শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১

সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় কোন ১০ উপায়ে ?.


সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয় কোন ১০ উপায়ে ?.

এই ১০ উপায়ে সন্তান বু’দ্ধিমান ও মেধাবী হবে- ঘরের পরিবেশ আপনার সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে সাহায্য করে। মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে সন্তানকে গড়ে তোলায় বাড়ির পড়ার স্থান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি আরও কিছু বিষয় আছে যা সন্তানের মেধা ‘বিকাশে বিশেষ প্রভাব ফেলে। রিডার্স ডাইজেস্ট’ অবলম্বনে জানানো হলো ১২ টি উপায়, যা আপনার সন্তানকে মেধাবী করতে সহায়তা করবে।

১। রুটিন মেনে চলতে শেখান:-

আপনার সন্তানকে পরিকল্পনা করতে শেখান। সময়ের কাজ সময়ে করতে রুটিন তৈরি করুন ও তা মেনে চলতে শেখান। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করানোটা খুবই গু’রুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয় নির্দিষ্ট স্থানে তাকে জিনিসপত্র রাখতে শেখান। যেমন- স্কুল থেকে এসে ব্যাকপ্যাক রাখার জায়গা ঠিক করে দিন যেন সকালে খোঁজাখুজি করতে না হয়।

২। প্রতিদিন পড়ার আগে একটু বিনোদন:-

স্কুল থেকে এসেই পড়ার টেবিলে বসানো নয়, বরং তাকে পোশাক ছাড়তে বলুন। হালকা নাশতা খেতে দিন। পড়ার টেবিলে বসার আগে অবশ্যই তার বিনোদনের ব্যবস্থা রাখুন। ‘হতে পারে তা টেলিভিশন দেখা অথবা বাইরে একটু খেলতে যাওয়া।

৩। কাজের তালিকা তৈরি:-

বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানগুলো মনে রাখার জন্য সন্তানের ঘরের পড়ার টেবিলের সামনে রাখুন হোয়াইট বোর্ড। অথবা আর্ট পেপারে রং করেও বানিয়ে নিতে পারেন ছোট ক্যালেন্ডার। সেখানে তার খেলার দিন, বন্ধুদের জন্ম’দিন সবকিছু উল্লেখ থাকবে। সে বুঝতে শিখবে আপনি তাকে কতটা গু’রুত্ব দিচ্ছেন।

৪। পড়ার টেবিল থাকুক গোছানো ও শান্ত:-

বিশেষজ্ঞরা জানান, পড়ার আলাদা টেবিল ছাড়াও ডাইনিং টেবিল, কিচেন কাউন্টার এবং ঘরে যদি আপনার ছোট্ট কাজের জায়গা থাকে তবে সেখানেও সন্তানরা পড়তে পারবে। এর জন্য আপনাকে অবশ্যেই খেয়াল রাখতে হবে সন্তানদের পড়ার জন্য যা প্রয়োজন তা যেন হাতের কাছে থাকে, শান্ত পরিবেশ ও গোছানো থাকে। এতে তার পড়া থেকে মনোযোগ সরবে না।

৫। মাঝে মাঝে দিন ব্রেক:-

সবসময় পড়ার কথা বলবেন না সন্তানদের। হালকা বিশ্রামের জন্য তাদের বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দিন। গেম খেলুক সে। তবে দেখবেন বিছানায় শুয়ে শুয়ে যেন সে স্মা’র্টফোন না ঘাটে।

৬। মাঝে মাঝে বদলে যাক পড়ার স্থান:-

সন্তানের পড়ার ঘরে থাকুক পর্যা’প্ত আলো-বাতাস। ঘরের দেয়ালের রং যেন গাঢ় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে শিশুর সৃজনশীলতা নষ্ট হয়। সবসময় পড়ার ঘরের দেয়াল রাখুন হালকা শেডের।

৭। দূরে থাকুক অপ্রয়োজনীয় জিনিস:-

পড়ার টেবিলে কখনোই অ’প্রয়োজনীয় জিনিস রাখবেন না। যদি কোনো কিছু অশোভন দেখায়, ‘হতে পারে তা বইয়ের স্তুপ তবে বড় ফটো ফ্রেম দিয়ে ঢেকে রাখুন। সন্তানকে ফাইল অর্গানাইজার কিনে দিন। দিতে পারেন কনটেইনার। কনটেইনারে অবশ্যই কাগজ দিয়ে ট্যাগ দিয়ে নেবেন। কাগজে লেখা থেকেই শিশু জেনে নিতে পারবে কী আছে সেখানে।

৮। পর্যাপ্ত আলো রাখুন ঘরে:-

স্কুলের বাড়ির কাজে শিশুদের অনেক সময় ব্যবহার করতে হয় গ্রাফ পেপার। রেখাচিত্র আঁকাসহ অনেক সূক্ষ কাজ করতে দেওয়া হয় তাদের। এ কাজে প্রয়োজন উজ্জ্বল আলো। সন্তানের ঘরে তাই অকৃপণভাবে রাখুন পর্যা’প্ত আলো।

৯। পড়ার ঘর হোক আরামদায়ক ও বুক শেলফ রাখুনঃ-

পড়ার ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ খালি স্থান রাখুন। সেখানে যেন থাকে সন্তানের পছন্দের খেলনা। ছোট্ট নরম টেডি বিয়ার, বিভিন্ন আকৃতির বালিশ ঘরের মধ্যে তাদের আরাম এনে দিবে। শুধু কি পড়ার বই পড়বে আপনার সন্তান? একঘেয়েমির কারণে শিশুরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারে না। তাই ঘরে রাখুন বইয়ের শেলফ। সেখানে রাখুন মজাদার ও রঙিন গল্পের বই।

১০। বাবা-মা হিসেবে নিজের দায়িত্ব বুঝুন:-

সন্তানের ঘরের জন্য কোন কোন নতুন পরিবর্তন আনা যায় তা ভেবে বের করুন। সন্তান স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারছে কিনা, তার বাড়ির কাজে সহায়ক হবে এমন ওয়েবসাইটের খবর রাখা, কোন সফটওয়্যার দরকার এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শিশু পিছিয়ে আছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।

( আপনার দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২১

১ দিনে কফির ফেসপ্যাক দিয়ে দুধের মত সাদা ফর্সা উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার উপায় ?.



