শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২

প্রথম পরিচয়েই হৃদয় হরণ করবেন কিভাবে ?.


প্রথম পরিচয়েই হৃদয় হরণ করবেন কিভাবে ?. 

হাট-বাজারে, বন্ধুর বাড়ির পার্টিতে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, চলার পথে, অফিস-আদালতে প্রতিনিয়তই আমাদের নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয়। কিন্তু রোজ পরিচিত হওয়া অসংখ্য নতুন মানুষের সবাই কি আপনার হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারে? অথবা আপনি কি জায়গা করে নিতে পারেন সবার হৃদয়ে? প্রথম পরিচয়েই কারো হৃদয়ে জায়গা করে নিতে হলে আপনাকে নিশ্চয় আম জনতার চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। কিছু মোক্ষম আচরণ আছে যার চর্চা করলে প্রথম পরিচয়েই কারো মনে দাগ কাটতে সক্ষম হবেন আপনিও। জীবনসঙ্গী নির্বাচন অথবা ক্যারিয়ার উন্নতি যে ক্ষেত্রই হোক না কেন, প্রথম পরিচয়ের গুরুত্ব কিন্তু অনেক। প্রথম পরিচয় দিয়েই তার সাথে আপনার পরবর্তী সম্পর্কের গতি প্রকৃতি নির্ধারিত হয়। আসুন আরও বিশদভাবে জানি কি কি করলে প্রথম পরিচয়েই কারো হৃদয় হরণ করা যাবে। প্রথম পরিচয় দিয়েই তার সাথে আপনার পরবর্তী সম্পর্কের গতি প্রকৃতি নির্ধারিত হয়।১. অকৃত্রিম আচরণ - 

নতুন কোনো মানুষের সাথে পরিচয় হলে অনেকের মধ্যে নিজেকে কৃত্রিমভাবে উপস্থাপনের একটি প্রবণতা কাজ করে। নিজের যা নেই বা নিজে যা নয়, এমন বিষয়ও নিজের বলে জাহির করেন। নিজেকে বড় করে তুলতে মরিয়া হয়ে পড়েন। তারা ভাবেন নিজের সম্বন্ধে বাড়িয়ে বললে সদ্য পরিচিত হওয়া ব্যক্তির কাছে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় করে তোলা যাবে। কিন্তু আদতে তা নয়। বাস্তবতা হল, এমন আচরণ যে কৃত্রিম তা খুব সহজেই মানুষ বুঝতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ভাবার বদলে সদ্য পরিচিত হওয়া লোকটি আপনার প্রতি মনে মনে বিরক্ত হয়ে ওঠেন আর হয়তো আজকের সাক্ষাতটা শেষ হলে তিনি দ্বিতীয়বার আবার সাক্ষাতের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। সুতরাং এমন কৃত্রিম আচরণ নয়, বরং অকৃত্রিম হয়ে উঠুন। নিজের সমন্ধে সত্য তথ্য দিন তবে সুন্দরভাবে। এতে সদ্য পরিচিত হওয়া ব্যক্তির কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

২. সহজ এবং বৈশ্বিক উপস্থাপন -

প্রথম পরিচয়ে কারো সাথে কোন গুরুগম্ভীর ও বিতর্কিত বিষয়ে আলাপ করবেন না। কেননা সদ্য পরিচিত হওয়া ব্যক্তির দর্শন আপনি জানেন না। তিনি কোন মতাদর্শের মানুষ তা প্রথম পরিচয়ে জিজ্ঞাসা করা যায় না। কাজেই নিজের জ্ঞান গরিমা জাহির করতে গিয়ে দ্বিমত হতে পারে এমন বিষয়ে আলাপ জমালে হিতে বিপরীতও হতে পারে। কোনক্রমে আপনি যদি তার বিপরীত মতাদর্শের কেউ হয়ে থাকেন তবে আপনাকে তিনি এড়িয়ে চলবেন। কাজেই অপেক্ষাকৃত সহজ ও সর্বজনগ্রাহ্য বিষয়ে আলাপ করুন। বৈশ্বিক বিবেচনায় লক্ষ মানুষের স্বার্থ জড়িত এমন বিষয়ে আলাপ করুন। কথা এগোনোর সাথে সাথে আপনার সমন্ধে তার একটা উন্নত ধারণা তৈরি হবে।

৩. আপত্তিকর প্রশ্ন -

আমরা প্রায় ভুলে যাই আপত্তিকর বা বিব্রতকর প্রশ্ন কোনটা! যেমন তরুণ বা তরুণী হলে হরহামেশাই জিজ্ঞাসা করে বসি, আপনার বয়ফ্রেন্ড/গার্লফ্রেন্ড আছে? সিনেমা নাটকে প্রথম পরিচয়ে এসব প্রশ্ন করতে দেখালেও বাস্তবে কিন্তু সম্পূর্ণ ‍উল্টো। প্রথম পরিচয়ে কেউ এমন প্রশ্ন করলে একমাত্র ব্যক্তিত্বহীন কেউ ছাড়া প্রায় প্রত্যেকেই বিব্রত হয়। আর যদি কেউ পরিস্থিতি সামলে হাসি মুখে এমন বিব্রতকর প্রশ্নের উত্তর দেয়, তবে জেনে রাখুন সেই উত্তর মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। আবার প্রথম পরিচয়ে আলাপের এক পর্যায়ে কারো সেলারি বা বয়স জানতে চাওয়া আরও বেশি বিব্রতকর। অথবা তিনি যে পেশায় আছেন তার চেয়ে উচ্চ বেতনের কোন চাকরিতে কেন যাননি এমন প্রশ্নও বিব্রতকর। এছাড়া একান্ত ব্যাক্তিগত প্রসঙ্গগুলোও প্রথম পরিচয়ে এড়িয়ে চলা উত্তম। সুতরাং প্রথম পরিচয়ে কখনো আপত্তিকর বা বিব্রতকর কোন প্রশ্ন নয়, বরং এমন প্রশ্ন করুন যাতে তিনি আলাপ এগিয়ে নিতে উৎসহ পান।

