সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২

বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করার সহজ ও কার্যকরী ৬টি কৌশল কী কী ?.


বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করার সহজ ও কার্যকরী ৬টি কৌশল কী কী ?.

  সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ফাংগাস, ব্যাক্টেরিয়া খুব সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। আর সেখান থেকেই ছড়ায় রোগজীবাণু ও ঘটে থাকে আকস্মিক দুর্ঘটনা। পরিবারে যদি ছোটো বাচ্চা এবং বয়স্ক মানুষ থাকে, তখন বাথরুমের টাইলস ক্লিন করার কথা আমাদের অনেক গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও নিয়মিত বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার না করলে, অবাঞ্ছিত কালো দাগ পড়ে বাথরুমের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

  সুতরাং আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করুন। জেনে নিন কীভাবে বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করা যায়।

১। বাথরুমের মেঝে শুকিয়ে ফেলুন:-

  বাথরুম পরিষ্কার করার আগে একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মেঝে, দেয়াল ভাল করে মুছে নিন। এমনভাবে মুছে ফেলুন যাতে বাথরুম একদম শুকিয়ে যায়। এই একটি কাজ বাথরুম ধোয়ার কাজটি আরও সহজ করে দেবে। এতে করে বাথরুমের বাড়তি ময়লা ও তলানি পরিষ্কার করা সহজ হবে।

২। টাইলস ক্লিনার ব্যবহার করুন: -

  সম্পূর্ণ বাথরুমের টাইলসে টাইলস ক্লিনার বা টয়লেট ক্লিনার ছিটিয়ে দিন। এবার এই ক্লিনার দিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। লক্ষ্য রাখবেন ক্লিনার দিয়ে খুব বেশিক্ষণ রাখবেন না। আপনি চাইলে এটি প্রতিদিন করতে পারেন।

৩। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন:-

 টাইলস পরিষ্কার করার জন্য শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন। শক্ত ব্রাশ দিয়ে টাইলসের মেঝে ভাল করে ঘষুন। পুরোতন অব্যহৃত টুথব্রাশ দিয়ে বাথরুমের কোণাগুলো পরিষ্কার করুন। টাইলসের জোড়া লাগানো স্থানের কোনায় কোনায় ময়লা জমে কালচে দাগ পড়ে, সে স্থানগুলোও টুথব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

৪। জল দিয়ে পরিষ্কার করুন: -

 ব্রাশ দিয়ে ঘষার পর ময়লা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেশি পরিমাণে জল ঢালুন যাতে করে বাথরুমের কোনায় কোনায় জমে থাকা ময়লা সব ধুয়ে চলে যায়।

৫। ভিনেগার:-

 সমপরিমাণে ভিনেগার এবং জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার এটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফেলুন। এবার এটি দিয়ে টাইলসের উপর বিশেষ করে ময়লা দাগের উপর স্প্রে করুন। এভাবে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর ঘষুন তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনি বেসিন, টাইলস, কেবিনেট সব পরিষ্কার করতে পারবেন।

৬। বেকিং সোডা: -

 একটি কাপড়ে বা স্পঞ্জে বেকিং সোডা লাগিয়ে টাইলসের ময়লা দাগের উপর লাগিয়ে নিন। এবার এটি কিছুক্ষণ ঘষুন। এছাড়া বেকিং সোডা এবং জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি টাইলসে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ঘষুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগারের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তেল, চর্বিজাতীয় দাগ পড়ে টাইলস যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য যেসব স্থানে দাগ পড়বে সঙ্গে সঙ্গে তা সাবানের জল দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। এতে দাগ স্থায়ী হবে না। বেকিং পাউডার এবং ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে বাথরুমে ব্যবহার করতে পারেন, এটি বাথরুম পরিষ্কার করার পাশাপাশি জীবাণুমক্ত রাখবে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০২২

কোন পাঁচটি ভুলে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ হারায় আপনার সঙ্গী ?.


কোন পাঁচটি ভুলে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ হারায় আপনার সঙ্গী ?.

 
 দেশ আগের চাইতে অনেক উন্নত হয়েছে। সেই সঙ্গে উন্নত হয়েছে মানুষের চিন্তা শক্তিও। তারপরও যৌনতা নিয়ে কথা বলতে এখনো অনেকেই সংকোচবোধ করেন। অথচ যৌনতা যে আর পাঁচটি জৈবিক প্রক্রিয়ার মতোই স্বাভাবিক, একথা মেনে নিতে এখনো অসুবিধা হয় সমাজের একটি বড় অংশের মানুষের। আর এর জন্যই অধরা থেকে যায় যৌন জীবনের একাধিক সমস্যার সমাধান। যৌন মিলনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা সেরকমই একটি বিষয়। জানুন মূলত কোন কোন কারণের জন্য এমনটি ঘটে-
১) ক্লান্তি –

যৌন মিলনের ভরপুর আনন্দ পেতে অবশ্যই প্রয়োজন স্ফূর্তি ও উদ্দীপনা। কিন্তু কর্মক্ষেত্রের চাপ, সাংসারিক দায়িত্ব বা সন্তানের দেখভাল, প্রভৃতি নানা কারণে শারীরিক তো বটেই, মানসিক ভাবেও শরীরকে গ্রাস করে ক্লান্তি। ফলে দিনের শেষে যৌন মিলনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন অনেকেই।

২) হীনমন্যতা –

 নিজেকে নিয়ে বা নিজের শারীরিক গঠনকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন অনেকে। সচরাচর নজরে না পড়লেও এই সমস্যা কিন্তু অত্যন্ত গভীর। অবচেতনে ক্রমাগত এই ভাবনা চলতে থাকলে তার মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে যৌন জীবনে। অথচ সঙ্গীর সঙ্গে সঠিক কথোপকথনে সহজেই মুক্তি মিলতে পারে এই সমস্যা থেকে।


৩) একঘেয়েমি –

  দীর্ঘদিন এক সঙ্গে থাকলে যৌন জীবনে আসতে পারে একঘেয়েমি। মুখে না বললেও অনেক সম্পর্কেই ফাটলের কারণ এই সমস্যা। তাই একঘেয়ে লাগলে খুঁজতে হবে যৌন জীবনকে রোমাঞ্চকর করে তোলার নিত্য নতুন উপায়।

৪) মতাদর্শগত পার্থক্য –

 দৃঢ়চেতা মানুষদের মধ্যে যৌন মিলনের আগ্রহ কমে যাওয়ার অন্যতম মূল কারণ এটি। মানসিক ভাবেই যার সঙ্গে দূরত্ব শত যোজন তার সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় সঙ্কোচ হওয়া অসম্ভব নয়।


৫) স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা –

 যৌন মিলনের সময়ে সঙ্গীর যৌন স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেন অধিকাংশ মানুষই। সার্বিক পরিচ্ছন্নতা বোধ না থাকলে বৈজ্ঞানিক ভাবেও অস্বস্তিকর হয় শারীরিক মিলন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি না মানা মানুষদের প্রতি যৌন আকর্ষণ হারান সঙ্গীরা।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শরীরের কোন তিন টি অংশ প্রতিদিন পরিষ্কার করা জরুরী ?.


