রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নারীরা কোন পোশাক পরে না, ফেলে দেয় না ?.


নারীরা কোন পোশাক পরে না, ফেলে দেয় না ?.

পুরুষ বা নারী যাই হোক না কেন, সবার আলমারিই পোশাকে ঠাসা থাকে। কিন্তু নারীদের বেলায় এ হিসাব কিছুটা ভিন্ন। কারণ তাদের আলমারিতে গুনে গুনে এমন ২২টি পোশাক থাকে যা তারা কখনো ছুঁয়েও দেখেন না। এ ঘটনাটিও হয়তো স্বাভাবিক। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের নারীদের ক্ষেত্রে এটা প্রায়ই দেখা যায় যে, তাদের সংগ্রহে যে পোশাক আছে তার সব কখনই তারা পরে দেখেন না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, না পরলেও তারা কখনো আলমারি থেকে তা ফেলেও দেন না।

  ডেইলি মেইল এমনটাই জানাচ্ছে। শুধু ব্রিটেনেই নারীরা ৫ হাজারের বেশি পোশাকের জন্য ১৬০ কোটি পাউন্ড খরচ করে। কিন্তু এর কোনোটিই তারা কখনো পরে দেখেন না। কিন্তু অনেক দর কষাকষি করে, তারকারদের পছন্দের ফ্যাশন অনুযায়ী কেনা এসব পোশাক একসময় বাতিলের খাতায় চলে যায়। 

  তবে শখের এসব জিনিসের এ করুণ পরিণতি হওয়ার কারণ কি জানতে চাওয়া হয় নারীদের কাছে। উত্তর আসে, ‘তাড়াহুড়ো করে কেনাই সমস্যার মূল কারণ। ’ ৪৫ শতাংশ নারীরই এ মতামত।

  নারীদের মাত্র এক-অষ্টমাংশ নিয়মিত তাদের আলমারি পরিষ্কার করেন। আর ৫০ জনের মধ্যে মাত্র একজন ১০ বছরের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র একদিন আলমারিটি পরিষ্কারের সময় বের করতে পেরেছেন, বাকিরা তাতেও ব্যর্থ। না পরা পোশাকগুলোর মধ্যে তালিকায় এগিয়ে আছে জিনস। এমন এক জোড়া জিনস অন্তত ৮৮ শতাংশ নারীরই আছে যা তারা কখনো পরেননি।     

তবে এভাবে অর্থের অপচয়ের জন্য প্রায় অর্ধেকের বেশি নারী অপরাধবোধে ভোগেন বলে অকপটে স্বীকার করে নেন তারা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এদের মধ্যে ১৭ শতাংশ নারীই পুরোনো ফ্যাশন আবার ফিরে আসবে এ আশায় পোশাকগুলো জমিয়ে রাখেন বলে জানান।

 পুরুষদের মধ্যে যে এ অভ্যাস একদমই নেই তা বলা যায় না। কেননা তাদের ক্ষেত্রে অন্তত ১৯ ধরনের পোশাক আলমারিতে রেখে দেওয়ার কথা জানা যায়, যা সম্পর্কে স্বয়ং এর মালিকই অবগত নন।

এর মধ্যে অধিকাংশ বিক্রির যোগ্য বলে এক-তৃতীয়াংশের বেশি পুরুষ স্বীকার করেন। গবেষণাটি পরিচালনা করা শপিং চ্যানেল কিউভিসির মুখপাত্র সু লিসন বলেন, ‘সাধারণত স্মৃতিকাতরতা থেকেই তারা পুরনো পোশাকগুলো জমিয়ে রাখেন। কিন্তু এটা বাস্তবসম্মত নয়। ’

  আপনার কাছে এরই মধ্যে যা আছে তার একটি তালিকা করুন, এটা আপনাকে একজন স্মার্ট ক্রেতা হতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে আপনার আলমারির দিকে নজর দিন এবং এমন জিনিস কিনুন যা আপনার প্রয়োজন ও চাহিদার মধ্যে সমন্বয় করতে সাহায্য করবে। 

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বিছানায় মেয়েরাই বেশি নোংরা হয় – বলছে গবেষণায় ?.


বিছানায় মেয়েরাই বেশি নোংরা হয় – বলছে গবেষণায় ?. 


  বর্তমানে এতো ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে পরিপাটি রাখা, নিজের ঘরের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা। বিশেষ করে বিছানা পারিপাটি ও পরিচ্ছন্নতা রাখা খুবই কষ্ট সাধ্য ব্যপার মনে হয়।

  আর পরিচ্ছন্নার দিক দিয়ে কারা বেশি এগিয়ে ছেলেরা নাকি মেয়েরা। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বিছানায় নোংরামি-তে নাকি পুরুষদের চাইতে বেশ এগিয়ে মেয়েরা।

  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের স্বভাবকে একরোখা ভাবে দেখা যায় না। যে মানুষটি তার কাজের জায়গায় অসম্ভব পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি, সেই ব্যক্তিই তার বিছানা রীতিমতো অগোছালো এবং অপরিপাটি। পারিপাটি ও পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্র হিসেবে যদি বিছানাকে সুন্দর করে ধরা যায়।

  কিন্তু নোংরামি-তে নাকি পুরুষদের চাইতে বেশ এগিয়ে রয়েছেন মেয়েরা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মিররতার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে।

