বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১

অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলি কি কি ?.


অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলি কি কি ?.

  অন্যান্য অঙ্গের চাইতে মুখের লোম বেশি চোখে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে হরমোনের প্রভাবে মেয়েদেরও মুখে বড় বড় লোম দেখা যায়, যা বেশ অস্বস্তিকর। থ্রেডিং, ওয়াক্সিংয়ের মাধ্যমে লোম তুললে অনেক সময় ত্বকের(Skin) ক্ষতি হয়। ব্যথাও পেতে হয় বেশ। এছাড়া বাজারের ‘হেয়ার রিমুভাল ক্রিম’ অথবা ওয়াক্সিং উপাদানগুলো নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই ব্যবহার করতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি লোমনাশক মিশ্রণ। 

লেবু ও মধুর মিশ্রণ: প্রথমে দুই টেবিল-চামচ চিনি এবং সমপরিমাণ লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু(Honey) মিশিয়ে নিন। তিন মিনিট মিশ্রণটি গরম করে নিন যেন চিনি গলে মিশে যায়। বেশি ঘন হয়ে গেলে অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়ে মিশ্রণটি পাতলা করে নিন।

এরপর ঠাণ্ডা করে সঙ্গে কর্নস্টার্চ বা ময়দা মিশিয়ে নিন পরিমাণ বুঝে। ত্বকে সমানভাবে এক পরত লাগিয়ে নিন।

উপরে ওয়াক্সিং স্ট্রিপ লাগিয়ে লোম যেদিকে বড় হয় এর অপর দিকে টেনে তুলে ফেলুন। ঘরোয়া এই মিশ্রণ ত্বকের কোনো ক্ষতি করবে না এবং লোমও উঠে আসবে।

ওটমিল ও কলা: দুই টেবিল-চামচ ওটমিল(Oatmeal) এবং একটি পাকাকলা ব্লেন্ড (blend) করে নিন। ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট মালিশ করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ওটমিলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের মৃতকোষ এবং লালচেভাব দূর করে। নিয়মিত এই মিশ্রণ ত্বকে মালিশ করার ফলে লোম দূর হয়।

পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করতেও এই মাস্ক বেশ উপকারী।

চিনি ও লেবুর রস: দুই টেবিল চামচ চিনি এবং একটি লেবুর রস(Lemon juice) আট থেকে নয় টেবিল-চামচ পানিতে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি গরম করতে হবে। ফুটে উঠলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পাতলা পরতে পুরো ত্বকে মেখে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানি হালকা হাতে ঘুরিয়ে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন।

চিনি প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে আর হালকা গরমে চিনি আঠালো হয়ে যায় যা ত্বকের লোমের সঙ্গে আটকে থাকে। তাই মালিশের সময় তা লোম তুলে আনে। অন্যদিকে লেবুতে রয়েছে প্রকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

আলু ও ডাল: পাঁচ টেবিল-চামচ আলুর রসের(Potato juice) সঙ্গে এক টেবিল-চামচ মধু ও সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার আগে থেকেই সারা রাত ভিজিয়ে রাখা ডাল ব্লেন্ড (blend) করে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন। এর সঙ্গে আলুর রসের মিশ্রণটি মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ভেজা হাতে হালকাভাবে লোম যেদিকে বড় হয় তার উল্টো দিকে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন।

এই মাস্ক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের লোম কমতে থাকে এবং আলুর রস ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।  

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

ফর্সা হতে ঘরে কিভাবে তৈরি করবেন নাইট ক্রিম ?.


ফর্সা হতে ঘরে কিভাবে তৈরি করবেন নাইট ক্রিম ?.

  কে না চায় ফর্সা (fair) হতে। অনেকেই ব্যবহার করছেন বাজারে থাকা নানা রং ফর্সা(fair)কারী ক্রিম ও নাইট ক্রিম। তবে এই সব ক্রিমে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক উপাদান থাকার কারনে ত্বকে র‍্যাশ, এলার্জি, চামড়া জলে যাওয়া, পশম ওঠা এমন কি চামড়া ওঠার মতন সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। আজ আপনাদের দেখাবো কিভাবে সম্পূর্ন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি একটি নাইট ক্রিম (cream) আপনাদের ত্বক ফর্সা (fair)করে। তো আসুন দেখে নেই।    

নাইট ক্রিম (cream) বানাতে যা যা লাগছে – ৭-৮টি কাঠ বাদাম (আমন্ড), ও ৭-৮টি পেস্তা বাদাম

 সারা রাত বাদাম গুলো একটি বাটিতে পানি দিয়ে তার ভেতর ভিজিয়ে রাখুন। তাতে কি হবে বাদাম গুলো নরম হয়ে আসবে। বাদামের চামড়া উঠিয়ে ফেলতে সুবিধা হবে। বাদাম ভিজে গেলে সাবধানতার বাদাম গুলোর ছাল তুলে ফেলুন। এবার ব্লেন্ডারে বাদাম গুলো দিয়ে দিন। তার সাথে দিয়ে দিন ১টুকরা কাঁচা হলুদ। এর সাথে দিবেন ২চা চামচ গোলাপজল।