১ দিনে কফির ফেসপ্যাক দিয়ে দুধের মত সাদা ফর্সা উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার উপায় ?.

আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি আরও একটি অসাধারণ সহজ রেমিডি।এই রেমেড়িটি নিয়ম মেনে নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি আপনার ত্বক হতে সব ধরণের কালো দাগ, ব্রণ, ব্রণের দাগ ,রোদেপুড়া কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি বয়সের ছাপকেও দূর করতে পারবেন।

এর ব্যবহারে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা, উজ্জ্বল আর গ্লোয়িং হয়ে উঠবে এবং আগের চেয়ে অনেক বেশি ইয়াং হবে । এর পাশাপাশি এই ফেইসপ্যাকটি ত্বক থেকে কালোভাব দূর করে ত্বককে দুধের মতো ফর্সা উজ্জ্বল করে দিবে এবং ত্বককে করে তুলবে নরম ,কোমল,মসৃণ ও দীপ্তময়।

বন্ধুরা, যদি আপনি দুধের মত ফর্সা, উজ্জ্বল ,দাগহীন, গ্লোয়িং ও ক্লিন ত্বক পেতে চান তাহলেএই ফেইসপ্যাকটিকে একবার হলেও ব্যবহার করে দেখবেন। তো বন্ধুরা দেখে নেওয়া যাক এই সহজ ও অসাধারণ কার্যকরী দুর্দান্ত ফেসপ্যাকটি তৈরি করার উপায়।

এই প্যাকটি তৈরি করার জন্য একটি বাটিতে৩ চামচ দুধ নিন। দুধের মধ্যে ল্যাকটিক এসিড আছে যা আমাদের ত্বক থেকে ভিবিন্ন ধরণের ডার্ক স্পট,ব্রণের দাগ ,রোদেপুড়া দাগকে দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সাহায্য করে।

এবার এর সাথে এড করুণ ১ চামচ চালের গুড়া চালের গুড়ার মধ্যে Natural skin লাইটেনিং property থাকায় এটি আমাদের ত্বক থেকে বলিরেখা বয়সের ছাপ ,ব্রণের দাগ , ত্বক কোঁচকে যাওয়া ও ব্লিমিসেশের এর মত চিহ্নগুলো দূর করে ত্বককে এতটাই ফর্সা ও clean করে তুলবে যার ফলে আমাদের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর কম দেখাবে, এবং আপনার ত্বক হয়ে উঠবে আগের চেয়ে অনেক বেশি ইয়াং।

২ চামচ কফি কফির মধ্যে আছে কেফেইন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক হতে ডেড স্কিন টিস্যু রিমুভ করে ত্বককে ফ্রেস ও ইয়াং করে তুলবে। ১ টি ভিটামিন ই নিয়ে এদের কে ভাল করে মিশিয়ে নিন ।উপাদানগুলো মিশে নরম পেষ্ট তৈরি হয়ে গেছে।

একটি ব্রাশের সাহায্যে এটি চেহারায় এইভাবে apply করুণ। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুণ।২০ মিনিট পর ত্বক পরিস্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দাগ ছোপকে দূর করে দিয়ে ত্বককে খুব দ্রুত ফর্সা করার জন্য এটি দূর্দান্ত কার্যকর একটি ফেইসপ্যাক।তো বন্ধুরা আশা করছি এটি আপনাদের ভাল লেগেছে ।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১

পালংশাকে রয়েছে কি কি উপকার ?.


পালংশাকে রয়েছে কি কি উপকার ?.

  শাকের মধ্যে পালংশাক খেতে খুবই সুস্বাদু। পুষ্টির দিক থেকেও শাকটি সেরা। এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টির সমাহার। এতে নানারকম পুষ্টি রয়েছে বলে স্বাস্থ্যেরও বহুবিধ উপকার হয়। এখানে পালংশাকের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়া হলো।

 ১)  রক্তের শর্করা কমায়: পালংশাককে ডায়াবেটিক সুপারফুড বলার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে। মাত্র এক বাটি পালংশাক খেয়েই শরীরে একজন মানুষের জন্য দৈনিক সুপারিশকৃত ম্যাগনেসিয়ামের ৪০ শতাংশ সরবরাহ করা সম্ভব, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অরিগন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, পালংশাকে আলফা-লিপোইক অ্যাসিড নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তের শর্করা কমায় ও ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়। এই শাকের লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্ত শর্করার বিপজ্জনক বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে ডায়াবেটিস রোগীকে নিরাপদ রাখে।

২)  ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: ক্যানসার প্রতিরোধের একটি সহজ উপায় হলো, ডায়েটে বেশি করে পালংশাক অন্তর্ভুক্ত করা। পালংশাকে ক্যারোটিনয়েডস নামে যে রঞ্জক রয়েছে তা হলো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে বিপজ্জনক ফ্রি র‌্যাডিকেলস দূর করে। আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের মতে, ক্যারোটিনয়েডস সমৃদ্ধ খাবার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

