বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২

মানসিক টেনশন কমানোর ১৪টি উপায় কি কি ?.


মানসিক টেনশন কমানোর ১৪টি উপায় কি কি ?.
বাড়িতে ঝামেলা বা অফিসের কাজের চাপ,ব্যক্তিগত জীবনে টেনশন (Tension) তৈরি হয় এমন হাজারো কারণে । আর এই টেনশনের হাত ধরেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, হৃদরোগের মত সমস্যা হয়ে যায়। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে আমরা যখন মানসিক ভাবে ক্লান্ত বোধ করি তখন শারীরিক ক্লান্তিই আমাদের উপর বেশি আধিপত্য বিস্তার করে। আমরা যদি মানসিকভাবে অসুস্থ হই তাহলে শারীরিক ভাবেও আমরা সব সময় ক্লান্ত বোধ করি। টেনশন এবং স্ট্রেসের কারণে, যদি তারা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাহলে তারা রোগীকে হতাশার দিকে ঠেলে দিতে পারে। এ কারণেই তাদের সময় মতো চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ। টেনশন কাকে বলে - 
টেনশন হলো একটা মানসিক চাপ বা শারীরিক উত্তেজনা অনুভূতি। এটি যে কোনও ঘটনা বা চিন্তা থেকে আসতে পারে যা আপনাকে হতাশ, রাগান্বিত বা নার্ভাস করে তোলে। টেনশন হলো একরকম স্ট্রেস (stress) ইহা আপনার দেহের একটি প্রতিক্রিয়া। 

স্ট্রেস বা টেনশন কেন হয় - 
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে হাজারো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তার জন্য আমাদের মনের মধ্যে জন্ম নেয় স্ট্রেস এবং যার পরিণতি হলো টেনশন। কোরোনা মহামারীতে পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাই এই সকল মানুষের প্রতিদিনের রুজি রোজগার এর উপর একটা বিপুল চাপ সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলস্বরূপ জীবনে টেনশন। এছাড়াও অফিসের বিপুল পরিমানের কাজের চাপ,সেখানে ঝামেলাও এই টেনশন এর অন্যতম কারণ হয়ে অবস্থান করেছে আমাদের শরীরে।  
টেনশন দূর করার সহজ উপায় - 

 টেনশন দূর করার জন্য চিকিৎসকরা অনেক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদি একটু যুক্তি দিয়ে জীবনকে চালনা করা যায় তাহলে খুব সহজে টেনশন দূর করা যায়। এর পাশাপাশি যদি একটু সচেতন এবং মনের জোর রেখে এগোনো যাই তাহলে আরো ভালো হয়।

স্ট্রেস এবং টেনশন দূর করার উপায় - 
১. বর্তমান জীবনে অতিরিক্ত চাহিদা টেনশন এর একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নিজের চাহিদা কে নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী বাঁধা প্রয়োজন।

২. কোনো বিশেষ কিছু ঘটনা কে নিয়ে টেনশন হলে বেশি অস্থির হবেন না। যেকোনো সমস্যার গুরুত্ব সময়ের সাথে সাথে কমতে থাকে। কাজে এই ঘটনার গুরুত্বও কমে যাবে কিছুদিনের মধ্যে। 
৩. টেনশন এর সময় এমন মানুষের পশে থাকার চেষ্টা করবেন যে আপনাকে সাহস এবং শক্তি দিতে পারবে। 

৪. যতটা পারবেন চেষ্টা করবেন আপনার টেনশনকে কোনো কাছের মানুষের কাছে প্রকাশ করে নিজেকে হালকা করা। এটাও হতে পারে সেই মানুষটার থেকে আপনি ভালো কোনো সমস্যার সমাধান পেয়ে গেলেন।

৫. নিজের কাজ মন দিয়ে করে যান, ফলাফল সবসময় আশানুরূপ নাও হতে পারে। তাই নিয়ে অযথা ভেঙে পড়বেন না।
৬. কি পাননি তার হিসাব না করে কি পেয়েছেন বা ভবিষ্যৎ-এ কি পাবেন তার হিসাব করুন।

৭. নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না কোনও ভাবেই । কোনও খারাপ পরিস্থিতিকে বদলে ভাল করা যায় কি না সেটা নিয়ে ভাবুন, কিন্তু তা সম্ভব না হলে অকারণে সেই পরিস্থিতির পরিণতি নিয়ে ভাববেন না। জীবন জীবনের নিয়মেই এগোবে, তাই তা নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।