শরীরের কোন তিন টি অংশ প্রতিদিন পরিষ্কার করা জরুরী ?. 

 
 নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নিয়মিত গোসল করা। এতে যে কেবল আপনার পরিচ্ছন্নতাই নিশ্চিত হবে তা কিন্তু নয়, আপনি বিভিন্ন রোগ থেকেও রক্ষা পাবেন। কিন্তু কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন গোসল করার প্রয়োজন নাও হতে পারে। 

 
 অতিরিক্ত গোসল স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলতে পারে। সেইসঙ্গে ত্বকে শুষ্কতা, ফাটা, চুলকানি এবং জ্বালা দেখা দিতে পারে। আপনি প্রতিদিন গোসল করতে চান কি না তা সম্পূর্ণ আপনার ওপর নির্ভর করে। আমরা যদি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলি, তবে শরীরের মাত্র তিনটি অংশ রয়েছে যা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। 

 চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী-

বগল –

 আপনি যদি প্রচুর ঘামেন তবে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জমা হওয়ার কারণে আপনার শরীর এক ধরনের কটু গন্ধ তৈরি করবে। বগলের মতো ত্বকের ভাঁজে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়। এটি আপনার বগলে প্রচুর গন্ধ তৈরি করবে। সেইসঙ্গে চুলকানি এবং প্রদাহের দিকে নিয়ে যাবে। প্রতিদিন সাবান এবং পানি দিয়ে বগল পরিষ্কার করলে তা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলবে এবং এর বৃদ্ধি রোধ করবে। এতে ত্বকের সমস্যার ঝুঁকি কমবে এবং শরীর থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।

উরুসন্ধি –

 এমনকি যদি আপনি প্রতিদিন গোসল না করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেও আপনাকে উরুসন্ধি বা কুঁচকির এলাকা পরিষ্কার করতে হবে। সেইসঙ্গে প্রতিদিন অন্তর্বাস পরিবর্তন করতে হবে। যৌনাঙ্গের চারপাশে চামড়ার ভাঁজ এবং অবাঞ্ছিত লোম লাখ লাখ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়কেন্দ্র হতে পারে। যা সংক্রমণ এবং দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। এটি আপনাকে গুরুতর রোগের ঝুঁকিতেও ফেলতে পারে। হালকা গরম পানি এবং সাবান দিয়ে উরুসন্ধি পরিষ্কার করুন। এতে সংবেদনশীল ত্বক নরম এবং ঘামমুক্ত থাকে।

পায়ের পাতা –

 পা শরীরের সবচেয়ে উপেক্ষিত অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি, বিশেষ করে যখন স্বাস্থ্যবিধির প্রসঙ্গ আসে। বেশিরভাগ মানুষই পা ভালো করে না ধুয়ে গোসল শেষ করে নেয়। কিন্তু আপনার পায়ের দিকে বেশি মনোযোগ প্রয়োজন। এটি এমন একটি সাধারণ স্থান যেখানে আপনার ঘাম জমে, বিশেষ করে আপনি যদি সারাদিন মোজা পরে থাকেন। পা পরিষ্কারের পাশাপাশি প্রতিদিন মোজাও পরিষ্কার করুন। এতে গন্ধ রোধ করা সহজ হবে।

শরীরের অন্য যেসব অংশ পরিষ্কার করতে হবে –

 আমরা যখন গোসল করতে যাই, তখন শরীরের প্রতিটি অংশে সাবান লাগানোর চেষ্টা করি এবং এটি ভালোভাবে স্ক্রাব করি। কিন্তু শরীরের কিছু অংশের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন এবং গোসল করার সময় সেগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে। বগল, কুঁচকি এবং পা ছাড়াও শরীরের কিছু অংশ রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়স্থল হিসাবে বিবেচিত হয়। যেমন: নখের নিচে, কানের পেছনে, নাভি এবং ঘাড়ের পেছনের অংশ। তাই শরীর এসব অংশ পরিষ্কারের প্রতিও মনোযোগী হোন।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২

কিভাবে বুঝবেন আপনার সম্পর্ক ভাঙার সময় এসে গিয়েছ ?.


কিভাবে বুঝবেন আপনার সম্পর্ক ভাঙার সময় এসে গিয়েছ ?.

 
  দুজন মানুষ ভালোবেসে একে অপরের কাছাকাছি আসেন। ভালোবাসার সম্পর্কে যেমন সুখ আছে, তেমনই আছে বিচ্ছেদের কষ্টও। ভালোবাসলে ভালোবাসার মানুষটিকে যেমন বলতে হয় সে কথা, তেমনই কোনো সম্পর্ক কখন আর ভালোবাসার নেই তাও বুঝতে হয়।

 অনেক সম্পর্কেই তিক্ততা চলে আসে। এই রকম পরিস্থিতিতে সম্পর্কটা টেনে হিঁচড়ে আর না আগানোই ভালো। এতে দুজন আলাদা হয়েও সুখে থাকা সম্ভব। যদিও ভালোবাসলে কেউ কেউ খুঁজে পান না ইতি রেখাটি। তাই কীভাবে বুঝবেন এই সম্পর্ক থেকে কখন বেরিয়ে যাওয়াই এক মাত্র পথ? চলুন জেনে নেয়া যাক-

 1.যদি কেউ কোনো সম্পর্কে থাকাকালীন মানসিক বা শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন, দ্বিতীয় বার না ভেবে বেরিয়ে আসুন। পুরুষ হন বা নারী, সঙ্গী যদি কোনো ভাবে মৌখিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক বা মানসিক নিগ্রহ করেন তবে অবিলম্বে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে সাহায্য নিন বিশেষজ্ঞদের।

 2.যদি দেখেন সম্পর্ক ধরে রাখতে নিজের মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে হচ্ছে, তবে সেই সম্পর্কের থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। মূল্যবোধের সঙ্গে আপস করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আদপে নিজের কাছে প্রতিনিয়ত মিথ্যে কথা বলে চলার সামিল।

