শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

সন্তান নেয়ার আগে কোন 5টি বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া জরুরী ?.


সন্তান নেয়ার আগে কোন 5টি বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া জরুরী ?. 

  সন্তান গ্রহণ কোনো সহজ বিষয় নয়। এজন্য পিতামাতার আগে থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। সন্তান যেন পৃথিবীতে এসে বিপদের মুখোমুখি না হয়, সেজন্য আর্থিক বিষয়সহ নানা বিষয় নিশ্চিত হয়ে তবেই সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।১.  সন্তান গ্রহণ ব্যয়বহুল -

 মনে রাখতে হবে বর্তমান সময়ে সন্তান গ্রহণ ব্যয়বহুল। একজন সন্তান গ্রহণ মানেও বহু বাড়তি খরচের বোঝা। আর তাই সন্তান গ্রহণের আগে এ বাড়তি খরচের বিষয়টি সবারই মাথায় রাখা উচিত। সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে থেকেই শুরু হবে এ খরচের পালা। তারপর সন্তানের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত এ খরচ দিতে আপনি বাধ্য।

২. সন্তানের প্রথম বছরের বাজেট -

   সন্তান গ্রহণের আগেই প্রথম বছরের বাজেট সম্পর্কে ধারণা করে নেওয়া উচিত। আপনি যদি প্রথমবার সন্তান নিতে চান তাহলে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে খরচের বিস্তারিত জেনে নিন। সন্তান নেওয়ার আগেই আপনার বার্ষিক আয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। যদি আপনার আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হয় তাহলে ব্যয় কমানোর কিংবা আয় বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন।

৩. দেখাশোনার ব্যবস্থা -

  সন্তান জন্মের প্রথম কয়েক বছর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করতে হয়। এ কারণে সন্তানের দেখাশোনার ব্যবস্থা আগেই ভেবে রাখতে হবে। পিতা কিংবা মাতার মধ্যে একজনকে সন্তানের সঙ্গে সব সময় বাসায় থাকা উচিত। সেটা সম্ভব না হলে পরিবারের কোনো জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বা টাকা খরচ করে কোনো বেবিসিটার নেওয়া যেতে পারে। আপনি যদি কর্মজীবী হন এবং সন্তান নিতে চান তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে কতোদিন ছুটি পাওয়া যাবে, সে সময় বেতন-ভাতা কেমন হবে, এসব বিষয় আগেই নিশ্চিত হয়ে নিন।

৪. জরুরি তহবিল গড়ুন -

  আপনার সন্তান থাকলে আগের তুলনায় দায়িত্ব অনেক বাড়বে। আর যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য একটা তহবিল তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসাজনিত কোনো জরুরি পরিস্থিতি বা শিক্ষা সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য এ তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ জরুরি তহবিলের আকার হতে পারে আপনার ছয় মাসের আয়ের সমান।

৫. সন্তানের শিক্ষা -

  আপনার সন্তান অশিক্ষিত হোক, তা নিশ্চয়ই চান না। শিক্ষা ক্রমে ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। আর তাই দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে সন্তানের শিক্ষার জন্য কোনো একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করে রাখা উচিত। এজন্য সামান্য করে টাকা জমানো শুরু করতে পারেন সন্তান জন্মের সময় থেকেই।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আপনার প্রিয়জনের মন খুব সহজেই ভালো করবেন কিভাবে ?.


আপনার প্রিয়জনের মন খুব সহজেই ভালো করবেন কিভাবে ?.

  ব্যক্তিগত জীবনে দৈনন্দিন নানা ঘটনার প্রভাব পড়ে। ফলে কখনো কখনো মন খারাপ কিংবা ভুল বোঝাবুঝি হওয়াটাই স্বাভাবিক। এসব কারণে আপনার প্রিয়জনেরও মন খারাপ হতে পারে। কিংবা আপনার কোনো ব্যবহার কিংবা কথাবার্তার কারণেও মন খারাপ হতে পারে তার। তখন আপনার উচিত প্রিয়জনের মন ভালো করা। তবে কীভাবে প্রিয়জনের মন ভালো করবেন? জেনে নিন ৭ উপায়-

১. প্রিয়জনের মন খারাপ থাকলে তাকে সারপ্রাইজ দিতে নিয়ে যান সিনেমায়। আর সিনেমা হলে যেতে না পারলে দুজনে ল্টিভিতে প্রিয় কোনো সিনেমা দেখতে পারেন।

২. সঙ্গীর মন ভালো করতে তাকে নিতে পারেন প্রিয় কোনো রেস্তোরাঁয়। প্রিয় খাবার খেলে কার না মন ভালো হয়ে যায়? খাওয়ার পাশাপাশি প্রিয়জনের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠুন। দেখবেন তার মন ভালো হয়ে যাবে মুহূর্তেই।

৩. পারলে নিজেই রান্না করে খাওয়ান প্রিয়জনকে। তার পছন্দের খাবার যখন আপনি নিজ হাতে রান্না করবেন, তা দেখে সঙ্গীর মন অবশ্যই ভালো হয়ে যাবে।

৪. একটি ছোট্ট উপহারও মন খারাপ ভালো করে দিতে পারে। উপহার পেলে কার না মন ভালো হয়? প্রিয়জনের মন খারাপ থাকলে তাকে খুশি করতে ছোট্ট কোনো উপহার দিন। দেখবেন মন ভালো হয়ে যাবে তার।

৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিয়জনকে নিয়ে ভালো কিছু লিখুন। এটি হতে পারে নিজেদের মজার কোনো ঘটনা, রোমান্টিক কিংবা মধুর স্মৃতি। এর মাধ্যমে তার প্রতি আপনার ভালোবাসা জানান। দেখবেন আপনার প্রিয় মানুষটি মনে মনে খুব খুশি হবেন।

৬. প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে। প্রশংসার মাধ্যমে কঠিন মনকেও নরম করে তোলা যায়। তাই প্রিয়জনের মন খারাপ থাকলে তার প্রশংসা করুন। দেখবেন এক সময় ঠিকই তার মন খারাপ দূর হয়ে যাবে।

৭. প্রিয়জনের মন কেনো খারাপ সে বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন। কারণ মনে পুষে রাখতে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই প্রিয়জনের সঙ্গে সমস্যা বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। দুজন মিলে আলোচনা করুন সমস্যা কীভাবে সমাধান করা সম্ভব। সমস্যার কথা শেয়ার করলে তার মন আপনাআপনিই ভালো হয়ে যাবে। 

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মেয়েরা প্রথম প্রেমে পড়লে কী কী চিন্তা করে ? .


মেয়েরা প্রথম প্রেমে পড়লে কী কী চিন্তা করে ? .


  মেয়েরা যখন প্রথম প্রেমে পড়ে, তখন সবকিছুই তাদের ভালো লাগে, আবার সব বিষয়েই ভয় পায়। এমনকি সব কিছুতেই তাদের বেশি আগ্রহ কাজ করে। এটা ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ক্ষেত্রেই বেশি ঘটে। মেয়েরা প্রথম প্রেমে পড়লে তাদের মধ্যে কেমন একটা সংকোচবোধ কাজ করে। কিছু বলতে চায় আবার বলে না, কিছু বুঝতে পারে আবার কিছু বিষয় একেবারেই বোঝে না। এমন সময় অনেক কথাই তার মাথায় ঘোরে। জানতে চায়, মেয়েরা প্রথম প্রেমে পড়লে কী চিন্তা করে? জীবনধারা বিষয়ক আইডিভা ওয়েবসাইট দিয়েছে সেই চিন্তার এক তালিকা। চলুন দেখে নিই সেটা কেমন।

১. প্রেমের সময় ছেলেরা মেয়েদের হাত ধরলে সে মনে মনে ভাবতে থাকে তার হাত ঘামাচ্ছে না তো! ভয়ে অনেক সময় হাত বেশি ঘামায়। এ সময় মেয়েরা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে।

২. মেয়েরা প্রেমের সময় ভয়ে তার বান্ধবীকে সবকিছু বলে দেয়। তারা চিন্তা করে কোনো সমস্যা হলে বন্ধবী তাকে বাঁচাবে। তবে খুব কাছের বান্ধবী না হলে সে এই কথা কাউকে বলে না।

৩. মেয়েরা প্রেমে পড়ার পর মনে মনে চিন্তা করে সে বোধহয় বেশি বেশি সুন্দর নয়। তাই সব সময় সে পরিপাটি থাকার চেষ্টা করে। যাতে প্রেমিকের চেয়ে তাকে বেশি সুন্দর লাগে।

৪. প্রথম প্রেমের সময় মেয়েরা ছেলেদের সামনে ঢেঁকুর তুলতে লজ্জা পায়। সে মনে মনে ভাবে, প্রেমিক তাকে অভদ্র মনে করতে পারে।

৫. প্রেমের সময় মেয়েরা কম খাওয়ার চেষ্টা করে। কোথাও দুজনে খেতে গেলে মেয়েরা সব সময় কম খায়। সে ভাবে, বেশি খেলে প্রেমিক তার সম্বন্ধে খারাপ ধারণা করতে পারে।

৬. প্রেমের সময় মেয়েরা তার বান্ধবীকেও সহ্য করতে পারে না। এটা নতুন প্রেমের ক্ষেত্রে বেশি ঘটে। মেয়েটি মনে মনে চিন্তা করে নিশ্চয়ই তার প্রেমিককে বান্ধবীও পছন্দ করে ফেলবে। অথচ এমন সন্দেহ করা ঠিক নয় সব সময়।

৭. প্রেমের সময় ছেলেটি যদি মেয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে, তাহলে মেয়েটি মনে মনে অস্থির হয়ে যায়। সে হাজারটা কথা ভাবতে থাকে। কেন তাকিয়ে আছে, এখন কেন তাকাচ্ছে না, তাকিয়ে সে কী ভাবছে। এসব জিনিস মেয়েদের মাথায় ঘুরতে থাকে।

৮. মেয়েরা প্রেমের সময় প্রেমিকের সঙ্গে দূরে কোথাও দেখা করতে গেলে মনে মনে মায়ের কথা ভাবতে থাকে। মাকে মিথ্যা বলে এসেছে সে জন্য তার মন খারাপ লাগে। এমনকি প্রেমিকের কথাও তার মনে থাকে না। এটা মেয়েদের ক্ষেত্রেই সম্ভব।

৯. মেয়েরা প্রেমের সময় খুবই ভয়ে ভয়ে থাকে। অনেক কিছু করতে তার মধ্যে দ্বিধা কাজ করে। মনে করে যদি কোনো ভুল হয় আর প্রেমিক তাকে ছেড়ে চলে যায়, তাহলে তার কী হবে? এমন উদ্ভট চিন্তার কারণে সে অনেক সময় বুঝেও না বোঝার ভান করে।

১০. মেয়েরা মনের মানুষকে পেলেও তার আফসোস শেষ হয় না। কারণ মেয়েরা যখন প্রথম প্রেমে পড়ে, তখন সিনেমার কোনো নায়কের কথা চিন্তা করে প্রেম করে। কিন্তু সে রকম কোনো মিল খুঁজে পায় না। তবে আফসোস করলেও সে তার প্রেমিককে অনেক ভালোবাসে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নারীদের মনে সেক্স জাগে কোন ৮ টি মুহূর্তে ?.


