বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২

কি কারণে কম বয়সী পুরুষকে পছন্দ করে নারীরা ?.


কি  কারণে কম বয়সী পুরুষকে পছন্দ করে নারীরা ?.

  ৪০ ছুঁই ছুঁই নারীদের সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রে তাঁদের প্রথম পছন্দ কম বয়সী পুরুষরা। এমনটিই উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়। জীবনের মাঝ বয়সে এসে নারীরা খোঁজেন এমন কাউকে যিনি অভিজ্ঞতায় নয়, তাঁকে সমৃদ্ধ করবে উছ্বাস আর উন্মাদনায়। সঙ্গীর হাত ধরে আরও এক বার ফিরে যাওয়া যাবে ফেলে আসা মুহূর্তের দিকে। এগুলো ছাড়াও আরও কতগুলো কারণ সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসছে। আকর্ষণীয় দেহ: -

অল্পবয়সী পুরুষদের পেশিবহুলতা, সুদৃঢ় ব্যক্তিত্ব বয়সে বড় নারীরা আকর্ষণ করে বেশি। শারীরিক ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে বয়সে বড় নারীদের প্রথম পছন্দ কম বয়সীরা।

যখন অসম বয়সী দুজন মানুষ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন, অভিজ্ঞ সঙ্গীর সামনে স্বাভাবিকভাবেই নিজেকে প্রমাণ করার একটা চেষ্টা থাকে। সেটা প্রতিফলিত হয় অল্পবয়সীর উদ্দীপনায়।

মনের মতো গড়ে নেওয়ায় সুযোগ: -

বয়সে বড় এবং অভিজ্ঞ হওয়ার সুবাদে কম বয়সী সঙ্গীকে সম্পর্কের টানাপোড়েন, চড়াই-উতরাই নিয়ে নিজের মতো শেখানো যায়। এমনকি শারীরিক আমোদের নানা কলাকৌশল শিখিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। অধিকাংশ নারীরা যেটা পছন্দ করেন।

অহংকে বাড়িয়ে দেয়: -

নিজের থেকে কম বয়সী পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের ফলে নারীরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। সে সম্পর্ক প্রেমের হোক বা শরীরী। নিজের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার দ্বারা আরেক জন মানুষকে সমৃদ্ধ করতে পেরে পরিতৃপ্তি লাভ করেন নারীরা।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২

বিয়ের আগে যে ৪ ভুল করবেন না ?.


বিয়ের আগে যে ৪ ভুল করবেন না ?.

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোর পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এখন প্রেম বা ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানো বেশ সহজ। তবে বিয়ে পর্যন্ত সেই সম্পর্ক টিকিয়ে নিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন।এক্ষেত্রে দুজনের মধ্যকার বোঝাপোড়া যেমন জরুরি ঠিক তেমনই পরিবারের সদস্যদেরও মতামত নেওয়া জরুরি।  আবার পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হলেও পাত্র ও কনে একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছুদিন সময় কাটান।

  যাতে একে অন্যের সম্পর্কে জানতে পারেন। দেখা গেছে, বিয়ের আগের কয়েকটি ভুল সম্পর্কের উপর চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। জেনে নিন কোন ভুলগুলো করবেন না।

১) প্রেম করে বিয়ে করার ক্ষেত্রে পরিবারিক ঝামেলা হতেই পারে। এক্ষেত্রে দুই পরিবারের মধ্যে কারও হয়তো একে অপরকে পছন্দ নয়। তবে সেক্ষেত্রে একটু সময় দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

এসব বিষয় নিয়ে যদি আপনি সঙ্গীর সঙ্গেই ঝামেলা বাধিয়ে নেন, তাহলে তো সমস্যা আরও বাড়বে। অবার অনেকেই সম্পর্ক না মানার কারণে নিজের পরিবারের সঙ্গেই বিরোধ ও ঝগড়া করেন। তবে বিয়ের আগে এমনটা করা একেবারেই উচিত হবে না। মাথা গরম না করে বরং ঠান্ডা রেখে পরিবারকে মানানোর চেষ্টা করতে হবে।

২)  অনেকেই একে অন্যের পরিবারকে দোষারোপ করেন। দেখা যায়, সম্পর্কে থাকা দুজন মানুষ একে অপরের পরিবারকে সম্মান করছেন না। সম্পর্ক যতই গভীর হোক না কেন সঙ্গীর পরিবারকে নিয়ে খারাপ মন্তব্যের কারণে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

 তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন। বিয়ের আগে সঙ্গীর পরিবার নিয়ে তার সঙ্গে কোনো খারাপ কথা নয়। বরং তাদের সম্পর্কে ভালো কথা বলুন। সঙ্গীকে বুঝিয়ে দিন আপনি তাকে ও তার পরিবারকেও ভালোবাসেন।

৩) একেক অঞ্চলের বিয়ের রীতিনীতি একেক রকম। বিয়ের এই নিয়ম সম্পর্কে একমত হওয়াও জরুরি। এক্ষেত্রে দুই পরিবার একসঙ্গে বসে আগে থেকেই কথা বলা উচিত। এসব ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হতে পারে। তাই পাত্র ও পাত্রীকে ঠান্ডা মাথায় এসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে পরিবারকে বোঝাতে হবে।

৪) সঙ্গীকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করবেন না। ভুল সবারই হয়। তাই বলে অযথা কোনো বিষয়ে সঙ্গীকে দোষারোপ করবেন না। এর ফলে সম্পর্ক খারাপ হয়। বিয়ের আগে এই কয়েকটি বিষয়ে সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে। 


আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কোন কোন কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয় ?.