৪. মোক্ষম সাত সেকেন্ড -

এক গবেষণায় দেখা গেছে কোন ব্যক্তি আপনাকে কেমন ভাবে গ্রহণ করবে তা প্রথম দর্শনের সাত সেকেন্ডের মধ্যেই ঠিক করে ফেলে অর্থাৎ তিনি আপনাকে পছন্দ করবে কিনা বা কতটা পছন্দ করবে তা নির্ধারিত হয় মাত্র সাত সেকেন্ডে। সুতরাং প্রথম সাত সেকেন্ড সাত বছরের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। নিজের অঙ্গভঙ্গি, অভিব্যক্তি ও কন্ঠস্বরের যথার্থ ব্যবহার করুন এই সাত সেকেন্ডে। আকর্ষণীয় বাচনভঙ্গীতে কথা বলুন চোখে চোখ রেখে আর হরণ করুন সদ্য পরিচিত হওয়া মানুষটার হৃদয়।

৫. হাসি -

প্রতিকূল পরিস্থিতি অনুকুলে আনতে মোক্ষম অস্ত্র ‘হাসি’। আর যখন তা প্রথম পরিচয়ের ব্যাপার হয় তখন তো হাসিই ভরসা। একটি চমৎকার স্মিত হাসি হাজার কথার চেয়েও মধুর। তাই কথা বলার সময় একটা অকৃত্রিম হাসি চোখে মুখে ফুটিয়ে তুলুন। মানুষ অনুকরণপ্রিয়। তাই আপনার হাসি মুখ সামনের মানুষটির মুখেও হাসি ফুটিয়ে তুলবে যা আলাপ করে তুলবে আরও প্রাণবন্ত।

৬. সম্পূর্ণ মনোযোগ -

নিজের কথা বলার জন্য ব্যাকুল হবেন না, বরং তার কথায় দেওয়া গুরুত্ব তার কাছে আপনাকে অধিক গ্রহণযোগ্য করে তুলবে। নতুন কারো সাথে কথা বলার সময় তার দিকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। এরপর কি চমকলাগা কথা বলে তাকে অবাক করে দিবেন তা না ভেবে বরং তার কথা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আর আপনার পরবর্তী কথা সে অনুযায়ী নির্ধারণ করুন। তার স্বাধীন কথায় বাধ সাধবেন না। আলাপচারিতা প্রাণবন্ত করে তুলুন। নিজের কথা বলার জন্য ব্যাকুল হবেন না, বরং তার কথায় দেওয়া গুরুত্ব তার কাছে আপনাকে অধিক গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।পরিশেষে বলবো, যোগাযোগের এই অসামান্য দক্ষতা সবার থাকে না। দৈনন্দিন চর্চা দ্বারা নিজেকে রোজ শাণিত করে নিতে হয় আর সবসময় সামনের মানুষকে গুরুত্ব দিতে হয়। তবেই গড়ে ওঠে চমৎকার সম্পর্ক।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

রোগমুক্ত জীবনের জন্য প্রতিদিন একটি করে আপেল কেন খাবেন ?.


রোগমুক্ত জীবনের জন্য প্রতিদিন একটি করে আপেল কেন খাবেন ?.

প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া উপকারী। শৈশব থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, সকলেই এই ফল খেতে পারেন। দীর্ঘায়ু ও রোগমুক্ত জীবনের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে একটি করে আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্‍সকরা। সুষম খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর হিসেবে শাকসবজি ও শস্যের যেমন অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে লাল রঙের আপেলের পুষ্টিগুণ সুপারফুডের থেকে কোনও অংশে কম নয়।একটি মাঝারি সাইজের আপেলের মধ্যে কী কী পুষ্টিগুণ থাকে, তা জেনে নিন-

স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট: ২৮ গ্রাম ফাইবার: ৫ গ্রাম ভিটামিন সি: দৈনিক চাহিদার ১০ শতাংশ পটাসিয়াম: দৈনিক প্রয়োজনের ৫ শতাংশ তামা: দৈনিক প্রয়োজনের ৬ শতাংশ ভিটামিন কে ।

 ডায়াবেটিসের মত দীর্ঘস্থায়ী রোগের ও উচ্চ রক্তচাপের মত সম্ভাব্য ক্ষতিকারক হার্টের সমস্যাগুলির ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আপেল হল বিষ্ময়কর একটি ফল। এই সুপারফলের অনেক স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। সেগুলিই জেনে নিন একনজরে-

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম-

আপেল হল কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল। যার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে। অন্যদিকে আপেলের পুষ্টিগুণ প্রথম থেকেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বেশ কিছু গবেষণা থেকে জানা গেছে, আপেল ও নাশপাতি খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ১৮ শতাংশ কম হতে পারে। প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য হিসেবে ও বিভিন্ন পলিফেনলের জন্য এই আপেল অত্যন্ত উপকারী।

