞ্জাভাইটিস ও পেরিওডন্টাইটিস রোগ প্রতিরোধে সরিষার তেল সহায়ক।  ১/২ চা চামচ সরিষার তেল + ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া + ১/২ চা চামচ লবন মিশিয়ে দাঁত ও মাড়িতে হালকা করে দুবেলা ঘষুন।  সতর্কতা – সরিষার তেলে থাকা ইরিউসিক এসিড (Erucic Acid) -এর কারনে রান্নার কাজে এই তেল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপে ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে এটা বাহ্যিক ব্যবহার যেমন মালিশের জন্য এসব দেশে নিষিদ্ধ নয়।

  সতর্কতা – সরিষার তেলে থাকা ইরিউসিক এসিড (Erucic Acid) -এর কারনে রান্নার কাজে এই তেল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপে ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে এটা বাহ্যিক ব্যবহার যেমন মালিশের জন্য এসব দেশে নিষিদ্ধ নয়।

  শেষ কথা – বাজারে পাওয়া সব তেলের মধ্যে সরিষার তেল সব থেকে বেশী স্বাস্থ্যকর। তবে এটা হতে হবে খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল বা কোল্ড প্রেসড (Cold Pressed) । যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেশগুলিতে নিষিদ্ধ হলেও সরিষার তেল অন্যান্য দেশ বিশেষ করে এশিয়ার সর্বত্র রান্নার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশএর ব্যতিক্রম নয়। ইদানিং অনেকেই সয়াবিন তেলের পরিবর্তে খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল ব্যবহার করা শুরু করেছেন।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



বুধবার, ২২ জুন, ২০২২

ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুখী দম্পতিরা কোন ১০টি কাজ করেন ?.


ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুখী দম্পতিরা কোন ১০টি কাজ করেন ?.

 ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার সঙ্গীর সাথে কিছু সময় কাটানো জরুরি। হোক সে কয়েক ঘণ্টা অথবা কয়েক মিনিট। দাম্পত্য জীবনে আনন্দ আনার জন্য একে অপরের সাথে মজা করা, কথা বলা এবং ভালোবাসা প্রকাশই যথেষ্ট। আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখময় করার জন্য সাইকোলজিস্টরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যা এই আর্টিকেল থেকে জানবেন। 

১. ফোন দূরে রাখুন –

  সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটালে আবেগ এবং বন্ধনের জন্য জরুরি হরমোন অক্সিটোসিনের নিঃসরণ কমে যায়। সাইকোথেরাপিস্ট কোরল কেরির পরামর্শ হলো - রাত ৯টার পরই আপনার ফোন বন্ধ করে দিন বা হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।

২. কাজের চিন্তা ভুলে যান –

  কাজের চিন্তা মাথা থেকে দূরে সরিয়ে দিন এবং বিছানয় শুয়ে ইন্টারনেট চেক করার অভ্যাস বাদ দিন। এর চেয়ে ভালো হয় নিজেদের মধ্যে কিছু সময় ব্যয় করুন, যার ইতিবাচক ফলাফল পরের দিনই টের পাবেন। বিছানায় শুয়ে শুয়ে কথা বললে দম্পতিদের বন্ধন বেড়ে যায় এবং দৈনন্দিন সমস্যার কথা মাথা থেকে বেরিয়ে হয়। ফলে আপনি মানসিক ভাবে আরাম বোধ করবেন। এ সময় কাজের কথা, অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বা অন্য যেকোনো বিষয় যা আপনার সঙ্গীকে ভয় পাইয়ে দেয় এমন কিছু কথা বলবেন না। 

৩. আপনার সঙ্গীর সাথে একই সময় বিছানায় যাবেন –

  অনেক দম্পতি ব্যস্ততার কারণে সারা দিন একে অপরের দিকে তাকানোরও সময় পান না এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘুমাতে যান। সাইকোলজিস্ট কার্ট স্মিথের মতে, সুখী দম্পতিরা রাতে খাওয়ার পর এক সাথে দাঁত ব্রাশ করেন এবং একই সময়ে ঘুমতে যান। এই বিষয়টি তাদের দাম্পত্য জীবনের বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।