 3.যৌনতা বা যৌন মিলন হয়তো সব সম্পর্কে থাকে না। কিন্তু যারা আগে নিয়মিত মিলিত হয়েছেন তারা যদি উপলব্ধি করেন যে সঙ্গীর প্রতি আর কোনো রকম যৌ’ন আকর্ষণ বোধ করছেন না বা ঘনিষ্ঠ হতে ইচ্ছেই করছে না দিনের পর দিন, তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্ক একেবারেই সঠিক জায়গায় নেই। আর এই শীতলতা যদি মানসিক সমস্যার কারণে এসে থাকে তাহলে নিতে হবে মনোবিদের পরামর্শ।

 4.ভালোবাসার ঠিক বিপরীত হলো নিরুত্তাপ থাকা। যদি সঙ্গীর ভালো-মন্দের ওঠা নামা বা দৈনন্দিন যাপন আপনার মনে কোনো রকম দাগ না কাটে তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কের কোথাও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমনও হতে পারে আপনি যে কথাগুলো বলতে চাইছেন, শুনতে চাইছেন তা আপনার সঙ্গী কিছুতেই আর বুঝতে পারছেন না। যদি উল্টোটাও সত্যি হয়, তা হলে বুঝতে হবে বিচ্ছেদের সময় হয়তো এসে গিয়েছে।

 5.এত কিছুর পরেও শেষ কথাটি হলো ভালোবাসা। মানুষ আর যাই বুঝুক না বুঝুক, ভালবাসার অনুভূতি আছে না নেই তা স্পষ্ট বুঝতে পারে। যদি দু’জনের কারো মধ্যে এই ভালোবাসা না থাকার অনুভূতি এসে থাকে, তাহলে সেই সম্পর্ক রাখারও বিশেষ মানে থাকে না। তবে মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি সম্পর্ক আলাদা। স্বতন্ত্র তার সমীকরণও। কাজেই এক সঙ্গে থাকা এবং না থাকা দুটি সিদ্ধান্তই নিন নিজের ও সঙ্গীর ভালো থাকার কথা ভেবেই।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২

কম বয়সে ব্রা পড়লে মেয়েদের সাধারণত কি কি ক্ষতি হয় ?.


কম বয়সে ব্রা পড়লে মেয়েদের সাধারণত কি কি ক্ষতি হয় ?. 

ব্রা বা বক্ষবন্ধনী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের সঠিক মাপ (Shape) জেনে নিন। ভুল মাপের (Shape) ব্রা পরিধানে সারাদিন অস্বস্থি অনুভূত হতে পারে। তাই ব্রা কেনা এবং ব্যবহারের ব্যপারে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। সুন্দর, উঁচু ও ভরাট বক্ষের অধিকারী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন প্রায় সব নারীই। নইলে যেন নারীত্বে কোথাও খামতি রয়ে যায়। যদিও এর পক্ষে বিপক্ষে তর্ক চলবেই।

  বিশ্বের কোটি কোটি নারী তাদের শরীরকে আরো আকর্ষণীয় দেখাতে যে বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করেন। তার পেটেন্ট নথিভুক্ত করা হয় আজ থেকে ১০০ বছর আগে। ১৯১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। ব্রা এর উদ্ভাবক হলেন মেরি ফেল্পস জ্যাকব।

 সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রা এর চেহারা, সাইজ, রং, ডিজাইন অনেক কিছুই বদলে গেছে। একঝলকে জেনে নিন বক্ষের যত্ন নিতে ঠিক কেমন ব্রা ব্যবহার করা উচিৎ। কত বছর বয়স থেকে মেয়েদের ব্রা পরা উচিত।

 মোটামুটি ভাবে মেয়েদের বয়ঃসন্ধি এগারো বা বারো বছর বয়স থেকেই শুরু হয়। তার খানিক আগে থেকেই তাদের শরীরের বৃদ্ধি হতে শুরু করে। স্তন সুগঠিত হতে শুরু করে। স্তন গঠিত হতে শুরু করেছে কিনা তা আপনি বুঝতে পারবেন যখন বক্ষদেশ আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করবে। স্তনবৃন্ত সুগঠিত হতে শুরু করবে।

  এই সময়ে বুকের ওই অংশে বেশ ব্যথা অনুভূত হয়। এই সময়ে মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবেই রাস্তায় বেরোলে আচমকাই বেশী লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকে যা তাদের নিজেদের কাছেও অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। স্তন সম্পর্কে মেয়েরা এইসময় থেকেই সচেতন হতে শুরু করে।

 এরকম অবস্থায় তাদের বক্ষবন্ধনী কিনে দেওয়া উচিত। তবে সব মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি এক রকম হয় না। হয়ত দেখবেন কোনো কোনো মেয়েকে এগারো বছর বয়স থেকেই বক্ষবন্ধনী পরতে হয়, তার শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধির কারণেই।

  আবার হয়ত দেখবেন কোনো কোনো মেয়ে প্রথম বক্ষবন্ধনী পরতে শুরু করে প্রায় চোদ্দ বছর বয়সে এসে। শারীরিক গঠন প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার। তাই যার যখন প্রয়োজন তার তখনই বক্ষবন্ধনী পরা উচিত। বন্ধুরা পড়ছে অথচ আমি পড়ছি না এই নিয়ে অযথা চিন্তা না করাই ভালো।

 ব্রা এর মাপ নির্ধারণ করবেণ যেভাবে -

ব্রা নারীদের বহুল ব্যবহৃত অন্তর্বাস। কিন্তু বক্ষবন্ধনী এর মাপ (Shape) নির্ধারণে অনেকেই ভুল করে থাকেন। যেহেতু ভুল মাপের বক্ষবন্ধনী নারীদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে তাই বক্ষবন্ধনীর সঠিক মাপ (Shape) নির্ধারণে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। জেনে নিন কীভাবে ব্রা এর সঠিক মাপটি নির্ধারণ করবেন।

 ব্যাণ্ডের সাইজের মাপ (Shape) নির্ধারণ – নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন, ফুসফুস থেকে সমস্ত বাতাস বের করে দিন। এবার মেঝের সাথে সমান্তরাল করে বুকের চারদিকে ফিতা দিয়ে বক্ষোদেশের নিচে অর্থাৎ যেখানে ব্রা শেষ হয়ে গেছে, সেখানে মেপে নিন। দশমিক সংখ্যা এলে তার কাছাকাছি পূর্ণ সংখ্যা ধরবেন। যেমন, ২৮.৫ ইঞ্চি বা এর কম হলে ২৮ ইঞ্চি ধরবেন। ২৮.৬ ইঞ্চি বা এর বেশি হলে ২৯ ধরবেন। সংখ্যাটা জোড় হলে, তার সাথে ৪ যোগ করবেন। সংখ্যাটা বিজোড় হলে, তার সাথে ৫ যোগ করবেন।