নারীদের মনে সেক্স জাগে কোন ৮টি মুহূর্তে ?.

  
  নারীমন যে বেজায় জটিল, সে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সেই “বেজায় জটিল” মনে যৌনতা কখন চাগাড় দেয়, জানতে ইচ্ছে হয় পুরুষের। চলুন জেনে নিই, কোন কোন মুহূর্তে নারী শরীর চায় আরও বেশি কিছু –

১. কিচেন সেক্স –

   রান্না করার মুহূর্তে যদি প্রেয়সীর কোমল ত্বকে প্রেমিকের আলতো ছোঁয়া লাগে, প্রেয়সী কিছুতেই ধরে রাখতে পারেন না উত্তেজনা। ব্যাপারটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। অধিকাংশ নারীর এই একটি সুপ্ত ফ্যান্টাসি আছে কিচেন সেক্স এ।

২. বৃষ্টিভেজা সেক্স -

  ঝড়জলের দিনে আচমকা প্রেয়সীর সঙ্গে দেখা করে আসুন। মেঘলা এই দিনে প্রেয়সীর মন এমনিতেই আপনার অপেক্ষায় থাকবে। তেমন মুহূর্তে কাছে টানতেই পারেন তাঁকে। বৃষ্টিভেজা পরিবেশ আপনাদের মিলন সুখ কে আরও বেশি আনন্দে ভরিয়ে তুলবে।

৩. লং ডিসট্যান্স সেক্স – 

  আপনি থাকেন এক শহরে, আপনার প্রেয়সী থাকেন অন্য শহরে। কিন্তু বছরে ২০-২৫ দিন দেখা হয়েই যায়। স্বাভাবিকভাবেই সে সময় প্রেয়সীর মানসিক ও শারীরিক চাহিদা তুঙ্গে থাকার কথা। তাই সময়টাকে হেলায় নষ্ট করবেন না। উপভোগ করুন চুটিয়ে।

৪. নীল ছবির সেক্স – 

 এটা আগেই প্রকাশ হয়েছে যে, এ দেশের কিছু শতাংশ মহিলা নীল ছবি দেখেন। ফলে তাঁরা নীল ছবি ভালো মতোই উপভোগ করেন। জানবেন, নীল ছবির কোনও স্টিমি সিন দেখার পর প্রেয়সীর মনেও মারাত্মক যৌন মিলনের ইচ্ছা জাগে।

৫. মদ্যপানের পর সেক্স – 

  প্রচুর মদ্যপানের পর অধিকাংশ নারীই মিলনের জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। প্রেয়সীর ক্ষেত্রেও তেমনটা ঘটলে তাঁকে বেশি প্রশ্রয় দেবেন না। নেশার ঘোরে ভুল পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় কিনা!

৬. পিরিয়েডের ২ সপ্তাহ পরের সেক্স – 

  পিরিয়েড শেষ হওয়ার ২ সপ্তাহ পর নারীশরীর যৌনতা ও গর্ভধারণের জন্য পুরোপুরি তৈরি থাকে। সেসময় মনের ইচ্ছেটাও প্রখর থাকে। ট্রাই নিতেই পারেন।

৭. ঈর্ষান্বিত সেক্স – 

  কোনো নারীকে নিয়ে অতিরিক্ত ঈর্ষা হলে, প্রেয়সী মারাত্মক রকম তেজি হয়ে উঠতে পারেন বিছানায়। অপর নারীর উপর রাগ ও ঈর্ষা থেকে যৌন মিলনের ইচ্ছা জাগতে পারে তাঁর মনে। কী ভাবছেন, জেলাস করবেন প্রেয়সীকে? তাঁকে দেখিয়ে দেখিয়ে অন্য কোনও নারীর সঙ্গে ফ্লার্ট করবেন?

৮. শান্ত মনের সেক্স – 

  মন শান্ত, পরিবেশ শান্ত। এমন পরিস্থিতিতেও নারী শরীর যৌন মিলনের জন্য দারুণভাবে তৈরি থাকতে পারে। কেননা, সেই সময় তাঁর মাথায় আর অন্য কোনও দুশ্চিন্তা থাকে না। ফলে কুল পরিবেশে সুপার হট সেক্স চলতেই পারে।

 আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বয়স ত্রিশের পর মা হতে চাইলে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন ?.


বয়স ত্রিশের পর মা হতে চাইলে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন ?.


