বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২

জল কম খেলে হতে পারে কোন কোন রোগ ?.


জল কম খেলে হতে পারে কোন কোন রোগ ?.

  সুস্থ শরীরের জন্য সঠিক পরিমাণে জল পান করা অপরিহার্য। জল না খেলে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়ে।  আমাদের শরীরের মাত্র 60 শতাংশ জল গঠিত।  শরীরের সমস্ত অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য, সঠিক পরিমাণে জল পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  একজন মানুষকে দিনে অন্তত দুই লিটার জল পান করতে হবে।  সঠিক পরিমাণে জল পান করা আমাদের শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। জল কম খেলে শরীরে নানা সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।  আসুন জেনে নেওয়া যাক শরীরে জলের অভাব নানা রোগের জন্ম দিতে পারে।

স্থূলতা সমস্যা –

 স্থূলতার সমস্যা অনেক রোগের সাথে নিয়ে আসে।  এই পরিস্থিতিতে, কম জল পান করা স্থূলতা প্রচারের মতো হতে পারে।  অনেক সময় আমরা সঠিক পরিমাণে খাই, কিন্তু জল পান করি না, যার কারণে আমরা সারাক্ষণ ক্ষুধার্ত অনুভব করি।  এই কারণে অনেক সময় আমরা অতিরিক্ত খাওয়া এবং মোটা হয়ে যাই।  শরীরে অপর্যাপ্ত পরিমাণে জলের কারণে স্থূলতা বাড়ে।

পেটের সমস্যা –

  জল কম পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং পেটে গোলমালের মতো সমস্যা হয়।  আমরা যখন ঠিকমতো জল পান করি না, তখন কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ অনেক বেড়ে যায়, কারণ জল মলকে নরম করতেও কাজ করে।  সেই সঙ্গে জলের অভাবে অ্যাসিড তৈরির গতি বেড়ে যায়, ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে থাকে।  এছাড়া জল কম পান করার কারণেও বুকজ্বালার সমস্যা হতে পারে।

ইউটিআই এর ঝুঁকি –

  শরীরে জলের অভাব ইউটিআই এর ঝুঁকি বাড়ায়, কারণ জল কম পান করলে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এবং শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিন শরীর থেকে বের হতে পারে না।  কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।  ডিহাইড্রেটেড হওয়ার কারণে যৌনাঙ্গে হলুদ প্রস্রাব বা চুলকানি হতে পারে।

হ্যালিটোসিস –

  জলের অভাবে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যা অনেক বেড়ে যায়।  কম জল পান করলে মুখ শুষ্ক হয়ে যায়, যার কারণে মুখে ব্যাকটেরিয়া জন্মে।  ফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ আসতে থাকে।  নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এড়াতে পর্যাপ্ত জল পান করুন।  পানীয় জলের মধ্যে বেশি ফাঁক রাখবেন না।

 মুখের সমস্যা –

  নিশ্ছিদ্র এবং উজ্জ্বল মুখ সবাই পছন্দ করে।  কিন্তু জল কম পান করার কারণে মুখের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জলশূন্যতার কারণে মুখে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়।  মুখের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সঠিক পরিমাণে জল পান করা প্রয়োজন।জল কম পান করলেও মুখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। জল ত্বককে হাইড্রেট করে, যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে।  অতএব, আপনি যদি সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক চান, তবে অবশ্যই দিনে 2-3 লিটার জল পান করুন।

  মনে রাখবেন, আপনার শরীরে কী পরিমাণ জল প্রয়োজন তা নির্ভর করে আপনি কোথায় থাকেন তার উপর। গরম এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের বেশি করে জল পান করতে হবে। সঠিক পরিমাণে জল পান করে আমরা অনেক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারি। তৃষ্ণা পেলে প্রচুর জল পান করুন। এতে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং শরীর সুস্থ থাকবে। 


  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা Flipkart এর বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২

নারীরা সমস্যায় পড়লে কেন আত্মহত্যা করে ?.


নারীরা সমস্যায় পড়লে কেন আত্মহত্যা করে ?.


  বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন কারণে হতাশাগ্রস্ত! নারী-পুরুষ কেউই বাদ পড়ে না এই মহাব্যাধি থেকে! যার ফলস্বরূপ সহজ সমাধান হিসেবে আত্মহত্যাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে কেউ কেউ। তারা ভুরে যাচ্ছে, জীবন ফুলশয্যা নয়! দুঃখ-কষ্ট,পাওয়া-না পাওয়া নিয়েই জীবন। 

  তবে আমাদের মানসিকতায় না পাওয়াটারই হিসাব হয়! ফলে ‘কী পেলাম, কী পেলাম না’ ভাবতে ভাবতে হতাশা-বিষাদে তলিয়ে যাচ্ছি আমরা। এক্ষেত্রে নারীরা বেশি হতাশায় পড়ে। আর তাদের আত্মহত্যার খবর আজকাল বেশি পাওয়া যাচ্ছে! এখন প্রশ্ন উঠছে, নারীরা কেন হতাশায় পড়লেই আত্মহত্যাকে বেছে নিচ্ছে?

   সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। মানুষ হয়েছে যান্ত্রিক। ফলে মানব জীবন প্রতিনিয়ত হয়ে উঠছে জটিল-দ্বন্দ্বমুখর! মানুষের মাঝে না পাওয়ার বেদনায় তাকে জটিল করে তুলছে। সেখানে যুক্ত হচ্ছে পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র। দ্বন্দ্ব-সংকট থেকেই সৃষ্টি হতাশার! আর সেই আগুনে ঘি ঢালতে ব্যস্ত সামাজিক বিধিনিষেধ – নিয়মকানুন। ফলে মানুষের মাঝে জটিলতা আরও গাঢ় হচ্ছে! নারীদের ক্ষেত্রে বর্তমানে আত্মহত্যা প্রবণতা কম নয়! নারীরাও হতাশা-বিষাদে পড়ে আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠছে। কিন্তু সমাধান খুঁজছে না!

  সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে। কিন্তু অনেক নারী সমস্যায় পড়লেই নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে! পৃথিবী থেকে মুক্তি পেতে চায়। নারীর ক্ষেত্রে পরিবার-সমাজ কোনোটাই সুস্থভাবে সমর্থন করে না তাকে। বরং প্রতিপদে কীভাবে নিচে টেনে নামানো যায় তা নিয়ে ব্যস্ত থাকা সবাই৷ নারীর জীবন কখনো ফুলশয্যা ছিল না। এখনো নেই। তাহলে কি এতদিন নারীরা বাঁচেনি, পৃথিবীর বুকে সদর্পে বিরাজ করেনি? তবে আজ কেন নারীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে?

  বর্তমান সমাজটাই যান্ত্রিক জটিলতায় জটিল। ফলে সমস্যা-সংঘাতও কম নয়। সেখানে নারীকে বুদ্ধি দিয়ে পথ চলতে হবে। নিজের মঙ্গল কোনোটাতে খুঁজে বের করতে হবে! প্রাণের মূল্য অনেক। ফলে জীবনে যত সমস্যা-দ্বন্দ্ব-সংঘাত আসুক না কেন, ঘুরে দাঁড়ানোর শতভাগ চেষ্টা করতেই হবে।

   পরিবারও অনেক সময় নারীর স্বাধীনতা, জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর সমাজ তো আছেই! তবে, এত কথায় গুরুত্ব না দিয়ে নিজের আত্মিক উন্নয়নের পাশাপাশি সঠিক সিদ্ধান্ত নারীকে নিতে হবে। তার জন্য কারও সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। বরং নিজেকে মানসিক বলে বলীয়ান হতে হবে।

  পরিবার-সমাজে নারীকে বিভিন্নভাবে ছোট করা হয়, তার প্রাপ্যটা তাকে দেওয়া হয় না৷ ফলে নারীরা হতাশায় মুষড়ে পড়তে থাকে। বেছে নেন বিনাশের পথ। কিন্তু নারীকে মনে রাখতেই হবে, রবীন্দ্রনাথ বহু আগেই বলে গেছেন, ‘একলা চলো রে’। ফলে এই নীতিই যেন নারীর শক্তি হয়। 

  পড়াশোনার দ্বারা, কাজের দ্বারা নিজের যোগ্যতার দ্বারা অন্যকে পরাস্ত করার ব্রতই হোক নারীর শক্তি। কেন অন্যকে পাশে থাকতেই হবে! আর কেনই বা পরিবেশ সবসময় অনুকূলেই থাকবে! প্রকৃতিতেও তো ঝড় আসে! কিন্তু একটি সময় ঝড় থামে। শান্ত হয় চারপাশ! তেমনি জীবনের জটিলতা যতই বেশি কঠিন হয়ে পড়ুক, একদিন সেই কঠিন সময় পার হবে।

  সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। সময়কে বয়ে যেতে দিলে সব শান্ত হয়, ঠাণ্ডা হয়। পালে আবারও হাওয়া লাগে। তাই পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র যতভাবেই কষ্ট দিক না কেন, সময় আসবেই। নিজের কাজটা করতে হবে। আত্মিক উন্নতি ঘটাতে হবে। হতাশ হওয়া চলবে না। আর আত্মহত্যা তো নয়ই। কেন আত্মহত্যা করবে নারীরা! কেন! জীবন একটাই তাই পূর্ণ উপভোগ না করে কখনোই জীবননাট্যের মঞ্চ কোনো মানুষই ছাড়বে না। 

  সমস্যা সংকুল পৃথিবী, আর তা থাকবেই। নারীর জন্য আরও বেশি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বুদ্ধি দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই প্রকৃত জ্ঞানীর কাজ। নারীকেও তাই মন-মননকে প্রাধান্য দিতে হবে। জীবনে পড়ে গেলে ওঠা যায়, সেটা নিজেকেই করতে হবে। কেউ করে দেয় না। নারীকে হতাশ হওয়া চলবে না। বুদ্ধি দিয়ে প্রজ্ঞা দিয়ে সামনে এগুতে হবে। আত্মহত্যাকে বিদায় জানতে হবে। ‘ভালোর পথে আলোর পথে’ চলাই হোক নারীর ব্রত। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা Flipkart এর বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২

দুধ চা পান করার ৬ টি ক্ষতিকর দিক কি কি ?.


দুধ চা পান করার ৬ টি ক্ষতিকর দিক কি কি ?.

  আমরা যারা বিভিন্ন কাজ কর্মের সাথে জড়িত হোক সেটা কায়িক, মানসিক। একটানা কিছুক্ষন কাজ করার পর শরীর ক্লান্ত হয়ে পরে, গা ঝিম ঝিম করে কাজে মন বসেনা। ঠিক সে সময় মন কে চাঙ্গা করতে আমরা জলের পরিবর্তা যা খাই তা হলো চা। আর চা টা যদি দুধ চা হয় তাহলে তো আর কথায় নেই। চা পান করলে যেন শরীর আর মনেট তৃষ্ণা মেটে। 

  তবে এই দুধ চায়ের ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। চায়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও অন্যান্য যৌগ। তবে যখন চায়ে দুধ মেশানো হয় তখন এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তবে শুধু চা পান করলে দাঁতে ক্ষয়, রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে বাধা পায়। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। চা অনেক ধরণের হয় যেমনঃ ব্ল্যাক চা, দুধ চা, আদা চা, মশলা চা, লেবু চা, দুধ বেশি চিনি ছাড়া চা, মালাই চা ইত্যাদি। প্রত্যেকটি চা কে আলাদা আলাদা ভাবে পরিবেশন করা হয় এবং প্রত্যেকটির চায়ের রয়েছে আলাদা আলাদা গুণ।

