শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
মেদ কমানোর ১০ টি সহজ উপায় কি কি?.
ফেব্রুয়ারী ১২, ২০২২ Mangal Das
বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
মারাত্মক কোন ৬টি কারণে ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেতে নিষেধ করা হয় ?.
ফেব্রুয়ারী ০৯, ২০২২ Mangal Das
মারাত্মক কোন ৬টি কারণে ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেতে নিষেধ করা হয় ?.
দ্রুত গতির জীবনে অনেকেই নিজেদের খাবারের দিকে সেভাবে নজর দিতে পারেন না। কোনটা স্বাস্থ্যকর, কোনটা অস্বাস্থ্যকর- সেটা না ভেবেই তারা খাবার খান। আর এর মধ্যে অনেকগুলোই শেষ পর্যন্ত শরীরের জন্য মোটেই উপকারী নয়, বরং মারাত্মক ক্ষতিকারক। এই তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে থাকবে ইনস্ট্যান্ট নুডলস।সময়ের অভাবেই হোক বা স্বাদ পছন্দ বলেই হোক- অনেকেই নিয়মিত এই ইনস্ট্যান্ট নুডলস দিয়ে পেট ভরান। কিন্তু এর ফলে শরীরের যা যা ক্ষতি হচ্ছে, সে বিষয়ে তারা মোটেই সচেতন নন। ইনস্ট্যান্ট নুডলস-এর কারণে কী কী ক্ষতি হতে পারে, দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা-
১. ফাইবার আর প্রোটিন নেই -
এই ধরনের নুডলস-এ ফাইবারের পরিমাণ খুব কম। এবং এতে প্রোটিনের মাত্রাও কম। ফলত এই জাতীয় নুডলস ওজন বাড়ায়। এবং ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আনুষঙ্গিক সমস্যা হিসেবে হাজারো জিনিস হাজির হয়।
২. মেটাবলিক সিনড্রোম -
পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে যারা সপ্তাহে অন্তত একবার ইনস্ট্যান্ট নুডলস খান, তারা এই সমস্যায় ভোগেন মারাত্মকভাবে। ফাস্ট ফুড-এর গোত্রের মধ্যে যারা অন্য খাবার খান, তাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা ততটা নয়, যতটা ইনস্ট্যান্ট নুডলস-এর ক্ষেত্রে হয়। পুরুষদের থেকে নারীদের এই সমস্যা অনেকটাই বেশি ইনস্ট্যান্ট নুডলস-এর কারণে।
৩. ক্যানসারের আশঙ্কা-
ইনস্ট্যান্ট নুডলস হজম হতে অনেকটা সময় নেয়। যদি তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়, তাহলেও বিপদ আছে। সে ক্ষেত্রে ব্লাড সুগারের পরিমাণ এবং ইনসুলিনের পরিমাণও গণ্ডগোল করে দিতে পারে এটি। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই নুডলস হজম হতে দীর্ঘ সময় নেয়। এবং তাতে বিপদ বাড়ে। কারণ সে ক্ষেত্রে শরীরের মধ্যে টক্সিক পদার্থ অনেক বেশিক্ষণ ধরে এর থেকে নির্গত হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় যাদের বলে বিউটিলেটেড হাইড্রক্সিঅ্যানিসোল এবং টি-বিউটিলহাইড্রোকুইনন সেই মারাত্মক ক্ষতিকারক দু’টি যৌগ শরীরে দীর্ঘক্ষণ উপস্থিত থাকে। এই দু’টিই ক্যানসারের মতো অসুখ ঘটাতে পারে শরীরে।
৪. হৃদরোগের আশঙ্কা -
ইনস্ট্যান্ট নুডলস-এর মধ্যে লবণের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এবং এই লবণের বেশির ভাগটাই সোডিয়াম। ফলে যারা বেশি মাত্রায় এই জাতীয় নুডলস খান, তাদের শরীরে লবণের মাত্রা বেড়ে যায়, এবং সেই কারণে বাড়তে থাকে রক্তচাপ। তাই ইনস্ট্যান্ট নুডলস সরাসরি ক্ষতি করে হৃদযন্ত্র বা হার্টের।
৫. ভ্রূণের ক্ষতির আশঙ্কা -
যদিও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এই জাতীয় ইনস্ট্যান্ট ফুড বা ফাস্ট ফুড খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ। কিন্তু যারা না জেনে গর্ভাবস্থায় এই জাতীয় নুডলস খান, তাদের ভবিষ্যৎ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি ভ্রূণ নষ্টও হয়ে যেতে পারে ইনস্ট্যান্ট নুডলস-এ থাকা টক্সিক বা বিষাক্ত পদার্থের কারণে।
৬. ওবেসিটির আশঙ্কা -
ইনস্ট্যান্ট নুডলস-এ থাকে মোনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি)। অনেক ইনস্ট্যান্ট খাবারেই এই যৌগ ব্যবহার করা হয়। খাবারের গন্ধ এবং স্বাদ ভালো করার জন্য ব্যবহার করা হয় ওই যৌগটি। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, নাকি ক্ষতিকারক নয়- তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে কোনও বিতর্কই নেই- এমএসজি দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে গেলে ওজন বৃদ্ধি হয়। এই কারণে এমএসজি চিকিৎসকরাও সেই সব রোগীদের দেন, যারা দুর্বলতা বা কম ওজনের সমস্যায় ভুগছেন। কারণ ওষুধ হিসেবে এই যৌগটি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আন্দাজ করাই যায়, কেন ইনস্ট্যান্ট নুডলস দীর্ঘদিন খেলে ওজন বাড়ে।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।কোন ধরনের ছেলেদের সাথে প্রেম করে না মেয়েরা এবং কেন ?.