৮. মনের ভিতর কখনো রাগ পুষে রাখবেন না, কারণ রাগ থেকে কোনো ভালো চিন্তা আসেনা। তাই শেষে সেটা আপনারই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
৯. সমাজে প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের মানুষ অনেক আছে যারা কারণ-অকারণে অন্যের জীবনে ব্যঙ্গ–বিদ্রূপ করে অনেক আনন্দ পান। চেষ্টা করবেন তাদের থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকতে। ফলে অযথা টেনশন থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।

১০. ঘনিষ্ট সম্পর্ক্যে টেনশন থাকলে তাকে বেশি পুরানো হতে দেবেনা না , যত তাড়াতাড়ি পারবেন আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে। এতে অনেক মানুষিক শান্তি ফিরে আসবে।

১১. ঈর্ষা মানুষের জীবনে অনেক টেনশন নিয়ে আসে। তাই আপনার আসে পাশের মানুষ আপনার থেকে কি বেশি পেলো সেই নিয়ে না ভেবে আপনি নিজের কাজ, পড়াশোনা, সংসার নিয়ে ভাবুন। এতে আপনার জীবন অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।
১২. কোনো সম্পর্ক্য বা কোনো বিষয় যদি আপনার অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সেই বিষয় থেকে বা সম্পর্ক থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন বা এড়িয়ে চলুন। এতে আপনার টেনশন অনেক কমে যাবে।

১৩. মাঝে মাঝে কোথাও বন্ধু বা আপনজনের সাথে ঘুরে আসুন। দেখবেন এতে মনের দুশ্চিন্তা বা টেনশন অনেক হালকা হয়ে গেছে।

১৪. জীবনকে একটু সহজ ভাবে নিতে শিখুন তাতে টেনশন কমবে খুব সহজে।
 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মন ভাল রাখার সেরা ৮ টি উপায় কি কি?.


মন ভাল রাখার সেরা ৮ টি উপায় কি কি?.

কারণে অকারণে মন খারাপ হওয়া মনেরই ধর্ম। অনেকেরই থেকে থেকে কোনো কিছুতেই ভালো লাগে না। কেমন একটা মন খারাপ করা ভাব। এমন হলে খাওয়া দাওয়াতেও মন লাগে না। বাকি কাজ তো ছেড়েই দিন। কিন্তু এর পরিণতি যা হয় তা হল শরীর খারাপ। কিন্তু এটা তো চলতে দেওয়া যায় না। তাই হুট করে মন খারাপ লাগলে, হুট করে তা ঠিকও করে ফেলতে হবে। কী করে? তারই কয়েকটি উপায় বাতালানো যাক –

১। মন খুলে হাসুন -

মন ভালো রাখার সব চেয়ে সেরা ওষুধ হাসি। খুব মন খারাপ হলেও হাসি মন ঠিক করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসির সুফল সুদূরপ্রসারী। খালি মন না, শরীরকেও সুস্থ রাখে হাসি। এ ছাড়াও এটি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে।

২।  শরীরচর্চা করুন -

শরীরচর্চা অর্থাৎ ব্যায়ামও আপনার মন ভালো রাখতে পারে। শরীরচর্চার ফলে অ্যান্ডরফিন নামক হরমোন নির্গত হয়। এই হরমোন মন চাঙ্গা রাখে, ভালো রাখে। তা ছাড়া শরীরচর্চা উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদ কমাতে খুবই সাহায্য করে।

৩। হাঁটুন -

হাঁটতে পারেন। ঘরে যদি কোনো কিছু করার না থাকে, বা ভালো না লাগে তবে মন ভালো করতে হাঁটতে বেরিয়ে যান। বাইরের খোলা হাওয়া মনকে সতেজ করবে।

৪। রোদে দাঁড়ান -

নিয়ম করে যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কয়েক মিনিট রোদে দাঁড়াতে পারেন তা হলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন `ডি` পায়। ঝকঝকে সূর্যালোকের এমন ক্ষমতা আছে, যা মানসিক ভাবে সুস্থ রাখে।

৫। গান -

মন খারাপের আরও একটি মোক্ষম ওষুধ হল গান। গান মানুষের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই তো মিউজিক থেরাপি আজকাল এত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পছন্দের কোনো গান শুনলে মুহূর্তেই আপনার মন ভালো হয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গান মন ভালো রাখার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও দূর করে। তাই চাইলে নিজেও গলা ছেড়ে গান গাইতে পারেন।

