বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২

প্রেমে প্রতারণার শিকার হলে আপনি কি করবেন ?.


প্রেমে প্রতারণার শিকার হলে আপনি কি করবেন ?.

  সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষকে কখনও কি ভুলে থাকা যায়? প্রেমে প্রতারিত হওয়ার পর মন ভেঙে গেলে এই প্রশ্নটিই সবার মাথায় ঘুরপাক খায়! কেউ প্রেমে প্রতারিত হলে তাকে অনেক কষ্ট, আঘাত এবং বিশ্বাসঘাতকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এরপর সে সঙ্গীকে আর বিশ্বাস করতে পারে না।

এছাড়া কীভাবে সঙ্গীহীন জীবন কাটাবেন তা ভেবে কপালে ভাঁজ পড়ে অনেকের। তবে আপনি যাকে সত্যিকারের ভালোবাসেন সে যদি তা মূল্যায়ন করত তাহলে আপনার সঙ্গে প্রতারণা করত না। প্রিয় মানুষ প্রতারক রূপে আবির্ভূত হয়, তবে ভেঙে যায় মন, হারিয়ে যায় বিশ্বাস। এমন কঠিন আঘাতের পর কেমন করে নিজেকে সামলাবেন?

সময়ের হাতে নিজেকে ছেড়ে দিন -

 বহতা সময় যে কোনো ক্ষতকে সারিয়ে তোলে।তাই নিজেকে ছেড়ে দেয়া উচিত সময়ের হাতে। প্রতারিত হবার ব্যথা ধীরে ধীরে সময়ের সাথে চলে যাবে। যদিও মানুষ ভুলতে পারে না তার সব থেকে কাছের মানুষের প্রতারণা। তবুও জীবন কখনো থেমে থাকে না, চলতে থাকে এর নিজস্ব প্রবহমানতায়। একা না থেকে বন্ধু বান্ধবদের সাথে সময় কাটান। চেষ্টা করুন ব্যাস্ত থাকার। আর অপেক্ষা করুন কষ্টের ক্ষতে সময়ের প্রলেপ পরার।  

মন খুলে কথা বলুন -

  কষ্টকে মনের ভিতর চেপে রাখলে তা বাড়তেই থাকে। তাই উচিত আপনজনের সাথে নিজের জীবনের সবথেকে কষ্টের অংশ ভাগাভাগি করে নেয়া। এভাবেই সম্ভব নিজেকে প্রতারনার জ্বালা থেকে রক্ষা করা। আমরা যখন নিজের দুঃখ কারো সাথে ভাগ করে নেই তখন কষ্ট অনেকখানি লাঘব হয়ে যায়। তাই নিজের জীবনের এত বড় আঘাতকে না লুকিয়ে মন খুলে শেয়ার করুন কাছের কোন মানুষের সাথে। প্রয়োজনে কোন কাউন্সিলরের কাছে যান।  

নিজেকে ধোঁকা দেবেন না -

 নিজের কাছে সত্যিটা স্বীকার করা সবথেকে জরুরী। যে প্রতারণার মত ঘৃন্য কাজ অবলীলায় করতে পারে তার জন্য নিজের জীবন শেষ করার মধ্যে কোন সার্থকতা নেই। তাই নিজেকে ধোঁকা না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের মূলমন্ত্র হএয়া উচিত।

অবস্থার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন -

  চরম সত্যিকে মেনে নেয়া অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পরে। প্রেমের সম্পর্কে অনেক টানাপোড়েন থাকে কিন্তু প্রতারণা মেনে নেওয়া কখনই সহজ নয়। তাই প্রতারণার শিকার হলে মানুষ বেশিরভাগ সময় বেরিয়ে আসতে পারে না মনঃকষ্ট থেকে এবং হারিয়ে যায় অন্ধকারে। নিজেকে আলাদা করে ফেলে সব কিছু থেকে, চলে যেতে যায় সবকিছুর আড়ালে। কিন্তু যে আপনাকে ধোঁকা দিয়েছে তার জন্য জীবনটাকে নষ্ট করবেন না। 

  সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়া মানে জীবনের ইতি নয়। অবস্থাকে স্বীকার করার মধ্যে দিয়ে সমস্যার যথাযথ সমাধান করা সম্ভব। পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে গেলে কখনো নিজের মনঃকষ্টের হাত থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব না। অবস্থাকে মেনে নিলেই প্রতারনার কষ্ট অনেকটা কমানো সম্ভব। নিজেকে বর্তমান অবস্থার সাথে মানিয়ে নেয়ার মধ্যে দিয়েই উদ্ভূত বিপত্তিকে পার করার রাস্তা সহজে খুজে পাওয়া যায়।

নিজেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না -

  সম্পর্কে প্রতারণার শিকার হলে মানুষ বাইরের পৃথিবীর থেকে নিজেকে বিছিন্ন করে ফেলে এবং বন্দি করে রাখে নিজেকে চার দেয়ালের মাঝে। কিন্তু এভাবে নিজেকে তিলে তিলে শেষ করে ফেলার থেকে বুঝতে হবে কারো চলে যাওয়া মানে জীবনের সব চাওয়া-পাওয়া শেষ হয়ে যাওয়া না। নিজেকে সবকিছু থেকে দূরে রাখলেই কিন্তু কষ্ট, ব্যথা, যন্ত্রণা নিঃশেষ হয়ে যাবে না। নিজেকে শক্ত করুন।  

আনন্দের উৎস খুঁজুন -

 নিজেকে আনন্দে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় নিজেকে ব্যস্ত রাখা। নতুন কিছু করুন। ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেড়িয়ে পরুন ঘুরতে, কিম্বা শিখুন পেইন্টিং বা নতুন কোন শখের কাজ। আনন্দময় জিনিস শেখার মধ্যে দিয়ে কষ্ট আর ব্যথা ভুলে গিয়ে জীবনের স্বাদ আবারো অনুভব করতে শুরু করবেন।

ক্ষমা করুন -

  ক্ষমা এই ছোট্ট দুই অক্ষরের শব্দের মধ্যে লুকিয়ে আছে জীবনের সার। প্রতিশোধ না নিয়ে বা আপনার প্রতারকে আবির্ভূত হওয়া সঙ্গির স্মৃতিচারন না করে, স্রেফ ক্ষমা করে দিন। কঠিন হলেও একবার যদি মন থেকে ক্ষমা করা যায় তবে দেখবেন আপনার কষ্টের ভার অনেকটাই লাঘব হয়ে গেছে। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

ভোরবেলা নাকি রাতের বেলা, কোন সময়ে সহবাস করলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় জানেন ?.


ভোরবেলা নাকি রাতের বেলা, কোন সময়ে সহবাস করলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় জানেন ?.