 এবার ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। অনেক সময় ধরে একদম মিহি করে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্ট হয়ে গেলে এতে দিয়ে দিন ২ চা চামচ টক দই। এবং ১ চা চামচ লেবুর রস। এর সাথে দেবেন ১ চা চামচ আমন্ড অয়েল। বাজারে নানা কোম্পানির আমন্ড oil পাওয়া যায়। তবে আমি বাজাজ আমন্ড অয়েল ব্যবহার করেছি। তবে যদি আপনাদের ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমন্ড অয়েল দেওয়ার দরকার নেই। এবার এই মিশ্রনের সাথে দিয়ে দিন ২টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল। আবার এই মিশ্রণটিকে ব্লেন্ড করে নিন। 

 ব্লেন্ড হয়ে গেলে একটি পরিস্কার খালি কৌটায় ক্রিম (cream) নিয়ে নিন। এই ক্রিম (cream) ফ্রিজে ৭ দিন পর্যন্ত রাখতে পারবেন। তবে অবশ্যই নরমালে রাখবেন।

 ব্যবহারের প্রনালী – প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে ফেস ওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে তার পর এই ক্রিমটি (cream) নিয়ে খুব ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে। পুরো মুখে ভালো ভাবে মাখাতে হবে। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে টানা ১৫ দিন ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল। 

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

শীতে শরীর ও মন ভালো রাখতে কোন কোন খাবার খাবেন ?.


 শীতে শরীর ও মন ভালো রাখতে কোন কোন খাবার খাবেন ?.

প্রতিটি ঋতু যেমন শরীরকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে তেমনি সেই প্রভাবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শরীরের চাহিদা পরিবর্তন হওয়াটাই যৌক্তিক। ‘দ্য নিউট্রিশন টুইনস’ এবং ‘টোয়েন্টিওয়ান-ডে বডি রিবুট’য়ের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের যমজ পুষ্টিবিদ বোন ট্যামি লাকাটোস ও ল্যাসি লাকাটোস ‘ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “গ্রীষ্মের দিনগুলোতে আমরা লম্বা সময় ঘরের বাইরে থাকি, ত্বকের সরাসরি রোদ লাগে। গ্রীষ্মকালে সূর্যের তেজও থাকে বেশি। ফলে শরীর সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি’র যোগান পায়। শীতকালে সূর্যের তেজ কম। ফলে শীতকালে ভিটামিন ডি’র যোগানে কমতি দেখা দেয়।

“পাশাপাশি আমাদের শরীর‘থার্মোরিজেনারেশন’য়ে সক্রিয়। আর এই প্রক্রিয়া হল শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখা। শীতকালে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে বেশি শক্তি খরচ হয়। আর সেই বাড়তি শক্তি যোগাতে চাই বাড়তি খাবার।”

“অপরদিকে গ্রীষ্মকালে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অনেক ‘ইলেক্ট্রোলাইট’ বেরিয়ে যায়, শীতকালে তা হয় না। তাই শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে ‘ইলেক্ট্রোলাইট‘য়ের চাহিদা বেশি থাকে।”

শীতকালে দিন ছোট, রাত বড়। ফলে সতেজ বাতাস এই ঋতুতে মেলে কম। ‘দ্য নিউট্রিশন টুইনস’য়ের মতে, “শীতকালে দিনের পরিমাণ কম। আবার ঘরের মধ্যে আলো বাতাস চলাচল যতই ভালো হোক তা বাইরের মতো কখনই হয় না। আর ঘরে অন্যান্য মানুষের সংস্পর্শে আসা হয় বেশি। এই দুইয়ে মিলে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা শীতকালে বেশি। তাই এই ঋতুতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবার খাওয়া দরকার বেশি পরিমাণে।

সংস্থাটি আরও জানায়, “ঘরে থাকলেও ‘অভ্যন্তরীণ দূষণ’য়ে শিকার হওয়া আশঙ্কা থাকে। যে কারণে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ আরও অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এগুলো থেকে বাঁচতেও শীতকালে চাই বাড়তি সতর্কতা।”

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক পুষ্টিবিদ মিয়া সিন বলেন, “ঋতুর পরির্তনের কারণে মানুষের খাবার খাওয়ার ধরনেও পরিবর্তন দেখা যায়। বিশেষ করে যারা মৌসুমি খাবার খেতে পছন্দ করেন। কাঁচাবাজারে কী পাওয়া যাবে সেটাও মৌসুমি ফসলের সঙ্গে তাল মিলিয়েই বদলায়। শীতকালে শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখার জন্য শরীর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া তাগিদ দেয়।”

তো শীতকালে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়তে কোন খাবারগুলো বেছে নেবেন? 

