মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

অতিরিক্ত চা খেলে হতে পারে কি কি সর্বনাশ ?.


অতিরিক্ত চা খেলে হতে পারে কি কি সর্বনাশ ?.

 বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় একটি পানীয় হল ‘চা’। চা তৈরি করা যায় নানাভাবে। প্রায় সব বয়সী মানুষের কাছে এটি একটি পছন্দের পানীয়।  আবার অনেকে আছেন যারা দিনের তিন বেলা খাবার না হলে চলে, তবে দিনের মধ্যে কয়েক কাপ চা না হলে চলে না। কেউ কেউ তো দিনে অন্তত আট-দশ কাপ চা খান।

  চা খাওয়ার অভ্যাস যদিও মন্দ নয়। তবে  পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করে খেলে চা থেকে মিলবে অনেক উপকার। কিন্তু অতিরিক্ত চা খেলে তা অপকারী হতে পারে। তাই চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও প্রতিদিন অতিরিক্ত চা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আসুন এখন জেনে নিন অতিরিক্ত চা পানের কিছু অপকারিতা—

     পেট খারাপ হতে পারে –

  আমাদের প্রত্যেকেরই শরীরে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাবারের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকে। তবে তার থেকে বেশি খেলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- আপনি যদি চা বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে তার প্রভাব পড়বে পুরো শরীরে। ফলে পেট খারাপের সমস্যা দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তাই পেট খারাপ থেকে দূরে থাকতে চাইলে আপনাকে চা খাওয়ার পরিমাণ সীমিত করতে হবে।

     ক্ষুধা নষ্ট হয় –

  খাবারের প্রতি আকর্ষণ নষ্ট হয়ে যাওয়াও একটি বড় ধরনের সমস্যা। আপনি যখন দিনের পর দিন অতিরিক্ত চা খেতে থাকবেন, তখন স্বাভাবিক ভাবে খাবারের প্রতি আপনার রুচি বা আগ্রহ চলে যাবে। সহজ ভাষায় যাকে বলে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যাওয়া। ক্ষুধা নষ্ট হয়ে গেলে অন্যান্য খাবার খাওয়া হয় না। ফলে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়।

     অনিদ্রার জন্য দায়ী –

  ঘুম না আসা নিয়ে অভিযোগ করার আগে খেয়াল করুন, এর জন্য আপনার প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাস দায়ী নয় তো? অতিরিক্ত চা খাওয়ার কারণে আপনার ঠিকভাবে ঘুম আসে না। তাই সন্ধ্যার পর চা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে অনিদ্রার সমস্যা আপনার কাছে ঘেঁষতে পারবে না।

     হজমে সমস্যা –

  যেকোনো খাবারই বেশি খেলে প্রথমেই দেখা দেয় হজমে সমস্যা। সেইসঙ্গে হতে পারে পেটে ব্যথা, অস্বস্তি, বমি ইত্যাদি। তাই অতিরিক্ত চা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত চা খেলে হজমের সমস্যার পাশাপাশি হতে পারে বুকে ব্যথা। হজমে সমস্যা ও অনিদ্রার কারণে আপনার মেজাজ একটুতেই খিটখিটে হয়ে যাবে।

     দিনে কতটুকু চা খাওয়া যাবে –

  পরিমিত চা খাওয়ার অভ্যাস আমাদের জন্য উপকারী। তাই প্রতিদিন চা খেলেও তাতে সমস্যা নেই। তবে তার আগে জানতে হবে পরিমাণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে দুইবার চা খাওয়া যেতে পারে। এই অভ্যাস শরীরের জন্য উপকারীও। কিন্তু এর থেকে বেশি অতিরিক্ত চা খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


রবিবার, ২৯ মে, ২০২২

কোন স্বভাবের পুরুষদের মহিলারা ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় ?.


কোন স্বভাবের পুরুষদের মহিলারা ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় ?.

  পুরুষ মানুষের জীবনে ভালোবাসার কমতি সহজেই লক্ষ করা হয়। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ মহিলাদের মন জয় করার রাস্তাটা সম্পর্কে আপনি এই লেখা থেকেই জানতে পারবেন। এবার সেই মতো এগিয়ে চলুন।

  সম্পর্ক কোনও তরল বিষয় নয়। একটি মানুষের থেকে ভালোবাসা আদায় কিন্তু বেশ কঠিন এক কাজ। তবুও মানুষ ভালোবাসার সাগরে তরি ভাসাতে চান। সেই সাগরে ডুব দিয়েই যেন মিলবে মুক্তির স্বাদ। তাই চারিদিকে প্রেমের জোয়ারে ভেসে চলেছেন মানুষ।

  ভালোবাসার জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে গেলে কিছু ভালো কাজ করতে হয়। তবেই মানুষ নিজেকে সেই ভালোবাসার (Love) মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন। আসলে মানুষের কিছু অভ্যাস থাকে যার মধ্যমে অন্য ব্যক্তিটি সম্পর্কে আকর্ষিত হয়। তবেই এগিয়ে যায় প্রেমের গাড়ি।

  এদিকে মহিলাদের ভালোবাসার পথে হাঁটতে তেমন কেসারত করতে হয় না। তবে সমস্যা হয় পুরুষের। কারণ পুরুষ মাত্রই ভালোবাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে দেওয়াল। যেন কোনও শক্ত পাহাড় টপকিয়ে ভালোবাসার অন্দরমহলে প্রবেশ করতে হবে। তাই দেখবেন, পুরুষদের মধ্যেই সিঙ্গল থাকার প্রবণতা অনেকটাই বেশি।