 যৌনমিলনে ফলে শুধু শারীরিকই নয়, মানসিক দিক থেকেও রিলেশনশিপকে আরও মজবুত করে তোলে।  সুস্থতার চাবিকাঠি ভালবাসার সম্পর্ক। আর সম্পর্কের  গাঢ় বন্ধন মানেই যৌন মিলন। যৌন সম্পর্ক নিয়ে অনেকেরই অনেকরকমের ফ্যান্টাসি রয়েছে। সঙ্গমের সময়টাতে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে দুজনেই পুরো সময়টাতে একান্তভাবে কাটাতে চান। 

  সম্পর্ককে মজবুত করতে মানসিক ভাবে সংযুক্তির বিশেষ প্রয়োজন। যৌনমিলনের অনেক ভাগও রয়েছে। যেমন কেউ কেউ ঘুমোতে যাওয়ার আগে যৌনমিলনে লিপ্ত হতে চায় তো কেউ আবার পছন্দ করেন একদম ভোরবেলার সময়টা। তবে এর পুরোটাই নির্ভর করে স্বাস্থ্যের উপর। ভোরবেলা নাকি রাতের বেলা কোন সময়টা সঙ্গম করলে শরীরের জন্য ভাল জেনে নিন বিশদ।

  সঙ্গম নিয়ে একেক জনের একেক রকমের মতামত রয়েছে। সঙ্গমের সময়টাতে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে দুজনেই পুরো সময়টাতে একান্তভাবে কাটাতে চান। সম্পর্ককে মজবুত করতে মানসিক ভাবে সংযুক্তির বিশেষ প্রয়োজন। যৌনমিলনে ফলে শুধু শারীরিকই নয়, মানসিক দিক থেকেও রিলেশনশিপকে আরও মজবুত করে তোলে।

  যৌনমিলনের সময় নিয়েও নানা রকমের মতামত রয়েছে একেকজনের। কেউ কেউ ঘুমোতে যাওয়ার আগে যৌনমিলনে লিপ্ত হতে চায় তো কেউ আবার পছন্দ করেন একদম ভোরবেলার সময়টা। তবে এর পুরোটাই নির্ভর করে স্বাস্থ্যের উপর।

  সুস্থতার চাবিকাঠি ভালবাসার সম্পর্ক। আর সম্পর্কের  গাঢ় বন্ধন মানেই যৌন মিলন। যৌন সম্পর্ক নিয়ে অনেকেরই অনেকরকমের ফ্যান্টাসি রয়েছে। শরীর ও স্বাস্থ্যের উপর সঙ্গমের ইচ্ছা ও অনিচ্ছা নির্ভর করে। তবে ভোরবেলা নাকি রাতের বেলা কোন সময়টা সঙ্গম করলে শরীরের জন্য ভাল, গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য।

  সমীক্ষায় দেখা গেছে, পুরুষরা সাধারণত ভোরবেলা সঙ্গম করতে বেশি পছন্দ করেন। অন্যদিকে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা ঘুমোতে যাওয়ার আগে সহবাসে লিপ্ত হতে বেশি এগিয়ে রয়েছে।

  যৌনমিলনের অনেক কিছুই নির্ভর করে বয়সের উপর। যাদের বয়স কম তাদের বেশিরভাগই রাতের বেলা সঙ্গম বেশি উপভোগ করেন। এবং বয়স যত বাড়তে থাকে তত নাকি ভোরবেলা সেক্স করার প্রবণতা বাড়ে।

  সমীক্ষায় দেখা গেছে, বয়স বাড়লে রাতে ঘুমোনোর প্রবণতা বাড়ে এবং সেই কারণেই নাকি বেশি বয়সের মানুষরা রাতের বেলা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে ভোর বেলা যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হতে পছন্দ করেন।

  সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে,  সকাল ৮ টার নাগাদ পুরুষদের সবচেয়ে বেশি মাত্রায় টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণ হয়। এই হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে যৌনইচ্ছা বাড়ে। তাই সকালের দিকটায় পুরুষরা যৌনমিলনে করতে বেশি ইচ্ছুক থাকে।

 ভোরবেলা কোনও পুরুষের যৌনমিলনে লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা থাকলেই বোঝা যায় তার শরীরে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণের মাত্রা ভাল। এবং শুধু তাই নয়, তার শরীর সব দিক দিয়ে সুস্থ। তবে সেক্স করার পর শরীরে একটা ক্লান্তি হয়। তাই যাদের সারাদিন খুব পরিশ্রম করতে হয়, তারা অনেকেই ভোরবেলা সঙ্গম করে ফের ঘুমিয়ে পড়েন। কেউ কেউ কাজের চাপে ইচ্ছা থাকলেও এই সময়টা এড়িয়ে যান।

  মহিলাদের নিয়ে সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ মহিলারা রাতের বেলা সঙ্গম করতে বেশি পছন্দ করেন। কারণ সারাদিন কাজ করার পর রাতের বেলাটা সেক্স করতে অনেক বেশি আগ্রহী থাকেন মহিলারা।

  যৌনমিলনের ফলে প্রোল্যাকটিন এবং অক্সিটোসিন নামে হরমোন ক্ষরণ হয় যা ঘুমে সাহায্য করে। তবে গবেষণায় দাবি করা হয়েছে সারাদিনের ক্লান্তির পর সঙ্গম করলে শরীরটাও যেমন ফ্রেশ লাগে তেমনই ঘুম ভাল হয়। তাই মহিলারা বেশিরভাগই রাতের বেলা সহবাসে লিপ্ত হতে পছন্দ করেন।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


 

রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২২

বিয়ের আগে কেন কুষ্ঠি মেলানো হয়, এর প্রয়োজন কী ?.


  বিয়ের আগে কেন কুষ্ঠি মেলানো হয়, এর প্রয়োজন কী ?.
  
 কথায় আছে, জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে। তাই আমাদের জীবনের এই তিন বিষয়ের ওপর আমাদের হাত নেই। ভগবান যা ঠিক করে রেখেছেন, সময় হলে তারই সম্মুখীন হতে হবে। হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত আছে এমন ধারণা। তবে, জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিবাহ। দাম্পত্য জীবন সুখের হোক তা সকলেরই কাম্য। সে কারণে বিয়ের আগেও চলে নানা রকম প্রস্তুতি। একে অন্যের মনসিকতা বোঝার জন্য দীর্ঘদিন মেলামেশা করে দুজন। আবার অনেকে মেনে চলে জ্যোতিষ মত। 

  একটা সময় বিয়ের আগে হবু পাত্রা-পাত্রীর কুষ্ঠি মেলানোর রীতি ছিল। বর্তমানে এই রীতি কম দেখা গেলেও তা পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে এমন নয়। বিয়ের আগে বহু পরিবার দুজনের কুষ্ঠি মেলায়। শাস্ত্র মতে, নির্দিষ্ট কিছু জিনিসের মিল থাকার অর্থ দাম্পত্য সুখ বজায় থাকবে। 

  শাস্ত্র মতে, কুষ্ঠিতে বর ও কনের মধ্যে যদি ১৮টির কম দিক মিলে যায় তবে বিবাহ সফল হতে পারে না। তাই বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই ধরনের ব্যক্তিদের জুটি বাঁধার পরমার্শ দেওয়া হয় না। ১৮ থেকে ২৪টা দিক মিলে গেলে বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। শাস্ত্র মতে, কুষ্ঠিতে ২৫ থেকে ৩২টি দিক মিলে যাওয়ার অর্থ দাম্পত্য জীবন সুখের হবে। যদি ৩৩টির বেশি দিক মিলেয় যায়, তাহলে এই ধরনের জুটি পৃথিবীর সেরা জুটি হিসেবে বিবেচিত হবে।