পুষ্টিবিদদের পরামর্শের আলোকে জানানো হল সে সম্পর্কে।

ভিটামিন ডি’র প্রতি মনযোগ দিতে হবে। ‘দ্য নিউট্রিশন টুইনস’য়ের মতে, “ভিটামিন ডি শরীরে জরুরি। কারণ এটি ছাড়া শরীর ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে না। ক্যালসিয়াম না পেলে হাড় হবে দুর্বল। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার রোগ তো হয়ই, কয়েক ধরনের ক্যান্সার, ‘আলৎঝাইমারস’, ‘অটোইমিউন’ রোগ, প্রদাহ ইত্যাদিও দেখা দেয়।”

“ভিটামিন ডি’র যোগান নিশ্চিত করতে বেছে নিতে হবে চর্বিওয়ালা মাছ, ডিম, বৃক্কের মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, কমলার রস, সয়া দুধ, সিরিয়াল ইত্যাদি। এই ভিটামিনের অভাব থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি ‘সাপ্লিমেন্ট’ নিতে হবে।”

শীতের ত্বকের অস্বস্তি কমাতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড

‘দ্য নিউট্রিশন টুইনস’য়ের দাবি, রক্তচাপ ও ‘ট্রাইগ্লিসারাইড’য়ের মাত্রা কমায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। রক্তনালীতে যে ‘প্লাক’ জমে, সেটাও রোধ করে এই উপাদান। ফলে কমায় ‘হার্ট অ্যাটাক’ ও ‘স্ট্রোক’য়ের ঝুঁকি। 

আর শীতকালে ত্বক খসখসে হয়, চামড়া ওঠে, চুলকায়, প্রচণ্ড শুষ্ক হয় যায় ত্বক। এই সবগুলো অস্বস্তির জন্যই উপকারী ওই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। 

প্রদাহ রোধ করা, ত্বকের জৈবিক তেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা, ত্বকের অস্বস্তি কমানো ও ত্বক নরম করা ইত্যাদি সবই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার উপকারিতার মধ্যে পড়ে।

বিভিন্ন ধরনের মাছ, ‘ফ্লাক্সসিড’, ‘শিয়া সিড’, কাঠবাদাম ইত্যাদি ওমেগা থ্রি’র আদর্শ উৎস।

মৌসুমি রোগ দমাতে ভিটামিন সি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করে ভিটামিন সি।

‘দ্য নিউট্রিশন টুইন’ বলছে, “ভিটামিন সি মৌসুমি রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় কি-না সে ব্যাপারে পরস্পর বিপরীতমুখী মতামতের প্রচলন আছে। তবে এই ভিটামিন যে সর্দি জ্বরের তীব্রতা কমায় এবং অল্প সময়ে সুস্থ করে তোলে একথা প্রমাণীত।

‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ হিসেবে ভিটামিন সি অত্যন্ত সক্রিয়, যা মুক্তমৌলের ক্ষতি থেকে বাঁচায়। ফলে কোষ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়, প্রদাহের আশঙ্কা কমে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 

কমলা, আঙুর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, ‘ব্রাসেল স্প্রাউট’ ইত্যাদি ভিটামিন সি’র উল্লেখযোগ্য উৎস।

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আর আঁশ

মিয়া সিন বলছেন, “শীতের আমেজ আর বিভিন্ন উৎসবের মিলিত প্রভাবে এসময়ে মানুষের মাংস এবং ভারি খাবার বেশি খাওয়া হয়। এই খাবারগুলো সুস্বাদু হলেও হঠাৎ এই পরিবর্তন ডেকে আনে হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য।”

এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে খাদ্যাভ্যাসে থাকতে হবে প্রোটিন ও ভোজ্য আঁশ। আর দুটোই আসতে হবে উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে।

বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি সুপ, ডাল, মটরশুঁটিসহ অন্যান্য সকল সবজিই হতে পারে সুস্বাদু খাবারের পদ।

পর্যাপ্ত পানি

শীতকালে পানি পানের পরিমাণ কমে যায় অনেকটা। তবে এসময় শরীরে আরও বেশি পানি প্রয়োজন।

মিয়া সিন বলেন, “গ্রীষ্মে ঘামের সঙ্গে অনেক পানি বেরিয়ে যায়, শীতকালে ঘাম না হলেও শরীর প্রায় একই পরিমাণ পানি হারায়। কারণ এই ঋতুতে আবহাওয়ার আর্দ্রতা কম, মূত্রবিয়োগ হয় বেশি এবং পানির পানের তাগিদ অনুভব হয় না।”

“তাই পানি পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। যেসব খাবারে পানির মাত্রা বেশি সেগুলো বেশি খেলেও উপকার মিলবে।”

ভিটামিন কে-টু

মিয়া সিন বলেন, “অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে এই ভিটামিন পায় না। হাতেগোনা কয়েকটি খাবারে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন কে-টু পাওয়া যায়। আর থাকে কিছু ‘ফার্মেন্টেড’ খাবারে।

কেউ যদি ভিটামিন ডি ‘সাপ্লিমেন্ট’ নেন, তবে তার সঙ্গে ভিটামিন কে টু’র ‘সাপ্লিমেন্ট’ও নেওয়া উচিত। শরীরের ক্যালসিয়ামের সুষম বন্টনের কাজ করে এভিটামিন।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

রুক্ষ চুলকে সিল্কি করার সহজ ঘরোয়া উপায় কি কি ?.


রুক্ষ চুলকে সিল্কি করার সহজ ঘরোয়া উপায় কি কি ?.

