বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১

স্ত্রী’র মাঝে যে ৭টি গুণ থাকলে স্বামী সুখী হয় ?.


স্ত্রী’র মাঝে যে ৭টি গুণ থাকলে স্বামী সুখী হয় ?.

  কামসূত্র নয়, কামশাস্ত্রে দাম্পত্যের ব্যাপারে আরও গভীর তত্ত্ব পাওয়া যায়। মানসিক থেকে শারীরিক সম্পর্ক, সবকিছুর উপরেই নির্ভর করে সুস্থ দাম্পত্য। আর সেই প্রসঙ্গে দাম্পত্যের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে কামশাস্ত্রে। স্ত্রী (wife) ঠিক কেমন হলে দাম্পত্য সুখের হয়, রয়েছে সেই গুনগুলিও।

জেনে নিন:

১)  স্বামী ও স্ত্রী’র পরিবারের মধ্যে কিছু মিল থাকা প্রয়োজন। আর যে পরিবারের উদার হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে, সেই পরিবারের মেয়েকেই বিয়ে করা উচিৎ।

২)  স্ত্রী বুদ্ধিমতী হওয়া প্রয়োজন। আর বিশ্ব জুড়ে কি ঘটছে, সেব্যাপারে জ্ঞান থাকা দরকার। স্ত্রী’র  শিক্ষা সমাজ ও পরিবারে উন্নতি নিয়ে আসে।

৩)  স্ত্রী’কে তাঁর চারপাশের লোকজনের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। যে কোনও স্তরের মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে।

৪)  সামাজিক কর্তব্যের পাশাপাশি ধর্মকর্মে নিষ্ঠা থাকা উচিৎ একজন স্ত্রী’র । ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান মেনে চলা উচিৎ।

৫)  কণ্ঠস্বর হওয়া উচিৎ ধীর ও মধুর। লক্ষ্মীর মত টাকা সঞ্চয় করা উচিৎ, সরস্বতীর মত পবিত্র হওয়া উচিৎ ও পার্বতীর মত স্বামীর প্রতি নিষ্ঠাশীল হতে হবে।

৬)  যে মহিলা ভাই-বোনদের সঙ্গে বড় হয়ে উঠেছেন, তার ধৈর্য্য অনেক বেশি হয়। তারা শিশুদের ভালোবাসতে পারে ও সম্পর্কের মর্যাদা দিতে পারে।

৭)  ক্ষুধার্তকে যাদের খাওয়ানোর ইচ্ছা থাকে, তারা ভালো স্ত্রী হয়ে উঠতে পারে।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

বয়সে বড় মেয়েদের বিয়ে করলে কি হয় জানেন?


বয়সে বড় মেয়েদের বিয়ে করলে কি হয় জানেন?

  ছেলেরা তাঁর চেয়ে বয়সে ছোট মেয়েকে বিয়ে করবে, এটাই আমাদের সমাজের স্বাভাবিক রীতি। অসম বয়সের সম্পর্ক আমাদের সমাজে স্বীকৃত। কিন্তু সেক্ষেত্রে পুরুষকে হতে হবে বড়, আর মেয়ে হবে ছোট। উল্টোটা হলে সমাজ ও পরিবার সহজে মেনে নিতে চায় না। কিন্তু তাই বলে কি ব্যতিক্রম হতে পারে না? একজন মেয়ে তার চেয়ে বয়সে ছোট ছেলের প্রেমে পড়তে পারে না? বিয়ে করতে পারে না? হ্যাঁ, অবশ্যই পারে।

  তারকা জগতে বয়সে বড় মেয়েকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করার ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে। যেমন- অভিষেক-ঐশ্বরিয়া, সচিন-অঞ্জলি। তবে বাস্তবে তেমনটা খুবই কম হয়। কিন্তু আজকাল আমাদের নিজেদের আশেপাশে একবার লক্ষ্য করলে প্রায়শই এমন উদাহরণ চোখে পড়ে। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে জানবো যে বয়সে বড় মেয়েদের বিয়ে করলে কি কি সুবিধা হয়।

১। স্বাভাবিক ভাবেই বয়সে বড় মেয়েরা ছোট বয়সের মেয়েদের তুলনায় অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে কথা বলতে জানে। যাতে ছেলেরা সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হয়। এতে করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে।

২। বয়সে বড় মেয়েরা ছোটদের মতো কখনোই কোনো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না। যেটা ছোট মেয়েদের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা। তাদের কনফিডেন্স ছেলেদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।

৩। বয়সে বড় মেয়েদের ছেলেমানুষি ছোট বয়সের মেয়েদের তুলনায় কম থাকে। ফলে এই সব মেয়েরা কথায় কথায় ঝগড়াঝাঁটি, কান্নাকাটি বা পাবলিক প্লেসে ভুলভাল আচরণ খুব একটা করেন না। যেটা ছেলেদের কাছে একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে থাকে সবসময়।

৪। বয়সে বড় মেয়েরা বেশির ভাগ সময়ই আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়। ফলে ছেলেদের পকেটে সবসময়ে টান পড়ে না। কিছু সময় মেয়েরা নিজেরাই আর্থিক দিকটি সামলে নিতে পারে।

৫। অনেক পুরুষেরই পছন্দ শারীরিক সম্পর্কে অভিজ্ঞ বা পরিণত মহিলাদের। সেক্ষেত্রে বয়সে বড় মেয়েদের জুড়ি মেলা ভার। তারা শারিরীক সম্পর্কের দিক থেকে বয়সে ছোট মেয়েদের থেকে যে অনেক এগিয়ে থাকে সেটা বলাই বাহুল্য।