  প্রখ্যাত ম্যাট্রেস ও শয্যা-সরঞ্জাম প্রস্তুতকারি সংস্থা আর্গোফ্লেক্স এক সমীক্ষা পরিচালনা করে দেখেছে যে, যুক্তরাজ্যে পুরুষরা সাধারণত দুসপ্তাহে তাঁদের বিছানার চাদর কাচেন।

  সেখানে মহিলারা এই কাজটি করেন মাসে এক বার। আর্গোফ্লেক্স তার সমীক্ষায় ১৮-৩৫ বছর বয়সি ২০০০ ব্রিটেনবাসী নারী-পুরুষকে তাঁদের বেডরুম-স্বভাব সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন পাঠায়। এমন এক প্রশ্নের উত্তরে উঠে এসেছে আশ্চর্য সব তথ্য।

  আর্গোফ্লেক্স-এর এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই সমীক্ষা থেকে তারা যা জেনেছেন তাতে বিছানায় পুরুষরা মেয়েদের চাইতে অনেক বেশি মাত্রায় স্বাস্থ্যবধি মেনে চলেন।

 সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের চাইতে সে দেশের বেশির ভাগ মহিলা বিছানার চাইতে সোফায় ঘুমোতে পছন্দ করেন। ব্রিটিশ পুরুষ রাত্রিবাস কাচাকাচির ব্যাপারেও মহিলাদের চাইতে এগিয়ে রয়েছেন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

একই সঙ্গে দুজনের সাথে সর্ম্পকে জড়ানো কী ঠিক ?.


একই সঙ্গে দুজনের সাথে সর্ম্পকে জড়ানো কী ঠিক ?.

ভালোবাসার সম্পর্ক যতটা মধুর, ততটাই জটিল একটি বিষয়। চেনা মানুষকেও হঠাৎই অচেনা লাগতে পারে। আবার অল্প চেনা মানুষকেও মনে হতে পারে যেন বহু যুগের চেনা। একজনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন আরেকজনের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করা হৃদয়ের সংখ্যাও কম নয়। কেউ প্রকাশ করে, কেউ করে না।

 একই সঙ্গে দুজনকে ভালোবাসা কিংবা পছন্দ করার বিষয়টি আসলে কী বা কেন এমন হয় এই প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে। যার সঙ্গে সম্পর্কে আছেন, তাকেও ভালোবাসছেন আবার অন্য কাউকেও ভালো লাগে, এই গোলমেলে অনুভূতি নিয়ে বিপর্যস্ত অনেকেই। তবে বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, এই সমস্যার নাম পলিঅ্যামোরি।

পলিঅ্যামোরি কী?

 একই সময়ে একাধিক মানুষের প্রতি ভালোবাসার অনুভূতি তৈরি হওয়া বা রোম্যান্টিক সম্পর্ক তৈরি হওয়াকে বলা হয় পলিঅ্যামোরি। এ ক্ষেত্রে যে যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে এমন নয়, তবে ভালোবাসা ও অনুভূতির বিনিময় অবশ্যই হবে। একজন ব্যক্তি একই সঙ্গে দুজনের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করবে, সমানভাবে সম্মানও থাকবে তাদের জন্য।

পলিঅ্যামোরি কী সঙ্গীকে ঠকানো?

 সত্যি যদি স্বীকার করেন, তবে এর উত্তর হলো- হ্যাঁ। কিন্তু বিষয়টি এতটাও সহজ নয়। আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে মনোজগতে চলে নিত্য পরিবর্তন। কখন কোন কারণে কার প্রতি কী অনুভূতি আসে, তা আগে থেকে বলা মুশকিল। আপনি হয়তো অজান্তেই পলিঅ্যামোরির শিকার হচ্ছেন, যখন বুঝতে পারলেন, ততদিনে হয়তো দেরি হয়ে গেছে। হয়তো ভেঙে গেছে আপনার পূর্বকার সম্পর্ক। একে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বের হয়ে আসতে চাইলে সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারেন।

আপনিও একই সঙ্গে দুজনকে পছন্দ করেন?

 মনের জোর সবার একই রকম হয় না। কেউ মনকে নিয়ন্ত্রণ করেন আবার কেউ মনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। আপনি সম্পর্কে থেকেও অন্য কাউকে পছন্দ করা শুরু করতেই পারেন। কিন্তু এটি স্বাভাবিক হিসেবে না নেওয়াই উত্তম। এমনটা ঘটলে নিজেকে নিয়ে ভাবুন। আপনি যেভাবেই ভাবেন না কেন, এটি সঙ্গী, পরিবার, সমাজ কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না।

মনোবিদরা কী বলছেন?

 একসঙ্গে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াকে বলা হয় পলিঅ্যামোরি বা কনসেন্সুয়াল ননমোনোগ্যামি। সেটি হতে পারে যৌন কিংবা শুধুই রোম্যান্টিক সম্পর্ক। এটি অস্বাভাবিক নয় বলে মনে করছেন মনোবিদরা। যদিও এটি অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে এলোমেলো করে দিতে পারে এই এক অনুভূতি। তাই সতর্ক হোন। একই সময়ে একাধিকজনকে মনে জায়গা দেওয়ার বিষয়ে মনকে নিষেধ করে দিন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আপনার শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?.