চুলের রুক্ষতা নিয়ে মাথা খারাপ করছেন? তাহলে শুনুন বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই, তাতে চুল সিল্কি হবে না। বরং ট্রাই করুন আজকের দুটি হেয়ার প্যাক আর কিছু টিপস। দেখবেন এক সপ্তাহে চুল রেশমের মত নরম ও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তাহলে পড়ে নিন আজকের লেখা।

পলিউসান, রোদের তেজ, ধুলোবালির জন্য আজকাল প্রায় রোজ শ্যাম্পু না করে বাইরে বের হওয়া যায় না। রোজ রোজ শ্যাম্পু করার ফলে চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হতে থাকে। যা থেকে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ ও প্রাণহীন। তাই নিয়মিত কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখুন।

তেল মালিশ

শ্যাম্পু না করে যখন থাকতে পারেন না তখন প্রায় সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার নারকেল তেল দিয়ে ভালো করে চুল মালিশ করুন। স্নানের ১ ঘণ্টা আগে চুলে তেল লাগিয়ে নিন তারপর শ্যাম্পু করে নিন। আর যদি ঠাণ্ডা লাগার ধাত না থাকে, তাহলে রাতে চুলে তেল লাগিয়ে শুয়ে পরুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন।চুলের পুষ্টির জন্য খুবই উপকারি এটি।

ড্রাই শ্যাম্পু

রোজ রোজ শ্যাম্পু না করে মাঝে মাঝে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এটি করার জন্য চুলে জল ঢালার দরকার নেই। যখন খুশি এটা করা যায়। চুল সিল্কিও থাকে আর কোন রকম ক্ষতিও নেই এতে। ভাবছেন কি এই ড্রাই শ্যাম্পু? কোথায় পাবেন? দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। আজকাল অনলাইনে পেয়ে যাবেন। তবে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন খুব সহজেই। নীচের লিঙ্কে দেখে নিন কিভাবে বানাবেন আর কিভাবে ব্যবহার করবেন তার ভিডিও দেওয়া আছে।

এক নম্বর হেয়ার প্যাক

এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে দুদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।

উপকরন:

পাকা কলা একটা

মধু ২ চা চামচ

হাফ বাটি টকদই

পদ্ধতি:

সাধারণ চুলের পরিমানে একটি কলাতে প্যাক বানানো যায়। যদি আপনার চুল খুবই লম্বা হয় তাহলে চুলের মাপ অনুযায়ী কলা যোগ করতে পারেন। প্রথমে কলার পেস্ট বানান। এবার সাথে মধু ও দই ভালো করে মিশিয়ে নিন।

তিনটি উপকরন মেশানো হয়ে গেলে ১৫ মিনিট পর চুলে হেয়ার প্যাকটি লাগাতে শুরু করুন। এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে দুদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।

দুই নম্বর হেয়ার প্যাক

এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে তিনদিন করে ব্যবহার করবেন। এক ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।

উপকরন:

কাঁচা ডিম দুটো

২ চা চামচ

একটা পাতিলেবুর রস

নারকেল তেল ৩ চা চামচ

পদ্ধতি:

প্রথমে ডিম ফাটিয়ে ডিমের হলুদ অংশ বাদ দিয়ে দিন। এবার একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিন। একে একে মধু, লেবুর রস, নারকেল তেল মেশান। এবার ভালো করে সারা চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

হাতে কাজ না থাকলে আমাদের হোম পেজে অন্যান্য লেখা পড়তে পারেন। চুল শুকিয়ে এলে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। প্যাকটিতে ডিম থাকায় মাথা দিয়ে ডিমের বাজে গন্ধ আসবে। তাই যতক্ষণ না ডিমের গন্ধ যাচ্ছে ততক্ষণ শ্যাম্পু করে নিন।

এই হেয়ার প্যাকটি সপ্তাহে তিনদিন করে ব্যবহার করবেন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য একমাস এটি লাগিয়ে যেতে পারেন।

আজ সহজ দুটি টিপস আর হেয়ার প্যাক আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। নিয়মিত এইগুলি ট্রাই করলে চুলের জেল্লা বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে চুলের পুষ্টিও দ্বিগুণ হবে। তবে এসবের পাশাপাশি ডায়েটের ক্ষেত্রেও খেয়াল রাখবেন। বেশি তেলে ভাজা ভুজি খাবেন না। শরীরের সাথে সাথে চুলের জন্য ভালো না।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১

বাসায় শিশুকে পড়ানোর সময় একজন মায়ের কোন বিষয়গুলো অবশ্যই মনে রাখতে হবে ?.


বাসায় শিশুকে পড়ানোর সময় একজন মায়ের কোন বিষয়গুলো অবশ্যই মনে রাখতে হবে ?.