  তবে এবার আমরা জেনে নিন বহুল প্রচলিত দুধ চায়ের কিছু অপকারিতা দিক।

১। চা পানীয় হিসেবে স্বাস্থ্যকর। তবে আমরা এই চা তে যখন দুধ আর চিনি মেশাই তখন এর গুণাগুণ মান পরিবর্তন হয়ে যায়। এটি পাশাপাশি চা কে আরো এসিডিক করে তোলে। আর অতিরিক্ত দুধ চা পানে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২। চা খেলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। যেমন কি শুধু চা অর্থাৎ ব্ল্যাক চাতে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য যৌগ থাকে। এতে যখন আমরা দুধ চিনি দিই তখন এতে পুষ্টিগুণ তো থাকেইনা বরং এতে প্রোটিনের আরো ঘাটতি দেখা দেয়।

৩। আমরা মনে করি চা খেলে স্ট্রেয করে। তাই অনেকেই প্রত্যেকদিন কয়েক বার করে দুধ চা খায়। এতে তাদের রাতে ঘুম কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ঘুম কম হলে অনিদ্রার সমস্যা হয়। আর যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অনিদ্রা থাকা মোটেও উচিত না। অনিদ্রা থেকে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। আর অনিদ্রা হলে দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেস বেড়ে যায়।

৪। যারা দিনে একদম হিসেব ছাড়া চা খায় তাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্টকাঠিন্যের কারণে পেট ফেঁপে যায়, ভালোভাবে পায়খানা হয় না আর এতে গ্যাস এর সমস্যা বেড়ে যায়। এত করে শরীরে এক প্রকার অস্বস্তি দেখা দেয়। যার ফলে কোনো কাজে মন বসেনা।

৫। দুধ চায়ে রক্তচাপ উঠানামা করে। আর যারা ব্লাড সুগারের রোগী তাদের তো মোটেও দুধ চা খাওয়ার দরকার নেই। এতে সুগারের মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অর্থাৎ যারা ডায়াবেটিস এর রোগী তাদের মোটেও উচিত না চা খাওয়ার এতে সুগার বেড়ে গিয়ে আরো রোগের বাসা বাঁধতে পারে।

৬। অনেকেই বলে থাকেন চা খেলে গায়ের রং কালো হয়ে যায়। অর্থাৎ আমাদের ত্বকে একটা কালসিটে ভাব চলে আসে। আমরা যে ব্ল্যাক লিকারের পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ চা তে দুধ দি তখন এতে থাকা গুণাগুণ অক্ষুন্ন হয়ে যায়। এবং এতে ত্বকের ক্ষতি হয়ে যায়।

 উপরোক্ত তথ্য থেকে জানা যায়, দুধ চায়ের উপকারিতা থেকে অপকারিতার দিক বেশি। এতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যারা নিয়মমাফিক দিনে কয়েকবার করে চা খান তাদের উচিত চা পরিহার করার।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা Flipkart এর বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২

মেয়েদের মনের কোন গোপন ইচ্ছার কথা কেউ জানে না- সেগুলি লেখা চাণক্য নীতিতে ।


মেয়েদের মনের কোন গোপন ইচ্ছার কথা কেউ জানে না- সেগুলি লেখা চাণক্য নীতিতে ।

  আচার্য চাণক্যও তার নীতি বইয়ে নারীদের সম্পর্কে সেই বিশেষ কথাগুলো বলেছেন, যা নারীরা সর্বদা তাদের বিবেকে লুকিয়ে রাখে। সে এসব কথা কাউকে বলে না। চাণক্য তার নীতিতে নারীদের সাথে তুলনা করতে গিয়ে পুরুষদের অনুভূতির কথা বলেছেন।

  চাণক্য নীতি মূলত সংস্কৃত ভাষায় রচিত, পরে এটি ইংরেজি এবং অন্যান্য অনেক ভাষায় এবং হিন্দিতেও অনুবাদ করা হয়েছিল। এমনকি আধুনিক বিশ্বেও, লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন তাদের নিজস্ব ভাষায় কৌটিল্য নীতি পাঠ করে এবং এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, অনেক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এখনও চাণক্যের উক্তিগুলিকে আধুনিক জীবনে দরকারী বলে মনে করেন। আচার্য চাণক্যের জ্ঞান রাজনীতি, ব্যবসা এবং অর্থ সম্পর্কে জ্ঞান এটি এতই সঠিক। যে এটি আজকের যুগেও দরকারী।

  আচার্য চাণক্যের এই জ্ঞান নীতিশাস্ত্র নামে পরিচিত। চাণক্য নীতি আপনাকে আপনার জীবনে যেকোনো কিছু অর্জন করতে সাহায্য করে, আপনি যে ক্ষেত্রেই থাকুন না কেন। আপনি যদি চাণক্য নীতি সম্পূর্ণভাবে পড়েন এবং অনুসরণ করেন, তাহলে কেউ আপনাকে সফল হতে বাধা দিতে পারবে না।

  আচার্য চাণক্যও তার নীতি বইয়ে নারীদের সম্পর্কে সেই বিশেষ কথাগুলো বলেছেন, যা নারীরা সর্বদা তাদের বিবেকে লুকিয়ে রাখে। সে এসব কথা কাউকে বলে না। চাণক্য তার নীতিতে নারীদের সাথে তুলনা করতে গিয়ে পুরুষদের অনুভূতির কথা বলেছেন। আচার্য চাণক্য এই নীতিতে নারীর ক্ষিধে, লজ্জা, সাহস ও লালসার কথা বলেছেন। আসুন জেনে নিই কোন কোন বিষয়গুলো নারীরা শেয়ার করেন না।