কোন কোন কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয় ?.

  একটা সম্পর্কে দুজন মানুষেরই সমান দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকা দরকার। একে অপরের সঙ্গে গুণগতমান সম্পন্ন সময় কাটানো দরকার। তার পরও বেশ কিছু কারণের জন্য সম্পর্কে বিচ্ছেদ তৈরি হয়। মনোবিদদের মতে, এখন করোনা পরিস্থিতি চলছে। এই সময়ে সংক্রমণের চিন্তায় অনেক সময়ই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

  স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে গিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে সঠিকভাবে নজর দেওয়া হয় না অনেক ক্ষেত্রেই। তাই মানসিক স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে আমাদের লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসে নজর দেওয়া বিশেষ জরুরি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয়, দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী।

১. বিশেষজ্ঞদের মতে, সঙ্গীর যেকোনও বিষয়ে প্রশ্ন তোলার ফলে অনেক সময়ই পরিস্থিতি ঠিক থাকে না। বহু মানুষেরই এমন অনেক অভ্যাস থাকে যে, তারা সারাক্ষণই সঙ্গীকে বিরক্ত করেন। এর ফলে সম্পর্কে অবনতি দেখা দেয়।

২. সম্পর্ক সঠিক রাখার জন্য রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। অত্যধিক রাগ সম্পর্ককে নষ্ট করে দিতে পারে বলে মন বিশেষজ্ঞদের।

৩. পরিবার কিংবা বন্ধুদের সম্পর্কে অহেতুক কিংবা সারাক্ষণ যদি কু বাক্য প্রয়োগ করা হয়, তাতে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। এতে সঙ্গীর একে অপরের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়, মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। আর তা সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়।

৪. সম্পর্ক সঠিক রাখতে সঙ্গীকে অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করার অভ্যাস এখনই বর্জন করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যখনই কোনও ব্যক্তি তার সঙ্গীকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করে ছোট করছেন, তখন অপর ব্যক্তির মনে তা প্রভাব পড়ছে। আর এতেই নষ্ট হচ্ছে সম্পর্ক।

৫. বিশেষজ্ঞদের মতে, সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে সময় কাটানো কিংবা গেম খেলা বা টিভি দেখার অভ্যাসও সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে।

৬. সঙ্গীর পুরনো কোনও ভুল মনে রেখে সে সম্পর্কে সারাক্ষণ কথা বললে কিংবা কু মন্তব্য করলে সম্পর্ক নষ্ট হয়। তাই সম্পর্ক সঠিক রাখতে এমন অভ্যাস এখনই ত্যাগ করা জরুরি। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

কিভাবে প্রেম করতে হয় ? .


কিভাবে প্রেম করতে হয় ? .
 প্রেম একান্তই স্বর্গীয় একটি ব্যাপার। প্রতিটি মানুষের জিবনেই একবার না একবার প্রেম আসে। কখনো সে জানান দিয়ে আসে আবার কখনো তা নিরবেই রয়ে যায়। আর এই প্রেমকে নিয়ে বহু কবি এবং সাহিত্যিক লিখেছেন হাজার হাজার কাব্য, মহাকাব্য। এসকল কাব্য মহাকাব্যে প্রেম কখনো সফল কখনো বিফল। কখনো আনন্দময় আবার কখনো মৃত্যু যন্ত্রণার চেয়ে বিষাদময়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ভাল- মন্দ সফলতা ব্যার্থতা থাকবে প্রেমের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। তবে এরজন্য কি কেউ প্রেম করবে না? এর জন্য কি প্রেম পড়তে বারন? না কখনোই না, কারন প্রেম হলো স্বর্গীয়। মানুষের অজান্তেই তার জীবনে চলে আসে। 
তবে প্রেমের ক্ষেত্রেও কিছু বিচার বিশ্লেষণের ব্যাপার থেকেই যায়। কারন কাওকে ভালোবাসা এবং ভালো লাগা এক নয়। এ কারনে ভালো লাগাকে ভালবাসায় রুপ দিতে হলে সেই মানুষটি সম্পর্কে জেনে নেওয়াই হলো বুদ্ধিমানের কাজ। কারন আপনি যদি ভূল মানুষকে ভালোবাসেন তাহলে তার মাশুল আপনাকে জীবনভর দিতে হবে। এ কারনে যার সাথে ভালোবাসার বা প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হতে যাবেন সে আপনার জন্য উপযুক্ত হবে কিনা বুঝে নিন।