  বয়স ত্রিশের পর মা হতে চাইলে যে বিষয়গুলো  খেয়াল রাখবেন। চাকরি(Job), সংসার ও নানা জটিলতার কারণে সময় কখন পেরিয়ে গেছে হয়তো বুঝতেও পারেননি।  যখন ভাবলেন, তখন কিছুটা দেরি হয়ে গেছে। বয়স ৩৪ পেরিয়েছে। তাই বলে কি মা হওয়া সম্ভব নয়? ৩৫ বছরের পর বাচ্চা(Baby) হতে চাইলে কী ধরনের ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে, সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা ভালো বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ত্রিশের পর মা ইন্টারনেটে প্রকাশিত কয়েকটি পোর্টালের সংমিশ্রনে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হল ।

১. পঁয়ত্রিশের পর মা (Mom) হতে চাইলে প্রস্তুতি হিসেবে ৩০ থেকেই শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত চেকআপ ও ডায়েটে থাকতে হবে। প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই গর্ভধারণ করা উচিত।

২. বয়স যত বাড়ে, সন্তান ধারণের ক্ষমতা তত কমতে থাকে। গর্ভধারণের পর গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, মায়ের বয়স যত বেশি হবে, বিশেষ করে ৩৫ বছরের পরে যারা মা হোন তাদের বাচ্চাদের ডাউন সিনড্রোম(Down syndrome) বা বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি হওয়ার আশংকা বেড়ে যায়।

৩. বিভিন্ন জটিলতার পরিণতিতে অপরিপক্ব শিশুর জন্মহার যেমন বেড়ে যায়, সে সঙ্গে স্বাভাবিক প্রসবের পরিবর্তে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুর জন্মহারও বেড়ে যায় অনেকগুণ।

৪. প্রথম সন্তান ত্রিশোর্ধ্ব বা পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব বয়সে হলে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার আগে যে দুই বা তিন বছর বিরতি দিতে হয়, সে সুযোগটাও থাকে না।

৫. শরীরে রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বেশি বয়সের মায়েরা অনেক সময় সন্তান বিকলাঙ্গ(Handicapped) বা প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা করেন। আসলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এ জন্য সাধারণ কিছু পরীক্ষা যেমন অ্যালফা ফেটো প্রোটিন-এএফপি, এইচসিজি হরমোন(HCG hormone) কী পরিমাণ আছে, তা পরীক্ষা করা যেতে পারে।

  সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান। আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন। পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

  আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।


কিভাবে দূর করবেন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ?.


 কিভাবে দূর করবেন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ?.

 অতীতের কোনো ঘটনা নিয়ে হয়তো আপনার মাঝে আক্ষেপ কাজ করছে। তাই মনে হতে পারে যদি এমনটা না করে এমনটা করতাম কিংবা পূর্বের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আজও হিসেব কষে যাওয়াকেই এক কথায় অতিচিন্তা কিংবা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।

  কথায় আছে, চিন্তাবিহীন কার্য নাকি ডেকে আনে বিপদ। তাই ‘অতিরিক্ত চিন্তা’য় অনেকে মানসিক সমস্যায়ও পড়েন। ‘বেশি চিন্তা’ মন আর শরীরের মধ্যে তৈরি করে ভারসাম্যহীনতা।

  বিশেষজ্ঞরা বলেন, অহেতুক দুশ্চিন্তা অনেকটা চক্রের মতো। যত দূর করতে চাইবেন, তত আপনাকে জেঁকে ধরবে। কথায় আছে, ‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’ মস্তিষ্ক যত অলস বসে থাকে, তত মাথায় জমা হয় অহেতুক চিন্তা। করোনা মহামারির সময়ে বাসায় বসে থাকতে হচ্ছে কমবেশি সবাইকে। আর সে সময়েই মাথায় জমা হচ্ছে হাজারো দুশ্চিন্তা।

  ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের করা এক গবেষণা অনুযায়ী, ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষ এই কাজ করে থাকেন। ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা কমে আসে ৫২ শতাংশে। মজার ব্যাপার হলো এদের অনেকেই মনে করেন অতীত হাতড়ে বেড়ানোর মাধ্যমে তারা নিজের জন্য ভালো কিছু করছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঘটনাটা উল্টো।

অহেতুক দুশ্চিন্তায় কী হয়:

অহেতুক দুশ্চিন্তার সূচনা হতে পারে যেকোনো জায়গা থেকেই। আর তার প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবনে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগে ভুক্তভোগী ব্যক্তির মন ও শরীর সব সময় ‘টেনসন্ড’ থাকে বলে শরীর ও মন যাতে রিলাক্সড থাকে, সেটা চেষ্টা করা উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম করুন অথবা প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট দ্রুত হাঁটুন। দেখবেন আপনার শরীর ও মন কিছুদিন পরে অনেক রিলাক্সড বা শান্ত বোধ করবেন।

সৃজনশীলতার অবক্ষয়:

মস্তিষ্কের কিছু অংশ নিষ্ক্রিয় থাকলে মানুষের সৃজনশীলতা বাড়ে। অতিরিক্ত চিন্তায় মগ্ন থাকলে মস্তিষ্কে জং ধরে, সৃষ্টিশীল চিন্তাগুলো ক্রমেই হারিয়ে যেতে থাকে। এটা ঠিক যে কিছু বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করলে নতুন পন্থা বেরিয়ে আসে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত চিন্তা বা দুশ্চিন্তা মানসিকভাবে আপনাকে বদ্ধ করে ফেলে।

  স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা কয়েকজন অংশগ্রহণকারীকে ‘এমআরআই’ যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত থাকাবস্থায় কঠিন সহজ মিলিয়ে কিছু ছবি আঁকতে বলেন। যে ছবি আঁকা যত কঠিন, তাতে অংশগ্রহণকারীদের ততই বেশি চিন্তা করতে হয় এবং ছবি আঁকায় তাদের সৃজনশীলতা ততই কমতে থাকে।

কাজের পরিমাণ কমে যায়:

অহেতুক দুশ্চিন্তা সবার আগে প্রভাব ফেলে তার দৈনন্দিন কাজের ওপরে। প্রথমে ফাঁকা সময়ে দুশ্চিন্তার উদ্রেক হলেও আস্তে আস্তে ব্যস্ত সময়েও প্রভাব ফেলা শুরু করে। কাজের উৎপাদনশীলতায়ও যার প্রভাব পড়ে।