৬। ছবি দেখুন -

পুরোনো ছবির অ্যালবাম দেখুন। তাতে মন খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। কারণ পুরোনো দিনের মজার মজার কথা মনে করিয়ে দেয় ছবি। ফলে মন আপনা থেকেই খুশিতে ভরে ওঠে।

৭। ইনডোর গেমস খেলুন -

তা ছাড়া ইনডোর গেমস খেলুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রিত হোন, সবাই মিলে মজাদার কোনো খেলা খেলুন। এই হইচই আনন্দ মন ভরিয়ে তুলবে।

৮। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলুন -

বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন। কোনো সমস্যা মনে দানা বাঁধলে শেয়ার করুন। সমস্যা থেকে বেরোনোর পথ জানতে চাইতে পারেন বন্ধুবান্ধবের কাছে। 


আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২

নবদম্পতিদের জন্য ১১ টি পরামর্শ কি কি ?.


নবদম্পতিদের জন্য ১১ টি পরামর্শ কি কি ?.

এই সময় প্রচুর বিয়ে হচ্ছে। বিয়ে হল শুধু দুটি মন নয় দুটি পরিবারের মিলন। তাই বিয়ের পর আমাদের এক নতুন জীবন শুরু হয়। সেই নতুন জীবন সুন্দর করে তোলা আমাদের তখন খুব গুরুত্বপূর্ন হয়ে দেখা দেয়। কিন্তু আমাদের আগে থেকে সেই ধারণা না থাকার জন্য আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এখানে আলোচন করা হল সেই সব সমস্যা কিভাবে আপনি সমাধান করবেন। 

১. সব সিদ্ধান্ত দুজনে মিলে নাও। নিজে থেকে কোন বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না।

২. দুজনেই দুজনের শ্বশুরপক্ষকে আপন করে নেবেন। একজন যদি তা না করে তবে তা আরেকজনের কাছ থেকে আশা না করাই ভালো।

৩. আগামী পাঁচ বছর কীভাবে এগুবেন তার একটি পরিকল্পনা করুন । সব পরিকল্পনা হয়ত সফল হবে না, কিন্তু জীবন সুশৃঙ্খল হবে।

৪. একে অন্যের গুণের প্রশংসা করুন, দোষ করলেও সেগুলি মিষ্টি হেসে তুলে ধরুন। সংসারে শান্তির জন্য মিষ্টি হাসি খুব বড় ওষুধ।

৫. ইংল্যান্ডে একসময় একটি প্রতিযোগিতার চল ছিল। তাহলো কোনো দম্পতি যদি টানা একবছর ঝগড়া না করে থাকতে পারে তবে তাঁদের বিশেষ একটি পুরস্কার দেওয়া হবে। পাঁচশ বছরে এ পুরস্কার কজন পেয়েছিল জানো? মাত্র আটজন! তাই ঝগড়াহীন দাম্পত্য জীবন অসম্ভব। এগুলোরও সৌন্দর্য আছে।

৬. খুব জরুরি না হলে নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যায় তৃতীয় পক্ষকে না টানাই ভালো।

৭. মুরুব্বিদের ছায়ার নিচে থাকুন। দেখবেন তাঁদের অভিজ্ঞতা অনেক সমস্যা দূর করছে। চাইলে এমনকি আলাদা থেকেও নিবিড় যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে এ ছায়ার নিচে থাকা যায়।

৮. সবার সাথে মিশুন, দুঃখ-বেদনা ভাগ করে নিন; তাই বলে নিজেদের প্রাইভেসি একেবারে বিসর্জন দেবেন না।

৯. অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য সঞ্চয় কর।

১০. একজন স্বামী সারাদিন কাজকর্ম করে যেরকম টায়ার্ড থাকেন, তাঁর স্ত্রী সংসার সামলে তারচে কম টায়ার্ড থাকেন না।

১১. একে অন্যকে সম্মান দিন। দুজনে পরস্পরের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায় কোন কোন খাবার ?.


গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায় কোন কোন খাবার ?.