  কাপের সাইজের মাপ (Shape) নির্ধারণ – সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে, হাত দুদিকে ছেড়ে দিয়ে, ব্রার উপরে যেখানে সর্বোচ্চ উঁচু, সেখানের মাপ নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে মাপার সময় ফিটা মেঝের সমান্তরাল থাকে, কোথাও উঁচু-নিচু যেন না হয়। দশমিক সংখ্যা এলে তার কাছাকাছি পূর্ণ সংখ্যা ধরবেন। যেমন, ৩৪.৫ ইঞ্চি বা এর কম হলে ৩৪ ইঞ্চি ধরবেন। ৩৪.৬ ইঞ্চি বা এর বেশি হলে ৩৫ ধরবেন।

  ব্রার সাইজের মাপ (Shape) নির্ধারণ – কাপের সাইজের মাপ থেকে ব্যাণ্ডের সাইজের মাপ (Shape) বিয়োগ দিন। এই সংখ্যাটা দিয়েই পেয়ে যাবেন কাপের সাইজ। এছাড়া বক্ষবন্ধনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্য কারও সহযোগিতা নিতে পারেন। বেশী টাইট বক্ষবন্ধনী আপনার স্তনের (Breast) জন্য ক্ষতিকর।

  ব্রা কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন -

বক্ষকে বেঁধে রাখতে বাজারে অনেক রকমের বক্ষবন্ধনী পাওয়া যায়৷ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো শুধু মিষ্টি রং, সুন্দর ডিজাইন আর কম দাম দেখে নয়, স্বাস্থ্যের জন্য সেটা কতটা উপযোগী অর্থাৎ কাপড়ের মানও দেখা প্রয়োজন। তাছাড়া কিছু বক্ষবন্ধনীতে স্তনের (Breast) আকার আরও সুন্দর করতে ব্রার কিনারায় গোল করে স্টিল বা ধাতব পাত লাগানো হয়। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতি বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে কী না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। বক্ষবন্ধনী কেনার সময় দেখে নিন সেই হুক লাগানোর অনেক গুলো ঘর আছে কিনা।

 যে বক্ষবন্ধনী গুলিতে হুক লাগানোর জন্য একাধিক ঘর আছে সেগুলো কেনাই ভালো। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের স্তনযুগল (Breast) অনেক বড়, তারা এক-দুই সাইজ ছোট বা খুব আঁটসাঁট বক্ষবন্ধনী পরেন, যা একদমই ঠিক নয়। কারণ এটা দেখতে যেমন ভালো লাগে না, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর৷ তাছাড়া বেশি আঁটসাঁট বক্ষবন্ধনী পরলে শ্বাসকষ্টও হয় অনেকের। তাই বেশি বড় বা বেশি ছোট কোনটাই ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বেশি টাইট বক্ষবন্ধনী স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যান্সার হতে নিজেকে দূরে রাখার জন্য সঠিক মাপের (Shape) বক্ষবন্ধনী পরিধান জরুরি। তাই আন্দাজে বক্ষবন্ধনী কিনতে যাবেন না।

 একসঙ্গে একাধিক বক্ষবন্ধনী কিনুন। ব্রা ভালো রাখতে হলে এবং সঠিক মাপে (Shape) রেখে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হলে একই বক্ষবন্ধনী সপ্তাহে দুদিনের বেশি পরবেন না। সম্ভব হলে একদিনই পরুন। ইলাস্টিককে কয়েকদিন বিশ্রাম দিলে এর ইলাস্টিসিটি আবার আগের মত হয়ে যায় কিছুটা। তাই বক্ষবন্ধনী কেনার সময় এক সঙ্গে একাধিক কিনুন, যেন বদলে বদলে পরা যায়।

 ব্রা সাধারণত অনেক ধরণের হয়, শুধু সুন্দর পোশাক পরলেই হবে না, অন্তর্বাসও সুন্দর হতে হবে, আরামের হতে হবে। দামি ফেব্রিকের, সুন্দর ডিজাইনের ব্রা পরলে একটা অন্য রকম তৃপ্তি আসে শরীর-মনে। আর এটাই সারাদিনের জন্য মেয়েদের মুড তৈরি করে দেয়। শুধুমাত্র বাইরে বেরলেই যে সুন্দর অন্তর্বাস পরবেন, তা নয়। শারীরিক জীবন অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে নানা ধরনের বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা বক্ষবন্ধনী। তাহলে দেখে নিন -

টি-শার্ট ব্রা – এই ধরনের ব্রা হল বেসিক ব্রা, যা পরা যায় যে কোনও জামা-কাপড়ের ভিতরে। বলা যেতে পারে এটাই মেয়েদের অফিসিয়াল বক্ষবন্ধনী। এই ধরনের ব্রা-এর বিশেষত্ব হল— জামা-কাপড়ের উপর থেকে স্ট্র্যাপ বা লোয়ার ব্যান্ড খুব একটা বেশি বোঝা যায় না। অফিসে বা কলেজে তা কাম্যও নয়। ভাল ব্র্যান্ডের টি-শার্ট বক্ষবন্ধনী সারাদিন পরে থাকলেও কষ্ট হয় না। কালো, স্কিন এবং সাদা—এই তিন রঙের টি-শার্ট বক্ষবন্ধনী কিনে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে ইচ্ছে করলে পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়েও কিনতে পারেন।

প্যাডেড ব্রা – এই ধরনের বক্ষবন্ধনী হল পার্টি বা ডেটিংয়ের জন্য ঠিকঠাক। যে কোনও লো-নেক ড্রেস বা লো-নেক ব্লাউজের নীচে পুশ-আপ ব্রা পরলে সুন্দর লাগবে ক্লিভেজ। প্যাডেড হলে স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বড় মনে হবে ব্রেস্ট। হালকা প্যাডিং থাকাই ভাল। না হলে অস্বাভাবিক লাগতে পারে।

শারীরিক সেট – এই লঁজারি একেবারেই ব্যক্তিগত সময়ের জন্য। সঙ্গীকে ছুঁয়ে যদি বিছানায় অন্য হতে চান, তবে ওয়ার্ডরোবে একটি শারীরিক সেট রাখতেই হবে। বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা ব্রা এবং প্যান্টির সেটই হল শারীরিক সেট। সচরাচর স্বচ্ছ লেস দিয়ে তৈরি হয় এই বিশেষ লঁজারি, সিল্কেরও হতে পারে।