 এরপরে ভালোবাসার মানুষটিকে প্রেম নিবেদন করুন। এক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। কারনে এখানে একটি সামান্য ভুল হিতে বিপরীত ঘটাতে পারে। আগে খোজ নিন প্রিয় মানুষটির পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারে। এছাড়াও প্রেম নিবেদন করার জন্য সুনির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করুন। যখন আপনার প্রিয় মানুষটির মন ভালো থাকে। যেমন হতে পারে তার জন্মদিন। কারন জন্মদিন হলো প্রতিটি মানুষের জন্য ভলো একটা সময়। এসময় প্রেম নিবেদন করলে সফল হবেন অবশ্যই। প্রেম নিবেদনের জন্য একটি স্কেচবুক কিনে নিতে পারেন স্ক্র্যাপ বুক বানানোর জন্য। এখানে আপনার পছন্দের মানুষটির সাথে কোন সুন্দর স্মৃতি থাকলে তা যুক্ত করুন এবং তাকে গিফট করুন। এতে আপনার প্রেম নিবেদন সফল হওয়ার অনেক গুন বাড়িয়ে দিবে।
একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়া যতইনা কঠিন তার চেয়ে কঠিন তা টিকিয়ে রাখা। তাই প্রেমের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই আমাদের এর উপর যত্নশীল হতে হবে। থাকতে হবে একে অপের প্রতি অগাধ বিশ্বাস। তাহলেই সম্ভব প্রেমের এই পবিত্র বন্ধনকে দীর্ঘায়িত করা। এছাড়াও প্রেমকে মধুময় করে তোলার জন্য আরো অনেক উপায় রয়েছে।

 তাকে পাঠাতে পারেন ক্ষুদে বার্তা কারন একটি ছোট বার্তায় এমন কিছু অনূভুতি সৃষ্টি করা যায় যে কারনে ভালোবাসার মানুষটি সারাদিন আপানাকে নিয়ে ভাববে এবং অনূভুতিতে কাছে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে যাবে। ঠিক তখনিই তো প্রেম পরিপূর্ণতা লাভ করবে। এবং এই ক্ষুদে বার্তা দিয়ে সে আপনাকে প্রতিনিয়ত নতুন ভাবে আবিস্কার করবে।
 তার প্রতি ভালোবাসা গুলো সঠিক ভাবে ফুটিয়ে তুলুন। কখনোই প্রেমের বহিঃপ্রকাশ করতে গিয়ে এমনটা করা উচিৎ নয় যেন সে মনে করে আপনি তার উপর নির্ভরশীল। আপনি তাকে নিজের ভরসাস্থল হিসেবে উপস্থাপন না করে তার ভরসার যায়গার আপনি বিরাজ করুন। বর্তমানে আনেকই প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে নিজের ক্যারিয়ার এর বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে। লেখাপড়া হোক বা চাকরি সবকিছুই যেন শেষ করে দেয় তারা। যার ফলে ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় তাদের। তাই সকল সময় প্রেমিকের কাছে আপনার ব্যাক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলুন।

 ফোনে কথা বলতে পারেন। তবে তা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী। কখনোই অতিরিক্ত ফোনে কথা না বলে অল্পের ভিতর গুছিয়ে কথা বলুন। এবং শুধু যে প্রেম ভালবাসার কথাই বলতে হবে তা কিন্তু নয়। বরংচ তার খোজ নিন যে দিন কেমন কাটছে, পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। বিভিন্ন গল্প,জোক্স, গান ইত্যাদি নিয়েও কথা বলতে পারেন তার সাথে।

  প্রিয় ব্যাক্তিটিকে কিছু উপহার দিন। এবং এগুলো যে দামী হতে হবে তা কিন্তু নয়। বরং সামান্য কিছুর মাধ্যমেও তাকে খুশি করা সম্ভব। যেমন চুড়ি বা ফুল অথবা তার প্রিয় কোন জিনিস উপহার দিন। কখনোই নিজেকে ধনী প্রমানিত করতে গিয়ে অতিরিক্ত মূল্যবান জিনিস উপহার না দেওয়াই ভালো। এগুলো বিশ্বাস এবং ভালোবাসায় ফাটল ধরাতে পারে।
আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

শীতকালেই কেন খেজুর গাছের রস হয় ?.


শীতকালেই কেন খেজুর গাছের রস হয় ?.

  শীতকাল আসলেই প্রকৃতিতে হরেক রকমের বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। নতুন ধানের আমেজ, নতুন নতুন পিঠা তৈরি, শাক-সবজিসহ অনেক কিছুই দেখা যায়। তার মধ্যে অন্যতম আরেকটি অনুষঙ্গ হচ্ছে খেজুর গাছ থেকে ‘রস’ সংগ্রহ।

 স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রমাণ করেছিলেন ‘গাছেরও প্রাণ আছে, অনুভূতি আছে, সুখ-দুঃখ, অভিমান সবটাই আছে’। যেমনটি মানুষের আছে। খেজুর গাছ অনেক কষ্টই সহ্য করে শীতকালে। যেমনটি শীত আসলে মানুষ করে থাকে। তবে খেজুর গাছের কষ্টটাই অন্যরকম। 

 এখন অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতেই পারে, কেনোইবা শীতকালেই খেজুর গাছের রস বের হয় ? গ্রীষ্ম, বর্ষাকালে কেন হয় না ? খেজুর গাছ এক ধরনের তাল জাতীয় বৃক্ষ। ডাব, তাল, সুপারি এসব গাছের মতোই খেজুর গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো ‘Phoenix dectylifera’। খেজুর গাছের বৈজ্ঞানিক নামের দ্বিতীয় অংশ dactylifera দুটি ভাষা থেকে এসেছে, একটি অংশ dactulos এটি গ্রিক ভাষা থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ ‘খেজুর’। অপর অংশ fero, এটি ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘আমি বহন করি’। তাহলে dactylifera শব্দের পূর্ণ অর্থ হয় ‘খেজুর বহনকারী’।