  আপনি প্রতিদিন যেসব খাবার খাচ্ছেন, তা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। যদি আপনি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান তবে একটি সুস্থ্ এবং দীর্ঘ জীবন উপভোগ করবেন। যদি আপনার খাবারের তালিকা ট্রান্স ফ্যাট এবং লবণ দিয়ে ভরা থাকে তবে দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যারা গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন তাদের সুস্থ গর্ভধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে খাবার।

  টি.এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকদের মতে, প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণ করতে চাওয়া নারীদের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন এবং খনিজযুক্ত খাবার খেতে হবে। তারা তিনটি পুষ্টির তালিকা তৈরি করেছেন, যা ফার্টিলিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে-

 ফলিক অ্যাসিড হলো ভিটামিন বি৯ এর একটি রূপ। স্বাস্থ্যকর লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ক্লান্তি কমানোর জন্য এটি শরীরের প্রয়োজন। এই পুষ্টির অভাব হলে তা জন্মগত ত্রুটি এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ফলিক অ্যাসিড হলো ভিটামিন বি৯ এর একটি সিন্থেটিক ফর্ম, যা সম্পূরক আকারে পাওয়া যায়। এই পুষ্টির প্রাকৃতিক রূপ যা খাদ্য থেকে পাওয়া যায় তাকে ফোলেট বলে। এই পুষ্টির একটি সাধারণ উৎস হলো সবুজ শাকসবজি। পালং শাক, ব্রকলি, লেটুস, মটরশুটি, মটর, মসুর, লেবু, কলা এবং তরমুজ। এগুলি নিয়মিত খেলে মিলবে ফলিক অ্যাসিড।

 ভিটামিন বি১২ কোবালামিন নামেও পরিচিত। এটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন যা রক্ত ​​গঠন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। এটি একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি যা আমাদের শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না, তাই এর জন্য খাদ্য উৎস এবং পরিপূরকের ওপর নির্ভর করতে হয়। এই পুষ্টির অভাবে নিউরাল টিউবে ত্রুটি হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ৮০-৯০ শতাংশ ভেগান এবং নিরামিষাশীদের ভিটামিন বি১২ এর অভাব রয়েছে। তাই এ ধরনের ব্যক্তিদের অবশ্যই খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২ সাপ্লিমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ভিটামিন বি১২ এর সাধারণ উৎস দুগ্ধজাত পণ্য, মাছ এবং হাঁস-মুরগির মাংসে পাওয়া যায়।

 ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে, রক্তচাপ কমাতে এবং এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে, এই স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শিশুর মস্তিষ্ক ও চোখের বিকাশকে সমর্থন করার জন্য এবং অকাল গর্ভপাত রোধ করার জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পেরিনেটাল ডিপ্রেশনের উপসর্গ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। মাছ, বাদাম, বীজ এবং উদ্ভিদের তেল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কিছু সাধারণ উৎস।

 হার্ভার্ড গবেষণায় আরো পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ডি, দুগ্ধজাত দ্রব্য, সয়া, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল ফার্টিলিটির ওপর সামান্য বা কোনো খারাপ প্রভাব ফেলে না। কিন্তু অত্যাধিক ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ যেমন প্রক্রিয়াজাত মাংস, মিষ্টি এবং কোমল পানীয় গর্ভাবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

 শুধুমাত্র নারী নয়, স্ত্রীর গর্ভধারণের চেষ্টা করার সময় পুরুষের খাদ্যতালিকায়ও স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে পুরুষেরা স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তাদের বীর্যের গুণমান উন্নত হয়, যখন খাবারে স্যাচুরেটেড বা ট্রান্স ফ্যাট বেশি থাকে তখন গুণমান হ্রাস পায়। অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইনও গর্ভাবস্থায় কিছু প্রভাব ফেলতে পারে। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কি কারণে কম বয়সী পুরুষকে পছন্দ করে নারীরা ?.


কি  কারণে কম বয়সী পুরুষকে পছন্দ করে নারীরা ?.

  ৪০ ছুঁই ছুঁই নারীদের সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে তাঁদের প্রথম পছন্দ কম বয়সী পুরুষরা। এমনটিই উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়। জীবনের মাঝ বয়সে এসে নারীরা খোঁজেন এমন কাউকে যিনি অভিজ্ঞতায় নয়, তাঁকে সমৃদ্ধ করবে উছ্বাস আর উন্মাদনায়। সঙ্গীর হাত ধরে আরও এক বার ফিরে যাওয়া যাবে ফেলে আসা মুহূর্তের দিকে। এগুলো ছাড়াও আরও কতগুলো কারণ সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসছে। আকর্ষণীয় দেহ: -

অল্পবয়সী পুরুষদের পেশিবহুলতা, সুদৃঢ় ব্যক্তিত্ব বয়সে বড় নারীরা আকর্ষণ করে বেশি। শারীরিক ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে বয়সে বড় নারীদের প্রথম পছন্দ কম বয়সীরা।