আপনার শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?.
  স্মার্টফোন আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য সঙ্গী। বড়দের পাশাপাশি আজকাল ছোটরাও আসক্ত হয়ে পড়ছে স্মার্টফোনে। শিশুদের শান্ত রাখতে অভিভাবকরাই সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল ফোন। ট্যাব বা মোবাইলে ভিডিও দেখতে দেখতে খাওয়ানো বা অবাধ্য সন্তানকে বসিয়ে রাখতে স্মার্টফোন হাতে দিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা আজকাল ঘটছে অহরহই। 
 এতে শিশু দ্রুত আসক্ত হয়ে পড়ছে গ্যাজেটে। মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন শিশুর মস্তিষ্কের যেমন ক্ষতি করছে, তেমনি গ্যাজেটের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের চোখ। এছাড়াও মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ চরমভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। জেনে নিন শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন।

শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?

শিশুর সামনে মোবাইল ব্যবহার করবেন না -
শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। তাই তাদের সামনে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করবেন না। গেম খেলা, চ্যাট করা বা ভিডিও দেখার কাজগুলো তাদের সামনে করলে তারাও আগ্রহী হয়ে উঠবে মোবাইলের প্রতি। মোবাইল একটি যোগাযোগের মাধ্যম, কোনও বিনোদনের মাধ্যম নয়- এই বার্তাটি আপনার কাছ থেকেই পাবে আপনার সন্তান।
শিশুর সঙ্গে প্রচুর কথা বলুন -
শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে বরং ঐ সময়ে আপনি নিজে গল্প করুন তার সঙ্গে। গল্প বলা, বই পড়ে শোনানো, কবিতা বলা বা গান গেয়ে শোনানোর মতো কাজ গুলো করলে যেমন শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হবে, তেমনি মোবাইল আসক্তিও কমে যাবে।

শিশুকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুন -
ছবি আঁকা, নতুন কিছু বানানো বা গাছের পরিচর্যা করতে উৎসাহিত করুন শিশুকে। বাড়ির আশেপাশে পার্ক থাকলে বিকেলে শিশুকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘরের কাজেও তাদেরকে সাহায্য করতে বলতে পারেন।
সময় বেধে দিন -
আজকাল অনলাইন ক্লাস করতে হয় মুঠোফোন বা ল্যাপটপে। ক্লাসের পর আর গ্যাজেট ধরতে দেবেন না। যদি দিতেও হয়, সময় বেধে দেবেন।

মোবাইলে অবশ্যই পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন -
আপনি আশেপাশে না থাকলেও যেন সন্তান ফোন ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য অবশ্যই পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখবেন ফোনে।  

ছোটদের ইউটিউব হতে পারে অপশন -
যদি দিনে কিছু সময়ের জন্য একান্ত বাধ্য হয়ে গ্যাজেট দিতে হয় সন্তানের হাতে, তবে ছোটদের ইউটিউব অন করে দিন। এখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভিডিও দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। ঠিক করে দেওয়া সময়সীমার বাইরে দেখা যাবে না ভিডিও। শিশু কী দেখলো তা নজরে রাখাও সহজ হবে।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

সদ্য বিবাহিত মহিলাকে কোন ৬ টি প্রশ্ন করবেন না ?.


সদ্য বিবাহিত মহিলাকে কোন ৬ টি প্রশ্ন করবেন না ?.
 বিয়ের পর মেয়েদের জীবনটা একদম অন্যরকম হয়ে যায়, তাঁদের জীবনের একটা নতুন অধ্যায় শুরু হয়। সেই অধ্যায় ভালো নাকি খারাপ সেই বিতর্কে আর না যাওয়াই ভালো, তবে একটা বিষয়ে খুব খুব জোড় দিয়েই বলা চলে যে,
বিয়ের পর মেয়েদের জীবনযাত্রায় একটা স্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, নতুন পরিবারে আসার কারণে অনেক নতুন মানুষের সাথেও তাঁদের পরিচয় ঘটে।
 সেখানে এসে তাঁরা সবথেকে যে অসুবিধার সম্মুখীন হন, সেটা হলো নানারকম প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হয় তাঁদের। তবে এমনটা আমি কখনোই বলছি না যে, তাঁদের প্রশ্ন করা কোনো অপরাধ। তবে এখানে কথা হচ্ছে যে, এমন কিছু প্রশ্ন আছে, যা নব বিবাহিত বধূকে রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। 

  সেসব প্রশ্নে উত্তর দিতে মেয়েরা কখনোই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। তবে এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক, যে এমন কি প্রশ্ন আছে, যা কখনও কোনো সদ্য বিবাহিত মহিলাকে না করাই উচিৎ। নাহলে কিন্তু আপনিও অজান্তেই তাঁর অপছন্দের মানুষ হয়ে উঠতে পারেন।
১. বিয়ে তো হল অনেকদিন হয়েছে, এবার বাচ্চা কবে নিচ্ছ -
এই প্রশ্নটা কিন্তু নব বধূরা সবথেকে বেশি অখুশি হন, তার কারণ হলো, বিয়ের পরে বাচ্চা নেওয়ার বিষয়টা সব মহিলাই একান্ত গোপন রাখতে চায়। তাই এই ধরণের প্রশ্ন কিন্তু তাঁদের কখনও করবেন না, কারণ এই ধরনের প্রশ্ন তাঁদের খুব অপছন্দ।