ফেব্রুয়ারী ০৯, ২০২২ Mangal Das
কোন ধরনের ছেলেদের সাথে প্রেম করে না মহিলারা এবং কেন ?.
কথায় আছে ‘মেয়েদের মন নাকি ঈশ্বর ও বুঝতে পারেন না’। মেয়েরা কখন কি চায়, কাকে চায় তা অন্য কেউ বুঝতে পারে না। ধরুন, ছেলেটি বেশ ভালো, পড়াশোনা, স্বভাব– সবেতেই। কিন্তু কোথায় যেন একটা ‘কমতি’ রয়েছে, তাই তো কোনও মেয়েই তাকে প্রেমিক হিসেবে মেনে নিতে চায় না বা কোনও প্রেমিকাই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে বেশিদিন স্থির থাকে না। সবার চোখেই ওই সিধেসাধা ছেলেটি মায়ের আঁচলে থাকা লক্ষ্মী ছেলে হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কেন হয় এমন, কারণগুলো আসুন জেনে নিই-১. গায়ে পড়া স্বভাব নেই: -
গায়ে পড়ে বন্ধুত্ব করা বা গায়ে পড়ে থাকা এদের স্বভাব নয়। শুধু মেয়ে কেন, কারও গায়ে পড়ে আলাপ করাটা এদের না-পছন্দ। এমনকি কেউ আলাপ করতে এলেও নিজের মধ্যেই গুটিয়ে থাকেন। ফলে তাদের পরিচিত মানুষের পরিধি খুবই ছোট আর সেই পরিধিতে মেয়েদের সংখ্যা আরও কম।
২. এরা কাউকে প্রতারিত করতে পারেন না:-
কোনও মেয়েকে নিজের প্রেমে ফেলতে গেলে একটু কৌশল, একটু ছলাকলা জানতেই হয়। বলাই বাহুল্য যে, ভালো ছেলেরা এসব থেকে একশ হাত দূরে থাকেন এবং এগুলো বোঝেন না। প্রেমের সপ্ত ছলকলা এদের রপ্তের বাইরেই থেকে যায়।
৩. ভালো ছেলেরা ‘বোরিং’ হয়:-
ভালো ছেলেরা কোন মুহূর্তে কী কাজ করবে, তা সহজেই ধারণা করা যায়। কিন্তু খারাপ ছেলেদের ক্ষেত্রে এ কথা খাটে না। এই বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের প্রেমিকা হওয়া মেয়েদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আবার বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের শুধরাতে মেয়েরা ভালোবাসে। ওই ছেলেটিকে নিজের মতো করে তৈরি করাই মেয়েদের মিশন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ভালো ছেলের মধ্যে ঠিক ঠাক করার কিছুই নেই। তাই তাদের না-পসন্দ করেন মেয়েরা।
৪. মায়ের কথা মেনে চলে:-
ভালো ছেলে মায়ের কথা মতো কাজ করে। মায়ের পছন্দ ছাড়া বিয়ে করবে না বা সব সিদ্ধান্তে মাকে শামিল করে তারা। তার প্রেমিক তার পরিবর্তে মায়ের কথা মতো কাজ করছে! এই সত্যটি তারা ঠিক মেনে নিতে পারেন না। তাই এই আপাত ভালো ছেলেটিকে তাঁরা mumma’s boy বলে হেয় করতেও ছাড়েন না। এই mumma’s boy-রা তাদের অপছন্দের তালিকায় থাকেন।
৫. প্রথমেই সিরিয়াস হয়ে যায়:-
‘আলাপের পর প্রথম ডেটিংয়ে এসেই আমার ওপর অধিকার ফলানো!’ নিজের স্বপ্নের মেয়ের খোঁজ পাওয়ার পরই ভালো ছেলেরা তাদের নিয়ে খুব সিরিয়াস এবং পজেসিভ হয়ে পড়ে। তাঁর যত্ন নিতে গিয়ে অনেক সময় ছেলেরা অধিকার ফলাতে শুরু করে। ফলে সম্পর্ক শুরু আগেই সেখানে ফুলস্টপ লাগিয়ে দেয় মেয়েটি।
৬. প্রচণ্ড আবেগী হয়:-
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো ছেলেরা প্রচণ্ড আবেগী ও স্পর্শকাতর। আবার কথায় কথায় আবেগের বন্যায় ভেসে যায়– এমন ছেলেদের থেকে মেয়েরা তফাত্ বজায় রাখেন। ভালো ছেলেরা শেষ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারে না তার প্রেমিকাকে কী বলবে বা কী বলবে না। কিন্তু বিগড়ে যাওয়া ছেলেরা ভালোভাবেই জানে, কী বললে মেয়েটিকে খুশি করা যাবে। আবার মেয়েদের ধারণা, ভালো ছেলেরা ভালো রমাঞ্চকরসঙ্গী হতে পারে না।
চিরকাল ধরে ছেলেরাই মেয়েদের নিরাপত্তা দিয়ে এসেছে। তা সে যে কোনও ধরনেরই নিরাপত্তা হোক না-কেন। বিগড়ে যাওয়া বা হিরো সেজে ঘুরে বেড়ানো ছেলেরা মেয়েদের আশ্বস্ত করে যে, তাদের সম্পূর্ণ নিরাপদে রাখবে। কিন্তু ভালো ছেলেদের সাধারণত দুর্বল মনে করে মেয়েরা, তাই এ ব্যাপারে তাদের ওপর ঠিক ভরসা রাখতে পারে না জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। ছেলেরা ভালো এবং খারাপের তালিকায় ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু আদর্শ ছেলেদের উচিত এই দুইয়ের মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখা।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
বিপথ গামী স্বামীকে সুপথে ফিরিয়ে আনতে স্ত্রী হিসাবে আপনি কি করবেন ?.
