মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

মেদ ঝরানোর বিস্ময়কর ১৭টি খাবার কি কি ?


মেদ ঝরানোর বিস্ময়কর ১৭টি খাবার কি কি ?.

  শুনতে আশ্চর্য হলেও এটা সত্য যে কিছু খাবার আছে যা খেলে শরীরের মেদ প্রাকৃতিক উপায়েই কমানো যায়। অতএব আপনি যদি শরীরের মেদ গলানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপাতত সব ভুলে এই ১৭টি খাবার খেয়ে দেখুন। 

১। গ্রীন টি –

  আপনি যদি দিনে ৪ থেকে ৫ কাপ গ্রীন টি পান করেন, তা আপনাকে শুধু এনার্জিই দেবে না বরং মেটাবলিযম বৃদ্ধি করবে এবং আপনার মেদ কমাবে, এমনকি আপনার পেটের চর্বিও। গ্রীন টি’তে থাকা এপিগ্যালোক্যাটেচিন-৩ গ্যালেট (Epigallocatechin-3-gallate EGCG) নামক পলিফেনল (Polyphenol) -এর জন্য দায়ী। এছাড়া গ্রীন টিতে আছে থিয়ানিন (Theanine) নামের এমিনো এসিড যা আপনাকে মানসিকভাবে সজাগ এবং শান্ত থাকতে সাহায্য করে, তাই খাবার সময় আপনি স্বাস্থ্যকরে খাবার বেছে খাবেন। মানসিক চাপে থাকলে মানুষ সাধারণতঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকে। 

২। শুকনো আলু বোখারা –

  শুকনো আলু বোখারা বা ড্রাইড প্লাম আজকাল সুপার শপগুলিতে সবসময় দেখা যায়, বিশেষ করে সাকুরা ব্র্যান্ডের ড্রাইড প্লাম খুবই জনপ্রিয়। ড্রাইড প্লাম শুধু খেতেই মজাদার নয়, এটা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করার একটি খুব ভাল খাদ্য। ড্রাইড প্লামে আছে প্রচুর ফাইবার যা পেট ভরা রাখে এবং কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমায়। 

৩। আপেল –

  প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর জন্য একটি আদর্শ খাদ্য হচ্ছে আপেল। গবেষণায় দেখা গেছে আপেলের ফাইবার পেটের চর্বি কমায়।  

৪। সবুজ পাতাবিশিষ্ট শাক –

  পালং শাক, কলমি শাক, ইত্যাদিতে আছে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট। এসব শাকে আছে সালফোকিনোভোয Sulfoquinovose (SQ) নামক উপাদান যা আপনার কোমরের চর্বি কমাবে। নেচার কেমিক্যাল বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা মতে SQ অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হতে সাহায্য করে যার ফলে অন্ত্রের প্রদাহ কমে এবং পেটের মেদ কমে।

৫। মিষ্টি কুমড়া –

  প্রতি আধা কাপ মিষ্টি কুমড়ায় আছে শুধু ৪০ ক্যালরি এবং ৫ গ্র্যাম ফাইবার, তাই এটা আপনার পেট রাখবে চর্বিহীন। 

৬। লেবু –

  লেবু জল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এটা আপনি পান করতে পারেন ঠান্ডা অথবা গরম। লেবুর ভাইটামিন সি পেট ফাঁপা কমায় এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে। আর গ্রীন টি’র সাথে লেবু জল আরো উপকারি।

৭। ডার্ক চকোলেট –

  ডার্ক চকোলেটের পলিফেনল আপনাকে সাহায্য করবে ক্ষতিকারক ফ্রী র‍্যাডিক্যাল এবং চর্বির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। লুইযিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের অন্ত্রের মাইক্রোব চকোলেটকে বিউটিরেইটে (Butyrate) রূপান্তরিত করে, যা আপনার শরীরকে অনুপ্রাণিত করে জ্বালানি হিসেবে চর্বি খরচ করতে।

৮। টমেটো –

  টমেটোর জল ও পটাশিয়ামের সমন্বয়তা খুব দ্রুত আপনার কোমর চিকন করবে এবং পেট ফাপা কমাবে। এছাড়া টমেটোয় আছে প্রচুর ফাইবার যা আপনার কোষ্টকাঠিন্য দূর করবে। টমেটোতে ক্যালরি খুবই কম তাই প্রচুর টমেটো খেলেও ওজন বাড়বে না।

৯। লাল মরিচ –

  লাল মরিচ বা লাল মরিচের গুড়ো শুধু আপনার খাবারে শুধু ঝাঁঝই দেয় না এটা আপনার মেটাবলিযম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন লাল মরিচ খেলে এর উপাদান ক্যাপসেইসিন (Capsaicin) খাদ্যকে খুব দ্রুত শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে, ফলে পেটের মেদ কমে। 

১০। ডিম –

  নিউট্রিশান রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় ২১ জন পুরুষকে ২ ভাগে ভাগ করে এক ভাগকে দেয়া হয় ডিম ছাড়া সকালের নাশ্তা এবং অন্য ভাগকে দেয়া হয় ডিমসহ নাশ্তা। দেখা যায় ডিম খাওয়া দলের অংশ গ্রহনকারীরা ৩ ঘন্টা পর কম ক্ষুধার্ত হয়। এছাড়া এই দলের পুরুষরা নাশ্তার পর সারাদিন অন্যান্যদের তুলনায় কম ক্যালরি গ্রহন করে।

১১। আভোকাডো –

  আভোকাডোয় আছে ফ্যাট, কিন্তু এটা মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা আপনার ক্ষুধা কমায় এবং পেটে মেদ জমা বন্ধ করে। ইউরোপে ৯০,০০০ মানুষের উপর করা এক গবেষণায় এই তথ্য জানা যায়।

১২। বীট –

  বীটের উপকারিতা অসংখ্য। আজকাল বীট বাজারে সবসময় পাওয়া যায়। বীটে আছে বিটেইন (Betaine) নামক এমিনো এসিড, যা মেটাবলিযম বাড়ায়, ইন্সুলিন রেযিস্ট্যান্স কমায়, মুড ভাল রাখে, ফ্যাট জীনগুলি বন্ধ করে দেয়, এবং পেটের মেদের কারণে উৎপন্ন প্রদাহজনিত মার্কারকে আক্রমণ করে। নিউট্রিয়েন্টস (Nutrients) নামক জার্নালের এক গবেষনায় এটা জানা যায়।