ওজন কমাতে সাহায্য করে-

 প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ওজন বৃদ্ধি যেমন রোধ করে,তেমনি অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। জল ও ফাইবারের পুষ্ট এই ফল একটি করে খেলে ক্ষুধা মিটে যায়। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি শরীরে কম ক্যালোরিও প্রবেশ করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, আপেলের রস ও পিউরির থেকে একটি গোটা আপেল প্রায় ৪ ঘণ্টা বেশি পেট ভর্তি থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে- 

বয়সের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ একটি বড় সমস্যা। সঙ্গে উদ্বেগের কারণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে ও সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান।

ওবেসিটির বিরুদ্ধে লড়াই করে- 

আপেলের সাহায্যে আপনি সফলভাবে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন। কারণ এটি ওজন কমানোর জন্য আদর্শ ফল। আপনি যদি ওজন বাড়ানোর জন্য উপায় খোঁজেন বা সময় থাকতে স্থূলতা থেকে বের হয়ে আসতে চান, তাহলে হাই-ফাইবার ও কম চিনিযুক্ত ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

সুস্থ অন্ত্রের জন্য- 

আপেল হলো পেকটিনের একটি সমৃদ্ধ উত্‍স। যেটি প্রিবায়োটিক হিসেবে শরীরে কাজ করে। অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা খাওয়ায় ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। অন্যদিকে খাদ্য তালিকায় ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্য হজমের সমস্যা দূর করে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


শিশুকে জোর করে খাওয়ালে কি সমস্যা হয় ?.


শিশুকে জোর করে খাওয়ালে কি সমস্যা হয় ?.

বর্তমানে শিশুদের বাইরের খাবারের প্রতি লোভ থাকলেও ঘরের খাবার মুখে তোলে না তারা। এ কারণেই বাধ্য হয়ে জোর করে খাবার খাওয়ান বাবা-মায়েরা। তবে জোর করে শিশুকে খাওয়ানো ঠিক নয়। একথা জানলেও মানতে চান না অভিভাবকেরা। আর এ কারণেই অজান্তেই শিশুর ক্ষতি ডেকে আনেন। জেনে নিন শিশুকে জোর করে খাওয়ালে যে ৮ ক্ষতি হতে পারে সম্পর্কে-১) শিশুকে জোর করে খাবার খাওয়ালে তারা ভালো করে না চিবিয়েই গিলে খায়। ফলে এই খাবার তাদের শরীরে কাজে লাগে না। আর আস্ত খাবার গিলে খেতে গিয়ে শিশু বমি করে দেয়।

২) দীর্ঘদিন ধরে শিশুকে জোর করে খাবার খাওয়ালে তাদের হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাবার গিলে খাওয়ায় তাদের পাচনতন্ত্রকে অধিক পরিশ্রম করতে হয়। এর ফলে পাচন তন্ত্র ভালোভাবে কাজ করতে পারে না।

৩) জোর করে খাবার খাওয়ালে শিশু প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে। জোর করে বেশি বেশি খাবার খাওয়ায় খাবারের একটি বড় অংশ ফ্যাট হিসেবে শরীরে জমে যায়। যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

৪) গলায় খাবার আটকে গিয়ে শিশুর মারাত্মক বিপদ হতে পারে। ছোটদের মুখে জোর করে খাবার দিলে তারা ঠুসে দিলে তারা কাঁদতে শুরু করে। তখন গলায় খাবার আটকে দম বন্ধ হয়ে আসতে পারে ও খাবার গিলতেও সমস্যা দেখা দেবে।

৫) নিয়মিত জোর করে শিশুকে খাওয়ালে তার গিলে খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর খাবার চিবিয়ে না খেলে তা শরীরে লাগে না। প্রতিদিন এমন চলতে থাকলে শিশুরা চিবিয়ে খাবার খেতে শিখবে না। যা তার শরীরের জন্য ক্ষতি ডেকে আনবে।

৬) শিশুদেরও গ্যাসের সমস্যা হয়। বিশেষ করে ঠুসে খাবার খাওয়ানো হলে বাচ্চাদের মুখ দিয়ে অতিরিক্ত বাতাস ঢুকে পেটে। অন্য দিকে গিলে খাবার খেলে তা হজমে দেরি হয়। ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই গ্যাসই শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ।

৭) যেসব শিশুকে ছোটবেলা থেকেই জোর করে বেশি খাবার খাওয়ানো হয়। তাদের ওভার ইটিংয়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে। কত পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিত, তা তারা বুঝতে পারে না। তাই বড় হলেও নিজে থেকেই বেশি বেশি খেতে শুরু করে।

৮) জোর করে খাওয়ানোর ফলে শিশুরা খাবারের স্বাদ বুঝে উঠতে পারে না। আর স্বাদ বুঝতে পারে না বলেই তারা খাবার মুখে তুলতে চায় না। তাদের মধ্যে খাবারের প্রতি অনীহা গড়ে ওঠে।

    তাহলে কীভাবে খাওয়াবেন শিশুকে ?.