আমাদের মায়েদের প্রতিদিনের কাজের মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল বাচ্চাদের পড়াতে বসানো। বাচ্চারা বড় হলে কেবল তাদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়না, বরং স্কুলের পড়াগুলো ঠিক মতো তৈরি করতে বাচ্চাকে সাহায্য করা ও তার পড়াশোনার প্রতি সঠিক মনোযোগ স্থাপনে সাহায্য করতে একজন অভিভাবক হিসেবে মায়ের দায়িত্বের কথা বলে শেষ করা যাবে না।

শুধু যে একটি নির্দিষ্ট রুটিন মাফিক আপনার বাচ্চাকে পড়াতে বসালেই আপনার বাচ্চা ঠিকমতো এমনটা নয়। আপনাকেও এমন কোন ভালো উপায় খুঁজে বের করতে হবে যাতে আপনার বাচ্চা পড়তে বসতে আগ্রহী হয়ে ওঠে ও তার পড়ার সময়টুকু বাচ্চা সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করে।

আজ এই লিখাতে জানাবো বাচ্চাদের পড়াতে বসিয়ে মায়েরা মনে রাখবেন যে বিষয়গুলো।

পড়াতে বসানোর একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন

আপনার বাচ্চাকে পড়াতে বসানোর জন্য প্রথমে যা করতে হবে তা হল একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুসরণ করা। তবে মনে রাখবেন টাইম টেবিলটা হবে আপনার শিশু কখন পড়তে বসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে তার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি আপনার সময় অনুযায়ী আপনার বাচ্চার পড়ার সময় বাছাই করেন এতে আপনার বাচ্চার পড়ার প্রতি আগ্রহ কমতে থাকবে।

বাচ্চাকে পড়তে উৎসাহী করতে প্রশংসা করুন

আপনার বাচ্চার পড়ার গতি ও মনোযোগ উভয়ই বাড়াতে তাকে তার পড়ার ভালো ফলাফলের জন্য প্রশংসা করুন। সে কোন বিষয়ে ভালো অগ্রগতি দেখালে হাততালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করুন।

বাচ্চার সাথে সাথে আপনিও পড়ুন

বাচ্চারা একা একা পড়ার থেকে সাথী নিয়ে পড়তে বেশী পছন্দ করে। আর তাই বাচ্চাকে পড়াতে বসিয়ে আপনি চুপচাপ না থেকে বাচ্চার সাথে সাথে পড়ুন। এতে আপনার বাচ্চা দ্রুত পড়া আয়ত্ব করতে পারবে।

পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বাচ্চার সাথে খেলুন

পড়া যাতে একঘেঁয়েমি কোন ব্যাপারে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে বাচ্চার সাথে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খেলায় অংশগ্রহণ করুন। হতে পারে সেটা পড়া বিষয়কই কোন খেলা, যার মাধ্যমে বাচ্চা খেলতেও পারবে আবার সাথে পড়াও হবে।

বাচ্চাকে বার বার প্রশ্ন করুন

বাচ্চার জানার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে পড়ার ফাঁকে তাকে জানা বিষয়ে বার বার প্রশ্ন করুন। আর আপনার বাচ্চা যদি প্রশ্নের ঠিক ঠিক উত্তর দেয় তাহলে তার প্রশ্নের উত্তরের বিপরীতে ভালোবাসা আর আদর দিন।

বাচ্চাকে পড়াতে বসানোর জায়গা বিস্তৃত করুন

আপনার বাচ্চার পড়ার জায়গা শুধু একটি নির্দিষ্ট ঘরে না রেখে একটু বিস্তৃত করুন। যেমন টেবিল চেয়ারে একটানা না পড়িয়ে বিছানায় বসাতে পারেন, মেঝেতে বসাতে পারেন কিংবা বারান্দায়। এতে স্থান পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে বাচ্চার পড়ার একঘেঁয়েমি কেটে যাবে।

পড়ানো শেষে বাচ্চাকে খেতে দিন তার পছন্দের কোন খাবার

প্রতিদিনের পড়ানোর শেষে সারপ্রাইজ হিসেবে আপনার সোনামণিকে দিতে পারেন তার পছন্দের কোন খাবার। দেখবেন এই উপায়ে আপনার বাচ্চার পড়াও হবে সাথে খাওয়াও হবে।

বাচ্চাকে সময় পেলে তার ছুটির দিনগুলোতে শিক্ষণীয় ভিডিও গেম দেখান, যেখানে বাচ্চার মজা করে পড়া লেখা করছে, কবিতা পাঠ করছে, টিচাররা বাচ্চাদের সাথে মজা করছে তাদের অনেক কিছু শিখাচ্ছে এমন ভিডিও দেখলে বাচ্চারা খুব আগ্রহ বোধ করে তাদের পড়ালেখা ঠিক মতো করতে।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১

ছোটবেলা থেকেই আপনার সন্তানকে কিভাবে আদর্শবান করে বড় করবেন ?.


ছোটবেলা থেকেই আপনার সন্তানকে কিভাবে আদর্শবান করে বড় করবেন ?.