৩)  রক্তচাপ কমায়: প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তচাপ কমাতে বেশি করে পালংশাক খেতে পারেন। এই শাককে কোনো দ্বিধা ছাড়াই ড্যাশ ডায়েটে স্থান দিতে পারেন। ড্যাশ ডায়েট হলো রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার খাদ্যতালিকা। পালংশাকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফোলেট রয়েছে। এসব পুষ্টি রক্তনালীকে শিথিল করে রক্তচাপ কমিয়ে থাকে।

৪)  হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়: প্রথমে একটা হতাশার গল্প শোনা যাক: ‘পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি অক্সালেটসও রয়েছে। অক্সালেটস হলো অক্সালিক অ্যাসিডের সল্ট। এই লবণ শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণকে কঠিন করে তোলে।’ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশনের মতে, পালংশাকে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন কে-ও থাকে। গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে যে ভিটামিন কে হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে পারে এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি কমাতে পারে।

৫)  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: বাথরুমের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি হলো ফাইবার। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অথবা প্রতিরোধে ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। পালংশাকে সলিউবল ফাইবার ও ইনসলিউবল ফাইবার উভয়ই রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যকে তাড়াতে সাহায্য করে। এক বাটি রান্নাকৃত পালংশাকে ৪.৩ গ্রাম ফাইবার পেতে পারেন, যা একজন মানুষের জন্য দৈনিক সুপারিশকৃত ফাইবারের ১৭ শতাংশ।

৬)  রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমায়: হিমোগ্লোবিন বা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে আয়রনের দরকার হয়। শরীর পর্যাপ্ত আয়রন না পেলে রক্তশূন্যতায় ভুগতে পারে। আপনার জন্য সুখবর হলো, ডায়েটে পালংশাক সংযোজন করে শরীরের অন্যান্য উপকারসাধনের পাশাপাশি রক্তশূন্যতাও এড়াতে পারেন। মাত্র এক বাটি রান্নাকৃত পালংশাক থেকে ৬ মিলিগ্রামেরও বেশি আয়রন পাবেন, যা দৈনিক সুপারিশকৃত মাত্রার ৩৬ শতাংশ। রক্তশূন্যতার একটি পরিণতি হলো, হার্টবিট অস্বাভাবিক হয়ে যায়।

৭)  নখ ও চুলকে সুস্থ রাখে: পালংশাকে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিলের মতে, উভয় পুষ্টিই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ত্বক ও চুলকে মসৃণ করে। ভিটামিন সি কোলাজেন নামক প্রোটিনের সহায়তায় চুলকে মজবুত করে তোলে। ভিটামিন সি ও কোলাজেনের যৌথ উদ্যোগে নখও মজবুত হয়ে ওঠে এবং বিরক্তিকর হ্যাং নেইল প্রতিরোধ হয়।

৮)  হার্টবিটের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে: গবেষণায় দেখা গেছে, পটাশিয়ামের অভাবে হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এছাড়া পটাশিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যোন্নয়ন, স্বাভাবিক হজমক্রিয়া ও পেশি কার্যক্রমেও সহায়তা করে। মিনারেলটি অস্টিওপোরোসিস ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে। শরীরে পটাশিয়াম যোগাতে নিয়মিত পালংশাক খেতে পারেন। পালংশাকে পটাশিয়ামের পরিমাণ কলার চেয়েও বেশি। ১০০ গ্রাম পালংশাক ও ১০০ গ্রাম কলা তুলনা করলে দেখা যাবে পালংশাকে ২০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম বেশি আছে।

৯)  দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে: যারা নিয়মিত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন পড়েন তাদের এটা অজানা নয় যে চোখের সুরক্ষায় গাজর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই বলে কি শুধু গাজরই খাবেন? দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করতে পারে এমন অন্যান্য খাবারও রয়েছে, যেমন- পালংশাক। পালংশাকে দৃষ্টি সুরক্ষার পুষ্টি লুটেইন থাকে। আমেরিকান অপ্টোমেট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পালংশাকে লুটেইন নামে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা চোখের ছানি ও ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমাতে পারে।

১০)  ইনজুরি সারিয়ে তোলে: পালংশাক হলো ভিটামিন কে এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। আধ বাটি রান্নাকৃত পালংশাকে ৪৪৪ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে পাওয়া যায়। ভিটামিন কে রক্তকে জমাট বাধাতে সাহায্য করে। এ প্রক্রিয়ায় আঘাত জনিত রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়। কেবল তা নয়, এরপর ইনজুরিকে দ্রুত সারিয়ে তুলতেও ভিটামিন কে কাজ করে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরও দুর্ঘটনাবশত আঘাত পেয়ে রক্ত ঝরতে পারে। তাই ভবিষ্যতের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত পালংশাক খাওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

আলুর খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন ?.


আলুর খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন ?.