৬। বয়সে বড় মেয়েরা অনেক বেশি বুঝদার হন এবং জীবনের প্রতিটি সমস্যা অনেক গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে থাকেন। ফলে ছেলেদের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি, খুব সহজেই।

৭। পরিণত বয়সের হওয়ায় এই মেয়েরা কোনো কিছু নিয়েই জীবনে খুব একটা চাপ নেয় না। আর স্বভাবে শান্ত হয়। আর এ ধরনের মহিলাদের অনেক পুরুষই পছন্দ করেন।
৮। আপনার চেয়ে বড় হওয়ায় সে বুঝতে পারে কোনো সম্পর্ক বা সিদ্ধান্তের জন্য ভবিষ্যতে আপনাকে কষ্ট পেতে হতে পারে। ফলে সেটা করে না তারা সহজে।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)


সতী বা কুমারী মেয়ে চেনার সহজ উপায় কি ?.


সতী বা কুমারী মেয়ে চেনার সহজ উপায় কি ?.

  পরিবর্তন মানুষের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জন্মের পর কৈশোরে পদার্পন থেকে বিয়ের আগ পর্যন্ত একটা মেয়ের শারীরিক গঠন যে রকম থাকে বিয়ের পরে সেটা আর সে রকম থাকে না। শারীরিক প্রয়োজনেই পরিবর্তন হয়ে যায় সব। বিয়ের আগে অনেক পুরুষই কুমারী মেয়ে চেনা নিয়ে উদ্বেগে থাকেন। অনেকে আবার অক্ষত মেয়ে না পেলে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলেন। 

  তাদের অবগতির জন্য আমাদের আজকের আয়োজন। আসুন জেনে নিই কুমারী মেয়ে চেনার উপায়। আগেই বলে রাখি কুমারী মেয়ে চেনার জন্য সাধারণত তেমন কোন লক্ষণ নেই। তবে মেয়েদের গোপনাঙ্গ এবং স্তন দেখে মোটামুটি কুমারী মেয়ে চেনা যায়। তবে অনেক মেয়ের বংশগতভাবেই স্তন বড় থাকে। এমনও ঘটনা দেখা গেছে যে, একটি মেয়ের স্তন বেশ বড়, কিন্তু কোন ছেলেকে চুম্বন করা তো দূরের কথা, কখনো ছুয়েও দেখেনি।

  তার মানে কী এই দাড়াঁবে যে, মেয়েটি কুমারীত্ব হারিয়েছে? মোটেই নয়। আবার এমনও ঘটনা রয়েছে যে, কোন মেয়ে তার জীবনে প্রথম সহবাস করেছে, কিন্তু কোন রক্তপাত হয়নি। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, আপনার আগে কোন পুরুষ তার কুমারীত্ব নিয়েছে। তবে আসলেই কুমারী মেয়ে চেনার তেমন কোন লক্ষণ নেই। তবুও নিম্নে স্তন এবং গোপনাঙ্গ দেখে ভার্জিন মেয়ে চেনার কয়েকটি লক্ষণ তুলে ধরা হলো।

স্তনঃ -

স্তন ছোট হবে। চ্যাপ্টা হবে, গোল নয়। দৃঢ় হবে, তুলতুলে নয়। স্তনের বোটার চারপাশে যে গাঢ় অংশ থাকে তার রঙ গোলাপি থেকে হালকা বাদামী রঙ এর মতো হবে এবং এই অংশ আয়তনে ছোট হবে। নিপলের আকার ছোট হবে। অনেক সময় অনেক মেয়ের কয়েকবার শারীরিক মিলনের পরেও হাইমেন বা সতীচ্ছদ অক্ষত থাকে। এদের সিউডোভারজিন বা নকল কুমারী বলা হয়। তবে এর হার অনেক কম।

গোপনাঙ্গঃ-

ল্যাবিয়া মাইনরা অর্থাৎ ভিতরের পাপড়িও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে এবং ল্যাবিয়া মেজরা দিয়ে ঢাকা থাকবে পুরোটাই। ল্যাবিয়া মেজরা না সরালে দেখা যাবে না। ল্যাবিয়া মেজরা অর্থাৎ বাইরের পাপড়ি প্রায় সম্পূর্ণ ভাবে এক সাথে লেগে থাকবে এবং গোপনাঙ্গ মুখ দেখা যাবে না।  হাইমেন অর্থাৎ সতিচ্ছদ অক্ষত থাকবে। যদিও অনেক কারনেই ছিঁড়ে যেতে পারে। এটি ছিঁড়লে সাধারণত রক্তক্ষরণ হয়।

 গোপনাঙ্গ পথ সরু এবং ভিতরের ভাঁজগুলি কম মসৃণ হবে। ভাজ অনেক বেশি হবে। ক্লিাটোরিস বা ভগাঙ্কুর খুব ছোট এবং এর আবরণকারী চামড়াও পাতলা হবে। ল্যাবিয়া মাইনরার নিচের প্রান্ত একত্রে থাকবে। তবে যেসব মেয়ে বেশি খেলাধুলা/ শরীরচর্চা করে, সাইকেল/ মোটরসাইকেল চালায়, ঘোড়ায় চড়ে এবং হস্তমৈথুন করে তাদের হাইমেন বা সতীচ্ছদ ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মূলত এভাবেই একটা মেয়ের কুমারীত্ব চিহ্নিত করা যায়।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১

সাবধান ভাত খাওয়ার পর এই ভুল কাজটি করলে আপনার মৃত্যু আনিবার্য ?.