  আচার্য চাণক্য তাঁর চাণক্য নীতিতে একটি শ্লোকের মাধ্যমে নারীর কামনা-বাসনা বর্ণনা করেছেন। শ্লোকটি নিম্নরূপ-

 নারী দুই-বন্দুক খাবার, লজ্জা, চতুর্গুণ।

সহসাম্ ষদগুণম্ চৈব কামাশষ্টগুণঃ স্মৃতিঃ।

  এই শ্লোক অনুসারে নারীদের ক্ষিধে দ্বিগুণ, লজ্জা চারগুণ, সাহস ছয়গুণ এবং লালসা আটগুণ।

  মহিলাদের দ্বিগুণ খিদে – আচার্য চাণক্যের উপরোক্ত শ্লোক অনুসারে নারীর শক্তি বর্ণনা করা হয়েছে। আচার্য চাণক্যের মতে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দ্বিগুণ ক্ষিধে থাকে। আজকের লাইফস্টাইলে কাজের কারণে নারীদের খাবারের অবনতি ঘটলেও তারা তাদের ক্ষিধে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

  নারীর চার গুণ লজ্জা – আচার্য চাণক্যের চাণক্য নীতি অনুসারে নারীদের লজ্জা পুরুষের তুলনায় চারগুণ বেশি। নারীদের মধ্যে এত লজ্জা যে তারা যে কোনো কথা বলতে অনেকবার চিন্তা করে।

  চাণক্য নীতি অনুসারে, মহিলারা শুরু থেকেই সাহসী। একই সময়ে, নারীদেরও পুরুষদের তুলনায় ছয় গুণ সাহস রয়েছে। তাই নারীকে শক্তির মূর্ত প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

  পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে যৌনতার ইচ্ছা বেশি – আচার্য চাণক্যের মতে, মহিলাদের মধ্যে যৌনতার ইচ্ছাও পুরুষদের তুলনায় আট গুণ বেশি, কিন্তু তাদের লজ্জা এবং সহনশীলতা অনেক বেশি, যার কারণে তারা এটি প্রকাশ করে না এবং তাদের আচার-অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে যত্ন নেয়। সম্পূর্ণ মর্যাদার সাথে পরিবার রক্ষা করে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২

কোন ৫ বিষয় মেয়েরা স্বামীর কাছে গোপন করে ?.


কোন ৫ বিষয় মেয়েরা স্বামীর কাছে গোপন করে ?.

 
 স্বামী – স্ত্রী মানেই অনেক কিছু ভাগাভাগি করে নেওয়া। তবু কিছু বিষয় থাকে যা মেয়েরা স্বামীর কাছে বলতে চায় না বা গোপন করে। ঠিক সবার ক্ষেত্রে এক নাও হতে পারে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা স্বামীর কাছে কিছু বিষয় প্রকাশ করতে চায় না। মেয়েরা বিয়ের পরে অনেকটাই পরিবর্তিত হয়, কারণ তাকে নতুন এক পরিবেশে গিয়ে সংসার শুরু করতে হয়।

   আসুন জেনে নেওয়া যাক সাধারণত কোন কথাগুলো মেয়েরা স্বামীর কাছে গোপন করে-

       অতীত সম্পর্কের কথা –

  অতীত সম্পর্ক থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। সেই সম্পর্ক যার কারণেই ভাঙুক, সেটি মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বামীর ক্ষেত্রে গোপন করে থাকে। এর বড় কারণ হলো, স্বামীকে পূর্বের সম্পর্কের কথা জানালে সে পরবর্তীতে সন্দেহ পরায়ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই অতীত সম্পর্ক নিয়ে মেয়েরা কখন স্বামীর কাছে সহজ হতে পারে না।

     শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের ব্যবহার –

  বিয়ের পরপরই সব মেয়ের জন্য শ্বশুরবাড়ির অভিজ্ঞতা সমান সুখকর হয় না। অনেক মেয়েকে বিয়ের পরপর শ্বশুরবাড়িতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। স্বামীর দিকের কোনো আত্মীয়র ব্যবহারে আঘাত পেতে পারে। কিন্তু এসব বিষয় মেয়েরা স্বামীর কাছে গোপন করে।

    শারীরিক ছোটখাটো সমস্যা –

  নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা প্রায় সবারই থাকে। কিন্তু বিয়ের পর সেটি নিয়ে বেশিরভাগ মেয়ে সহজ হতে পারে না। নিজের যেকোনো অসুস্থতা নিয়ে তারা অস্বস্তিতে ভোগে। স্বামীর কাছে ছোটখাটো অসুখের কথা লুকিয়ে রাখে। এর ফলে পরবর্তীতে তা বড় অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

       বাবার বাড়ির সমস্যা –

  বাবার বাড়ির বিভিন্ন সমস্যা বা আর্থিক টানাপড়েনের কথা মেয়েরা সহজে স্বামীকে বলে না। দুই পরিবারের মধ্যে এক ধরনের আড়াল রেখে চলতে পছন্দ করে তারা। বাবার বাড়ির কোনো সমস্যার কথা জানতে পারলে স্বামীর কাছে গুরুত্ব কমে যেতে পারে, এমনটা ভেবেই তারা এগুলো স্বামীর কাছে গোপন করে।

       যৌনজীবনের কিছু বিষয় –

  যৌনজীবনের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ, চাহিদা, সমস্যার কথা মেয়েরা স্বামীর কাছে বলতে পারে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা এসব বিষয় গোপন করে। দাম্পত্য পুরোনো হলে অনেক কথা খুলে বলতে পারে হয়তো, তবে নতুন অবস্থায় এসব বিষয় গোপন রাখতেই পছন্দ করে। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

নারীদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের আগ্রহ এত বেশি কেনো ?


নারীদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের আগ্রহ এত বেশি কেনো ? 

  যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্তি, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক, দ্বিতীয় বিয়ে, পারিবারিক কলহ, অভাব-অনটন, বনিবনা না হওয়াসহ নানা কারণে এ বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশেও বিবাহ বিচ্ছেদের হার বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি। সেখানকার প্রায় ৪৩-৪৬ শতাংশ বিচ্ছেদ ঘটে। যার দুই-তৃতীয়াংশই নারীদের ইচ্ছায় হয় বিচ্ছেদ।

   পুরুষের চেয়ে বিবাহ বিচ্ছেদে নাকি নারীদের আগ্রহ বেশি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর কারণ গুলো –

 আগে পুরুষরাই শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করতেন। নারীরা সংসার সামলাতেন ও সন্তান লালন পালন করতেন। তবে নারীদের এই চিত্র এখন অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখন সব নারীই নিজ পায়ে দাঁড়াতে চান। তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, সফল ও তারা নিজেই আয় করতে চান। এমনকি বিয়ের পরও যেন তিনি স্বাধীনভাবে চলতে পারেন, সে স্বপ্নও দেখেন। যখন বিয়ের পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিবার তার ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন ভঙ্গ করেন বা সাপোর্ট না করেন তখনই দেখা দেয় দাম্পত্য কলহ। যা এক সময় বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।

  গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর চেয়ে পুরুষরাই বিয়ের পর বেশি সুবিধা ভোগ করেন। সে হিসেবে নারীরা অনেকটাই অবাঞ্ছিত হয়ে পড়েন সংসারে। সন্তান, পরিবার, কাজ, অফিস সব মিলিয়ে একজন নারী বেশ ব্যস্ত সময় পার করেন। তবুও যখন স্বামী ও পরিবারের কটূ কথা শুনতে হয় তাকে, তখন প্রতিবাদ করতে গেলেই অশান্তির সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতে পারে।

 
 নারীরা মানসিক চাপে বেশি ভোগেন, যখন সঙ্গী তাকে বিভিন্ন বিষয়ে অসমর্থন করেন। একজন নারী সবসময় তার সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক সমর্থন আশা করেন। স্বামীর মনমতো না চলার কারণে অনেক নারীই সংসারে বিদ্রুপ ও মানসিক অত্যাচারের শিকার হন। এ কারণে নারীরা বেশি একাকিত্বে ভোগেন। অনেক সময় নারীরা তার মনের কষ্ট অন্যের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারেন না। ফলে তার মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে। যা বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।

  বর্তমানে বেশির ভাগ নারীই আর্থিকভাবে পুরুষের উপর নির্ভরশীল নন। এ কারণে স্বামীর অগ্রাহ্য, প্রতারণা কিংবা অবহেলা সহ্য করে এখন আর কোনো নারীই সংসার করতে চান না। বিশ্বাসঘাতকতা, মানসিক নির্যাতন বা কোনো ধরনের ক্ষতিকর আচরণের সম্মুখীন হলে নারীরা নিজ থেকেই বিবাহ বিচ্ছেদ চান স্বামীর কাছে।

  বিয়ের পরের জীবন নিয়ে পুরুষের চেয়ে নারীর মধ্যে আশা ও বাসনা বেশি থাকে। বিশেষ করে বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন চলচ্চিত্রে বিবাহ ও এর পরের জীবনকে যেভাবে তুলে ধরা হয়, বাস্তবে কী আদৌ তা ঘটে!কারও কারও ক্ষেত্রে ঘটলেও সবার জন্য তা প্রযোজ্য হয় না। অনেকেই বিয়ে নিয়ে অত্যধিক আশা করেন! তবে বিয়ের পরে মনের ইচ্ছে পূরণ না হলে বাস্তবতায় আঘাত লাগে। ফলে সংসারে তুমুল অশান্তি শুরু হয়।

  নারীরা এখন শুধু একটি পরিবার তৈরি করতে চান না, বরং তারা মানসিক ঘনিষ্ঠতা, যোগাযোগ, ব্যক্তিগত বৃদ্ধি ও সব কিছু ভাগ করার দায়িত্বও চান। যখন তিনি বুঝতে পারেন যে এই মানদণ্ডগুলো পূরণ করা হয়নি বা হচ্ছে না, তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ নিতে চান।

  যদি কোনো নারী তার স্বামীর মাধ্যমে মানসিক বা শারীরিকভাবে দুর্ব্যবহার বা নির্যাতনের সম্মুখীন হন তাহলে অবশ্যই বিবাহ বিচ্ছেদই তার মুক্তির একমাত্র উপায়। নারীরা তাদের অধিকারের জন্য বছরের পর বছর ধরে লড়াই করে আসছে, তাই এটা বলাই ন্যায্য যে তারা ভয়ের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব শক্তি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।

  অনেক পুরুষ বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলেও তা দিতে ভয় পান। এর কারণ হলো তারা যদি প্রথমে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চান তাহলে স্ত্রীকে তার পাওনা নগদ অর্থ কিংবা সম্পত্তি দিতে হতে পারে। এমনকি তারা ধারণা করেন, আদালতে নাকি পুরুষদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রায় ন্যায্য হয় না। তাই অনেকেই স্ত্রীর উপর চাপ দিতে পারেন, যাতে তিনি নিজ থেকেই ডিভোর্স দেন। সে ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ আরও ঝামেলাহীনভাবে সম্পন্ন হয়। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২

বাড়ির বিদ্যুতের বিল সহজ উপায়ে কীভাবে কমাবেন ?.