আমাদের এ অঞ্চলে আলু রান্নার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। রান্নাঘরে আর কোনো সবজি না থাকলেও, আলু থাকবে না, তা কখনো ভাবাই যায় না। তাই হয়তো, আলুকে সবজির রাজাও বলা হয়। তাছাড়া ভাত, ডাল, মাছ, মাংস কিংবা তরকারি, যেকোনো রান্নায় আলুর যুগলবন্দী, সবকিছুকেই হার মানিয়ে যায়।

আমরা সকলেই জানি যে, পুষ্টিকর সবজিগুলির মধ্যে অন্যতম হল আলু। তবে কেবল আলু নয়, আলুর খোসাও কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারি! আলুর খোসা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ফাইবারের উৎস। তাই, আলুর খোসা বাদ দিয়ে ফেলে দেওয়ার আগে এর স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলি সম্পর্কে একবার অবশ্যই চিন্তা করে দেখবেন। তাহলে দেখে নেওয়া যাক, আলুর খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

১) হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ভাল:

আলুর খোসায় প্রভাবশালী ফেনোলিক যৌগ তথা ক্লোরোজেনিক এবং গ্যালিক অ্যাসিড উপস্থিত। এগুলি শক্তিশালী রেডিকাল স্ক্যাভেঞ্জিং বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ন্যায় কাজ করে। তাই, এই যৌগগুলি ফ্রি রেডিকেলের কারণে হওয়া, হার্টের ক্ষতি প্রতিরোধ করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়তা করে।

২) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক: 

আলুর খোসা, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও অত্যন্ত সহায়ক। আলুর খোসা পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এই খনিজগুলিই মূলত, শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

৩) অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান:

আলুর খোসায় শক্তিশালী অ্যান্টি- মাইক্রোবিয়াল যৌগ, তথা টারপেনস এবং ফ্ল্যাভোনয়েড বর্তমান। যা, বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক সংক্রমণ, প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়া, আলুর খোসা ব্যাকটেরিওস্ট্যাটিক প্রকৃতির হওয়ায়, এটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও নিরাপদ বলে ব্যবহার করা হয়।এমনকি এটি প্রাকৃতিক সংরক্ষক হিসেবেও কাজ করে। জগদ্ধাত্রী পুজোয় অবশ্যই করুন এই কাজগুলি, জীবনের সব সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে!

৪) অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান:

অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য ছাড়াও, আলুর খোসায় অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। যা মূলত আন্ত্রিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে, সহায়তা করে। আলুর খোসায় থাকা ক্লোরোজেনিক এবং ক্যাফেইক অ্যাসিড, প্রধান ফেনোলিক যৌগ হিসেবে কাজ করে। যা এই অ্যান্টি-ভাইরাল কার্যকলাপের জন্য দায়ী।

৫) হাড়ের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভাল:

আলুর খোসা আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, কপার এবং জিঙ্কের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। যা হাড়কে শক্তিশালী করে তুলতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া শরীরের প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম, হাড়েই উপস্থিত। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, আলুর খোসার নিয়মিত সেবন, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে এবং মহিলাদের মেনোপজের পরে অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে, সহায়তা করে।

৬) অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে সহায়ক: 

আলুর খোসা, আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটি অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে। তাছাড়া এতে, লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন এবং সরবরাহকে বজায় রাখতে সহায়ক, গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলিও উপস্থিত। তাই আলুর খোসার নিয়মিত সেবন, রক্তাল্পতা সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

৭) অ্যান্টি-অ্যালার্জি এবং অনাক্রম্যতার বৈশিষ্ট্য বর্তমান:

আলুর খোসা মূলত ফ্ল্যাভোনয়েডের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এটি এক ধরনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহবিরোধী রূপে কাজ করে। এটি সংক্রমণ এবং অ্যালার্জির মতো বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে।

৮) ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক:

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, আলুর খোসা ক্ষত নিরাময় করতেও অত্যন্ত সহায়ক। তাছাড়া, আলুর খোসায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে, এটি ব্যাকটেরিয়ার অতিরিক্ত বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতেও সহায়তা করে।

৯) ওজন কমাতে সহায়ক: 

আলুর খোসা মূলত অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি ভিটামিন বি, সি, পটাসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, তবে এতে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তাই এর নিয়মিত সেবন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি, দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি রাখতে এবং ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করতেও, সহায়তা করে।


অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।
  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১

মাত্র ১০ মিনিটে কালো ঠোঁট গোলাপি ও বাচ্চাদের ঠোঁটের মত আকর্ষণীয় করবেন কীভাবে ?.


মাত্র ১০ মিনিটে কালো ঠোঁট গোলাপি ও বাচ্চাদের ঠোঁটের মত আকর্ষণীয় করার ঘরোয়া উপায় ।

আমরা সকলেই চাই নিজের সৌন্দর্যের দ্বারা অন্যদেরকে আকর্ষিত করতে। আর নিজের সৌন্দর্য তো নিজের কাছে একটি শক্তি। তার সাথে সাথে সৌন্দর্য কিন্তু আমাদের ব্যক্তিত্বকে বাড়িয়ে দেয়। অনেকে এ কথার সাথে একমত হয় না কিন্তু এটাই হলো বাস্তবতা। কোন লোককে প্রথমে দেখলে তার ভিতরের গুনাগুন নিয়ে আপনি তাকে বা তার ব্যক্তিত্বকে জাজ করতে পারবেন না। কারণ সেটা সময় সাপেক্ষ।প্রথম দৃষ্টিতে তার সৌন্দর্য আপনার চোখে পড়বে। এর মাধ্যমে আপনারা তার ব্যক্তিত্বকে তুলনা করেন, এটি কটু সত্য হলেও এটাই বাস্তবতা।