ফেব্রুয়ারী ০৯, ২০২২ Mangal Das
বিপথ গামী স্বামীকে সুপথে ফিরিয়ে আনতে স্ত্রী হিসাবে আপনি কি করবেন ?.
স্বামীকে সুপথে ফিরিয়ে আনা সহজ নয়। আপনার স্বামী যদি হন এমন একজন দাড়ি শেভ করেন, অশালিন গান শোনায় অভ্যস্ত, খারাপ সিনেমায় আসক্ত, সবসময় নোংরা ভাষায় কথা বলেন, অথবা যদি হয় সেন্টিমেন্টাল বা গোঁয়ার টাইপের, কিংবা কৃপণ প্রকৃতির, অথবা এমন বহু রকমের দোষে দুষ্ট। আর আপনি তার এসব আচরণ বদলাতে চান।প্রাণপণে কামনা করেন, যেনো সে শুধরে যায়। যন্ত্রণায় আর পরিতাপে দগ্ধ হয়ে আপনি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেন− কীভাবে আমি তার ওপর প্রভাব খাটাতে পারি? কী করে তাকে আমি শোধরাতে পারি? তাকে বদলাতে পারি? তাকে ভালো করে, সুস্থ করে সুপথে ফিরিয়ে আনতে পারি? তাহলে আপনার জন্যে এই টিপসগুলো অবলম্বন করা একান্ত জরুরি —
১. নিজে ত্রুটিমুক্ত থাকুন:-
আপনি যেসব দোষ আপনার স্বামীর দেহ-মন কিংবা আচরণ থেকে বদলে ফেলতে চান, প্রথমত আপনাকে সে-সব আচরণ থেকে অবশ্যই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কোনোক্রমেই সে সব আচরণ তার সামনে যেনো প্রকাশ পেয়ে না যায়, সে জন্যে সাবধান থাকুন।
২. তাকে বলুন, সে একজন ভালো মানুষ: -
এটা আপনাকে ও আপনার স্বামীকে সব রকমের মনমালিন্য থেকে দূরে রাখবে। তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। তার দোষগুলো তার সামনে উপস্থাপন না করে বরং কৌশলে বোঝানোর চেষ্টা করুন, তার এ কাজটি করা তেমন ভালো হয় নি।
৩. চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেবেন না: -
অনেকবার হয়তো ভেবেছেন চূড়ান্ত কোনো সময় বেঁধে দেবেন। ভেবেছেন বলবেন, ‘যদি এটা বন্ধ না হয়, তাহলে কিন্তু চললাম, নিজের পথ বেছে নিলাম।’ এভাবে সময় বেঁধে দিয়ে সম্পর্ক আদৌ ঠেকানো যায় না। মনোবিদদের মতে, আপনি যদি সত্যিই সম্পর্ক অথবা সংসার টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে এহেন ‘শেষ কথা তত্ত্ব’ থেকে বেরিয়ে আসুন।
৪. তাকে ভালো বই পড়তে দিন: -
হ্যাঁ, ভালো বই তাকে পড়তে দেয়া একটি অসাধারণ কাজ হবে। তবে এটা তাকে সরাসরি দিলে, সে অন্যকিছু ভাবতে পারে। তাই ভালো কিছু বই তার চারপাশে রেখে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। তার শোবার ঘরে, গাড়ির সামনের বক্সে কিংবা ড্রয়িংরুমেও রাখতে পারেন। তবে তাকে পড়তে অনুরোধ করবেন না।
৫. ক্ষমতা দেখানোর চেষ্টা পরিহার করুন: -
‘তোমার আচরণ অসহনীয়। আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো’এ ধরনের হুঁশিয়ারি কিছুটা ক্ষমতায়নের কাজ করে। ভাবখানা এমন যেন পুরো ব্যাপারটির নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে চলে আসছে। কিন্তু একবারও কি ভেবেছেন আখেরে এর পরিণতি কী। মনে রাখবেন, পরিবারে পুরুষ তার থেকে ক্ষমতাধর কাউকে সহ্য করে না।
৬. তার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করুন: -
স্বামী অথবা সঙ্গীটি যদি আরেকটি সম্পর্ক বজায় রাখেন, আসক্ত হন, পরিবারের চেয়ে কর্মক্ষেত্র অথবা অন্যত্র বেশি আগ্রহী হন, তাহলে বুঝতে হবে সে নিজের ভেতরে সুখী হবার প্রেরণা পাচ্ছে না। সে জানে, তার কাজটি ভুল। তার যে অনুতাপ হয় না, তা নয়। সমস্যা হলো, তার মনের ভেতরে সুপথে আসার, শুদ্ধ হওয়ার তাগিদ নেই। সঙ্গীকে সুপথে আসতে প্রাণিত করতে তার সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় করতে হবে।
৭. প্রমাণ করুন, আপনি তার একান্ত অনুগত:-
নারীর ভালোবাসায় পুরুষ গলে যাবে ঠিকই, কিন্তু সেজন্য নারীকে হতে হবে এমন নম্র ও শান্ত এবং এতটা ধীমতি ও প্রণতিপরায়ণা যে, পুরুষ অনুভব করে যেনো আপনি তার ‘একান্ত অনুগত’ এবং ‘তার বাসনায় পরিচালিত’। আপনি তার হাতের থেকেও বেশি অনুগত হয়ে যান এবং তার দিবাস্বপ্নের চেয়ে অধিক সজাগ থাকুন।
৮. তাকে বেশি বেশি সময় দিন: -
স্বামীর আচরণ ভালো লাগছে না বলে তার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন না। এতে সে আরো মন্দ লোকদের দলে ভিড়ে যাবার সুযোগ পাবে। তার কাছাকাছি থাকুন। তাকে আপনার কাজে সহায়তা করার সুযোগ দিন। বোঝান, সে ছাড়া আপনার একদম ভালো লাগে না। এ চেষ্টায় একবার নিরত হলেই পেয়ে যাবেন তাকে প্রভাবিত করার চাবিকাঠি।