১৩। নারকেল তেল –

  লিপিডস (Lipids) নামের জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায় যেসব অংশগ্রহনকারী খাবারে নারকেল তেল ব্যবহার করেছেন তাঁদের পেটের মেদ অনেকাংশে কমেছে যারা খাবারে সয়াবীন তেল ব্যবহার করেছিলেন তাঁদের তুলনায়।

১৪। হলুদ –

  অঙ্কজীন (Oncogene) জার্নালের এক গবেষণায় বলা হয় হলুদের প্রধান উপাদান এন্টি অক্সিডেন্ট কারকিউমিন (Curcumin) প্রদাহ বিরোধী খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। যেহেতু পেটের চর্বির কারণে প্রদাহ হয় এবং পেটের চর্বি কমানো কঠিন হয়ে পড়ে, তাই আপনি প্রতিদিন হলুদ দুধ পান করে দেখতে পারেন, বলেন বিশেষজ্ঞরা।

১৫। কলা –

  যখন আপনি কম ঘুমান তখন আপনার শরীর ঘ্রেলিন (Ghrelin) নামক ক্ষুধার হর্মোন বেশী পরিমাণে উৎপাদন করে এবং আপনাকে বেশী খেতে অনুপ্রাণিত করে। সবসময় কলা খেলে এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম আপনার মাংশপেশীকে রেল্যাক্স করে শুধু আপনার ঘুম ভাল করবে না, কলা আপনাকে পাতলা থাকতে সাহায্য করবে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মহিলা প্রতিদিন দু’বার খাবারের সাথে কলা খেয়েছেন তাঁদের পেটের মেদ ৫০% কমেছে।

১৬। দারুচিনি –

  আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশানে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে এই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণকারী মশলাটি শরীরে ইন্সুলিন নির্গমন কমায় এবং চিনিকে চর্বিতে রূপান্তর হওয়া রোধ করে। 

১৭। গোল মরিচ –

  গোল মরিচের উপাদান পিপারিন (Piperine) চর্বি গলিয়ে আপনার কোমরকে পাতলা করে এবং কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়া গোল মরিচের গুণাবলী অনেক এবং এটা ডিম, সালাদ বা সূপের সাথেও খাওয়া যায়। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


যৌন মিলনের সময় কোন ৫ টি ভুল করেন পুরুষরা ?.


যৌন মিলনের সময় কোন ৫ টি ভুল করেন পুরুষরা ?.

  সুখী দাম্পত্যের অন্যতম চাবিকাঠি সুখী যৌনজীবন। আর সুখী যৌনজীবনের জন্য অবশ্যই দরকার ঠিক শিক্ষা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষরা মিলনের সময়ে করে বসেন এমন কিছু ভুল, যাতে ভাটা পড়ে যৌনতার আনন্দে। জেনে নিন সুখী যৌনজীবন পেতে হলে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

১) যৌনতা মানে শুধুই যৌন মিলন নয়। ব্যক্তিগত কথোপকথন, স্নেহ-চুম্বন সবই ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষকরা বলছেন, কয়েক সেকেন্ডের আলিঙ্গনও অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে, এই হরমোনের প্রভাবেই বাড়ে যৌন উত্তোজনা। সঙ্গমের আগে স্নেহ-স্পর্শগুলি বেশ উপভোগ করেন মহিলারা। তাই মহিলাদের চাহিদার কথাও মাথায় রাখতে হবে। উত্তেজনার বশে তাড়াহুড়ো করে ফেলা যৌন মিলনের আনন্দে অনেকটাই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

২) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যৌনতার একটি পূর্ববর্তী ধারণা মাথায় গেঁথে নেন পুরুষরা। মিলনের সময়ে এক বার যে কাজগুলি সঙ্গী আনন্দ দিয়েছিল, পরের বার সেই পন্থা কাজে না-ও আসতে পারে। যৌনতার সময়ে কথা বলুন সঙ্গীর অনুভূতি সম্পর্কে। জানতে চান তিনি আদতেও উপভোগ করছেন কি না গোটা বিষয়টি। সঙ্গী বেশি উত্তেজিতবোধ করলে আপনার যৌনসুখ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

৩) যৌনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। তবে এটি একটি নিয়মিত অভ্যাস। কেবল যৌন মিলনের আগে ও পরে যৌনাঙ্গ সাফ করলেই এই পরিচ্ছন্নতা প্রকাশ পায় না। শুধু যৌন মিলনই নয়, যৌন স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও নিয়মিত যৌনাঙ্গ সাফ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে দূরে থাকে যৌন রোগ। অপরিষ্কার যৌনাঙ্গের কারণে সঙ্গী মিলনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

৪) পুরুষরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীর যৌনতাবোধ ও যৌন চাহিদার সন্তুষ্টি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন বোধ করেন না। অথচ যৌনতার চরম সুখ উপভোগ করার জন্য পুরুষ ও নারীর মেহন সমান গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই যৌন জীবনকে সুখী করতে শুধু নিজের সন্তোষের কথা ভাবলেই চলবে না।

৫) বিশেযজ্ঞদের মতে, অনেক পুরুষ চরম পরিণতিতে পৌঁছানোর তাড়ায় সঙ্গীর বহু ইচ্ছা উপেক্ষা করে বসেন। ফলে সঙ্গী হয়তো সাধারণ আদর, আহ্লাদ চান, তা উপেক্ষা করে বসেন।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২

পরকীয়া লুকাতে কারা বেশি এগিয়ে, নারী নাকি পুরুষ ?.


পরকীয়া লুকাতে কারা বেশি এগিয়ে, নারী নাকি পুরুষ ?.

  বেশি প্রতারণা করে, নারী নাকি পুরুষ? এই প্রশ্ন একে অন্যকে জিজ্ঞাসা করেন অনেকেই! এর উত্তরে কেউ কেউ আবার জানান, পুরুষদের প্রতারণার প্রবণতা নারীদের চেয়ে বেশি।

২০১৮ সালের এক সামাজিক জরিপ দ্বারা সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, প্রায় ২০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ও ১৩ শতাংশ বিবাহিত নারী সঙ্গীকে ছেড়ে অন্য কারও সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। এই সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, পরকীয়ায় জড়ানো পুরুষের সংখ্যা নারীর চেয়ে বেশি হলেও বিষয়টি লুকাতে কারা বেশি পারদর্শী তা কি জানেন?

  রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালের এক নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, পুরুষের চেয়ে পরকীয়া লুকাতে নারীরা বেশি পারদর্শী। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ১০১ ককেশীয় পুরুষ ও ৪৪ জন নারীর ছবি সংগ্রহ করেছেন।

  যারা গবেষকদের কাছে প্রকাশ করেছেন যে, অতীতে তারা সঙ্গীর সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন ও পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছেন। তবে প্রতারণা করেছেন এমন পুরুষ সঙ্গীর কাছে ধরা পড়লেও নারীদের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টোটি। তারা কোনো না কোনাভাবে ঠিকই পরকীয়ার বিষয়টি লুকিয়ে গিয়েছেন।

  গবেষকরা প্রতিটি ছবিকে বিশ্লেষণ করতে ১৫০০ শ্বেতাঙ্গ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর আরও এক সমীক্ষা চালান। যেখানে পরকিয়ায় লিপ্ত ওইসব নারী-পুরুষের ছবি দেখিয়ে তাদের সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করতে বলেন।

  বিশেষজ্ঞরা দেখেন, যে পুরুষ ও নারী উভয়ই একজন পুরুষের চরিত্র কতটা ভালো বা খারাপ কিংবা তিনি পরকীয়ায় লিপ্ত কি না তা মুখ দেখে অনুমান করা গেলেও কেউই একজন নারীর পরকিয়া ধরতে পারেননি।

  ম্যানহাটন-ভিত্তিক মনোচিকিৎসক ডা. কেনেথ রোজেনবার্গ এ বিষয়ে জানান, ২০ শতাংশ পুরুষই প্রতারণা করেন। তবে এই সংখ্যা গত ২০ বা তার বেশি বছর ধরে স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে এটি ১৫ শতাংশ হলেও এই সংখ্যা গত ২০ বছরে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। তিনি আরও সতর্ক করেছেন যে, ৩৫ বছরের কম বয়সী নারীদের মধ্যে সম্পর্কে লুকোচুরির প্রবণতা বেশি।

  এ ধরনের গবেষণার উপর ভিত্তি করে বাস্তব খুঁজে বের করা বা কাউকে দায়ী করা মোটেও ঠিক নয়। কারণ এসব গবেষণা সব সময় যে সমাজের সব স্তরের উপর নির্ভর করবে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কোন বয়সে পুরুষদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা সবথেকে বেশি থাকে ?.


কোন বয়সে পুরুষদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা সবথেকে বেশি থাকে ?.

  পুরুষ যেকোন বয়সেই সন্তান জন্ম দিতে পারে- এমন একটা ধারণা অনেকের মনেই রয়েছে। তাদের ধারণা সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের বয়স কোন বিষয়ই নয়। কিন্তু বাস্তবে এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে যেমন মেয়েদের বয়স গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি পুরুষেরও। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা ও গুণগত মান কমতে থাকে। 

  বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়স হল পিতা হওয়ার আদর্শ সময়। তবে এ কথাও ঠিক যে, ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।  

  গিনেস বুক রেকর্ডসের মতে, ৯২ বছর বয়সী এক পুরুষ সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৪০ বছরের পর পুরুষদের ক্ষেত্রেও সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।

  মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুবন্ধের পরে সন্তানধারণের কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। কিন্তু ছেলেদের শরীরে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া কখনও বন্ধ হয় না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাদের মহিলাদের মতো ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ নেই।

  পুরুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের শুক্রাণুগুলো জেনেটিক মিউটেশনের মধ্য দিয়ে যায়। ফলে শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পুরুষের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা প্রভাবিত হয়। শুধু তা-ই নয়, সেই বয়সে যদি তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েও ফেলেন, তা হলে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

  ‘জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথ’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ২৫ বছর বয়সের আগে বাবা হওয়া তাদের স্বাস্থ্যের গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে, এমনকি মধ্যবয়সে অকালমৃত্যুও হতে পারে।

  বাড়তি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে জীবনধারায় অনিয়ম পুরুষদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক চাপ, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, স্থূলতা— পুরুষের বন্ধ্যত্বের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

নতুন এসি কিনবেন, ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার কোনটি ভাল ?.


নতুন এসি কিনবেন, ইনভার্টার নাকি নন-ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার কোনটি ভাল ?.

  ভারতের ইলেক্ট্রনিক্স বাজারে একাধিক এয়ার কন্ডিশনার বা এসি (AC) বিদ্যমান রয়েছে। তবে আমরা এখানে কিন্তু উইন্ডো এসি বা স্প্লিট এসির কথা বলছি না। বরং, ইনভার্টার এসি (Inverter AC) এবং নন-ইনভার্টার এসি (Non-Inverter AC) মডেলের ব্যাপারে বলছি।

  আপনারা অনেকেই একটি এসি কিনতে যাওয়ার সময়, উইন্ডো বা স্প্লিট, কোন ধরণের মডেল চান তা উল্লেখ করে দেন। কিন্তু তাতে ইনভার্টার নামক পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসটি আছে কিনা তা জানতে চান না। এর মূল কারণ, এই প্রযুক্তিটি কি বা এর কার্যকারিতা কিরূপ সেই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই সম্মক ধারণা নেই।

  যদিও নতুন এয়ার কন্ডিশনার কেনার পূর্বে ইনভার্টার-সহ এসি এবং ইনভার্টার-বিহীন এসি মডেলের মধ্যের পার্থক্যগুলি জানা খুবই দরকার। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজ আমরা এই প্রতিবেদনে, উক্ত দু’ধরণের এসি মডেল ব্যবহারের লাভ ও লোকসান সংক্রান্ত পার্থক্য ব্যাখ্যা করবো। চলুন ইনভার্টার এসির থেকে নন-ইনভার্টার এসি কেন আলাদা তা বিশদে জেনে নেওয়া যাক।