১) শিশুকে জোর করে খাবার খাওয়াবেন না। খেতে না চাইলে ভয় দেখাবেন না, বরং বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বোঝানোর চেষ্টা করুন।

২) প্রতিদিন একই খাবার খাওয়াবেন না শিশুকে। দৈনিক তাদের মেন্যু পরিবর্তন করুন।

৩) শিশুর কালারফুল খাবার খেতে পছন্দ করে। এজন্য তাদেরকে রং-বেরঙের শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়ান। তাও আবার ভালোভাবে পরিবেশনের মাধ্যমে। দেখবেন স্বাভাবিকভাবেই তাদের খাবারের ইচ্ছে বাড়বে।

৪) একবারে অতিরিক্ত খাবার না দিয়ে শিশুকে অল্প অল্প করে ববারবার খাওয়ান। এর ফলে শিশুর খাওয়ার প্রতি আগ্রহও বাড়বে আর সহজে হজমও করতে পারবে।

৫) খাবারের পাশাপাশি শিশুকে পর্যাপ্ত জল পান করান।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বিয়ের পরেও ভালোবাসা অটুট রাখবেন কিভাবে ?.


বিয়ের পরেও ভালোবাসা অটুট রাখবেন কিভাবে ?.

  ভালোবাসার চূড়ান্ত রূপ হলো বিয়ে। কিন্তু এরপর কি সেই গতানুগতিক সংসার জীবন নাকি নিজের ভালোবাসাকে আরও বেশি বাড়িয়ে তোলা? কী করবেন, সিদ্ধান্ত আপনাদের। তবে বেশির ভাগ মানুষেরই অভিযোগ থাকে যে, সম্পর্কের শুরুর সেই মাদকতা বিয়ের পরে মিলিয়ে যেতে থাকে। কারও কারও ক্ষেত্রে তো একে অন্যকে অসহ্য পর্যন্ত মনে হতে পারে। কেন বিয়ের পরেও ভালোবাসা একই রকম থাকে না, কেন বাড়ার বদলে কমতে থাকে সেটাও কিন্তু ভেবে দেখার বিষয়। এর বড় কারণ হলো- হারিয়ে ফেলার ভয় না থাকা, সারাক্ষণ চোখের সামনে দেখে অভ্যাস হয়ে যাওয়া। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো- যেকোনো একজনের বা দুজনের উদাসীনতা। থাকতে পারে আরও অসংখ্য কারণ। তবে বিয়ের পরে ভালোবাসার বন্ধন অটুট রাখতে চাইলে নিতে হবে সম্পর্কের যত্ন। করতে হবে কিছু কাজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ভালোবাসি, ভালোবাসি -

প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে সারাদিন ভালোবাসি বললেও বিয়ের পরে যেন মুখে অদৃশ্য জড়তা চলে আসে। তখন জীবনসঙ্গীকে ভালোবাসি বলাটাই আর হয়ে ওঠে না। বেশির ভাগই মনে করেন, তাকে তো ভালোবাসিই, একথা আবার বলতে হবে কেন! কিন্তু সবকিছু শুধু কাজ দিয়ে নয়, কথা দিয়েও প্রকাশ করতে হয়। বিয়ের পরেও ভালোবাসার কথা মুখে বলার প্রয়োজন থেকে যায়। তাকে প্রতিদিন অন্তত একবার করে কানে কানে বলুন, ‘ভালোবাসি’।

মুভি দেখুন -

দুজন মিলে একসঙ্গে মুভি দেখতে বের হতে পারেন। পাশাপাশি বসে পপকর্ন খেতে খেতে মুভি দেখতে গিয়ে আপনাদের পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে যেতে পারে। হলে গিয়ে দেখা সম্ভব না হলে বাড়িতেই দেখুন। একসঙ্গে সময় কাটানো হবে, সম্পর্কও সুন্দর হবে।

তার জন্য কিছুটা সময়-

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কাজের চাপও বাড়তে থাকে। তাই বলে যে প্রিয়জনের জন্য একেবারেই সময় রাখা যাবে না, তা কিন্তু নয়। আপনার একটুখানি প্রচেষ্টা থাকলেই তার জন্য তাকে সময় দেওয়া সম্ভব। একসঙ্গে সময় কাটালে অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। ভালোবাসা কমার সুযোগ পাবে না। 

উপহার দিন, চমক দিন-

উপহার পেতে পছন্দ করেন না, এমন কোনো মানুষ নেই। উপহার দিয়েই মন জয় করা সম্ভব হয়। প্রিয় মানুষটিকে সাধ্যমতো উপহার দিয়ে চমকে দিন। বিয়ের পরে সে তো আছেই- এই অনুভূতি নিয়ে ফেলে রাখবেন না। তাকে বুঝতে দিন যে তিনি আপনার কাছে কতটা স্পেশাল। তাকে চমকে দেওয়ার জন্য আপনার ছোট ছোট প্রচেষ্টাও তাকে অনেক বেশি খুশি রাখবে। সম্পর্ক সুন্দর থাকবেই।

বেড়িয়ে আসুন-

সময় এবং সুযোগ পেলেই দুজন মিলে বেড়িয়ে আসুন। হতে পারে তা পাহাড়, সমুদ্র, কোনো দর্শনীয় স্থান কিংবা আত্মীয়-পরিজনের বাড়ি। এতে করে দেখবেন আপনাদের মনে ইতিবাচক প্রভাব এসেছে। দুজন দুজনের সঙ্গে যত বেশি জড়িয়ে থাকবেন, ভালোবাসা ততই বাড়বে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২

রসুনের ক্ষতিকর দিক গুলি কি কি ?.


রসুনের ক্ষতিকর দিক গুলি কি কি ?.

 আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী। এক কথায় রসুনকে বলা হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এছাড়াও রসুনের অনেক গুণ রয়েছে। রসুন আমাদের দৈনন্দিন খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান; এই রসুনে রয়েছে থিয়ামিন (ভিটামিন বি১), রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২), নায়াসিন (ভিটামিন বি৩), প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড (ভিটামিন বি৫), ভিটামিন বি৬, ফোলেট (ভিটামিন বি৯) ও সেলেনিয়াম। সেলেনিয়াম ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। রসুনের মধ্যে রয়েছে এলিসিন নামে এক জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ক্যানসারসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে কার্যকর। তবে কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। তেমনি মসলা হিসেবে বহুল ব্যবহৃত রসুনের অতিরিক্ত ব্যবহারেও রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

যকৃতের ক্ষতি: -

রক্ত পরিশোধন, চর্বি ও প্রোটিন বিপাক, শরীর থেকে অ্যামোনিয়া অপসারণ ইত্যাদি হল যকৃতের অন্যতম কাজ। গবেষণা বলে, রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ উপাদান যকৃতে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে যদি মাত্রাতিরিক্ত রসুন খাওয়া হয়। 

ডায়রিয়া: -

খালি পেটে রসুন খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। কারণ রসুনে আছে সালফার যা পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং ডায়রিয়া হওয়ার পেছনে এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে।

বমি ও বুক জ্বালাপোড়া: -

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, খালি পেটে তাজা রসুন সেবন করলে বুক জ্বালাপোড়া, বমিভাব ও বমি হতে পারে। হার্ভার্ড মেডিকাল স্কুলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, রসুনের এমন কিছু উপাদান আছে যা জিইআরডি বা গ্যাস্ট্রোয়েসোফাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ হওয়ার কারণ।

গর্ভবতী নারীর জন্য নয়: -

গর্ভবতী নারীদের রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এতে ‘লেইবার পেইন’ বা প্রসব বেদনা বেড়ে যেতে পারে। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েদেরও রসুন থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ তা দুধের স্বাদ পাল্টে দেয়।

মাথা ঘোরানো: -

রসুন বেশি খাওয়ার কারণে রক্তচাপ কমে যেতে পারে, ফলে দেখা দিতে পারে নিম্ন রক্তচাপের বিভিন্ন উপসর্গ।

দৃষ্টিশক্তির সমস্যা: -

অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার কারণে ‘হাইফিমা’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ ‘আইরিস’ ও ‘কর্নিয়া’র মাঝে রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে। ফলাফল হারাতে পারে দৃষ্টিশক্তি ।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

২২ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে না হলে মেয়েদের কোন ৭ টি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ?.


২২ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে না হলে মেয়েদের কোন ৭ টি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় ?.

নারী আর পুরুষের সমান অধিকার আছে, এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক লেগেই রয়েছে , কিন্তু সমাজের তো অনেক কিছুই বদলেছে কিন্তু কিছু প্রচলতি ধ্যান ধারণা আজও রয়ে গিয়েছে – একটি মেয়ের জীবনের মূল লক্ষ্যই হল বিয়ে৷ এই ধারণাটাই আজও মানুষের মনে কুসংস্কারের মতো গেঁথে আছে। কথায় বলে নাকি মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি। আর এই কথাটি আমার বলার একমাত্র কারণ হলো, দেখা যায় এখন ২২ বছর বয়স হলেই মেয়েদের বিয়ে করিয়ে দেয়ার জন্য নানান দিক থেকে তাঁদের উপর চাপ আসতে থাকে। কোনও মেয়ের বয়স একটু বাড়লেই তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি পাড়া প্রতিবেশীরাও তাঁর বিয়ের ব্যাপারে এত ধরনের প্রশ্ন করে যা অনেক সময় অবিবাহিতা মেয়েদের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসুন এক ঝলকে আমরা দেখে নিই যে, ২২ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে অবিবাহিত মহিলাদের কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় :-

 ১) বাড়ির ভিতরেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই রোজ রোজ মেয়ের বিয়ে না দিতে পারার জন্য বাবা-মাকে হা হুতাশ করতে শোনা যায়। অনেক সময় নিজের বাবা-মাকে এরকম চিন্তা করতে দেখে মেয়েরা নিজেরা নিজেদেরকেই অপরাধী বলে মনে করে৷

২) যদি কখনও কোনও মেয়ে তাঁর কাজের সূত্রে বাইরে যায় তাহলে, চার পাশে লোকজনের বিয়ে হয়, তখনই আইবুড়ো মেয়েদের শুনতে হয় কেন এখনও তার বিয়ে হল না? যা মেয়েদের কাছে সত্যিই মারাত্মক অস্বস্তির কারণ৷

৩) কোনও বিয়ে বাড়িতে অথবা অনুষ্ঠান বাড়িতে অবিবাহিতা মেয়েরা যেতে পারেন না৷ কারণ সেখানে মনের আনন্দে সেজে গুজে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করা যায়না৷ সেখানেও একই রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।

৪) আপনার হয়তো একটু বয়স হয়ে গিয়েছে কিন্তু বিয়ে হয়নি, তাই তিনি ঠিক কেমন পোশাক পরবেন তা নিয়েও সবার মধ্যেই একটা দ্বন্দ্ব থাকে। বেশি জমকালো পোশাক পরলে আবার কেউ কেউ তা না পরার জন্য আদেশ দেন তো কেউ আবার কেউ কেউ আবার হাসাহাসিও করে থাকেন৷ 

৫) যদি একটু বয়স বেশি বয়েস হয়ে যায় তাহলে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়ে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়, কারণ দেখে খারাপ লাগে যখন সমবয়সীরা এমনকী নিজের থেকে ছোটরাও যেখানে স্বামীর অথবা বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে সেখানে যাচ্ছে অথচ সেখানে তিনি সঙ্গীবিহীন ।