 খেজুর গাছের কাণ্ড নরম, রসালো। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কাণ্ড শক্ত হতে থাকে। শুষ্ক মরুভূমিতে এরা ভালো জন্মে। তবে বিশ্বের নাতিশীতোষ্ণ ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলেও এদের ব্যাপক বিস্তৃতি লক্ষ করা যায়।

খেজুর গাছের রস প্রক্রিয়াকরণ-

 সাধারণত সব গাছ মূলের মাধ্যমে পানি শোষণ করে। এই পানি পাতায় পৌঁছে গেলে পাতায় সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি হয়। সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে যে খাবার তৈরি হয়, তা গ্লুকোজ। গ্লুকোজ পরে সুক্রোজ বা চিনিতে রূপান্তরিত হয়। গাছের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকার জন্য এই চিনি খরচ হয়ে যায়।

 খরচ হওয়ার পর যদি চিনি বেঁচে যায়, তাহলে চিনিগুলো স্টার্চ নামক অদ্রবণীয় জটিল শর্করা হিসেবে জমা থাকে। চিনি মিস্টি হলেও স্টার্চ কিন্তু মিষ্টি নয়। বর্ষাকালে মাটিতে প্রচুর পানি থাকে, তাই মূলের মাধ্যমে প্রচুর পানি শোষণ করে পাতায় প্রচুর খাদ্য তৈরি হয়। শীতকালে মাটিতে পানি কম থাকে, তাই পানির অভাবে পাতায় কম খাদ্য তৈরি হয়। শীতকালে স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য খেজুর গাছ অতিরিক্ত খাদ্য মজুদ করে রাখে।

 তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে মূল থেকে পানির শোষণ কম হতে থাকে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সংকেত খেজুর গাছের কোষে এক ধরনের এনজাইম ক্ষরণ হতে থাকে এই এনজাইমের প্রভাবে জমিয়ে রাখা স্টার্চ ভেঙ্গে আবার চিনিতে পরিণত হয়। মূল থেকে উঠে আসা পানির সাথে এই চিনি মিশে একটি মিষ্টি সরবত তৈরি হয়। এটাই হলো খেজুরের রস। যেহেতু মূল থেকে উঠা পানি উপরের দিকে ধাবিত হয়, তাই রস উপরের অংশে থাকা কোনো ক্ষত দিয়ে বের হয়। যেটা আহরণকারীরা গাছের ডগার ঠিক নিচের অংশে কেটে বের করে।

 শীতকালে গাছের প্রস্বেদন কম হয়, তাই গাছ থেকে খুব কম পরিমাণ পানি বাষ্পাকারে বের হয়। গাছে ক্ষত থাকলে সেই ক্ষত দিয়ে চিনি মিশ্রিত রস বের হয়। রস যত বের হবে, তত ব্যাপন চাপ ঘাটতি সৃষ্টি হয়, এই চাপ ঘাটতির কারণে একটি চোষণ শক্তির উদ্ভব হয়। চোষণ শক্তির প্রভাবে মাটি থেকে পানি শোষিত হয় এবং শীতকালজুড়ে রস বের হতে থাকে।

 একটি খেজুর গাছের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর না হলে রস উৎপাদন করতে পারে না। একটি পূর্ণ বয়স্ক খেজুর গাছ শীত মৌসুমে ১৫০-১৬০লিটার রস উৎপাদন করতে পারে। গাছের গোড়ায় যদি ছিদ্র করা হয়, তাহলে রস আহরণ করা যাবে না। 

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২

যেসব কারণে নারী ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব হয় ?.


যেসব কারণে নারী ও পুরুষের বন্ধ্যাত্ব হয় ?.

 ধারণে অক্ষম। ভারত ও বাংলাদেশে কত শতাংশ দম্পতি এ সমস্যায় ভুগছেন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। এই সমস্যার কারণে নারীদের দোষারোপ করে থাকে অনেকেই। কিন্তু এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। কারণ বন্ধ্যাত্ব নারী ও পুরুষ উভয়েরই হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, সন্তান ধারণে অক্ষম নারী ও পুরুষের সংখ্যা একই রকম।

  যদিও পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে ভারত ও বাংলাদেশে নারীদেরই এজন্য নিগ্রহের শিকার হতে হয় বেশি। বন্ধ্যাত্বের এখন নানা চিকিৎসা ভারত ও বাংলাদেশে রয়েছে। তবে তা দীর্ঘমেয়াদি, ব্যয়বহুল এবং কষ্টকর।

যেসব কারণে নারীদের বন্ধ্যাত্ব হয় - 

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সন্তান ধারণের চেষ্টা করার পর টানা এক বছর সময়কাল যদি কেউ সফল না হন তাহলে তাকে ইনফার্টাইল বা সন্তান ধারণে অক্ষম হিসেবে গণ্য করা হয়।

 স্ত্রী রোগের পাশাপাশি নারীদের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন ডা. সেলিনা আক্তার। তিনি বলছিলেন, তার কাছে যে দম্পতিরা আসেন তাদের মধ্যে সন্তান ধারণে অক্ষমতায় নারী ও পুরুষের সংখ্যা একই রকম।