Inverter AC vs Non Inverter AC : বৈদ্যুতিক বিল-

  এসি কেনা বা ব্যবহারের সময়, কত টাকা বৈদ্যুতিক বিল আসতে পারে তা ভেবেই আমাদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে। এক্ষেত্রে বলে দিই যে, নন-ইনভার্টার এসির তুলনায় ইনভার্টার এসি মডেলগুলি অনেক কম বিদ্যুৎ ব্যয় করে। যার দরুন, ইলেক্ট্রিসিটি বা বৈদ্যুতিক বিল খুবই কম আসে এবং টাকাও সাশ্রয় হয়। অতএব, ইনভার্টার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার পাশাপাশি মাসিক বাজেটকে বেহাল হওয়ার থেকেও বাঁচায়।

  নন-ইনভার্টার এসির তুলনায় ইনভার্টার এসি রুমকে দ্রুত ঠান্ডা করে। আপনাদের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, ইনভার্টার নামক সার্কিটরিটি এসি কম্প্রেসারের মোটর স্পিড নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করে। তাই রুম ঠান্ডা হয়ে গেলে, ইনভার্টার কম্প্রেসারকে বন্ধ হতে দেয় না, বরং কম স্পিডেও সেটিকে চলমান রেখে ঘরের তাপমাত্রা বজায় রাখে। অন্যদিকে, নন-ইনভার্টার এসির ক্ষেত্রে এরূপ কোনো সুবিধা পাওয়া যাবে না।

Inverter AC vs Non Inverter AC : দাম -

  ভারতে অনেক কম দামি নন-ইনভার্টার এসি মডেল পেয়ে যাবেন আপনারা। কিন্তু এই মডেলগুলি তুলনায় অনেক বিদ্যুৎ খরচ করে এবং একই সাথে ভারী বৈদ্যুতিক বিলের বোঝাও ব্যবহারকারীদের ঘাড়ে চাপায়। অন্যদিকে, ইনভার্টার এসি মডেলগুলি, দামের নিরিখে নন-ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনারের তুলনায় কিছুটা বেশি ব্যয়বহুল। 

  তবে, কেনার সময়ে বেশি টাকা খরচ করতে হলেও, সারা জীবনের জন্য মোটা অঙ্কের বৈদ্যুতিক বিল শোধ করার ঝামেলা পোহাতে হবে না। সোজা কথায় বললে, ইনভার্টার এসি যেহেতু কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, সেহেতু ইলেকট্রিক বিলের ক্ষেত্রে আপনার টাকা সাশ্রয় করতে সহায়তা করবে। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শনিবার, ৪ জুন, ২০২২

ফুলশয্যার রাতে কোন ১০ টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ?.


ফুলশয্যার রাতে কোন ১০ টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ?.

  ফুলশয্যার রাতে কি হবে সেই নিয়ে আশা আকাঙ্খা, ভয়, দুশ্চিন্তা, কামনা ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার অনুভুতি হবু বর-বৌয়ের মনে বিয়ে ঠিক হবার পর থেকেই আসতে থাকে, বিশেষত Arranged বিয়ের ক্ষেত্রে। হবু বরেরা চিন্তিত থাকে সেই রাতে স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে সুখি করতে পারবে কি না সে সম্মন্ধে। অপর পক্ষে হবু বৌদের ভয় আরও মারাত্মক। ফুলশয্যার রাতেই সহবাস করতে হবে কি না, সহবাস করলে ব্যাথা হবে কি না, রক্ত না বের হলে স্বামী সন্দেহ করবে কি না, স্বামী ওরাল সেক্স করতে চাইবে কি না ইত্যাদি। 

  এইসব ভয় ও দুশ্চিন্তা দূর করার সঠিক উপায় হল বিয়ের আগেই এইসব বিষয় নিয়ে হবু বর-বৌয়ের কিছুটা আলোচনা করে নেওয়া। তাহলে বিয়ের রাতে আড়ষ্টতা অনেকটাই কম থাকবে। এছাড়াও নিম্নলিখিত ১০ টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখলে প্রথম রাতের অনুভুতি মধুর হতে পারে। ফুলশয্যার রাতের মধুর স্মৃতি নব বর-বধূর দাম্পত্য সম্পর্ক দৃঢ় করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। অপরপক্ষে ফুলশয্যার রাতে যদি স্বামী স্ত্রীকে জোর করে, বা উল্টোটা হয় বা একে অপরের ইচ্ছাকে সম্মান না করা হয় তবে দাম্পত্য সম্পর্কে চিরদিনের মত চিড় ধরতে পারে। তাই ফুলশয্যার রাতে নিচে লেখা দশটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।

  ফুলশয্যার রাতে প্রথম সহবাসের সময় যে ১০ টি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন –

১. ধীরে এগোন –

   ফুলশয্যার রাতে প্রথম সহবাসের সময় যেটা সবথেকে বেশি প্রয়োজন তা হল একদম তাড়াহুড়ো না করা। ধীরে সুস্থে অগ্রসর হওয়াই ফুলশয্যার রাতে প্রথম সেক্স করার সবথেকে ভাল ফর্মূলা। প্রথম রাতেই বৌয়ের উপর সেক্সের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লে বা সেক্সের জন্য জোর করলে বিবাহিত জীবনে চিরকালের জন্য দাগ লেগে যেতে পারে। তাই নতুন বৌয়ের সাথে প্রথমেই সেক্স বিষয়ক আলোচনা বা ক্রিয়া-কলাপ শুরু করবেন না। ধীরে ধীরে রোমান্টিক কথাবার্তা বা গল্পগুজব করতে করতে অগ্রসর হোন।

২. ঘরের পরিবেশ- 

  লক্ষ্য রাখবেন ফুলশয্যার রাতে ঘরের পরিবেশ যেন রোমান্টিক থাকে। হালকা মিউজিক চালাতে পারেন। ঘর সুগন্ধি ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখুন। তীব্র আলো না জ্বালিয়ে হালকা আলো জ্বালান।

৩. স্ত্রী বা স্বামীর ইচ্ছের সম্মান – 

  যদি কোন কারণে নববধূর বা বরের ওই রাতে সম্পর্ক স্থাপনে অনীহা থাকে তবে তার সেই ইচ্ছেকেও সম্মান করুন। অনেক সময়ই বিয়ের রীতিনীতি পালনে মেয়েরা এতটাই শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে যায় যে তাদের তখন সেক্সের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। এমতাবস্থায় পরের রাতের জন্য বা দু-তিন দিন অপেক্ষা করাই শ্রেয়। খেয়াল রাখবেন আপনার আচরণে যেন স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ পায়। মেয়েরা সাধারণত ছেলেদের থেকে একটু বেশি সংবেদনশীল। তাদের কাছে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের আগে ভালবাসা থাকাটা জরুরি।