২.বিয়ের পর অনুভূতি কেমন -
বিয়ে করে এখন কেমন লাগছে তোমার?- এই ধরনের প্রশ্ন নব বধূদের অনেক প্রতিবেশিরাই জিজ্ঞেস করে থাকেন। কিন্তু ব্যপারটা হলো যে, এই প্রশ্নের কোনো উত্তর হয়না। তাই কেউ যদি নব বধূকে এরকম প্রশ্ন করেন, তাহলে নব বধূরা প্রশ্ন কর্তাদের দিকে বোকার মত হাঁ করে তাকিয়ে ছাড়া কোনো উপায় খুঁজে পান না।
৩.তোমার মধ্যে কিন্তু আগের থেকে অনেক পরিবর্তন এসেছে :-
 সবসময় মনে রাখবেন যে, বিয়ের পর কিন্তু ১ টি নয়, মূলত ২ টি সংসারের দায় দায়িত্ব তাঁদের ঘাড়ে চেপে যায়, তখন মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় একটু হলেও পরিবর্তন আসে। আর এটাই খুব স্বাভাবিক। এই নিয়ে কোনো কথা বা বলা, বা প্রশ্ন করা পুরোপুরি অবাঞ্ছিত।

৪. আচ্ছা তুমি এখনও তোমার পদবিটা পরিবর্তন করছ না কেন ? :- 
আচ্ছা আপনার কেন মনে হয় যে, নাম পরিবর্তন করাটা খুব জরুরী? একজন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে কি তাঁকে তাঁর পদবিটা বদল করতেই হবে? হ্যাঁ, তার স্বামী-শ্বশুরবাড়ির এই বিষয় নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা নেই যখন, তবে কেন পাড়া-প্রতিবেশি এই বিষয়ে এত আগ্রহ দেখায়, তা কিছুতেই বুঝতে পারেন না এই নববধূগণ।
৫. আচ্ছা এখনও নিজের ঘর/ফ্ল্যাট কেন কিনছ না ? -
অনেকেই এমন আছেন যাঁরা মনে মনে ভাবেন যে, জ্বি, আপনি টাকাটা পাঠিয়ে দিন, কালকেই একটা ফ্ল্যাট কিনে ফেলবো। যিনি সংসার চালান একমাত্র তিনিই জানেন যে, তাকে সংসারের সমস্ত বিষয়টা সামাল দিতে হয়।

৬. আচ্ছা তোমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঠিক কেমন? -
মানুষের প্রশ্নের কোনো সীমা নেই এবং তার কোনও শেষও নেই। একদিকে লোকজন মেয়েটির কাছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নামে কথা জিজ্ঞেস করবে, এবং তারপর সেটাকে আরো বড় করে রঙ মাখিয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সামনে উপস্থাপন করবেন। এটাই তাঁদের স্বভাব।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

নারীর সতীত্ব ঠিক আছে কিনা বুঝবেন কোন উপায়ে ?.


নারীর সতীত্ব ঠিক আছে কিনা বুঝবেন কোন উপায়ে ?.
আপনার সঙ্গীনি কুমারী কিনা তা জানার আগ্রহ কি আপনার হয়? এক কথায় বলবেন হ্যা অবশ্যই হয়। এ বিষয়টা নিয়ে এমন অনেক পুরুষ আছে যারা দুশ্চিন্তায় ভোগে। এখন বলুন এটা আপনার খারাপ দৃষ্টিভঙ্গি নাকি ভাল? এমন দৃষ্টিভঙ্গি আপনার থেকে থাকলে নীচের বিষয় গুলো বুঝে নিন।
 আপনিই সিদ্ধান্ত নিবেন আপনার নিজের কোন ভুল ছিল কিনা বোঝায়। এমন অনেকে আছেন যারা তার অর্ধাঙ্গীর সতীত্ব ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে চান আপনার ধারনা সতিচ্ছেদ ঠিক থাকলেই সঙ্গিনী সতী বা কুমারী। কিন্তু এই ধারনা যে একেবারেই ভুল। সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যাওয়া মানেই এই নয় যে -

  সে অন্য পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এই ধারনা একেবারেই অমূলক। অনেকে ধারনা করেন প্রথম যৌন মিলনে সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে রক্তপাত হয়। এই ধারনাও ঠিক নয়। অনেক মেয়ের সতীচ্ছেদ পূর্বে ছিঁড়ে না থাকলেও প্রথম মিলনে ছিঁড়তে পারে কিন্তু অনেক সময় রক্তপাত হয় না।
 তবে প্রশ্ন হলো নারীর সতীচ্ছেদ কি আসলেই তার সতীত্ব ( Chastity ) বহন করে? না কারণ কুমরীর সতীচ্ছেদ বিভিন্ন কারণে ছিঁড়ে যেতে পারে। তবে একজন চিকিৎসকই সঠিকভাবে বলতে পারবেন যে, কোন মেয়ের সতীচ্ছেদ ছিড়ে গেছে কিনা।

 তবে এমন কিছু কিছু লক্ষণ আছে যা দ্বারা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে, আসলেই আপনার সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে গেছে কিনা।

যেমন: ---
১. আপনার সতিচ্ছেদ Chastity পরীক্ষা করার জন্য একটি আয়না নিন। এবার দু পা ফাঁক করে আঙ্গুলের সাহায্যে ভঙ্গাকুর দুই দিকে সরিয়ে ধরুন। যদি ছোট রিং আকারের একটি পর্দা দেখতে পান, তবেই বুঝবেন আপনার সতীচ্ছেদ ঠিক আছে।
২. সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে গেলে ব্যাথা হয়, রক্তপাত হয়। যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে, কবে আপনার সতীচ্ছেদ ফেটেছিল।