ঘুম কমে যাওয়া:

  অহেতুক দুশ্চিন্তার কারণে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে ঘুমে। ঘুমানোর জন্য প্রয়োজন হয় একটি শান্ত মন। আর সে সময়ে যদি দুশ্চিন্তা হানা দেয়, তবে কি আর ঘুম আসে? রাতের ঘুমে বড় প্রভাব ফেলে অহেতুক দুশ্চিন্তা।

 অলসতা বেড়ে যাওয়া:

দুশ্চিন্তা একবার শুরু হলে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে। আর সে চিন্তা শেষ না করে কোনো কাজে মন দেয়াও সম্ভব হয় না। ফলে হয়তো ভেবে রেখেছেন এক ঘণ্টা পর কোনো কাজে বসবেন, অহেতুক দুশ্চিন্তা সে কাজকে পিছিয়ে দেবে আরও কয়েক গুণ।

খাওয়া রুচি কমে যাওয়া:

মানুষ ভেদে এক্ষেত্রে প্রভাব ভিন্ন। দুশ্চিন্তায় কারও খাওয়া বন্ধ হয়, কারও আবার লাগামহীন হয়ে যায়। খাওয়ার ব্যাপারটা দুশ্চিন্তা থেকে সামান্য অন্যমনস্ক করে যা স্বস্তিদায়ক। আর এসময় মানুষ বেছে নেয় সবচাইতে সুস্বাদু কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাবারটাই। প্রক্রিয়াজাত চর্বি, চিনি ইত্যাদি অস্বাস্থ্যকর উপাদানে ভরপুর খাবারগুলো ‘কমফোর্ট ফুড’ হিসেবে হয়ত একারণেই খ্যাত।

পরিত্রাণের উপায়:

কোনো সমস্যা থেকে বের হওয়ার প্রথম ধাপ হলো সমস্যা চিহ্নিত করা। দুশ্চিন্তা করা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কিন্তু কখন এই দুশ্চিন্তা অহেতুক এবং অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে শিখুন। বারবার একই বিষয় নিয়ে চিন্তা করা, একই সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা—এগুলোই অহেতুক দুশ্চিন্তার লক্ষণ।

ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন:

মনের মধ্যে ক্ষোভ জমা করে রাখার অভ্যাস কখনোই হৃদযন্ত্রের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ক্ষমা করার পরিবর্তে ক্ষোভ জমা করে রাখলে মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং সেই সঙ্গে হৃদ্ররোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ে।

সমস্যার সমাধান খুঁজুন:

বারবার একই সমস্যার কথা না চিন্তা করে সমাধানের পথ খুঁজুন। সমস্যার কথা ভেবে কখনো সমাধান আসে না। বরং যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে, ভেবে সমাধান নিয়ে ভাবলেই বরং চিন্তামুক্ত হওয়া সহজ। সমস্যা কখনো মানসিক প্রশান্তি আনতে পানে না। তাই সমস্যা থেকে দ্রুত পরিত্রাণের উপায় বের করতে হবে।

নিজের জন্য সময় বরাদ্দ রাখুন

অহেতুক দুশ্চিন্তা নিজের স্বাভাবিক কাজ থেকেই দূরে সরিয়ে দেয় সবাইকে। নিজের কাজেই মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয় না। যে কারণে সবকিছু বাদ দিয়ে পুরোনো কিছুতে ফিরে যান। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেয়া, মুভি দেখা, ছবি আঁকা বা বই পড়া; যেসব শখ বহু বছর আগে আপনার ছিল, সেটিতে মনোযোগ দিন কিংবা নতুন করে শুরু করুন। নিজের প্রিয় কাজে ব্যস্ত থাকলে আস্তে আস্তে নিজের মধ্যে হারানো আত্মবিশ্বাসও ফেরত পাবেন।

আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন:

অনেক সময়ই অহেতুক দুশ্চিন্তা মানসিক চাপের সৃষ্টি করে, যা থেকে খিটখিটে মেজাজ কিংবা রেগে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। তখন সে রাগ গিয়ে পড়তে পারে নিরীহ কারও ওপর। সে কারণে এ সময়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। নইলে সামান্য রাগ হতে পারে আপনার অন্য কোনো সময়ের দুশ্চিন্তার কারণ।

অতীতকে অতীতের জায়গায় থাকতে দিন:

যখনই মনে হবে অহেতুক চিন্তা নিজের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে ভাবুন, ‘যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে।’ অতীতকে চাইলেও পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, ফলে ওসব নিয়ে ভেবেও লাভ নেই। অতীতকে অতীতের জায়গায় থাকতে দিলেই বরং সবার জন্য ভালো। এই চিন্তা নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করুন, তবেই এই দুষ্টচক্র থেকে বের হওয়া যাবে।

 মনে রাখবেন, দুশ্চিন্তা মানুষের স্বাভাবিক চিন্তাধারারই বহিঃপ্রকাশ। দুশ্চিন্তা করাও দোষের কিছু নয়, কিন্তু এই দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব আপনারই। খেয়াল রাখবেন, দুশ্চিন্তাকে যেন আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখেন, দুশ্চিন্তা যেন আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ না করে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।



শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আপনার পুরনো হয়ে যাওয়া ফোনের আয়ু কিভাবে বাড়াবেন ?.