৪. একটি রুটিন মেনে চলুন –

   প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস আপনার ঘুমের অসুবিধা দূর করবে। যখন সব সময় একই রুটিন মেনে চলবেন তখন, আপনার মস্তিষ্ক ঘুমানোর নির্দেশ পাবে এবং শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করবে। যদি আপনার সঙ্গীর সাথে এই একই রুটিন মেনে চলেন তাহলে আপনাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে।

৫) হৃদয়ে-হৃদয়ে কথা বলুন –

  একে অন্যের অনুভূতির প্রতি মনোযোগী হোন। আপনাকে উপদেশ দিতে হবে না বা সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হবে না। সাইকোলজিস্ট রেয়ান হাউইস পরামর্শ দেন, ঘুমনোর আগে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। এতে পরের সারা দিন সুখী সুখী ভাব বিরাজ করবে আপনার মধ্যে। ফলে আপনার জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সারাদিন কি হয়েছে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন, এবং আপনার সকল সমস্যা এবং ভাবনা শোয়ার ঘরের দরজার বাইরে রেখে আসুন। যখন আপনি হৃদয় দিয়ে কথা বলবেন তখন তা খুব গুরুত্বের সাথে এবং মনোযোগ দিয়ে বলা জরুরি।

৬. তর্ক এবং বাজে আচরণ থেকে বিরত থাকুন –

  কার্ট স্মিথ মনে করিয়ে দেন যে, বিছানায় যাওয়ার আগে অবশ্যই ঝগড়া করা যাবে না। ঝগড়া কখনো সমাধানের পথ দেখায় না। তার উপর রাগ নিয়ে যখন ঘুমাতে যাবেন তখন আপনার চোখে ঘুম আসবে না এবং পরের দিন খুব বাজে কাটবে।

৭. শিশুদের আলাদা ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা করুন –

   সাইকোলজিস্ট মাইকেল ভিনর-ডেভিস এর মতে, আপনার শিশু যদি একা ঘুমাতে ভয় পায়, দুঃস্বপ্ন দেখে তাহলেই কেবল সাথে নিয়ে ঘুমন। আর অন্য সময় শোয়ার ঘরকে নিজেদের করে রাখুন। নিজেদের ভালোবাসা এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এটুকু ছাড় আমাদের দিতে হবে।

৮. পোষা প্রাণিদের বিছানায় নেবেন না –

  কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিছানায় পোষা প্রাণি নিয়ে শুতে যান তাদের ৬৩% ভালোভাবে ঘুমতে পারেন না। পোষা প্রাণিরা সারা রাত এক নাগারে ঘুমতে পারে না এবং আপনার ঘুম ভাঙ্গিয়ে বিরক্ত করে। আর তাছাড়া শোয়ার ঘরে পোষা প্রাণির উপস্থিতি একদম ঠিক না 

৯. শোয়ার ঘরে ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন –

  অনেক দম্পতি শোয়ার ঘরে ধূমপান ও মদ্যপান করে থাকেন। বিশেষ করে পুরুষ সঙ্গী। এতে ঘরের পরিবেশ দূষিত হয়, এবং মুখে বাজে গন্ধ তৈরি করে। ফলে নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগ্রহ কমে যায়। এরা অনিদ্রার জন্যও দায়ী। তাই শোয়ার ঘরে কখনো ধূমপান বা মদ্যপান করবেন না।

১০. একে অপরকে ম্যাসাজ করে দিন –

  ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অব স্লিপ নিশ্চিত করেছে যে, ঘুমানোর আগে সামান্য ম্যাসাজ আপনার ঘুমের মান উন্নত করবে। পাশাপাশি ভয়, জড়তা দূর করে দম্পতিদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ করে দেয়। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

শারীরিক মিলনের পূর্বে কী কী খাবার খাওয়া উচিত ?.


শারীরিক মিলনের পূর্বে কী কী খাবার খাওয়া উচিত?.