স্পোর্টস ব্রা – জিম, জগিং, খেলাধূলা বা যোগ ব্যায়াম (Exercise) করার সময় অবশ্যই পরতে হবে এই বিশেষ ব্রা। অনেকে কাজের জায়গাতেও পরেন এই ধরনের বক্ষবন্ধনী। কী ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তার উপর নির্ভর করছে। তবে বিশেষ প্রয়োজন না পড়লে সারাদিন এই ব্রা পরে থাকার কোনও মানে হয় না।

স্টকিংস – যাঁরা ড্রেস পরেন, তাঁদের তো অবশ্যই রাখতে হবে কয়েক জোড়া স্টকিংস। স্কিন, কালো এবং সাদা—এই তিন রঙের স্টকিংস রাখতে তো হবেই, তা ছাড়া ব্যক্তিগত সময়ের জন্য কিনতেই পারেন ফিশনেট। তবে আপনার সঙ্গী সেটা পছন্দ করবেন কি না, সেটা বুঝে তবেই কিনবেন।

বেবিডল – বেবিডলে ভীষণ আকর্ষণীয় লাগে মেয়েদের। বিভিন্ন ধরনের বেবিডল পাওয়া যায় আজকাল। কোনওটা বেশি শারীরিক মিলন, তো কোনওটা সারাদিন পরে থাকার পক্ষে বেশ আরামদায়ক। 

করসেট – করসেট এক সময়ে সব মেয়েরাই পরত। কিন্তু পরবর্তীকালে টু-পিস ব্রা-প্যান্টিই বেশি জনপ্রিয় হয় মেয়েদের মধ্যে। কারণ, পুরনো করসেটগুলির মধ্যে একটা দম বন্ধ করা ব্যাপার থাকত। তবে এখনকার দামি ব্র্যান্ডের করসেট যথেষ্ট আরামদায়ক। তাছাড়া শরীরকে সুন্দর ভাবে শেপ-আপ করে দেয় করসেট। ড্রেস বা ফিটেড সালোয়ার-কামিজের নীচে করসেট পরলে ভাল লাগে।

ক্যামিসোল – বিদেশে ব্রা-এর পরিবর্তে শুধুই ক্যামিসোল পরার চল রয়েছে। আমাদের সমাজে মেয়েদের অনেক বুঝেশুনে চলতে হয়। তাই ওটা সম্ভব না। সবচেয়ে ভাল, বাড়িতে ক্যামিসোল পরা। এতে পোশাকের নীচে একটা আরামদায়ক সার্পোটও পাওয়া যায়, আবার একবারেই অগোছালো না-থেকে একটু ফিটফাট লাগে।

 ব্রা পড়লে কি স্তন ক্যান্সার (Cancer) হয়। সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকলে স্তন (Breast) ক্যান্সার (Cancer) হয়, এমন কোন নিশ্চিত প্রমাণ এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের কাছে নেই। আবার স্তন (Breast) ক্যান্সার (Cancer) যে হয়ই না, সেটাও গ্যারান্টি দিয়ে বলা যাবে না। কিন্তু হ্যাঁ, সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার আরও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। যেমন, একই ব্রা সারাদিন পরে থাকায় স্তনে (Breast) র্যাশ বা ত্বকের নানান রকম অসুখ হতে পারে। সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার ফলে ঘাম হয়, ফলে নানান রকম ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। ব্রায়ের ফিতায় কাঁধ ও পিঠে ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ (Harmful) হতে পারে, কাঁধ বা পিঠে এবং বুকে ব্যথা হতে পারে টাইট বক্ষবন্ধনী এর কারণে।

 কাপের নিচে কাঠি বসানো বক্ষবন্ধনী কিংবা পুশ আপ বক্ষবন্ধনী সারাক্ষণ পরে থাকলে স্তনে (Breast) অস্থায়ী লাম্প দেখা দিতে পারে। এই লাম্পগুলো থেকে যে অন্য অসুখ হবেই না, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই কিছু ক্ষেত্রে সারাক্ষণ বক্ষবন্ধনী পরার কোন প্রয়োজন নেই।

  আপনার কাপ সাইজ যদি কম হয়ে থাকে, অর্থাৎ স্তন যদি আকারে ছোট হয়ে থাকে তাহলে বক্ষবন্ধনী পরার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আপনার ব্রায়ের কাপ সাইজ হয়ে থাকে ডি বা ডি এর বেশী, অর্থাৎ যদি স্তন (Breast) আকারে বড় হয়ে থাকে তাহলে বক্ষবন্ধনী পরা আপনার জন্য ভালো। এতে স্তন (Breast) শেপ হারানোর সম্ভাবনা কমবে এবং আপনি নানান রকমের অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে পরিত্রান পাবেন।

  ঘুমানোর আগে ব্রা খুলে নিন। ব্রা পরে ঘুমানো উচিত নাকি অনুচিত তা নিয়ে অনেকের মনেই দ্বিধা রয়েছে। অনেকে ধারণা করেন বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমালে স্বাস্থ্যের ক্ষতি (Harmful) হয়। কিন্তু কী ক্ষতি (Harmful) হয় সেটা আমরা অনেকেই জানি না৷ বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমোলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি বাড়ে৷ তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ব্রা পরে ঘুমানোর কিছু ক্ষতিকর (Harmful) দিক সম্পর্কে।

▪রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় – রাতে ঘুমানোর সময়ে ব্রা পরার অভ্যাস থাকলে ঘুমের মধ্যে আপনার রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে অতিরিক্ত টাইট ইলাস্টিক থাকলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি (Harmful) হয়৷

▪ত্বকে দাগ বসে যায় – বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমালে ত্বকে ধীরে ধীরে ইলাস্টিকের দাগ বসে যেতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত টাইট ইলাস্টিক হলে দাগ পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই রাতে ঘুমানোর সময়ে ব্রা না পরাই ভালো

▪ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে – অতিরিক্ত টাইট বক্ষবন্ধনী পরলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। এতে অস্বস্তিবোধ হবে এবং রাতে আপনার গভীর ঘুম হবে না। ফলে সারাদিন ক্লান্তি অনুভূত হবে।

▪ত্বক চুলকাতে পারে – টাইট ফিটিং বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমালে রাতে ত্বকে চুলকানি অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে সুতি কাপড়ের বক্ষবন্ধনী না হলে এই সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যারা রাতে একেবারেই ব্রা ছাড়া ঘুমাতে পারেন না তাদেরকে ডাক্তাররা স্পোর্টস ব্রা পরে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। স্পোর্টস ব্রা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি (Harmful) করে না।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২

সংসারের খরচ কমানোর ১৫ উপায় কি কি ?.