সাবধান ভাত খাওয়ার পর এই ভুল কাজটি করলে আপনার মৃত্যু আনিবার্য ?.
ভাত খাওয়ার পর এই ৭ টি কাজ আপনার মরন ডেকে আনতে পারে, কাজগুলো কি জানুন এবং পরিত্যাগ করুন –

১) ধুমপান করবেন না । করছেন তো মরছেন । আপনি সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলেও যতটুকু না ক্ষতি করবে, তার চাইতে অনেক বেশী ক্ষতি করবে যদি ভাত (rice) খাবার পর একটা খান। ভাত (rice) খাবার পর একটা সিগারেট খাওয়া আর সার্বিকভাবে দশটা সিগারেট খাওয়া ক্ষতির দিক দিয়ে সমান অর্থ বহন করে। যারা নিয়মিত সিগারেট খান তারা জানেন ভাত (rice) খাবার পর তাৎক্ষনিকভাবে সিগারেট খেলে কি ধরনের ফিলিংস আসে । যত বেশী ফিলিংস তত বেশী ক্ষতি ।

২) খাবার শেষ করার পর পরই তাৎক্ষণিক ভাবে কোন ফল খাবেন না । গ্যাস ফর্ম করতে পারে । খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর , কিংবা এক ঘন্টা আগে ফল খাবেন ।
৩) চা খাবেন না । চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমানে টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তুলে যার ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে । 

৪) বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর লুস করবেন না । খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর লুস করলে অতি সহজেই ইন্টেসটাইন(পাকস্থলি থেকে মলদ্বার পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ ) বেকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে । যাকে বলেইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন।  
৫) স্নান করবেন না ! ভাত (rice) খাবার পরপরই স্নান করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায় ! ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা শরীরের পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে , ফলে খাদ্য হজম হতে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী লাগবে ।   

৬) ঘুমোতে যাবেন না । এটা অবশ্য আমরা সবাই ই কমবেশী জানি যে, ভাত (rice) খেয়েই ঘুমোতে যাওয়া উচিত নয় । কারণ এতে খাদ্য ভালোভাবে হজম হয় না । ফলে গ্যাস্ট্রিক এবং ইন্টেস্টাইনে ইনফেকশন হয় !  
৭) হাটা চলা করবেন না ! অনেকেই বলে থাকেন যে , খাবার পর ১০০ কদম হাটা মানে আয়ু ১০০ দিন বাড়িয়ে ফেলা ! কিন্তু আসলে বিষয়টা পুরোপুরি সত্য নয় ।খাবার পর হাটা উচিত , তবে অবশ্যই সেটা খাবার শেষ করেই তাৎক্ষণিকভাবে নয় । কারণ এতে করে আমাদের শরীরের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষনে অক্ষম হয়ে পড়ে ।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)


বিয়ের পর যেসব কারনে বাচ্চা হয় না, রইল ১০ টি প্রতিকার ।


বিয়ের পর যেসব কারনে বাচ্চা হয় না, রইল ১০ টি প্রতিকার ।

  বিয়ের পর বাচ্চা না হওয়ার মূল কারন ও ১০ টি প্রতিকার, যা ছোট বড় সকলের জনা প্রয়োজন। অনেক দম্পতিই বিয়ের পর একটি ফুটফুটে বাচ্চার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান থাকেন। অনেকের ক্ষেত্রেই গর্ভধারনের বিষয়টি দ্রুত ঘটে যায়, আবার অনেকেই দীর্ঘ সময় চেষ্টার পরেও গর্ভধারনে সফল হন না।

  দেখা যায়, এক দুই মাস চেষ্টার পরে অনেক দম্পতি হতাশায় ভুগতে থাকেন। এই ধরনের বাচ্চা হতে সমস্যা অনেক দম্পতির বেলায় ঘটে থাকে। অনাকাঙ্খিত এই সমস্যাটি দ্রুত সমধানের জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।

১. বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ: -

বাচ্চা নেয়ার লক্ষ্যে যে সকল দম্পতি এক বছর বা তার বেশী সময় ধরে চেষ্টা করছেন কিন্তু সফল হচ্ছেন না তারা অতি সত্বর একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তরের পরামর্শ নিন। ডাক্তরের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরীক্ষা করুন। পারিবারিক কোন রোগ বা দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা থাকলে তা ডাক্তরকে জানান। সুচিকিৎসার মাধ্যমে এসব কাটিয়ে উঠতে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই সাহায্য করবে। এছাড়া শারীরিক কিছু পরীক্ষা যেমন ,ওজন ,রক্তচাপ ,ও আপনার নিতম্ব স্বাস্থ্যবান কিনা ডাক্তার তা পরীক্ষা করে থাকেন। কোন রোগের জন্য কি কি চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, কি কি ওষুধ গ্রহণ করেছেন-এসব ডাক্তারকে জানান। এসব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে একজন নারীকে গর্ভধারনের পথ সুগম করতে সাহায্য করে।

২. সুস্থ স্বাভাবিক জীবন-যাপন: -

  স্বামী-স্ত্রীর সুস্থ স্বাভাবিক জীবন-যাপন নিশ্চিত করতে হবে যা একজন নারীকে গর্ভবতী হতে সাহায্য করে। অযথা মানসিক দু:শ্চিন্তা পরিহার করুন। অনেক সময় দেখা যায় কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা না থাকার পরও অনেকে গর্ভধারণ করতে পারছেন না। এই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে হবে।