৯. আপনিই আগে ক্ষমা চান: -
দাম্পত্যে ঝগড়া কার হয়না বলুন? কিন্তু ঝগড়া হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকবেন না, কিংবা স্বামীর থেকে নিজেকে আলাদা করে নেবেন না। নিজের দোষ কম হোক অথবা বেশি, নিজেই উদ্যোগী হয়ে ক্ষমা প্রাথনা করুন। যদি অন্য স্বামীর দোষ হয়ে থাকে, তাহলেও তাকে দোষারোপ করবেন না। তাতে সে কখনও আপনার কাছে ক্ষমা চাইতে পারবে না।
১০. রাগের কারণ বুঝতে চেষ্টা করুন: -
বিয়ের পর আবিষ্কার করলেন আপনার স্বামী মাঝেমধ্যে রেগে যান। প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সচেতন হোন। রাগের কারণ বুঝতে চেষ্টা করুন। তারপর তাকে জানান যে, এখন আর সে একা নয়, আপনিও তার সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করতে পারেন।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
বিয়ের পর নারীরা কি কি কারণে অসুখী হয় ?.
ফেব্রুয়ারী ০৭, ২০২২ Mangal Das
বিয়ের পর নারীরা কি কি কারণে অসুখী হয় ?.
অনেকগুলো স্বপ্নের জাল বুনে একজন নারী স্বামীর সংসার শুরু করেন। বলা যায় একটি নতুন জীবনের সূচনা। বিবাহিত জীবন খুব সুখে শান্তিতে কাটবে এমনটাই কমনা থাকে সবার তবে সব আশা সবার পূর্ণ হয় না। তাই বিয়ের পরও দুঃখী থেকে যায় কিছু নারী। বিয়ে পরবর্তী সময়ে সুখী থাকতে চাওয়াটা যে কোনো নারীরই কাম্য। বিযের পর অনেক নারীই আছেন যারা দাম্পত্য সুখী হতে পারে না। যেসব কারণে সুখী হতে পারে না তা নিচে দেওয়া হলো:-১. প্রথমেই বলা যাক ঘুমের কথা। উইমেনস হেলথ একরোস দ্যা ন্যাশনের ডাক্তার ট্রক্সেল একটি বিশেষ গবেষণার পর এ কথা বলেন যে, সুখী বিবাহিত নারীরা অসুখী নারীদের তুলনায় শতকরা ১০ ভাগ গভীর এবং সুখকরভাবে নিদ্রা যাপন করে থাকেন। হতে পারে আপনার স্বামী শহরের বাইরে আছেন কিংবা আপনার আপনার সন্তানের অসুস্থ। যে কোন কারনেই হোক না কেন একজন বিবাহিত নারী সেই মুহূর্তে যথেষ্ট অসুখী যখন তার ঘুমের জায়গা টেনশন দখল করে নেয়।
২. একজন অসুখী বিবাহিত নারীর দ্বিতীয় লক্ষণ হচ্ছে ক্লান্তি। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালেফোর্নিয়ার একটি গবেষণায় এ কথা বলা হয় একজন সুখী বিবাহিত নারী সংসারের যে কোন ঝামেলা সামলে উঠেও ক্লান্ত হন না, বরং বেশ ভালোবেসেই কাজগুলো করেন। যেখানে একজন অসুখী নারী সাংসারিক জীবন নিয়ে যথেষ্ট ক্লান্তিভাব পোষণ করেন এবং নিজেকে পরিবর্তনও করতে নারাজ থাকেন।
৩. একজন বিবাহিত নারীর আবেগ, চাওয়া পাওয়া থাকে তার স্বামীকে ঘিরে। সেই স্বামী যখন অবহেলা করেন কিংবা স্ত্রীকে বুঝতে চেষ্টা করেন না তখন সে নারী হয়ে উঠেন একজন অসুখী নারী। বর্তমান সমাজে দেখা যায় ঠিক এ কারনেই অনেক নারী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং নিজের ইচ্ছে বা চাহিদা পূরণের চেষ্টা করে থাকেন।
৪. যেকোন সম্পর্কেই দূরত্ব জিনিসটা ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়। না, এই দূরত্ব কোন বাহ্যিক দূরত্ব নয়। মনের দূরত্বের কথা বলছিলাম। অনেক বিবাহিত দম্পতির ক্ষেত্রেই দেখা যায় চার দেয়ালের মাঝে দিনের পর দিন থাকার পরও তারা একে অপরের চেয়ে বেশ দূরে। নিশ্চয়ই এটি একজন অসুখী বিবাহিত নারীর খুব বড় একটি লক্ষণ। দূরত্বের কারন স্বামী হতে পারে আবার স্ত্রীও হতে পারে। হয়ত স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি সম্মান হারিয়ে ফেলে কিংবা স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
৫. বিয়ে একটি বড় ধরণের সামাজিক সম্পর্ক। আর বিয়ে পরবর্তী সময়ে সুখী থাকতে চাওয়াটা যে কোন নারীরই কাম্য। তাই, উপরের লক্ষণ গুলোর একটিও যদি আপনার মনের জানালায় উঁকি দেয় আজই আপনার স্বামীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করে সব ঠিক করে নিন আর সুখী বিবাহিত জীবনযাপন করুন।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
সন্তানকে সুশিক্ষা দিতে অভিভাবকেরা কোন ভুল করে থাকেন ?.
ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০২২ Mangal Das
সন্তানকে সুশিক্ষা দিতে অভিভাবকেরা কোন ভুল করে থাকেন ?.
বাচ্চারা নানান ধরনের ভুল তো করেই থাকেই। তবে অভিভাবকরাও সাধারণ কিছু ভুল করে বসেন। যা বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। তাই অভিভাবকদেরও উচিত নিজের ভুল ত্রুটি বুঝে তার সংশোধন করা। বাচ্চাদের নষ্ট করা: -সমস্ত অভিভাবক তাদের বাচ্চাকে ভালোবাসে, আদর যত্নে নিজের সন্তানের লালন পালন করে। তাদের সমস্ত শখ, আহ্লাদ ও চাহিদা পূরণ করে। তবে অনেক সময় মা-বাবার এই ভালোবাসারই অনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করে বাচ্চারা। আবার নিজের ভাই বা বোনের আগমনের কথা জানতে পারলে, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করে। এই নিরাপত্তাহীনতায় পরবর্তীকালে হিংসা ও দ্বেষে পরিণত হয়। অনেক সময় বাচ্চারা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। নিজের অস্তিত্বের সংকটে ভুগতে থাকে।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রদান: -
বাচ্চাদের প্রয়োজনের তুলনায় বেশী নিরাপত্তা প্রদান করলে তাদের আত্মবিশ্বাস দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন সময় তাদের সামনে কোন আত্মবিশ্বাসী বাচ্চা এলে তারা তাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন এবং তাদের মধ্যে হীনমন্যতার ভাব জন্মায়।
অন্য বাচ্চার সঙ্গে তুলনা: -প্রতিযোগিতার যুগে অধিকাংশ অভিভাবকই অন্য বাচ্চার সঙ্গে নিজের সন্তানের তুলনা করে থাকেন। এর ফলে ও বাচ্চাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব ঈর্ষা জন্ম নেয়। আবার তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও কমতে থাকে। এ সমস্ত কারণে বাচ্চারা সমস্যায় পড়তে পারেন। মনে রাখবেন, তুলনা করার ফলে শুধু তাদের মনে হিংসায় জন্ম নেবে না, বরং আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেবে।
প্রথম সন্তানের তুলনায় কনিষ্ঠ সন্তানের উপর অধিক নজর দেওয়া: -
অধিকাংশ অভিভাবককেই এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। প্রথম সন্তান বড় হয়ে গেলে, কনিষ্ঠ সন্তানের প্রতি অধিক যত্নবান হয়ে পড়েন অভিভাবকরা। এটা স্বাভাবিক ঘটনা হলেও, শিশু মনটা বোঝেনা। নিজের ভালোবাসা ভাগ হতে দেখে বাচ্চারা খিটখিটে মেজাজের হয়ে পড়ে। নিজের ছোট ভাই বা বোনের জন্য তাদের মনে ঘৃণা ও ঈর্ষা জন্মায়।
বাচ্চাকে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণে রাখা: -বাচ্চাদের অনুশাসনের মধ্যে রাখার জন্য কিছু অভিভাবক তাদের ওপর প্রয়োজনাতিরিক্ত বাধানিষেধ আরোপ করেন। বাচ্চাদের সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। জোর করে নিয়ম-কানুন চাপিয়ে দেওয়া, সব সময় স্ট্রীট ব্যবহার করার ফলে তাদের মনের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। পাশাপাশি তাদের আত্মবিশ্বাস কমে যায়।
কোন কোন বিষয়গুলি নজর রাখবেন:
১. নিজের সন্তানকে ভালোবেসে বড় করতে কোন বাধা নেই। সন্তানের পছন্দের জিনিস এনে দেওয়া বা তাদের কথা শোনার ক্ষেত্রেও কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। কিন্তু তাদের চাহিদার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা, তা তাদের বোঝান। ছেলে বা মেয়ে একবার কিছু চাইলেও এবং সঙ্গে সঙ্গে তা হাজির করে দিলেন, তা করবেন না। এমন করলে তারা টাকার গুরুত্ব বুঝবে না। আবার অপেক্ষা করতে শিখবে না। কারণ তাদের মনে বসে যাবে যে, সঙ্গে সঙ্গে কিছু চাইলে তা পেয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো এর অন্যথা হলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। পরবর্তীকালে আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারে।
২. অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রদান ও তাদের ক্ষতি করতে পারে। জীবনের কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হওয়ার সময় অভিভাবকরা সবসময় ঢাল হয়ে দাঁড়ালে, বাচ্চারা সংঘর্ষের শক্তি সঞ্চার করতে পারবে না। অল্প বয়স থেকেই দুর্বল হতে শুরু করবে তারা। তাই কোন কোন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য বাচ্চাকে স্বাধীন ছেড়ে দিন। সামনেথেকে নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে, পিছনে দাঁড়িয়ে তাদের সমর্থন যোগান। ভরসা দিন, কিছু হলে আপনি আছেন, কিন্তু সেই পথটি ওকে একাই অতিক্রম করতে হবে।৩. কনিষ্ঠ সন্তানের দেখাশোনায় অধিক সময় ব্যয় হয়। সেই সময়টি তখন নিজের মায়ের কাছ থেকে বড় ছেলে বা মেয়ে পায়না। তাই যতটা সম্ভব বড় ছেলে বা মেয়ে কেউ সময় দিন। বড় সন্তান কেউ ছোট ভাই বা বোনের দায়িত্ব পালন করতে দিন। ছোটখাটো কাজ করা যেমন পাউডার লাগানো, গা হাত পা মুছে দেওয়া, কিছু জিনিস হাতে হাতে এগিয়ে দিতে বলুন নিজের বড় ছেলে বা মেয়েকে। এর ফলে পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা জন্ম নেবে। এমনকি বড় দাদা বা দিদি হওয়ার দায়িত্ব বুঝতে পারবে তারা।
৪. অত্যাধিক নিয়ন্ত্রণের ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সাধারণ বা ছোটখাটো বিষয় সন্তানকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। এমনকি ভালো সিদ্ধান্তের জন্য তাদের প্রশংসা জানান। যেমন- নিজের জামা কাপড় তাদেরই পছন্দ করতে দিন। আবার তারা নাচ বা গান শেখার ইচ্ছে প্রকাশ করলে তা পুরো করুন। এর ফলে তারা সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাবেনা। আবার ঠিক বা ভুল বিচার করতে শিখবে।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।
কোন ৫ নিয়ম মেনে চললে বোঝা যাবে না বয়সের ছাপ ?.
ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০২২ Mangal Das
বাবা-মায়ের কোন আচরন গুলি শেষ করে দিতে পারে সন্তাদের ভবিষ্যৎ ?.
ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০২২ Mangal Das
বাবা-মায়ের কোন আচরন গুলি শেষ করে দিতে পারে সন্তাদের ভবিষ্যৎ ?.
পৃথিবীতে অনেক কঠিন কাজ আছে, তার মধ্যে অন্যতম কঠিন একটি কাজ হলো সন্তান লালন-পালন। সন্তানের বেড়ে ওঠা এবং যাবতীয় আবদার মেটাতে অধিকাংশ বাবা-মা ব্যতিব্যস্ত থাকেন। তাদের দুচোখ জুড়ে থাকে স্বপ্নের খনি- তাদের সন্তান বড় হয়ে একদিন তাদের সেই স্বপ্ন পূর্ণ করবে, সমাজে তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবে। এত যখন পরিকল্পনা, তখন সন্তানের ভালোর জন্য চাই বাড়তি যত্ন। তার খাওয়াদাওয়া, ঘুম, স্বাস্থ্য, পড়ালেখা, বিয়েশাদি- সে এক মহাযজ্ঞের আয়োজন যেন।সব মা-বাবাই চান, তার সন্তানের পরবর্তী জীবনে সুখ আর সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক। কিন্তু পারিবারিক, পারিপার্শ্বিক, মনস্তাত্ত্বিক ও অর্থনৈতিক কারণগুলোও সন্তানের বেড়ে ওঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তাই অনেক সময় দেখা যায়, বাবা-মার সীমাহীন যত্ন আর দেখভাল সত্ত্বেও, অনেক শিশুই বড় হয়ে ব্যক্তিগত জীবনে তেমন সফলতা পায় না।
আবার প্রচণ্ড অভাব-অবহেলার মধ্যে জন্ম নিয়েও, বহু ছেলেমেয়ে একসময় নিজের ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে বড় সফলতার দেখা পায়। তবে কি বাবা-মার যত্নআত্তির কোনো ভূমিকাই নেই সন্তানের বিকাশে? অবশ্যই আছে, কিন্তু শিশুর প্রতি প্রতি বাবা-মায়ের দৈনন্দিন কিছু ভুল আচরণের কারণে সেই যত্ন যেতে পারে বিফলে, সন্তানের জীবন হতে পারে ব্যর্থতামণ্ডিত। চলুন তবে জেনে নিই, এমন কিছু ভুল আচরণ সম্পর্কে।