 দেখা যায় দম্পতিদের মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ত্রী এবং একই সংখ্যক স্বামীদের শারীরিক সমস্যা থাকে। বাকি ১০ ভাগ ক্ষেত্রে দুজনেরই সমস্যা থাকে। কিন্তু ১০ ভাগ ক্ষেত্রে সমস্যা অজানা থেকে যায়। নারীরা প্রধানত কি কারণে সন্তান ধারণে অক্ষম হয়ে থাকেন সে সম্পর্কে ধারণা দিলেন ডা. সেলিনা আক্তার।

১. প্রেগন্যান্সির জন্য জরুরি পলিসিস্টিক ওভারি, যার মাধ্যমে একটা করে ওভাম আসার কথা, সেটা আসে না।

২. জরায়ুর কিছু সমস্যা থাকে, যা জন্মগত হতে পারে আবার অসুখের কারণে হতে পারে।

৩. জন্মগত সমস্যার কারণে হয়ত ডিম আসছে না, তার টিউব ব্লক, জরায়ু যেটা আছে সেটা বাচ্চাদের মতো।

৪. আরও কিছু অসুখ আছে, যেমন: ওভারিয়ান চকলেট সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে হতে পারে।

৫. হরমোনের কারণেও হতে পারে। যেমন থাইরয়েডের সমস্যার কারণে হতে পারে।

৬. আর যৌনবাহিত রোগের কারণে মেয়েদের প্রজনন অঙ্গগুলোর ক্ষতি করে। সেজন্য বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

পুরুষের যেসব কারণে বন্ধ্যাত্ব - 

 জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ফজল নাসের বলছেন, তাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে পুরুষরা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা নিয়ে অনেক দেরিতে চিকিৎসকের কাছে যান। কেননা সন্তান না হলে শুরুতেই স্ত্রীকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। পুরুষদের বন্ধ্যত্বের মূল কারণগুলো কী জানালেন তিনি।

১. একটা কারণ এজোস্পার্মিয়া, অর্থাৎ বীর্যের মধ্যে শুক্রাণু নেই। তার নালির কোথাও বাধা সৃষ্টি হয়েছে তাই শুক্রাণু মিলতে পারছে না। শুক্রাণু তৈরি হওয়ার যে স্থান অণ্ডকোষ, কোনো কারণে সেটি তৈরিই হয়নি।

২. অনেক সময় শুক্রাণু থাকে কিন্তু পরিমাণে কম থাকে।

৩. আবার শুক্রাণুর পরিমাণ ঠিক আছে কিন্তু মান ঠিক নেই। যার ফলে সে ডিম ফার্টিলাইজ করতে পারে না।

৪. এছাড়া টেস্টোস্টেরন হরমোনও ‘সিক্রেশন’ হতে হবে।

৫. প্রজনন অঙ্গে কোনো ধরনের আঘাত।

৬. অস্ত্রোপচারের কারণে সৃষ্ট বাধা।

৭. প্রজনন অঙ্গে যক্ষ্মা।

৮. ডায়াবেটিস।

৯. ছোটবেলায় মাম্পস।

১০. এমনকি মাথায় চুল গজানোর ওষুধও পুরুষদের সন্তান ধারণের অক্ষমতার উৎস।

যে ধরনের চিকিৎসা রয়েছে - 

ভারত ও বাংলাদেশে এখন বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার নানা ব্যবস্থা রয়েছে। সে সম্পর্কে ডা. সেলিনা আক্তার বলছিলেন, ‘যখনই কোনো কাপলের এক বছর বাচ্চা হচ্ছে না, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে। বয়স যদি ত্রিশের বেশি হয়, সেক্ষেত্রে আমরা এক বছর অপেক্ষা করতে মানা করি। তাদের তার আগেই ডাক্তারের কাছে চলে আসতে হবে। 

 ছয় মাসের মধ্যে যদি না হয়। আর বয়স যদি ত্রিশের নিচে হয় তাদের বলি এক বছরের কথা। এছাড়া আজকাল অনেকেই পেশাগত কারণে সন্তান ধারণে সময় নেন, সেটি এক এসময় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

মানুষের জীবনযাত্রায় যে পরিবর্তন এসেছে সেটি স্বাস্থ্যসম্মত করা পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

১. মেয়েদের খাদ্যাভ্যাস ঠিক করতে হবে।

২. ক্যালরি খাওয়া কমাতে হবে।

৩. ঘরে রান্না খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

৪. ব্যায়াম করতে হবে।

৫. শরীরের স্বাভাবিক ওজন রক্ষা করতে হবে।

৬. জীবনাচারণ পরিবর্তন করতে হবে।

৭. দিনে ঘুমানো, রাতে জেগে থাকার মত অভ্যাস বদলাতে হবে।

৮. বয়স থাকতে বাচ্চা নিতে হবে।

ডা. সেলিনা আক্তার বলেছেন, নারীদের ডিম্বাণু বৃদ্ধির জন্য ওষুধ, হরমোন ইনজেকশন দেন তারা। ডিম্বাশয়, এর নালী ও জরায়ুর সমস্যা দেখতে ল্যাপারস্কপি রয়েছে। কিছুদিন আগে স্বল্প পরিসরে চালু হয়েছে স্টেম সেল থেরাপি। সন্তান জন্মদানে অক্ষম দম্পতির দেহ থেকে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু সংগ্রহ করে কৃত্রিম পরিবেশে তা নিষিক্ত করে পুনরায় স্ত্রীর জরায়ুতে স্থাপন করা বা টেস্টটিউব বেবির ব্যবস্থা শুরু হয়েছে প্রায় কুড়ি বছর আগে। তবে ভারত ও বাংলাদেশে সন্তানহীনতার চিকিৎসা যতটুকু রয়েছে তার বেশিরভাগেই নারীদের জন্য এবং তা মূলত বিভাগীয় শহরভিত্তিক।