অনেক মা-বাবাই অ’ভিযোগ করেন যে বাচ্চা প্র’চণ্ড দুষ্টু। কথা শোনে না, জিদ করে, খারাপ জিনিস দ্রুত শেখে। কারো কারো বাচ্চা বেড়াতে গেলে এমন কিছু করে বসে যে মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি প’ড়ে যায়। তাছাড়া একটু বড় হলেই বাচ্চার অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়া বা মা’দকাসক্ত হয়ে পড়া নিয়ে আতঙ্কে থাকেন এখন সকল পিতা-মাতাই।

কখনো কি ভেবেছেন যে আপনার শিশু পালন পদ্ধতিতে ভুল থাকতে পারে? কখনো কি ভেবেছেন যে আজকের অতিরিক্ত আদর বা শাসন শিশুর আগামী ধ্বংস করে দিতে পারে? আজকাল অনেক বাচ্চারাই অল্প বয়স থেকেই টাকা কিংবা দামী জিনিসের জন্যে পিতা-মাতাকে চাপ দিয়ে থাকে। মনে রাখবেন, আপনার সন্তান ঠিক সেভাবেই বেড়ে উঠবে যেভাবে আপনি তাঁকে মানুষ করবেন।

নিয়মিত ‘না’ বলুন: সন্তান যা চাইবে, সেটাই দিয়ে দেবেন না। বড় হলে তো না-ই, ছোটবেলাতেও না। অনেক পিতা-মাতাই ছোট শিশুরা যেটা চাইছে কান্না থামাবার জন্য সেটাই হাতে দিয়ে দেন। ফলে মোবাইল ফোন বা ট্যাব সহ সকল বাজে জিনিস হাতে নেয়া তাদের অভ্যাস হয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে বুঝতে হবে যে চাইলেই সব পাওয়া যায় না, কেঁদে কোন লাভ নেই। ফলে বড় হলেও অযৌক্তিক কোন জিনিস পাবার আশা সন্তানেরা করবে না।

শিষ্ঠাচার শিক্ষা: বাচ্চাকে সমস্ত মানবিক আদব-কায়দা ছোটবেলা থেকেই শেখান। যেমন স্যরি বা থ্যাংক ইউ বলা, অন্যকে সাহায্য করা, কাউকে ব্যাঙ্গ না করা, মিথ্যা না বলা, অন্যের ক্ষতি না করা, গালাগাল না করা ইত্যাদি। কীভাবে শেখাবেন জানেন? আপনার নিজেকেও এসব করার অভ্যাস ক’রতে হবে। শিশুকে শেখান, কিন্তু তার আগে নিজে এসব অভ্যাস ত্যাগ করুন। আপনাকে দেখেই সন্তান খারাপ ও ভালো শেখে।

দান করতে শেখান: যেসব জিনিস আপনার বা বাচ্চাদের এখন লাগছে না, সেগুলো নিয়মিত অন্যদেরকে দিয়ে দিন যাদের প্রয়োজন। আর এই কাজটি সন্তানদের সাথে নিয়েই করুন। এর ফলে ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা শিখবে অন্যদের কত কষ্ট এবং অহেতুক দামী জিনিস কিনে অর্থ অপচয় না করতে। ফলে বড় হয়েও তাঁরা উগ্র সভাবের হয়ে বেড়ে উঠবে না, কারণ ঘরেই আছে সহানুভূতির শিক্ষা।

ভাল মানুষের সাথে সম্পর্ক: কাদের সাথে মেলামেশা করছেন, সেটা খুব খেয়াল রাখুন। যদি এমন সব পরিবারের সাথে মে’লামেশা করেন যারা কিনা বাচ্চাদেরকে সঠিকভাবে মানুষ করছে না, অকারণেই দামী জিনিস কিনে দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে আপনার বাচ্চাও দ্রুত এদের দ্বারা প্র’ভাবিত হবে এবং খারাপ জিনিস শিখবে। এমনকি নিজের আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। এসব মানুষেরা বাচ্চাদের কোমল মনকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। কোন পারিবারিক বাজে ঘটনাও বাচ্চাদের সামনে আলোচনা করতে নেই।

শি’শুর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করুন: বাচ্চাদের প্রতি নিজের ভালোবাসা নিয়মিত প্রকাশ করুন। কিন্তু জিনিস কিনে দিয়ে নয়। বরং তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে। সুন্দর করে কার্ডে লিখে ধন্যবাদ জানাতে পারেন একজন চমৎকার সন্তান হবার জন্য বা কোন ভালো কাজের জন্য। মাঝে মাঝে দিতে পারেন ছোট উপহার। সে খুব ভালো কিছু করলে বিনিময়ে তার আকাঙ্ক্ষিত উপহারও কিনে দেবেন মাঝে মাঝে। কিন্তু সবই করবেন নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী।

চেষ্টা করতে দিন: জীবনের পথে সবাইকেই ঠেকে ঠেকে শিখতে হয়। আপনার বাচ্চাদেরকেও শিখতে হবে। নিজের জীবনের পথে নিজেকে চলে চলে শিখতে দিন। তাঁরা পড়ে যাবে, ব্যথা পাবে, নিজে’রাই আবার উঠে দাঁড়াতে শিখবে। সব পড়ায় দৌড়ে যাবে না ধরতে। বরং তাঁকে পরামর্শ দিন যেন সে উঠে দাঁড়াতে পারে।

অন্যদেরকে বলুন: বাচ্চাদের ঘনি’ষ্ঠ আত্মীয় যেমন দাদা-দাদী, নানা-নানী, খালা, মামা কিংবা চাচা, ফুপিদেরকেও ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলুন যে আপনি কীভাবে ওদের মানুষ করতে চান। তাঁদেরকে বলুন যে সঠিক সময়ে আদর করতে, ভুল হলে বুঝিয়ে বলতে, প্রয়োজনে শাসন করতে। টাকা কিংবা জিনিস দিয়ে ভালোবাসা প্রদর্শন করতে, বা তাদের সামনে বাজে আচরণ না করতে অনুরোধ করুন।