৪. পারফিউম – 

  আর হ্যাঁ, পরষ্পরের সান্নিধ্যে আসার সময় শরীর থেকে যেন দূর্গন্ধ বের না হয়। তাই পারফিউম ব্যবহার করুন।

৫. ফোর-প্লে – 

  প্রথম সহবাসের সময় মূল কার্য করার আগে ভাল করে ফোর-প্লে (fore-play) করা বাঞ্ছনীয়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের শরীরই যৌনসঙ্গমের জন্য তৈরি হয়। নারীরা মোটামুটি তাদের শরীরের সকল অংশ থেকেই যৌন আনন্দ লাভ করতে সক্ষম। তাই শুরুতেই জামা-কাপড় না খুলে স্ত্রীর কাছে যাবার চেষ্টা করুন। স্ত্রীকে আলিঙ্গণ করুন। তার কানে ফিস ফিস করে কথা বলতে বলতে কানে, গলায়, ঘাড়ে আলতো করে চুম্বন করতে পারেন। অতঃপর ধীরে ধীরে ঠোট, চোখে ইত্যাদিতে চুম্বন করুন। ক্রমে ক্রমে দেখবেন আপনার স্ত্রীও উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন।

৬. ভালবাসার স্পর্শ- 

  এরপরের স্টেজে জামা-কাপড় ধীরে ধীরে খুলতে পারেন। স্তন, পেট, পিঠ, পা, নিতম্ব, ভগাঙ্কুর ইত্যাদি যেখানে যেখানে স্পর্শ করলে স্ত্রীর ভাল লাগছে বলে আপনার মনে হবে সেখানেই আদর করুন। এই সময় খেয়াল রাখবেন আপনার আচরণ যেন ধর্ষকের মত না হয়। স্পর্শে ভালবাসার প্রকাশ থাকে যেন। এইভাবে কিছুক্ষণ করার পর আপনাদের দুজনের যৌনাঙ্গ থেকেই পিচ্ছিল কামরস বের হতে থাকবে। ওই রস বের হবার অর্থ দুজনের শরীরই মিলনের জন্য প্রস্তুত।

৭. সঙ্গম – 

  এবারে পুরুষাঙ্গ স্ত্রীর যোনিতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের প্রথম সহবাসের সময় যৌনাঙ্গে ব্যাথা করতে পারে। তবে সকলেরই যে ব্যাথা করবে তার কোন মানে নেই। ধীরে ধীরে লিঙ্গ প্রবেশ করাবেন। পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানোয় অসুবিধা হলে প্রথমে একটি আঙুল ঢুকিয়ে দেখতে পারেন। আপনার স্ত্রীর যন্ত্রণা হলে একটু অপেক্ষা করুন। তারপর আবার চেষ্টা করুন। স্ত্রী সঠিক মাত্রায় উত্তেজিত হলে তার যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো অনেকটাই সহজ হবে। 

  অপরপক্ষে যদি আপনার স্ত্রী সঙ্গম নিয়ে মনে মনে ভয় পান বা আড়ষ্ট থাকেন তবে তার যোনির লুব্রিকেশন ঠিকমত হবেনা এবং সঙ্গম কষ্টদায়ক হবে। তাই এটা নিশ্চিত করুন যে প্রথম সহবাসের সময় আপনার স্ত্রী পুরোপুরি রিলাক্সড এবং খুশি মনেই রয়েছেন। ফুলশয্যার রাতে স্ত্রী রিলাক্সড হতে না পারলে সেদিন সহবাস না করাই ভাল। পরের দিনের জন্য বা তারও পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করুন। মনে রাখবেন যে সবুরেই মেওয়া ফলে। প্রথম সহবাসের দিনই এনাল করতে যাবেন না। স্ত্রীর পছন্দ না থাকলে ওই দিন ওরালও না করা ভাল।

৮. লুব্রিকেন্ট – 

  স্বাভাবিক লুব্রিকেশন ঠিকমত না হলে কৃত্রিম লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। আশা করা যায় যেকোন ওষুধের দোকানেই পেয়ে যাবেন। নাহলে অনলাইনেও কিনতে পারেন।

৯. রক্তপাত – 

  প্রথম সহবাসের সময় স্ত্রীর সতীচ্ছদ ছিন্ন হলে সামান্য রক্তপাত হতে পারে। ওটা নিয়ে ঘাবড়ে যাবেন না। আর যদি রক্তপাত না হয় তাহলেও স্ত্রীকে সন্দেহ করবেন না। অনেক কুমারী মেয়েরই প্রথম সহবাসে রক্তপাত হয়না। আর এখনকার যুগে বিয়ের আগে কুমারী বা কুমার থাকাটা আবশ্যক নয়। তাই নিজের মান্ধাতার আমলের ধ্যান-ধারণা পরিত্যাগ করুন।

১০. নিরোধ – 

  প্রথম সহবাসের সময় অতি অবশ্যই কনডম ব্যবহার করবেন। কনডমের গায়েও লুব্রিকেন্ট লাগানো থাকে। তাই আমাদের মতে প্রথম সহবাসের জন্যেও কনডম ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ। অবশ্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে আপনার স্ত্রী বিয়ের পনের দিন আগে থেকেই গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়া চালু করতে পারেন বা গর্ভনিরোধক ইনজেকশনও নিতে পারেন। আপনার একটি সুন্দর ফুলশয্যার রাতের জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইল।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব। 



পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় কোন ৭টি সহজলভ্য খাবার ?.


পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় কোন ৭টি সহজলভ্য খাবার ?.