  খাবার হলো সকল জীবেন শক্তির উৎস। সেক্সুয়াল জীবন প্রতিটি মানুষই একটা সময় অতিবাহিত করে থাকেন। এজন্যই প্রতিটি মানুষের কিছু সেক্সুয়াল টিপস জেনে রাখা প্রয়োজন। আর এই সেক্সুয়াল লাইফ অতিবাহিত হয় পুষ্টিকর খাবার দাবারের মাধ্যমে।

শারীরিক মিলনের পূর্বে যে ধরণের খাবার খেতে হয় –

  সবাই চান যে শারীরিক মিলনের মুহূর্তটি কতটা আবেগঘন করা যায়, কতটা রোমান্টিক করা যায়। আর এই চাওয়ার পরিপূর্ণতা দিতেই বিছানার সময়টুকুতে কিছু সেক্সুয়াল কৌশলের আশ্রয়ে রোমান্টিক আর বিস্ময়পূর্ণ করার লক্ষ্য সকলেরই থাকা উচিত। এটা ঠিক যে শারীরিক মিলনের সময়ে একেকটি মানুষের পারফরমেন্স একেক রকম হয়ে থাকে। কিন্তু এই ভিন্ন পারফরমেন্সের ভেতরে অবলম্বন করা কৌশল যদি একই রকমও হয়ে থাকে তাতে শারীরিক মিলনের মুহূর্তটি হতে পারে স্বর্গারোহনের সমতুল্য।

  এবারের আয়োজনে আপনাদের জানানো হবে এমন কিছু খাবারের নাম যেগুলো শারীরিক মিলনের পূর্বে আহার করলে আপনি অনেক বেশি উত্তেজিত হবেন এবং শারীরিক মিলনের স্বর্গসুখ অনুভব করবেন। শারীরিক মিলনৈর মুহূর্তটিকে আনন্দঘন করতে আপনি চাইলে খেতে পারেন কিছু সেক্সি ফুড। 

আম –

  আম মিষ্টি জাতীয় একটি ফল। এটি আপনাকে শারীরিকভাবে উত্তেজিত করতে সহায়ক। শারীরিক মিলনের পূর্ব মুহূর্তে অর্থাৎ বিছানায় যাওয়ার আগে কয়েক ফালি আম ফল খান এবং কিছুটা সময় শারীরিকভাবে উত্তেজিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।

ক্যান্ডি –

 অনেকেই মনে করেন ক্যান্ডি শুধুমাত্র বাচ্চাদের খাবার হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু এটি ঠিক না। এই মিষ্টি ক্যান্ডিও আপনার সেক্সুয়াল মুহূর্তের সঙ্গী হতে পারে। ডিলিশাস ক্যান্ডি একজনের প্রতি আরেকজনের আকৃষ্টতা তৈরি করতে পারে।

পুদিনা পাতা –

  এটি শুধু ঔষধি হিসেবে কাজ করে তা নয়। এটি খেলে হালকা উন্মাদনাও তৈরি হয়। তাই শারীরিক মিলনের পূর্ব মুহূর্তটিতে পুদিনা পাতা খেতে পারেন যথেষ্ট উত্তেজিত হয়ে প্রিয়জনকে শারীরিক মিলনের উৎসাহ দিতে পারেন।

তরমুজ -

  অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই তরমুজ ফল আপনাকে এক মুহূর্তের জন্য উত্তেজিত করে তুলতে পারে। তরমুজ পানীয় জাতীয় একটি ফল যা আপনাকে এক ধরনের ভেজা অনুভূতি দিতে পারে।

শসা –

 শসা আপনার শরীরকে শীতল অনুভূতি যোগাতে সক্ষম আর প্রিয়জনকে আকৃষ্ট করতে এই শীতল অনুভূতির আবেদন অনেক বেশি প্রয়োজন।

সুশি –

  জাপানের একটি বিখ্যাত খাবার হল এই সুশি। এই খাবারটি আপনাকে এত উত্তেজিক করবে যে ফ্লোর প্লে এর সময়ে আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে হয়ে উঠবেন সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট আর আবর্ষণীয়। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



পৃথিবীতে কোন দেশের মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সুন্দরী ?.


পৃথিবীতে কোন দেশের মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সুন্দরী ?.