  জন্ম সময় অনুসারে আমদের প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা রাশি। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, জীবনের ভলো-মন্দ নির্ভর করে আমাদের রাশির ওপর। তাই বিয়ে যেহেতু জন্ম ও মৃত্যুর মাঝে সব থেকে বড় বিষয়, তাই এটি এর ওপরও রাশির প্রভবা পড়ে এমন মনে করা হয়। সে কারণেই, বিয়ের আগে পাত্র পাত্রীর কোষ্ঠী মিলিয়ে দেখে নেওয়া হয়, তাদের জীবন সত্যিই সুখের হবে কি না।       

  পাত্র পাত্রীর কোষ্ঠী বিচার করার সময় নক্ষত্রের মিলন হচ্ছে কি না, তা দেখা হয়। দেখা হয় মঙ্গলের দশা কেমন রয়েছে সম্পর্ক। বিয়ের আগে দুজনের ৩৬টি দিক বিবেচনা করা হয়। যদি ৩৬-টির মধ্যে অন্তত ১৮টি মেলে তাহলে সেই পাত্র ও পাত্রীর বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। 

  কোষ্ঠীতে ৩৬টি গুণ মিলিয়ে দেখার প্রক্রিয়াটি হল কুষ্টি বিচারের প্রথম ধাপ। এর পর দেখা হয় কেউ মাঙ্গলিক কি না। শাস্ত্র মতে, কেউ একজন মাঙ্গলিক হলে, সেই বিয়ের নিয়ে সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিয়ের আগে সেই মাঙ্গলিক ব্যক্তির সঙ্গে গাছ অথবা নারায়নের বিয়ে দেওয়া হয়। তবে, দুজনে মাঙ্গলিক হলে এমন সমস্যা নেই। 

  তিনটি ধাপে কুষ্টি মেলানো হয়ে থাকে। প্রথম ধাপে গুণ বিচার। দ্বিতীয় ধাপে মাঙ্গলিক কিনা তা দেখা হয়, তা তৃতীয় ধাপে মহাদশাগুলো বিচার করা হয়। এই তিনটি ধাপের পরে পাত্র পাত্রীর বিয়ের কোষ্ঠী মিললে তবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। 

  শাস্ত্র মতে, প্রাচীন এই বিদ্যার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে মানুষের জীবনের অনেকটা অংশ। এই কথা বহু যুগ ধরে প্রমাণ হয়েছে। তবে, এই নিয়ে এক এক জন মানুষের এক এক রকম মানসিকতা। কারও এর ওপর বিশ্বাস, আছে তো কারও নেই। 

  জ্যোতিষের মোট ১২টা রাশি। এদের ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। আগুন- মেষ, সিংহ ও ধনু রাশি। জল কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশি। পৃথিবী বৃষ, কন্যা, মকর। বায়ু হল মিথুন, তুলা ও কুম্ভ রাশি।    

  পুরাণ অনুসারে, রাশির মিল হলে জাতক জাতিকারা একে অপরের সঙ্গে সুখে থাকেন। কেই যদি আলাদা বিভাগের রাশির জাতক-জাতিকার সঙ্গে ঘর বাঁধেন, তাহলে বিপদ। সে কারণে জলকে আগুন অথবা বায়ুর সংস্পর্শে আনলে হতে পারে বিপদ। 

  জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিবাহ। দাম্পত্য জীবন সুখের হোক তা সকলেরই কাম্য। দাম্পত্য জীবন কতটা সুখের হবে, তা অনেকটা নির্ভর করে গ্রহ-নক্ষত্রের ওপর। গ্রহের অবস্থানের ওপর মানুষের জীবনে নানা রকম পরিবর্তন হয়। তাই বিয়ের আগে জেনে নিন কী রয়েছে আপনার কুষ্টিতে। দুজনের রাশি মিলিয়ে জেনে নিন কতটা সুখের হবে আপনাদের বিয়ে। 

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ, ২০২২

কোন ৬টি কারণে ফুলে যায় মোবাইলের ব্যাটারি এবং ফেটে যায় ফোন ?.


কোন ৬টি কারণে ফুলে যায় মোবাইলের ব্যাটারি এবং ফেটে যায় ফোন ?. 


 বর্তমান স্মার্টফোনের যুগে স্কুল স্টুডেন্ট থেকে সবার হাতে হাতে ঘুরছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ফুলে যাওয়া, ফেটে যাওয়ার মতো ঘটনা। ফোনের ব্যাটারি ফুলে যাওয়া বা ফেটে যাওয়ার এমন ঘটনা প্রায় আমাদের চোখে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষজনের মধ্যে তারপর থেকে ভীতির সঞ্চার ঘটেছে।

 
 চলুন আজ আপনাদের বলবো স্মার্টফোনের ব্যাটারি ফুলে যাওয়া বা ফেটে যাওয়ার কারণ কি কি থাকতে পারে। যেগুলি জানার পর সামান্য সচেতনতা অবলম্বন করলেই এরকম ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। জেনে নিন ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আর সচেতন হোন এই বিষয়ে।

১)  হাত থেকে ফোন বারংবার পড়ে যাওয়া –

  আমাদের হাত থেকে ফোন যদি বারবার পড়ে যায়, তখন ব্যাটারি ফিজিক্যালি কিছু ড্যামেজ হয় এর ফলে শর্ট সার্কিট, ওভার হিটিং ইত্যাদি হতে পারে। যদি মনে হয় ব্যাটারি ঠিকঠাক নেই তখনই বদলে ফেলুন ব্যাটারি।

২) সস্তার চার্জার ব্যবহার –

  আপনার পুরোনো চার্জারটি নষ্ট হয়ে গেছে অমনি আপনি একটা সস্তার চার্জার কিনে নিলেন। আবারও বলছি বাজার চলতি এইসব সস্তার চার্জার থেকে সাবধান। এটি ফোন ব্লাস্টের অন্যতম কারণ।

৩) ব্যাটারির তৈরির সময় কিছু ত্রুটি –

  এই ভুলটিতে ব্যবহারকারীদের কোনো হাত নেই। ফোনটি তৈরি করার সময় যদি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিকে সঠিকভাবে পরীক্ষা না করা হয় তবে ফুলতে পারে, ফাটতে পারে।

৪) অতিরিক্ত চার্জ দেওয়া –

  আমরা অনেকেই সারারাত ফোন চার্জে বসিয়ে দিই। এটির ফলে ফোন ওভার হিটিং করে ও ব্যাটারিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এই কাজ থেকে দূরে থাকুন।

৫) অতিরিক্ত গেম খেলা –

  ফোন গরম হওয়ার জন্য অন্যতম একটি জিনিস হলো প্রসেসর। অতিরিক্ত গেম খেললে প্রসেসরের উপর চাপ পড়ে। এর ফলে ফোন গরম হয়ে ব্যাটারি ফেটে যেতে পারে।

৬) অধিক সময় ফোন রোদে ফেলে রাখা –

  ফোনকে যদি অনেকক্ষণ রোদে ফেলে রাখেন তাহলে ফোন গরম হয়ে যেতে পারে। ফোনের স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলো পড়লে ফোন গরম হয় এটি এক গবেষণায় প্রমাণিত। এজন্য বাইরে যখন যাবেন তখন ফোনকে ব্যবহার যদি না করেন তাহলে হাতে নিয়ে ঘুরবেন না একটা ব্যাগের মধ্যে রাখুন। এতে আপনার ফোন সুরক্ষিত আর আপনিও।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২

বাড়িতে বা ঘরে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত ?.


বাড়িতে বা ঘরে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত ?.