বাড়ির বিদ্যুতের বিল সহজ উপায়ে কীভাবে কমাবেন ?.

  আজকাল প্রায় সব বাড়িতেই এসি, কুলার, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন,কিচেন চিমনি, মাইক্রোওভেন এর মতো ইলেকট্রনিক্স অ্যাপলায়েন্স (Electronics Appliances) ব্যবহার হচ্ছে। আর এই কারণেই ক্রমাগত বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল। কিন্তু এমন কিছু উপায় আছে যা অনুসরণ করলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কমানো যেতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী –

১) এসি কেনার সময় ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং দেখে নিন। উইন্ডো এসির পরিবর্তে ইনভার্টার এসি (AC) ব্যবহার করলে খরচ অনেকটা কমবে, এছাড়াও এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে রাখুন। নিয়মিত এসির ফিল্টার পরিষ্কার না করলে বিল বেশি আসবে৷

২) বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য সব ডিভাইসের সুইচ বন্ধ করুন। কারণ বেশিরভাগ ডিভাইস স্ট্যান্ডবাইতে রাখার কারণে অকারণে বিদ্যুৎ বিল বাড়তে থাকে। তাই সব অ্যাপলায়েন্স সুইচ থেকে বন্ধ করে বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো যেতে পারে।

৩) কোথায় ও কী ভাবে ফ্রিজ লাগানো হয়েছে তা বিদ্যুৎ বিলের (Electric Bill) উপরে প্রভাব ফেলে। ঘরে এমন জায়গায় ফ্রিজ রাখা উচিত যেখানে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল করতে পারে। দেওয়াল থেকে অন্তত ২ ইঞ্চি দূরে রাখা উচিত ফ্রিজ।

৪) ঘরে কেউ না থাকলে অকারণে ফ্যান চালিয়ে রাখবেন না এবং সবসময় রেগুলেটর থেকে বন্ধ না করে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করবেন। আগে সিলিং ফ্যানে 90 ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ হতো। এখন তা কমে ২৫-৩০ ওয়াট হয়েছে। যেহেতু ঘরে বেশিরভাগ সময় ফ্যান চলতে থাকে তাই নতুন প্রযুক্তির ফ্যান ব্যবহারে অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন।

৫) ঘরে আলো বদল করেও অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যেতে পারে। পুরনো টিউব লাইটে প্রায় ৪০ ওয়াট এর বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়, যদিও এলইডি (LED) আলো লাগিয়ে বাড়িত বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কমাতে পারবেন।

৬) ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারে অনেক বেশি বিল আসে৷ তাই খরচ কমাতে চাইলে অল্প জামা কাপড় হাতে কাচতে পারেন এবং ড্রায়ার ব্যবহারের বদলে বারান্দা বা ছাদে কাপড় শুকোতে দিতে পারেন৷

৭) ওয়ার্ক ফ্রোম হমার ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ বেবহার করছেন অনেকেই ৷ তবে যখন উঠছেন অর্থাৎ ব্রেক নিচ্ছেন, তখন কম্পিউটার স্লিপ মোডে রাখলে কিছুটা সাশ্রয় হবে বিলে৷

৮) ইস্ত্রি মেশিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাওয়ার বেশি লাগে৷ তাই একবার মেশিন গরম হলে সেটা বন্ধ করে জামা কাপড় ইস্ত্রি করে আবার ঠান্ডা হলে সুইচ অন করতে হবে৷ এতে কম খরচ হবে বিদ্যুৎ৷

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০২২

সরিষার তেলের ১৩টি অজানা উপকারিতা কি কি ?.


সরিষার তেলের ১৩টি অজানা উপকারিতা কি কি ?.

 
 বাজারে সয়াবিন তেলের আবির্ভাবের পর আমরা অনেকেই সরিষার তেলের উপকারিতার কথা ভুলে গেছি। অথচ এক সময় সরিষার তেলই ছিল আমাদের রান্নার প্রধান উপকরণ। এখনও সরিষা বা সরিষার তেল প্রতিটি বাড়ির রান্না ঘরেই রয়েছে যা – রান্নায়, ভর্তা বানাতে এমনকি মালিশের কাজেও ব্যবহৃত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে এই তেলের ব্যবহার অতি প্রাচীন। ৩০০০ খৃষ্টপূর্ব আগে থেকে ভারতে চিকিৎসা শাস্ত্রে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সরিষা দানা পিষে সরিষার তেল তৈরি করা হয়। এর রঙ ঘন লালচে হলুদ এবং এর গন্ধ ঝাঁঝালো। খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল স্বাস্থ্য উপকারি। 

সরিষার তেলে কি আছে ?.

  সরিষার তেল মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (Monounsaturated fat) এবং প্রদাহ বিরোধী (anti-inflammatory) উপাদানে সমৃদ্ধ। এছাড়াও সরিষার তেল মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট (Monounsaturated fat) ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড, এন্টি অক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থে ভরপুর। এতে খুব অল্প পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি রয়েছে।

সরিষার তেল ২ উপায়ে তৈরি হয় –

১। কাচ্চি ঘানি (Cold pressed)

  এই প্রক্রিয়ায় সরিষার দানা সরাসরি পিষে এ থেকে তেল বের করা হয় এই তেল হয় খুব ঘন এবং ঝাঁঝযুক্ত। এই তেল সবচেয়ে বেশী স্বাস্থ্য উপকারী। এটা হজম শক্তি বাড়ায়, হৃদপিন্ড ভাল রাখে, চুল গজানোয় সাহায্য করে এবং শরীরের মাংশ শক্ত হয়ে যাওয়া (muscle stiffness) রোধ করে। 