   নারীর সৌন্দর্য নিয়ে কবি, সাহিত্যিকরা কত কবিতা ও গল্পই না লিখেছেন। প্রত্যেক নারীর মধ্যে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য আছে। তবুও কয়েকটি দেশের নারীরা তাদের সৌন্দর্যের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। তেমনই একটি দেশ ইউক্রেন।

  রাশিয়ার পর ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ইউক্রেন। ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর, এটি এখন একটি পৃথক দেশ। এখানে কৃষি থেকে প্রচুর আয় হয়। কৃষি উৎপাদনের দিক থেকে ইউক্রেন বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এখানে শিক্ষিতরাও আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন।

  জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ গ্রামে বাস করে। এর পূর্বে রাশিয়া, উত্তরে বেলারুশ, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, পশ্চিমে হাঙ্গেরি, দক্ষিণ-পশ্চিমে রোমানিয়া ও মলদোভা এবং দক্ষিণে কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগর রয়েছে। ইউক্রেনের জীবনযাত্রা বেশ ভালো। সোভিয়েত ইউনিয়নের থেকে আলাদা হওয়ার পরে এটি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল।

  তবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও এর উন্নতি আরো ভালো হয়েছে। ইউক্রেনের শহরগুলো সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন থাকে। কিয়েভ ইউক্রেনের রাজধানী। ইউক্রেন বিমান তৈরির জন্যও বিখ্যাত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানও তৈরি করেছে ইউক্রেন। এখানকার জনসংখ্যার অধিকাংশই খ্রিস্টান, যারা ইউক্রেনীয় ভাষায় কথা বলেন। ক্রিমিয়া নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে এই দেশের বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।

  এখানকার মেয়েদের পৃথিবীর সব থেকে সুন্দরী হিসেবে গণ্য করা হয়। তারা বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভালোবাসার যোগ্য। এখানে ডেটিং বেশি হয়, তবে ইউক্রেনের মেয়েরা খুবই আবেগপ্রবণ এবং মেজাজপূর্ণ। তারা স্মার্ট এবং শান্ত স্বভাবের। এখানে মেয়েরা তাদের নিজস্ব ইচ্ছে অনুযায়ী জীবন কাটানোর স্বাধীনতা পায়।

  ইউক্রেনের আবহাওয়া একেক জায়গায় একেকরকম। ইউক্রেন আয়তনে এত বড় যে এর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে বিভিন্ন ধরনের আবহাওয়া রয়েছে। এখানে উত্তরে গড় তাপমাত্রা ৫.৫ ডিগ্রি থেকে ৭ ডিগ্রি, দক্ষিণে ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি থাকে। গ্রীষ্মকাল খুব গরম হয় না। তাপমাত্রা ১৭ থেকে ২৫ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। তবে এখানকার শীত রুক্ষ এবং প্রচুর বরফ পড়ে।

  ইউক্রেনের ঐতিহ্যবাহী খাবার খুবই সুস্বাদু। মুরগির মাংস, শুয়োরের মাংস, গরুর মাংস, ডিম, মাছ এবং মাশরুম এখানে বেশ জনপ্রিয়। ইউক্রেনের লোকেরা আলু, শস্য এবং তাজা শাকসবজি এবং ফল পছন্দ করেন।

 এসব খাবার ছাড়াও ওয়াইন এবং বিয়ার খুব পছন্দ করেন। এখানকার খাবারে বৈচিত্র্য বেশি। ইউক্রেন বিভিন্ন ধরণের রুটির জন্য বিশেষভাবে বিখ্যাত। এখানকার মানুষ রুটি খেতে ভালোবাসে। খাবার এবং স্ন্যাকসেও পনির প্রচুর ব্যবহার করা হয়। এখানে প্রতি ১০০ মিটারে একটি ক্যাফে অবশ্যই পাওয়া যায়।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


মেদ ঝরানোর বিস্ময়কর ১৭টি খাবার কি কি ?


মেদ ঝরানোর বিস্ময়কর ১৭টি খাবার কি কি ?.