পুরুষদের জন্য কিছু চিকিৎসার কথা বলছিলেন চিকিৎসক ফজল নাসের: - 

ওষুধ দিয়ে শুক্রাণু বাড়ানো যেতে পারে। স্বাভাবিক হচ্ছে প্রতি মিলিতে চল্লিশ থেকে ১২০ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকার কথা। যদি সংখ্যাটা ১০ মিলিয়নের নিচে নেমে যায়, তাহলে কৃত্রিম গর্ভধারণে যেতে হবে। যদি পুরোপুরি অবস্ট্রাকশন হয়ে থাকে যে, শুক্রাণু আসছে না, তাহলে দেখতে হবে অণ্ডকোষটা সক্রিয় আছে কি না। অণ্ডকোষ সক্রিয় থাকলে সেখান থেকে সুঁই দিয়ে শুক্রাণু নিয়ে এসে টেস্টটিউব পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দেয়া যায়। ‘পৃথিবীর ভালো কেন্দ্র গুলোতেও অবস্ট্রাকশনের সার্জারি সফল হওয়ার হার মোটে ২৫ শতাংশ এবং এটি খুবই ব্যয়বহুল’, বলেন নাসের।

ধৈর্য, ব্যয় ও শারীরিক কষ্ট -

 বিশ্বব্যাপী পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় সাফল্যের হার কম। নারী পুরুষ দুজনের জন্যই বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। এক সপ্তাহের ডোজেই এটি সেরে যায় না। তাই এক্ষেত্রে ধৈর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রায়ই ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। বিশেষ করে টেস্টটিউব পর্যন্ত যদি বিষয়টি গড়ায়।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কোন কোন খাবার ?.


স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কোন কোন খাবার ?.

বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সবকিছু ঠিক থাকার পরও কখনও মনে হয় মাথাটা যেন কিছুতেই কাজ করছে না। এটা যেমন একটা সাময়িক ব্যাপার হতে পারে তেমনি আবার এর পেছনে আপনার খাদ্যাভ্যাসও দায়ি হতে পারে। কিছু খাবার বৈজ্ঞানিকভাবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। 

  যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিস অ্যান্ড নিউট্রিশন’য়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং পুষ্টিবিদ শিনা জারামিলো, এমএস বলেন, ‘মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতা বাড়ানোর খাবার গুলোতে থাকে ‘ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড’, ‘মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড’ ও ভিটামিন ডি। নারিকেল তেল এবং ‘পাম অয়েল’ থেকে মেলে ‘মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড’। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে মস্তিষ্ক প্রখর রাখার কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানান হল।

স্যামন - 

মাউন্ট সিনাই স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের ‘নিউরোসাইন্টিস্ট’ নিকোল এম. অ্যাভেনা, পিএইচডি বলেন, “ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎকৃষ্ট উৎস হল চর্বিওয়ালা মাছ। মাছের এই চর্বি স্বাস্থ্যকর কারণ এতে ‘বেটা-অ্যামিলয়েড প্রোটিন’য়ের মাত্রা কম থাকে। ‘আলৎঝাইমার’স রোগে আক্রান্ত রোগীদের মস্তিষ্কে ‘প্লাক’ তৈরি করে এই প্রোটিন। সপ্তাহে দুবার মাছ খাওয়া উচিত, তবে এমন মাছ বেছে নিতে হবে যাতে ‘মার্কারি’ বা পারদের মাত্রা কম। এক্ষেত্রে স্যামন হল আদর্শ। কারণ এতে পারদ নেই এবং ‘ওমেগা থ্রি’ বেশি। সামুদ্রিক মাছে সমস্যা থাকলে শৈবালভিত্তিক ‘ওমেগা থ্রি সাপ্লিমেন্ট’ গ্রহণ করতে পারেন”, বলেন আরেক পুষ্টিবিদ ড্যানিয়েলা স্কোয়াব, এমএসপিএইচ, আরডি।

জামজাতীয় ফল- 

ড.স্কোয়াব বলেন, ‘মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় ক্ষমতা বাড়াতে এবং বয়সজনীত ক্ষয় কমাতে জাম-জাতীয় ফলগুলো বিশেষ উপকারী। এতে প্রচুর ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ থাকে, যা মস্তিষ্কের ‘ফ্রি র‌্যাডিকেল’ বা মুক্ত মৌলকে নিষ্ক্রিয় করে। আর এজন্যই জামজাতীয় ফলকে বলা হয় ‘নিউরোপ্রোটেক্টর’ফার্মেন্টেড খাবার ।