  যৌন ক্ষমতা সবার সমান না, আর সমানও হওয়ার কথা না। যৌন দুর্বলতা হচ্ছে এমন একটি বিষয়, যা পুরুষের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক এবং অপমানজনকও বটে। যৌন দুর্বলতার জন্য আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন কোন কোন পুরুষ, এমন ঘটনার নজিরও কম নেই। বর্তমান যুগে স্ট্রেসে ভরা জীবনযাপন পদ্ধতি, ভেজাল খাদ্য সহ নানান ধরণের রোগের কারণে শারীরিক অক্ষমতায় ভোগা পুরুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। 

  যদিও এই দুর্বলতা কাটিয়ে যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে উপযুক্ত ‍পুরুষ প্রমাণ করতে ও ভয়ভীতি থেকে মুক্তি দিতে পারে সঠিক খাদ্য, সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি। যৌনতার ক্ষেত্রে পুরুষের দুর্বলতা দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে কিছু প্রাকৃতিক খাবার। না, বিদেশী কোন বহুমূল্য খাদ্য নয়। বরং আপনার হাতের কাছেই মিলবে এমন ৭টি খাবার । চিনে নিন আজ, যা যৌন দুর্বলতা দূর করে শারীরিক সক্ষমতা ফেরাতে সক্ষম।

১) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে খুবই সহজলভ্য একটি খাবার হচ্ছে এই চীনাবাদাম। পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। এই বাদাম খুব ভালো প্রাকৃতিক উৎস Amino Acid ও L-arginine এর, যা পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয়। Dr. Nicholas Perricone এর মতে, L-arginine পুরুষাঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে যা যৌন মিলনের সময় পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন এক মুঠো চীনাবাদাম হতে পারে পুরুষের পরম বন্ধু।

২) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে রসুন। রসুনে আছে Allicin, যা যৌনাঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। সঠিক রক্ত চলাচল পুরুষাঙ্গের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে দ্রুত বীর্যপতন প্রতিরোধ করে। রান্নায় তো বটেই, নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস হার্টের অসুখের পাশাপাশি যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

৩) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ডুমুর। এই ফলটিকে পরম অবহেলার চোখে দেখা হলেও ডুমুরের গুণের শেষ নেই। ডুমুরে আছে উচ্চ মাত্রায় Amino Acids যা সকল হরমোনের ভিত্তি রূপে কাজ করে। দেহে Amino Acids এর অভাব হলে যৌন দুর্বলতা ও যৌনতায় অনাগ্রহ দেখা দিতে পারে।

৪) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কলা। কলা অত্যন্ত সহজলভ্য ফল। এই কলা অসংখ্য গুণের আধার। হ্যাঁ, পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অত্যন্ত সহায়ক। কলা দেহে প্রচুর এনার্জি যোগায়। এতে আছে একটি বিশেষ এনজাইম Bromelain, যা পুরুষের যৌন দুর্বলতা রোধ করতে সহায়ক। এছাড়া আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা যৌনতার সময় ভরপুর এনার্জি যোগায়।

৫) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে চিনি ছাড়া চকলেট। যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চকলেট সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে, কারণ এতে আছে Phenylethylamine ও Alkaloid । Phenylethylamine যৌন মিলনের সময় সুখানুভূতি যোগায়, অন্যদিকে Alkaloid এনার্জি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে যা সঠিক ও আনন্দময় যৌন মিলনের জন্য জরুরী। তবে চিনি সহ মিল্ক চকলেট নয়, ডার্ক চকলেট হতে হবে। আর আজকাল ডার্ক চকলেট বেশ সস্তা। ক্যাডবেরী কোম্পানির স্বল্প চিনির ডার্ক চকলেট কিনতে পারবেন বেশ অল্প দামেই।

৬) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে শাকসবজি ও ফলমূল। শাকসবজি-ফলমূল উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এ কথা আমরা সবাই জানি। দেহের রক্ত সচালল বৃদ্ধি করতে, এনার্জি ধরে রাখতে ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী থাকতে প্রয়োজনীয় সকল উপাদান আছে সাধারণ শাকসবজি ও ফলমূলে।। নানান রঙের শাকসবজি প্রতিদিন রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। কাঁচা সবজির সালাদ সবচাইতে বেশি উপকারী। নানান রকমের সবুজ শাক থেকে শুরু করে টমেটো, কুমড়া সহ নানান রকমের মৌসুমি ফল ও সবজি খাবেন প্রতিদিন।

৭) পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে কুমড়ার বীজ। ছেলেবেলায় কুমড়ার বীজ ভাজা খেয়েছেন কখনো? এই অবহেলিত খাবারটি কিন্তু পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। কুমড়ার বীজে আছে উচ্চমাত্রায় জিঙ্ক, Antioxidants Selenium ও ভিটামিন ই। এই উপাদানগুলো দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ও যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বুধবার, ১ জুন, ২০২২

এই গরমে কি কি কারনে বেশী বেশী তরমুজ খাবেন ?.



এই গরমে কি কি কারনে বেশী বেশী তরমুজ খাবেন ?.
 
 গরমে তরমুজ খেতে যেমন ভাল লাগে, তেমনই তা শরীরের নানাবিধ উপকার করে। কিডনি, হৃদপিন্ড সুস্থ রাখতে, হিট স্ট্রোকেরও ঝুঁকি কমাতেও তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে তরমুজ বেশি খেলে বা ভুল সময় খেলে কিন্তু হিতে বিপরীত ফলও হতে পারে। শরীর ঠান্ডা রাখবে বিষয়টি ভেবে অনেকে রাতের বেলা তরমুজ খেয়ে থাকেন যা বিপদ ডেকে আনতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই গরমে তরমুজ খাওয়ায় উপকারিতা।

১। লাইকোপিনে ভরপুর –

  তরমুজে আছে লাইকোপিন (lycopene) নামক এক ধরণের এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এই লাইকোপিন অন্যান্য শাক-সব্জির তুলনায়, এমনকি টমেটোর তুলনায় তরমুজে অনেক বেশী পরিমাণে থাকে। লাইকোপিন পেতে লাল টকটকে তরমুজের টুকরো খাবেন, হলুদ বা কমলা রঙের নয়। এছাড়া বিচি ছাড়া তরমুজে লাইকোপিন বেশী থাকে।

২। সূর্য রশ্মি থেকে রক্ষা করে তরমুজ –

  তরমুজের লাইকোপিন এই ফলটিকে যেমন সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে তেমনি এটা খেলেও লাইকোপিন আপনার ত্বককে এই ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে। 

৩। হার্টের সুস্থতা –

  তরমুজের সিট্রালিন নামক এমিনো এসিড শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এবং ব্লাড প্রেশার কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে লাইকোপিন হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়। তবে হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমাতে চাইলে খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি জীবনধারারও পরিবর্তন আনতে হবে যেমন, ধূমপান ত্যাগ, ব্যায়াম, চর্বি কম খাওয়া, ইত্যাদি।