শিশুকে বিশ্বাস করুন: তাদের ওপরে আস্থা রাখুন। কোন কারণে বিশ্বাস বা আস্থা না রাখতে পারলেও সেটা তাঁদেরকে বুঝতে দেবেন না। নিয়মিত পকেট মানি দিন অল্প করে এবং সেই টাকা দিয়ে কীভাবে চলতে হবে সেটা শেখান। এতে তার মানি ম্যানেজমেন্ট শেখা হবে এবং সে বুঝতে শিখবে যে টাকা উপার্জন একটি ক’ঠিন কাজ।

নিজের গল্প বলুন: সন্তানদেরকে নিয়মিত নিজের গল্প বলুন। আপনি কীভাবে অর্থ উপার্জন করেন, কীভাবে কষ্ট করতে হয় সেটা তাঁদেরকে জানান। ছোটবেলা থেকেই বুঝতে শেখান যে টাকা খরচ করতে শেখার আগে উপার্জন করা শিখতে হবে।

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

যে ৮টি ভুলের কারনে হচ্ছে স্তন ক্যান্সার , প্রত্যেকের পড়া উচিৎ ।


যে ৮টি ভুলের কারনে হচ্ছে স্তন ক্যান্সার , প্রত্যেকের পড়া উচিৎ ।

  বর্তমানে সারা বিশ্বের মহিলাদের কাছেই স্তন ক্যান্সার একটি আতঙ্কের নাম। আর এর প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইদানীং ক্যানসারের প্রচলিত ওষুধে কাজ হচ্ছে না। প্রচলিত বেশির ভাগ কেমোথেরাপিও এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। 

  স্তন ক্যান্সার দিনে দিনে আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। কিন্তু জানেন কি? দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের ভুলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৮টি খারাপ অভ্যাসের কথা, যেগুলো স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। 

 স্তনের আকার অনুযায়ী সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার না করা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। স্তনের আকারের চেয়ে বড় মাপের বক্ষবন্ধনী স্তনের টিস্যুগুলোকে ঠিকমত সাপোর্ট দিতে পারে না আবার অতিরিক্ত ছোট বা টাইট ব্রা স্তনের তরলবাহী লসিকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার কারণে ঘাম হবার অসুবিধে, আর্দ্রতা জমে থাকা, সব মিলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ঘরে থাকার সময় টুকুতে ব্রা ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।

  প্লাস্টিকের বক্সে খাবার রাখা এবং বিশেষত সেটিতেই ওভেনে গরম করা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিতে পারে। এর চেয়ে কাঁচের পাত্র ব্যবহার করুন। আর প্লাস্টিক ব্যবহার করতে চাইলে তা ফুড গ্রেড কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।

 ঘামের দূর্গন্ধ এড়াতে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন প্রায় সবাই! কিন্তু এই ডিওডোরেন্ট কেনার সময় খেয়াল রাখুন কী কী উপাদান আছে এতে। এলুমিনাম বেসড উপাদান থাকলে তা স্তন ক্যান্সারের ঝুকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ডিওডোরেন্ট যেহেতু আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন, তাই এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া বিশেষ জরুরি।

  চুল পেকে যাওয়া বা হাল ফ্যাশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চুলে নানা রঙের ব্যবহার, যেটিই হোক না কেন, দোকান থেকে সস্তার চুলের রং কিনে আনবেন না। এতে চুল তো পড়ে যেতে পারেই, সেই সঙ্গে এতে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিকের কারণে হতে পারে স্তন ক্যান্সারও। তাই ভালও ব্র্যান্ডের ভেষজ চুলের রং ব্যবহার করুন। আর সবচেয়ে ভাল হয় মেহেন্দি ব্যবহার করতে পারলে। মেহেন্দি একদিকে যেমন চুলের জন্যে ভাল, সেই সঙ্গে এতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

  ঘরের দূর্গন্ধ দূর করতে এয়ার ফ্রেশনারের ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু এতে থাকা প্যাথালেট নামক প্লাস্টিসাইজিং রাসায়নিক যা সুগন্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে, তার সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

 এর চেয়ে ফুটন্ত জলেতে এক টুকরো দারচিনি ফেলে দিন। এবার দেখুন, ঘরময় কি সুগন্ধই না ছড়াচ্ছে! আলমারির কাপড়চোপড় পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে নেপথলিন তো আমরা ব্যবহার করেই থাকি। অনেকে আবার বাথরুমের দুর্গন্ধ এড়াতে বেসিনে, সিঙ্কেও নেপথলিন ফেলে রাখেন।

  কিন্তু এটি পুরোটাই ক্ষতিকর কেমিকেল দিয়ে   তৈরী, যা কেবল পোকামাকড়কে দূরেই রাখে না, বরং আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুকিও বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। এর চেয়ে নিমপাতা শুকিয়ে কাগজে মুড়িয়ে রেখে দিন। একই উপকার পাবেন।

  রান্নাঘরের সিঙ্ক বা কেবিনেট যে রঙিন তরল ক্লিনার দিয়ে আপনি পরিস্কার করছেন, তাতে থাকা কেমিকেল কেবল আপনার স্তন ক্যান্সারই নয়, মাইগ্রেন ও অ্যালার্জির প্রকোপও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কেমিকেলযুক্ত এই ক্লিনার ব্যবহার না করে ভিনেগার বা বেকিং সোডা দিয়ে পরিস্কার করতে পারেন।


  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১

ডাবের জল কাদের বিপদের কারণ হতে পারে ?.