স্কোয়াব বলেন, ‘মস্তিষ্ক আর অন্ত্র বেশ গভীরভাবে জড়িত। আনন্দের অনুভূতি দেওয়া হরমোন ‘সেরোটনিন’ তৈরি করে অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়া। তাই সংক্রমণ কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে অন্ত্রের ‘মাইক্রোবায়োম’য়ের ভারসাম্য নষ্ট হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে মস্তিষ্কে। ‘আলৎঝাইমারস’, ‘ডিমেনশিয়া’ ও অন্যান্য ‘কগনিটিভ’ রোগগুলোর ঝুঁকি বাড়ে এভাবেই। ‘ফার্মেন্টেড’ খাবার মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যে ভূমিকা রাখে কারণ তা সরাসরি ‘নিউরোট্রান্সমিটার’কে প্রভাবিত করতে সক্ষম। ‘ফার্মেন্টেড’ বা ‘প্রোবায়োটিক’ খাবারের মধ্যে আছে ‘কমবুচা’, দই, টকদই, খিমচি ইত্যাদি। ভোজ্য আঁশ থাকে প্রচুর, এমন খাবার যেমন- ফল, সবজি, পত্রল খাবার ও শষ্যজাতীয় খাবারও অন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

কফি - 

সকালে কফি পান না করলে অনেকেরই মাথা কাজ করে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘কফি শুধু মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করে তাই নয়, নতুন কোনো ঘটনাকে স্থায়ীভাবে মনে রাখাতেও এর সহায়ক ভূমিকা রয়েছে।’ কফি ‘সাইকোস্টিমুলেন্ট’ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ নতুন তথ্য সামাল দেওয়ার গতি বাড়ায়। আর এই প্রভাব কফি পান করা শেষ হওয়ার পরও বজায় থাকে। এছাড়াও মস্তিষ্কে তৈরি হওয়া বিষাক্ত উপাদান অপসারণে ‘ক্যাফেইন’য়ের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

 বাদাম ও বীজ - 

ম্যাগনেসিয়াম এমন একটি খনিজ যা প্রাকৃতিকভাবেই প্রকৃতি এবং মানবদেহে তৈরি হয়। প্রতিটি কোষে এর অস্তিত্ব আছে এবং শরীরের অসংখ্য দৈনিক কার্যাবলী সম্পাদনে এটি জরুরি এক উপাদান, এমনকি মস্তিষ্কের জন্যও। মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ এবং জ্ঞানীয় ক্ষমতা উন্নয়নের পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম কাজ করে ‘ভ্যাসোডাইলেটর’ হিসেবে। রক্তনালী প্রসারিত করার মাধ্যমে এটি মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। ‘টফু’, বাদাম, অ্যাভোকাডো, কুমড়ার বীজ ইত্যাদি মাগনেসিয়ামের উল্লেখযোগ্য উৎস। কুমড়ার বীজে আরও থাকে ‘আনস্যাচুরেইটেড ফ্যাটি অ্যাসিড’, ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’, দস্তা, কপার ও লৌহ যার সবগুলোই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ডার্ক চকলেট -

এতে থাকে ‘ফ্লাভানয়েড’ যা একটি শক্তিশালী ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ ও প্রদাহরোধী উপাদান। কোনো কিছু শেখা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ বাড়ানো, নিউরন’কে সুরক্ষিত সবকিছুর পেছনেই ডার্ক চকলেটের উপকারী ভূমিকা আছে। ৭০ শতাংশ কোকো আছে এমন ডার্ক চকলেট বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ মেগান ওয়াং, আরডি।

জল -

মস্তিষ্কের ৭৫ শতাংশই পানি। তাই শরীরে পানির অভাব থাকলে তা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমাবে সেটাই স্বাভাবিক। পানির অভাবে মনযোগ কমে, সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হয় এবং স্বল্প সময়ের জন্য স্মৃতিশক্তির কমার লক্ষণ দেখা দেয়।

ডিম - 

‘কোলিন’ নামক উপাদান থাকে ডিমে যা স্নায়ুকোষের ‘ট্রান্সমিশন’য়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও এই উপাদান স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের গঠন বজায় রাখতে কাজ করে। মনযোগ বাড়াতেও এর ভূমিকা আছে।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

খাওয়ার পর কোন কোন কাজ করবেন না ?.


খাওয়ার পর কোন কোন  কাজ করবেন না ?.

খাবার ছাড়া আমাদের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না। তাই আমরা প্রতিদিন কিছু না কিছু খায়। কিন্তু খাওয়ার পর আমরা অনেক সময় অনেক কিছু করে থাকি, যা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এমন অনেক কাজ রয়েছে, যেগুলো অন্য সময়ে করলে উপকার হয় অথচ খাওয়ার পর পর করলেই তা ক্ষতি করে।

সঠিক নিয়ম মেনে সঠিক খাবার খেলে যেমন স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তেমনই নিয়ম না মেনে ভুল খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করব খাওয়ার পরে যে কাজ কখনোই করা উচিত নয়, তা নিয়ে-

১) খাবার পরেই অনেকে ধূমপান করেন। কিন্তু জানেন কি, ভরা পেটে ধূমপান করলে তা শরীরের বেশি ক্ষতি করে। তবে ভরা পেট বা খালি পেট নয়, ধূমপান পরিহার করাই সর্বাপেক্ষা শ্রেয়।