সংসারের খরচ কমানোর ১৫ উপায় কি কি ?.
   দৈনন্দিন জীবনে চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই। কিছুতেই রাশ টেনে ধরা যাচ্ছে না সংসারের খরচের। আয়ের তুলনায় ব্যয়ের মিল নেই। তাই মাস শেষে ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই আপনি আপনার প্রতি মাসের খরচ যেমন কমিয়ে আনতে পারেন, তেমনি পারেন সেই টাকা থেকে কিছুটা আপনার ভবিষ্যতের জন্যে সঞ্চয় করতে। কিভাবে সংসারের খরচ কমানো যায় তাই আজ পাঠকদের জন্য তেমনই ১৫টি টিপস নিচে তুলে ধরা হলো।
১) ঋণ শোধ করুনঃ -

 মাসের শুরুতে বেতন পেয়েই সবার আগে আপনার ঋণ শোধ করতে চেষ্টা করুন। পুরোটা না পারলেও যতটা সম্ভব করুন। ঋণ শোধ না করে সঞ্চয়ের পথে পা ভুলেও বাড়াতে যাবেন না।

২) প্রতিদিন কিছু না কিছু জমানঃ -

 প্রতিদিনই চেষ্টা করুন কিছু না কিছু টাকা জমাতে। হতে পারে সেটা ১০-১০০ টাকা। যাই হোক না কেন জমান। এবং সেটার কথা ভুলে যান। ভুলেও সেটায় হাত দেবেন না।

৩) সন্তানকে সঞ্চয় করতে শেখানঃ-

 সন্তানকে ছোট্ট একটা ব্যাঙ্ক কিনে দিন। মাটির বা প্লাস্টিকের। খুব রঙ্গিন বা আকর্ষনীয় পুতুল আকারের ব্যাঙ্ক কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলোর একটা কিনুন ও তাকে টাকা জমাতে সাহায্য করুন।
৪) কিছু কেনার আগে ভাবুনঃ -

আমাদের অনেকেরই অভ্যাস হল রাস্তায় যেতে যেতে কোন দোকানে কিছু পছন্দ হলে হুট করে কিনে ফেলা। এটা করার ফলে বেশীরভাগ সময়েই আমরা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে ঘর বোঝাই করে ফেলি। জিনিস পছন্দ হয়ে গেলেই হুট করে কিনে না ফেলে একটু ভেবে নিন। দরকার হলে ১/২ দিন পরে কিনুন।

৫) শপিং এ যাবার আগে লিস্ট করুনঃ -

 শপিং এ যাবার আগে লিস্ট করুন। জামা কাপড় কেনার আগে দেখে নিন আপনার কি কি আছে এবং কি কি আসলেই কেনা প্রয়োজন।

৬) লক্ষ্য ঠিক করুনঃ -

 ভবিষ্যতে আপনার বিগ বাজেটের কি কি কিনতে হবে সেটার একটা তালিকা করে সময়সীমাও নির্ধারণ করুন। যেমন, ৫ বছর পর ফ্ল্যাট, ১ বছর পর টিভি আর এক মাস পর ওভেন। এভাবে ঠিক করে কত টাকা করে জমালে এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব, সেটি খেয়াল রাখুন ও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।
৭) বাজেট করুনঃ -

 একটি বাজেট করুণ এক বছরের। পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসুন। সবার মতামত নিন। এতে পরবর্তীতে জটিলতা তৈরি হবে না। প্রয়োজনীয় চাহিদার পাশাপাশি অবশ্যই রাখবেন সঞ্চয়ের খাত আর সেই সাথে জরুরী প্রয়োজনের জন্যে আলাদা একটা বরাদ্দ রাখুন। বছর শেষে ওই টাকাটা বেঁচে গেলে সেটি পাঠিয়ে দিন সেভিংসে।

8) খরচের হিসেব রাখুনঃ -

 প্রতিদিন কোথায় কত খরচ হল তার হিসেব একটা খাতায় লিখে রাখুন। মাস শেষে সেটি নিয়ে বসুন। এবার দেখুন কোন কোন খাতে খরচ বেশী হয়েছে এবং সেগুলো একটু চেষ্টা করলেই কমানো সম্ভব কিনা!

৯) বাইরে খাওয়ার প্রবণতা কমানঃ -

 শহর জীবনে বাইরে খাওয়ার প্রবণতা আমাদের অনেকের মাঝেই লক্ষ্য করা যায়। এলাকায় নতুন রেস্তোরাঁ চালু হয়েছে বলেই যে সেখানে সবাই মিলে খেতে যেতে হবে এমন প্রবণতা কমিয়ে আনা দরকার। প্রতি সপ্তাহে বাইরে খাবার অভ্যাসটা কমিয়ে মাসে একবারে নিয়ে আসুন। মাস শেষে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন দেখে, কি পরিমান টাকা আপনি বাঁচাতে পেরেছেন!
১০) ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমানঃ-

 ক্রেডিট কার্ডটা যতটা সম্ভব বাসায়ই ভুল করে রেখে শপিং এ যান। ক্যাশ ব্যবহার করুন। এতে চাইলেও আপনি যথেচ্ছ টাকা খরচ করতে পারবেন না। দেখবেন এভাবে আপনার অনেক টাকা বেঁচে গেছে।

১১) ব্র্যান্ডিং প্রবণতা ত্যাগ করুনঃ -

 বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পড়ে অযথা ব্র্যান্ডিং প্রবণতায় ভুগবেন না। আপনাকে ভালো মানায় এমন পোশাক বা এক্সেসরিজ ব্যবহার করুন। এভাবেও কিন্তু আপনি ট্রেন্ডি হয়ে উঠতে পারেন। অযথা দাম দিয়ে ব্র্যান্ড এর পোশাক সব সময় পরার চেয়ে কিছু ব্র্যান্ডেড পোশাক কিনে রাখুন বিশেষ উপলক্ষে পরার জন্যে। এতে আপনার অর্থ ও স্ট্যাটাস দুটোই রক্ষা পাবে।

১২) সেভিংস স্কীম খুলুনঃ-

  ব্যাঙ্কে সেভিংস স্কীম অবশ্যই খুলে ফেলুন। মাসিক হারে যতটুকুই সম্ভব যেটা আপনি কোন রকম চাপ না নিয়ে জমাতে পারবেন এরকম হারে ৩-১০ বছর মেয়াদী সেভিংস একাউন্ট খুলুন। এতে আপনি কয়েক বছর পরে ভালো অংকের একটা টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন।
১৩) ইনস্যুরেন্স করুনঃ -

 একটা ভালো কোম্পানিতে ইনস্যুরেন্স করে রাখুন। এতে কোন অনাকাঙ্কখিত দুর্ঘটনায় আপনার অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলা করতে পারবেন সহজেই। আর সেই সাথে টাকাটা তো জমলই!