আপনার পুরনো হয়ে যাওয়া ফোনের আয়ু কিভাবে বাড়াবেন ?.
 প্রতিবছরই নতুন মডেলের স্মার্টফোন বাজারজাত করেছে শীর্ষ প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তার মানে এই নয় যে নির্মাতাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতি বছর স্মার্টফোন পাল্টাতে হবে ব্যবহারকারীকে। একটু যত্নের সঙ্গে ব্যবহার করেই দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য ডিভাইসটির আয়ু বাড়ানো যেতে পারে। পুরনো ডিভাইসের কার্য ক্ষমতা ধরে রেখে আয়ু বাড়ানোর সহজ কয়েকটি কৌশল বাতলে দিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট সিনেট। নিজের ডিভাইসটি পরিষ্কার করে রাখা বা ভালো কভার ব্যবহারের মত সহজ কাজগুলো দিয়েই এর আয়ু বাড়ানো যেতে পারে।

১) এড়ানো যাবে না সফটওয়্যার আপডেট -

ফোনের গতি ধরে রাখার এবং সফটওয়্যার জটিলতা এড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম এবং অন্যান্য অ্যাপ নিয়মিত আপডেট রাখা। এই আপডেটগুলোর পেছনে যেমন বেশি সময় খরচ হয় না, তেমনি সফটওয়্যার বাগ ও নিরাপত্তা ত্রুটির মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো এড়ানো যায় সহজে। পাশাপাশি ডিভাইসে যোগ হয় নতুন ফিচার, ডিভাইসের পারফর্মেন্সও বজায় থাকে।

  স্বয়ংক্রিয় অ্যাপ আপডেট মেলে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মে। উভয় প্ল্যাটফর্মেই সাধারণত এটি ডিফল্ট ফিচার হিসাবে চালু থাকে। তারপরও নিশ্চিত হতে চাইলে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে প্রথমে যেতে হবে ‘সেটিংস’-এ। ‘অটো-আপডেট’ ফিচার বন্ধ থাকলে চালু করে নিতে হবে ‘সেটিংস’ থেকেই। আইফোনের বেলাতেও পদক্ষেপগুলো প্রায় একই। প্রথমে যেতে হবে ফোনের ‘সেটিংস’-এ, তারপর অ্যাপ স্টোরে। ‘অ্যাপ আপডেট’ অপশনটি ‘অন’ না থাকলে চালু করে নিতে হবে সেটি।

  আর সিস্টেম আপডেটের বেলায় অ্যান্ড্রয়েডের নিয়মিত নোটিফিকেশনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন ব্যবহারকারী। কোনো কারণে নোটিফিকেশন চোখ এড়িয়ে গেলে ফোনের ‘সেটিংস’ অ্যাপে খুঁজে নিতে হবে ‘সফটওয়্যার আপডেট’ অপশনটি। এই অপশনটি ব্যবহার করে আপডেট করে নিতে হবে ফোনের অপারেটিং সিস্টেম।

  আইওএস প্ল্যাটফর্মেও সিস্টেম আপডেট করা যায় দুই ভাবে। ‘অটোমেটিক আপডেট’ চালু করে রাখতে পারেন ব্যবহারকারী। এক্ষেত্রে অ্যাপল সফটওয়্যার আপডেট উন্মুক্ত করার দু-এক দিন পর আইফোন সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড করে রাখবে এবং ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে না এমন সময়ে আপডেট ইনস্টল করবে। অথবা আইফোনের ‘সেটিংস’ অ্যাপ থেকে ‘জেনারেল’ অপশনে গিয়ে ‘সফটওয়্যার আপডেট’-এ ট্যাপ করতে হবে। ইনস্টল করা হয়নি এমন কোনো সিস্টেম অ্যাপডেট থাকলে ধাপে ধাপে ইনস্টল করার প্রক্রিয়া বাতলে দেবে ফোন। 

২) অ্যাপ ডিলিট করে বাড়ানো যায় গতি -

খেয়াল রাখতে হবে যে, স্মার্টফোন একটি আধুনিক ডিভাইস হলেও এর স্টোরেজ ও মেমোরির সীমা আছে। অব্যবহৃত অ্যাপগুলো নিয়মিত মুছে দিলে ফোনের স্টোরেজ বাঁচবে। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে এমন অ্যাপ কমে এলে গতি বাড়বে ফোনের, দীর্ঘায়ু হবে ফোনের ব্যাটারি। আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড উভয় প্ল্যাটফর্মেই অব্যবহৃত অ্যাপ মুছে দেওয়া একেবারেই সহজ কাজ। উভয় প্ল্যাটফর্মেই অ্যাপের আইকনে ট্যাপ করে ধরে রাখলেই ড্রপ ডাউন বা পপ-আপ হিসেবে স্ক্রিনে চলে আসবে ‘রিমুভ অ্যাপ’ বা ‘আনইনস্টল’ অপশনটি।

৩) ভালো কেইস ব্যবহার করুন - 

স্মার্টফোনের সঙ্গে আলাদা কেইস ব্যবহারের পক্ষে নন ব্যবহারকারীদের একটি অংশ। তবে, হাত থেকে পড়ে ফোনের ক্ষতি হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে হরহামেশাই। তাই গাঁটের পয়সা খরচ করে কেনা ডিভাইসটির জন্য ভালো মানের একটি কেইস ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে বিলাসবহুল দামের কেইস ব্যবহার করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ডিভাইসটিকে আঘাত বা আকস্মিক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারবে এমন মানসম্মত কেইস ব্যবহার করলেই চলবে।