  শুনতে আশ্চর্য হলেও এটা সত্য যে কিছু খাবার আছে যা খেলে শরীরের মেদ প্রাকৃতিক উপায়েই কমানো যায়। অতএব আপনি যদি শরীরের মেদ গলানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপাতত সব ভুলে এই ১৭টি খাবার খেয়ে দেখুন। 

১। গ্রীন টি –

  আপনি যদি দিনে ৪ থেকে ৫ কাপ গ্রীন টি পান করেন, তা আপনাকে শুধু এনার্জিই দেবে না বরং মেটাবলিযম বৃদ্ধি করবে এবং আপনার মেদ কমাবে, এমনকি আপনার পেটের চর্বিও। গ্রীন টি’তে থাকা এপিগ্যালোক্যাটেচিন-৩ গ্যালেট (Epigallocatechin-3-gallate EGCG) নামক পলিফেনল (Polyphenol) -এর জন্য দায়ী। এছাড়া গ্রীন টিতে আছে থিয়ানিন (Theanine) নামের এমিনো এসিড যা আপনাকে মানসিকভাবে সজাগ এবং শান্ত থাকতে সাহায্য করে, তাই খাবার সময় আপনি স্বাস্থ্যকরে খাবার বেছে খাবেন। মানসিক চাপে থাকলে মানুষ সাধারণতঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকে। 

২। শুকনো আলু বোখারা –

  শুকনো আলু বোখারা বা ড্রাইড প্লাম আজকাল সুপার শপগুলিতে সবসময় দেখা যায়, বিশেষ করে সাকুরা ব্র্যান্ডের ড্রাইড প্লাম খুবই জনপ্রিয়। ড্রাইড প্লাম শুধু খেতেই মজাদার নয়, এটা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করার একটি খুব ভাল খাদ্য। ড্রাইড প্লামে আছে প্রচুর ফাইবার যা পেট ভরা রাখে এবং কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমায়। 

৩। আপেল –

  প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর জন্য একটি আদর্শ খাদ্য হচ্ছে আপেল। গবেষণায় দেখা গেছে আপেলের ফাইবার পেটের চর্বি কমায়।  

৪। সবুজ পাতাবিশিষ্ট শাক –

  পালং শাক, কলমি শাক, ইত্যাদিতে আছে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট। এসব শাকে আছে সালফোকিনোভোয Sulfoquinovose (SQ) নামক উপাদান যা আপনার কোমরের চর্বি কমাবে। নেচার কেমিক্যাল বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা মতে SQ অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হতে সাহায্য করে যার ফলে অন্ত্রের প্রদাহ কমে এবং পেটের মেদ কমে।

৫। মিষ্টি কুমড়া –

  প্রতি আধা কাপ মিষ্টি কুমড়ায় আছে শুধু ৪০ ক্যালরি এবং ৫ গ্র্যাম ফাইবার, তাই এটা আপনার পেট রাখবে চর্বিহীন। 

৬। লেবু –

  লেবু জল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এটা আপনি পান করতে পারেন ঠান্ডা অথবা গরম। লেবুর ভাইটামিন সি পেট ফাঁপা কমায় এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে। আর গ্রীন টি’র সাথে লেবু জল আরো উপকারি।

৭। ডার্ক চকোলেট –

  ডার্ক চকোলেটের পলিফেনল আপনাকে সাহায্য করবে ক্ষতিকারক ফ্রী র‍্যাডিক্যাল এবং চর্বির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। লুইযিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের অন্ত্রের মাইক্রোব চকোলেটকে বিউটিরেইটে (Butyrate) রূপান্তরিত করে, যা আপনার শরীরকে অনুপ্রাণিত করে জ্বালানি হিসেবে চর্বি খরচ করতে।

৮। টমেটো –

  টমেটোর জল ও পটাশিয়ামের সমন্বয়তা খুব দ্রুত আপনার কোমর চিকন করবে এবং পেট ফাপা কমাবে। এছাড়া টমেটোয় আছে প্রচুর ফাইবার যা আপনার কোষ্টকাঠিন্য দূর করবে। টমেটোতে ক্যালরি খুবই কম তাই প্রচুর টমেটো খেলেও ওজন বাড়বে না।