তাই বন্ধুরা আমরা সবাই চাই নিজেদের সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে। আর নিজেদের চেহারার সৌন্দর্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আমাদের ঠোঁট। যদি আমাদের ঠোঁট গোলাপি ও কচি হয় তাহলে সেটি আমাদের সৌন্দর্যকে আরো অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়। কুচকুচে কালো রঙের ঠোঁট কিন্তু আমাদের সৌন্দর্যের ধারক হতে পারে না। তাই আমরা যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমাদের কালো ঠোঁটকে গোলাপি রঙের করতে চায়। তাই ঘরোয়া ভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপকরণ এর সমন্বয়ে প্যাক তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহারে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই আপনার কালো ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন হয়ে গোলাপী হয়ে যাবে।

১। কালো ঠোঁট মাত্র ১০ মিনিটে গোলাপি করার টিপসঃ

কালো ঠোঁট গোলাপি ও বাচ্ছাদের মত করতে প্রথমে যে টিপসটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এই টিপসটি ব্যবহার করতে যে সকল উপকরণ লাগবে।

 ১ টি সাদা রঙের টুথপেস্ট,যে ভাবে এই প্যাকটি ব্যবহার করবেনঃ

 প্রতিদিন সকালে নিয়মিত ভাবে আমরা যখন দাঁত ব্রাশ করি দাঁত ব্রাশ করার সময় কিছু পরিমাণ টুথপেস্ট দুই ঠোঁটে লাগাতে হবে। ৫ মিনিট সময় পর্যন্ত এই প্যাক টি থাকার পর দাত ব্রাশ করার ব্রাশ দিয়ে আলতো আলতো ভাবে সার্কুলার মোশনে ঠোঁটদুটো ব্রাশ করতে হবে। ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার কালো ঠোঁটের রং সম্পূর্ণভাবে গোলাপি হয়ে যাবে।  

২। লবণ ও চিনির মিশ্রণে কালো ঠোঁট গোলাপি করবেন যেভাবেঃ

কালো ঠোঁট গোলাপি করতে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি এই টিপসটি। যা ফলো করতে যে সকল উপকরণ লাগবে ।

 অল্প পরিমাণে চিনি, সামান্য পরিমাণে লবণ,

যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ  

 বন্ধুরা, লবণ এবং চিনির মিশ্রণ ভালো মত করে মিশিয়ে নিতে হবে। কোন ধরনের পানি এই মিশ্রণে লাগানো যাবেনা। লেবু দিয়ে এই মিশ্রণ থেকে আমাদের ঠোঁটদুটো স্ক্রাপ করতে হবে সারকুলার মোশনে।

 ৫ মিনিট ধরে যদি আমরা লেবুর সাহায্যে স্ক্রাপটি করতে পারি আমাদের ঠোঁট কিন্তু খুব বেশি সুন্দর হয়ে যাবে। কালো রং পাল্টে একেবারে গোলাপি হয়ে যাবে।    

৩। কালো ঠোঁট গোলাপি করতে কফি পাওডারের সাথে চিনির মিশ্রণঃ

যে টিপসটি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, এই টিপসটির জন্য যে সকল উপকরণ লাগবে।  

 ২ চা চামচ কফি পাউডার,

 ১টেবিল চামচ চিনি,

যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ

 কফি পাউডার এর সাথে চিনি মিক্স করে দারুন একটি প্যাক তৈরি হয়ে যাবে। এবং তার সাথে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস যোগ করে আমরা সে মিশ্রণটি আমাদের দুই ঠোঁটে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষার পর যদি ধুয়ে ফেলুন।  দেখবেন আপনার কালো ঠোঁটের রং কতটা পাল্টে গেছে। ১০ মিনিটেই আপনি পেয়ে যাবেন গোলাপি ঠোঁট।

৪। মাত্র ১০ মিনিটে কালো ঠোঁট গোলাপি করতে টমেটোর সাথে লেবুর ব্যবহারঃ

এখন যে টিপসটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি এই টিপসটি ব্যবহার করতে যে সকল উপকরণ লাগবে ।    

 ১ টি পাকা টমেটোর পেস্ট, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস,যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ

 টোমেটো ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি তুলার সাহায্যে এই মিশ্রণের কিছু অংশ যদি নিয়ে আমরা দুই ঠোঁটে ম্যাসাজ করি, তাহলে আমাদের কালো ঠোঁট কিন্তু অনেক গোলাপি রঙের হয়ে যাবে।    

বন্ধুরা, উপরে যে সকল টিপস গুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, প্রত্যেকটি টিপস কিন্তু দারুণ ভাবে কাজ করে আমাদের কালো ঠোঁটকে গোলাপি রঙের করে দিতে। ঠোটের কালো দাগ নিয়ে আর হতাশ না হয়ে আমাদের দেওয়া এই টিপসগুলো যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করুন।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)


মাথায় নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন ?


মাথায় নতুন চুল (hair) গজাতে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন ?

মানবসভ্যতার ইতিহাসের আদিযুগ থেকেই পিঁয়াজের(Onion) ব্যবহার শুরু হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব খানের সমাজেই বিভিন্ন রান্নায় পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে কাচা , জমানো, আচার , চূর্ণ, কুঁচি, ভাজা, এবং শুকনো করা পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। শুধু পিঁয়াজ (Onion)সাধারণত সরাসরি খাওয়া হয়না, বরং পিঁয়াজ কুঁচি বা ফালি করে কাচা অবস্থায় সালাদএ , অথবা রান্নাতে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পিঁয়াজ বিভিন্ন রকমের হতে পারে – ঝাঁঝালো, মিষ্টি , তিতা।  

 লাল পিঁয়াজ (Onion)