৪) স্ক্রিন ও পোর্ট পরিষ্কার রাখুন -

কেইস ব্যবহার করলেও দৈনন্দিন ব্যবহারে ধুলা-বালি জমে স্মার্টফোনের স্ক্রিন ও পোর্টে। বিশেষ করে চার্জিং পোর্ট, মাইক্রোফোন, স্পিকার গ্রিল আর হেডফোন জ্যাকের মতো জায়গাগুলোতে ধুলা জমে সবচেয়ে বেশি। ডিভাইসের এই জায়গাগুলো পরিষ্কার করতে টুথপিক ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। স্ক্রিন পরিষ্কারের সেরা উপাকরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় মাইক্রোফাইবার কাপড়। এ ছাড়াও, ব্যবহার করা যেতে পারে অ্যালকোহল ওয়াইপ। তবে, এক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে যে স্ক্রিন পরিষ্কারে ব্যবহৃত বস্তুটি যেন বেশি ভেজা না হয়।

৫) গরম হয়ে গেলে ফোন ব্যবহার নয় -

ফোনের ব্যাটারি বেশি হরম হয়ে যায় এমন পরিস্থিতি এড়াতে পারলে আয়ু বাড়বে ডিভাইসের। প্রচণ্ড গরমের কোনো দিনে স্মার্টফোন সরাসরি রোদে ফেলে রাখা যাবে না। কোনো কাজ করার সময় বা গেইম খেলার সময় ডিভাইস বেশি গরম গেলে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে ওই পরিস্থিতিগুলো। ডিভাইস বেশি গরম হলে ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে এতে বিরূপ প্রভাব পড়ে ব্যাটারির ওপর। ব্যাটারির স্বাস্থ্য মাথায় রেখে ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে দিন শেষে দীর্ঘায়ু হবে ডিভাইস, উপকৃত হবেন ব্যবহারকারী নিজেই।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মেয়েদের শরীরের কোন ৫টি অঙ্গ বড় হলে সৌভাগ্যবতী ভাবা হয় ?


মেয়েদের শরীরের কোন ৫টি অঙ্গ বড় হলে সৌভাগ্যবতী ভাবা হয় ?

.আমাদের দেশে মহিলাদের দেবীরুপে গণ্য করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মহিলাদের দেবীর অপর রুপ বলেই মনে করেন। এই জগতে মহিলারা না থাকলে মনুষ্য প্রজাতিই বিলুপ্ত হয়ে যেত। কিন্তু আজ বর্তমানে একুশ শতকের ঘোর কলিযুগে এসেও সমাজে মহিলাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এখনও অনেক এমন মানুষ আছে যারা মেয়ের জন্মানোকে কোন অভিশাপের থেকে কম ভাবে না।

 এই কথা সবাই জানে যে নারীরাই নতুন প্রাণের উৎস, তবুও নারীদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না। তবে বলা উচিত যে, বর্তমানে অনেক লোকজনেরই নারীদের সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা পাল্টেছে। আজ আপনাদের জানাবো কোন ধরনের মহিলারা তাদের পরিবার ও স্বামীর জন্য সৌভাগ্যশালী হন। শাস্ত্রমতে মহিলাদের নির্দিষ্ট কয়েকটি অঙ্গ বড় হলে তা পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

১. বড় চোখ -

যেসব মহিলার চোখ বড় হয় তাদের দেখতে তো সুন্দরী লাগেই, এছাড়াও এনারা স্বামীকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। যে বাড়িতে এনারা যান সেখানে ধন-সম্পদের আধিক্য ঘটে। এই ধরণের মহিলারা কখনই নিজের স্বামীকে ঠকান না।

২. লম্বা নাক -

যেসব মহিলাদের নাক লম্বা হয় তাদের সব রকম সমস্যা শান্ত মাথায় সমাধান করার ক্ষমতা থাকে। এনাদের টাকা খরচ করার প্রবণতা থাকে, তবে তারা কখনই বাজে খরচ করেন না।

৩. লম্বা আঙুল -

যেসব মহিলাদের আঙুল লম্বা হয় তারা অত্যন্ত বুদ্ধীমতি হন, আর তাদের লেখা-পড়া করার দারুণ সখ থাকে। এই ধরণের মহিলারা টাকা-পয়সা কম খরচ করেন এবং টাকা-পয়সা পেলে চেষ্টা করেন তা কিভাবে বাড়ানো যায়।

৪. লম্বা চুল -

যেসব মহিলাদের চুল লম্বা তাদের বরাবরই পরিবারের জন্য অত্যন্ত ভাগ্যশালী মনে করা হয়। এই ধরণের মহিলারা যে পরিবারে যান সেই পরিবারে কখনোই টাকা-পয়সার অভাব হয়না।

৫. লম্বা গলা -

যেসব মহিলার লম্বা গলা আছে তার অত্যন্ত সৌভাগ্যের অধিকারীনি হন।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কোন ৮টি পোশাকের নিয়মিত ব্যবহার করলে নারীদের হতে পারে ক্যান্সার ?.


কোন ৮ টি পোশাকের নিয়মিত ব্যবহার করলে নারীদের হতে পারে ক্যান্সার ?. 