৪। হাড়ের জয়েন্টের সুরক্ষা –

  তরমুজের প্রাকৃতিক উপাদান বেটা-ক্রিপটোয্যান্থিন (Beta-cryptoxanthin) হাড়ের জয়েন্টকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে এই উপাদানটি রুমাটয়েড আর্থাইট্রিসের ঝুঁকিও কমায়।

৫। দৃষ্টিশক্তি –

  শুধু এক স্লাইস তরমুজে আপনি পাবেন আপনার প্রতিদিনের চাহিদার ৯-১১% ভিটামিন এ। এই ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

৬। জলযোজন –

  তরমুজ খুব সহজ ভাবেই আপনাকে জলযোজিত রাখবে কারণ এর ৯২%-ই জল। আপনার শরীরের প্রতিটি কোষেরই জলের দরকার। সামান্য জলের অভাব আপনাকে ক্লান্ত ও নিষ্ক্রিয় করতে পারে।

৭। ত্বকের কোমলতা –

  তরমুজে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, এবং ভিটামিন সি আপনার ত্বককে নরম, মসৃণ ও কোমল রাখে। এতে অনেক জল থাকায় এটা ফেস মাস্ক হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। ১ টেবিল চামচ তরমুজের রসের সাথে ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে মুখমন্ডলে মাখুন। ১০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে এবং ত্বককে রাখবে নরম।

৮। মিষ্টির পরিবর্তে তরমুজ খান –

  অনেক সময়ই আমাদের মিষ্টি বা আইস ক্রিম খাবার অভিলাষ জাগে। এই ক্রেভিং দূর করতে তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজ অনেক মিষ্টি কিন্তু এ্ক কাপ তরমুজে আছে মাত্র ৪৫ ক্যালরি, আর সম পরিমাণ আইস ক্রিমে আছে ৩০০ ক্যালরি। এছাড়া এতে তরমুজ ফ্যাট ফ্রি, কোলেস্টেরল অনেক কম, এবং এতে কোন সোডিয়াম নেই।

৯। ব্যায়ামে শক্তি যোগায় তরমুজ –

  তরমুজে এন্টিঅক্সিডেন্ট, এমিনো এসিড এবং অনেক জল থাকায় এটা ব্যায়ামের জন্য ভাল একটি খাবার। এছাড়া এতে আছে অনেক পটাশিয়াম যা ব্যায়ামের সময় মাংসপেশীর খেঁচুনি বা ক্র্যাম্প কমায়। ব্যায়ামের পর এক গ্লাস তরমুজের রস আপনাকে দেবে শক্তি এবং দূর করবে পেশীর ব্যথা।

১০। ব্লাড সুগার বাড়ায় না –

  ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন? নিশ্চিন্তে তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজের গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স হচ্ছে ৮০, কিন্তু এতে আছে খুব কম শর্করা। তার মানে গ্লাইসেমিক লোড হচ্ছে মাত্র ৫। তাই ব্লাড সুগারের চিন্তা থাকলে তরমুজ খেতে ভয় পাবেন না।

১১। সহজে হজম হয় –

  আপনার বদহজমের সমস্যা থাকলে তরমুজ খেতে পারেন। এটা সুস্বাদু, নরম এবং মাংসাশী একটি ফল যা আপনার অন্ত্রকে খাদ্য হজম করতে সহায়তা করবে।

তরমুজ সংরক্ষণ –

  তরমুজ কাটার আগে ভাল করে বাইরের অংশ ধুয়ে নিন। তরমুজ সবচেয়ে সুস্বাদু হয় কাটার ঠিক পরপর খেলে। আর সংরক্ষণ করতে চাইলে ফ্রিজে ৫দিন পর্যন্ত রাখতে পারবেন। 

তরমুজ কখন খাবেন –

  বিশেষজ্ঞদের মতে, সকাল বা বিকেলের দিকেই তরমুজ খাওয়ার আদর্শ সময়। সেই সঙ্গেই অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এর ফলে তরমুজ থেকে শরীর খারাপ হওয়ার ঝুঁকি কমে। জল থেকে তুলে তরমুজ টাটকা খাওয়াই ভাল।

পাকা তরমুজ কিভাবে চিনবেন –

  তরমুজ হাতে নিয়ে দেখুন। যদি দেখেন ভারী তাহলে বুঝবেন এই তরমুজ পাকা ও রসালো। পাকা তরমুজে রস থাকে। দেখুন তরমুজের গায়ে হলুদ ঘোলাটে দাগ তৈরি হয়েছে কিনা। সূর্যের আলোয় তরমুজের গায়ে এমন দাগ তৈরি হয়। দাগ থাকলে এটা পাকা তরমুজ। তরমুজের গায়ে টোকা বা চড় মেরে দেখুন। যদি ফাঁপা শব্দ হয় তাহলে বুঝবেন এতে অনেক জল আছে, তার মানে পাকা। পাকা তরমুজের গা সমান, মসৃণ ও সব দিক থেকে একই রকম দেখতে হবে। কোনও দাগ থাকবে না। পাকা তরমুজের রং গাঢ় সবুজ ও কালচে হবে। যদি হালকা সবুজ, চকচকে রঙের হয় তাহলে বুঝবেন তরমুজ এখনও পাকেনি।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ নারীরা কোন ভুলগুলো করেন ?.


গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ নারীরা কোন ভুলগুলো করেন ?.