  নগ্ন ছবি থেকে শুরু করে নগ্ন কথাবার্তা সবকিছুই আমরা পছন্দ করি। কিন্তু নগ্নতা এমন একটি প্রসঙ্গ যা মানুষ সকলের সামনে কথা বলতে লজ্জা পায়। নগ্নতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মনে পড়ে যায় ছত্রাক সিনেমা নিয়ে চন্দ্রিল ভট্টাচার্য-এর একটি কথা।

   আমরা যে জিনিস সকলের সামনে দেখতে পারিনা, তাকেই আমরা অসংস্কৃতির আখ্যা দিই। আজ কথা বলব, নগ্নতা নিয়ে কিছু কথা। বিশেষজ্ঞ পল্লবী পাল কে একজন তরুণ চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তার মা একজন ফরাসি এবং বাবা ভারতীয়। 

  প্রথম থেকেই নগ্নতা নিয়ে মায়ের মধ্যে কোন দ্বিধা বোধ কাজ করে না। খুব স্বাভাবিক ভাবেই স্নানের শেষে তিনি নগ্ন হয়ে বেরিয়ে আসেন বাথরুম থেকে। তারপর পোশাক পরেন।

  তবে আমরা ভারতীয়রা এই সমস্ত দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত নই। বিশেষত আমাদের মা কাকিমারা যারা একই সঙ্গে বসবাস করেন, তারা এই রকম দৃশ্য দেখলে নেহাতই রাগ করবেন। ফরাসি মায়েরে বাথরুম থেকে নগ্ন অবস্থায় বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা তরুণ তরুণের অসম্ভব চাপ সৃষ্টি করেছিল। তিনি জানতে চেয়েছিলেন যে, ভারত হোক অথবা অন্য কোন সমাজ, বাড়িতে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো ঠিক কতটুকু যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করছেন মনোবিশেষজ্ঞ পল্লবী। এই প্রসঙ্গে পল্লবী যা যা বলেছেন তা আমরা এক নজরে দেখে নেব।

  সবার প্রথমে বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে, আগে তরুণকে নিজের মনের অস্বস্তি কাটাতে হবে। মাকে নগ্ন দেখা একটি অস্বস্তির কারণ হতে পারে। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখতে হয়, মা শুধুমাত্র একজন নারী নয় তার সঙ্গে একজন মানুষ ও। অতএব তাকে ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রদান করা শিখতে হবে সকলের আগে।

  যদি শুধুমাত্র নগ্নতাই অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে নিজের মন থেকে দ্বিধা কাটিয়ে উঠতে হবে সকলের আগে। আমাদের দেশে প্রাচীনকালে যে সমস্ত ভাস্কর্য তৈরি হতো তার বেশিরভাগ, নগ্ন তাকে কেন্দ্র করেই তৈরি করা হতো। আমাদের প্রাচীন ভাস্কর্য দেখতে যখন আমাদের কোনো দ্বিধা বোধ হয় না, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মনের সংকোচন বিসর্জন দিয়ে দেওয়া ভালো।

  আরেকটি কথা মনোবিশেষজ্ঞ পল্লবী উল্লেখ করেছেন তা হল, শুধু তরুণ কেন, তার মতো অনেকেই আছেন যারা বাড়িতে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো পছন্দ করেন না। এরকম যদি হয় তাহলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে নম্র ভাবে কথা বলে নিজের সমস্যা কার সঙ্গে আগে আলোচনা করতে হবে। তরুণ তার মাকে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় তোয়ালে ব্যবহার করার পরামর্শ দিতে পারেন।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২

বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করার সহজ ও কার্যকরী ৬টি কৌশল কী কী ?.


বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করার সহজ ও কার্যকরী ৬টি কৌশল কী কী ?.

  সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় ফাংগাস, ব্যাক্টেরিয়া খুব সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। আর সেখান থেকেই ছড়ায় রোগজীবাণু ও ঘটে থাকে আকস্মিক দুর্ঘটনা। পরিবারে যদি ছোটো বাচ্চা এবং বয়স্ক মানুষ থাকে, তখন বাথরুমের টাইলস ক্লিন করার কথা আমাদের অনেক গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও নিয়মিত বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার না করলে, অবাঞ্ছিত কালো দাগ পড়ে বাথরুমের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

  সুতরাং আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করুন। জেনে নিন কীভাবে বাথরুমের টাইলস পরিষ্কার করা যায়।

১। বাথরুমের মেঝে শুকিয়ে ফেলুন:-

  বাথরুম পরিষ্কার করার আগে একটি শুকনো কাপড় দিয়ে মেঝে, দেয়াল ভাল করে মুছে নিন। এমনভাবে মুছে ফেলুন যাতে বাথরুম একদম শুকিয়ে যায়। এই একটি কাজ বাথরুম ধোয়ার কাজটি আরও সহজ করে দেবে। এতে করে বাথরুমের বাড়তি ময়লা ও তলানি পরিষ্কার করা সহজ হবে।

২। টাইলস ক্লিনার ব্যবহার করুন: -

  সম্পূর্ণ বাথরুমের টাইলসে টাইলস ক্লিনার বা টয়লেট ক্লিনার ছিটিয়ে দিন। এবার এই ক্লিনার দিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। লক্ষ্য রাখবেন ক্লিনার দিয়ে খুব বেশিক্ষণ রাখবেন না। আপনি চাইলে এটি প্রতিদিন করতে পারেন।

৩। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন:-

 টাইলস পরিষ্কার করার জন্য শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন। শক্ত ব্রাশ দিয়ে টাইলসের মেঝে ভাল করে ঘষুন। পুরোতন অব্যহৃত টুথব্রাশ দিয়ে বাথরুমের কোণাগুলো পরিষ্কার করুন। টাইলসের জোড়া লাগানো স্থানের কোনায় কোনায় ময়লা জমে কালচে দাগ পড়ে, সে স্থানগুলোও টুথব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

৪। জল দিয়ে পরিষ্কার করুন: -

 ব্রাশ দিয়ে ঘষার পর ময়লা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেশি পরিমাণে জল ঢালুন যাতে করে বাথরুমের কোনায় কোনায় জমে থাকা ময়লা সব ধুয়ে চলে যায়।

৫। ভিনেগার:-

 সমপরিমাণে ভিনেগার এবং জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার এটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফেলুন। এবার এটি দিয়ে টাইলসের উপর বিশেষ করে ময়লা দাগের উপর স্প্রে করুন। এভাবে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। ১৫ মিনিট পর ঘষুন তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনি বেসিন, টাইলস, কেবিনেট সব পরিষ্কার করতে পারবেন।

৬। বেকিং সোডা: -

 একটি কাপড়ে বা স্পঞ্জে বেকিং সোডা লাগিয়ে টাইলসের ময়লা দাগের উপর লাগিয়ে নিন। এবার এটি কিছুক্ষণ ঘষুন। এছাড়া বেকিং সোডা এবং জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি টাইলসে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ঘষুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগারের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তেল, চর্বিজাতীয় দাগ পড়ে টাইলস যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য যেসব স্থানে দাগ পড়বে সঙ্গে সঙ্গে তা সাবানের জল দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। এতে দাগ স্থায়ী হবে না। বেকিং পাউডার এবং ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে বাথরুমে ব্যবহার করতে পারেন, এটি বাথরুম পরিষ্কার করার পাশাপাশি জীবাণুমক্ত রাখবে।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০২২

কোন পাঁচটি ভুলে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ হারায় আপনার সঙ্গী ?.