১. কর্তৃত্ব ফলানো:-
কোনো বাবা-মায়ের ইচ্ছা থাকে না যে, তার সন্তান বড় হয়ে ব্যর্থ একজন মানুষে পরিণত হোক। তারা সবসময়ই চান, তাদের সন্তানটি নিরাপত্তা পেয়েই বড় হোক। কারণ, সামনে তার পুরো একটা ভবিষ্যত পড়ে আছে। নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা ভালো, বিশেষ করে আপনার সন্তান যখন শিশু। তখন সত্যিকার অর্থেই বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সন্তান যখন ক্রমাগত বড় হতে থাকে, তখন তার নিরাপত্তা নিয়ে আগের মতো ভাবার কিছু থাকে না। এটা একটা ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ, কারণ সে যত বড় হয়ে ওঠে, ততই নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারগুলো বুঝে নিতে শেখে।
একটা ছোট বাচ্চা আগুন দেখলে হয়তো এগিয়ে যেতে পারে, কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে সে বুঝে নেবে, আগুন তার জন্য বিপদজনক। আপনি তখন বলে দিতে হবে না যে, আগুনে বিপদ আছে! ভারসাম্য ব্যাপারটা এভাবেই গড়ে ওঠে। অথচ বাস্তবে দেখা যায়, ছোটবেলায় বাবা-মায়েরা নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সন্তানদের যেভাবে নজরবন্দী রাখতেন, সন্তান বড় হওয়ার পরও তাদের সেই আচরণ রয়ে যায়। সে কী করবে না করবে, কার সঙ্গে মিশবে, কী খাবে-না খাবে, কী পোশাক পরবে-না পরবে- এরকম শত ব্যাপার নিয়ে তারা মেতে থাকেন। এটা সহনীয় মাত্রায় প্রয়োজনীয়।
কিন্তু অনেক বাবা-মা নিরাপত্তার নামে সন্তানের ব্যক্তিগত জীবনেও হস্তক্ষেপ শুরু করেন। তারা বুঝতে চান না, তাদের সন্তান বড় হচ্ছে। তার নিজস্বতা বলে কিছু একটা গড়ে উঠছে, নিজের কিছু স্বপ্ন তৈরি হচ্ছে, হয়তো নিজের মতো জীবনের লক্ষ্যও রয়েছে তার। কিন্তু কথিত নিরাপত্তার নামে আপনি সন্তানের ভবিষ্যতকে দুর্বিষহ করে দিচ্ছেন না তো?
টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১ সালের এক সমীক্ষায় দেখিয়েছে, ছোটবেলা পার করার পরও যেসব শিশু কড়া নিরাপত্তার চাদরের ভেতর রয়ে যায়, তারা পরবর্তী জীবনে আত্মকেন্দ্রিক, অত্যধিক সচেতন, অল্পতেই ভেঙে পড়ার মতো পর্যায়গুলো পার করে। ছোট থেকে সিদ্ধান্ত নেয়ার মানসিকতা গড়ে না ওঠায় সে পদে-পদে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। স্বকীয়তা এবং আত্মনির্ভরশীলতার মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটো ব্যাপার তার ভেতর অনুপস্থিত থেকে যায়।
অন্যদের মতো তার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকে না। যেগুলো তার পুরো জীবনকে প্রভাবিত করে। অথচ প্রয়োজন ছিল, কীভাবে তার নিজের সিদ্ধান্তগুলো নিজে নিতে পারে- সেটা শেখানো। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে কীভাবে আরও ফলপ্রসূ করে তোলা যায়, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, মূল্যবোধের চর্চা তার ভেতর গেঁথে দেওয়া। তাহলেই সন্তান নিজের অবস্থান থেকে একজন পরিপূর্ণ সফল মানুষ হয়ে ওঠার শক্তি পাবে সবসময়।
২. বকাঝকা এবং অভিশাপ: -
শিশু সন্তানকে বকাঝকা করা আমাদের সমাজে খুবই প্রচলিত একটি চিত্র। এটা সত্যি যে, বাবা-মা সন্তানের ভালো চান বলেই সন্তানের কর্মকাণ্ড নিয়ে চিন্তিত হন। ছোট অবস্থায় তারা দুষ্টুমি করবেই, তাদের তাদের প্রকৃতি বা খেলাধুলার ধরনই এমন। তাই মাঝেমাঝে তারা হয়তো এমন কিছু করে বসে, যা আপনার সহ্যের সীমাকে ছাড়িয়ে যায়। আপনি দ্বিতীয়বার না ভেবে বলে বসেন, “অনেক হয়েছে; আজ তোর একদিন কি আমার একদিন”! এই বলে যা বলার বলে ফেলেন! অনেক বাবা-মায়ের বদভ্যাস হচ্ছে একটু এদিক-ওদিক হলেই সন্তানকে অভিশাপ দিয়ে বসেন। এটা খুবই বাজে একটি ব্যাপার। আপনিই সন্তানের ভালো চান, আবার রেগে গিয়ে বলছেন, “তুই জীবনে কিছু করতে পারবি না”!