৩. গর্ভধারনের জন্য সপ্তাহে অন্তত তিনবার যৌন মিলন: -

 মা হবার জন্য নিয়মিত যৌন মিলন খুবই জরুরী। ওভুলেশান কখন হবে তা হিসেব করে অনেক দম্পতি শুধুমাত্র সেসময় যৌন মিলনে আগ্রহী থাকেন। ওভুলেশানের সময় সঠিক ভাবে নির্ণয় করা অনেক সময় সম্ভব নাও হতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত তিন দিন স্বামী-স্ত্রীর মিলন গর্ভধারনের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়।

৪. ধুমপান, মদ্যপান এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকা: -

 কোন দম্পতি যদি ধূমপায়ী বা মদ্যপায়ী হয় বা স্বামী-স্ত্রীর কোন একজন যদি ধূমপায়ী বা মদ্যপায়ী হয় এই মুহূর্তে তা বর্জন করা উচিত। এসব বদভ্যাস গর্ভধারনে প্রভাব ফেলে । যথাযথ ডিম্ব নিষেকে বাধা দেয়। এটি গর্ভের সন্তানের জন্য অতিমাত্রায় ক্ষতিকর। তাছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, ক্যাফেইন মাসিক ঋতুস্রাব অনিয়মিত করে দেয় ফলে গর্ভধারণে বিলম্ব হয়। তাই উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন পরিহার করা উচিত।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রন:-

 স্বামী-স্ত্রীর অতিরিক্ত ওজন থাকলে প্রথমে তা নিয়ন্ত্রন করা উচিত। এরপর সন্তান গ্রহণের কথা চিন্তা করা উচিত। অতিরিক্ত ওজনের কারনে নারীদের অনেক সময় অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, ফলে চেষ্টা করেও সন্তান ধারণে বিলম্ব হয়। পুরুষের অতিরিক্ত ওজনের কারনে শুক্রানুর সংখ্যা ও পরিমানের তারতম্য দেখা দেয়। ফলে গর্ভধারনে সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই উভয়রেই ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। ওজন কম থাকলেও স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে হবে।

৬. সুস্বাস্থ্যের জন্য সুষম খাদ্য: -

 গর্ভধারনের জন্য স্বামী-স্ত্রীকে ওজন অবশ্যই সব ধরনের জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড, মসলাদার, চর্বি জাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলা উচিত। প্রতিদিন সুষম খাদ্য যেমন: সবুজ শাক-সব্জী, চর্বিহীন আমিষ এবং আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রচুর পরিমানে জল পান করতে। জল শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। ব্রকলি, ডিম, দুধ এবং প্রচুর পরিমানে মৌসুমি ফল প্রতিদিন খাবারের মেন্যুতে রাখা গেলে মায়ের পুষ্টির অভাব রোধ করা যাবে এবং ওজন সমস্যাও অনেকাংশে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভবপর হবে।

৭. ঋতুচক্র ক্যালেন্ডারের উপর নির্ভরশীল না হওয়া: -

মাসিক ঋজচক্রের ১৪ তম দিন মিলন করলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। যাদের মাসিক চক্র ২৮ দিনের তাদের ক্ষেত্রে এই হিসেবটি মিলতে পারে। কিন্তু এটি অনুমানমাত্র।অনেক নারীই ঠিক ১৪ তম দিনে ওভুলেট করেন না। কিন্তু আপনি যদি ওভুলেশান প্রিডিকশান কিট অথবা ডিম্ব নিঃস্বরনের কোন আলামত লক্ষ্য করে মিলন করেন তাহলে ভাল ফলাফল পেতে পারেন।

৮. ওভুলেশানের পুর্বে যৌন মিলন: -

স্বামী-স্ত্রী অনেকসময় ওভুলেশানের জন্য মিলনের সঠিক সময় নিয়ে দ্বিধাদন্দ্বে থাকেন। প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় হচ্ছে গর্ভধারনের জন্য সুসময়। নারীর ওভুলেশানের পর আনুমানিক ২৪ ঘন্টা তা জীবিত থাকতে পারে। অন্যদিকে পুরুষের শুক্রানু নারীর যৌনাঙ্গে প্রায় পাঁচ দিনের মত জীবিত থাকে। এ কারনে ওভুলেশানের ২/৩ দিন আগে যৌন মিলন করলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে বেশি। তাই ওভুলেশানের জন্য অপেক্ষা না করাই শ্রেয়।

৯. বয়সের দিকে লক্ষ্য রাখা: -

আমাদের এই ব্যস্ততম লাইফ স্টাইলে অনেক পরিবারেই দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকুরী করেন। নিজেদের প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য এত ব্যস্ত থাকেন যে সন্তান নেয়ার কথা মনেই থাকে না। কিন্তু বয়স কারো জন্য তো থেমে থাকে না। কাজেই যখন এসব দম্পতি যখন সন্তানের জন্য আকুল হন তখন দেখা যায় হয় বয়সের কারনে গর্ভধারনে সমস্যা হচ্ছে। কাজেই সন্তান নেয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রীর দুজনের বয়সের দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। প্রথম সন্তান নেয়ার জন্য নারীর বয়স অবশ্যই ১৮ এর বেশী এবং ৩০ অধিক হওয়া কখনও উচিত নয়। স্বামীকেও তার বয়সের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

১০. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসস্পর্ক থাকা: -

স্বামী-স্ত্রীর সুসস্পর্কই অনেক প্রতিবন্ধকতাই কাটিয়ে উঠা সম্ভব। গর্ভধারনের জন্য দুজনের মানসিক প্রস্তুতি, দুজনের ভালোবাসা, আন্ডারস্ট্যান্ডিং নানা শারীরিক ও মানসিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এবং গর্ভধারনের জন্য সঠিক প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১

সঙ্গী পরকীয়ায় জড়িয়েছে কি না বুঝে নিন ৫ লক্ষণে ?.