যখন অসম বয়সী দুজন মানুষ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন, অভিজ্ঞ সঙ্গীর সামনে স্বাভাবিকভাবেই নিজেকে প্রমাণ করার একটা চেষ্টা থাকে। সেটা প্রতিফলিত হয় অল্পবয়সীর উদ্দীপনায়।

মনের মতো গড়ে নেওয়ায় সুযোগ: -

বয়সে বড় এবং অভিজ্ঞ হওয়ার সুবাদে কম বয়সী সঙ্গীকে সম্পর্কের টানাপোড়েন, চড়াই-উতরাই নিয়ে নিজের মতো শেখানো যায়। এমনকি শারীরিক আমোদের নানা কলাকৌশল শিখিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। অধিকাংশ নারীরা যেটা পছন্দ করেন।

অহংকে বাড়িয়ে দেয়: -

নিজের থেকে কম বয়সী পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের ফলে নারীরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। সে সম্পর্ক প্রেমের হোক বা শরীরী। নিজের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার দ্বারা আরেক জন মানুষকে সমৃদ্ধ করতে পেরে পরিতৃপ্তি লাভ করেন নারীরা।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২

বিয়ের আগে যে ৪ ভুল করবেন না ?.


বিয়ের আগে যে ৪ ভুল করবেন না ?.

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোর পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এখন প্রেম বা ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানো বেশ সহজ। তবে বিয়ে পর্যন্ত সেই সম্পর্ক টিকিয়ে নিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন।এক্ষেত্রে দুজনের মধ্যকার বোঝাপোড়া যেমন জরুরি ঠিক তেমনই পরিবারের সদস্যদেরও মতামত নেওয়া জরুরি।  আবার পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হলেও পাত্র ও কনে একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছুদিন সময় কাটান।

  যাতে একে অন্যের সম্পর্কে জানতে পারেন। দেখা গেছে, বিয়ের আগের কয়েকটি ভুল সম্পর্কের উপর চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। জেনে নিন কোন ভুলগুলো করবেন না।

১) প্রেম করে বিয়ে করার ক্ষেত্রে পরিবারিক ঝামেলা হতেই পারে। এক্ষেত্রে দুই পরিবারের মধ্যে কারও হয়তো একে অপরকে পছন্দ নয়। তবে সেক্ষেত্রে একটু সময় দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

এসব বিষয় নিয়ে যদি আপনি সঙ্গীর সঙ্গেই ঝামেলা বাধিয়ে নেন, তাহলে তো সমস্যা আরও বাড়বে। অবার অনেকেই সম্পর্ক না মানার কারণে নিজের পরিবারের সঙ্গেই বিরোধ ও ঝগড়া করেন। তবে বিয়ের আগে এমনটা করা একেবারেই উচিত হবে না। মাথা গরম না করে বরং ঠান্ডা রেখে পরিবারকে মানানোর চেষ্টা করতে হবে।

২)  অনেকেই একে অন্যের পরিবারকে দোষারোপ করেন। দেখা যায়, সম্পর্কে থাকা দুজন মানুষ একে অপরের পরিবারকে সম্মান করছেন না। সম্পর্ক যতই গভীর হোক না কেন সঙ্গীর পরিবারকে নিয়ে খারাপ মন্তব্যের কারণে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

 তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন। বিয়ের আগে সঙ্গীর পরিবার নিয়ে তার সঙ্গে কোনো খারাপ কথা নয়। বরং তাদের সম্পর্কে ভালো কথা বলুন। সঙ্গীকে বুঝিয়ে দিন আপনি তাকে ও তার পরিবারকেও ভালোবাসেন।

৩) একেক অঞ্চলের বিয়ের রীতিনীতি একেক রকম। বিয়ের এই নিয়ম সম্পর্কে একমত হওয়াও জরুরি। এক্ষেত্রে দুই পরিবার একসঙ্গে বসে আগে থেকেই কথা বলা উচিত। এসব ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হতে পারে। তাই পাত্র ও পাত্রীকে ঠান্ডা মাথায় এসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে পরিবারকে বোঝাতে হবে।

৪) সঙ্গীকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করবেন না। ভুল সবারই হয়। তাই বলে অযথা কোনো বিষয়ে সঙ্গীকে দোষারোপ করবেন না। এর ফলে সম্পর্ক খারাপ হয়। বিয়ের আগে এই কয়েকটি বিষয়ে সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে। 


আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কোন কোন কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয় ?.


কোন কোন কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয় ?.