কোন পাঁচটি ভুলে শারীরিক সম্পর্কে আগ্রহ হারায় আপনার সঙ্গী ?.

 
 দেশ আগের চাইতে অনেক উন্নত হয়েছে। সেই সঙ্গে উন্নত হয়েছে মানুষের চিন্তা শক্তিও। তারপরও যৌনতা নিয়ে কথা বলতে এখনো অনেকেই সংকোচবোধ করেন। অথচ যৌনতা যে আর পাঁচটি জৈবিক প্রক্রিয়ার মতোই স্বাভাবিক, একথা মেনে নিতে এখনো অসুবিধা হয় সমাজের একটি বড় অংশের মানুষের। আর এর জন্যই অধরা থেকে যায় যৌন জীবনের একাধিক সমস্যার সমাধান। যৌন মিলনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা সেরকমই একটি বিষয়। জানুন মূলত কোন কোন কারণের জন্য এমনটি ঘটে-
১) ক্লান্তি –

যৌন মিলনের ভরপুর আনন্দ পেতে অবশ্যই প্রয়োজন স্ফূর্তি ও উদ্দীপনা। কিন্তু কর্মক্ষেত্রের চাপ, সাংসারিক দায়িত্ব বা সন্তানের দেখভাল, প্রভৃতি নানা কারণে শারীরিক তো বটেই, মানসিক ভাবেও শরীরকে গ্রাস করে ক্লান্তি। ফলে দিনের শেষে যৌন মিলনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন অনেকেই।

২) হীনমন্যতা –

 নিজেকে নিয়ে বা নিজের শারীরিক গঠনকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন অনেকে। সচরাচর নজরে না পড়লেও এই সমস্যা কিন্তু অত্যন্ত গভীর। অবচেতনে ক্রমাগত এই ভাবনা চলতে থাকলে তার মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে যৌন জীবনে। অথচ সঙ্গীর সঙ্গে সঠিক কথোপকথনে সহজেই মুক্তি মিলতে পারে এই সমস্যা থেকে।


৩) একঘেয়েমি –

  দীর্ঘদিন এক সঙ্গে থাকলে যৌন জীবনে আসতে পারে একঘেয়েমি। মুখে না বললেও অনেক সম্পর্কেই ফাটলের কারণ এই সমস্যা। তাই একঘেয়ে লাগলে খুঁজতে হবে যৌন জীবনকে রোমাঞ্চকর করে তোলার নিত্য নতুন উপায়।

৪) মতাদর্শগত পার্থক্য –

 দৃঢ়চেতা মানুষদের মধ্যে যৌন মিলনের আগ্রহ কমে যাওয়ার অন্যতম মূল কারণ এটি। মানসিক ভাবেই যার সঙ্গে দূরত্ব শত যোজন তার সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় সঙ্কোচ হওয়া অসম্ভব নয়।


৫) স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা –

 যৌন মিলনের সময়ে সঙ্গীর যৌন স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেন অধিকাংশ মানুষই। সার্বিক পরিচ্ছন্নতা বোধ না থাকলে বৈজ্ঞানিক ভাবেও অস্বস্তিকর হয় শারীরিক মিলন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি না মানা মানুষদের প্রতি যৌন আকর্ষণ হারান সঙ্গীরা।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শরীরের কোন তিন টি অংশ প্রতিদিন পরিষ্কার করা জরুরী ?.


শরীরের কোন তিন টি অংশ প্রতিদিন পরিষ্কার করা জরুরী ?. 

 
 নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে নিয়মিত গোসল করা। এতে যে কেবল আপনার পরিচ্ছন্নতাই নিশ্চিত হবে তা কিন্তু নয়, আপনি বিভিন্ন রোগ থেকেও রক্ষা পাবেন। কিন্তু কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন গোসল করার প্রয়োজন নাও হতে পারে। 

 
 অতিরিক্ত গোসল স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলতে পারে। সেইসঙ্গে ত্বকে শুষ্কতা, ফাটা, চুলকানি এবং জ্বালা দেখা দিতে পারে। আপনি প্রতিদিন গোসল করতে চান কি না তা সম্পূর্ণ আপনার ওপর নির্ভর করে। আমরা যদি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলি, তবে শরীরের মাত্র তিনটি অংশ রয়েছে যা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। 

 চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী-

বগল –

 আপনি যদি প্রচুর ঘামেন তবে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জমা হওয়ার কারণে আপনার শরীর এক ধরনের কটু গন্ধ তৈরি করবে। বগলের মতো ত্বকের ভাঁজে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়। এটি আপনার বগলে প্রচুর গন্ধ তৈরি করবে। সেইসঙ্গে চুলকানি এবং প্রদাহের দিকে নিয়ে যাবে। প্রতিদিন সাবান এবং পানি দিয়ে বগল পরিষ্কার করলে তা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলবে এবং এর বৃদ্ধি রোধ করবে। এতে ত্বকের সমস্যার ঝুঁকি কমবে এবং শরীর থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।

উরুসন্ধি –

 এমনকি যদি আপনি প্রতিদিন গোসল না করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেও আপনাকে উরুসন্ধি বা কুঁচকির এলাকা পরিষ্কার করতে হবে। সেইসঙ্গে প্রতিদিন অন্তর্বাস পরিবর্তন করতে হবে। যৌনাঙ্গের চারপাশে চামড়ার ভাঁজ এবং অবাঞ্ছিত লোম লাখ লাখ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়কেন্দ্র হতে পারে। যা সংক্রমণ এবং দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। এটি আপনাকে গুরুতর রোগের ঝুঁকিতেও ফেলতে পারে। হালকা গরম পানি এবং সাবান দিয়ে উরুসন্ধি পরিষ্কার করুন। এতে সংবেদনশীল ত্বক নরম এবং ঘামমুক্ত থাকে।

পায়ের পাতা –

 পা শরীরের সবচেয়ে উপেক্ষিত অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি, বিশেষ করে যখন স্বাস্থ্যবিধির প্রসঙ্গ আসে। বেশিরভাগ মানুষই পা ভালো করে না ধুয়ে গোসল শেষ করে নেয়। কিন্তু আপনার পায়ের দিকে বেশি মনোযোগ প্রয়োজন। এটি এমন একটি সাধারণ স্থান যেখানে আপনার ঘাম জমে, বিশেষ করে আপনি যদি সারাদিন মোজা পরে থাকেন। পা পরিষ্কারের পাশাপাশি প্রতিদিন মোজাও পরিষ্কার করুন। এতে গন্ধ রোধ করা সহজ হবে।

শরীরের অন্য যেসব অংশ পরিষ্কার করতে হবে –

 আমরা যখন গোসল করতে যাই, তখন শরীরের প্রতিটি অংশে সাবান লাগানোর চেষ্টা করি এবং এটি ভালোভাবে স্ক্রাব করি। কিন্তু শরীরের কিছু অংশের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন এবং গোসল করার সময় সেগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে। বগল, কুঁচকি এবং পা ছাড়াও শরীরের কিছু অংশ রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়স্থল হিসাবে বিবেচিত হয়। যেমন: নখের নিচে, কানের পেছনে, নাভি এবং ঘাড়ের পেছনের অংশ। তাই শরীর এসব অংশ পরিষ্কারের প্রতিও মনোযোগী হোন।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ, ২০২২

কিভাবে বুঝবেন আপনার সম্পর্ক ভাঙার সময় এসে গিয়েছ ?.