৩. মেয়েদের সতীচ্ছেদ যে শুধু হম্তমৈথুন ও ( Sex ) সহবাসের ফলে নষ্ট হয় তা নয়। চাপের কোন কাজ করলে, সাঁতার কাঁটা, গাছে উঠা, খেলাধূলা, ইত্যাদি কারণেও ছিন্ন হতে পারে সতীচ্ছেদ।

সতীচ্ছেদ সম্পর্কিত বাস্তব বিষয় গুলি হলো –

১. প্রত্যেক ১০০০ মেয়ের মধ্যে কমপক্ষে ১ জন ভুমিষ্ট হয় সতিচ্ছেদ ছাড়াই।

২. ১০০ জনের ভিতর ৪০ জন নারী প্রথম বার মিলনে রক্তপাত হয় না।

৩. সাঁতার, খেলাধূলা বা অন্য কোন কারণে সতীচ্ছেদ নষ্ট হতে পারে।

৪. সতীচ্ছেদে একটি ছোট ছিদ্র থাকে। যেটি ( Periods ) মাসিকের সময় Period Pain ও রক্ত ধারা প্রবাহিত হওয়ার জন্য স্বভাবিক থেকে একটু বড় হয়।

৫. যদি 'টেমপন’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তবে সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যেতে পারে।
৬. সতীচ্ছেদ ছিঁড়লেই যে রক্ত ক্ষরণ হবে এমন বাধ্যবধকতা নেই। রক্ত ক্ষরণ ছাড়াই সতীচ্ছেদ ছিঁড়ে যেতে পারে।

 মেয়েদের সতীত্বঠিক আছে কিনা এ প্রশ্ন করার আগে নিজের সতীত্ব ঠিক আছে কিনা ভেবেছেন? পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজ ব্যবস্থায় নারীর সতীত্ব ঠিক কিনা এ প্রশ্ন করা নারীকে অ;পমান করার শামিল। পুরুষ বা নারীর সতীত্ব ঠিক কিনা এটা নিজেরা পারষ্পরিক বোঝাপড়া ও বিশ্বাস থেকে ঠিক করে নিন।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বেশি দিন বাঁচতে চাইলে আজই বাদ দেবেন কোন ৪টি কাজ ?.


বেশি দিন বাঁচতে চাইলে আজই বাদ দেবেন কোন ৪টি কাজ ?.
 সব মানুষই চায় সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন। এর জন্য যে কাজ গুলো করতে হয় তা করতে গিয়ে অনেকেই হোঁচট খান। মানুষ ভবিষ্যতের লাভের জন্য বর্তমানের আনন্দকে ত্যাগ করাটা খুব কঠিন মনে করে। বর্তমান শতাব্দীতে উন্নত ঔষধ, উন্নত স্যানিটেশন, নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ ও ব্যাক্তি সতর্কতার ফলে বিশ্বের প্রথম সাড়ির দেশ গুলুতে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে একজন পুরুষের গড় আয়ু ৬৮.৫ বছর এবং একজন মহিলার গড় আয়ু ৭৩.৫ বছর। শুধুমাত্র দীর্ঘ জীবন নয় সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন পাওয়ার জন্য কতগুলো পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন। আসুন জেনে নেই সেই পন্থা গুলো।

এগুলো অনুসরণের মাধ্যমে সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভ করি: 

১। প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ বন্ধ করুন: -
প্রক্রিয়াজাত খাবারে অনেক বেশি চিনি, লবণ ও ফ্যাট থাকে এবং এইসব খাবারে ফাইবার/ আঁশ কম থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই আপনার খাদ্য তালিকা থেকে প্রসেসড ফুড বাদ দিয়ে শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশ জাতীয় খাবার খান।
২। নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিন: -
নেতিবাচকতা আপনার ভেতরের শক্তিকে নষ্ট করে দেয় এবং আপনার স্ট্রেস লেভেল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রাগ, হতাশা, বিষণ্ণতা ও উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি পায় এবং অধিক খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই নেতিবাচকতা পরিহার করে ইতিবাচক হোন। আপনার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করুন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করুন এতে আপনার স্ট্রেস কমবে ফলে আপনি দীর্ঘজীবী হবেন।

৩। একভাবে বসে থাকবেন না: -
বর্তমানের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, ব্যায়ামের মাধমে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেমন- ক্যান্সার ও স্থূলতার সম্ভাবনা কমায়। দিনে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম আপনার আয়ু বাড়িয়ে দেবে। ২০১১ সালে The Lancet e প্রকাশিত গবেষণা পত্রে দেখা গেছে যে, দিনে ১৫ মিনিটের ব্যায়াম যারা করেছেন তাদের আয়ু ৩ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করেছেন তাদের আয়ু ৪ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইওয়ানের ৪১৬০০০ নারী ও পুরুষ কে নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়। তাই দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা লাভের জন্য সারাদিনের কিছুটা সময় বেছে নিন ব্যায়ামের জন্য।
৪। রাতের ঘুম ছাড় দেবেন না: -
ঘুমের ব্যাপারে কার্পণ্য করবেন না। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এর জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । ২০০৭ সালে ঘুম বিষয়ক একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্র থেকে জানা যায় যে, ঘুমের হ্রাস বৃদ্ধি মানুষের মৃত্যু হারের উপর প্রভাব বিস্তার করে। নিয়মিত কম ঘুমালে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আর নিয়মিত ভালো ঘুম হলে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন ও হার্ট ডিজিজ দ্রুত ভালো হয়।