সঙ্গী পরকীয়ায় জড়িয়েছে কি না বুঝে নিন ৫ লক্ষণে ?.

 বিবাহিত জীবনে থেকেও অনেকেই পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, যা মোটেও কাম্য নয়। অনেকেই বছরের পর বছর এ ধরনের অনৈতিক সম্পর্ক টেনে নিয়ে যান। পরকীয়ার কারণে একটি সাজানো সংসার মুহূর্তেই ভেঙে যেতে পারে।

  আবার অনেকেই বাধ্য হয়ে ওই সংসার টেনে নিয়ে যান। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিছক কৌতূহল কিংবা দাম্পত্য জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়। যার পরিণতি হয় করুণ।

  সঙ্গী পরকীয়ায় জড়ালে স্বাভাবিকভাবেই অন্যজন মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা, হতাশা, একাকিত্বে ভোগেন। আবার অনেকেই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ভেবে নেন যে পরকীয়ায় মজেছেন সঙ্গী। এক্ষেত্রে সংসারে অশান্তি নেমে আসে।

  আপনার সঙ্গী যদি সত্যিই পরকীয়ায় জড়িয়ে থাকেন তাহলে ৫ লক্ষণেই টের পাবেন-

১) আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম নিয়ে কি হঠাৎই সঙ্গী অতিরিক্ত কৌতূহল দেখাচ্ছেন? আপনি কখন বাড়ি ফিরছেন, কখন কোথায় যাচ্ছেন তা ঘন ঘন জানতে চাইছেন? তাহলে বুঝতে হবে তিনি আপনার নজর এড়িয়ে কোনো কিছু করার চেষ্টা করছেন।

২) আবার হঠাৎ করেই যদি সঙ্গী সৌন্দর্য সচেতন হয়ে ওঠেন, তাহলেও চিন্তার বিষয়। হঠাৎই যদি তিনি শরীরের গঠন, সাজ ও সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী হন, তাহলে সতর্ক থাকুন।

৩) হঠাৎই যদি দেখেন সঙ্গী যৌনতার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন, তাহলে সতর্ক থাকুন। যদিও বিভিন্ন চাপে থাকার কারণে মাঝে মধ্যে এমনটি হতে পারে। তবে নিয়মিত যদি এমনটি ঘটে তাহলে নড়েচড়ে বসুন।

৪) যদি ইদানীং নতুন কোনো নাম সঙ্গীর মুখে বারবার শোনেন তাহলে বিষয়টি কিন্তুর হতে পারে। এটি যে শুধু পরকীয়ার কারণেই ঘটে তা কিন্তু নয়। তাই সতর্ক হয়েই খোঁজ নিন।

৫) আপনাকে রেখেও যদি দেখেন সঙ্গী আচমকাই ফোন বা ইন্টারনেটে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন সেটিও চিন্তার কারণ হতে পারে।

প্রায়ই যদি তিনি একা থাকতে চান বা কোনো বিষয় এড়িয়ে যান তাহলে বুঝবেন তিনি কিছু আড়াল করতে চাচ্ছেন।

তবে এসব লক্ষণ যে সব সময় সঙ্গী পরকীয়ায় মত্ত হলেই ঘটবে এমনটি নয়। তাই সতর্ক থেকে নিশ্চিত হয়ে তবেই পরকীয়ার বিষয়টি উদ্ঘাটন করুন।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

যে বয়সের আগে বিয়ে করলে ঝগড়া হবে বেশি ?.


যে বয়সের আগে বিয়ে করলে ঝগড়া হবে বেশি ?.

  দাম্পত্য কলহ সব সংসারেই কমবেশি হয়। তবে অনেক পরিবারেই দাম্পত্য কলহ বেশি দেখা যায়। এর ফলে বিভিন্ন অঘটনও ঘটে। তবে এর কারণ কী শুধুই সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি নাকি সব দোষ বয়সের? আসলে বিয়ে উপযুক্ত বয়সে না হলে সংসারে অশান্তির পরিমাণও বেড়ে যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদিও কোন বয়সে বিয়ে করবেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

  তবে বিয়ে কতটা সফল হবে, তা কিন্তু নির্ভর করে সঙ্গীর সঙ্গে আপনার ঘনিষ্ঠতা ও বোঝাপড়া কতটুকু সেটার উপর। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, গণিতবিদরা একটি ফর্মুলা বের করেছেন, যা বলে দিতে পারবে কোন বয়স বিয়ের জন্য উপযুক্ত ও সেরা সময়।

  ফর্মুলাটি কী? টম গ্রিফিথ্স ও ব্রায়ান ক্রিশচিয়ান তাদের বইয়ে ‘অ্যালগোরিদমস টু লিভ বাই: দ্য কম্পিউটার সায়েন্স অব হিউম্যান ডিসিশনস' এমন একটি ফর্মুলার কথা উল্লেখ করেছেন।

  যে ফর্মুলা জানান দেবে কোন বয়স বিয়ের জন্য সঠিক সময়। তাদের ফর্মুলা অনুযায়ী, ২৬ বছর বয়সে বিয়ে করলে সবচেয়ে বেশি সফল হবে সেই বিয়ে। এ বয়সের আগেই যাদের বিয়ে হয়, তাদের দাম্পত্য কলহও বেশি হয়।