পিঁয়াজকে (Onion)ভিনেগার বা সিরকাতে ডুবিয়ে আচার বানানো হয়। দক্ষিণ এশিয়ার খাদ্যে পিঁয়াজ (Onion)একটি মৌলিক উপকরণ, এবং প্রায় সব রান্নাতেই পিঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। পিঁয়াজের(Onion) কোষের আকার বেশ বড় বলে বিজ্ঞান শিক্ষায় মাইক্রোস্কোপের ব্যবহার ও কোষের গড়ন শেখাতে পিঁয়াজের কোষ ব্যবহার করা হয়।

আমরা সবাই জানি, পেঁয়াজের রস (onion juice) নতুন চুল (hair) গজাতে সাহায্য করে, চুল (hair) পড়া কমায় এবং চুলের(hair) গোড়া শক্ত করে। কিন্তু অনেকেই জানি না কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস (onion juice) ব্যবহার করবেন। এই রসের সঙ্গে অন্য প্রাকৃতিক উপাদান মেশালে এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

কীভাবে মাথায় পেঁয়াজের রস (onion juice) ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে কয়েকটি উপায়ের কথা বলা হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার পরখ করতে পারেন। 

১. পেঁয়াজ কেটে ভালো করে ব্লেন্ড (blend) করে নিন। এবার এর রস বের করে নিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল(hair) ধুয়ে ফেলুন।  

২. পেঁয়জের রসের সঙ্গে হালকা গরম জল মিশিয়ে নিন। গোসলের পর এই water দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন। একদিন পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে মাথা থেকে পেঁয়াজের গন্ধ আসতে পারে। তবে চুলের (hair) জন্য এই পানি বেশ উপকারী।

৩. পেঁয়াজের রসের (onion juice) সঙ্গে নারকেল তেল ও কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।    

৪. দুই চা চামচ পেঁয়াজের রসের (onion juice) সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার shampoo করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন এই প্যাক মাথায় লাগান।

৫. পেঁয়াজ বেটে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলি কি কি ?.


অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলি কি কি ?.

  অন্যান্য অঙ্গের চাইতে মুখের লোম বেশি চোখে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে হরমোনের প্রভাবে মেয়েদেরও মুখে বড় বড় লোম দেখা যায়, যা বেশ অস্বস্তিকর। থ্রেডিং, ওয়াক্সিংয়ের মাধ্যমে লোম তুললে অনেক সময় ত্বকের(Skin) ক্ষতি হয়। ব্যথাও পেতে হয় বেশ। এছাড়া বাজারের ‘হেয়ার রিমুভাল ক্রিম’ অথবা ওয়াক্সিং উপাদানগুলো নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি লোমনাশক মিশ্রণ। 

লেবু ও মধুর মিশ্রণ: প্রথমে দুই টেবিল-চামচ চিনি এবং সমপরিমাণ লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু(Honey) মিশিয়ে নিন। তিন মিনিট মিশ্রণটি গরম করে নিন যেন চিনি গলে মিশে যায়। বেশি ঘন হয়ে গেলে অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়ে মিশ্রণটি পাতলা করে নিন।

এরপর ঠাণ্ডা করে সঙ্গে কর্নস্টার্চ বা ময়দা মিশিয়ে নিন পরিমাণ বুঝে। ত্বকে সমানভাবে এক পরত লাগিয়ে নিন।

উপরে ওয়াক্সিং স্ট্রিপ লাগিয়ে লোম যেদিকে বড় হয় এর অপর দিকে টেনে তুলে ফেলুন। ঘরোয়া এই মিশ্রণ ত্বকের কোনো ক্ষতি করবে না এবং লোমও উঠে আসবে।

ওটমিল ও কলা: দুই টেবিল-চামচ ওটমিল(Oatmeal) এবং একটি পাকাকলা ব্লেন্ড (blend) করে নিন। ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট মালিশ করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ওটমিলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের মৃতকোষ এবং লালচেভাব দূর করে। নিয়মিত এই মিশ্রণ ত্বকে মালিশ করার ফলে লোম দূর হয়।

পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করতেও এই মাস্ক বেশ উপকারী।

চিনি ও লেবুর রস: দুই টেবিল চামচ চিনি এবং একটি লেবুর রস(Lemon juice) আট থেকে নয় টেবিল-চামচ পানিতে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি গরম করতে হবে। ফুটে উঠলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পাতলা পরতে পুরো ত্বকে মেখে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানি হালকা হাতে ঘুরিয়ে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন।

চিনি প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে আর হালকা গরমে চিনি আঠালো হয়ে যায় যা ত্বকের লোমের সঙ্গে আটকে থাকে। তাই মালিশের সময় তা লোম তুলে আনে। অন্যদিকে লেবুতে রয়েছে প্রকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

আলু ও ডাল: পাঁচ টেবিল-চামচ আলুর রসের(Potato juice) সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু ও সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার আগে থেকেই সারা রাত ভিজিয়ে রাখা ডাল ব্লেন্ড (blend) করে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন। এর সঙ্গে আলুর রসের মিশ্রণটি মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ভেজা হাতে হালকাভাবে লোম যেদিকে বড় হয় তার উল্টো দিকে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন।

এই মাস্ক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের লোম কমতে থাকে এবং আলুর রস ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।  

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

ফর্সা হতে ঘরে কিভাবে তৈরি করবেন নাইট ক্রিম ?.


ফর্সা হতে ঘরে কিভাবে তৈরি করবেন নাইট ক্রিম ?.