ডাবের জল কাদের বিপদের কারণ হতে পারে ?.
ডাবের পানি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এতে অনেক পুষ্টিগুণ থাকে। শরীরের ক্লান্তি মুহূর্তেই দূর করে এই পানি। শরীর ঠান্ডা রাখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ডাবের পানি অতুলনীয়।

এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ আছে। যা শরীরের জন্য দরকারী। তবে কারও কারও জন্য ডাবের পানি হতে পারে বিপদের কারণ। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, কারা ডাবের পানি এড়িয়ে যাবেন-

যারা ওজন কমাতে চান, তারা ডাবের পানি খাবেন না। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। ফলে নিয়মিত ডাবের পানি খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমাতে ডায়েট চলাকালীন ক্লান্তি এড়াতে অবশ্যই ডাবের পানি পান করা উচিত।

 ডাবের পানিতেও অন্যান্য খনিজের মতোই আছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম। ফলে ডাবের পানি বেশি খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে।

যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের জন্য ডাবের পানি সমস্যার কারণ হতে পারে।

এমনকি রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়িয়ে দেয় এই পানি। ডায়াবেটিসের রোগীরা অবশ্যই ডাবের পানি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

 কিডনির সমস্যা যারা ভুগছেন তাদের শরীরে পটাশিয়াম জমতে থাকে। ডাবের পানিতেও প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। ফলে কিডনির সমস্যা বাড়তে পারে।

তাই কিডনির সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত ডাবের পানি খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে হৃদযন্ত্র ও কিডনি দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাদের জন্যও ক্ষতির কারণ হতে পারে ডাবের পানি। এতে অনেকেরই অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা শরীরে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যের কারণ হতে পারে। এর ফলে দুর্বলতা ও হালকা মাথাব্যথা হতে পারে।

 যাদের শরীর বেশি ঠান্ডা থাকে, তাদের জন্য ডাবের পানি ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ ডাবের পানি খেলে এমনিতেই শরীর ঠান্ডা থাকে।

অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।
  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)

বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১

রান্নায় সরিষার তেল কি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এবং ওজন কমায় ?.


রান্নায় সরিষার তেল কি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এবং ওজন কমায় ?.


 সয়াবিন তেলের তুলনায় সরিষার তেল খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর। সরিষার তেল যেমন চুলের জন্য উপকারী, ঠিক তেমনই এই তেল স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক ভালো। তবে ওজন কমাতেও কি সাহায্য করে এই তেল?

আসলে যে কোনো তেলেই স্যাচুরেটেড ও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য খারাপ হলেও, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আবার শরীরের জন্য উপকারী।

এ ধরনের ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এজন্য চিকিৎসকরা একেবারেই অর্গ্যানিক সরিষার তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘানি ভাঙানো সরিষার তেল সবচেয়ে ভালো।

স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্যেও ভালো। অস্বাস্থ্যকর তেল খাওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো হার্টের অসুখ। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও সিএইচডি’র ঝুঁকি কমায়।

সরিষার তেল যেভাবে ওজন কমায়

সরিষার তেল হার্ট, হাড়, হজম ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর। এতে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যারা পেটের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন তারা প্রতিদিনের রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

এই তেল হজমশক্তি বাড়ায়। আর খাবার দ্রুত হজম হলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই তেলে থাকে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। সরিষার তেল লিভারের কার্যকারিতাও উন্নত করে।

স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং রক্তে চর্বির মাত্রাও হ্রাস করে। যেখানে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রাকৃতিকভাবে শরীরে সঞ্চিত বাদামি চর্বির ব্যবহার বাড়ায়।

সরিষার তেলের উপকারিতা

সরিষার তেলে আছে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ।

 এই তেল শরীরের ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

 গ্লুকোসিনোলেটের উপস্থিতির কারণে সরষের তেলের ক্যানসার বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে।

এই উপাদানগুলো কলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের মতো ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

সরিষার তেল রান্নার পাশাপাশি আরও অনেক উপায়েও ব্যবহার করা যায়।

 গরম সরিষার তেল দিয়ে জয়েন্টগুলোতে ম্যাসাজ করলে অস্বস্তি অনেকাংশে কমে যায়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

সরিষার তেল দিয়ে ভাজা জিনিস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। তার চেয়ে আস্ত সরিষা বেটে বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করুন সবজি রান্না করার সময়।

মনে রাখবেন, সরিষার তেল ভালো করে গরম করে তবেই খাবেন। তেল অপরিশোধিত হলে ব্যবহার করবেন না। এই তেল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে মালিশ করতে পারবেন।


অর্ডার করতে নীচের লিঙ্কে প্লিজ ক্লিক করুন।

AJIO.COM

  (আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।)