আইরিশ নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ’ বলেছিলেন, “ফ্যাশন হলো অনুকরণের মহামারী রোগ।” তিনি হয়তো জানতেন না রোগের সাথে ফ্যাশনের তুলনা করা কতটা সঠিক হয়েছিলো। এটা প্রমাণিত যে, প্রতিদিনের ফ্যাশন ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বহু আগে থেকে আঁটসাঁট ব্রা পরার প্রচলন থাকলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর একটি কাজ।

 আমরা আপনার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ফ্যাশন সচেতন মানুষের ব্যবহার করা ক্ষতিকর পোশাক পরিচ্ছদ নিয়ে লেখাটি সাজিয়েছি। আপনার হয়তো ধারণাই নেই এসব পোশাক পরিচ্ছদ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

১. আঁটসাঁট জিনস্ -

জিনস্ হলে পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত পোশাক। অনেক মেয়ে এবং নারীরা তাদের কোমর এবং পায়ের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য আঁটসাঁট জিনস্ পরে থাকেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, এই জিনসের কারণে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় যা ভেরিকোস ভেইন এবং সেলুলাইটের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়। ত্বকের সাথে কাপড় লেগে থাকায় ত্বকের অতি প্রয়োজনীয় কার্যক্রমও ঠিক ভাবে সম্পন্ন হতে পারে না।

২. হাই হিল -

মেয়েরা যখন হাই হিলের জুতো পরে, তখন তারা সাথে সাথেই পাল্টে যায়: তাদের আরো রমণীয় এবং ফিট দেখায়। তার মানে এই নয়, তাকে প্রতিদিন হাই হিলের জুতো পরে ঘুরতে হবে। ফ্যাশন করে এই জুতো প্রতিদিন পরলে কোমর, পিঠ এবং পায়ে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি পা ফুলেও উঠতে দেখা যায়। অনেক সময় এর কারণে মেরুদণ্ডের আশেপাশে হার্নিয়া হয়ে থাকে।

৩. সমান তলার জুতো-

মনে হতে পারে সমান তলার জুতো মোটেই ক্ষতিকর নয়। কিন্তু চিকিৎসকরা দাবি করেন, এই জুতো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ এতে আপনার পায়ের ভার অসমান হবে। এসব জুতো আঘাত সহনশীল না হওয়ায় নিয়মিত পরার ফলে পায়ের পাতা নিজেই সমান হয়ে যায়। এতে পায়ে এবং পিঠে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে প্লান্টার ফাসাইটিসের কারণে গোড়ালি, পায়ের তালুতে অসহ্য যন্ত্রণা সৃষ্টি হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়।

৪. পুশ-আপ ব্রা-

মেয়েদের মধ্যে এই ব্রা খুবই জনপ্রিয়। এই ব্রা পরলে স্তন আরো বেশি সুগঠিত, গোল এবং বড় দেখায়। কিন্তু পুশ-আপ ব্রা নিয়মিত পরলে স্তনের স্বাভাবিক আকার নষ্ট হয় এবং সাপোর্ট নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তাছাড়া স্তনের উপর চাপ বেড়ে যাওয়ায় রক্তনালী আটকে যায় এবং দীর্ঘ দিন এমন আঁটসাঁট থাকার ফলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।

৫. সানগ্লাস -

সানগ্লাস কেবল ফ্যাশন করার জন্যই নয়, প্রখর রোদে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়ও বটে। তবে পড়ন্ত বিকালে কিংবা ঘরের মধ্যে সানগ্লাস পরে থাকবেন না। এতে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে যা চোখের বিভিন্ন সমস্যার জন্য বিশেষ ভাবে দায়ী। আর সবসময় সানগ্লাস পরিষ্কার রাখা জরুরি এবং এমন সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিৎ নয় যা আপনাকে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির হাত থেকে শতভাগ সুরক্ষা দেবে। অন্যথায় তা আপনার চোখের ১২টা বাজাবে।

৬. টাইটস্ -

মেয়েদের বহুল ব্যবহৃত টাইটস্ তাদের সৌন্দর্য এবং আভিজাত্যের প্রকাশ করে। এটি পায়ের সৌন্দর্য আরো অনেকগুণ ফুটিয়ে তোলে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, প্রায়ই টাইটস্ পরার অভ্যাস আপনার পায়ের জন্য ক্ষতিকর। সিনথেটিক সুতায় তৈরি হওয়া এটি পায়ের আর্দ্রতা আটকে রেখে অনেকটা গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করে। ফলে ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন সহ ভেরিকোস ভেইনস এবং সেলুলাইট সৃষ্টি হয়।

৭. বড় হাত ব্যাগ কাঁধে ঝোলানো-

মেয়েদের হাত ব্যাগ এমন এক ভাণ্ডার যেখানে আপনি প্রসাধনী থেকে শুরু করে ল্যাপটপ পর্যন্ত খুঁজে পাবেন। তাদের জন্য হাত ব্যাগ যথেষ্ট উপকারী হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এই ব্যাগ সব সময় কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়ালে কাঁধে ব্যথা এবং মেরুদণ্ডে স্কোলিওসি ও অস্টিওকনড্রোসিস হয়ে থাকে। এছাড়াও দেহের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া এবং রক্তনালী আটকে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি হয়।

৮. পায়জামা -

নারী পুরুষ সবাইকেই পায়জামা পরতে দেখা যায়। কিন্তু সব সময় পায়জামা পরে থাকলে তাতে বিভিন্ন রকম ব্যাকটেরিয়া দেখা দিতে পারে। যা থেকে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন, প্রদাহ, চুলকানি অথবা ঈস্ট ইনফেকশন হতে পারে। যারা দীর্ঘদিন ধরে ঈস্ট ইনফেকশনে ভুগছেন চিকিৎসকরা তাদের পায়জামা কম ব্যবহার করতে বলেন। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।