 গর্ভাবস্থায় শরীরে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এসময় হরমোনের মাত্রা ওঠানামা থেকে শুরু করে ওজন, স্তন ও শরীরের অন্যান্য অংশের পরিবর্তন ঘটা খুবই স্বাভাবিক। তাই এ সময় শরীরের বাড়তি যত্ন নেওয়া আবশ্যক। তবে অনেকেরই গর্ভাবস্থায় করণীয় ও বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তাই হবু মায়েদের উচিত গর্ভাবস্থায় বেশ কয়েকটি ভুল এড়িয়ে চলা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ভুলগুলো কী কী-

খাবার এড়িয়ে যাওয়া –

 গর্ভাবস্থায় বারবার ক্ষুধা ও বমি বমি ভাব অনুভব করা স্বাভাবিক। এ সময় বিভিন্ন খাবারের প্রতি লোভ হতে পারে। আবার অনেকেই খাবার দেখলে নাক সিঁটকায় এ সময়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৬-১০ জন নারী গর্ভাবস্থায় খাবার এড়িয়ে যান। তবে প্রথম কয়েক মাসে খাবার এড়িয়ে যাওয়ার ভুল করবেন না। কারণ প্রথম কয়েক মাসে শিশুর অত্যাবশ্যক অঙ্গ গঠন ও বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই সে সময় আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন খনিজ ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা বাড়াতে হবে।

ওজন বেড়ে গেলে দুশ্চিন্তা –

  গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়বেই। কারণ তখন স্বাস্থ্যকর খাবার ও বেশি খাওয়া হয়। এমনকি হরমোনের মাত্রা ক্রমাগত পরিবর্তিত হওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যায়। তবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং এ সময় সামান্য স্ট্রেস ও উদ্বেগ আপনার ও শিশুর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। এ কারণে গর্ভাবস্থায় মন শান্ত রাখা উচিত। স্বাস্থ্যকর খাবার স্ট্রেস এড়াতে সাহায্য করে।

স্ব-ওষুধ গ্রহণ –

  গর্ভাবস্থায় পেশি ব্যথা, ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা ও আরও অনেক কিছুসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা কমানোর জন্য কখনো চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ খাবেন না।

শারীরিক কার্যকলাপ না করা –

  গর্ভাবস্থায় অনেকেই কায়িক শ্রম থেকে বিরত থাকেন। তবে এ সময় হালকা ব্যায়াম ও হাঁটা শিশুর স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে পারে। গর্ভাবস্থায়ে সব সময় বসে শুয়ে থাকা উচিত নয়। এতে শরীর আরও ফুলে যেতে পারে। তাউ নিজেকে যতটা সম্ভব সক্রিয় রাখা উচিত।

দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা না নেওয়া –

  স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা ও ডেলিভারির জন্য অবশ্যই ভালো স্বাস্থ্যসেবা জরুরি। নিয়মিত চেকআপ ও শারীরিক সুস্থতার জন্য এ সময় দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিতে হবে। কোন হাসপাতালে ডেলিভারি করাবেন কিংবা কোন ডাক্তারকে দেখাবেন এসব বিষয়ে দেরি করবেন না।

কিছু কথা মানা জরুরি -

  উপরের এসব সাধারণ ভুল ছাড়াও, বেশ কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো থেকেও গর্ভবতী নারীদের বিরত থাকতে হবে। যেমন- আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে ধূমপান, অ্যালকোহল পান বা ক্যাফেইন গ্রহণ করবেন না। এর পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- প্রক্রিয়াজাত ও চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না। এর পাশপাশি পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। কম ঘুম গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি বাড়ায়।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বিবাহ বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেয় কোন ৫ টি লক্ষণ ?.


বিবাহ বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেয় কোন ৫ টি লক্ষণ ?.

   বিবাহবিচ্ছেদ হঠাৎ করে হয় না। দাম্পত্যে প্রচুর ভুল বোঝাবুঝি, মারামারি ও অসঙ্গতি বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়। সম্পর্কে নানা টানা-
পোড়েনের মুখোমুখি হয়ে মানুষ বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। তবে কিছু বিষয় আছে যা বিবাহ বিচ্ছেদের আগাম পূর্বাভাস দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিষয়গুলো-


১) টিনেজ বা কিশোর বয়সে বিয়ে করলে তা বিচ্ছেদের দিকে গড়াতে পারে, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। গবেষণা অনুসারে, বেশিরভাগ মানুষ যারা তাদের কিশোর বয়সে বিয়ে করেন পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। কিশোর বয়সের অপরিপক্কতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে ঝোঁকের বশে অনেকেই বিয়ে করেন। পরবর্তী জীবনে যখন তারা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে তখন বুঝতে পারে যে তারা ঠিক করেনি। বিভিন্ন কারণে পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে পারে।

২) যদি কোনো দম্পতি বেকার অবস্থায় ঘরে বসে শুয়ে দিন কাটায় তাহলে তাদের মধ্যে তুমুল অশান্তি হতে পারে। বিশেষ করে পুরুষ সঙ্গী যদি বেকার থাকেন তাহলে ওই সংসারে নানা টানাপোড়েন দেখা দেয়। একে তো আর্থিক সমস্যা তার উপরে দাম্পত্যে অশান্তির জেরে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। এক সময় এ সম্পর্ক বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়।


৩) বিয়ের আগে যে দম্পতিদের মধ্যে তীব্র আবেগ ও ভালোবাসা কাজ করে বিয়ের পরে ওই সম্পর্ক নাকি দ্রুত নষ্ট হয়! তাই যেসব দম্পতিরা মধ্যে বিয়ের আগেই অতিরিক্ত ভালোবাসা ও টান অনুভব করেন তারা সাবধান থাকবেন যাতে বিয়ের পরও যেন তা ধরে রাখতে পারেন! অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিয়ের পরে ভালোবাসা ও বোঝাপোড়া কমে যায়!

৪) দাম্পত্য কলহ সমাধানে দুজনেরই অবদান রাখা জরুরি। একজন শুধু রাগের মাথায় যা তা বলেই গেলেন আর অন্যজন মুখ বুজে সহ্য করলেন এমনটি ঠিক নয়। যদি আপনার সঙ্গীও যদি বিষয়টি এড়িয়ে যান তাহলে সাবধান থাকুন। হয়তো তিনি আর আপনার সঙ্গে থাকতেই চাচ্ছেন না! কারণ নিরব থাকা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। 


৫) একটি বিবাহ হল দুটি মানুষের মধ্যে একটি পবিত্র বন্ধন। বিবাহিত জীবনে সবারই কমবেশি সমস্যা থাকে। তবে আপনাদের দুজনের মধ্যে যদি তৃতীয় বা চতুর্থ জন নাক গলানোর চেষ্টা করেন তাহলেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। 

  এমন ক্ষেত্রে দেখা যায় বন্ধু বা পরিবারের কাছের মানুষের প্রভাবেও অনেকে সামান্য বিষয়ে ঝগড়া হলেও সঙ্গীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটান। তাই অন্যের পরামর্শ ও মতামতের উপর ভিত্তি করে জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।