৬) ২২ বছর হয়ে গেলেও যে নারীর বিয়ে হয়নি তাঁর নিরাপত্তাও অনেক সময় বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কারণ এই একা মহিলাদের অনেকেই সহজলভ্য মনে করে এবং নানা রকম কুপ্রস্তাব দেন৷ এমনকী এমনও হয়েছে একা রয়েছেন বলেই অনেক পুরুষের ও শিকার হয়ে যান৷

৭) কোনও মেয়ে বিয়ে না করে একা রয়েছেন, এটা শুনলে অনেকেই তাঁকে ভাল চোখে দেখবেন না এবং একটি অবিবাহিত মহিলা সম্পর্কে নানান মিথ্যা দুর্নাম রটানো হয়৷

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২

দাম্পত্য কলহ এড়াতে মেনে চলুন এই ৯টি নিয়ম ?.


দাম্পত্য কলহ এড়াতে মেনে চলুন এই ৯টি নিয়ম ?. 

  দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রীর মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলতেই থাকে। সম্পর্ক এই ভালো তো এই খারাপ। এই ভালো খারাপের মধ্যে জীবন কখনো উপভোগ্য হয়ে ওঠে আবার বিরক্তিও চলে আসে। এই সম্পর্ক যতক্ষণ ভালো থাকে ততক্ষণ মনে হয় দুনিয়াটা যেন স্বর্গ। কিন্তু সম্পর্ক খারাপ গেলেই ঘর বাহির সব নরক হয়ে ওঠে। তাই সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য স্বামী স্ত্রী দুজনকেই কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। কিছু বিরক্তিকর অভ্যাস আছে যার কারণে অনেকেরই দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। আর একবার সম্পর্ক নষ্ট হলে সেই সম্পর্ক পুনরায় আগের মত হয় না। সেইসব বিরক্তিকর অভ্যাস গুলোই আপনার সুন্দর সম্পর্কটিকে ভেঙে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং এই অভ্যাসগুলো পরিহার করার চেষ্টা করুন।

১. খারাপ ব্যবহার না করা - 

তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে। সুতরাং, স্বামী-স্ত্রী উভয়ই একজন আরেকজনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং খারাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।

২. বাড়াবাড়ি না করা -

আপনার স্বামী/স্ত্রী কি করছেন, কি খেলেন কিংবা কোথায় যাচ্ছেন তা জিজ্ঞেস করা অবশ্যই আপনার কর্তব্য। কিন্তু এই সামান্য কুশল বিনিময় বিরক্তির পর্যায়ে তখনই পড়ে যখন আপনি অযথাই তার ওপর খবরদারি করতে যান। এখানে যাবেন না, সেখানে কেন গেলেন, এর সাথে কথা বলবেন না, তার সাথে মিশবেন না, এই ধরনের অতিরিক্ত অধিকার খাটিয়ে কথা বলা বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। বুঝতে হবে কোন আচরণটি আকর্ষণীয় এবং কোনটি বিরক্তিকর।

৩. পেছনের কথা না বলা -

অনেকের নিজের বর্তমান ভালোবাসার মানুষটির সামনে কথায় কথায় পুরনো দিনের কথা বলে থাকেন। এই অভ্যাসটি আপনার বর্তমান সম্পর্কের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এতে করে আপনার ব্যাপারে ভাবনা আসতে পারে, আপনার মনে এখনো পুরনো দিনের বিষয়গুলো রয়ে গেছে। সুতরাং এই অভ্যাসটি দূর করুন।

৪. কথা শোনা -

দাম্পত্য সম্পর্ক ঠিক রাখতে হলে স্বামী/স্ত্রী উভয়কে ভালো শ্রোতা হতে হয়। আপনি আপনার স্বামী/স্ত্রীর কথা শুনলেন না বা শুনতে চাইলেন না এতে করে তিনি ভাবতে পারেন আপনি তাকে এড়িয়ে চলছেন। এই ভাবনাটি সম্পর্কের জন্য ভালো নয়। একে অপরের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এতে করে তিনি নিজেকে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। এবং সেই হিসেবে তিনিও আপনাকে গুরুত্ব দেবেন।

৫.সন্দেহ ও গীবত না করা - 

কখনো সন্দেহ করতে যাবেন না। সন্দেহ সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার খুব কাছের মানুষ এটা সত্যি। কিন্তু খুঁতখুঁত করে যদি তার বিষয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আপনি নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। মানুষ কখনো নিখুঁত নয়। আর মনে রাখবেন, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ হিসাব দিবে। তাই সন্দেহ দূর করুন। স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের চাদরস্বরূপ, ছোট-খাটো ভুলত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না, গীবত করবেন না।

৬.তুলনা  না করা - 

আপনার ভালোবাসার মানুষটি যা করেন এবং আপনার জন্য যা করছেন তার তারিফ করা শিখুন। অন্য কারো সাথে তুলনা করে তার মানসিকতাকে আঘাত করবেন না। অমুকের স্বামী/স্ত্রী তার জন্য অনেক কিছু করেছে তুমি কেন করো না বা করতে পারো না এই ধরনের তুলনামূলক কথা কখনোই নিজের স্বামী/স্ত্রীর সামনে বলা উচিৎ নয়। অন্য একজনের সাথে তুলনা করা সব চাইতে বড় আঘাত আপনার ভালোবাসার মানুষটির জন্য। এই ধরনের অভাস ত্যাগ করুন।