২। এসেনশিয়াল অয়েল (Mustard Essential oil) 

এই পদ্ধতিতে পেষা সরিষার দানার সাথে পানি, ভিনেগার অথবা অন্য কোন তরল মিশিয়ে বানানো হয়। এই তেল হয় অনেক পাতলা। সরিষার দানায় মাইরোসিনেইস (Myrosinase) এবং সিনিগ্রিন (Sinigrin) নামে দ’টি উপাদান আছে। পানিতে ভিজিয়ে রাখার ফলে এই দু’টি উপাদান বিষাক্ত কম্পাউন্ড সৃষ্টি করে। তাই এই ধরণের তেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

সরিষার তেলের উপকারিতা –

১। হজম প্রক্রিয়া – সরিষার তেল হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে। 

২। ব্যথা কমায় – সরিষার তেলে থাকা প্রদাহ বিরোধী (Anti-inflammatory) উপাদান ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথা, অন্যান্য জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস (বাত) এবং রিউম্যাটিক এর ব্যথাও দূর করে।

৩। ক্যান্সার রোধক – এই তেলে থাকা গ্লুকোসিনোলেট (Glucosinolate) নামক উপাদান মলাশয় ক্যান্সার এবং অন্ত্রের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।

৪। ফুসফুস পরিষ্কার – সরিষার তেল এক ধরণের ডিকঞ্জেস্টেন্ট বা শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কারক। এই তেলের সাথে রসুন মিশিয়ে বুকে ও পিঠে লাগালে কফজনিত সমস্যার সমাধান হয়।

৫। হৃদিপিন্ড সুস্থ রাখে সরিষার তেল – সরিষার তেলে থাকা মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে হৃদরোগের ঝুঁকি ৭০% কমিয়ে আনতে পারে।

৬। এজমা রোগে সরিষার তেল – এজমা এটাক (Asthma Attack) হলে সরিষার তেল বুকে ঘষলে শ্বাস নেয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়। সবসময় এর ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

৭। ত্বক ও চুলের যত্নে সরিষার তেল – শীতের সময় এই তেল ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং শরীর গরম থাকে। এই তেলের ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাঙ্গাস বিরোধী গুণাগুণ ত্বক ও চুলকে উজ্জ্বল করে তুলে। এই তেল ব্যবহার করলে ত্বক কখনই কালো হয় না বরং ত্বকের টোনের উন্নতি হয়।

৮। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে – রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাভিতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল দিলে সুফল পাওয়া যায়।

৯। স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও চেতনার উন্নয়নে – সরিষার তেল স্মরণশক্তি বৃদ্ধি ও চেতনার উন্নয়নে সহায়তা করে।

১০। মাসিকের ব্যথা – মেয়েদের মাসিকের ব্যথা এবং গ্যাস ও বদহজম জনিত পেটের ব্যথায় সরিষার তেল পেটে মালিশ করলে সুফল পাওয়া যায়।

১১। পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানো – পোকামাকড় এবং মশা তাড়ানোর জন্য ঔষধ হিসাবে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়। এর গন্ধে পোকামাকড় কাছে ঘেঁষে না।

১২। ওজন কমাতে সরিষার তেল – রিবোফ্ল্যাভিন (Riboflavin) ও নায়াসিন (Niacin) সমৃদ্ধ সরিষার তেল শরীরে মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

১৩। দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় – সুস্থ দাঁত ও জিঞ্জাভাইটিস ও পেরিওডন্টাইটিস রোগ প্রতিরোধে সরিষার তেল সহায়ক।  ১/২ চা চামচ সরিষার তেল + ১ চা চামচ হলুদের গুঁড়া + ১/২ চা চামচ লবন মিশিয়ে দাঁত ও মাড়িতে হালকা করে দুবেলা ঘষুন।  সতর্কতা – সরিষার তেলে থাকা ইরিউসিক এসিড (Erucic Acid) -এর কারনে রান্নার কাজে এই তেল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপে ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে এটা বাহ্যিক ব্যবহার যেমন মালিশের জন্য এসব দেশে নিষিদ্ধ নয়।

  সতর্কতা – সরিষার তেলে থাকা ইরিউসিক এসিড (Erucic Acid) -এর কারনে রান্নার কাজে এই তেল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপে ব্যবহার নিষিদ্ধ। তবে এটা বাহ্যিক ব্যবহার যেমন মালিশের জন্য এসব দেশে নিষিদ্ধ নয়।

  শেষ কথা – বাজারে পাওয়া সব তেলের মধ্যে সরিষার তেল সব থেকে বেশী স্বাস্থ্যকর। তবে এটা হতে হবে খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল বা কোল্ড প্রেসড (Cold Pressed) । যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেশগুলিতে নিষিদ্ধ হলেও সরিষার তেল অন্যান্য দেশ বিশেষ করে এশিয়ার সর্বত্র রান্নার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশএর ব্যতিক্রম নয়। ইদানিং অনেকেই সয়াবিন তেলের পরিবর্তে খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল ব্যবহার করা শুরু করেছেন।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



বুধবার, ২২ জুন, ২০২২

ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুখী দম্পতিরা কোন ১০টি কাজ করেন ?.


ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুখী দম্পতিরা কোন ১০টি কাজ করেন ?.

 ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার সঙ্গীর সাথে কিছু সময় কাটানো জরুরি। হোক সে কয়েক ঘণ্টা অথবা কয়েক মিনিট। দাম্পত্য জীবনে আনন্দ আনার জন্য একে অপরের সাথে মজা করা, কথা বলা এবং ভালোবাসা প্রকাশই যথেষ্ট। আপনাদের দাম্পত্য জীবন সুখময় করার জন্য সাইকোলজিস্টরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যা এই আর্টিকেল থেকে জানবেন। 

১. ফোন দূরে রাখুন –

  সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটালে আবেগ এবং বন্ধনের জন্য জরুরি হরমোন অক্সিটোসিনের নিঃসরণ কমে যায়। সাইকোথেরাপিস্ট কোরল কেরির পরামর্শ হলো - রাত ৯টার পরই আপনার ফোন বন্ধ করে দিন বা হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।

২. কাজের চিন্তা ভুলে যান –

  কাজের চিন্তা মাথা থেকে দূরে সরিয়ে দিন এবং বিছানয় শুয়ে ইন্টারনেট চেক করার অভ্যাস বাদ দিন। এর চেয়ে ভালো হয় নিজেদের মধ্যে কিছু সময় ব্যয় করুন, যার ইতিবাচক ফলাফল পরের দিনই টের পাবেন। বিছানায় শুয়ে শুয়ে কথা বললে দম্পতিদের বন্ধন বেড়ে যায় এবং দৈনন্দিন সমস্যার কথা মাথা থেকে বেরিয়ে হয়। ফলে আপনি মানসিক ভাবে আরাম বোধ করবেন। এ সময় কাজের কথা, অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বা অন্য যেকোনো বিষয় যা আপনার সঙ্গীকে ভয় পাইয়ে দেয় এমন কিছু কথা বলবেন না। 

৩. আপনার সঙ্গীর সাথে একই সময় বিছানায় যাবেন –

  অনেক দম্পতি ব্যস্ততার কারণে সারা দিন একে অপরের দিকে তাকানোরও সময় পান না এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঘুমাতে যান। সাইকোলজিস্ট কার্ট স্মিথের মতে, সুখী দম্পতিরা রাতে খাওয়ার পর এক সাথে দাঁত ব্রাশ করেন এবং একই সময়ে ঘুমতে যান। এই বিষয়টি তাদের দাম্পত্য জীবনের বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।

৪. একটি রুটিন মেনে চলুন –

   প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস আপনার ঘুমের অসুবিধা দূর করবে। যখন সব সময় একই রুটিন মেনে চলবেন তখন, আপনার মস্তিষ্ক ঘুমানোর নির্দেশ পাবে এবং শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করবে। যদি আপনার সঙ্গীর সাথে এই একই রুটিন মেনে চলেন তাহলে আপনাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং একে অপরের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে।

৫) হৃদয়ে-হৃদয়ে কথা বলুন –

  একে অন্যের অনুভূতির প্রতি মনোযোগী হোন। আপনাকে উপদেশ দিতে হবে না বা সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে হবে না। সাইকোলজিস্ট রেয়ান হাউইস পরামর্শ দেন, ঘুমনোর আগে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। এতে পরের সারা দিন সুখী সুখী ভাব বিরাজ করবে আপনার মধ্যে। ফলে আপনার জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। সারাদিন কি হয়েছে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন, এবং আপনার সকল সমস্যা এবং ভাবনা শোয়ার ঘরের দরজার বাইরে রেখে আসুন। যখন আপনি হৃদয় দিয়ে কথা বলবেন তখন তা খুব গুরুত্বের সাথে এবং মনোযোগ দিয়ে বলা জরুরি।

৬. তর্ক এবং বাজে আচরণ থেকে বিরত থাকুন –

  কার্ট স্মিথ মনে করিয়ে দেন যে, বিছানায় যাওয়ার আগে অবশ্যই ঝগড়া করা যাবে না। ঝগড়া কখনো সমাধানের পথ দেখায় না। তার উপর রাগ নিয়ে যখন ঘুমাতে যাবেন তখন আপনার চোখে ঘুম আসবে না এবং পরের দিন খুব বাজে কাটবে।

৭. শিশুদের আলাদা ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা করুন –

   সাইকোলজিস্ট মাইকেল ভিনর-ডেভিস এর মতে, আপনার শিশু যদি একা ঘুমাতে ভয় পায়, দুঃস্বপ্ন দেখে তাহলেই কেবল সাথে নিয়ে ঘুমন। আর অন্য সময় শোয়ার ঘরকে নিজেদের করে রাখুন। নিজেদের ভালোবাসা এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এটুকু ছাড় আমাদের দিতে হবে।

৮. পোষা প্রাণিদের বিছানায় নেবেন না –

  কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিছানায় পোষা প্রাণি নিয়ে শুতে যান তাদের ৬৩% ভালোভাবে ঘুমতে পারেন না। পোষা প্রাণিরা সারা রাত এক নাগারে ঘুমতে পারে না এবং আপনার ঘুম ভাঙ্গিয়ে বিরক্ত করে। আর তাছাড়া শোয়ার ঘরে পোষা প্রাণির উপস্থিতি একদম ঠিক না 

৯. শোয়ার ঘরে ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন –

  অনেক দম্পতি শোয়ার ঘরে ধূমপান ও মদ্যপান করে থাকেন। বিশেষ করে পুরুষ সঙ্গী। এতে ঘরের পরিবেশ দূষিত হয়, এবং মুখে বাজে গন্ধ তৈরি করে। ফলে নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগ্রহ কমে যায়। এরা অনিদ্রার জন্যও দায়ী। তাই শোয়ার ঘরে কখনো ধূমপান বা মদ্যপান করবেন না।

১০. একে অপরকে ম্যাসাজ করে দিন –

  ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অব স্লিপ নিশ্চিত করেছে যে, ঘুমানোর আগে সামান্য ম্যাসাজ আপনার ঘুমের মান উন্নত করবে। পাশাপাশি ভয়, জড়তা দূর করে দম্পতিদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ করে দেয়। 

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।