৯। লাল মরিচ –

  লাল মরিচ বা লাল মরিচের গুড়ো শুধু আপনার খাবারে শুধু ঝাঁঝই দেয় না এটা আপনার মেটাবলিযম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন লাল মরিচ খেলে এর উপাদান ক্যাপসেইসিন (Capsaicin) খাদ্যকে খুব দ্রুত শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে, ফলে পেটের মেদ কমে। 

১০। ডিম –

  নিউট্রিশান রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় ২১ জন পুরুষকে ২ ভাগে ভাগ করে এক ভাগকে দেয়া হয় ডিম ছাড়া সকালের নাশ্তা এবং অন্য ভাগকে দেয়া হয় ডিমসহ নাশ্তা। দেখা যায় ডিম খাওয়া দলের অংশ গ্রহনকারীরা ৩ ঘন্টা পর কম ক্ষুধার্ত হয়। এছাড়া এই দলের পুরুষরা নাশ্তার পর সারাদিন অন্যান্যদের তুলনায় কম ক্যালরি গ্রহন করে।

১১। আভোকাডো –

  আভোকাডোয় আছে ফ্যাট, কিন্তু এটা মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা আপনার ক্ষুধা কমায় এবং পেটে মেদ জমা বন্ধ করে। ইউরোপে ৯০,০০০ মানুষের উপর করা এক গবেষণায় এই তথ্য জানা যায়।

১২। বীট –

  বীটের উপকারিতা অসংখ্য। আজকাল বীট বাজারে সবসময় পাওয়া যায়। বীটে আছে বিটেইন (Betaine) নামক এমিনো এসিড, যা মেটাবলিযম বাড়ায়, ইন্সুলিন রেযিস্ট্যান্স কমায়, মুড ভাল রাখে, ফ্যাট জীনগুলি বন্ধ করে দেয়, এবং পেটের মেদের কারণে উৎপন্ন প্রদাহজনিত মার্কারকে আক্রমণ করে। নিউট্রিয়েন্টস (Nutrients) নামক জার্নালের এক গবেষনায় এটা জানা যায়।

১৩। নারকেল তেল –

  লিপিডস (Lipids) নামের জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায় যেসব অংশগ্রহনকারী খাবারে নারকেল তেল ব্যবহার করেছেন তাঁদের পেটের মেদ অনেকাংশে কমেছে যারা খাবারে সয়াবীন তেল ব্যবহার করেছিলেন তাঁদের তুলনায়।

১৪। হলুদ –

  অঙ্কজীন (Oncogene) জার্নালের এক গবেষণায় বলা হয় হলুদের প্রধান উপাদান এন্টি অক্সিডেন্ট কারকিউমিন (Curcumin) প্রদাহ বিরোধী খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। যেহেতু পেটের চর্বির কারণে প্রদাহ হয় এবং পেটের চর্বি কমানো কঠিন হয়ে পড়ে, তাই আপনি প্রতিদিন হলুদ দুধ পান করে দেখতে পারেন, বলেন বিশেষজ্ঞরা।

১৫। কলা –

  যখন আপনি কম ঘুমান তখন আপনার শরীর ঘ্রেলিন (Ghrelin) নামক ক্ষুধার হর্মোন বেশী পরিমাণে উৎপাদন করে এবং আপনাকে বেশী খেতে অনুপ্রাণিত করে। সবসময় কলা খেলে এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম আপনার মাংশপেশীকে রেল্যাক্স করে শুধু আপনার ঘুম ভাল করবে না, কলা আপনাকে পাতলা থাকতে সাহায্য করবে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মহিলা প্রতিদিন দু’বার খাবারের সাথে কলা খেয়েছেন তাঁদের পেটের মেদ ৫০% কমেছে।

১৬। দারুচিনি –

  আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশানে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে এই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণকারী মশলাটি শরীরে ইন্সুলিন নির্গমন কমায় এবং চিনিকে চর্বিতে রূপান্তর হওয়া রোধ করে। 

১৭। গোল মরিচ –

  গোল মরিচের উপাদান পিপারিন (Piperine) চর্বি গলিয়ে আপনার কোমরকে পাতলা করে এবং কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া গোল মরিচের গুণাবলী অনেক এবং এটা ডিম, সালাদ বা সূপের সাথেও খাওয়া যায়। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


যৌন মিলনের সময় কোন ৫ টি ভুল করেন পুরুষরা ?.