  একটা সম্পর্কে দুজন মানুষেরই সমান দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকা দরকার। একে অপরের সঙ্গে গুণগতমান সম্পন্ন সময় কাটানো দরকার। তার পরও বেশ কিছু কারণের জন্য সম্পর্কে বিচ্ছেদ তৈরি হয়। মনোবিদদের মতে, এখন করোনা পরিস্থিতি চলছে। এই সময়ে সংক্রমণের চিন্তায় অনেক সময়ই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

  স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে গিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে সঠিকভাবে নজর দেওয়া হয় না অনেক ক্ষেত্রেই। তাই মানসিক স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে আমাদের লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া বিশেষ জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয়, দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী।

১. বিশেষজ্ঞদের মতে, সঙ্গীর যেকোনও বিষয়ে প্রশ্ন তোলার ফলে অনেক সময়ই পরিস্থিতি ঠিক থাকে না। বহু মানুষেরই এমন অনেক অভ্যাস থাকে যে, তারা সারাক্ষণই সঙ্গীকে বিরক্ত করেন। এর ফলে সম্পর্কে অবনতি দেখা দেয়।

২. সম্পর্ক সঠিক রাখার জন্য রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। অত্যধিক রাগ সম্পর্ককে নষ্ট করে দিতে পারে বলে মন বিশেষজ্ঞদের।

৩. পরিবার কিংবা বন্ধুদের সম্পর্কে অহেতুক কিংবা সারাক্ষণ যদি কু বাক্য প্রয়োগ করা হয়, তাতে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। এতে সঙ্গীর একে অপরের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়, মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। আর তা সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়।

৪. সম্পর্ক সঠিক রাখতে সঙ্গীকে অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করার অভ্যাস এখনই বর্জন করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যখনই কোনও ব্যক্তি তার সঙ্গীকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করে ছোট করছেন, তখন অপর ব্যক্তির মনে তা প্রভাব পড়ছে। আর এতেই নষ্ট হচ্ছে সম্পর্ক।

৫. বিশেষজ্ঞদের মতে, সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে সময় কাটানো কিংবা গেম খেলা বা টিভি দেখার অভ্যাসও সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে।

৬. সঙ্গীর পুরনো কোনও ভুল মনে রেখে সে সম্পর্কে সারাক্ষণ কথা বললে কিংবা কু মন্তব্য করলে সম্পর্ক নষ্ট হয়। তাই সম্পর্ক সঠিক রাখতে এমন অভ্যাস এখনই ত্যাগ করা জরুরি। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কিভাবে প্রেম করতে হয় ? .


কিভাবে প্রেম করতে হয় ? .
 প্রেম একান্তই স্বর্গীয় একটি ব্যাপার। প্রতিটি মানুষের জিবনেই একবার না একবার প্রেম আসে। কখনো সে জানান দিয়ে আসে আবার কখনো তা নিরবেই রয়ে যায়। আর এই প্রেমকে নিয়ে বহু কবি এবং সাহিত্যিক লিখেছেন হাজার হাজার কাব্য, মহাকাব্য। এসকল কাব্য মহাকাব্যে প্রেম কখনো সফল কখনো বিফল। কখনো আনন্দময় আবার কখনো মৃত্যু যন্ত্রণার চেয়ে বিষাদময়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভাল- মন্দ সফলতা ব্যার্থতা থাকবে প্রেমের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। তবে এরজন্য কি কেউ প্রেম করবে না? এর জন্য কি প্রেম পড়তে বারন? না কখনোই না, কারন প্রেম হলো স্বর্গীয়। মানুষের অজান্তেই তার জীবনে চলে আসে। 
তবে প্রেমের ক্ষেত্রেও কিছু বিচার বিশ্লেষণের ব্যাপার থেকেই যায়। কারন কাওকে ভালোবাসা এবং ভালো লাগা এক নয়। এ কারনে ভালো লাগাকে ভালবাসায় রুপ দিতে হলে সেই মানুষটি সম্পর্কে জেনে নেওয়াই হলো বুদ্ধিমানের কাজ। কারন আপনি যদি ভূল মানুষকে ভালোবাসেন তাহলে তার মাশুল আপনাকে জীবনভর দিতে হবে। এ কারনে যার সাথে ভালোবাসার বা প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হতে যাবেন সে আপনার জন্য উপযুক্ত হবে কিনা বুঝে নিন।