  এই ফর্মুলার পেছনের যুক্তিও ভিন্ন। ধরুন, আপনার লক্ষ্য হলো ৪০ বছরের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু কাজ শেষ করে ফেলবেন। আপনি যদি নির্ধারিত লক্ষ্যের ৩৭ শতাংশও শেষ করতে পারেন, তখনই বিয়ে করা উচিত। এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।

  তবে ২৬ বছর বয়সের আগে বিয়ে করলে কী হবে? এ বিষয়ে টম ও ব্রায়ানের মত, ২৬ বছরের আগে বিয়ে করলে সেই দম্পতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝগড়া হবে। বিভিন্ন বিষয়ে তর্ক লেগেই থাকবে।

  তবে অনেকেই এই থিওরি মানতে নারাজ। তাদের মতে, ২০-৮০ বছর বয়সের মধ্যে সবার জীবনেই পরিবর্তন আসে। পছন্দ-অপছন্দ বদলে যেতে পারে ২৬ বছরের পরও।

  তাই অন্য দলের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ২৮-৩২ বছরের মধ্যে বিয়ে করলে দীর্ঘস্থায়ী হবে বিবাহিত জীবন। একইসঙ্গে সুখীও হবে ওই জুটি।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

স্বামীর ভালো রোজগারই কি সফল দাম্পত্যের চাবিকাঠি ?.


স্বামীর ভালো রোজগারই কি সফল দাম্পত্যের চাবিকাঠি ?.

  সব অভিভাবকেরাই চান যেন তাদের কন্যার ভালো ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। এতে বৈবাহিক জীবন সুখের হয়। কারণ যে সংসারে অর্থাভাব থাকে ও স্বামী বেকার হন, সেখানে দৈনিক হাজারও সমস্যা লেগে থাকে।

  যদিও অনেকেরই অভিযোগ আছে, অর্থ কখনো সুখ আনতে পারে না। আবার এটিও সত্যি যে, অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।

  মার্কিন বিশেষজ্ঞরাও এ বিষয়ে একমত। তাদের মতে, স্বামীর মোটা মাইনেই নাকি সফল বৈবাহিক জীবনের চাবিকাঠি! প্রায় ৬ হাজার ৩০০ জনের উপরে সমীক্ষা চালানোর পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।

  স্বামী যদি অনেক টাকার মালিক হন, তাহলে বৈবাবিক জীবনে নানা সমস্যা দানা বাঁধার আশঙ্কা যে কিছুটা হলেও কমে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। সমস্যা হয় সেখানেই, যেখানে বরের কোনো চাকরি নেই অথবা চাকরির হাল বেহাল। প্রতি মাসের রোজগার কম হলেও নাকি সমস্যার শেষ থাকে না, এমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

  তবে কেন এমন ঘটনা ঘটে? বর্তমান সময়ের সব সম্পর্কই চাহিদা-যোগানের ভারসাম্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যদিও এখন নারীরাও পুরুষের সঙ্গে সমানতালে কর্মক্ষেত্রে বিচরণ করছেন, তবুও অনেক নারী আজও আর্থিকভাবে স্বাধীন নন। তাই বৈবাহিক জীবনের স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে স্বামীর রোজগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

  গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, দু’জনের মধ্যে একজন যদি ভালো মানের চাকরি করেন, তাহলেও অশান্তি হয়। কারণ যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীর চেয়ে বেশি টাকা রোজগার করেন, তাহলে স্বামী নিজেকে ছোট মনে করেন। এমনকি পারিপার্শ্বিক মানুষের নানা কথাও শুনতে হয় ওই স্বামীকে। সব মিলিয়ে স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।

  উথাহ স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা আরও একটি স্টাডি অনুসারে, অধিকাংশ নারীই নাকি মোটা টাকা রোপজগার করা ছেলেদের সঙ্গে ডেটে যেতে একটু বেশিই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। আসলে আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক গুরুতবপূর্ণ।

  আর সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই সম্পর্ক গড়তে চান অনেকেই। তাই বলে যে প্রেম বা ভালোবাসার মূল্য নেই, তা কিন্তু নয়। বাল্যপ্রেম কিংবা কলেজে প্রেম, এসব বিষয়ের অস্তিত্ব হয়তো আজও আছে, তবে ধীরে-ধীরে মানুষ বাস্তবধর্মী হতে চাইছে, এটিও সত্য। আসলে বৈবাহিক সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে ভালবাসাই শেষ কথা হওয়া উচিত। তবে ভালোবাসার পাশাপাশি সংসার সুখের করতে অর্থও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাহলে কি সঙ্গীর অনেক মোটা টাকার রোজগার না থাকলে সম্পর্ক টিকবে না?