  বড় কোন পরিবর্তন নয় ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজের জীবনযাপনের ধরণের পরিবর্তন করুন। আপনার বাবা বা দাদা অনেক দিন বেঁচে ছিলেন বলে আপনিও অনেক দিন বেঁচে থাকবেন তাই সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য আপনাকে কোন চেষ্টা করতে হবেনা এমনটা ভাববেন না। আবার আপনার পূর্ব পুরুষরা দীর্ঘায়ু লাভ করেন নি বলে আপনি ও দীর্ঘজীবী হতে পারবেন না এই ধরণের ধারণা বা ভয় ও লালন করা ঠিক না। ইতিবাচক ভাবে চিন্তা করুন এবং জীবনে সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু লাভ করে জীবনে।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বিল গেটস’এর সেরা ৭ টি উপদেশ কি কি ?.


 ‘বিল গেটস’এর সেরা ৭ টি উপদেশ কি কি ?.

বিশ্বের সবার নিকট খুব পরিচিত একটি নাম বিল গেটস। এক নামেই সবাই তাকে চেনে কেন জানেন কি? কারণ ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি টানা ১৩ বার পৃথিবীর সেরা ধনী ব্যক্তির খেতাবটি পেয়েছিলেন। শুধু তাই নয় এখনো তিনি তার অবস্থান ধরে রেখেছেন। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমান ৮৬ বিলিয়ন ডলার। মূলত মাইক্রোসফট কোম্পানি দ্বারা তার সফল ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু হয়। তবে তার একটি লাভজনক ব্যবসায় হচ্ছে এক্স বক্স (Xbox)। তাছাড়া বিভিন্ন নামকরা কোম্পানিতে তার শেয়ারও রয়েছে। আর দশ জনের মতই বিল গেটসের ক্যারিয়ারের শুরুটা সহজ ছিল না। বিল গেটসের ছিল অসাধারণ সৃজনশীলতা, নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আর অক্লান্ত পরিশ্রম। সঙ্গে ছিল প্রচন্ড অধ্যবসায়। যার কল্যাণে তিনি গড়ে তুলেছেন তার সম্পদের বিশাল সাম্রাজ্য। তাইতো সবাই একবাক্যে বলতে বাধ্য হয়,

 বিল গেটসই বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে সফল এবং বুদ্ধিমান ব্যবসায়ী। ব্যবসা শুরু থেকে তা টিকিয়ে রাখা পর্যন্ত তার রয়েছে বিশাল অভিজ্ঞতা। তাইতো নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে ৭টি উপদেশ দিয়েছেন। যা তাদের দূর্গম পথকে অনেকটাই সহজ করে দেবে। আজকের আয়োজনে বিল গেটসের সেই ৭টি উপদেশ নিয়ে আলোচনা করা হলো-

1.ঝুঁকি নেয়ার জন্য প্রস্তুত হন-

“ব্যবসা কয়েকটি নিয়ম ও প্রচুর ঝুঁকির সঙ্গে একটি টাকার খেলা” -বিল গেটস। আপনি জুয়া খেলার সময় কখনোই নিশ্চিত হতে পারেন না যে, সেটি জিতবেন নাকি হারবেন। অনুরূপভাবে আপনি ব্যবসা শুরু করতে গেলেও লাভ লোকসানের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবেন না।

 বিল গেটস যখন মাইক্রোসফট শুরু করেন তখন তিনি টেনশনে থাকতেন এই নিয়ে যে, কর্মীদের মাসিক বেতন দিবেন কীভাবে! সুতরাং বুঝতেই পারছেন উনার ঝুঁকিটা কত বড়মাপের ছিল। তাই মনে রাখুন,পৃথিবীর সবকিছুই অনিশ্চিত। কিছু ত্যাগের বিনিময়েই এখানে কিছু পাওয়া যায়। তাই চলার পথে উৎসাহ এবং সাহস ধরে রাখুন। তবেই সফলতা পেতে কেউ আপনাকে আটকাতে পারবে না।

2.সাফল্যের জন্য কখনই দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন না-

“সাফল্যের একটি মূল উপাদান হল ধৈর্য্য” – বিল গেটস। ধৈর্য্য এমন একটি জিনিস যা অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারে। ধরে নিন কোনো কিছুই সহজে পাবেন না। তাই ধৈর্য্য ধরুন। ধৈর্য্য সহকারে চেষ্টা ও সংগ্রাম করে যান। পল এলেন ও বিলগেটস মাইক্রোসফটের যাত্রা শুরু করেছিলেন একটি নড়বড়ে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ।

কিন্তু তাদের চেষ্টা ও পরিশ্রমের দরুন বর্তমানে মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য ৫০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। একটি প্রবাদ আছে যে, There are no shortcuts to success. তাই পরিকল্পনা না করে তড়িৎগতিতে কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না। সুনির্দিষ্ট প্ল্যান নিয়ে ব্যবসায় নেমে পড়ুন আর তাড়াহুড়ো না করে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিন।