১৪) ছাড়ের সময় পণ্য কিনুনঃ -

 অলংকার বা অন্যান্য পণ্যের দামে বছরের বিশেষ কিছু সময়ে ছাড় দেয়া হয়। চেষ্টা করুন সে সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে পণ্যটি কেনার। এতে আপনার বেশ কিছু টাকা বেঁচে যাবে।

১৫) ঘরের জল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করুনঃ -

 দরকার না হলে ঘরের জলেরর ট্যাপ, চুলা ও ইলেক্ট্রনিক জিনিসপত্রের লাইন অফ করে রাখুন। বিল কম আসবে। ইলেক্ট্রিসিটি না থাকলে মোমের বদলে চার্জার লাইট ব্যবহার করুন। মোমের গলে যাওয়া অংশগুলো জমিয়ে রাখতে পারেন। গলিয়ে মাঝখানে সুতো দিয়ে আবার মোম বানাতে পারবেন। প্রথমবারের চেষ্টায় খরচ আশানুরূপ কমাতে না পারলে হাল ছেড়ে দেবেন না যেন।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০২২

দাঁতে ব্যথা দূর করার সহজ ৫টি উপায় কি কি ?.


দাঁতে ব্যথা দূর করার সহজ ৫টি উপায় কি কি ?.

আপনি যদি কখনো দাঁতের ব্যথায় ভুগে থাকেন, তবে নিশ্চয়ই জানেন এটি কতটা তীব্র হতে পারে! দাঁতে ব্যথা সব সময় জানান দিয়ে আসে না। কখনো কখনো সহ্যের সীমাও অতিক্রম করে যেতে পারে। দাঁতে ব্যথা সারানোর জন্য দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। তবে তার আগে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে দেখতে পারেন। দাঁতে ব্যথা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-

১) লবণ জল -

দাঁত ব্যথার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার একটি হলে লবণ-জল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা। লবণাক্ত জল প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। এটি দাঁতের মধ্যে আটকে থাকা খাদ্যকণা বের করতে সহায়তা করে। লবণ জল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে তা প্রদাহ কমাতে এব মুখের যেকোনো ক্ষত সারতে সহায়তা করে। একগ্লাস গরম জলেতে ১/২ চা চামচ লবণ মিশিয়ে মাউথওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করুন।

২) হাইড্রোজেন পারক্সাইড -

হাইড্রোজেন পারক্সাইড জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাথে ধুয়ে ফেললে ব্যথা এবং প্রদাহ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এটি ব্যাকটেরিয়া হত্যা করে, দাঁতের ক্ষয় হ্রাস করে এবং মাড়ির রক্তপাত নিরাময় করে।হাইড্রোজেন পারক্সাইড পাতলা করতে ভুলবেন না। জলর সাথে ৩ শতাংশ হাইড্রোজেন পারক্সাইড মেশান এবং এটি মাউথওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন, এটি যেন কোনোভাবেই গিলে না ফেলেন।

৩) পিপারমিন্ট টি ব্যাগ -

তুলসি পাতা সংবেদনশীল মাড়ির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। একটি ব্যবহৃত পিপারমিন্ট টি ব্যাগ নিন এবং এটি ঠান্ডা হতে দিন। এই টি ব্যাগটি আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন। টি ব্যাগটি কিছুটা গরম থাকা অবস্থায়ও ব্যবহার করতে পারেন। আবার টি ব্যাগটি ফ্রিজে রেখে বরফ ঠান্ডা করেও নিতে পারেন।

৪) রসুন -

রসুন বহুকাল ধরে বিভিন্ন সমস্যার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। রসুন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে যা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। রসুনের একটি কোয়া নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ক্ষতিগ্রস্থ জায়গায় প্রয়োগ করুন। এর সঙ্গে লবণও যোগ করতে পারেন।

৫) লবঙ্গ -

যুগে যুগে দাঁত ব্যথার চিকিৎসার জন্য লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ তেল কার্যকরীভাবে ব্যথা দূর করতে পারে এবং প্রদাহ হ্রাস করতে পারে। তেলটিতে ইউজেনল রয়েছে যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। আপনি একটি তুলোর মাধ্যমে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল লাগিয়ে আক্রান্ত জায়গায় প্রয়োগ করতে পারেন। ব্যবহারের আগে লবঙ্গ তেলের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে পাতলা করে নিন। জলর সঙ্গে দু’-এক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়েও মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে মানুষ কী কী চিন্তা করে ?.


মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে মানুষ কী চিন্তা করে ?.

 মৃত্যুর আগের কিছু মুহূর্তে একজন মানুষের মস্তিষ্কে কী চলে? অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই এই প্রশ্নের জবাব খুঁজে পেলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। মৃত্যুর আগমুহূর্তে মানুষের মস্তিষ্ক তরঙ্গ রেকর্ড করেছেন গবেষকরা। এই আবিষ্কার নিয়ে কোনো ধরনের আগাম প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা ছিল না। 

  কানাডার ভ্যানকুভার জেনারেল হাসপাতালে একদল বিজ্ঞানী এক রোগীর ইলেক্ট্রোএনকেফ্যালোগ্রাফি টেস্ট চলাকালীন সময়ে অপ্রত্যাশিতভাবে রেকর্ডিং করেন যে, মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে মানুষ কী চিন্তা করে? মৃত্যুর আগে মানুষের মস্তিষ্কের এই কার্যক্রম প্রথমবারের মতো রেকর্ডিং করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা

  বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভ্যানকুভার জেনারেল হাসপাতালে মৃগীরোগে আক্রান্ত ৮৭ বছর বয়সী এক রোগীর মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিমাপ করছিলেন একদল বিজ্ঞানী। মস্তিষ্কের তরঙ্গ রেকর্ডিং চলাকালীন সময়ে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ওই রোগী। আর তার ফলেই মৃত্যুর সময় মস্তিষ্কে ঘটে চলা ঘটনাপ্রবাহ রেকর্ডিং হয়ে যায় ইলেক্ট্রোএনকেফ্যালোগ্রাফি (ইইজি) যন্ত্রে।