কিভাবে বুঝবেন আপনার সম্পর্ক ভাঙার সময় এসে গিয়েছ ?.

 
  দুজন মানুষ ভালোবেসে একে অপরের কাছাকাছি আসেন। ভালোবাসার সম্পর্কে যেমন সুখ আছে, তেমনই আছে বিচ্ছেদের কষ্টও। ভালোবাসলে ভালোবাসার মানুষটিকে যেমন বলতে হয় সে কথা, তেমনই কোনো সম্পর্ক কখন আর ভালোবাসার নেই তাও বুঝতে হয়।

 অনেক সম্পর্কেই তিক্ততা চলে আসে। এই রকম পরিস্থিতিতে সম্পর্কটা টেনে হিঁচড়ে আর না আগানোই ভালো। এতে দুজন আলাদা হয়েও সুখে থাকা সম্ভব। যদিও ভালোবাসলে কেউ কেউ খুঁজে পান না ইতি রেখাটি। তাই কীভাবে বুঝবেন এই সম্পর্ক থেকে কখন বেরিয়ে যাওয়াই এক মাত্র পথ? চলুন জেনে নেয়া যাক-

 1.যদি কেউ কোনো সম্পর্কে থাকাকালীন মানসিক বা শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন, দ্বিতীয় বার না ভেবে বেরিয়ে আসুন। পুরুষ হন বা নারী, সঙ্গী যদি কোনো ভাবে মৌখিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক বা মানসিক নিগ্রহ করেন তবে অবিলম্বে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে সাহায্য নিন বিশেষজ্ঞদের।

 2.যদি দেখেন সম্পর্ক ধরে রাখতে নিজের মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে হচ্ছে, তবে সেই সম্পর্কের থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। মূল্যবোধের সঙ্গে আপস করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আদপে নিজের কাছে প্রতিনিয়ত মিথ্যে কথা বলে চলার সামিল।

 3.যৌনতা বা যৌন মিলন হয়তো সব সম্পর্কে থাকে না। কিন্তু যারা আগে নিয়মিত মিলিত হয়েছেন তারা যদি উপলব্ধি করেন যে সঙ্গীর প্রতি আর কোনো রকম যৌ’ন আকর্ষণ বোধ করছেন না বা ঘনিষ্ঠ হতে ইচ্ছেই করছে না দিনের পর দিন, তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্ক একেবারেই সঠিক জায়গায় নেই। আর এই শীতলতা যদি মানসিক সমস্যার কারণে এসে থাকে তাহলে নিতে হবে মনোবিদের পরামর্শ।

 4.ভালোবাসার ঠিক বিপরীত হলো নিরুত্তাপ থাকা। যদি সঙ্গীর ভালো-মন্দের ওঠা নামা বা দৈনন্দিন যাপন আপনার মনে কোনো রকম দাগ না কাটে তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কের কোথাও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমনও হতে পারে আপনি যে কথাগুলো বলতে চাইছেন, শুনতে চাইছেন তা আপনার সঙ্গী কিছুতেই আর বুঝতে পারছেন না। যদি উল্টোটাও সত্যি হয়, তা হলে বুঝতে হবে বিচ্ছেদের সময় হয়তো এসে গিয়েছে।

 5.এত কিছুর পরেও শেষ কথাটি হলো ভালোবাসা। মানুষ আর যাই বুঝুক না বুঝুক, ভালবাসার অনুভূতি আছে না নেই তা স্পষ্ট বুঝতে পারে। যদি দু’জনের কারো মধ্যে এই ভালোবাসা না থাকার অনুভূতি এসে থাকে, তাহলে সেই সম্পর্ক রাখারও বিশেষ মানে থাকে না। তবে মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি সম্পর্ক আলাদা। স্বতন্ত্র তার সমীকরণও। কাজেই এক সঙ্গে থাকা এবং না থাকা দুটি সিদ্ধান্তই নিন নিজের ও সঙ্গীর ভালো থাকার কথা ভেবেই।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২

কম বয়সে ব্রা পড়লে মেয়েদের সাধারণত কি কি ক্ষতি হয় ?.


কম বয়সে ব্রা পড়লে মেয়েদের সাধারণত কি কি ক্ষতি হয় ?. 

ব্রা বা বক্ষবন্ধনী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের সঠিক মাপ (Shape) জেনে নিন। ভুল মাপের (Shape) ব্রা পরিধানে সারাদিন অস্বস্থি অনুভূত হতে পারে। তাই ব্রা কেনা এবং ব্যবহারের ব্যপারে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। সুন্দর, উঁচু ও ভরাট বক্ষের অধিকারী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন প্রায় সব নারীই। নইলে যেন নারীত্বে কোথাও খামতি রয়ে যায়। যদিও এর পক্ষে বিপক্ষে তর্ক চলবেই।

  বিশ্বের কোটি কোটি নারী তাদের শরীরকে আরো আকর্ষণীয় দেখাতে যে বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করেন। তার পেটেন্ট নথিভুক্ত করা হয় আজ থেকে ১০০ বছর আগে। ১৯১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। ব্রা এর উদ্ভাবক হলেন মেরি ফেল্পস জ্যাকব।

 সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রা এর চেহারা, সাইজ, রং, ডিজাইন অনেক কিছুই বদলে গেছে। একঝলকে জেনে নিন বক্ষের যত্ন নিতে ঠিক কেমন ব্রা ব্যবহার করা উচিৎ। কত বছর বয়স থেকে মেয়েদের ব্রা পরা উচিত।

 মোটামুটি ভাবে মেয়েদের বয়ঃসন্ধি এগারো বা বারো বছর বয়স থেকেই শুরু হয়। তার খানিক আগে থেকেই তাদের শরীরের বৃদ্ধি হতে শুরু করে। স্তন সুগঠিত হতে শুরু করে। স্তন গঠিত হতে শুরু করেছে কিনা তা আপনি বুঝতে পারবেন যখন বক্ষদেশ আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করবে। স্তনবৃন্ত সুগঠিত হতে শুরু করবে।

  এই সময়ে বুকের ওই অংশে বেশ ব্যথা অনুভূত হয়। এই সময়ে মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবেই রাস্তায় বেরোলে আচমকাই বেশী লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকে যা তাদের নিজেদের কাছেও অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। স্তন সম্পর্কে মেয়েরা এইসময় থেকেই সচেতন হতে শুরু করে।

 এরকম অবস্থায় তাদের বক্ষবন্ধনী কিনে দেওয়া উচিত। তবে সব মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি এক রকম হয় না। হয়ত দেখবেন কোনো কোনো মেয়েকে এগারো বছর বয়স থেকেই বক্ষবন্ধনী পরতে হয়, তার শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধির কারণেই।

  আবার হয়ত দেখবেন কোনো কোনো মেয়ে প্রথম বক্ষবন্ধনী পরতে শুরু করে প্রায় চোদ্দ বছর বয়সে এসে। শারীরিক গঠন প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার। তাই যার যখন প্রয়োজন তার তখনই বক্ষবন্ধনী পরা উচিত। বন্ধুরা পড়ছে অথচ আমি পড়ছি না এই নিয়ে অযথা চিন্তা না করাই ভালো।