 এরপরে ভালোবাসার মানুষটিকে প্রেম নিবেদন করুন। এক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। কারনে এখানে একটি সামান্য ভুল হিতে বিপরীত ঘটাতে পারে। আগে খোজ নিন প্রিয় মানুষটির পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারে। এছাড়াও প্রেম নিবেদন করার জন্য সুনির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করুন। যখন আপনার প্রিয় মানুষটির মন ভালো থাকে। যেমন হতে পারে তার জন্মদিন। কারন জন্মদিন হলো প্রতিটি মানুষের জন্য ভলো একটা সময়। এসময় প্রেম নিবেদন করলে সফল হবেন অবশ্যই। প্রেম নিবেদনের জন্য একটি স্কেচবুক কিনে নিতে পারেন স্ক্র্যাপ বুক বানানোর জন্য। এখানে আপনার পছন্দের মানুষটির সাথে কোন সুন্দর স্মৃতি থাকলে তা যুক্ত করুন এবং তাকে গিফট করুন। এতে আপনার প্রেম নিবেদন সফল হওয়ার অনেক গুন বাড়িয়ে দিবে।
একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়া যতইনা কঠিন তার চেয়ে কঠিন তা টিকিয়ে রাখা। তাই প্রেমের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই আমাদের এর উপর যত্নশীল হতে হবে। থাকতে হবে একে অপের প্রতি অগাধ বিশ্বাস। তাহলেই সম্ভব প্রেমের এই পবিত্র বন্ধনকে দীর্ঘায়িত করা। এছাড়াও প্রেমকে মধুময় করে তোলার জন্য আরো অনেক উপায় রয়েছে।

 তাকে পাঠাতে পারেন ক্ষুদে বার্তা কারন একটি ছোট বার্তায় এমন কিছু অনূভুতি সৃষ্টি করা যায় যে কারনে ভালোবাসার মানুষটি সারাদিন আপানাকে নিয়ে ভাববে এবং অনূভুতিতে কাছে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে যাবে। ঠিক তখনিই তো প্রেম পরিপূর্ণতা লাভ করবে। এবং এই ক্ষুদে বার্তা দিয়ে সে আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন ভাবে আবিস্কার করবে।
 তার প্রতি ভালোবাসা গুলো সঠিক ভাবে ফুটিয়ে তুলুন। কখনোই প্রেমের বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে এমনটা করা উচিৎ নয় যেন সে মনে করে আপনি তার উপর নির্ভরশীল। আপনি তাকে নিজের ভরসাস্থল হিসেবে উপস্থাপন না করে তার ভরসার যায়গার আপনি বিরাজ করুন। বর্তমানে আনেকই প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে নিজের ক্যারিয়ার এর বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে। লেখাপড়া হোক বা চাকরি সবকিছুই যেন শেষ করে দেয় তারা। যার ফলে ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় তাদের। তাই সকল সময় প্রেমিকের কাছে আপনার ব্যাক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলুন।

 ফোনে কথা বলতে পারেন। তবে তা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী। কখনোই অতিরিক্ত ফোনে কথা না বলে অল্পের ভিতর গুছিয়ে কথা বলুন। এবং শুধু যে প্রেম ভালবাসার কথাই বলতে হবে তা কিন্তু নয়। বরংচ তার খোজ নিন যে দিন কেমন কাটছে, পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। বিভিন্ন গল্প,জোক্স, গান ইত্যাদি নিয়েও কথা বলতে পারেন তার সাথে।

  প্রিয় ব্যাক্তিটিকে কিছু উপহার দিন। এবং এগুলো যে দামী হতে হবে তা কিন্তু নয়। বরং সামান্য কিছুর মাধ্যমেও তাকে খুশি করা সম্ভব। যেমন চুড়ি বা ফুল অথবা তার প্রিয় কোন জিনিস উপহার দিন। কখনোই নিজেকে ধনী প্রমানিত করতে গিয়ে অতিরিক্ত মূল্যবান জিনিস উপহার না দেওয়াই ভালো। এগুলো বিশ্বাস এবং ভালোবাসায় ফাটল ধরাতে পারে।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শীতকালেই কেন খেজুর গাছের রস হয় ?.


শীতকালেই কেন খেজুর গাছের রস হয় ?.