3. আপনি যা তার জন্যই গর্বিত হোন -

“পৃথিবীর কারো সঙ্গেই নিজেকে তুলনা করবেন না, যদি তা করেন তাহলে আপনি নিজেই নিজেকে অপমান করছেন” – বিল গেটস। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা অন্যদের মত সফল, সম্পদশালী এবং বুদ্ধিমান না। জেনে রাখুন, ইচ্ছা করলেই আপনি বিল গেটস হতে পারবেন না। তাই অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করা বন্ধ করুন। মনে রাখুন সবাই একই বৈশিষ্ট্যের নয়। তাই অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা নয়।

 নিজের মধ্যে থাকা ইউনিক বৈশিষ্ট্যটি খুঁজে বের করুন। আর তার উপর আস্থা রাখুন সফল আপনি হবেনই। নিজের যত সক্ষমতা আছে তার সবকিছু ব্যবসাতে ঢেলে দিন। ব্যবসাতে প্রতিনিয়ত কলা-কৌশলে পরিবর্তন আনুন। ব্যবসা করতে গেলে আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে বড় শক্তি, বিল গেটস এই আত্মবিশ্বাসের দ্বারাই হার্ভার্ড ছেড়ে দিয়ে মাইক্রোসফট গড়তে পেরেছিলেন।

4.সবসময় নম্র থাকুন -

“সাফল্য একজন উস্কানি দেয়া শিক্ষকের মত, যা বুদ্ধিমান লোকদের মাথায় এটি ঢুকায় যে, তারা কখনো ব্যর্থ হবে না” – বিল গেটস। অনেকেই সফলতা পেয়ে নিজেকে আকাশচুম্বী মনে করা শুরু করে দেয়। যদি আপনিও তা মনে করেন তাহলে আমি বলব আপনি সফলতার তাৎপর্যই বুঝেন না।

 আপনি বিশ্বাস করুন আর না করুন, জীবন হল একটি চাকার মত অর্থাৎ আনপ্রেডিকটেবল। আজ আপনার অবস্থান অনেক উপরে, কাল তলানিতে থাকা অসম্ভব কিছু না। আপনি সফলতার যত উপরেই উঠুন না কেন কখনোই ভুলবেন না আপনি কোথায় ছিলেন। আপনার কর্মীদের সঙ্গে সবসময় ভালো আচরণ করুন। এতে তারা আপনার কোম্পানিকে সর্বোচ্চ বেনিফিট দিতে উৎসাহিত হবে। আপনার কোম্পানিকে তারা নিজের মনে করবে।

5. সবকিছু ইতিবাচকভাবে নিন এবং শিখতে ভালোবাসুন -

“ আপনার সবচেয়ে অসন্তুষ্ট কাস্টমাররাই আপনার শেখার সর্বোত্তম উৎস” – বিল গেটস। ব্যবসার শুরুতে আমরা যদি সমলোচনা বা খারাপ প্রতিক্রিয়া পাই তাহলে আমরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। কিন্তু আপনি যদি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে কাস্টমারদের সমলোচনাই আপনার শেখার সর্বোত্তম স্থান।

বিজনেস স্ট্রেটেজিতে আপনার ভুল কিংবা অসম্পূর্ণতাগুলো সবচেয়ে ভালোভাবে চিহ্নিত করা যায় কাস্টমারদের কাছ থেকে পাওয়া ফিডফ্যাক হতে। কাস্টমারদের কাছ হতে আসা সমালোচনা এবং খারাপ প্রতিক্রিয়াগুলো ইতিবাচকভাবে নিন। আর এগুলোকে আপনার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের প্রভাবক হিসেবে ব্যবহার করুন।

6.ব্যর্থতাকে মেনে নিন এবং এগিয়ে যান -

“সাফল্যকে উদযাপন করা ভালো, তবে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যর্থতা থেকে পাওয়া শিক্ষাকে মনে রাখা”- বিল গেটস। আপনি যখন সফল হবেন তখন সবাই আপনাকে সম্মান করবে, গুরুত্ব দিবে, সাহায্য করতে চাইবে। আপনার জীবন আনন্দে ভরপুর থাকবে। কিন্তু যখন ব্যর্থতায় পতিত হবেন তখন দেখবেন কেউ আপনাকে চিনবেই না, চারিদিকে অন্ধকার দেখবেন। তখন আপনি বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী কিংবা ব্যবসার কৌশল প্রভৃতির আসল রূপটা বুঝতে পারবেন। ব্যর্থতা আপনাকে যে শিক্ষা দিবে তা আর কোথাও হতে পাবেন না।

 আপনি জীবনে সফলতার যত উপরের অবস্থানেই যান না কেন ব্যর্থতা থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলো ভুলবেন না, এই শিক্ষাগুলোই আপনার সফলতার প্রতিটা ধাপ গড়ে তুলতে সহয়তা করবে। আর জীবনে ভুল বা ব্যর্থতা আসবেই, বিল গেটসও প্রথমবার ব্যবসাতে সফলতার মুখ দেখেননি।