 ব্রা এর মাপ নির্ধারণ করবেণ যেভাবে -

ব্রা নারীদের বহুল ব্যবহৃত অন্তর্বাস। কিন্তু বক্ষবন্ধনী এর মাপ (Shape) নির্ধারণে অনেকেই ভুল করে থাকেন। যেহেতু ভুল মাপের বক্ষবন্ধনী নারীদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে তাই বক্ষবন্ধনীর সঠিক মাপ (Shape) নির্ধারণে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। জেনে নিন কীভাবে ব্রা এর সঠিক মাপটি নির্ধারণ করবেন।

 ব্যাণ্ডের সাইজের মাপ (Shape) নির্ধারণ – নিঃশ্বাস ত্যাগ করুন, ফুসফুস থেকে সমস্ত বাতাস বের করে দিন। এবার মেঝের সাথে সমান্তরাল করে বুকের চারদিকে ফিতা দিয়ে বক্ষোদেশের নিচে অর্থাৎ যেখানে ব্রা শেষ হয়ে গেছে, সেখানে মেপে নিন। দশমিক সংখ্যা এলে তার কাছাকাছি পূর্ণ সংখ্যা ধরবেন। যেমন, ২৮.৫ ইঞ্চি বা এর কম হলে ২৮ ইঞ্চি ধরবেন। ২৮.৬ ইঞ্চি বা এর বেশি হলে ২৯ ধরবেন। সংখ্যাটা জোড় হলে, তার সাথে ৪ যোগ করবেন। সংখ্যাটা বিজোড় হলে, তার সাথে ৫ যোগ করবেন।

  কাপের সাইজের মাপ (Shape) নির্ধারণ – সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে, হাত দুদিকে ছেড়ে দিয়ে, ব্রার উপরে যেখানে সর্বোচ্চ উঁচু, সেখানের মাপ নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে মাপার সময় ফিটা মেঝের সমান্তরাল থাকে, কোথাও উঁচু-নিচু যেন না হয়। দশমিক সংখ্যা এলে তার কাছাকাছি পূর্ণ সংখ্যা ধরবেন। যেমন, ৩৪.৫ ইঞ্চি বা এর কম হলে ৩৪ ইঞ্চি ধরবেন। ৩৪.৬ ইঞ্চি বা এর বেশি হলে ৩৫ ধরবেন।

  ব্রার সাইজের মাপ (Shape) নির্ধারণ – কাপের সাইজের মাপ থেকে ব্যাণ্ডের সাইজের মাপ (Shape) বিয়োগ দিন। এই সংখ্যাটা দিয়েই পেয়ে যাবেন কাপের সাইজ। এছাড়া বক্ষবন্ধনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্য কারও সহযোগিতা নিতে পারেন। বেশী টাইট বক্ষবন্ধনী আপনার স্তনের (Breast) জন্য ক্ষতিকর।

  ব্রা কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন -

বক্ষকে বেঁধে রাখতে বাজারে অনেক রকমের বক্ষবন্ধনী পাওয়া যায়৷ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো শুধু মিষ্টি রং, সুন্দর ডিজাইন আর কম দাম দেখে নয়, স্বাস্থ্যের জন্য সেটা কতটা উপযোগী অর্থাৎ কাপড়ের মানও দেখা প্রয়োজন। তাছাড়া কিছু বক্ষবন্ধনীতে স্তনের (Breast) আকার আরও সুন্দর করতে ব্রার কিনারায় গোল করে স্টিল বা ধাতব পাত লাগানো হয়। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতি বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে কী না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। বক্ষবন্ধনী কেনার সময় দেখে নিন সেই হুক লাগানোর অনেক গুলো ঘর আছে কিনা।

 যে বক্ষবন্ধনী গুলিতে হুক লাগানোর জন্য একাধিক ঘর আছে সেগুলো কেনাই ভালো। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের স্তনযুগল (Breast) অনেক বড়, তারা এক-দুই সাইজ ছোট বা খুব আঁটসাঁট বক্ষবন্ধনী পরেন, যা একদমই ঠিক নয়। কারণ এটা দেখতে যেমন ভালো লাগে না, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর৷ তাছাড়া বেশি আঁটসাঁট বক্ষবন্ধনী পরলে শ্বাসকষ্টও হয় অনেকের। তাই বেশি বড় বা বেশি ছোট কোনটাই ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বেশি টাইট বক্ষবন্ধনী স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যান্সার হতে নিজেকে দূরে রাখার জন্য সঠিক মাপের (Shape) বক্ষবন্ধনী পরিধান জরুরি। তাই আন্দাজে বক্ষবন্ধনী কিনতে যাবেন না।

 একসঙ্গে একাধিক বক্ষবন্ধনী কিনুন। ব্রা ভালো রাখতে হলে এবং সঠিক মাপে (Shape) রেখে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হলে একই বক্ষবন্ধনী সপ্তাহে দুদিনের বেশি পরবেন না। সম্ভব হলে একদিনই পরুন। ইলাস্টিককে কয়েকদিন বিশ্রাম দিলে এর ইলাস্টিসিটি আবার আগের মত হয়ে যায় কিছুটা। তাই বক্ষবন্ধনী কেনার সময় এক সঙ্গে একাধিক কিনুন, যেন বদলে বদলে পরা যায়।

 ব্রা সাধারণত অনেক ধরণের হয়, শুধু সুন্দর পোশাক পরলেই হবে না, অন্তর্বাসও সুন্দর হতে হবে, আরামের হতে হবে। দামি ফেব্রিকের, সুন্দর ডিজাইনের ব্রা পরলে একটা অন্য রকম তৃপ্তি আসে শরীর-মনে। আর এটাই সারাদিনের জন্য মেয়েদের মুড তৈরি করে দেয়। শুধুমাত্র বাইরে বেরলেই যে সুন্দর অন্তর্বাস পরবেন, তা নয়। শারীরিক জীবন অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে নানা ধরনের বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা বক্ষবন্ধনী। তাহলে দেখে নিন -

টি-শার্ট ব্রা – এই ধরনের ব্রা হল বেসিক ব্রা, যা পরা যায় যে কোনও জামা-কাপড়ের ভিতরে। বলা যেতে পারে এটাই মেয়েদের অফিসিয়াল বক্ষবন্ধনী। এই ধরনের ব্রা-এর বিশেষত্ব হল— জামা-কাপড়ের উপর থেকে স্ট্র্যাপ বা লোয়ার ব্যান্ড খুব একটা বেশি বোঝা যায় না। অফিসে বা কলেজে তা কাম্যও নয়। ভাল ব্র্যান্ডের টি-শার্ট বক্ষবন্ধনী সারাদিন পরে থাকলেও কষ্ট হয় না। কালো, স্কিন এবং সাদা—এই তিন রঙের টি-শার্ট বক্ষবন্ধনী কিনে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে ইচ্ছে করলে পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়েও কিনতে পারেন।

প্যাডেড ব্রা – এই ধরনের বক্ষবন্ধনী হল পার্টি বা ডেটিংয়ের জন্য ঠিকঠাক। যে কোনও লো-নেক ড্রেস বা লো-নেক ব্লাউজের নীচে পুশ-আপ ব্রা পরলে সুন্দর লাগবে ক্লিভেজ। প্যাডেড হলে স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বড় মনে হবে ব্রেস্ট। হালকা প্যাডিং থাকাই ভাল। না হলে অস্বাভাবিক লাগতে পারে।