অবশ্যই টিকবে, তবে সবটাই নির্ভর করছে চাহিদার উপর। এমনও অনেক দম্পতি আছেন, যারা দুজনেই অল্পতেই তুষ্ট। স্বামী কতটা রোজগার করছেন তা স্ত্রীকে ভাবায় না।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১

জীবনে খারাপ সময় আসবেই, ভেঙে না পড়ে এই ১০টি কথা মনে রাখুন ।


জীবনে খারাপ সময় আসবেই, ভেঙে না পড়ে এই ১০টি কথা মনে রাখুন ।

  সাফল্য অর্জনের দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার সময় আমরা এমন অবস্থার সম্মুখীন ও হই যখন আমাদের সাথে সব কিছু খারাপ হয়। অবস্থাটা খানিকটা এমন “অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়!” আর জীবনের এই কঠিন সময়টাতে আপনি যদি নিজেকে সামলে রাখতে না পারেন তাহলে এই অবস্থার মধ্য থেকে কখনোই বের হয়ে আসতে পারবেন না। তাই আজ আপনাদের বলবো আপনার সাথে যখন সব কিছু খারাপ আর ভুল হয় তখন যে বিষয়গুলো সব সময় মনে রাখবেন।

১. জীবনে সবকিছু সাময়িক:-

   বৃষ্টি ঝরতে তো সবাই দেখেছেন। কখনো কি এমনটা দেখেছেন আজীবনের জন্য বৃষ্টি ঝরা শুরু হয়েছে? ঠিক একইভাবে জীবনে কোনকিছুই দীর্ঘস্থায়ী হয়না। তাই আপনার জীবনের খারাপ সময় গুলোতে দিশেহারা হবেন না। বিশ্বাস করুন যে এই সময়ের শেষও আছে।

২. দুশ্চিন্তা ও দোষারোপ কোনটাই কিছু বদলাতে পারেনা:-

   এমন অনেকেই আছেন যে তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটলেই তারা ঠিক কাউকে বা নিজেকে দোষারোপ করবে। কিংবা দুশ্চিন্তা করে খারাপ সময় আরও খারাপ করে তুলবে। কথা হচ্ছে আপনি একটি বারও কি ভেবে দেখেছেন আপনার এই আচরণ আপনার সমস্যা সমাধানে কতটুকু সাহায্য করেছে? তাই আর দোষারোপ বা দুশ্চিন্তা নয় বরং এই অবস্থায় নিজেকে সামলে রাখুন।

৩. কিছু জিনিস ঠিকই সঠিক হচ্ছে:-

   অন্ধকারের শেষে যেমন আলো লুকায়িত থাকে একইভাবে আপনার খারাপ সময় গুলোর পেছনে নিশ্চয় সঠিক কিছু ঘটছে। এখানে আপনাকে শুধু একটু আপনার সহ্যশক্তি বাড়াতে হবে। আর তাই এমন সময়ে শুধুমাত্র খারাপ জিনিসের প্রতি লক্ষ্য না করে দেখুন কি ভালো ঘটছে আপনার জন্য সেটা সামান্য পরিমাণই হোক না কেন।

৪. আপনি এটা সামলাতে পারেন:-

   সময় যত খারাপই হোক না কেন আপনি সব সময় এটি বিশ্বাস করুন যে আপনি এটা সামলাতে পারেন। জীবন আপনার আর সমস্যাও আপনার তাই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার উপায়ও আপনাকেই জানতে হবে। তাই নিজের প্রতি বিশ্বাস কখনো হারাবেন না।

৫. আপনার নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে:-

   যখন সবকিছু আপনার সাথে খারাপ হয় তখন নিজের প্রতি যত্নবান হন। কেননা এই খারাপ সময়ের সবটা আপনাকেই অতিক্রম করতে হবে। আর নিজেই যদি ঠিক না থাকেন তাহলে এই সময় শেষ হওয়ার আগেই হয়তো আপনি নিজেই শেষ হয়ে যাবেন। তাই ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করার পাশাপাশি বিশ্রাম করুন ও আপনার প্রিয় মানুষগুলোর সাথে সময় অতিবাহিত করুন।

৬. আবেগ ধরে রাখবেন না:-

   বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে নিজের আবেগ লুকানোর প্রবণতাটা বেশি দেখা যায়। যত কষ্টই আসুক তা তারা নিজের মধ্যেই চেপে রাখেন। এর ফল হয় মারাত্মক। মানসিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে আত্মহত্যা পর্যন্ত গড়ায় এর পরিণতি। তাই কঠিন সময় গুলোতে নিজের আবেগ চেপে রাখবেন না। পরিবার বা কাছের বন্ধুদের সাহায্য নিন। সময় বয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠবেন আপনি।

৭. খারাপ সময়কে মেনে নিন, এগিয়ে চলুন সামনে: -

  মানুষের জীবনে ভাল এবং খারাপ দুরকম সময়ই আসে। তাই ভালর পাশাপাশি খা’রাপকেও মেনে নিতে শিখুন। ভেঙ্গে না পড়ে সামনে এগিয়ে যান। যত তাড়াতাড়ি আপনি নিজের খারাপ সময়টিকে মেনে নিতে পারবেন, তা থেকে মুক্তি পাওয়া ততই সহজ হবে।

৮. ইতিবাচক চিন্তা করুন:-

  ইতিবাচক চিন্তা জীবনের দুঃসময় পার করার অন্যতম হাতিয়ার। কখনোই আশা হারাবেন না। চাকরি চলে গেলে নিজেকে বোঝান নিশ্চয় এর চেয়ে ভাল চাকরি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, প্রিয়জন ছেড়ে চলে গেলে নিজেকে জানান, আপনার জন্য আসলেই উপযুক্ত এমন কারো দিকে এক পা এগিয়ে গেছেন।

৯. ভুলগুলো নিয়ে না ভেবে সঠিক পরিকল্পনা করুন:-

  আপনি কি হারিয়েছেন, কেন হারিয়েছেন, সেসব থাকলে কত ভালো হত এসব চিন্তা না করে ভবিষ্যতে আপনার কি কি অর্জন করার সম্ভাবনা আছে তা ভাবুন এবং সে অনুযায়ী নিজে তৈরি করুন। যা হারিয়েছেন তার জন্য অভিযোগ না করে পুনরায় ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করুন।