7.যত দ্রুত সম্ভব নিজেই নিজের বস হোন-

“যদি তুমি নিজের স্বপ্ন গড়তে না পার, তাহলে অন্য কেউ তার স্বপ্ন গড়তে তোমাকে ভাড়া করবে” – বিল গেটস। বিল গেটস অল্প বয়সেই তার কোম্পানির বস হয়েছিলেন, যা তাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আপনি যেই ব্যবসাই শুরু করতে চান না কেন, দেরি না করে আজই নেমে পড়ুন। যত দেরি করবেন আপনার মনোবল ততই কমে যাবে।

 সর্বশেষ কথা হল, উদ্যোক্তাদের পথ সবসময়ই বাধা-প্রতিবন্ধকতায় পরিপূর্ণ হয় বিল গেটসও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। ব্যবসার শুরুর আগে ব্যবসার বিষয়টি নিয়ে প্রচুর স্টাডি করুন। কী করলে আপনার ব্যবসার প্রসার বাড়বে, লক্ষ্যমাত্রার মুনাফা অর্জিত হবে তা খেয়াল করে ব্যবসায়ের সিদ্ধান্তগুলো একে একে নিন।

 বিগত বছরের ভুলগুলোর কারণ খুঁজে বের করুন এবং সেগুলো যাতে আর না হয় সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন। আর হ্যাঁ পরিশ্রম, মূলত এর উপরই আপনার ব্যবসার বর্তমান-ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। বিল গেটস বছরের মাত্র দুইদিন পূর্ণ বিশ্রাম নিতেন তাও আবার সারাদিন বই পড়ে কাটাতেন।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মেয়েদের নাভির সম্পর্কে আপনি এগুলি কি জানেন ?.


মেয়েদের নাভির সম্পর্কে আপনি এগুলি কি জানেন ?.
দুনিয়ায় এমন অনেক কিছুই রয়েছে যা সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই আমাদের। মেয়েদের শরীরের অন্যতম আকর্ষনীয় অঙ্গ তাদের নাভী। পুরুষরা মেয়েদের নাভীর সৌন্দর্যে চরমভাবে পুলকিত হয়। নাভি কুন্ডলী সাধারণত বাইরের দিকেই বেরিয়ে থাকে।
পৃথিবীর মাত্র ১০ শতাংশ ব্যক্তির নাভি কুন্ডলী ভিতরের দিকে থাকে। ঈশ্বরের সৃষ্টি বড়ই অদ্ভূত। মানব শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ নাভি। জন্মের পর মাতৃজঠরের সঙ্গে ছেদের মুহূর্তেই যা তৈরি হয়ে যায়। মা ও শিশুর যোগসূত্র। তাই নাভির সঙ্গে জড়িয়ে নানা অবাক করা বিষয়।

চলুন এবার তাহলে নাভি সম্পর্কে অজানা ও অবাক করা বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক-

১. প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ২ লাখ মানুষ নাভি কুন্ডলীর প্লাস্টিক সার্জারি করান। এদের অধিকাংশ অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ মানুষ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাভি কুন্ডলী ভিতর দিকে করেন।

২. একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ৬০ জন মানুষের নাভিতে প্রায় আড়াই হাজার আলাদা আলাদা প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়া বসবাস করে।
৩. নাভি কুন্ডলী সাধারণত বাইরের দিকেই বেরিয়ে থাকে। পৃথিবীর মাত্র ১০ শতাংশ ব্যক্তির নাভি কুন্ডলী ভিতরের দিকে।

৪. অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের অনেক সময় শিশুর চাপে নাভি কুন্ডলী ভিতর থেকে বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে।

৫. প্লাস্টিক অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, যে সব মহিলার নাভি কুন্ডলী বাইরের দিকে, তারা খুব একটা আকর্ষণীয় হন না। পুরুষদের ক্ষেত্রেও তাই।
৬. শিশু হাসপাতালের ডাক্তারদের মতে নাভী বাহিরের দিকে থাকা শিশুরা সাধারণত কম রোগাক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে এটা তাদের অনুমান প্রসূত মতামত।

নাভির আকারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মহিলাদের চরিত্রের গোপন কথা-

গোল আকৃতির নাভি : -যাদের নাভি গোল হয়, সেই মহিলারা খুব সরল ও সাদাসিধে এবং ঘরোয়া হয়। শাস্ত্র বলছে, এই মহিলারা সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আনে।

গভীর নাভি : -যে মহিলাদের নাভি গভীর হয়, তারা বন্ধুত্ব করতে খুব ভালোবাসেন। শাস্ত্র বলছে, এরা সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আনে। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে না।
চন্দ্রাকার নাভি : -শাস্ত্র মতে, যাদের নাভি চাঁদের মতো, সেইসব মহিলাদের থেকে পুরুষদের দূরে থাকাই ভালো। কারণ এরা কারও উপর বিশ্বাস করেন না।

নাভি যদি বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকে : -যদি কোনও মহিলার নাভি বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকে, তারা খুব সৌভাগ্যবতী হন। যেখানে এরা যান, সেখানে ধন-সম্পত্তির কোনও কমতি থাকে না।

যদিও নাভির ভিতরের অংশ অনেকটা বাইরে থাকে : -সেক্ষেত্রে সেই মহিলা খুব কঠোর প্রকৃতির হয়। এটাও বলা হয়, মা হতে গিয়ে এই মহিলাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

যাদের নাভি খুব সেন্সিটিভ হয় : -যাদের নাভি খুব সেন্সিটিভ, তারা খুব হাসিখুশি হয়। কঠিন পরিস্থিতিতেও মুখের হাসি বজায় থাকে এদের।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।