যৌন মিলনের সময় কোন ৫ টি ভুল করেন পুরুষরা ?.

  সুখী দাম্পত্যের অন্যতম চাবিকাঠি সুখী যৌনজীবন। আর সুখী যৌনজীবনের জন্য অবশ্যই দরকার ঠিক শিক্ষা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষরা মিলনের সময়ে করে বসেন এমন কিছু ভুল, যাতে ভাটা পড়ে যৌনতার আনন্দে। জেনে নিন সুখী যৌনজীবন পেতে হলে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

১) যৌনতা মানে শুধুই যৌন মিলন নয়। ব্যক্তিগত কথোপকথন, স্নেহ-চুম্বন সবই ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষকরা বলছেন, কয়েক সেকেন্ডের আলিঙ্গনও অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে, এই হরমোনের প্রভাবেই বাড়ে যৌন উত্তোজনা। সঙ্গমের আগে স্নেহ-স্পর্শগুলি বেশ উপভোগ করেন মহিলারা। তাই মহিলাদের চাহিদার কথাও মাথায় রাখতে হবে। উত্তেজনার বশে তাড়াহুড়ো করে ফেলা যৌন মিলনের আনন্দে অনেকটাই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

২) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যৌনতার একটি পূর্ববর্তী ধারণা মাথায় গেঁথে নেন পুরুষরা। মিলনের সময়ে এক বার যে কাজগুলি সঙ্গী আনন্দ দিয়েছিল, পরের বার সেই পন্থা কাজে না-ও আসতে পারে। যৌনতার সময়ে কথা বলুন সঙ্গীর অনুভূতি সম্পর্কে। জানতে চান তিনি আদতেও উপভোগ করছেন কি না গোটা বিষয়টি। সঙ্গী বেশি উত্তেজিতবোধ করলে আপনার যৌনসুখ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

৩) যৌনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। তবে এটি একটি নিয়মিত অভ্যাস। কেবল যৌন মিলনের আগে ও পরে যৌনাঙ্গ সাফ করলেই এই পরিচ্ছন্নতা প্রকাশ পায় না। শুধু যৌন মিলনই নয়, যৌন স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও নিয়মিত যৌনাঙ্গ সাফ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে দূরে থাকে যৌন রোগ। অপরিষ্কার যৌনাঙ্গের কারণে সঙ্গী মিলনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

৪) পুরুষরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীর যৌনতাবোধ ও যৌন চাহিদার সন্তুষ্টি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন বোধ করেন না। অথচ যৌনতার চরম সুখ উপভোগ করার জন্য পুরুষ ও নারীর মেহন সমান গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই যৌন জীবনকে সুখী করতে শুধু নিজের সন্তোষের কথা ভাবলেই চলবে না।

৫) বিশেযজ্ঞদের মতে, অনেক পুরুষ চরম পরিণতিতে পৌঁছানোর তাড়ায় সঙ্গীর বহু ইচ্ছা উপেক্ষা করে বসেন। ফলে সঙ্গী হয়তো সাধারণ আদর, আহ্লাদ চান, তা উপেক্ষা করে বসেন।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২

পরকীয়া লুকাতে কারা বেশি এগিয়ে, নারী নাকি পুরুষ ?.


পরকীয়া লুকাতে কারা বেশি এগিয়ে, নারী নাকি পুরুষ ?.

  বেশি প্রতারণা করে, নারী নাকি পুরুষ? এই প্রশ্ন একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করেন অনেকেই! এর উত্তরে কেউ কেউ আবার জানান, পুরুষদের প্রতারণার প্রবণতা নারীদের চেয়ে বেশি।

২০১৮ সালের এক সামাজিক জরিপ দ্বারা সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, প্রায় ২০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও ১৩ শতাংশ বিবাহিত নারী সঙ্গীকে ছেড়ে অন্য কারও সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। এই সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, পরকীয়ায় জড়ানো পুরুষের সংখ্যা নারীর চেয়ে বেশি হলেও বিষয়টি লুকাতে কারা বেশি পারদর্শী তা কি জানেন?

  রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালের এক নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, পুরুষের চেয়ে পরকীয়া লুকাতে নারীরা বেশি পারদর্শী। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১০১ ককেশীয় পুরুষ ও ৪৪ জন নারীর ছবি সংগ্রহ করেছেন।

  যারা গবেষকদের কাছে প্রকাশ করেছেন যে, অতীতে তারা সঙ্গীর সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ও পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। তবে প্রতারণা করেছেন এমন পুরুষ সঙ্গীর কাছে ধরা পড়লেও নারীদের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টোটি। তারা কোনো না কোনাভাবে ঠিকই পরকীয়ার বিষয়টি লুকিয়ে গিয়েছেন।

  গবেষকরা প্রতিটি ছবিকে বিশ্লেষণ করতে ১৫০০ শ্বেতাঙ্গ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর আরও এক সমীক্ষা চালান। যেখানে পরকিয়ায় লিপ্ত ওইসব নারী-পুরুষের ছবি দেখিয়ে তাদের সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করতে বলেন।

  বিশেষজ্ঞরা দেখেন, যে পুরুষ ও নারী উভয়ই একজন পুরুষের চরিত্র কতটা ভালো বা খারাপ কিংবা তিনি পরকীয়ায় লিপ্ত কি না তা মুখ দেখে অনুমান করা গেলেও কেউই একজন নারীর পরকিয়া ধরতে পারেননি।

  ম্যানহাটন-ভিত্তিক মনোচিকিৎসক ডা. কেনেথ রোজেনবার্গ এ বিষয়ে জানান, ২০ শতাংশ পুরুষই প্রতারণা করেন। তবে এই সংখ্যা গত ২০ বা তার বেশি বছর ধরে স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে এটি ১৫ শতাংশ হলেও এই সংখ্যা গত ২০ বছরে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তিনি আরও সতর্ক করেছেন যে, ৩৫ বছরের কম বয়সী নারীদের মধ্যে সম্পর্কে লুকোচুরির প্রবণতা বেশি।

  এ ধরনের গবেষণার উপর ভিত্তি করে বাস্তব খুঁজে বের করা বা কাউকে দায়ী করা মোটেও ঠিক নয়। কারণ এসব গবেষণা সব সময় যে সমাজের সব স্তরের উপর নির্ভর করবে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কোন বয়সে পুরুষদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা সবথেকে বেশি থাকে ?.


কোন বয়সে পুরুষদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা সবথেকে বেশি থাকে ?.

  পুরুষ যেকোন বয়সেই সন্তান জন্ম দিতে পারে- এমন একটা ধারণা অনেকের মনেই রয়েছে। তাদের ধারণা সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স কোন বিষয়ই নয়। কিন্তু বাস্তবে এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে যেমন মেয়েদের বয়স গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি পুরুষেরও। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমতে থাকে। 

  বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়স হল পিতা হওয়ার আদর্শ সময়। তবে এ কথাও ঠিক যে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।  

  গিনেস বুক রেকর্ডসের মতে, ৯২ বছর বয়সী এক পুরুষ সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৪০ বছরের পর পুরুষদের ক্ষেত্রেও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।

  মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুবন্ধের পরে সন্তানধারণের কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। কিন্তু ছেলেদের শরীরে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া কখনও বন্ধ হয় না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের মহিলাদের মতো ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ নেই।

  পুরুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের শুক্রাণুগুলো জেনেটিক মিউটেশনের মধ্য দিয়ে যায়। ফলে শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পুরুষের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা প্রভাবিত হয়। শুধু তা-ই নয়, সেই বয়সে যদি তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েও ফেলেন, তা হলে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

  ‘জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথ’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ২৫ বছর বয়সের আগে বাবা হওয়া তাদের স্বাস্থ্যের গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে, এমনকি মধ্যবয়সে অকালমৃত্যুও হতে পারে।

  বাড়তি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে জীবনধারায় অনিয়ম পুরুষদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক চাপ, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, স্থূলতা— পুরুষের বন্ধ্যত্বের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।