  কে না চায় ফর্সা (fair) হতে। অনেকেই ব্যবহার করছেন বাজারে থাকা নানা রং ফর্সা(fair)কারী ক্রিম ও নাইট ক্রিম। তবে এই সব ক্রিমে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক উপাদান থাকার কারনে ত্বকে র‍্যাশ, এলার্জি, চামড়া জলে যাওয়া, পশম ওঠা এমন কি চামড়া ওঠার মতন সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। আজ আপনাদের দেখাবো কিভাবে সম্পূর্ন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি একটি নাইট ক্রিম (cream) আপনাদের ত্বক ফর্সা (fair)করে। তো আসুন দেখে নেই।    

নাইট ক্রিম (cream) বানাতে যা যা লাগছে – ৭-৮টি কাঠ বাদাম (আমন্ড), ও ৭-৮টি পেস্তা বাদাম

 সারা রাত বাদাম গুলো একটি বাটিতে পানি দিয়ে তার ভেতর ভিজিয়ে রাখুন। তাতে কি হবে বাদাম গুলো নরম হয়ে আসবে। বাদামের চামড়া উঠিয়ে ফেলতে সুবিধা হবে। বাদাম ভিজে গেলে সাবধানতার বাদাম গুলোর ছাল তুলে ফেলুন। এবার ব্লেন্ডারে বাদাম গুলো দিয়ে দিন। তার সাথে দিয়ে দিন ১টুকরা কাঁচা হলুদ। এর সাথে দিবেন ২চা চামচ গোলাপজল।

 এবার ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। অনেক সময় ধরে একদম মিহি করে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্ট হয়ে গেলে এতে দিয়ে দিন ২ চা চামচ টক দই। এবং ১ চা চামচ লেবুর রস। এর সাথে দেবেন ১ চা চামচ আমন্ড অয়েল। বাজারে নানা কোম্পানির আমন্ড oil পাওয়া যায়। তবে আমি বাজাজ আমন্ড অয়েল ব্যবহার করেছি। তবে যদি আপনাদের ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমন্ড অয়েল দেওয়ার দরকার নেই। এবার এই মিশ্রনের সাথে দিয়ে দিন ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল। আবার এই মিশ্রণটিকে ব্লেন্ড করে নিন। 

 ব্লেন্ড হয়ে গেলে একটি পরিস্কার খালি কৌটায় ক্রিম (cream) নিয়ে নিন। এই ক্রিম (cream) ফ্রিজে ৭ দিন পর্যন্ত রাখতে পারবেন। তবে অবশ্যই নরমালে রাখবেন।

 ব্যবহারের প্রনালী – প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে ফেস ওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে তার পর এই ক্রিমটি (cream) নিয়ে খুব ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে। পুরো মুখে ভালো ভাবে মাখাতে হবে। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে টানা ১৫ দিন ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল। 

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

শীতে শরীর ও মন ভালো রাখতে কোন কোন খাবার খাবেন ?.


 শীতে শরীর ও মন ভালো রাখতে কোন কোন খাবার খাবেন ?.

প্রতিটি ঋতু যেমন শরীরকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে তেমনি সেই প্রভাবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শরীরের চাহিদা পরিবর্তন হওয়াটাই যৌক্তিক। ‘দ্য নিউট্রিশন টুইনস’ এবং ‘টোয়েন্টিওয়ান-ডে বডি রিবুট’য়ের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের যমজ পুষ্টিবিদ বোন ট্যামি লাকাটোস ও ল্যাসি লাকাটোস ‘ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “গ্রীষ্মের দিনগুলোতে আমরা লম্বা সময় ঘরের বাইরে থাকি, ত্বকের সরাসরি রোদ লাগে। গ্রীষ্মকালে সূর্যের তেজও থাকে বেশি। ফলে শরীর সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি’র যোগান পায়। শীতকালে সূর্যের তেজ কম। ফলে শীতকালে ভিটামিন ডি’র যোগানে কমতি দেখা দেয়।

“পাশাপাশি আমাদের শরীর‘থার্মোরিজেনারেশন’য়ে সক্রিয়। আর এই প্রক্রিয়া হল শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখা। শীতকালে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে বেশি শক্তি খরচ হয়। আর সেই বাড়তি শক্তি যোগাতে চাই বাড়তি খাবার।”

“অপরদিকে গ্রীষ্মকালে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অনেক ‘ইলেক্ট্রোলাইট’ বেরিয়ে যায়, শীতকালে তা হয় না। তাই শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে ‘ইলেক্ট্রোলাইট‘য়ের চাহিদা বেশি থাকে।”

শীতকালে দিন ছোট, রাত বড়। ফলে সতেজ বাতাস এই ঋতুতে মেলে কম। ‘দ্য নিউট্রিশন টুইনস’য়ের মতে, “শীতকালে দিনের পরিমাণ কম। আবার ঘরের মধ্যে আলো বাতাস চলাচল যতই ভালো হোক তা বাইরের মতো কখনই হয় না। আর ঘরে অন্যান্য মানুষের সংস্পর্শে আসা হয় বেশি। এই দুইয়ে মিলে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা শীতকালে বেশি। তাই এই ঋতুতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবার খাওয়া দরকার বেশি পরিমাণে।

সংস্থাটি আরও জানায়, “ঘরে থাকলেও ‘অভ্যন্তরীণ দূষণ’য়ে শিকার হওয়া আশঙ্কা থাকে। যে কারণে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ আরও অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এগুলো থেকে বাঁচতেও শীতকালে চাই বাড়তি সতর্কতা।”

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক পুষ্টিবিদ মিয়া সিন বলেন, “ঋতুর পরির্তনের কারণে মানুষের খাবার খাওয়ার ধরনেও পরিবর্তন দেখা যায়। বিশেষ করে যারা মৌসুমি খাবার খেতে পছন্দ করেন। কাঁচাবাজারে কী পাওয়া যাবে সেটাও মৌসুমি ফসলের সঙ্গে তাল মিলিয়েই বদলায়। শীতকালে শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখার জন্য শরীর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া তাগিদ দেয়।”

তো শীতকালে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়তে কোন খাবারগুলো বেছে নেবেন? 