  আবার বিশেষজ্ঞদের কথায়, পুরুষ মানুষের নিজের ভুলের কারণেই এই সমস্যা হয়ে থাকে। তাই প্রতিটি পুরুষ মানুষকে অবশ্যই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। তবেই আপনি সম্পর্কের দুনিয়ায় অনায়াসে চলতে পারবেন।

আসুন জেনে নেওয়া যাক পুরুষের কোন চালচলনে মন দেয় মহিলারা।

  ​উপেক্ষা করা –  অনেক পুরুষের মধ্যেই এই স্বভাব থাকে। তাঁরা সামনে থাকা সুন্দরীদের দেখেও উপেক্ষা করতে পারেন। হয়তো মনে লাড্ডু ফুটছে। কিন্ত তাঁদের ব্যবহারে তা প্রকাশ পাওয়া খুবই কঠিন। এবার এই উপেক্ষা করার বিষয়টি মহিলারা খুবই পছন্দ করেন। তাঁদের মনে এই বিষয়টি অত্যন্ত সহজেই প্রবেশ করে যায়। তাই পুরুষরা এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখুন।

  ​নজর - চোখে চোখেই অনেক কথা হয়ে যায়। এবার কিছু পুরুষের নজর এমন হয়, যা মহিলাদের আকর্ষণ করে। এই মানুষগুলির চাহনিকে বলা হয় কিলার লুক । এই চাহনিতেই মন দিয়ে ফেলেন মহিলারা। তাই এবার থেকে নিজের চাহনি ঠিক করার বিষয়ে জোর দিন। তবেই নতুন সম্পর্কে অনায়াসে চলে যেতে পারবেন। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই।

  ​ড্রেসিং সেন্স - প্রথমে দর্শনধারী, পরে না গুণ বিচার হবে। এই কথাটা কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে একেবারেই সত্যি। আসলে আপনার ড্রেসিং সেন্স ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কথাই বলে দেয়। তাই সেই বিষয়টার দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে আপনি যদি এই বিষয়টার দিকে খেয়াল রাখতে পারেন, তবে অনায়াসে মহিলার মন পেতে পারেন।

  ​হাসতে শিখুন - হাসিখুশি মানুষ সকলেই পছন্দ করেন। বিশেষত, যাঁদের সেন্স অব হিউমর ভালো, এমন মানুষকে অনেকেই পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে ধরুন কোনও গুরু গম্ভীর পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে কোনও কথা ধরে এই মানুষগুলি এমন কিছু বলে দিতে পারেন, যা সত্যিই মানুষকে হাসিয়ে দেয়। এবার সব জায়গাতেই এই ধরনের মানুষের কদর একটু বেশি। তাই প্রতিটি পুরুষ মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে তৈরি থাকতে হবে।

​কথা - কথা বলতে হবে ঠিক করে। কারণ আপনার কথা বলার স্টাইলই বুঝিয়ে দেয় যে আপনি কী ভাবে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে এমনভাবে কথা বলুন যাতে অপরদিকের মানুষটিকে ইমপ্রেস করা যায়। অপরদিকের মানুষটির মন প্রসন্ন করতে পারলেই কেল্লাফতে করা সম্ভব। তাই এবার থেকে নিজেকে ঠিকমতো তৈরি করে নিন।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২

বেশি ঘুমালে কোন কোন ক্ষতি হতে পারে ?.


বেশি ঘুমালে কোন কোন ক্ষতি হতে পারে ?.

  ঘুমের অভাব যেমন মানুষকে নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভোগায়, তেমনি অতিরিক্ত ঘুমও ক্ষতি করে। যেমন নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমোনো ও অলস জীবনযাত্রার পরিণতি হতে পারে অকাল মৃত্যু, এমনটাই সতর্কবাণী দিচ্ছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।

  গবেষণা অনুযায়ী, যারা অতিরিক্ত ঘুমান বা দিনের ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটান এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় নন, তাদের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা চারগুণ বেড়ে যায়। জেনে নিন বেশি ঘুমানোর ফলে কী কী শারীরিক ক্ষতি হয়-

১) বিষণ্ণতা ও মনোরোগের ঝুঁকি বাড়ে: -

 ২০১৮ সালের এক গবেষণায় জানা যায়, বেশি সময় ধরে ঘুমোনোর ফলে মানুষের মধ্যে বিষণ্ণতার পরিমাণ বাড়ে। পরীক্ষায় দেখা যায়, যারা ১০ ঘণ্টা ও তার বেশি সময় ঘুমান, তাদের মধ্যে বিষণ্ণতার লক্ষণ ৪৫ শতাংশ বেড়ে যায়।

২) মানসিক বিকাশে বাধা দেয়: -

 অতিরিক্ত ঘুমের কারণে মানসিক বিকাশ খুবই স্বল্প হয়। এতে কাজের অগ্রগতি লোপ পায় ও মানুষ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

৩) ওজন বৃদ্ধি পায়:-

  বেশি ঘুমের কারণে দেহের ওজন অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। এসব মানুষের ওজন বৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশ বেশি থাকে। অতিরিক্ত ঘুমের কারণে স্থূলতা দেখা দিতে পারে।

৪) হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়:-

  নয় ঘণ্টার বেশি সময় নিয়মিত ঘুমালে হৃদযন্ত্রের সমস্যা বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত ঘুমান- এমন তিন হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, অন্যদের অপেক্ষা দ্বিগুণ পরিমাণে করোনারি আর্টারি (হৃদরোগ) রোগের ঝুঁকিতে ভোগেন তারা।

৫) আয়ু কমতে পারে: -

 একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা বেশি ঘুমান তাদের দ্রুত মৃত্যুর আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি থাকে। ওই গবেষণাগুলো প্রায় ১৪ লাখ মানুষের উপর করা হয়েছে। 

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।