  শীতকাল আসলেই প্রকৃতিতে হরেক রকমের বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। নতুন ধানের আমেজ, নতুন নতুন পিঠা তৈরি, শাক-সবজিসহ অনেক কিছুই দেখা যায়। তার মধ্যে অন্যতম আরেকটি অনুষঙ্গ হচ্ছে খেজুর গাছ থেকে ‘রস’ সংগ্রহ।

 স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রমাণ করেছিলেন ‘গাছেরও প্রাণ আছে, অনুভূতি আছে, সুখ-দুঃখ, অভিমান সবটাই আছে’। যেমনটি মানুষের আছে। খেজুর গাছ অনেক কষ্টই সহ্য করে শীতকালে। যেমনটি শীত আসলে মানুষ করে থাকে। তবে খেজুর গাছের কষ্টটাই অন্যরকম। 

 এখন অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতেই পারে, কেনোইবা শীতকালেই খেজুর গাছের রস বের হয় ? গ্রীষ্ম, বর্ষাকালে কেন হয় না ? খেজুর গাছ এক ধরনের তাল জাতীয় বৃক্ষ। ডাব, তাল, সুপারি এসব গাছের মতোই খেজুর গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো ‘Phoenix dectylifera’। খেজুর গাছের বৈজ্ঞানিক নামের দ্বিতীয় অংশ dactylifera দুটি ভাষা থেকে এসেছে, একটি অংশ dactulos এটি গ্রিক ভাষা থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ ‘খেজুর’। অপর অংশ fero, এটি ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘আমি বহন করি’। তাহলে dactylifera শব্দের পূর্ণ অর্থ হয় ‘খেজুর বহনকারী’।

 খেজুর গাছের কাণ্ড নরম, রসালো। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কাণ্ড শক্ত হতে থাকে। শুষ্ক মরুভূমিতে এরা ভালো জন্মে। তবে বিশ্বের নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলেও এদের ব্যাপক বিস্তৃতি লক্ষ করা যায়।

খেজুর গাছের রস প্রক্রিয়াকরণ-

 সাধারণত সব গাছ মূলের মাধ্যমে পানি শোষণ করে। এই পানি পাতায় পৌঁছে গেলে পাতায় সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি হয়। সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে যে খাবার তৈরি হয়, তা গ্লুকোজ। গ্লুকোজ পরে সুক্রোজ বা চিনিতে রূপান্তরিত হয়। গাছের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকার জন্য এই চিনি খরচ হয়ে যায়।

 খরচ হওয়ার পর যদি চিনি বেঁচে যায়, তাহলে চিনিগুলো স্টার্চ নামক অদ্রবণীয় জটিল শর্করা হিসেবে জমা থাকে। চিনি মিস্টি হলেও স্টার্চ কিন্তু মিষ্টি নয়। বর্ষাকালে মাটিতে প্রচুর পানি থাকে, তাই মূলের মাধ্যমে প্রচুর পানি শোষণ করে পাতায় প্রচুর খাদ্য তৈরি হয়। শীতকালে মাটিতে পানি কম থাকে, তাই পানির অভাবে পাতায় কম খাদ্য তৈরি হয়। শীতকালে স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য খেজুর গাছ অতিরিক্ত খাদ্য মজুদ করে রাখে।

 তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে মূল থেকে পানির শোষণ কম হতে থাকে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সংকেত খেজুর গাছের কোষে এক ধরনের এনজাইম ক্ষরণ হতে থাকে এই এনজাইমের প্রভাবে জমিয়ে রাখা স্টার্চ ভেঙ্গে আবার চিনিতে পরিণত হয়। মূল থেকে উঠে আসা পানির সাথে এই চিনি মিশে একটি মিষ্টি সরবত তৈরি হয়। এটাই হলো খেজুরের রস। যেহেতু মূল থেকে উঠা পানি উপরের দিকে ধাবিত হয়, তাই রস উপরের অংশে থাকা কোনো ক্ষত দিয়ে বের হয়। যেটা আহরণকারীরা গাছের ডগার ঠিক নিচের অংশে কেটে বের করে।

 শীতকালে গাছের প্রস্বেদন কম হয়, তাই গাছ থেকে খুব কম পরিমাণ পানি বাষ্পাকারে বের হয়। গাছে ক্ষত থাকলে সেই ক্ষত দিয়ে চিনি মিশ্রিত রস বের হয়। রস যত বের হবে, তত ব্যাপন চাপ ঘাটতি সৃষ্টি হয়, এই চাপ ঘাটতির কারণে একটি চোষণ শক্তির উদ্ভব হয়। চোষণ শক্তির প্রভাবে মাটি থেকে পানি শোষিত হয় এবং শীতকালজুড়ে রস বের হতে থাকে।

 একটি খেজুর গাছের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর না হলে রস উৎপাদন করতে পারে না। একটি পূর্ণ বয়স্ক খেজুর গাছ শীত মৌসুমে ১৫০-১৬০লিটার রস উৎপাদন করতে পারে। গাছের গোড়ায় যদি ছিদ্র করা হয়, তাহলে রস আহরণ করা যাবে না। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।