৭. তৃতীয় পক্ষকে সুযোগ না দেওয়া -

একটা কথা মনে রাখবেন, দাম্পত্যের ক্ষেত্রে তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে চোখ বুজে বিশ্বাস করবেন না। যতই হোক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধব, কারো কথাই চোখ বুঝে বিশ্বাস করবেন না ও কাউকে নিজেদের দাম্পত্যে কথা বলার সুযোগ দেবেন না।

৮. তুমি একটা কাপুরুষ - 

এ ধরনের কথাবার্তা সঙ্গীকে অনেক বেশি বিচলিত করে। এতে তার মধ্যে এক ধরনের হীনম্মন্যতা তৈরি হয়। সে নিজেকে অন্যের কাছে অনেক ছোট ভাবে। এতে সংসারে অশান্তি বেড়েই যায়। কাজেই এ ধরনের কথা বলা থেকেও বিরত থাকুন।

৯. আমি ডিভোর্স চাই -

একসঙ্গে পথ চলতে ঝগড়া হবেই। কাজেই এটি স্বাভাবিকভাবে নেওয়াই ভালো। অনেকেই আছেন যারা একটু ঝগড়াতেই ডিভোর্স চেয়ে বসে থাকেন। এ ধরনের মন্তব্য স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। তবে একবার যদি বলেই ফেলেন তাহলে আন্তরিকভাবেই ক্ষমা চান। আর প্রতিজ্ঞা করুন মুখে আর কখনও এ ধরনের কথা উচ্চারণ করবেন না। মনে রাখবেন, এ ধরনের কথাবার্তাই কিন্তু দুজনের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরির অন্যতম কারণ।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

ছোলা নিয়মিত খেলে কি ঘটবে আপনার শরীরে ?.


ছোলা নিয়মিত খেলে কি ঘটবে আপনার শরীরে ?.
  উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ছোলা। কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একই সঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক যাবে। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায়। আর অ্যান্টিবায়োটিক যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। জেনে নিন ছোলার কিছু স্বাস্থ্যগুণের কথা:- 
ডাল হিসেবে: -
ছোলা পুষ্টিকর একটি ডাল। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্য আঁশ আছে সেই সাথে আছে আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রণ।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে: -
অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে খাবারে ছোলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

 আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন বি-৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এর ডাল আঁশসমৃদ্ধ যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৪০৬৯ মিলিগ্রাম ছোলা খায় হৃদরোগ থেকে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯% কমে যায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: - 
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয় যে, যে সকল অল্পবয়সী নারীরা বেশি পরিমাণে ফলিক এসিডযুক্ত খাবার খান তাদের হাইপারটেনশন এর প্রবণতা কমে যায়। যেহেতু ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক এসিড থাকে সেহেতু ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া ছোলা বয়সসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

রক্ত চলাচল:- 
 অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন ১/২ কাপ ছোলা, শিম এবং মটর খায় তাদের পায়ের আর্টারিতে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। তাছাড়া ছোলায় অবস্থিত আইসোফ্লাভন ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আর্টারির কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। 

ক্যান্সার রোধে: -
কোরিয়ান গবেষকরা তাদের গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে বেশি পরিমাণ ফলিক এসিড খাবারের সাথে গ্রহণের মাধ্যমে নারীরা কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে নিজিদেরকে মুক্ত রাখতে পারেন।
কোলেস্টেরল: -
ছোলা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ। 

কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করে: -
ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতে থাকে। তাই পায়খানার পরিমাণ বাড়ে এবং পায়খানা নরম থাকে।

ডায়াবেটিসে উপকারী: - 
১০০ গ্রাম ছোলায় আছে প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এর সবই শরীরের উপকারে আসে।
রোগ প্রতিরোধ করেঃ - 
কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক যে কোনো অসুখের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে। 

জ্বালাপোড়া দূর করেঃ -
সালফার নামক খাদ্য উপাদান থাকে এই ছোলাতে। সালফার মাথা গরম হয়ে যাওয়া, হাত-পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া কমায়।

মেরুদণ্ডের ব্যথা দূর করেঃ -
এছাড়াও এতে ভিটামিন ‘বি’ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন ‘বি’ কমায় মেরুদণ্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা। ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এতে আমিষ মাংস বা মাছের পরিমাণের প্রায় সমান। তাই খাদ্যতালিকায় ছোলা থাকলে মাছ মাংসের প্রয়োজন পরে না। ত্বকে আনে মসৃণতা। কাঁচা ছোলা ভীষণ উপকারী। তাই হজমশক্তি বুঝে ছোলা খান ।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মানসিক টেনশন কমানোর ১৪টি উপায় কি কি ?.