শারীরিক সেট – এই লঁজারি একেবারেই ব্যক্তিগত সময়ের জন্য। সঙ্গীকে ছুঁয়ে যদি বিছানায় অন্য হতে চান, তবে ওয়ার্ডরোবে একটি শারীরিক সেট রাখতেই হবে। বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা ব্রা এবং প্যান্টির সেটই হল শারীরিক সেট। সচরাচর স্বচ্ছ লেস দিয়ে তৈরি হয় এই বিশেষ লঁজারি, সিল্কেরও হতে পারে।

স্পোর্টস ব্রা – জিম, জগিং, খেলাধূলা বা যোগ ব্যায়াম (Exercise) করার সময় অবশ্যই পরতে হবে এই বিশেষ ব্রা। অনেকে কাজের জায়গাতেও পরেন এই ধরনের বক্ষবন্ধনী। কী ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তার উপর নির্ভর করছে। তবে বিশেষ প্রয়োজন না পড়লে সারাদিন এই ব্রা পরে থাকার কোনও মানে হয় না।

স্টকিংস – যাঁরা ড্রেস পরেন, তাঁদের তো অবশ্যই রাখতে হবে কয়েক জোড়া স্টকিংস। স্কিন, কালো এবং সাদা—এই তিন রঙের স্টকিংস রাখতে তো হবেই, তা ছাড়া ব্যক্তিগত সময়ের জন্য কিনতেই পারেন ফিশনেট। তবে আপনার সঙ্গী সেটা পছন্দ করবেন কি না, সেটা বুঝে তবেই কিনবেন।

বেবিডল – বেবিডলে ভীষণ আকর্ষণীয় লাগে মেয়েদের। বিভিন্ন ধরনের বেবিডল পাওয়া যায় আজকাল। কোনওটা বেশি শারীরিক মিলন, তো কোনওটা সারাদিন পরে থাকার পক্ষে বেশ আরামদায়ক। 

করসেট – করসেট এক সময়ে সব মেয়েরাই পরত। কিন্তু পরবর্তীকালে টু-পিস ব্রা-প্যান্টিই বেশি জনপ্রিয় হয় মেয়েদের মধ্যে। কারণ, পুরনো করসেটগুলির মধ্যে একটা দম বন্ধ করা ব্যাপার থাকত। তবে এখনকার দামি ব্র্যান্ডের করসেট যথেষ্ট আরামদায়ক। তাছাড়া শরীরকে সুন্দর ভাবে শেপ-আপ করে দেয় করসেট। ড্রেস বা ফিটেড সালোয়ার-কামিজের নীচে করসেট পরলে ভাল লাগে।

ক্যামিসোল – বিদেশে ব্রা-এর পরিবর্তে শুধুই ক্যামিসোল পরার চল রয়েছে। আমাদের সমাজে মেয়েদের অনেক বুঝেশুনে চলতে হয়। তাই ওটা সম্ভব না। সবচেয়ে ভাল, বাড়িতে ক্যামিসোল পরা। এতে পোশাকের নীচে একটা আরামদায়ক সার্পোটও পাওয়া যায়, আবার একবারেই অগোছালো না-থেকে একটু ফিটফাট লাগে।

 ব্রা পড়লে কি স্তন ক্যান্সার (Cancer) হয়। সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকলে স্তন (Breast) ক্যান্সার (Cancer) হয়, এমন কোন নিশ্চিত প্রমাণ এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের কাছে নেই। আবার স্তন (Breast) ক্যান্সার (Cancer) যে হয়ই না, সেটাও গ্যারান্টি দিয়ে বলা যাবে না। কিন্তু হ্যাঁ, সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার আরও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। যেমন, একই ব্রা সারাদিন পরে থাকায় স্তনে (Breast) র্যাশ বা ত্বকের নানান রকম অসুখ হতে পারে। সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকার ফলে ঘাম হয়, ফলে নানান রকম ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। ব্রায়ের ফিতায় কাঁধ ও পিঠে ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ (Harmful) হতে পারে, কাঁধ বা পিঠে এবং বুকে ব্যথা হতে পারে টাইট বক্ষবন্ধনী এর কারণে।

 কাপের নিচে কাঠি বসানো বক্ষবন্ধনী কিংবা পুশ আপ বক্ষবন্ধনী সারাক্ষণ পরে থাকলে স্তনে (Breast) অস্থায়ী লাম্প দেখা দিতে পারে। এই লাম্পগুলো থেকে যে অন্য অসুখ হবেই না, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই কিছু ক্ষেত্রে সারাক্ষণ বক্ষবন্ধনী পরার কোন প্রয়োজন নেই।

  আপনার কাপ সাইজ যদি কম হয়ে থাকে, অর্থাৎ স্তন যদি আকারে ছোট হয়ে থাকে তাহলে বক্ষবন্ধনী পরার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আপনার ব্রায়ের কাপ সাইজ হয়ে থাকে ডি বা ডি এর বেশী, অর্থাৎ যদি স্তন (Breast) আকারে বড় হয়ে থাকে তাহলে বক্ষবন্ধনী পরা আপনার জন্য ভালো। এতে স্তন (Breast) শেপ হারানোর সম্ভাবনা কমবে এবং আপনি নানান রকমের অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে পরিত্রান পাবেন।

  ঘুমানোর আগে ব্রা খুলে নিন। ব্রা পরে ঘুমানো উচিত নাকি অনুচিত তা নিয়ে অনেকের মনেই দ্বিধা রয়েছে। অনেকে ধারণা করেন বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমালে স্বাস্থ্যের ক্ষতি (Harmful) হয়। কিন্তু কী ক্ষতি (Harmful) হয় সেটা আমরা অনেকেই জানি না৷ বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমোলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের (Cancer) ঝুঁকি বাড়ে৷ তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ব্রা পরে ঘুমানোর কিছু ক্ষতিকর (Harmful) দিক সম্পর্কে।

▪রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় – রাতে ঘুমানোর সময়ে ব্রা পরার অভ্যাস থাকলে ঘুমের মধ্যে আপনার রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে অতিরিক্ত টাইট ইলাস্টিক থাকলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি (Harmful) হয়৷

▪ত্বকে দাগ বসে যায় – বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমালে ত্বকে ধীরে ধীরে ইলাস্টিকের দাগ বসে যেতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত টাইট ইলাস্টিক হলে দাগ পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই রাতে ঘুমানোর সময়ে ব্রা না পরাই ভালো

▪ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে – অতিরিক্ত টাইট বক্ষবন্ধনী পরলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। এতে অস্বস্তিবোধ হবে এবং রাতে আপনার গভীর ঘুম হবে না। ফলে সারাদিন ক্লান্তি অনুভূত হবে।

▪ত্বক চুলকাতে পারে – টাইট ফিটিং বক্ষবন্ধনী পরে ঘুমালে রাতে ত্বকে চুলকানি অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে সুতি কাপড়ের বক্ষবন্ধনী না হলে এই সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যারা রাতে একেবারেই ব্রা ছাড়া ঘুমাতে পারেন না তাদেরকে ডাক্তাররা স্পোর্টস ব্রা পরে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। স্পোর্টস ব্রা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি (Harmful) করে না।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।