  রেকর্ডিং পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, এ সময়ে ধরা পড়া মস্তিষ্কের তরঙ্গ সংকেত অবিকল স্বপ্ন দেখা বা স্মৃতিচারণা করার সময়ে উৎপন্ন হওয়া তরঙ্গ সংকেতের মতো। যার মানে, মৃত্যুর মুহূর্তে অতীতের স্মৃতি ফিরে আসে মানুষের মনে।

 ‘ফ্রন্টিয়ারস ইন এজিং নিউরোসায়েন্স’- এ প্রকাশিত গবেষণায় মস্তিষ্কের এ ধরনের কার্যক্রমকে জীবনের ‘অন্তিম স্মৃতিচারণ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা।

  গবেষণার সহ-লেখক ড. আজমল জেমার বলেন, ‘অপ্রত্যাশিতভাবে পাওয়া এই রেকর্ডিং হলো মৃত্যুকালীন কোনো মানুষের মৃস্তিষ্কের প্রথম রেকর্ডিং। এটা আসলে ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেছি আমরা। এ ধরনের গবেষণা করার বা মস্তিষ্কের এই সিগন্যাল রেকর্ড করার পরিকল্পনা আমাদের ছিল না।’

  তার মানে কি জীবনের শেষ সময়টায় আমরা প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানো, সুন্দর স্মৃতিগুলো এক ঝলক দেখতে পাবো? ড. জেমারের মতে, এখনই তা বলে দেওয়া সম্ভব নয়। হতে পারে মস্তিষ্ক সম্ভবত খারাপ স্মৃতির চাইতে ভালো স্মৃতিই মনে করিয়ে দিতে চাইবে। কিন্তু ব্যক্তিভেদে স্মৃতিচারণের ধরন আলাদা হয়।

 ডা. জেমার আরও জানান, মৃত্যুর ৩০ সেকেন্ড আগে ওই রোগীর হৃদযন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্বপ্ন দেখা বা স্মৃতিচারণের সময় আমাদের মস্তিষ্ক যে প্যাটার্নে কাজ করে, ওই মুহূর্তে ওই রোগীর মস্তিষ্কের তরঙ্গও সেই একই প্যাটার্ন অনুসরণ করেছে। রোগীর হৃদস্পন্দন বন্ধ হবার পরেও ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত এই অবস্থা চলমান ছিল।

 এদিকে নতুন এই গবেষণা নতুন একটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, তা হলো- মানুষের মৃত্যু আসলে কখন হয়? যখন হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় তখন? নাকি যখন মস্তিষ্কের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়?

 ডা. জেমারের মতে, মাত্র একটি গবেষণা থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব না। তাছাড়া ওই রোগী ছিলেন মৃগীরোগী; তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল যা বিষয়গুলোকে আরও জটিল করে তোলে।

  গবেষক দলটির প্রত্যাশা, তাদের প্রকাশিত গবেষণার হাত ধরে মানুষের জীবনের অন্তিম মুহূর্ত সম্পর্কে নতুন এক জ্ঞানের দ্বার উন্মোচিত হবে। ড. জেমার বলেন, ‘আমার মনে হয় মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ের যে অভিজ্ঞতা খুব রহস্যময় এবং আধ্যাত্মিক। আর এরকম চমকপ্রদ কিছু আবিষ্কার করাটা এমন একটা মুহূর্ত- যার জন্যই বিজ্ঞানীরা বেঁচে থাকেন।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


সন্তান নেয়ার আগে কোন 5টি বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া জরুরী ?.


সন্তান নেয়ার আগে কোন 5টি বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া জরুরী ?. 

  সন্তান গ্রহণ কোনো সহজ বিষয় নয়। এজন্য পিতামাতার আগে থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। সন্তান যেন পৃথিবীতে এসে বিপদের মুখোমুখি না হয়, সেজন্য আর্থিক বিষয়সহ নানা বিষয় নিশ্চিত হয়ে তবেই সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।১.  সন্তান গ্রহণ ব্যয়বহুল -

 মনে রাখতে হবে বর্তমান সময়ে সন্তান গ্রহণ ব্যয়বহুল। একজন সন্তান গ্রহণ মানেও বহু বাড়তি খরচের বোঝা। আর তাই সন্তান গ্রহণের আগে এ বাড়তি খরচের বিষয়টি সবারই মাথায় রাখা উচিত। সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে থেকেই শুরু হবে এ খরচের পালা। তারপর সন্তানের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত এ খরচ দিতে আপনি বাধ্য।

২. সন্তানের প্রথম বছরের বাজেট -

   সন্তান গ্রহণের আগেই প্রথম বছরের বাজেট সম্পর্কে ধারণা করে নেওয়া উচিত। আপনি যদি প্রথমবার সন্তান নিতে চান তাহলে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে খরচের বিস্তারিত জেনে নিন। সন্তান নেওয়ার আগেই আপনার বার্ষিক আয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। যদি আপনার আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হয় তাহলে ব্যয় কমানোর কিংবা আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন।

৩. দেখাশোনার ব্যবস্থা -

  সন্তান জন্মের প্রথম কয়েক বছর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করতে হয়। এ কারণে সন্তানের দেখাশোনার ব্যবস্থা আগেই ভেবে রাখতে হবে। পিতা কিংবা মাতার মধ্যে একজনকে সন্তানের সঙ্গে সব সময় বাসায় থাকা উচিত। সেটা সম্ভব না হলে পরিবারের কোনো জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বা টাকা খরচ করে কোনো বেবিসিটার নেওয়া যেতে পারে। আপনি যদি কর্মজীবী হন এবং সন্তান নিতে চান তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে কতোদিন ছুটি পাওয়া যাবে, সে সময় বেতন-ভাতা কেমন হবে, এসব বিষয় আগেই নিশ্চিত হয়ে নিন।

৪. জরুরি তহবিল গড়ুন -

  আপনার সন্তান থাকলে আগের তুলনায় দায়িত্ব অনেক বাড়বে। আর যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য একটা তহবিল তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসাজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতি বা শিক্ষা সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য এ তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ জরুরি তহবিলের আকার হতে পারে আপনার ছয় মাসের আয়ের সমান।

৫. সন্তানের শিক্ষা -

  আপনার সন্তান অশিক্ষিত হোক, তা নিশ্চয়ই চান না। শিক্ষা ক্রমে ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। আর তাই দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে সন্তানের শিক্ষার জন্য কোনো একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করে রাখা উচিত। এজন্য সামান্য করে টাকা জমানো শুরু করতে পারেন সন্তান জন্মের সময় থেকেই।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।