মানসিক টেনশন কমানোর ১৪টি উপায় কি কি ?.
বাড়িতে ঝামেলা বা অফিসের কাজের চাপ,ব্যক্তিগত জীবনে টেনশন (Tension) তৈরি হয় এমন হাজারো কারণে । আর এই টেনশনের হাত ধরেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, হৃদরোগের মত সমস্যা হয়ে যায়। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে আমরা যখন মানসিক ভাবে ক্লান্ত বোধ করি তখন শারীরিক ক্লান্তিই আমাদের উপর বেশি আধিপত্য বিস্তার করে। আমরা যদি মানসিকভাবে অসুস্থ হই তাহলে শারীরিক ভাবেও আমরা সব সময় ক্লান্ত বোধ করি। টেনশন এবং স্ট্রেসের কারণে, যদি তারা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে তারা রোগীকে হতাশার দিকে ঠেলে দিতে পারে। এ কারণেই তাদের সময় মতো চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ। টেনশন কাকে বলে - 
টেনশন হলো একটা মানসিক চাপ বা শারীরিক উত্তেজনা অনুভূতি। এটি যে কোনও ঘটনা বা চিন্তা থেকে আসতে পারে যা আপনাকে হতাশ, রাগান্বিত বা নার্ভাস করে তোলে। টেনশন হলো একরকম স্ট্রেস (stress) ইহা আপনার দেহের একটি প্রতিক্রিয়া। 

স্ট্রেস বা টেনশন কেন হয় - 
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে হাজারো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তার জন্য আমাদের মনের মধ্যে জন্ম নেয় স্ট্রেস এবং যার পরিণতি হলো টেনশন। কোরোনা মহামারীতে পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাই এই সকল মানুষের প্রতিদিনের রুজি রোজগার এর উপর একটা বিপুল চাপ সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলস্বরূপ জীবনে টেনশন। এছাড়াও অফিসের বিপুল পরিমানের কাজের চাপ,সেখানে ঝামেলাও এই টেনশন এর অন্যতম কারণ হয়ে অবস্থান করেছে আমাদের শরীরে।  
টেনশন দূর করার সহজ উপায় - 

 টেনশন দূর করার জন্য চিকিৎসকরা অনেক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদি একটু যুক্তি দিয়ে জীবনকে চালনা করা যায় তাহলে খুব সহজে টেনশন দূর করা যায়। এর পাশাপাশি যদি একটু সচেতন এবং মনের জোর রেখে এগোনো যাই তাহলে আরো ভালো হয়।

স্ট্রেস এবং টেনশন দূর করার উপায় - 
১. বর্তমান জীবনে অতিরিক্ত চাহিদা টেনশন এর একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নিজের চাহিদা কে নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী বাঁধা প্রয়োজন।

২. কোনো বিশেষ কিছু ঘটনা কে নিয়ে টেনশন হলে বেশি অস্থির হবেন না। যেকোনো সমস্যার গুরুত্ব সময়ের সাথে সাথে কমতে থাকে। কাজে এই ঘটনার গুরুত্বও কমে যাবে কিছুদিনের মধ্যে। 
৩. টেনশন এর সময় এমন মানুষের পশে থাকার চেষ্টা করবেন যে আপনাকে সাহস এবং শক্তি দিতে পারবে। 

৪. যতটা পারবেন চেষ্টা করবেন আপনার টেনশনকে কোনো কাছের মানুষের কাছে প্রকাশ করে নিজেকে হালকা করা। এটাও হতে পারে সেই মানুষটার থেকে আপনি ভালো কোনো সমস্যার সমাধান পেয়ে গেলেন।

৫. নিজের কাজ মন দিয়ে করে যান, ফলাফল সবসময় আশানুরূপ নাও হতে পারে। তাই নিয়ে অযথা ভেঙে পড়বেন না।
৬. কি পাননি তার হিসাব না করে কি পেয়েছেন বা ভবিষ্যৎ-এ কি পাবেন তার হিসাব করুন।

৭. নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না কোনও ভাবেই । কোনও খারাপ পরিস্থিতিকে বদলে ভাল করা যায় কি না সেটা নিয়ে ভাবুন, কিন্তু তা সম্ভব না হলে অকারণে সেই পরিস্থিতির পরিণতি নিয়ে ভাববেন না। জীবন জীবনের নিয়মেই এগোবে, তাই তা নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।

৮. মনের ভিতর কখনো রাগ পুষে রাখবেন না, কারণ রাগ থেকে কোনো ভালো চিন্তা আসেনা। তাই শেষে সেটা আপনারই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
৯. সমাজে প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের মানুষ অনেক আছে যারা কারণ-অকারণে অন্যের জীবনে ব্যঙ্গ–বিদ্রূপ করে অনেক আনন্দ পান। চেষ্টা করবেন তাদের থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকতে। ফলে অযথা টেনশন থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।

১০. ঘনিষ্ট সম্পর্ক্যে টেনশন থাকলে তাকে বেশি পুরানো হতে দেবেনা না , যত তাড়াতাড়ি পারবেন আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে। এতে অনেক মানুষিক শান্তি ফিরে আসবে।

১১. ঈর্ষা মানুষের জীবনে অনেক টেনশন নিয়ে আসে। তাই আপনার আসে পাশের মানুষ আপনার থেকে কি বেশি পেলো সেই নিয়ে না ভেবে আপনি নিজের কাজ, পড়াশোনা, সংসার নিয়ে ভাবুন। এতে আপনার জীবন অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।
১২. কোনো সম্পর্ক্য বা কোনো বিষয় যদি আপনার অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সেই বিষয় থেকে বা সম্পর্ক থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন বা এড়িয়ে চলুন। এতে আপনার টেনশন অনেক কমে যাবে।

১৩. মাঝে মাঝে কোথাও বন্ধু বা আপনজনের সাথে ঘুরে আসুন। দেখবেন এতে মনের দুশ্চিন্তা বা টেনশন অনেক হালকা হয়ে গেছে।

১৪. জীবনকে একটু সহজ ভাবে নিতে শিখুন তাতে টেনশন কমবে খুব সহজে।
 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।