১০. শিক্ষা নিন কঠিন সময়গুলো থেকে:-

 জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলো থেকে শিক্ষা নিন। চাকরি হারানো, আর্থিক সমস্যা, শারীরিক অসুস্থতার সময় গুলোতেই বোঝা যায় আসলেই কে আপনার আপনজন আর কে আপনার সাথে এতদিন অভিনয় করছিলো। এ শিক্ষা আপনাকে আজীবন সঠিক পথে চলতে সাহায্য করবে। তাই জীবনের কঠিন সময় গুলোকে অভিশাপ নয় বরং আশীর্বাদ হিসেবে দেখুন।

  কথায় আছে “যে সহে সে রহে।” জীবনের এক একটি খারাপ সময়কে আপনার জীবনের সাফল্যর একেকটা সিঁড়ি ভাবুন। দেখবেন আপনি খুব সহজেই খারাপ সময় পার করে দিতে পারবেন।

(আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

নারকেল তেল দিয়ে অসাধারণ কিছু বিউটি প্রোডাক্ট গুলি কি কি ?.


নারকেল তেল দিয়ে অসাধারণ কিছু বিউটি প্রোডাক্ট গুলি কি কি ?.

  চুলের যত্নে নারকেল তেলের ব্যবহার আমরা জানি। কিন্তু এই সাধারণ নারকেল তেল দিয়ে চুলের যত্নে ব্যবহার ছাড়াও বিউটি প্রোডাক্ট তৈরি করা যায়। নারকেল তেল ত্বকের(Skin) যত্নে যেমনি ব্যবহার করা যায় তেমনি আপনার প্রতিদিনের সাজের সঙ্গীও হয়ে দাড়ায়! কীভাবে? 

  আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই আজকের লেখনি। নিচে নারকেল তেল দিয়ে এমন সব বিউটি প্রোডাক্ট তৈরির উপায় তুলে ধরা হল যা আপনি নিজেই আরও কিছু উপাদান যোগার করে কম খরচে আর অল্প সময়েই তৈরি করে নিতে পারবেন।  

চোখের সাজে আই লাইনার

উপকরণ

⇒ ২ চা চামচ নারকেল তেল

⇒ ২ চা চামচ অ্যালভেরা জেল

⇒ ১-২ Activate Charcoal ক্যাপসুল (কালো লাইনার)

⇒ অথবা ১/২ চা চামচ Cocoa Powder(ব্রাউন লাইনার)   

প্রণালী

– সবগুলো উপাদান একসাথে একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন।

– পছন্দ অনুযায়ী ব্ল্যাক লাইনারের জন্য Activate Charcoal আর ব্রাউন লাইনারের জন্য Cocoa Powder।

– এবার একটি এয়ারটাইট জারে মিশ্রণটি ঢেলে নিলেই তৈরি হয়ে গেল আই লাইনার।    

দাঁতের যত্নে টুথপেস্ট

উপকরণ

⇒ ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল

⇒ ৬ টেবিল চামচ বেকিং সোডা

⇒ ১০ ফোটা মিন্ট অয়েল

⇒ ১/২ চা চামচ মিহি সি সল্ট 

প্রণালী

– সব উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে নিন।

– খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ পর্যন্ত সব কম্বিনেশন মিলে একটি ক্রিমি মিশ্রণে রূপ না নিচ্ছে।

– একটি কাচের জারে আপনার তৈরি করা টুথপেস্ট(Toothpaste) রেখে ব্যবহার করুন।  

ঠোঁটের যত্নে লিপ বাম

উপকরণ

⇒ ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল

⇒ ১ টেবিল চামচ প্রাকৃতিক মোম

⇒ ১ চা চামচ অলিভ অয়েল

⇒ অথবা ১ চা চামচ রেড পাম অয়েল

প্রণালী

– হলুদ রংয়ের জন্য অলিভ অয়েল আর লাল/ কমলা রংয়ের লিপ বামের জন্য রেড পাম অয়েল

– একটি কাচের পাত্রে সব উপকরণ নিয়ে নিন।

– চুলায় আঁচ বাড়িয়ে দিয়ে একটি বড় পাত্রে পানি নিয়ে তার উপর কাচের পাত্রটি রেখে জাল দিন। 

– চুলার আঁচে সব উপকরণ গলে একসাথে মিশে যাবে।

– এবার যে পাত্রে রাখতে চান সেটাতে ঢেলে নিন।

– ঠাণ্ডা হতে সময় দিন। এরপর ঠোঁটে প্রতিদিন এপ্লাই করুন।    

হ্যান্ড স্ক্রাব

উপকরণ

⇒ ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল

⇒ ২ টেবিল চামচ মধু

⇒ ১/৪ কাপ সি সল্ট

⇒ ১/৪ কাপ চিনি

⇒ ১ টেবিল চামচ লেবুর রস

প্রণালী

– প্রথম দুটি উপাদান অর্থাৎ নারকেল তেল(Coconut oil) এবং মধু একটি পাত্রে নিন।

– বাকি উপাদান আরেকটি পাত্রে নিয়ে ততক্ষন পর্যন্ত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত ক্রিমের মতো হয়।

– এবার সল্ট লবণ লেবুর রসের ক্রিমি পেস্টটি মধুআর নারকেল তেলের মিশ্রনে ঢেলে মিশিয়ে নিন।

– কাচের পাত্রে এই স্ক্রাবারটি রেখে ব্যবহার করুন।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)