২) ভরা পেটে কখনোই ফল খাবেন না। খালি পেটে ফল খেলে তবেই তার খাদ্যগুণ আমাদের শরীরে শোষিত হয়। তাই খাওয়ার বেশ কিছুটা সময় পরে ফল খান। খাবার খেয়েই ফল খেলে হজমের সমস্যাও দেখা দেয়।

৩) খাওয়ার পরেই আমাদের অনেকেরই ঘুম পায়। তাই খেয়ে উঠেই বিছানায় যেতে আমরা বেশ পছন্দ করি। কিন্তু এটা অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস। খেয়ে উঠেই শুয়ে পড়লে ওজন তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে হজমের সমস্যাও দেখা দেবে। তাই খেয়ে উঠে অন্তত এক ঘণ্টা পরে বিছানায় যান।

৪) জল খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু খেয়ে উঠেই জল পান করবেন না। খাবার খেয়েই জল খেলে তা হজমে সহায়ক গ্যাসট্রিক রসকে হালকা করে দেয়। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হতে চায় না। সেই রকমই খেয়ে উঠেই চা বা কফি খাওয়া ঠিক নয়।

৫) পেটভর্তি করে খেয়ে অনেকেই কোমরের বেল্ট একটু হালকা করে নেন। এটিও কিন্তু খারাপ অভ্যাস। প্রথম কথা কখনোই পেট এতটা ভর্তি করে খাওয়া উচিত নয়, যাতে কোমরের বেল্ট হালকা করতে হয়।

৬) খাওয়ার পর সাথে সাথে হাঁটা ঠিক নয়। তবে খাবার গ্রহণের আধা ঘণ্টা পর ১০ মিনিট হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অপরদিকে হাঁটা ঘুমের জন্য ভালো। তেমনি খাওয়ার পর পর ব্যায়াম করা ঠিক নয়।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।

রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২২

শীতকালে কমলালেবু কেন খাবেন ?.


শীতকালে কমলালেবু কেন খাবেন ?. 

  শীত জেঁকে বসেছে সারাদেশে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ঋতুতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ কমে যায়। যার ফলে জ্বর, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা এবং আরও অনেক শারীরিক সমস্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এ কারণে শীতকালে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে পুষ্টিকর খাবারের ওপর গুরুত্বারোপ জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

  খাবারের তালিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার একটি সহজ উপায় হলো, প্রতিদিনের খাবারে আরও বেশি করে মৌসুমি ফল এবং শাকসবজি রাখা। প্রতিটি ঋতু নিজস্ব ফল ও সবজি নিয়ে আসে- যার প্রতিটিতে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারী পুষ্টি থাকে। এমনই একটি আশ্চর্যজনক শীতকালীন ফল হলো কমলা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কমলাকে শীতকালীন ‘সুপারফুড’ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।

   মিষ্টি ও রসালো এ ফল ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ভাইরাল গুণের ভাণ্ডার। এছাড়াও এটি শরীরে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজ ও ভিটামিন যোগায়, যা কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে না তাই নয়, পাশাপাশি ফ্লু এবং জ্বর সহ আরো কিছু মৌসুমী রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

কমলার স্বাস্থ্য উপকারিতা-

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: - কমলা হলো ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে ও ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ক্ষতি প্রতিরোধ করে। এছাড়াও কমলা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, শীতকালীন ঠান্ডা-সর্দি ও নানা ধরনের অসুস্থতা প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

* ত্বকের উজ্বলতা বাড়ায়:- শীত প্রায়ই ত্বকে শুষ্কতার ছাপ ফেলে এবং ত্বককে ফ্যাকাশে ও নিস্তেজ করে তোলে। কমলাতে বিদ্যমান ভিটামিন সি ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে এবং ভেতর থেকে উজ্বল করে তোলে।

* ওজন কমাতে সহায়ক: - কমলায় ক্যালোরির পরিমাণ অবিশ্বাস্য রকম কম এবং এতে কোনো চর্বি নেই। তাই যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে আগ্রহী, তাদের জন্য এ ফল আদর্শ।

  ভারতের খ্যাতনামা পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে শীতকালীন খাবার তালিকায় কমলা রাখার আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা শেয়ার করেছেন। তার মতে, ‘কমলা হলো পুষ্টির শক্তিঘর, যা এ ঋতুতে সহজলভ্য। কমলা খাওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যকে নানা উপায়ে উপকৃত করা যায় সহজেই।

পুষ্টিবিদ অনুমোদিত আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা- 

* ক্যানসার প্রতিরোধী খাবার: - কমলার অন্যতম প্রধান উপাদান হলো লিমোনিন। এটি মুখ, ত্বক, ফুসফুস, স্তন, পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

* কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক: - কমলার খোসায় পলিমেথক্সিলেটেড ফ্ল্যাভোনস নামক এক ধরনের যৌগ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষমতা রাখে।

* মা এবং শিশুর জন্য ফোলেট: - শরীরে প্রাকৃতিভাবে ফোলেট যোগানোর একটি বড় উৎস হলো কমলা। এটি শিশুর জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সহায়তা করে। গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বি ভিটামিন হলো ফোলেট। তাই সামগ্রিক স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য আপনার প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কমলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আপনারা দয়া করে এখানে থাকা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করে আপনার প্রয়োজন অনুসারে জিনিস কিনুন, তাহলে আমি কিছু কমিশন পাব।