পুষ্টিবিদদের পরামর্শের আলোকে জানানো হল সে সম্পর্কে।

ভিটামিন ডি’র প্রতি মনযোগ দিতে হবে। ‘দ্য নিউট্রিশন টুইনস’য়ের মতে, “ভিটামিন ডি শরীরে জরুরি। কারণ এটি ছাড়া শরীর ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে না। ক্যালসিয়াম না পেলে হাড় হবে দুর্বল। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার রোগ তো হয়ই, কয়েক ধরনের ক্যান্সার, ‘আলৎঝাইমারস’, ‘অটোইমিউন’ রোগ, প্রদাহ ইত্যাদিও দেখা দেয়।”

“ভিটামিন ডি’র যোগান নিশ্চিত করতে বেছে নিতে হবে চর্বিওয়ালা মাছ, ডিম, বৃক্কের মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, কমলার রস, সয়া দুধ, সিরিয়াল ইত্যাদি। এই ভিটামিনের অভাব থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি ‘সাপ্লিমেন্ট’ নিতে হবে।”

শীতের ত্বকের অস্বস্তি কমাতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড

‘দ্য নিউট্রিশন টুইনস’য়ের দাবি, রক্তচাপ ও ‘ট্রাইগ্লিসারাইড’য়ের মাত্রা কমায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। রক্তনালীতে যে ‘প্লাক’ জমে, সেটাও রোধ করে এই উপাদান। ফলে কমায় ‘হার্ট অ্যাটাক’ ও ‘স্ট্রোক’য়ের ঝুঁকি। 

আর শীতকালে ত্বক খসখসে হয়, চামড়া ওঠে, চুলকায়, প্রচণ্ড শুষ্ক হয় যায় ত্বক। এই সবগুলো অস্বস্তির জন্যই উপকারী ওই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। 

প্রদাহ রোধ করা, ত্বকের জৈবিক তেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা, ত্বকের অস্বস্তি কমানো ও ত্বক নরম করা ইত্যাদি সবই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে পড়ে।

বিভিন্ন ধরনের মাছ, ‘ফ্লাক্সসিড’, ‘শিয়া সিড’, কাঠবাদাম ইত্যাদি ওমেগা থ্রি’র আদর্শ উৎস।

মৌসুমি রোগ দমাতে ভিটামিন সি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করে ভিটামিন সি।

‘দ্য নিউট্রিশন টুইন’ বলছে, “ভিটামিন সি মৌসুমি রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় কি-না সে ব্যাপারে পরস্পর বিপরীতমুখী মতামতের প্রচলন আছে। তবে এই ভিটামিন যে সর্দি জ্বরের তীব্রতা কমায় এবং অল্প সময়ে সুস্থ করে তোলে একথা প্রমাণীত।

‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ হিসেবে ভিটামিন সি অত্যন্ত সক্রিয়, যা মুক্তমৌলের ক্ষতি থেকে বাঁচায়। ফলে কোষ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়, প্রদাহের আশঙ্কা কমে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 

কমলা, আঙুর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, ‘ব্রাসেল স্প্রাউট’ ইত্যাদি ভিটামিন সি’র উল্লেখযোগ্য উৎস।

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আর আঁশ

মিয়া সিন বলছেন, “শীতের আমেজ আর বিভিন্ন উৎসবের মিলিত প্রভাবে এসময়ে মানুষের মাংস এবং ভারি খাবার বেশি খাওয়া হয়। এই খাবারগুলো সুস্বাদু হলেও হঠাৎ এই পরিবর্তন ডেকে আনে হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য।”

এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে খাদ্যাভ্যাসে থাকতে হবে প্রোটিন ও ভোজ্য আঁশ। আর দুটোই আসতে হবে উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে।

বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি সুপ, ডাল, মটরশুঁটিসহ অন্যান্য সকল সবজিই হতে পারে সুস্বাদু খাবারের পদ।

পর্যাপ্ত পানি

শীতকালে পানি পানের পরিমাণ কমে যায় অনেকটা। তবে এসময় শরীরে আরও বেশি পানি প্রয়োজন।

মিয়া সিন বলেন, “গ্রীষ্মে ঘামের সঙ্গে অনেক পানি বেরিয়ে যায়, শীতকালে ঘাম না হলেও শরীর প্রায় একই পরিমাণ পানি হারায়। কারণ এই ঋতুতে আবহাওয়ার আর্দ্রতা কম, মূত্রবিয়োগ হয় বেশি এবং পানির পানের তাগিদ অনুভব হয় না।”

“তাই পানি পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। যেসব খাবারে পানির মাত্রা বেশি সেগুলো বেশি খেলেও উপকার মিলবে।”

ভিটামিন কে-টু

মিয়া সিন বলেন, “অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে এই ভিটামিন পায় না। হাতেগোনা কয়েকটি খাবারে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন কে-টু পাওয়া যায়। আর থাকে কিছু ‘ফার্মেন্টেড’ খাবারে।

কেউ যদি ভিটামিন ডি ‘সাপ্লিমেন্ট’ নেন, তবে তার সঙ্গে ভিটামিন কে টু’র ‘সাপ্লিমেন্ট’ও নেওয়া উচিত। শরীরের ক্যালসিয়ামের সুষম বন্টনের কাজ করে এভিটামিন।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)