মূলত শিশু সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের আচরণের ধরনই সন্তান ভবিষ্যতে কেমন হবে, সেটা অনেকাংশে নির্ধারণ করে দেয়। সন্তানকে বকা দেয়া যেতেই পারে। কিন্তু তাকে শুধরে দেয়ার মন-মানসিকতা থেকে বকা দিচ্ছেন, নাকি কর্তৃত্ব ফলাতে বকা দিচ্ছেন- সেটা ভেবেছেন কখনো? আপনার উচ্চারিত শব্দগুলো তাকে শুধরে না দিয়ে আরও একগুঁয়ে করে দিতে পারে, আপনার সাথে সন্তানের মানসিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে, তার ভেতর পরামর্শ না নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করে দিতে পারে। গবেষণায়ও এমন ব্যাপারগুলো বারবার উঠে এসেছে।
৩. মারধোর করা: -
সন্তানকে শাসন করার অসংখ্য উপায় থাকতে পারে। কিন্তু শাসনের নামে গায়ে হাত তোলা আপনার শিশুর জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। উন্নত বিশ্বে শিশুদের শিষ্টাচার শেখানো, পড়াশোনায় মনোযোগী করে তোলা, বাবা-মায়ের অনুগত করে গড়ে তোলার জন্য দারুণ সব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। শিশু যদি কথা না শুনতে চায়, তবে তার চাহিদার কথা শুনে নেওয়া জরুরি। রোগী যেমন, তাকে ওষুধও দিতে হবে তেমন। তার মানে এই নয় যে, তাকে পিটিয়ে হলেও মানাবেন। শিশুরা শারীরিক গঠনে এমনিতেই দুর্বল, তাই অল্প গায়ে হাত তোলাতেও গুরুতর শারীরিক জখমের আশঙ্কা যেমন থাকে; তেমনি প্রহারজনিত কারণে শিশুর মানসিক জগতেও আসে বড় ধরনের আঘাত।
একটা সময় দেখবেন, আপনার শিশু তার ব্যাপারগুলো আপনার কাছে প্রকাশ করছে না, যেগুলো স্বাভাবিকভাবে আপনাকেই জানানোর কথা। আপনি হয়তো পরিবর্তনগুলো খেয়াল করছেন না। কিন্তু সে তার মনোজগতের এই বিশাল পরিবর্তন বয়ে বেড়াবে ভবিষ্যত পর্যন্ত। তার কল্পনার জগতে আপনিই হয়ে যেতে পারেন সত্যিকার ভিলেন। ভালো-মন্দ যাচাই করার মতো খুব দক্ষ শিশুরা হয় না, সেটা আপনাকেই শেখাতে হবে। আর তখনই তাকে শেখাতে পারবেন, যখন আপনি সন্তানের কাছে নির্ভরতার প্রতীক হতে পারবেন।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রায় ৫০ বছরের গবেষণায় প্রায় দেড় লক্ষ শিশুর ওপর গবেষণা করে দেখেছেন, যেসব শিশুদের শারিরীকভাবে শাস্তি দেওয়া হতো, তারা পরবর্তীতে পরিবেশ, পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে তেমন সফল হয়নি। তাছাড়া পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে অবসাদ, ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার ঘটনাও রয়েছে প্রচুর।
৪. ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবহারে অসচেতনতা: -
যেসব বাবা-মায়েরা ইলেকট্রনিক জিনিসের প্রতি বেশি আসক্ত, তাদের সন্তানদের ভেতর পরবর্তীতে মানসিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারা, অমনোযোগিতা, আলস্য- এসব শিশুদের ভেতর জেঁকে বসে। বাবা-মায়েরা শিশুকে যথেষ্ট সময় না দিলে তাদের কথা শিখতে দেরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুদের বাবা-মায়েরা টিভি, স্মার্টফোনে আসক্ত, তাদের সন্তানের ভাষাগত দক্ষতা গড়ে উঠতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগে।
কেবল বাবা-মা এগুলো থেকে দূরে থাকলেই হবে না, নিশ্চিত করতে হবে, সন্তানও যাতে এগুলা থেকে দূরে থাকে। বিশেষ করে বয়স দু বছর না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে টিভি, স্মার্টফোন-এগুলো থেকে দূরে রাখতে হবে। বিভিন্ন ভাষার সংমিশ্রণ থেকেও বাচ্চাদের দূরে রাখতে হবে, কারণ তাদের অসুগঠিত মস্তিষ্ক এতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ভাষা শেখানোর কাজটিও তাই সময়সাপেক্ষ এবং দুরূহ হয়ে পড়ে।
৫. ঘুমানোর সময় নির্ধারণ: -
বাড়ন্ত শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নির্ভর করে তাদের ঘুমের পরিমাণের উপর। বিশেষ করে সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া শিশুদের শেখার ক্ষমতা ও মনোযোগ, অনিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যাওয়া শিশুদের চেয়ে বেশি। ইংল্যান্ডের একদল গবেষক সম্প্রতি এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ পরিবারেই শিশুদের ঘুমানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নির্ধারণ করা হয় না। বিশেষ করে আমাদের যৌথ পরিবারগুলোতে এই সমস্যা আরও বেশি। বাসার পরিবেশ তাই এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে শিশুর ঘুমানোয় ব্যাঘাত না ঘটে।
আপনার সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হলে, আপনাকেই আগে জানতে হবে, তাকে কীভাবে লালন-পালন করতে হবে। নিজেদের বাস্তবতা ও সীমাবদ্ধতাগুলো জানিয়ে দিতে হবে, যাতে সে মানসিকভাবে নিজেকে ক্রমাগত বদলাতে থাকা পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য তৈরি করে নিতে পারে। আপনার ব্যবহার আর শেখানো বিষয়গুলোই তার পরবর্তী জীবনের পাথেয়।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপণের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।